যুদ্ধ মানে কি? সংগ্রাম? লড়াই? আর বিজয় মানে কি অর্জন? মমতা ভাবেন আর ভাবেন।
এই যে অবিরাম যুদ্ধ, এর শেষ কোথায়!!!
অরিত্রর জন্ম সেই যুদ্ধের
সময়। সেই ছেলে দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেল। পঁচিশ ছুঁই ছুঁই ছিপছিপে এক যুবক। এই
যে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে ।পরনে আকাশ নীল একট টি- শার্ট। হাল্কা
কোঁকড়ানো চুল। মসৃণ কাঁধ, ঝকঝকে
গায়ের রং আর বুদ্ধিদীপ্ত দুই চোখ। একদম মাহিন এর কার্বন কপি । দেখতে এমন এ ছিল
মাহিন। শান্ত চেহারা কিন্তু ভেতরে অনেক জেদ। অনেক স্বপ্ন। একটু আবেগপ্রবণ কিন্তু
নীতিতে অটল।
-মা নাস্তা দাও।
-টেবিল এ চল।
-তুমি খেয়েছ?
-না।
-কেন?
-এমনি।
-খাওনা কেন? এত সকালে উঠো।
-তুই খাবি চল।
-ভাত খাব মা।
-এই সকালে?
-হু। দুপুরে খাওয়ার
ঠিক থাকে না।
-বাসায় চলে আসলেই তো
পারিস।
- টাইম পাইনা । তোমার
সেই কালকের মাংস আছে না? ফাটাফাটি হইছিল ।
-হু, চল।
-আজকে ফিরতে দেরি হবে
মা। প্রোজেক্ট এর কাজ।
-সে আর নতুন কি।
-আমার ভালো লাগে না মা।
-কি?
-এইযে চাকরি খোঁজা ।
-হবে চেষ্টা কর।
-আর কত?
-পানিতে ত পড়িস নাই।
-তুমি আর কত?
-আমার আরো চাকরি আছে ৩
বছর। হয়ে যাবে।নাস্তা খাবি চল।
-মা তোমার কোন কিছুতে
মন খারাপ হয়না?
-না।
-কেন?
-লাভ নাই তাই।
-তোমার কি দারুন
ফিলসফি।
-এই ভাত খাবি ত চল।
পিছনে পিছনে অরিত্র আসে। গরম
ভাত আর তাতে জ্বাল দেয়া কোরবানির মাংস । ঝুরা ঝুরা হয়ে গেছে , অরিত্রর তাই পছন্দ। তাতে ডাল।গরম গরম।তাতে মরিচ। অরিত্র হাপুস হুপুস খায়।
-বলে মা রনির জব হল
শাফিক এর ও হল একটা । আমার যে কবে হবে।
-হবে হবে আল্লাহকে ডাক।
-তোমার আজকে কি রুটিন?
-মিটিংএকটা আর কিছু
নাই।
-কখন যাবা?
-এইত।
-চল একসাথে বের হই।
-না রে। তুই যা।
অরিত্র বেরিয়ে যায় ।
মমতা গোসল করে রেডি হতে যান। তার এখন ও অনেক
লম্বা চুল। টানা মসৃণ । কোমর ছাপানো। তাতে সকালের সূর্যের আলো পড়ে ঝলমল করছে। একটা হাত খোঁপা বাঁধেন।
তার পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে কিন্তু মুখে এখন ও তারুণ্য এর আভা। এককালে খুব
সুন্দর ছিলেন তিনি। শাড়িতে খুব দারুন লাগত। এখন ও তাই। একটা হাল্কা আকাশি শাড়ি বের করেন। তাতে সাদা
ব্লাউজ।আজকে departmental মীটিং . Agenda
আগে ই ঠিক করা।
দরজাতে তালা লাগিয়ে বের হতে
হতে ১০ টা। তার আগে একটা বিস্কিট, এক
কাপ গ্রীন টি।
চেয়ারম্যানশিপ এর দুই বছর
চলছে।সপ্তাহে ২টা ক্লাস। আজকে ক্লাস নাই।
রুম এ রুমানা বসে আছে ।দেখতে
খুব নরম শরম শান্ত । তার ছোট বোন তুলির মেয়ে।এই ইউনিভার্সিটিতেই পড়ে। এই মেয়েকে
দেখলে তার নিজের সেই বয়স এর প্রতিচ্ছবি মনে হয়। ওর স্নিগ্ধ হাসি অনেক কথা বলে।
-কিরে রুমানা খবর কি?
