Wednesday, May 5, 2021

আইয়ামে বীজ এর রোজা

 No photo description available.

 আইয়ামে বীজ এর রোজা
▬▬▬🔹♦🔹▬▬▬
প্রশ্ন: আইয়ামে বীজের রোজার মর্যাদা কী? চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে না রাখতে পারলে কি মাসের যে কোনো দিন রাখা যাবে? আর একটানা তিন দিন লাগাতার রাখতে হবে নাকি বিচ্ছিন্ন ভাবে রাখলেও হবে?

উত্তর:
আইয়ামে বীজ কাকে বলে?

চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে আইয়ামে বীয (إيام بيض) বলা হয়। বীয (بيض) শব্দের অর্থ উজ্জ্বল। এ তিন রাতে চাঁদ বেশি উজ্জ্বল থাকে তাই সেগুলোকে বীয বলা হয়েছে।
এ তিন দিন রোযা থাকা উত্তম। আবু যর রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إِذَا صُمْتَ شَيْئًا مِنَ الشَّهْرِ ، فَصُمْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ ، وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ ، وَخَمْسَ عَشْرَةَ
“প্রত্যেক মাসে কিছু (নফল) রোযা পালন করলে (চন্দ্র মাসের) ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে পালন করো।” (তিরমিযীঃ ৭৬১, নাসায়ীঃ ২৪২৪, শায়খ আলবানীর মতে হাসান সহীহ, তাহকীক রিয়াদুস সালেহীন)

তবে কেউ যদি সে সময় না রাখতে পারে বরং অন্য সময় তিনটি রোযা রাখে তবে একই সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

☑ প্রত্যেক মাসে তিনটি করে রোযা রাখার ফযিলত:

প্রতি মাসে তিনটি করে নফল রোযা রাখা অত্যন্ত ফযিলত পূর্ণ কাজ। চাই তা মাসের শুরুতে হোক, মাঝখানে হোক বা শেষে হোক। চাই লাগাতার রাখা হোক বা বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হোক।
আবু দরদা রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
أوصاني خليلي بثلاث لا أدعهن حتى أموت صوم ثلاثة أيام من كل شهر وصلاة الضحى ونوم على وتر .
رواه البخاري ( 1124 ) ومسلم ( 721 )
“আমার প্রিয় বন্ধু (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এমন তিনটি কাজের অসিয়ত করেছেন, যা আমি যতদিন বেঁচে থাকব, কখনোই ত্যাগ করব না। সেগুলো হচ্ছে: প্রতি মাসে তিনটি করে রোযা পালন করা, চাশতের নামায পড়া এবং বিতির সালাত না পড়ে ঘুমাতে না যাওয়া।” (সহীহ মুসলিমঃ ৭২২)
প্রত্যেক মাসে ৩টি করে রোযা রাখলে সারা বছর নফল রোযা রাখার সমান পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ, আল্লাহ তাআলা যেকোনো ভালো কাজের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ বা তার চেয়ে বেশী দান করেন। সে হিসেবে ৩×১০=৩০ অর্থাৎ মাসে তিনটি রোযার বিনিময়ে অন্তত: পুরো মাস নফল রোযার সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
এভাবে প্রতি মাসে ৩টি রোযা রাখলে সারা বছরই নফল রোযা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে ইন শা’ আল্লাহ।

আব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর ইবনে আ’স রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
صيام ثلاثة أيام من كل شهر صيام الدهر
“প্রতি মাসে তিনটি করে রোযা রাখা, সারা বছর ধরে রোযা রাখার সমান।” (সহীহুল বুখারীঃ ১১৫৯, ১৯৭৫)
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬🔹♦🔹▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

 

 

 

বিয়ের পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঐ পোষাকে সালাত আদায় করা যাবে?

 No photo description available.

 

 প্রশ্ন: বিয়ের পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঐ পোষাকে সালাত আদায় করা যাবে? কেননা কাপড় গুলো একদম নতুন ধোয়া নয়। আর বাংলাদেশে যোহর এর ওয়াক্ত ১২:oo টায় শুরু হয়। এখন উনি বিয়ের দিন কি সকাল ১০/১১ টায় যোহর+আসর জমা করে পড়ে নিতে পারবেন?
-------------------------------
উত্তর :
বিয়ের পোশাক পরিধান করে সালাত আদায় করা যাবে- যদি তাতে নাপাক কোন কিছু না লেগে থাকে। বাজার থেকে ক্রয় কৃত যে কোন নতুন কাপড় পরিধান করে সালাত আদায় করতে কোন বাধা নেই। সেটা ধৌত করা জরুরি নয়। বরং যতক্ষণ স্পষ্টভাবে না জানা যাবে যে, তাতে নাপাকি লেগেছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে পাক হিসেবেই ধরতে হবে এবং সেই নতুন কাপড় পরিধান করে সালাত আদায় করা সহীহ হবে ইনশাআল্লাহ।
বিয়ের দিন সকাল ১০/১১টা অর্থাৎ যোহর সালাত আদায় করলে তা শুদ্ধ হবে না।
মোটকথা, সময় হওয়ার আগে কোন সালাতই শুদ্ধ হবে না। কেননা, সালাত শুদ্ধ হওয়ার জন্য ‘সময় হওয়া’ একটি অপরিহার্য শর্ত।

উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল



দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব