আমি যখন ছোট তখনকার ঘটনা। একদিন রাতে আমার আব্বুর সাথে আমার আম্মুর কি যেন
নিয়ে ঝগরা হয়। এবং আমার আম্মু কিছুক্ষন পরে কেদে কেদে বলে যে আমি তোমার বাড়ি
থাকবো না। আমি আমার বাপের বাড়ি চলে যাব। এই বলে আমার সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে ঘর
থেকে বের হয়েযায়। তখন আনুমানিক রাত ১১.৪৫ এরকম। তখন আমার আব্বু রাগে কিছু
না বলে ঘরে এসে ছিটকানি দিয়ে ঘুমিয়ে পরে। একটু পরে আমার যখন ঘুম আসছিলো না তখন
আমি আমার আব্বুর কাছে যেয়ে শুই। কিছুক্ষন পরে হটাত্ বাহির আম্মুর ডাক। আমার
আম্মু আমাকে ডেকে ডেকে দরজা খুলতেবলতেছে। তখন আমার আব্বু নিজেই যেয়ে গেট খুলে
দিয়ে আসে এবং আম্মুকে বলে ফিরে আসলে কেন? যাও তোমার বাপের বাড়ি যাও।
তখন আম্মু কিছু বলে না চুপ করে ঘরে চলে আসে। এখানে বলে রাখা ভালো যে তখন বিদ্যুত্
ছিল না। ঘরে টিপ টিপ করে মোম বাতি জ্বলতেছি। তখন আম্মু ঘরে আসলো। তারপর আমি আব্বু
আম্মু একসাথে ঘুমাই। এবং একটু পরে আমি অনূভব করলাম কিসের যেন গন্ধ নাকে আসতেছে।
তারপর আমি আব্বুকে চুপি চুপি বললাম এই কথা। তখন আব্বু বললো চুপ করে থাকো। এরকম
যাওয়ার পরে আমারআব্বুর মোবাইলে কল আসলো এবংআমার আব্বু ফোন ধরে বললো হ্যালো। তখন
আমার নানা ফোনেবলতেছে সানির আম্মুর সাথে কি হয়েছে? সানির
আম্মু এখানে বসে কান্না করতেছে। তখন আমার আব্বু থ মেরে গেলোএবং আমাকে চিমটি কাটলো।
আমি তখন একটু উহ করে উঠলাম। তখনআব্বু বললো কিরে বাথরুমে যাবি? এই বলে আমাকে নিয়ে ঘরথেকে বেরিয়ে যায় এবং ঘর থেকে যাওয়ার সময়
আব্বুকে বার বলতেছিলো আমার আম্মুর রুপে যে ছিল। সানি একাই বাথরুমে যাক তুমি থাকো
তখন আমার আব্বু বলে তুমি থাকো আমি যাই নয়তো সানি ভয় পাবে।এই বলে আমাকে নিয়ে ঘর
থেকে বেরিয়ে যায় আব্বু। তারপর পাশের বাড়িতে যেয়ে সেই রাতটি কাটাই। এবং সকালে
এসেদেখি ঘর একদম নোংরা হয়ে আছে। আর দেয়ালে শুধু আঁচড়ের দাগ।
This is not a blog only-you will get almost everything helpful, educational materials and so on here with the passage of time.