-এইত চলছে।খালা এক্সাম
কি পিছাবে? উড়া উড়া শুনি।
-তাই নাকি?
-তাইলে ত গেলাম।
-কেন?
-সময় চলে আসল না?
মমতা হাসেন। বলেন -সময় বাড়ায়া নে ।অনার্স টা শেষ কর... তারপর
রুমানার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে
সামনের জানুয়ারীতে। ছেলে জাপান প্রবাসী ডাক্তার। বিয়ের পরই ও কে নিয়ে যাওয়ার কথা। রুমানাকে বিষণ্ণ লাগে। চোখ দুটো
কি এক কষ্টে ছল ছল করে।
গহন কালো চোখ দুটি তুলে বলে
-হু... বিয়ে বড় না
পড়াশোনা?
-তাইতো। চিন্তিত ভাব
দেখান মমতা। তা তোর হবু বর কি বলে?
-বলে পড়াশোনা করে লাভ
কি? তুমি কি চাকরি করবা?
-তুই কি বলিস?
-বলি তাইত রান্না করতে
আর বাসন মাজতে তো আর ডিগ্রি লাগেনা। কিন্তু খালা আমি এত সহজে ছাড়বনা। ফাইট দিব।
পড়াশোনা শেষ করবই।
-জাপান এ গিয়ে জাপানিজ
ফাইট? তোর মা কি বলে?
হাসে রুমানা। বলে মা আমার
পক্ষে আছে। তোমার এক্সামপল দেয়। বলে মমতার মত হ। লাইফ এর কোন গ্যারান্টি আছে?
-তুই তো এই যুগ এর মেয়ে। আমার
মত কেন হবি? আরো আগাবি না ?
-তোমার মত হইলে এ হবে।
দোয়া কইর। অরিত্র ভাই এর কি খবর?
-আছে।
-যাবনে বাসায়।
- আসিস।
রুমানা চলে গেল।কিন্তু ওর
সুবাস ছড়িয়ে রইল। সাহস এর দৃঢ়তার। মায়বি চেহারাতে কি যেন বলে গেল রুমানা! তার
মত হতে চায়। লড়াই করতে চায়। বোকা মেয়ে। লড়াই করা কি খুব সুখের? একটা সময় ছিল যখন রুমানার মত ছিলেন তিনি। তেজি আর
সাহসি। কিন্তু ভিতরে ভিতরে খুব সংবেদনশীল।
সেই মনের প্রেমে পড়ে গেল
মাহিন । অভিজাত পরিবার এর একমাত্র সন্তান । হৃদয়বান মেধাবি আর পরোপকারী। তুখোড়
বিতারকিক আর আবৃত্তিকার । সেই মাহিন এর বনলতা হয়ে গেলেন তিনি। মফঃস্বল থেকে আসা
মহিলা কলেজ এ পড়া মমতা ।তার অসাধারন মুখশ্রী, মিষ্টি গানের গলা আর নিবিড়
কাল চুলের জন্য ফিদা হয়ে গিয়েছিল মাহিন। কি যে সময় গেছে তখন । অপ্রেমের কাল
থেকে প্রেম এর কাল। রোকেয়া হল থেকে মুজিব হল।ডাকসু থেকে TSC.
