Thursday, April 29, 2021

বিয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা

 


বিয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা
ছোট করেই লিখি। বিয়ের জন্য কি কি বিষয় দেখা লাগবে সেগুলো মোটামুটি আমাদের আইডিয়া আছে। কারও না থাকলে কোনো আলেমের কাছে গেলেই বলে দিবেন ইন শা আল্লাহ। 

আমি যেটা বলতে চাই তা হল, বিয়ের আগেই মেয়ের/ছেলের পরিবার কবিরাজ আসক্ত কিনা ভালমত যাচাই করে নিবেন। কিভাবে যাচাই করা যেতে পারে তার কয়েকটি টিপস দিচ্ছিঃ 

১। ঘরে তাবিজ টাইপের কিছু ঝুলানো আছে কিনা। ঘর বন্ধের জন্য নকশা ঝুলায়।

২। আপনার মা/বোন যেন মেয়েকে খুটিয়ে দেখে গলায়, বাহুতে, কোমড়ে তাবিজের অস্তিত্ব বোঝা যায় কিনা। 

৩। একই ভাবে মেয়ের ফ্যামিলির মেম্বাররা ছেলের ফ্যামিলিতে খোজ নিতে গিয়ে তাদের ঘর ও সদস্যদের উপর সূক্ষ্মভাবে অনুসন্ধান করলেই বোঝা যাবে ইন শা আল্লাহ।

৪। আশেপাশে কোনো মাজার আছে কিনা। সেই মাজারের কোনো কাহিনি আছে কিনা (ভুয়া গল্প টাইপের)। কৌশলে কথা তুললেই বের হয়ে আসবে ভিতরের খবর ইন শা আল্লাহ।

এভাবে নিজেই চিন্তা করে বের করবেন আর কিভাবে জানা যেতে পারে। 

যদি খোজ না নেন, আর ওমন কোন ফ্যামিলিতে বিয়ে করেন/হয় তাহলে মেয়ের জামাই যেন মেয়ের কথা শুনে এই টাইপের ঘটনা ঘটতে পারে। ছেলে যেন বউকে দেখতে না পারে এই টাইপের ঘটনা ঘটতে পারে। (আল্লাহ হেফাজত করুন। আমি বলছি না ঘটবেই।) 

তাছাড়া কোনো কিছু হলেই তারা কবিরাজের কাছে, বাবার কাছে দৌড় দেয়। আপনি সুস্থ হলেও নানান কিছু বলে এটা সেটা করে আপনার সিভিয়ার অসুস্থ করবে বা অসুস্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। পরিস্থিতি চরম পরিনতির দিকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।

কি করা? ভালভাবে বোঝানো। বুঝলে তো আলহামদুলিল্লাহ, বিয়ের পাশাপাশি দাওয়াতি কাজ হল। আর না বুঝলে আপনার সিদ্ধান্ত আপনি কি করবেন। 

এ প্রশ্নগুলো পাত্র দেখতে গেলে আক্বীদা যাচাইয়ের জন্য বোনেরা জিজ্ঞাসা করতে পারেন

 

এ প্রশ্নগুলো পাত্র দেখতে গেলে আক্বীদা যাচাইয়ের জন্য বোনেরা জিজ্ঞাসা করতে পারেন।আর ভাইয়েরা নিজেদের করে শুধরে নিতে পারেন।
আচ্ছা কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন তোঃ

