প্রথম বর্ষে সে এসেছিল বাবার সাথে। বাবা সম্ভবতঃ কোনো মসজিদের ইমাম সাহেব। মুখভর্তি দাড়ি, লম্বা লিবাস। মেয়ের অবস্থাও তেমনই, পূর্ণ বোরখা, নিকাব, হাতমোজা পরা দ্বীনি বইনের মত।
ওদিকে ওই ভাইদের দ্বীনের বুঝ ছিল না তেমন, নামাজ-কালাম পড়তো, এতটুকুই। আস্তে আস্তে উনারা তাবলিগি ও সালাফি কিছু ভাইদের সাথে মিশলেন, আলেমদের নসিহত শুনলেন, দ্বীন মানার আগ্রহ হল, ধীরে ধীরে দাড়ি-টুপি ধরলেন।
কিন্তু ওই মেয়েটার অবস্থা হইলো কি জানেন? দুইবছরের মধ্যেই নিকাব উড়ে গেল, এরপর হিজাবও। পরে ফ্রিমিক্সিং, স্মোকিং সব মিলিয়ে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা হয়ে গেল, আর কিছুদিন পর দেখা যেত রুয়েটের শহীদ মিনারে ছেলেদের সাথে গাঞ্জা খেয়ে টাল হয়ে পড়ে আছে। আর গ্র্যাজুয়েশন হতে হতে সে অলমোস্ট নাস্তিক হয়ে গেল।
-
অনেকে বুঝতে চাননা, কেনো আলেমরা ভার্সিটির দুষিত পরিবেশে নারীদের পাঠানোর ব্যাপারে কড়াকড়ি করে। ভালো জিনিস দ্বারা নারীরা সহজেই প্রভাবিত হয়, কিন্তু খারাপ ও প্রবৃত্তিকে উস্কে দেয়া জিনিসে খুব দ্রুত ফেঁসে যায়।
আফসোস লাগে, আবার মনে হয় হুদাই কাদের জন্য চিন্তা করবো, এরাই তো নামে বেনামে গালি দিবে। নারীবিদ্বেষী ট্যাগ দিবে।
--
মুসলিমদের প্যারেন্টিং দিনদিন অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ভার্সিটি কলেজ তো দূরের কথা, আপনার ছেলে বা মেয়েকে যদি দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসাতেও ভর্তি করেন তবুও তার ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
- Abdullah Almahmud