Thursday, April 29, 2021

যারা সন্তানকে দ্বীনদার হিসেবে দেখতে চান,,,তারা অবশ্যই লিখা টা পড়ে দেখবেন।।

 

যারা সন্তানকে দ্বীনদার হিসেবে দেখতে চান,,,তারা অবশ্যই লিখা টা পড়ে দেখবেন।।

তবে যারা হুজুগে মুসলিমদের মতো দ্বীনদার বলতে শুধু নামাজ পড়া,,অথবা এতকিছু করাটা ইসলাম নিয়ে বাড়াবাড়ি বুঝান,,বা ইমান শুধু মনের বিষয় এসব ফালতু আর মূর্খের মতো মেন্টালিটি,,তারা এই পোস্ট থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন)।।।

মুসলিম বাবা-মা হিসেবে কখন থেকে বাচ্চাকে ইসলাম সম্পর্কে ধারনা দিবো? এজ আর্লি এজ পসিবল। মনে হতে পারে বাচ্চা বুঝবে না, কিন্তু ব্রেইন ঠিকই ক্যাচ করে নিবে। একটা রাফ গাইডলাইন আছে এখানে বাচ্চার ১৮-৩৬ মাস বয়সী হ লেই এই কাজ গুলি শুরু করে দিবেন ইনশাআল্লাহ 

আকিদাহ্‌ঃ 
- আল্লাহ কোথায় আছেন? তোমার রব কে? কে তোমাকে বানিয়েছেন?
- বাচ্চার সাথে কথা বলুন আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে (আকাশ, গাছ-পালা, ফুল প্রজাপতি কে বানিয়েছেন?)

আযকার/ ডেইলি দু’আঃ 
- ঘুম থেকে উঠার দু’আ, ঘুমাতে যাওয়ার আগের দু’আ।
- খাওয়ার আগের দু’আ, খাওয়ার পরের দু’আ।
- হাঁচি দিলে কি বলতে বলতে হয় ( ফর প্যারেন্টসঃ আলহামদুলিল্লাহ, নট এক্সকিউজ মি)
- সালামের প্রচার শেখানো, ছোট-বড় সবাইকে সালাম দেয়া। 
- বাথরুমে যাওয়ার দু’আ, বের হওয়ার দু’আ।
- বাসা থেকে বের হওয়ার দু’আ। 
- সব কাজ করার আগে বিসমিল্লাহ বলা।
- যে কোন কাজ করবো বলার আগে ইনশাআল্লাহ বলা, সুন্দর কিছু দেখলে মাশাআল্লাহ বলা, কোন কিছু গিফট পেলে জাযাকাল্লাহু খায়ির বলা।

কুরআনঃ 
- রেগুলার কুরআন বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়ুন। বাচ্চা পাশে বসে থাকতে পারে।
- ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী, সূরা ফাতিহা, কূল যুক্ত সূরা বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়েন। খুব দ্রুত দেখবেন বাচ্চা আপনার সাথে পড়ছে।

আখলাকঃ 
- খাবার এবং পানি ডান হাতে খাওয়া, বসে খাওয়া এবং বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া।
- যে কোন কাজ করার আগে বাবা-মায়ের পারমিশন নেয়া, “প্লিজ” বলতে শেখানো। ভুল হলে “সরি”। 
- যত ছোট বয়সই হোক, পোশাক বদলানোর সময় লজ্জ্বার ধারনা দেয়া। অন্যদের সামনে বাচ্চার ডায়াপার চেইঞ্জ করবেন না। আড়াল রাখুন।
- শেয়ারিং শেখান। যে কোন কিছু অন্যদের সাথে শেয়ার করলে প্রশংসা করুন। ভালো কাজগুলোকে এপ্রিশিয়েট করুন এবং এভাবে রিলেট করুন, আল্লাহ্‌ এটা পছন্দ করেন... , রসূল (সাঃ) এভাবে বলেছেন...

সিরাহ্‌ঃ 
- রসূল (সাঃ) এবং সাহাবীদের গল্প বলুন।
- ছোট হাদীসগুলো গল্পের মতো করে বলুন।
- কুরআনের ঘটনাগুলো নিজের ভাষায় গুছিয়ে বলুন।

ইবাদাহ্‌ঃ 
- নামায বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়ুন। না দাঁড়ালেও খেলার এরিয়া যাতে আশেপাশে থাকে। 

(সূত্র কৃতজ্ঞতাঃ কনফেশন অফ মুসলিম মামাহোলিক ডট কম।)

