Wednesday, May 5, 2021

ইসলামের দৃষ্টিতে '7up, কোকা কলা, RC ইত্যাদি খাওয়া কতটা বৈধ?

 No photo description available.

 প্রশ্ন: ইসলামের দৃষ্টিতে '7up, কোকা কলা, RC ইত্যাদি খাওয়া কতটা বৈধ?
উত্তর:
সেভেন আপ, আর সি কোলা, কোকা কোলা, মিরিন্ডা, ফান্টা, পেপসি ইত্যাদি কোমল পানীয়ের ব্যাপারে আমার জানামতে নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন কোন তথ্য পাওয়া যায় নি যে, এগুলোতে এলকোহল বা হারাম কিছু মিশানো থাকে। এ ব্যাপারে কিছু রটনা নেটে পাওয়া যায় যেগুলো নির্ভরযোগ্য নয়।
কিন্তু যতটুক জানা যায়, এগুলো অধিকাংশই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। তাই যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।
আর যদি প্রমাণিত হয় যে, এগুলোতে হারাম দ্রব্য মিশানো হয় তাহলে তা অবশ্যই নাজায়েজ হবে-তাতে কোন সন্দেহ নাই।
আল্লাহ ভালো জানেন।
--------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
Abdullahilhadi
সঠিক পথের দিশা Guidance To The Right Path

 

 

সালাত শেষে সম্মিলিত মুনাজাত করার হুকুম এবং একসাথে অনেক লোক দুআয় হাত উঠালে তা আল্লাহর দরবারে তাড়াতাড়ি কবুল হয়- এ কথার যথার্থতা

 No photo description available.

 

 সালাত শেষে সম্মিলিত মুনাজাত করার হুকুম এবং একসাথে অনেক লোক দুআয় হাত উঠালে তা আল্লাহর দরবারে তাড়াতাড়ি কবুল হয়- এ কথার যথার্থতা
---------------------------
প্রশ্ন:
আমরা শুনেছি, সম্মিলিত মুনাজাত নাকি বিদআত। কিন্তু আমাদের বাসার কাছে মসজিদে জুম্মার নামাজের পরে সবসময়ই অনেক সময় নিয়ে সম্মিলিত মুনাজাত হয়। আমি ইমাম সাহেবকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে উনি বললেন, “অনেক মানুষ একসাথে হাত উঠালে সেই দুয়া তাড়াতাড়ি আল্লাহর দরবারে কবুল হয়।” আমি কি এই মুনাজাতে অংশ নিব?

উত্তর:

সম্মিলিত দুয়া অর্থাৎ ‘একজন ব্যক্তি দুআ বলবে আর বাকি লোকজন আমীন আমীন বলবে’ এভাবে দুয়া করা বৃষ্টি প্রার্থনা, বৃষ্টিবন্ধ করা এবং দুআয়ে কুনুত ছাড়া নবী সা. থেকে অন্য কোথাও প্রমাণিত নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সারা জিন্দেগীতে কোন এক দিনের জন্যও সালাত শেষে সাহাবীদেরকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে দুআ করেছেন বলে প্রমাণ নেই। সুতরাং তা বিদআত।

বরং তিনি সালাত শেষে অনেক যিকির, তাসবীহ ও দুআ পাঠ করেছেন। সেগুলো বহু বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা সুপ্রমাণিত।
কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত: আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মসজিদে জামআতে সালাত শেষ করে মাসুনূন দুয়া ও যিকিরগুলো খুব কমই আমল করা হয় বরং বিভিন্ন অগ্রহযোগ্য দলীল ও যুক্তি দিয়ে সম্মিলিত দুয়াকে আজ পর্যন্ত ধরে রাখা হয়েছে!! তাদের এ সব যুক্তির মধ্যে একটি হল, “একসাথে দুআতে অনেক মানুষ হাত উঠালে দুয়া কবুল হয়!!”
কোন হাদীসের ভিত্তিতে তারা এ কথা বলেন?
প্রকৃতপক্ষে এটি একটি দলীল বর্হিভূত ও ভিত্তিহীন বক্তব্য।
যদি এ কথা সঠিক হত, তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবশ্যই নিজে তা আমল করতেন এবং তার উম্মতকে শিক্ষা দিতেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এমন কোন হাদীস পাওয়া যায় না।

সুতরাং আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেবদের কতর্ব্য, সুন্নাহ বর্হিভূত তথাকথিত ‘সম্মিলিত মুনাজাত’ বর্জন করা এবং এ ব্যাপারে মুসল্লীদেরকে জ্ঞান দান করা। বিশেষ করে, সালাত পরবর্তী দুয়াগুলো নিজেরা পাঠ করা এবং মুসল্লীদেরকে পাঠ করতে বলার প্রতি উৎসাহিত করা।
অবশ্য মাসনূন দুয়াগুলো পাঠ করার পর, যে যার মত ইচ্ছা মাফিক হাত উঠিয়ে আল্লাহর নিকট কান্নাকাটি করে নিজের প্রয়োজন তুলে ধরে দুআ করতে পারে। এতে কোন আপত্তি নেই। প্রত্যেকেই নিজে নিজের সমস্যা ও চাওয়া-পাওয়া তুলে ধরে আল্লাহর কাছে চুপিস্বরে দুআ-মুনাজাত করবে-এটাই প্রকৃত দুআর আদব।

আল্লাহ আমাদের সমাজ থেকে সকল বিদআত বিদূরিত করে সুন্নাহর আলোকিত পথে ফিরে আসার তওফিক দান করুন। আমীন।
`````````````````````````````````
উত্তর প্রদান:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।