বিয়ের বছর এ যুদ্ধ। ততদিনে
এ পাশ করে বেড়িয়ে গেছেন দুজনেই। মাহিন ইউনিভার্সিটির টিচার। মমতা একটা সরকারি কলেজে। মাহিন এর চেষ্টাতো ছিলই
নিরন্তর। জীবন গোছানোর। Full bright
scholarship হয়ে গেল।
যাওয়ার গোছগাছ চলছে তখনি যুদ্ধ।
না সেই কাহিনি আর মনে করতে
চান না মমতা। বাইরে ভিতরের নিরন্তর যুদ্ধের কাল। নিজেকে রক্ষা করা, অরিত্রর জন্ম,
তাকে একা হাতে মানুষ করা... আর অপেক্ষা ... কত দিন রত্রি প্রহর
গেল... অপেক্ষা আর শেষ হয়না । আহ চোখে পানি আসে কেন ?
মিটিং আর টুকটাক কাজ সেরে
ইউনিভার্সিটি থেকে বের হতে হতে বিকেল। বাসা ৫ মিনিট এর হাঁটা পথ।এতটুকুতেই
ফুরিয়ে যায়। এবার অনেক ফুল ফুটেছে ।
কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া আর নাম না
জানা কত ফুল। । মমতা ফুলের সুবাস মেখে ফুলার রোড এর রাস্তায় হাঁটেন আর ফুল দেখেন।
মাহিন এর অনেক স্বপ্ন ছিল। অনেক বড় হবার, অনেক কিছু করার
এই দেশটার জন্য । সেই যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল
একদিন ১৯৭১ র এপ্রিল এর এক সকালে আর ফিরে এলোনা। কোথায় গেলো... কত খোঁজ ..
. কত খোঁজ ...। আর কত অপেক্ষা , আর কত চোখের জল। এই মাটিতে
কোথায় ঘুমিয়ে আছে। কে জানে।
বিয়ের পর পর অরিত্র এসেছিল গর্ভে । কি সুখ, কি আনন্দ,
কত কল্পনা। ছেলে না মেয়ে। ছেলে হলে অরিত্র আর মেয়ে হলে বর্ষা।
ছেলে হলে বুয়েট আর মেয়ে হলে মেডিকেল। স্বাধীন দেশে বড় হবে ওরা, সেই স্বপ্ন, কত পরিকল্পনা। সবই হল শুধু মাঝখান থেকে হারিয়ে গেল মাহিন ,
ইংলিশ বিভাগ এর তরুন প্রতিভাবান দেশপ্রেমিক শিক্ষক।
মুঠোফোন টা বেজে ওঠে।
-মা মা তুমি কই?
-কেন? কি হল?
-বলনা মা
-কি ? এই ত বাসার কাছে
-আস মা, তাড়াতাড়ি।
-তুই কই?
-বাসায় মা।আস...
বিকেল নেমেছে ফুলার রোড এ।
তার সোনালি আলোতে মেখে আছে দশদিক। কাঁচা সোনার মত রোদ। এই রোদ এ রিকশা করে ঘোরা
ছিল মাহিন এর খুব এ প্রিয়। আর তার সাথে গান। মমতার গান।
এক বিকাল এর কথা মনে পড়ল।
সোনা সোনা রোদ। তার মাঝে আচমকা বৃষ্টি।
মাহিন এর কি উচ্ছাস। রাধাচূড়া ফুল আর বেলি ফুল এর গন্ধ মাখা রাস্তা। রিকশার পরদা
ফেলা। আচমকাই হাতের পাতায় হাত। অসম্ভব ম্যানলি গলায় গহন ঘোর।
-মমতা প্লীজ বৃষ্টির
গান কর একটা
মমতা অভ্যস্ত মাহিন এর
পাগলামিতে। তাও বলেন কি বল না বল। রিকশাওালা শুনবে ত।
চকিতে দুষ্টামি মাহিন এর গলায়। দারুন হাসিতে
রাস্তা কাঁপিয়ে বলে আরে ওরে না হয় ২ টাকা কম দিবো... ফ্রী গান শুনবে তাই।
-আরে বল কি
-আরে লতা মুঙ্গেশকার,
গান না একটা গান। নাহয় রিকশাওয়ালারে জিজ্ঞেস করি তোমার গানের বদলে ফ্রী নিয়া যাবে নাকি আমদের?
