১.
আপনি যাদের সাথে নিয়মিত মিশেন, তাদের ভেতর থেকে কমপক্ষে ১০ জনের গড়পড়তা স্বভাব-চরিত্র ও চিন্তা-ভাবনা দ্বারা আপনি প্রভাবিত হবেন!
আমি প্রায় প্রতি বছরই চেক করি, আমি এই বছর কাদের সাথে নিয়মিত মিশছি।
আমি খেয়াল করে দেখলাম, আমি এখন যাদের সাথে বেশী মিশছি এদের প্রায় সবাই অত্যন্ত সফল ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা! (কিভাবে এটা হয়েছে আমি ঠিক জানি না। কারণ আমার যে পেশা, তাতে করে আমার তো উচিত ছিলো একাডেমিক মার্কেটার ও কর্পোরেট মার্কেটারদের সাথে মেশা, বিজনেসম্যান বা অন্ট্রাপিনিওরদের সাথে না!)
এদের মাথায় মুটামুটি সারাক্ষনই নিত্য নতুন বিজনেসের ধান্ধা ঘুরে!
আজকের লেখাটা আমি আসলে আমার পাঠকদের জন্য লিখি নাই, লিখেছি আমার নিজের জন্য। এই লেখাটা আমি আমার নিজের জন্য নিজে পড়ার জন্য লিখেছি আসলে!!
২.
এক ভাইয়া আছেন, তিনি সোলার প্রজেক্টে কাজ করেন! গত বছর রেভিনিউ করেছেন প্রায় ৮৬ কোটি টাকা! অনেকগুলো ব্যবসায় তার ইনভেস্টমেন্ট রয়েছে!
তিনি কিছুদিন আগে ধানমন্ডির একটা কফি শপে ডাকলেন! জানতে পারলাম তিনি ব্যবসার কাজে চীন থেকে ঘুরে সেদিনই দেশে ফিরেছেন, সেখান থেকে এসে আমাদের চীনের গল্প বলতে বলতেই দুয়েকটা প্রডাক্টের কথা জানালেন, যা এই দেশে পাওয়া যায় না, বা গেলেও ভীষন এক্সপেনসিভ। যে কেউ এগুলা চীন থেকে দেশে এনে মুটামুটি ভালো মার্জিন রেখে বিক্রি করতে পারবেন।
৩.
আরেক ভাইয়া আছেন, তিনি একটা তেলের ব্র্যান্ডের মালিক। হয়তো তেমন কেউ নাম জানেন না, অথচ মাসে ১০-১৫ লাখ টাকার হেয়ার ওয়েল বিক্রি করেন তিনি! তার মার্জিন থাকে অর্ধেকরও বেশী! তার বাসা আমার এলাকাতেই। আমাদের এলাকার প্রথম ডুপ্লেক্স বাড়ী তার! তিনি আমাকে একদিন বল্লেন - ”ভারতের অনেক ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করতে পারলে আমাদের দেশের মিডিয়া জগত বর্তে যায়, আর আমি ইন্ডিয়ান মডেলদের ভাড়া করছি আমার দেশীয় ব্র্যান্ডে কাজ করার জন্য!!” সে কিছুদিন আগেই নচিকেতাকে কলকাতা থেকে ঢাকা আনিয়ে তার প্রডাক্টের জিংগেল গাইয়েছেন!
৪.
আরেক ভাইয়া আছেন, তিনি অনেকগুলো কন্টেন্ট প্রজেক্টে কাজ করেন, মাঝে মাঝে আমাকেও কিছু কাজ ফরওয়ার্ড করে দেন। তিনি কই কই থেকে যে লিড কালেক্ট করেন, খোদাই জানে! একেকটা লিড খুবই হাই কোয়ালিটি! বড় বড় গ্রুপ অব ইন্ডাসট্রি, সরকারী সংস্থা কিংবা প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বা সরকারী আমলা। তার কাছ থেকে আমি প্রতিদিনই শিখছি! খুব অল্পদিনের পরিচয়, তবু তিনি আমাকে যে পরিমান ভরসা করেন, আমি তার কাছে যারপর নাই কৃতজ্ঞ!!
৫.
