বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ
গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ৩০০ সদস্য বিশিষ্ট
সবোর্চ্চ আইন পরিষদ। প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারের সরাসরি ভোটের ভিত্তিতে প্রতি আসন থেকে
একজন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সাধারণত প্রতি ৫ বছর অন্তর এই নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হয়। পূর্বে নারীদের জন্য ৩০ টি আসন বরাদ্দ ছিল যারা মূলত নির্বাচিত
সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হতেন। নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসনের এই বিধান স্বল্প
সময়ের জন্য সংবিধানে ছিল। সপ্তম সংসদে শেষ বারের মতো এই বিধান চালু ছিল। অষ্টম
সংসদের পূর্বের সকল সংসদেই ৩০ টি নারী আসনের ব্যবস্থা ছিল। শুধুমাত্র প্রথম সংসদে
১৫ টি এবং চতুর্থ সংসদে কোন সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা ছিল না।
২০০৪ সালের মে মাসে অষ্টম সংসদ সংসদীয় আসন অধ্যাদেশ (চতুর্দশ সংশোধনী),
২০০৪ পাশ করে বাংলাদেশের সংবিধানে নিম্নোক্ত ধারা সংযুক্ত করা
হয়:
অধ্যাদেশ ৬৫(৩) তে উল্লেখ করা হয়-
‘সংবিধানের (চতুর্দশ সংশোধন)
আইন, ২০০৪ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী
সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে শুরু করে দশ বৎসরকাল অতিবাহিত হইবার অব্যবহিত
পরবর্তীকালে সংসদ ভাঙ্গিয়া না যাওয়া পর্যন্ত পঁয়তাল্লিশটি আসন কেবল মহিলা-সদস্যদের
জন্য সংরক্ষিত থাকিবে এবং সংসদ কর্তৃক পাশকৃত আইনের সাপেক্ষে সংসদে আনুপাতিক
প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে সংরক্ষিত আসনে মহিলারা নির্বাচিত হইবেন। ’
সংরক্ষিত নারী আসনের এই ব্যবস্থা থাকলেও নারীরা
সাধারণ নির্বাচনেও প্রার্থী হতে পারবেন। বাংলাদেশের সংবিধানে সর্বোচ্চ আইন পরিষদকে
বাংলায় ‘জাতীয় সংসদ’ এবং
ইংরেজীতে ‘হাউজ অব্ দ্য নেশন’ বলা
হয়েছে। যদিও ‘হাউজ অব্ দ্য নেশন’ খুব কমই ব্যবহার হয়। বরং একশব্দে ‘পার্লামেন্ট’
বলে এটি বেশী পরিচিতি লাভ করেছে। একটি কারণ হতে পারে, হাউজ অব্ দ্য নেশন শব্দটি সংবিধানে মাত্র একবার ব্যবহার করা হয়েছে।
সংবিধানে ইংরেজীতে পার্লামেন্টকে ‘হাউজ অব্ দ্য নেশন’
বলে উল্লেখ করা হয়েছে এটি অনেকের কাছে অজানা।