Wednesday, May 5, 2021

প্রশ্নঃ দাইউস কাকে বলে এবং দাইউস ব্যক্তির পরিণতি কি?

 May be an image of text that says 'দাইউসের পরিণতি রাসুলস)বলেছেন:"ে )বলেছেন:" ব্যক্তি তার স্ত্রী-সন্তানদের বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার সুযোগ দেয় তাকে "দাইউস" বলা হয় এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বারংবার বলেছেন যে, "তিন ব্যক্তি আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাত হারাম করেছেন, মাদকাসক্ত, পিতা মাতার অবাধ্য এবং দাইউস, যে তার পরিবারের মধ্যে ব্যাভিচারকে প্রশ্রয় দেয়"। (মুসনাদে আহমাদ: ২/৬৯)'

 প্রশ্নঃ দাইউস কাকে বলে এবং দাইউস ব্যক্তির পরিণতি কি?
==================================
উত্তরঃ

দাইউস হলো সে ব্যক্তি যে তার পরিবার পরিজনকে সঠিক রাস্তায় পরিচালনা করেন না এবং পরিবার পরিজন সঠিক ভাবে না চললেও ভালো মনে করে বা প্রতিবাদ করে না।
অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-সন্তানদের বেপর্দা বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার সুযোগ দেয় তাকেও দাইউস বলা হয়।
♻ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে, “আল্লাহ তিন ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম করেছেন। মাদকাসক্ত, পিতা-মাতার অবাধ্য এবং দাইউস, যে তার পরিবারের মধ্যে ব্যভিচারকে প্রশ্রয় দেয়” (মুসনাদে আহমাদ: ২/৬৯)
♻ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন : ‘দাইউস ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাঃ)! দাইউস কে? উত্তরে রাসুলূল্লাহ (সাঃ) বললেন, ‘যে ব্যক্তি তার পরিবারে আল্লাহ্‌র আদেশ-নিষেধ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কোন তৎপরতা অবলম্বন করে না বরং উপেক্ষা করে চলে।’ অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, ‘দাইউস হল সে, যে তার পরিবারে বেহায়পনার বাস্তবায়নে সন্তষ্ট ও পরিতুষ্ট।’ (আহমদ)

♻ কোরআনে আল্লাহ বলেন, “তোমরা নিজেরা জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা কর এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা কর। যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর; যার উপর নিয়োজিত রয়েছেন কঠোর হৃদয় সম্পন্ন ফিরিশতাগণ, তারা আল্লাহ যা নির্দেশ করেন তা বাস্তবায়নে অবাধ্য হোন না, আর তাদের যা নির্দেশ প্রদান করা হয়, তা-ই তামিল করে’’।
( সূরা আত-তাহরীম: ৬)
♻ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্বাধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, রাষ্ট্রনেতা তার প্রজাদের সম্পর্কে দায়িত্বশীল আর তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পুরুষ লোক তার পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন মহিলা তার স্বামীর ঘরের সার্বিক ব্যাপারে দায়িত্বশীলা, তাকে সেটার পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পরিচারক তার মালিকের সম্পদের সংরক্ষক, আর তাকে সেটার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এক কথায় তোমরা সবাই দায়িত্বশীল আর সবাই জিজ্ঞাসিত হবে সে দায়িত্ব সম্পর্কে”। (বুখারী : ৭১৩৮; মুসলিম: ১৭০৫)
♻ আমি যদি নিজেকে মুসলমান হিসাবে দাবী করি তাহলে অবশ্যই কোরআন হাদীস মেনে চলবো। উপরের কোরআন ও হাদীস গুলো যদি নিজের সাথে মিলিয়ে নেই তাহলে কি দেখতে পাবো ? আমি কি সঠিক ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করছি ? আমার পরিবার কে সঠিক নিয়মে পরিচালনা করছি ? আমি জোর গলায় বলতে পারি, বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া কেউ আমরা নিজেরাতো সঠিক নিয়মে চলছি না বরং পরিবারকেও আমরা ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছি।

👉🏻👉 এ সম্পর্কে আরও দেখুন শাইখ মতিউর রাহমান (হাফিযাহুল্লাহর) এর ভিডিও ক্লিপ:
দাইউস ব্যক্তি কাকে বলে। দাইউস ব্যক্তি কি জান্নাতে যেতে পারবে ....
https://youtu.be/xMLH3KSU76o

উত্তর দিয়েছেন শাইখ Abdullahil Hadi

 

 

 

 

বাম হাতে কুরআন ধরার বিধান

 No photo description available.

 বাম হাতে কুরআন ধরার বিধান

প্রশ্ন: কুরআন বাম হাতে নিয়ে পড়লে কি কোরআনের অসম্মান হয়? যখন ট্যাব বা মোবাইল থেকে কুরআন পড়া হয় তখন বাম হাতে নিয়ে পরলে সুবিধা লাগে।
উত্তর:
সর্ববস্থায় ডান হাতে কুরআন ধরা উত্তম। কেননা, সকল ভালো কাজে ডান হাত ব্যবহার করা ইসলামের আদব। কিন্তু যদি ডান হাতে ধরতে ক্লান্তি বোধ হয় বা ডান হাতে কোন অসুবিধার কারণে বাম হাতের সাহায্য নেয়া হয় তাহলেে ইনশাআল্লাহ তাতে কোন অসুবিধা নেই ইনশাল্লাহ। কেননা তাতে কুরআনেরে প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা উদ্দেশ্য থাকে না।। আল্লাহু আলাম।
------------------
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।