Monday, May 6, 2013

[Ghost Stories-33]


এই জায়গাটি উরুগুয়ের পিটার মাউন্টেন নামক এক পাহাড়ের নিচের একটি সুড়ঙ্গ । এখানে প্রতি পূর্ণিমা রাতে নীল পোশাকের একটি মেয়েকে দেখা যায় । প্রতি পূর্ণিমা রাতে ! কখনো মিস হয় না । মানুষ বলে অনেককাল আগে এই পাহাড়ের নিচে বাস করতো থমসন ফ্যামিলি । সেই ফ্যামিলির মেয়ে টিনাকে কে বা কারা একবার অপহরণ করে নিয়ে যায় । হয়তো মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে তারা । কারণ মেয়েটিকে এরপরে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি । সেটা প্রায় ২০০ বছর আগের ঘটনা । টিনার তখন বয়স ছিলো ১৯ বছর । মানুষের মুখে প্রচলিত যে টিনার অতৃপ্ত আত্মা এখনো ঘুরে বেড়ায় পাহাড়ের টানেলে । খুঁজে ফেরে পরিচিতদের । অনেকেই নাকি মাঝে মাঝে গভীর রাতে চিৎকার করে কান্নার আওয়াজ শুনতে পান । ভয়ে কেউ রাতের বেলা ঐ পথ মাড়ান না ইদানীং ।


:: কুকুর রুপী জ্বীন :: [Ghost Stories-32]


:: কুকুর রুপী জ্বীন ::



আমার এ ঘটনাটি আমার চাচাত বোন এর কাছ থেকে শুনেছি ।
আপুর মামাত বোনকে তাবিজ করা হয়েছিল । আপুকে(যাকে তাবিজ করা হয়েছিল) অনেক কবিরাজ দেখিয়েছিলেন কিন্তু অনাকে কোনো কবিরাজ ভাল করতে পারল না । তো ঘটনাটি হল আমার চাচাত বোন মামার বাড়ি গেলে মামা আপুকে তাদের বাড়ি থাকতে বলেন । পরদিন যাকে তাবিজ করা হয়েছিল থাকে নিয়ে শাহপরান এর মাজারে যাবেন এবং সিন্...নি দেবেন মানত করেছিলেন তো সিন্নি ঘরে তৈরি করে রেখেছিলেন । ঐ দিন রাতে রান্না ঘরে সিন্নি রাখা ছিল । ঐ রাতে সিন্নি নষ্ট করার জন্য তাবিজের জ্বীন ঘরে এসেছিল রাত ১২ টা/১ টার দিকে । ঘরের দরজা জানালা সব কিছু বন্ধ ছিল । ঘরে ঢোকার পর মামি ঘরে নড়া-চড়া করার শব্দ শুনতে পেলেন মামি মনে করলেন ঘরে চোর ঢুকেছে মনে হয় । মামি মামাকে ডাকলেন মামা উঠলেন এবং বাতি জ্বলানোর জন্য যেই সুইচ দিতে যাবেন মামা দেখতে পেলেন অনার সামনে ঘরে মাটি থেকে চালা পর্যন্ত বিশাল একটি দেহ, মামা বুঝতে পারলেন এটি জ্বীন তাই মামা জ্বীনটির চোখে চোখ রাখলেন এমনকি চোখের পলক পর্যন্ত ফেলেনি । জ্বীনটির চোখে চোখ রেখে মামা সাহস করে তাড়াতাড়ি সুইচ দিলেন, সুইচটি ২ হাত দূরে ছিল মামার কাছ থেকে এবং জ্বীন থেকে ১/১.৫ হাত দূরে ছিল। মামা বুঝতে পারলেন আর দেরি করলে লাইটের সুইচ দেতে দেবে না জ্বীনটি। তাই মামা সাহস করে যেই সুইচ দিলেন সাথে সাথে জ্বীনটি লাল চকচকে একটি কুকুর হয়ে গেল । এবং বাহির হওয়ার জন্য ঘরের ভিতর দৌড়াতে থাকে । মামা কুকুরটিকে মেরে ফেলতে চাইলেন কিন্তু মামি বাধাঁ দিলেন পরবর্তিতে ক্ষতি করতে পারে এই ভেবে । মামি মামা কে দরজা খুলে দিতে বলেন। মামা দরজা খুলার পর কুকুরটা এক দৌড় দেয় দরজার দিকে, তখন মামা দেখতে পেলেন দরজার কাছে যেতেই কুকুরটি নাই (উদাউ/গায়েব) হয়ে গেল !

পরদিন সকালে মামা খুজতে লাগলেন জ্বীনটি কোন দিক থেকে ডুকেছে । মামা খুজে পেলেন জ্বীনটি ডুকেছিল bathroom/টয়লেটের চালার ফাঁকা অংশ দিয়ে । তাদের বাথরুম সব সময় সেঁতসেঁতে থাকে, তো জ্বীন বাথরুম দিয়ে ডুকেছে। এটা জ্বীনের পায়ের ছাপ দেখে বুঝা গিয়েছিল । মামা মেপে দেখলেন সাধারন মানুষের তুলনায় ঐ জ্বীনের পা দ্বিগুন বড় ছিল । ঐ দিন কাউ কে কিছু বললেন নি ।

তারা পরে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন, মাজারে সিন্নি দিয়ে পরে তারা সিলেটে ফুলতলি সাহেবের বড় ছেলের কাছে গেলেন উনি রোগীকে দেখলেন এবং দেখে আসতে বলেন । মামা আপুকে বাড়িতে নিয়ে এলেন । আসার পর ঐ দিন রাতেই আপু (যাকে তাবিজ করা হয়েছিল) স্বপ্নে দেখলেন তাবিজ কোন কোন জায়গায় আছে ।

পরে এক এক করে প্রায় ৮ টি থেকে ১০ টি তাবিজ তুলা হয় বিভিন্ন জায়গা থেকে। বিশেষ করে আপু যে যে জায়গা বেশি ব্যবহার করতেন সে সব জায়গায় তাবিজ গারা (রাখা) হয়েছিল । পরে তিনি আস্তে আস্তে ভাল হতে থাকেন । এখন আপুটি পুরোপুরি ভাল আছেন ।

জ্বীনটি কেন সিন্নি নষ্ট করতে এসেছিল তা আমাদের জানা নেই । আমার আরও ঘটনা আছে। যদি এই ঘটনাটি আপনাদের কাছে ভাল লাগে, তবে আমি আমার বাকি যে ঘটনাগুলো আছে সেগুলো শেয়ার করব।।

ঘটনাটি পাঠিয়েছেন: Saifur Rahman Sumon Ullah