Friday, April 13, 2012
জ্বিন বস [ Ghost Stories - 02 ]
আমার নানা পাকিস্তান আমলের একজন ঠিকাদার ছিলেন।সাথে সাথে বোতলে
জ্বিন বন্দীর দক্ষতা থাকার কারনে তাকে গ্রামের লোকজন ফকির নামে চিনত।এই কাজ টি
অত্যন্ত ঝুকিপুর্ণ।জ্বিন যদি কোনভাবে ছাড়া পেয়ে যায়,তাহলে আমাদের সমূহ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।কিন্তু নানা সচেতন থাকার কারনে সেই
ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।নানা বলেছিলেন,তিনি খুব অল্প সংখ্যক জ্বিন কেই বোতলে পুরেছেন।এটি একটি সাধনার মত এবং
সাধারনত সুরা পড়ার মাধ্যমে করা হয়।বলা হয়ে থাকে,এই
পদ্ধতিতে শুধু বদ জ্বিন রাই কাবু হয় যারা অকারণে কারো ওপর চড়াও হয় কিংবা মেয়ে
দের ওপর ভর করে।প্রত্যেক জ্বিন ই বোতলে বন্দীর পর ছেড়ে দেয়ারজন্যে আকুতি মিনুতি
করত,নানা সবাইকেই তওবা করিয়ে ছেড়ে দিত।তবুও নানা গ্রামে
গেলে খুব সতর্ক থাকতে বলতেন।বলাবাহুল্ য কিছু কথা উল্লেখ করা যেতে পারে,
১>পুকুরে একা একা গোসল করা যাবে না।
২>সন্ধ্যার পরে চুন,চুল এ জাতীয় শব্দ উচ্চারণ করা যাবে না।
৩>রাতের বেলায় মাছ,মিষ্টি খেয়ে সুপাড়ি চাবানো।
৪>গভীর রাতে কেউ ডাকলে তাকানো যাবে না,সে ডাক যদি ৩ বার হয় তাহলেই তাকানোর হুকুম আছে।
৫>নানার গলার স্বরে কেউ ডাকলেই তার মিষ্ট কথায় না ভুলে তার ছায়া এবং পায়ের পাতা দেখে নিশ্চিত হতে হবে সে আদৌ মানুষ কিনা।
নানী ভয়ে সন্ধ্যার পর বের হত খুব কম,আমাদের কেও দিত না।আমারা ছোট মানুষ,ভয় থেকেও রাতের আধারে গানের কলি খেলার ঝোক টাই বেশী থাকত।একবার নানা একটা সাপ রূপী জ্বিন কে বোতলে পুড়ে।কিন্তু নানী রাতের আধারে সেটি কে কেরোসিনের বোতল মনে করে মুখ খুলে ফেলেন এবং বিকট গন্ধে অপ্রস্তুত হয়ে নানা কে ডাকতে থাকেন।নানা দোয়া দরূদ পরে জ্বিন টাকে বোতলে ভরার আগেই সেটি পগাড়পার হয়েযায়।বিপদ আসন্ন বুঝতে পেরে নানা ঘর বেধে দেন এবং খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে থাকেন।কিন্তু শেষ রক্ষা হওয়ার আগেই বড় মামা সাপের কামড় খান,তার পুরো শরীর নীলাভ হয়ে যায়।সারা রাত চেষ্টা করেও কোন কবিরাজ বিষনামাতে পারেনি।সোনার ঢোলক ব্যবহার করে সাপে কামড়ানো রোগী কে বাচানো যায় বলে গ্রাম দেশে প্রবাদ আছে।নানা সেই চেষ্টা ও করেছিলেন।কিন্তু তাতেও ফল হয় নি।তারপর ১দিন মামার জ্ঞান ফিরলো।তার নীলাভ বর্ণ তখন আর নেই।আচমকা সুস্থ হওয়ার ঘটনায় পুরো গ্রাম বাসী অবাক।নানা ও স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লেন।কিছুদিন পর নানা স্বপ্নে দেখলেন,কেউ একজন তাকে বলছে,এটা নমুনা সবে।এভাবে গোটা পরিবার শেষ হবে।নানা বাড়ি বাধালেন,ইমাম সাহেব কে কয়েকদিন বাড়িতে রাখলেন।ইমাম সাহেবের বশে কিছু ভাল জ্বিনছিল।তারা নাকি তখন বাড়ি পাহাড়া দিত।এভাবেই দিন যাচ্ছিল।আমাদের আর কোন সমস্যা হয়েছে বলে শোনা যায় নি।নানা গত হলেন।তার নির্দেশ অনুযায়ী সব ঠিক ঠাকমতই চলছে।না চলার কারণ তো ছিলই না,হুকুমের বাইরে এক পা এগুলেই যে কোন বিপদ প্রাণ টা নিয়ে যাবেনা এ নিশ্চয়তা কে দিতে পারত?এর পর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু ঘটনা ঘটে।যেমনঃ