-না গাইলে কি করবা?
-কি যে করব, হুড ফেলে বৃষ্টিতে তোমারে গোসল করাই দিবো। আর না হয় আমিই গান শুরু
করব। চিল্লাব তখন বুঝবা কত ধান এ কত চাল।
তুমি ভালো বিপদ এ পড়বা।
-এত জ্বালাও কেন তুমি?
-বউ হবা না আমার ?
জ্বালা ত সইতেই হবে।।
কি গান গেয়েছিলেন মনে নাই। ঝর ঝর মুখর শ্রাবন
দিন এ না অন্য কিছু... তাতে কি আনন্দ
মাহিনের বলল আজকে আমারে বিয়ে করবা? প্লিজ চলনা কাজী অফিস। রাত বিরাতে তোমার গান শুনতে চাইলেও পারব তাইলে।
দরজাতেই দাঁড়িয়ে অরিত্র।।
জড়িয়ে ধরল মাকে।
- মা মা দারুণ একটা
ব্যাপার।
-কি রে? কি হইছে?
-হয়ে গেছে মা ,
হয়ে গেছে।
-কি?
- গেস কর মা।
- চাকরি হইছে?
-না মা।
-তাইলে কেমিক্যাল এর মুমু নিজেই তোরে বলছে তরে ছাড়া
বাঁচবে না।
-না মা
-তাইলে... না রে তুই বল
-স্কলারশিপ পাইছি মা
-কোনটা
ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি তে
মা... ফুল স্কলারশিপ মা
-সত্যি?
-তিন সত্যি মা।
-কখন দেখলি?
-এইত রুমির বাসায়
অনলইন হইলাম । তখনই । ফোনে বলতে ইচ্ছা করলনা তাই বাসায় আসলাম।
-কবে সেশান?
-এইত মা সেপ্টেম্বরে ।
আর মাত্র ২ মাস।
-তাইতো। সময় যে অনেক
কম ।
-চল মা। সেলিব্রেট করি।
তোমারে বাইরে খাওয়াব। নতুন একটা দোকান
হইছে ধানমণ্ডিতে। ধানসিঁড়ি। ওদের মাটন কাচ্চি আর চিকেন কড়াই। সাথে বোরহানি আর রায়তা।
শেষে তোমারে পানবাহার এর একটা পান। দিলখুশ হয়ে যাবে।
অনেকদিন অনেকদিন কষ্টে ছিল
অরিত্র। বুয়েট থেকে পাস করা ইঞ্জিনিয়ার । কোন চাকরি নাই । ছোটোখাটো প্রোজেক্ট এর কাজ আর কয়েকটা কোচিং এ
ক্লাস। এবার খুশি। মমতার চোখে পানি আসে। সুখের দিন কি এসে গেল!! তার মিশন কি এইবার
শেষ হল। তার যুদ্ধ কি বিজয় পেল? চোখের
পানি ফেলার দিন কি শেষ হল?