০১.যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ সুবহানাওয়াতায়ালার আইন বাদ দিয়ে অন্য আইনে ফায়সালা করে সে ব্যক্তি কোরান অনুযায়ী কাফের ।এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন তো,আপনি কি এ ধরনের ব্যক্তিকে কাফের মনে করেন ?
০২.যে ব্যক্তি সমকামীতাকে সমর্থন করে এবং নিজ দেশে সমকামী আইন চালু রাখে সে ব্যক্তি কাফের শরীয়া অনুযায়ী।আপনি কি তাকে কাফের মনে করেন?
০৩.যে ব্যক্তি নিজ দেশের সংবিধানে কোরানের বদলে মানবরচিত আইন সংযুক্ত করে কোরান মতে সে কাফের ।আপনি কি তাকে কাফের মনে করেন না?
০৪.যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ত্বগুতের আনুগত্য করবে সে শরীয়া মতে কুফুরি করেছে ।আপনি কি তা মনে করেন না?
০৫.যে ব্যক্তি দ্বীন কায়েমের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের  নববী পন্থা   বাদ দিয়ে আব্রাহাম লিংকন রচিত গণতন্ত্র কিংবা এম্বিএস উদ্ভাবিত নব্য রাজতন্ত্র এর পথ অনুসরণ করে তারা কি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পন্থার উপর অবিশ্বাস করছে না তাদের কর্মে?
মনে রাখবেন ,এ দ্বীন পরিপূর্ণ।ওয়াল্লাহি ।এ দ্বীন পরিপূর্ণ।
খারেজিদের ন্যায় বাচ বিচার হীন মানুষ হত্যা যেমন সমর্থন করি না তেমনি ,
আব্রাহাম লিংকনের দ্বীনের অনুসারী বা এম্বিএস তন্ত্র বা মডারেট মোজলেমদের ন্যায় কাফেরদের প্রতি নরম ও মুসলিমদের প্রতি কঠোর নীতি লালন করি না।
এখন প্রশ্ন হলো ,এদের কাফের বলে লাভ বা ক্ষতি কি?
প্রথম ও শেষ কথা হলো ,শরীয়া অনুযায়ী যেহেতু এরা কাফের বা কুফুরি করেছে সেহেতু নিশ্চয়ই শরীয়া কোন না কোন উত্তম কারণে এদের চিহ্নিত করতে বলেছে।
এখন বলতে পারেন ,এরা অমুক অমুক ভালো কাজ তো করেছে।
এর জবাব হলো ,আল্লাহ্‌ সুবহানাওয়াতায়ালা কাফেরদের মাধ্যমেও দ্বীনের খেদমত করিয়ে নেন।
যেমন মূসা (আঃ) লালিত পালিত হয়েছিলেন কাফের ফেরাউনেরই ঘরে ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আগলে রেখেছেন।
তাই বলে কি উনাকে কাফের বলা যাবে না?
যেখানে উনার জন্য দোয়া করতেও খোদ মহান রব নিষেধ করে দিয়েছেন।অথচ জাহান্নামের সর্বনিম্ন শাস্তি দেয়া হবে তাকে যা অতি অতি অতি ভয়াবহ।
আস্তাগফিরুল্লাহ।
আসুন আমরা সংশোধিত হই।সত্য জেনে ভুল সংশোধন করাই তো মুমিনের কাজ ।আর আকঁড়ে রাখা শয়তানের।
কেনো বিয়ের সময়  এসব যাচাই করবেন?
কারণ ,আপনি কি চান কুফুরিতে লিপ্ত এমন ব্যক্তির সাথে সংসার করতে?
শরঈ নীতি হলো ,কাফেরের সাথে মুসলিমদের বিয়ে হয় না।হয় জেনাহ।ব্যাভিচার।
আরেকটি কথা।তা হলো ,কোন মুসলিমকে কাফের বললে যেমন কাফের হতে হয় আবার কোন কাফের কে কাফের না বললেও তার দ্বীনের ব্যাপারে সংশয় বিদ্যমান।
যারা এ পয়েন্ট সমূহের বিরোধীতাই কেবল করতে চান ,তারা আশা করি প্রত্যেকটা পয়েন্টের দলীলভিত্তিক বিরোধিতা করবেন ইনশা আল্লাহ্‌ এবং তা পালটা অবিবেচ্য প্রশ্ন  না করেই ইনশা আল্লাহ্‌।