১>একদিন মাঝ রাতে বড় মামার ঘুম ভেঙ্গে যায়।তিনি তার লেপের ওপর একটি মোটা সাপ আবিষ্কার করেন।খুব জোরে চেচান তিনি।সবাই এসে সাপ টাকে মেরে ফেলে।সেটি ফণা তোলা ছাড়া কাউকে ছোবল মারারবদ সাহস দেখায় নি।
২>ছোটবেলায় আমি একদিন পুকুরে গোসল করার সময় পাশেরলেবু গাছে একটা সাপ দেখি।পুকুরে আমি একাই নেমেছিলাম,সাতার তখন ও জানিনা।আমিও চিতকার করলাম।সাপটির দিকে তাকিয়ে।সবাই আসার সাথে সাথে সাপ টি উধাও হয়ে গেল।ভয়ের কথা হচ্ছে,সাপ টিরদিকেই আমি সবসময় তাকিয়ে ছিলাম,সেটি কে আমি কোথাও যেতে দেখিনি,অদৃশ্য হতে দেখেছি।
৩>এক রাতে আমরা বৈঠক ঘরে গল্প করছিলাম,হঠাত এক খালারআর্ত চিতকার।আমরা লাইট নিয়ে ছুটে যাই।সেখানে পার্শ্ববর্তী নারিকেল গাছের শিকড় ছাড়া আর কিছুই ছিল না।অথচ খালার ভাষ্যমতে একটি সাপ তার দিকে ফণা তুলেতাকিয়ে ছিল।
৪>একবার ভর দুপুরে রান্না ঘরের টিনের চালে সাপ পাওয়া যায়।এবার ও বড় মামার ওপর আক্রমন।সাপ টা ছোবল দেয়ার চেষ্টা করতে থাকে।কিন্তু অন্য মামা রা লাঠি দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করায় সেটির পক্ষে বাচা আর সম্ভব হয় নি।নানা বলেছিল,বাড়িতে ভুতপ্রেতের আগমন ঘটলে কুকুর রা অহেতুক ডাকাডাকি করে।সে দিন ও কুকুর গুলো খুব চিতকার করছিল।
৫>একবার গ্রামের বাড়ি তে গিয়েছিলাম ঈদ উদযাপন করতে।রাতের বেলা ভাত খেয়ে হাটছিলাম।বোনের চিতকারে বাড়ির দিকে ছুট দিলাম।সেও সর্প দর্শনেও ভীত।আমার বাবা ও কখনো আমাদের নানুর বাড়ির ওই ঘর টায় থাকতে চান না।তিনি একবার মাঝ রাতে সাপবিষয়ক ভয়ংকর স্বপ্ন দেখেছিলেন।
কেমন হবে যদি মাঝ রাতে আপনিও আপনার বিছানায় সাপ দেখতে পান?সেটি আমাদের কারোর ই কাম্য নয়।আরেক দিন পাগল নিয়ে কিছু বলব।শোনা এবং বাস্তব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই। পাগল রা কিআসলেই অবহেলার পাত্র?আমার তো মনে হয় না। আপনাদেরমতামত ও বিশেষ ভাবে কাম্য।
জানিয়েছেনঃ তাহসানুল মমিন
১>পুকুরে একা একা গোসল করা যাবে না।
২>সন্ধ্যার পরে চুন,চুল এ জাতীয় শব্দ উচ্চারণ করা যাবে না।
৩>রাতের বেলায় মাছ,মিষ্টি খেয়ে সুপাড়ি চাবানো।
৪>গভীর রাতে কেউ ডাকলে তাকানো যাবে না,সে ডাক যদি ৩ বার হয় তাহলেই তাকানোর হুকুম আছে।
৫>নানার গলার স্বরে কেউ ডাকলেই তার মিষ্ট কথায় না ভুলে তার ছায়া এবং পায়ের পাতা দেখে নিশ্চিত হতে হবে সে আদৌ মানুষ কিনা।
নানী ভয়ে সন্ধ্যার পর বের হত খুব কম,আমাদের কেও দিত না।আমারা ছোট মানুষ,ভয় থেকেও রাতের আধারে গানের কলি খেলার ঝোক টাই বেশী থাকত।একবার নানা একটা সাপ রূপী জ্বিন কে বোতলে পুড়ে।কিন্তু নানী রাতের আধারে সেটি কে কেরোসিনের বোতল মনে করে মুখ খুলে ফেলেন এবং বিকট গন্ধে অপ্রস্তুত হয়ে নানা কে ডাকতে থাকেন।নানা দোয়া দরূদ পরে জ্বিন টাকে বোতলে ভরার আগেই সেটি পগাড়পার হয়েযায়।বিপদ আসন্ন বুঝতে পেরে নানা ঘর বেধে দেন এবং খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে থাকেন।কিন্তু শেষ রক্ষা হওয়ার আগেই বড় মামা সাপের কামড় খান,তার পুরো শরীর নীলাভ হয়ে যায়।