Sunday, June 18, 2023

জেনারেশন গ্যাপ ও দ্রুত বিয়ে

১ দশক আগে একজন ইজিপশিয়ান মাওলানা কথা প্রসঙ্গে আমাকে জানিয়েছিলেন, ইসলামে ছেলে-মেয়েদের যে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিতে রিকমেন্ড করা হয়েছে, তার কিছু সামাজিক উপকারিতাও আছে। 

তার ভেতর একটা হচ্ছে, সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের জেনারেশন গ্যাপ কম থাকে বিধায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য বা ভুল বোঝাবুঝি বহুলাংশে কম থাকে। 

কিছুদিন আগে ফেসবুকজুড়ে ব্যাড প্যারেন্টিং-গুড প্যারেন্টিং নিয়ে রীতিমত ঝড় বয়ে গেলো। আমি উভয় পক্ষের বক্তবই ক্লোজলি পড়েছি।

উভয় পক্ষের যুক্তি/অভিযোগই বেশ জোরালো, অস্বীকার করার কোনই জো নেই।

সমস্যা হলো, বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের অভিযোগই যদি জোরালো হয়, তবে কোন সঠিক সমাধানে উপনীত হওয়াটা অত্যন্ত কঠিন ও সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। 

এখানেও তাই হয়েছে। উভয়ই উভয় পক্ষকে দোষারোপ করছে, কিন্তু কেউ কোন সমাধানে আসতে পারছে না। 

এই কারণে একদম গোড়াঁতে নজর দেয়া উচিত বলে মনে করি।

আমেরিকান একজন বিখ্যাত মনোবিদ ও সোশলজিষ্ট বলেছিলেন, এখনকার যুগে অভিবাবক আর সন্তানদের মাঝে যে ক্রমবাড়ন্ত দুরত্ব সৃস্টি হচ্ছে, তার মূল কারণ হচ্ছে জেনারেশন গ্যাপ। তিনি এ নিয়ে একাধিক গবেষণাও করেছেন।

জেনারেশন গ্যাপের সংজ্ঞা কি? 

বাবা-মার সাথে সন্তানের সাইকোলজিক্যাল এবং ইমোশনাল গ্যাপটাকেই এক কথায় জেনারেশন গ্যাপ বলে।

মাওলানার কথা শুনার পরে আমি ভেবে দেখলাম, এখানকার বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের জেনারেশন গ্যাপ মুটামুটি আকাশচুম্বি। এখনকার গড়পড়তা নারীরা ২৫-২৮ এ বিয়ে করছেন। ছেলেরা করছেন আরো দেরীতে। 

তো আমি গড়ে ৩০ বছরও যদি ধরি, তবে এখনকার সদ্য বাবা-মা হওয়া দম্পতিগুলোর সাথে তাদের সন্তানদের জেনারেশন গ্যাপ হবে কমপক্ষে ৩০ বছরের। (যদি এটা ধরে নিই যে, তারা বিয়ের পরবর্তী বছর থেকেই প্যারেন্টস হয়েছেন। যারা দেরী করে বেবী নেন, তাদের কথা তো বাদই দিলাম, তাদের গ্যাপ তো আরো অনেক বেশী!)

৩০ বছরের গ্যাপটা কিন্তু বেশ আশংকাজনক। প্রতি বারো বছর পর পর যদি জেনারেশন বদলায়, তবে ৩০ বছর মানে প্রায় আড়াই জেনারেশনের গ্যাপ! 

এই লম্বা গ্যাপে সন্তানরা যেমন বাবা-মা কে বুঝতে ব্যর্থ হবে, তেমনি বাবা-মার ক্ষেত্রেও সন্তানকে না বুঝাটা খুবই স্বাভাবিক।

আর এই না বোঝা থেকে, কিংবা ভুল বুঝাবুঝি থেকেই শুরু হয় প্রাথমিক মনোমালিন্য, অভিযোগ দায়ের, পারিবারিক রেষারেষি ইত্যাদি।
 