বাবা-মায়েদের জন্য টিপসঃ
- এই বয়সী বাচ্চাদের ধরে-বেঁধে শেখানোর কিছু নেই। নিজেদের লাইফে প্র্যাকটিস করলে, বাচ্চারা দেখেই শিখবে। নিজের লাইফে নাই কিন্তু আশা করি, বাচ্চাকে শেখাতে পারবো- এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসুন। আমি যদি চাই বাচ্চা ইসলামিক মাইন্ডের হবে, তাহলে আগে নিজেকেই সেই ছাঁচে গড়ে নিতে হবে।
- বাড়িতে নামায পড়ার ক্ষেত্রে, সূরা জোরে পড়তে পারেন যাতে বাচ্চা শুনতে পায়। মাসনূন দু’আ গুলো বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়ুন। বাচ্চারা শুনতে শুনতেই শেখে। আলাদা করে শেখানোর দরকার নেই।
- বাচ্চাকে আগে আল্লাহ্‌কে ভালোবাসতে শেখান। যেমনঃ আল্লাহ্‌ রাগ করবেন, এটা বলার বদলে আল্লাহ্‌ এভাবে এভাবে করলে খুশি হবেন- এরকম বলতে পারেন। তাকে জানান, আল্লাহ্‌ই সবচাইতে বেশী ভালোবাসে তাকে, এমনকি বাবা-মায়ের চাইতেও!
- রসূল (সাঃ) এর সুন্নাহ্‌র প্রতি ভালোবাসা গড়ে তুলুন। যে কোন ব্যাপারে উনাকেই রোল মডেল করুন। 
- সুস্থতা- অসুস্থতা আল্লাহ্‌র কাছ থেকে আসে, ধারনা দিন। যে কোন 
ধরনের ব্যাথা পাওয়ায় বা অসুস্থতায় একমাত্রই আল্লাহ্‌ই তাকে সুস্থ করবে এটা বোঝান।
- জান্নাত সম্পর্কে ধারনা দিন। সেটা কত চমৎকার জায়গা সময়ে সময়ে বর্ননা করুন। যাতে এই জায়গায় যাওয়ার ব্যাপারে বাচ্চার আগ্রহ মাথায় গেঁথে যায়। 
- মসজিদের সাথে এটাচমেন্ট তৈরী করে দিন। সম্ভব হলে বাচ্চাকে জামাতে নামায পড়ার সময় সাথে রাখুন। সে কোন মসজিদ ভিত্তিক হালাকায় সাথে রাখুন। 
- বাচ্চাকে ভালো মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন, বাই প্রোডাক্ট হিসেবে ভালো মানুষ সে এমনিতেই হবে। 
ইনশাআল্লাহ.........❤❤❤

হতাশা ও ডিপ্রেশনের চিকিৎসা

 

হতাশা ও ডিপ্রেশনের চিকিৎসা:
.
হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলেন—
.
‘‘হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য তুমি (অন্যান্য কাজ হতে) অবসর হও এবং ইবাদতে মন দাও; তাহলে আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র ঘুচিয়ে দেব। আর যদি তা না কর, তবে তোমার হাতকে ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব কখনোই দূর করব না।’’ [তিরমিযি: ২৬৫৪, ইবনু মাজাহ: ৪১০৭ (সহিহ)]
.
দুনিয়াতে এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না, যে এই জীবন নিয়ে পরিতৃপ্ত কিংবা যার মন সর্বদা প্রফুল্ল থাকে। প্রতিটি মানুষই জীবনের বিভিন্ন দিক থেকে ডিপ্রেশন ফেইস করছে, অনেকে নীরবে চোখের পানি ঝরাচ্ছে। সকল মানুষের মাঝে এমন একটা শ্রেণি আছে, যারা দুনিয়ার বিভিন্ন না-পাওয়ার বেদনার মাঝেও অন্তরে একপ্রকার প্রশান্তি নিয়ে জীবন কাটাচ্ছে। তারা কারা?
.
যারা আল্লাহর আনুগত্যে দিনাতিপাত করছে, সর্বাবস্থায় সবরের উপর অটল থাকছে এবং আখিরাতে উত্তম বিনিময়ের প্রত্যাশায় রয়েছে, তারাই সেসব সৌভাগ্যবান মানুষ।
.
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যার জীবনের চিন্তা (লক্ষ্য) হবে আখিরাত, আল্লাহ্ তার অন্তরে সচ্ছলতা দিবেন। তার কর্মকাণ্ড গুছিয়ে দিবেন এবং দুনিয়া (নিয়ামতরাজি) অনুগত ও বাধ্য হয়ে তার নিকট আসবে। আর যার চিন্তা (লক্ষ্য) হবে দুনিয়া, আল্লাহ্ তার দু’চোখের মাঝে দারিদ্র রেখে দিবেন, তার কর্মকাণ্ড বিক্ষিপ্ত করে দিবেন (ফলে সে অস্থিরতায় কাতরাবে) এবং দুনিয়া থেকে সে ততটুকুই অর্জন করতে পারবে, যা তার জন্য পূর্বনির্ধারিত।" [তিরমিযি: ২৪৬৫, সিলসিলা সহিহাহ: ৯৪৯-৯৫০ (সহিহ)]
.
অনেকেই ডিপ্রেশনে আছেন। একটু সুখ দরকার তাদের। উপরের হাদিস দুটো মূলনীতি যার আলোকে ডিপ্রেশনকে বিদায় জানানো সম্ভব, ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল আমাদের জন্য অনেক সহজ সমাধান বাতলে দিয়েছেন। এখন আমাদের প্রয়োজন হলো, হাদিস দুটোকে আঁকড়ে থাকা। অন্তত কিছুদিন আমল করে দেখতে তো অসুবিধা নেই!
.
খুব সহজ একটি হিসাব বুঝতে হবে। আমরা পণ্য ক্রয় করতে কোথায় যাই? যেখানে পণ্য পাওয়া যায় তথা দোকানে যাই। বলুন, সুখ-শান্তির মালিক কে? আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা। সুতরাং শান্তির জন্য তাঁর কাছেই ফিরে আসতে হবে। এটিই চূড়ান্ত কথা। বাকি যত পথ ও পন্থাই অনুসরণ করুন-না কেনো, সাময়িক ফূর্তি পেলেও দিনশেষে আপনি একাই হয়ে যাবেন। ডিপ্রেশন আপনাকে পাকড়াও করবেই। ফিরে আসুন আল্লাহর দিকে। তিনি ব্যতীত আমাদের সত্যিকারের আপন বলতে কেউ নেই।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
.
'তাসবীহ' পেইজ হতে সংগৃহীত! (আল্লাহ্ তাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন!)