সারা রাত চেষ্টা করেও কোন কবিরাজ বিষনামাতে পারেনি।সোনার ঢোলক ব্যবহার করে সাপে কামড়ানো রোগী কে বাচানো যায় বলে গ্রাম দেশে প্রবাদ আছে।নানা সেই চেষ্টা ও করেছিলেন।কিন্তু তাতেও ফল হয় নি।তারপর ১দিন মামার জ্ঞান ফিরলো।তার নীলাভ বর্ণ তখন আর নেই।আচমকা সুস্থ হওয়ার ঘটনায় পুরো গ্রাম বাসী অবাক।নানা ও স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লেন।কিছুদিন পর নানা স্বপ্নে দেখলেন,কেউ একজন তাকে বলছে,এটা নমুনা সবে।এভাবে গোটা পরিবার শেষ হবে।নানা বাড়ি বাধালেন,ইমাম সাহেব কে কয়েকদিন বাড়িতে রাখলেন।ইমাম সাহেবের বশে কিছু ভাল জ্বিনছিল।তারা নাকি তখন বাড়ি পাহাড়া দিত।এভাবেই দিন যাচ্ছিল।আমাদের আর কোন সমস্যা হয়েছে বলে শোনা যায় নি।নানা গত হলেন।তার নির্দেশ অনুযায়ী সব ঠিক ঠাকমতই চলছে।না চলার কারণ তো ছিলই না,হুকুমের বাইরে এক পা এগুলেই যে কোন বিপদ প্রাণ টা নিয়ে যাবেনা এ নিশ্চয়তা কে দিতে পারত?এর পর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু ঘটনা ঘটে।যেমনঃ
১>একদিন মাঝ রাতে বড় মামার ঘুম ভেঙ্গে যায়।তিনি তার লেপের ওপর একটি মোটা সাপ আবিষ্কার করেন।খুব জোরে চেচান তিনি।সবাই এসে সাপ টাকে মেরে ফেলে।সেটি ফণা তোলা ছাড়া কাউকে ছোবল মারারবদ সাহস দেখায় নি।
২>ছোটবেলায় আমি একদিন পুকুরে গোসল করার সময় পাশেরলেবু গাছে একটা সাপ দেখি।পুকুরে আমি একাই নেমেছিলাম,সাতার তখন ও জানিনা।আমিও চিতকার করলাম।সাপটির দিকে তাকিয়ে।সবাই আসার সাথে সাথে সাপ টি উধাও হয়ে গেল।ভয়ের কথা হচ্ছে,সাপ টিরদিকেই আমি সবসময় তাকিয়ে ছিলাম,সেটি কে আমি কোথাও যেতে দেখিনি,অদৃশ্য হতে দেখেছি।
৩>এক রাতে আমরা বৈঠক ঘরে গল্প করছিলাম,হঠাত এক খালারআর্ত চিতকার।আমরা লাইট নিয়ে ছুটে যাই।সেখানে পার্শ্ববর্তী নারিকেল গাছের শিকড় ছাড়া আর কিছুই ছিল না।অথচ খালার ভাষ্যমতে একটি সাপ তার দিকে ফণা তুলেতাকিয়ে ছিল।
৪>একবার ভর দুপুরে রান্না ঘরের টিনের চালে সাপ পাওয়া যায়।এবার ও বড় মামার ওপর আক্রমন।সাপ টা ছোবল দেয়ার চেষ্টা করতে থাকে।কিন্তু অন্য মামা রা লাঠি দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করায় সেটির পক্ষে বাচা আর সম্ভব হয় নি।নানা বলেছিল,বাড়িতে ভুতপ্রেতের আগমন ঘটলে কুকুর রা অহেতুক ডাকাডাকি করে।সে দিন ও কুকুর গুলো খুব চিতকার করছিল।
৫>একবার গ্রামের বাড়ি তে গিয়েছিলাম ঈদ উদযাপন করতে।রাতের বেলা ভাত খেয়ে হাটছিলাম।বোনের চিতকারে বাড়ির দিকে ছুট দিলাম।সেও সর্প দর্শনেও ভীত।আমার বাবা ও কখনো আমাদের নানুর বাড়ির ওই ঘর টায় থাকতে চান না।তিনি একবার মাঝ রাতে সাপবিষয়ক ভয়ংকর স্বপ্ন দেখেছিলেন।
কেমন হবে যদি মাঝ রাতে আপনিও আপনার বিছানায় সাপ দেখতে পান?সেটি আমাদের কারোর ই কাম্য নয়।আরেক দিন পাগল নিয়ে কিছু বলব।শোনা এবং বাস্তব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই। পাগল রা কিআসলেই অবহেলার পাত্র?আমার তো মনে হয় না। আপনাদেরমতামত ও বিশেষ ভাবে কাম্য।
জানিয়েছেনঃ তাহসানুল মমিন
Subscribe to:
Posts (Atom)