জেনারেশন গ্যাপ বেশী থাকাটা শুধু বাবা-মা না, যে কোন সম্পর্কের ভেতরই ভ্যালু, রেসপেক্ট, এটিচিউড, প্রায়োরিটি, মাইন্ড সেটাপ ইত্যাদিতে উল্লেখযোগ্য রকম পার্থক্য গড়ে দেয়। একটা সম্পর্কের ভেতর এত ধরনের পার্থক্য থাকলে সেই সম্পর্ক খুব বেশীদিন সুস্থ্য থাকার কথা নয়। 

এমনকি সিবলিংয়ের ভেতরোও ১২ বছরের বেশী গ্যাপ থাকলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

আমাদের upbringings এর সাথে আমাদের বাবা-মায়ের upbringings এর কোনই মিল নেই। আবার আমাদের upbringings এর সাথে আমাদের সন্তানদের খুব বেশী মিল থাকবে না, থাকার কথাও না। 

ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই, আমি কম্পিউটার পেয়েছি ক্লাস টেনে পড়ার সময়, মোবাইল হাতে পেয়েছি ব্যাচেলর করার সময়।

অথচ আমার ৩ বছরের কাজিন ওর বাবার মোবাইল থেকে ভয়েস দিয়ে ইউটিউবে সার্চ করে কার্টুন বের করে দেখে।

শুধু টেনকোনলজির দিকটা ধরলেই আকাশ-পাতাল ব্যবধান চোখে পড়বে, বাকীগুলো তো বাদই দিলাম। 

সাধারনত মায়েদের সাথে সন্তানদের এত ঘনিষ্ঠতা কেন থাকে জানেন? 

কারণ মায়ের সাথে আমাদের সাবকন্টিনেন্টের সন্তানদের জেনারেশন গ্যাপ থাকে কম। 

সাধারনত বাবাদের সাথে সন্তানদের এত দুরত্ব কেন থাকে জানেন?

কারণ বাবাদের সাথে আমাদের সাবকন্টিনেন্টের সন্তানদের জেনারেশন গ্যাপ থাকে বেশী। 

ভারতীয় উপমহাদেশের বেশীরভাগ পরিবারের সন্তানরা তাদের পিতাকে বাঘের মত ভয় পায়। কারণ আমাদের ও আমাদের পিতৃপুরুষদের মোটো ছিল - ”সন্তানকে রাখবো আমরা মাইর পিটে।” মাইরের উপ্রে ওষুধ নাই, এই আপ্তবাক্য তারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতো। 

বাবার কাছে মার খেয়ে মায়ের আচঁলে মুখ লুকিয়ে কাদাঁ সন্তানের পরিসংখ্যান করলে সেটা কোটির ঘর ছাড়িয়ে যাবে!

যদিও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মারধর করে আর যাই হোক সন্তানকে মানুষ করা যায় না। তাই নতুন প্রজন্মের ইয়াং প্যারেন্টসদের বেশীরভাগই এই আপ্তবাক্য থেকে সরে এসেছেন। তাদেরকে সাধুবাদ। (কিন্তু মাঝে মাঝে এমন সব দুষ্টুমতি শিশুদের দেখি, মনে হয় এদেরকে একটু আধটু মাইর না দিলেই বুঝি বখে যাবে! 😛 )  

এই উপমহাদেশের কনজারভেটিভ ফ্যামিলিগুলোর মধ্যে একটাই প্রধান বৈশিষ্ঠ্য, অত্যধিক মানসিক ও শারীরিক শাসন। এগুলো মাথায় নিয়েই সন্তানদের বড় হতে হয়। 

সন্তানদেরও বোঝা দরকার, এই সব পরিবারের বাবা-মায়েরা প্রচন্ড মানসিক ও সামাজিক চাপের ভেতর সন্তান বড় করেন। যে চাপ সামলাতে গিয়ে তারা নিজেরাই সন্তানদের ততোধিক চাপে ফেলে দেন। অথচ বিষয়টাকে চাইলেই আরো চমৎকারভাবে সুরাহা করা যেতো। ভারতে এই প্লটে অনেক সিনেমাও হয়েছে যতদূর জানি।

হয়তো ভাবতেছেন, শিক্ষা সমাধান করতে পারে এই সমস্যার। 

নোপ। 

একজন বাবা-মা যতই শিক্ষিত হোক না কেন, সন্তানের সাথে তার জেনারেশন গ্যাপ থাকবেই, তবে হ্যাঁ, সত্যিকার শিক্ষিত বাবা-মায়েরা হয়তো এই গ্যাপটাকে নিয়ন্ত্রন করে ফেলতে পারবেন অনেক স্ট্রাগল করে, অনেক ধৈর্য্য ধরে। বাকীরা সেটাও পারবেন না।

যা হোক, এত বিতং করে এত কথা বলার কারণ হলো, এই বিষাক্ত জেনারেশন-গ্যাপ দূর করার একমাত্র সমাধান হচ্ছে আমাদের সামাজিক মননে এর নেতিবাচক প্রভাবের দিকগুলো একদম পাকাপাকিভাবে গেঁথে ফেলতে হবে। 

এছাড়া এই সমস্যার আর কোন সমাধান নাই। 

সেটা হতে পারে আইডিয়াল সমাজ, যেদিন আনম্যারেড ছেলে-মেয়েরা দ্রত বিয়ে করতে চাইবে শুধু এই কারণে, তারা বলবে - ”আমার সন্তানের সাথে আমার মানসিক দুরত্ব যাতে বেশী না থাকে, এই জন্যই এখনি বিয়ে করছি।” 

কিন্তু জাতিগত ভাবেই আমাদের দূরদর্শীতা কম। আমরা শর্ট টার্ম সুবিধা দেখে অভ্যস্ত। তা না হলে আমাদের বাবা-মারাই হয়তো এটা উপলদ্ধি করতেন যে, যে ভুলটা আমরা করেছি (দেরীতে বিয়ে করে বা দেরীতে বাচ্চা নিয়ে) সেই একই ভুল যেন আমাদের সন্তানরাও না করে। 

”আমার সাথে আমার সন্তানের যে জেনারেশন গ্যাপ, সেটা যেন আমার নাতির সাথে আমার সন্তানের না থাকে।” (এই ট্যাগ লাইনে দারুন একটা টিভিসির প্লট মাথায় এসেছে!😎 )

কিন্তু অলরেডি যারা বেশী গ্যাপে বাচ্চা ফুটিয়ে ফেলেছেন, তাদের করণীয় কি?

তাদের করণীয়ও ইতিমধ্যে মনোবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীরা লিখে গেছেন। মানতে পারলে উপকার পাবেন, সন্তান ও অভিবাবকদের ভেতর পারস্পারিক বোঝাপড়া বাড়বে বৈ কমবে না। (কমেন্টে লিংক)।


6 Tips to Fill The Generation Gap Between Parent and Child
By Vaishnavi Nagaraj - Updated: October 16, 2019


In this Article
What Is A Generation Gap?
Why do Generation Gap Exists Between Parents And Children?
How to Bridge The Generation Gap Between Parents And Their Children
The ages between parents and their children are often large enough that they experienced their most impressionable years during a different culture than each other. Adolescence is often the time when people are most influenced by society around them and as our world keeps developing and changing, things rarely stay the same, causing generation gaps between parents and their children.

What Is A Generation Gap?
Since time is ever moving forward and change is inevitable, the values, tastes and outlook on life are different with each generation. It is this difference that is called a generation gap. This often causes a lack of communication and understanding between the two generations since their view of the world was coloured by how society functioned during their adolescence.

Why do Generation Gap Exists Between Parents And Children?
Here are a few causes of generation gap between parents and child:

1. Lack Of Understanding
Different generations sometimes seem to speak a different language. Due to the changes in society from when parents were growing up, to how it is in the time of their children, even their way of thinking and what they deem to be normal tends to be different.

2. Mistakes Are Rarely Tolerated
Parents often do not tolerate mistakes and tend to tell their children off. Children need to make mistakes to learn and grow in life, but if they only get punished for it, it widens the gap and creates a lack of proper communication.

3. Children Are Expected To Be Replicas
Parents often have dreams for their kids, and a lot of the time tends to force them in that direction without taking into consideration what their child wants.

4. Too Many Comparisons
Comparing children to each other or even to how you were as a child is another reason the gap becomes wide. This often causes them to lose confidence in themselves and can destroy any enthusiasm they may have previously had.

FirstCry Parenting
Sign in|Join
Pregnancy
Baby & Toddler
Preschooler & Kid
Magazine
Tools
Baby Names
Q&A
Coloring Pages
SHOP
Search
Home Big Kid Behavior & Discipline 6 Tips to Fill The Generation Gap Between Parent and Child
6 Tips to Fill The Generation Gap Between Parent and Child
By Vaishnavi Nagaraj - Updated: October 16, 2019
 3 463520
6 Tips to Fill The Generation Gap Between Parent and Child
In this Article
What Is A Generation Gap?
Why do Generation Gap Exists Between Parents And Children?
How to Bridge The Generation Gap Between Parents And Their Children
The ages between parents and their children are often large enough that they experienced their most impressionable years during a different culture than each other. Adolescence is often the time when people are most influenced by society around them and as our world keeps developing and changing, things rarely stay the same, causing generation gaps between parents and their children.

What Is A Generation Gap?
Since time is ever moving forward and change is inevitable, the values, tastes and outlook on life are different with each generation. It is this difference that is called a generation gap. This often causes a lack of communication and understanding between the two generations since their view of the world was coloured by how society functioned during their adolescence.

Why do Generation Gap Exists Between Parents And Children?
Here are a few causes of generation gap between parents and child:

1. Lack Of Understanding
Different generations sometimes seem to speak a different language. Due to the changes in society from when parents were growing up, to how it is in the time of their children, even their way of thinking and what they deem to be normal tends to be different.

2. Mistakes Are Rarely Tolerated
Parents often do not tolerate mistakes and tend to tell their children off. Children need to make mistakes to learn and grow in life, but if they only get punished for it, it widens the gap and creates a lack of proper communication.

3. Children Are Expected To Be Replicas
Parents often have dreams for their kids, and a lot of the time tends to force them in that direction without taking into consideration what their child wants.

ADVERTISEMENT

4. Too Many Comparisons
Comparing children to each other or even to how you were as a child is another reason the gap becomes wide. This often causes them to lose confidence in themselves and can destroy any enthusiasm they may have previously had.

ADVERTISEMENT

5. Not Enough Interaction
Due to the responsibilities of being an adult and the stress that comes from work life, parents often find themselves too tired to spend enough time with their kids every day. This causes a lack of communication and interaction that widens the generation gap.

How to Bridge The Generation Gap Between Parents And Their Children
Here are a few tips to help bridge the generation gap between parents and their children:

1. Keep An Open Mind
The way that kids think is different from how parents do. Parents often feel like because they have already been the age their child is currently, that they understand how their child thinks. The truth is, the world and way of life was different then than it is now and their mind-set will be very different and can also be shocking for some parents. This is why keeping an open mind and not assuming that they must be just like you were at their age is very important. You must also understand that there are some things that are acceptable in society and therefore acceptable to your child that may not have been acceptable when you were the same age. It is especially in those areas where parents need to try and keep an open mind so they can better understand their children.



2. Communicate
Making the time to communicate with your kids every day is very important. The simple act of talking about each other’s day at the end of the day can help you get to know each other and make it easier to speak freely around the other. Children need to know they can approach their parents with anything, something that can ultimately give parents peace of mind since they do not need to worry about their children hiding things that are important.

3. Listen
Parents need to allow their kids time to talk without interruption and listen to what they have to say. Learning your child’s thoughts and opinions makes them feel like what they want or feel matters to you, which in turn makes them feel much closer to you than before. Having a parent who listens as well instead of only talks and lectures will give your child more encouragement to listen to you in return.

4. Understand
With listening comes understanding and this means that you have to learn to put yourself in your child’s shoes and trying to understand how they feel and what they want from what they tell you. If you are able to understand where your child is coming from, you will be able to close that generation gap to some extent.

5. Unconditional Love
Love has a way of crossing boundaries and bringing people together if acted upon. So show your children how much you love them. This unconditional love and support that they get from you is very encouraging and makes children more inclined to show that same love and understanding back.

