🔻 প্রথম: ঈমান দুর্বলতার কতিপয় আলামত (১৯টি পয়েন্ট)
১. পাপ কাজে লিপ্ত হওয়া
২. অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়া
৩. মজবুতভাবে ইবাদত না করা
৪. ইবাদতে অলসতা করা
৫. অন্তরে সংকীর্ণতা অনুভব করা
৬. কুরআনের আয়াত, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ, আযাব-গযব এবং কিয়ামতের বিবরণ শুনে প্রভাবিত না হওয়া
৭. আল্লাহর যিকির-আযকার, দুয়া ইত্যাদির ব্যাপারে অমনোযোগী থাকা
৮. আল্লাহর বিধান লঙ্ঘিত হতে দেখলেও মনে রাগ বা ক্ষোভ সৃষ্টি না হওয়া
৯. নিজেকে লোক সমাজে প্রকাশের মনোবাসনা সৃষ্টি হওয়া
১০. প্রচণ্ড অর্থলিপ্সা ও কৃপণতা করা
১১. এমন কথা বলা যা সে নিজে করে না।
১২. কোন মুসলিমের বিপদ দেখে আনন্দিত হওয়া
১৩. কল্যাণকর কাজকে তুচ্ছ মনে করা বা ছোট ছোট নেকীর কাজকে গুরুত্ব না দেয়া
১৪. মুসলিমদের বিভিন্ন ঘটনাবলীতে গুরুত্ব না দেয়া
১৫. বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়া
১৬. বিপদাপদ বা সমস্যায় মুষড়ে পড়া
১৭. তর্ক-বিতর্ক ও ঝগড়াঝাঁটি করা
১৮. দুনিয়ার প্রেমে মগ্ন থাকা
১৯. খাদ্য-পানীয়, পোশাক-পরিচ্ছদ, গাড়ি-বাড়ি ইত্যাদিতে মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া।
🔻দ্বিতীয়: ঈমান দুর্বলতার কারণ (৮টি পয়েন্ট)
১. দীর্ঘ সময় ঈমানী পরিবেশ থেকে দূরে থাকা
২. সৎ, আদর্শবান ও অনুসরণীয় মানুষের সংশ্রব থেকে দূরে থাকা
৩. দ্বীনের ইলম (জ্ঞান) অন্বেষণ থেকে দূরে থাকা
৪. পাপ-পঙ্কিল পরিবেশে বসবাস করা
৫. দুনিয়াবি ব্যস্ততায় নিমগ্ন থাকা
৬. ধন-দৌলত, সন্তান-সন্ততি ও স্ত্রী-পরিবার নিয়ে ব্যস্ততায় ডুবে থাকা
৭. সুদীর্ঘ আশা
৮. অতিরিক্ত পানাহার,অতিরিক্ত ঘুম অথবা নিঘূর্ম রাত কাটানো। অনুরূপভাবে মানুষের সাথে মেলামেশা ও উঠবসের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় অপচয় করা।
🔻 তৃতীয়: ঈমান দুর্বলতার চিকিৎসা (১৯টি পয়েন্ট)
১. আল কুরআন অধ্যয়ন করা
২. মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ব অনুধাবন করা,তাঁর নাম ও গুণাবলীগুলো সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করার পর সেগুলোর মর্মার্থ জেনে-বুঝে সেগুলোকে অন্তরে গেঁথে নেয়া এবং কাজে-কর্মে তার প্রতিফলন ঘটানো।
৩. দ্বীনের ইলম অন্বেষণ করা
৪. যে সকল বৈঠকে আল্লাহর যিকির তথা আল্লাহ এবং আল্লাহর দ্বীন সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেগুলোতে নিয়মিত উপস্থিত হওয়া
৫. অধিক পরিমাণে নেকীর কাজ করা এবং সব সময় নেকীর কাজে লেগে থাকা
৬. বিভিন্ন প্রকারের ইবাদত করা
৭. অধিক পরিমাণে মৃত্যুর কথা স্মরণ করা
৮. ঈমান নবায়নের অন্যতম উপায় হল,আখিরাতের বিভিন্ন মনজিলের কথা স্মরণ করা
৯. প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঘটনাবলীতে প্রভাবিত হওয়া
১০. আল্লাহর যিকির
১১. আল্লাহ তাআলার কাছে নিজের দীনতা তুলে ধরে দুয়া-মুনাজাত করা
১২. বেঁচে থাকার লম্বা আশা না করা
১৩. এ কথা চিন্তা করা যে, পার্থিব জীবন খুবই নগণ্য।
১৪. আল্লাহর বিধি-বিধান ও-নিদর্শনাবলীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
১৫. আল ওয়ালা ওয়াল বারা (ঈমানদারদের সাথে বন্ধুত্ব এবং কা/ফে/র/দের সাথে শত্রুতা পোষণ করা)
১৬. বিনয় অবলম্বন করা।
১৭.অন্তরের কতিপয় বিশেষ কাজ।
১৮. আত্মসমালোচনা।
১৯. ঈমান নবায়নের জন্য দুআ করা।
মূলঃ শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ
অনুবাদকঃ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল