ভদ্রমহিলার অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ দরকার। কিন্তু ওষুধ বিক্রেতা ভদ্রলোক দেখলেন যে প্রেসক্রিপশন পুরনো। তখন ভদ্রমহিলা নিশ্চিত করলেন যে একই ডাক্তারকে আবার দেখাইছেন। এই যে এত তারিখের প্রেসক্রিপশন। তখন ওষুধ বিক্রেতা বললেন যে তাও তো ৮-১০ দিন পার হয়ে গেছে। আপনাকে ওষুধই দিছে ১০ দিনের জন্য। আর আমার কাছে এই ওষুধ হবে না।
ভদ্রলোক এবং ভদ্রমহিলার আলাপ দেখে আমার মনে হলো, ওষুধ আছে ঠিকই, কিন্তু ভদ্রলোক ইচ্ছা করেই বিক্রি করে নাই। তাই জিগাইলাম, সন্দেহ করে ওষুধ দেন নাই যে?
তখন ওষুধ বিক্রেতা আলাপের ঝাঁপি খুলে বসলেন, আরে ভাই, আর বইলেন না, এদেরকে নিয়ে আরেক ঝামেলা। দুনিয়ার সব এংজাইটি, ডিপ্রেশন কি শুধু মেয়েদের? বাচ্চাবাচ্চা মেয়েগুলার জীবনে এত এংজাইটি, এত ডিপ্রেশন কীসের? তাদের রাতে ঘুম আসবে না কেন? এসব সমস্যা নিয়ে ১০০টা মেয়ে যদি আসে, ছেলে আসে ১টা। ক্যান? আপনার জীবনে কি প্যারা নাই? আপনি ক্যাম্নে সেই প্যারা হজম করেন? তারা হজম করতে পারে না? এদের বেশিরভাগের তো ইনকামের প্যারাও নাই। মাসে মাসে ফ্যামিলি থেকে টাকা আসতেছে। আর এখানে ফ্যামিলির অগোচরে বিন্দাস লাইফ লিড করতেছে। এদের একটাই প্যারা, রিলেশনশিপের ঝামেলা।
তখন পাশে থাকা দুই ওষুধ ক্রেতা ভদ্রলোক বলে উঠলেন, আপনার কি মনে হয় ছেলেরা এদেরকে খুব প্যারা দেয় বলে এদের ওষুধ খাইতে হয়? এরা ছেলেদেরকে প্যারা দেয়, নিজেরাও প্যারা খায়।
তখন ওষুধ বিক্রেতা ভাই বলে উঠলেন, বেশিরভাগই এসব ওষুধ খায় ব্ল্যাকমেইল করার জন্য। হাবিজাবি বলে ডাক্তারদের কাছ থেকেও লিখায়ে নিয়ে আসে।
আমি কিছু না বলে নিজের প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে চুপচাপ কেটে পড়লাম আর মনে মনে ভাবলাম, দেশটা ক্যামন মিসজিনিস্টে ভরে গ্যাছে!
টুকরো দিনলিপি | ০৮ অক্টোবর ২০২৩
কার্টেসিঃ বিশিষ্ট মিসোজাইনিস্ট, ছোট বাংলার ভাবুক ছোটভাই- Sourav Abdullah
খাঁটি কথা