Wednesday, April 2, 2025

প্রশ্ন

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। 

আপনি নিম্নোক্ত তিনটি কাজের কোন একটি করুন।

১ - মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসুন।
২ - স্ত্রী সহ নিজেই মায়ের কাছে চলে যান এবং যে কোন মূল্যে স্ত্রীর জন্য খাস পর্দার পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
৩ - মায়ের জন্য বাড়ীতে ফুলটাইম বা পার্টটাইম খাদেমা/গৃহকর্মী রাখার ব্যাবস্থা করুন।

বাড়ীতে পর্দার পরিবেশ নিশ্চিত না করে স্ত্রীকে সেখানে রেখে আসা জায়েজ হবেনা। এক্ষেত্রে মায়ের অসন্তুষ্টির চেয়ে আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনুরূপভাবে আপনি স্ত্রীকে দূরে রাখলে নিজে যদি গুনাহে জড়িয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে তাহলেও স্ত্রীকে দূরে রাখা জায়েজ হবেনা। তাই ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নিন। মাকে ভালো রাখার ব্যাবস্থা করার পশাপাশি নিজের সংসার, সুখ, নিরাপত্তা ও দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়েও সতর্ক থাকুন। 

মনে রাখবেন, সাংসারিক বিষয়াবলীতে মা কিংবা স্ত্রী কারো অনুরোধই কখনো অন্ধভাবে মানা যাবেনা। বরং ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে যেটা শরীয়ত, সামাজিকতা, সাধারণ যুক্তিবোধ ও ভবিষ্যত ফলাফলের বিবেচনায় সকলের জন্য অধিক উপযুক্ত ও উপকারী মনে হবে সেটাই করবেন এবং বাকিদের সামনে আপনার পদক্ষেপের যৌক্তিকতা তুলে ধরবেন। তবে ক্ষতি ও অসহনীয় কষ্ট না হলে তখন নিজের চিন্তা ও উপলব্ধির উপরে মায়ের আবদারকে প্রাধান্য দিতে চেষ্টা করবেন। কখনো কখনো স্ত্রীর ক্ষেত্রেও এমনটা করবেন। আল্লাহ আপনাদেরকে সুখী করুন।



।।।
গ্রুপে সার্চ করে পাই নি। এপ্রুভ প্লিজ
স্পর্শকাতর প্রশ্ন:

চাকুরির সুবাধে বাড়ি থেকে দূরে থাকি। বাড়িতে মা অসুস্থ, চলা ফেরায় কষ্ট হয়। স্ত্রীকে নিয়ে আমি চাকুরি স্থলের কাছাকাছি থাকি। কিন্তু, মা সেটা পছন্দ করছেন না; সে চায় স্ত্রীকে তার কাছে রেখে যাই। স্ত্রী আমার সাথে থাকতে চায়, তাছাড়া বাড়িতে পর্দা রক্ষা করাটাও বেশ কঠিন আমার স্ত্রীর জন্য। স্ত্রী আমার সাথে থাকলে আমার জন্যও সুবিধা। 

কিন্তু, স্ত্রীকে মায়ের কাছে রাখছি না বলে তিনি আমার প্রতি ক্রোধান্বিত। আমি তাকে কষ্ট দিচ্ছি বলেও নানানভাবে বদ দোয়া দিতে থাকেন। আমি প্রতি মাসে প্রায় সময়ই বাড়িতে যাই। 

কিন্তু, তার কথা হল স্ত্রীকে যেন তার কাছে রেখে যাই, রান্না বান্না যেন করতে পারে। 

এমন পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিত?



উত্তর দিয়েছেন 
মুফতি আফফান বিন শরফুদ্দিন (হাফি.)

Tuesday, April 1, 2025

১৭ শ্রেনীর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না

যে ১৭ শ্রেনীর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না -

১। হারাম খাদ্য ভক্ষণকারী জান্নাতে যাবে না। (সুনানে বাইহাকী, হাদীস নং ৫৫২০)

২। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছি'ন্নকারী জান্নাতে যাবে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৫২৫)

৩। প্রতিবেশীকে ক'ষ্ট দানকারী জান্নাতে যাবে না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৬)

৪। মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, দাইউস ও পুরুষের বেশ ধারণকারীণী জান্নাতে যাবে না। (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদীস নং ২২৬)

৫। অশ্লীলভাষী ও উগ্রমেজাজী জান্নাতে যাবে না। (আবু দাউদ, হাদীস নং ৪১৬৮)

৬। অধীনস্থদেরকে ধোঁ'কাদানকারী শাসক জান্নাতে যাবে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৬১৮)

৭। অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকারী জান্নাতে যাবে না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯৬)

৮। খোটাদানকারী, অবাধ্য সন্তান ও মদ্যপ জান্নাতে যাবে না। (সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৫৫৭৭)

৯। চোগলখোর জান্নাতে যাবে না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫১)

১০। অন্য পিতাকে যে নিজের পিতা বলে পরিচয় দেয় সে জান্নাতে যাবে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬২৬৯)

১১। গর্বকারী-অহংকারকারী জান্নাতে যাবে না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩১)

১২। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নাফরমান জান্নাতে যাবে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৭৩৭)

১৩। দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে ইলম অর্জনকারী জান্নাতে যাবে না। (আবু দাউদ, হাদীস নং ৩১৭৯)

১৪। অকারণে তালাক কামনাকারীণী জান্নাতে যাবে না। (জামি‘ তিরমিযী, হাদীস নং ১১০৮)

১৫। মাথার চুলে কালো কলপ ব্যবহারকারী জান্নাতে যাবে না। (সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৪৯৮৮)

১৬। রিয়াকারী জান্নাতে যাবে না (যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য কিছু করে)। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৫২৭)

১৭। ওয়ারিসকে বঞ্চিতকারী জান্নাত থেকে বঞ্চিত হবে। (সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং ২৬৯৪)
Courtesy - Zikrillah