Monday, May 6, 2013

:: কুকুর রুপী জ্বীন :: [Ghost Stories-32]


:: কুকুর রুপী জ্বীন ::



আমার এ ঘটনাটি আমার চাচাত বোন এর কাছ থেকে শুনেছি ।
আপুর মামাত বোনকে তাবিজ করা হয়েছিল । আপুকে(যাকে তাবিজ করা হয়েছিল) অনেক কবিরাজ দেখিয়েছিলেন কিন্তু অনাকে কোনো কবিরাজ ভাল করতে পারল না । তো ঘটনাটি হল আমার চাচাত বোন মামার বাড়ি গেলে মামা আপুকে তাদের বাড়ি থাকতে বলেন । পরদিন যাকে তাবিজ করা হয়েছিল থাকে নিয়ে শাহপরান এর মাজারে যাবেন এবং সিন্...নি দেবেন মানত করেছিলেন তো সিন্নি ঘরে তৈরি করে রেখেছিলেন । ঐ দিন রাতে রান্না ঘরে সিন্নি রাখা ছিল । ঐ রাতে সিন্নি নষ্ট করার জন্য তাবিজের জ্বীন ঘরে এসেছিল রাত ১২ টা/১ টার দিকে । ঘরের দরজা জানালা সব কিছু বন্ধ ছিল । ঘরে ঢোকার পর মামি ঘরে নড়া-চড়া করার শব্দ শুনতে পেলেন মামি মনে করলেন ঘরে চোর ঢুকেছে মনে হয় । মামি মামাকে ডাকলেন মামা উঠলেন এবং বাতি জ্বলানোর জন্য যেই সুইচ দিতে যাবেন মামা দেখতে পেলেন অনার সামনে ঘরে মাটি থেকে চালা পর্যন্ত বিশাল একটি দেহ, মামা বুঝতে পারলেন এটি জ্বীন তাই মামা জ্বীনটির চোখে চোখ রাখলেন এমনকি চোখের পলক পর্যন্ত ফেলেনি । জ্বীনটির চোখে চোখ রেখে মামা সাহস করে তাড়াতাড়ি সুইচ দিলেন, সুইচটি ২ হাত দূরে ছিল মামার কাছ থেকে এবং জ্বীন থেকে ১/১.৫ হাত দূরে ছিল। মামা বুঝতে পারলেন আর দেরি করলে লাইটের সুইচ দেতে দেবে না জ্বীনটি। তাই মামা সাহস করে যেই সুইচ দিলেন সাথে সাথে জ্বীনটি লাল চকচকে একটি কুকুর হয়ে গেল । এবং বাহির হওয়ার জন্য ঘরের ভিতর দৌড়াতে থাকে । মামা কুকুরটিকে মেরে ফেলতে চাইলেন কিন্তু মামি বাধাঁ দিলেন পরবর্তিতে ক্ষতি করতে পারে এই ভেবে । মামি মামা কে দরজা খুলে দিতে বলেন। মামা দরজা খুলার পর কুকুরটা এক দৌড় দেয় দরজার দিকে, তখন মামা দেখতে পেলেন দরজার কাছে যেতেই কুকুরটি নাই (উদাউ/গায়েব) হয়ে গেল !

পরদিন সকালে মামা খুজতে লাগলেন জ্বীনটি কোন দিক থেকে ডুকেছে । মামা খুজে পেলেন জ্বীনটি ডুকেছিল bathroom/টয়লেটের চালার ফাঁকা অংশ দিয়ে । তাদের বাথরুম সব সময় সেঁতসেঁতে থাকে, তো জ্বীন বাথরুম দিয়ে ডুকেছে। এটা জ্বীনের পায়ের ছাপ দেখে বুঝা গিয়েছিল । মামা মেপে দেখলেন সাধারন মানুষের তুলনায় ঐ জ্বীনের পা দ্বিগুন বড় ছিল । ঐ দিন কাউ কে কিছু বললেন নি ।

তারা পরে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন, মাজারে সিন্নি দিয়ে পরে তারা সিলেটে ফুলতলি সাহেবের বড় ছেলের কাছে গেলেন উনি রোগীকে দেখলেন এবং দেখে আসতে বলেন । মামা আপুকে বাড়িতে নিয়ে এলেন । আসার পর ঐ দিন রাতেই আপু (যাকে তাবিজ করা হয়েছিল) স্বপ্নে দেখলেন তাবিজ কোন কোন জায়গায় আছে ।

পরে এক এক করে প্রায় ৮ টি থেকে ১০ টি তাবিজ তুলা হয় বিভিন্ন জায়গা থেকে। বিশেষ করে আপু যে যে জায়গা বেশি ব্যবহার করতেন সে সব জায়গায় তাবিজ গারা (রাখা) হয়েছিল । পরে তিনি আস্তে আস্তে ভাল হতে থাকেন । এখন আপুটি পুরোপুরি ভাল আছেন ।

জ্বীনটি কেন সিন্নি নষ্ট করতে এসেছিল তা আমাদের জানা নেই । আমার আরও ঘটনা আছে। যদি এই ঘটনাটি আপনাদের কাছে ভাল লাগে, তবে আমি আমার বাকি যে ঘটনাগুলো আছে সেগুলো শেয়ার করব।।

ঘটনাটি পাঠিয়েছেন: Saifur Rahman Sumon Ullah























ভূতুরে হাসপাতাল [Ghost Stories-31]


ভূতুরে হাসপাতাল 


আমেরিকার ম্যাসাচুচেস্ট অঙ্গরাজ্যের সালেম নগরীতে অবস্থিত ডেনভার স্টেট হসপিটালটি ভৌতিক কর্মকান্ডের জন্য
কুখ্যাতি অর্জন করেছে ! এটি মূলত একটি মানসিক হাসপাতাল ছিল যা ১৮৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মানসিক রোগিদের চিকিত্সার জন্য স্যার উইলিয়াম হার্বার্ট এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেন ॥ শুরুর দিকে হাসপাতালটির কর্মকান্ডভালভাবে চললেও বছর পাঁচেক পর এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় স্যার উইলিয়াম হার্বার্টের মৃত্যু হলে হাসপাতালটির কর্মকান্ডে আসে আমূল পরিবর্তন ॥ স্যার উইলিয়াম হার্বার্টের মৃত্যুর পর এইখানকের রোগীদের উপর আহ্মরিক অর্থেই নরক নেমে আসে ॥ 

রোগীদের মারধর ,ইলেকট্রিক শক থেকে শুরু করে হাইড্রোথেরাপি পর্যন্ত দেওয়া হত ॥ এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৮৫
সালে ব্রায়ান হ্যারিস নামকএক মানসিক রোগীর উচ্চ ইলেকট্রিক শকের দরুন মৃত্যু হয় !

পরে তার লাশ অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে হাসপাতালেরই এক নির্জন জায়গায় কবর দেওয়া হয় ! এই ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় হাসপাতাল কর্মী মাইক হ্যারিসের মৃত্যু হয় ॥ তার মুন্ডুহীন লাশ হাসপাতালের পিছনের উঠানে আবিষ্কৃত হয় ! এরও ঠিক এক সপ্তাহ পর হাসপাতালের ডাক্তার এফ .হেনরির ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় তারই কহ্মে! এই দুইজনই ছিলেন ব্রায়ান হ্যারিসের হত্যাকারী ! তারা তাদের পৌশাচিক আনন্দ লাভের জন্য রোগীদের উপর বিভিন্ন নির্যাতন চালাত! হতভাগ্য ব্রায়ান হ্যারিস ছিলেন তাদের সেই পৌশাচিক আনন্দের শিকার ॥ এই ঘটনার পর হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয় ॥ 

তবে আজও গভীর রাতে হাসপাতাল থেকে ভেসে আসে যন্ত্রনাকাতর চিত্কার! মাঝে মাঝে আলোর ঝলকানিও চোখে পড়ে ! এখানকার নিরাপত্তাকর্মীর  মাঝে মাঝে ভারী পায়ে হেঁটে যাওয়ার আওয়াজও শুনতে পান ! কেউ যদি হাসপাতালটি দেখতে চান তবে তাদেরকে শুধু হাসপাতাল চত্বরেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয় কখনই হাসপাতালটির ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না !