6. Compromise
People can disagree on things, no matter how close to each other they are. Parents and children are no different; however, rather than forcing them into your way of thinking or forcing them to do what you want them to do when they don’t want to, learn to compromise when possible. There are times when you need to put your foot down with your children, but coming to a compromise instead of dictating their every move will make them closer to you and make that generation gap a little smaller.


This article on generation gap between parents and child is just what you need if you have been struggling to have a better relationship with your child. Remember that it is important to understand that they have their own thoughts and opinions and being patient and loving will help to close the generation gap that causes distance between parent and child.





Saturday, June 17, 2023

সুদ

আমি একটি জেনারেল (সুদী) ব্যাংকে প্রায় ৯ বছর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করেছি এবং এ সময়ে প্রাপ্ত বেতন-বোনাস দিয়ে গাড়ি-বাড়ি করেছি। পরবর্তীতে একসময় ‘সুদী ব্যাংকে চাকরি করা বৈধ নয়’ এ মাসআলা জানার পর সুদী কারবারের সাথে জড়িত থাকার কারণে নিজের মাঝে অনুশোচনা জাগে। ফলে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন অন্য একটি চাকরিতে যোগদান করেছি।

এখন মুফতী সাহেবের কাছে জানতে চাচ্ছি, আগের চাকরির বেতন-বোনাস দিয়ে যে গাড়ি-বাড়ি করেছি তা আমার জন্য বৈধ কি না? যদি বৈধ না হয়ে থাকে তাহলে আমার এখন করণীয় কী? দয়া করে বিস্তারিত জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।

উত্তর

সুদী প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যে আয় দিয়ে গাড়ি-বাড়ি বা অন্য যে সম্পদ গড়েছেন, তা ভোগ করা জায়েয হবে না। এখন আপনি যদি এ গাড়ি-বাড়ি ও অন্যান্য সম্পদ থেকে বৈধভাবে উপকৃত হতে চান, তাহলে যে পরিমাণ টাকা দিয়ে এ গাড়ি-বাড়ি ও অন্যান্য সম্পদ ক্রয় করেছেন, সে পরিমাণ টাকা সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত গরিব-মিসকিনদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে। এভাবে যতটুকু সদকা করবেন ততটুকু সম্পদ আপনার জন্য হালাল বলে বিবেচিত হবে।

উল্লেখ্য, গাড়ি-বাড়ি করার পর এগুলো ভাড়ায় দিয়ে থাকলে তা থেকে উপার্জিত টাকাও সদকা করে দিতে হবে এবং পিছনের জীবনে হারাম উপার্জন ও হারাম ভোগ-ব্যবহারের কারণে আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।

সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৮; বাদায়েউস সানায়ে ৬/১৪৫; ফাতহুল কাদীর ৮/২৫৮; আলবাহরুর রায়েক ৮/১১৪

—মাসিক আল কাউসার

বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকগুলো শরীয়া মোতাবেক পরিচালিত হওয়ার দাবি করলেও বাস্তবে তাদের কার্যক্রম এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। বাস্তব পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, তাদের বিনিয়োগ কার্যক্রমগুলোতে অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথভাবে শরীয়া নীতিমালা পালিত হয় না; বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুধু কিছু কাগজপত্রে দস্তখত করানো এবং বিভিন্ন আরবী পরিভাষার ব্যবহার পর্যন্তই তা সীমিত থাকে। তাই পূর্ণ শরীয়া পালনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এসব ব্যাংকে চাকরি করা বা এজেন্ট হওয়া এবং এর বেতনাদি বা কমিশন ভোগ করা থেকে বিরত থাকাই নিরাপদ হবে। কেননা চাকরি করা বা এজেন্ট হওয়ার মানে হলে, সরাসরি তাদের কাজে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করা। যা সংশ্লিষ্ট কারবার হালাল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার আগে করা যায় না।

সহীহ বুখারী, হাদীস ৫২; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৪৬; জামে তিরমিযী, হাদীস ১২৩৪; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৪২৬; মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী, জিদ্দা ১২/১/৬৯৭

মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া, ঢাকা।