-আমারে কেন? বন্ধুদের বল। আমি টাকা দেই।ভালমত খা। যা যা মন চায়। যতজনরে খাওয়াতে
মন চায়।
-বন্ধুরে ই ত বললাম মা।
সবচে বড় বন্ধু।
-আরে ধুর।।
-চলনা মা।শাড়ি বদলাইতে
হবে না। তোমারে দারুন লাগতেছে মা।
-হইছে হইছে আর বলতে হবে
না।
আবারও চোখে পানি আসে। আর
মাত্র দুই মাস। অরিত্র ও চলে যাবে।
নিচে নেমে এসে রিকশাতে উঠে
মা আর ছেলেতে। রিকশা চলতে থাকে। মা আর ছেলের কথা ও চলতে অরিত্র এর স্বপ্ন, পরিকল্পনা । টুংটাং রিকশার হর্ন বাজে।
-বলে মা আমারে ছাইড়া
থাকতে পারবা তো? কিছুদিন। তোমারে নিয়ে যাব ।
-নারে আমারে নিয়ে
ভাবিস না। ৫ বছর ত। দেখতে দেখতে চলে যাবে। শুধু এই মাটিতে ফিরে আসিস। অইখানে থাকিস না। কত কষ্টের এই দেশ। তোর বাবার
কত স্বপ্নের দেশ।
-রুমানা রে নিয়ে আস মা তোমার কাছে। হলেইতো থাকে । অনেক
ভালো মেয়ে।
-নারে আমি একাই পারব ।
তুই থাকতে পারবি তো? দেখিস আবার কান্নাকাটি লাগাইস না।
অরিত্র মায়ের হাতটা শক্ত
করে চেপে ধরে। ওর দুই চোখে শ্রাবণ এর ঢল নামে।
********************
অনেক অনেকদিন চলে গেছে
তারপর। আজকেও সন্ধ্যা নেমেছে। বসুন্ধারার ১০ নম্বর সড়কে ১১২ নং ছিমছাম দোতালা
বাড়ীটিতে। সোনা সোনা রঙের আলোয় আলোকিত চারিদিক।
মিতু কাঁদছে। এপোলো হসপিটাল এর শিশু বিশেষজ্ঞ মিতু। অরিত্রর
ঘরনি।
- মিতু মিতু কাঁদছ কেন?
-কি জানি কাঁদি নাতো।
-এই যে চোখে পানি। স্কলারশিপ
পাওয়ার দিনটার কথা শুনতে চাইলা তাই না বললাম।
-না মা এর কথা যত শুনি
ততই কেমন অস্থির লাগে... ক বছর পরে ফিরলা
তুমি?
-৫বছর।
-মা কেমনে ছিল!
-মারে চিননা তুমি... সব
পারে মা। ফোনে এ আমি কাঁদতাম। মা কাঁদত না।
অনিন্দ্য সুন্দর চোখ দুটি
তুলে হাসে মিতু... তাইত মায়েরা অনেক কিছু
পারে। না পারলেও পারতে হয়।
-হু
মিতু উঠে। তার গহন মায়াবি
চোখ দুটো তখনো ভিজা।
-কই যাও
-যাই দেখি মা কি করে।
বারান্দা তে আসবানা? একসাথে চা খাই।
মমতা বসে ছিলেন ছোট্ট আনুশকে কোলে নিয়ে। লনে। অনেক
ফুল ফুলে ভরা বাসার সামনের লন। মিতুর
হাতের অনবদ্য সৃষ্টি। এই মিতু নামক মেয়েটা যেন তার জীবনের সমস্ত অপ্রাপ্তি কে
ভুলিয়ে দিতে তার জীবনে পা রেখেছে। আর এই যে আনুশ।রেশম কাল চুল আর বরফ সাদা গায়ের
রঙ । কি মায়া আর কি তৃপ্তি। তার বুকের উত্তাপ এ মিশে অনর্গল তার নিজস্ব ভাষায়
কথা বলছে ৩ বছর বয়সী আনুশকা। মিতু পিছনে
এসে দাঁড়ায়। আলতো করে মমতার মাথায় হাত রাখে। নিবিড় কোমল সেই স্পর্শ। মনে মনে
বলে মা আমি যেন আপনার মত হই। দোয়া করবেন।
*************
লেখকের কথাঃ পৃথিবীর সকল
মাকে আমার অসীম শ্রদ্ধা।
আমার যেন কখনই আমাদের মা আর মাটিকে ভুলে না যাই।
--------------------------------------------------------------------------
লিখেছেন-Sakiba Ferdousy
(বন্ধুরা, গল্পটি কেমন লাগলো সেটা আপনার কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিন। আপনার কমেন্টটি হয়তো লেখককে আরও সুন্দর সুন্দর গল্প লিখতে অনুপ্রাণিত করবে। আর গল্পটি ভালো লাগলে ‘like’ করতে ভুলবেন না যেন!)
গল্পটি নেয়া : https://www.facebook.com/notes/ভালবাসা-এবং-কিছু-আবেগের-গল্প/আনন্দ-বেদনার-কাব্য/209767732436717