গত শনিবার রকমারীর সোহাগ ভাইয়ের সাথে মিটিং ছিলো! তার মতো বিজি মানুষ আমাকে আসর থেকে মাগরিব পযন্ত সময় দিলেন! যে কাজে গিয়েছিলাম সে কাজ শেষ করার পর তিনি নিজেই স্বতোঃপ্রনোদিত হয়ে আমাকে আমার বইয়ের সেল বাড়ানোর উপর কিছু চমৎকার সাজেশন দিলেন! মোবাইল থেকেই তিনি ড্যাশবোর্ডে ঢুকে আমার প্রতিটা বইয়ের সেল দেখলেন। তারপর কয়েকটা মোটা মোটা কথা বল্লেন! আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে গেলাম, দ্বিমত করার কোন জাগাই তিনি রাখেন নাই! এই মানুষটাকে যারা চিনেন তারা জানেন যে র্দুদান্ত সব ব্যবসায়িক আইডিয়া জেনারেট করার ক্ষেত্রে উনার জুড়ি মেলা ভার। উনি নিজেই বলেন - ”কারো যদি প্রফিটেবল বিজনেস আইডিয়া দরকার হয়, আমার কাছে আসতে পারেন। আমি আপনাকে আিইডিয়া দিবো, শুধু তাই নয়, কিভাবে আপনি এই আইডিয়া এক্সিকিউট করবেন, তার স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইনও দিবো। একদম ফ্রিতে!”
৬.
খালিদ ফারহানের সাথে আমি গত বছর থেকে অল্প বিস্তর কাজ করা শুরু করেছি, সেও আমাকে ভীষন ইন্সপায়ার করে। মাত্র ৩০ বছর বয়সে এই ৫/৭টা সাকসেসফুল কোম্পানি এবং ব্র্যান্ডের মালিক এই ছেলেটা! এবং তা ক্রমেই বাড়ছে! তার চ্যানেলের সাবসক্রাইবারের সংখ্যা এই বছরেই ১ মিলিয়ন ক্রস করবে!! দুইটা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি, একটা এডটেক, একটা পেট হোস্টেল, একটা প্রফিটেবল ক্লোদিং ব্র্যান্ড, দুইটা ফাস্টেজ গ্রোয়িং ইউটিউব চ্যানেল, একটা প্রিমিয়াম নিউজ লেটার আর একটা অডিওবুক স্টাটাপের মালিক সে! তার সাইটে সবার উপরে বড় বড় করে লেখা - “আমি ব্যবসা গড়া উপভোগ করি!”
৬.
এবার এক ছোট ভাইয়ের কথা বলবো। আমার দেখা বাংলাদেশের সেরা ডিজিটাল মার্কেটার। ছেলেটা বয়সে আমার কয়েক বছরের ছোট হলেও সে আমার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মেন্টর! আমি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বেসিক কিছু ধারনা হাতে কলমে তার কাছ থেকেই শিখেছিলাম। তার ক্যারিয়ারের উত্থান আমার চোখে সামনেই। ২০১৫ সালে মিরপুরের হাব ঢাকায় (কো-ওয়ার্কিং স্পেস) একটা ল্যাপটপ নিয়ে সে শুরু করেছিলো সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংয়ের সেবা দেয়া! আজ মহাখালি ডিওএইচএসের মতো পশ এরিয়াতে তার প্রায় ৩ হাজার স্কয়ার ফিটের অফিসে। এবং আগামী বছর সে আরো বড় অফিস স্পেসে মুভ করবে!
আমাকে আমার কিছু কৃতিত্বের কারণে বেশীরভাগ লোকজনের কাছ থেকেই বাহবা পাই সাধারনত, কিন্তু এই ছোট ভাইয়ের কাছে এসে আমার সমস্ত অর্জন কেমন যেন ম্নান হয়ে যায়! যত যাই কিছু করি, সে আমাকে বলে - ”প্রলয় ভাই, ইউ আর জাস্ট ওয়েস্টিং ইউর টাইম! আপনি আপনার পোটেনশিয়ালের ১০% ও কাজে লাগাতে পারছেন না! অথচ আপনার কাছে সবকিছুর একসেস আছে! ইউ আর আ ফুললি প্রিভিলেজড গাই! আপনি লোকাল মার্কেটের জন্য কাজ করা বন্ধ করে দিয়ে বাইরের দেশের জন্য কাজ করেন, যাদের কাছে আপনি আপনার কাজের সঠিক মূল্যায়ন পাবেন।”
সে কিছুদিন আগে ক্যাশ প্রায় ১ কোটি টাকা দিয়ে একটা বিশাল গাড়ী কিনেছে! আমি বিস্ময়ে জানতে চাইলাম, খাইসে ভাই আপনি এক কোটি টাকার গাড়ী পুরোটা ক্যাশ দিয়ে কিনেছেন? সে জবাব দিলো - ”প্রলয় ভাই, আমি বহু আগেই ইউএস ডলারে মিলিওনিয়ার হয়ে গেছি! কিন্তু আমি এইসব শো অফ কখনোই করি না। তবে এই গাড়ির ছবিটা আমি প্রায়ই আমার ওয়ালে দেই তার কারণ হলো, আমি আমার কিছু রিলেটিভ ও বন্ধুদের এইটা এক্সামপল হিসেবে দেখাতে চাই। একটা সময় আমি তাদেরকে কাজ শিখতে বল্লে তারা প্রচুর এক্সকিউজ দিতো। দেশে তেন নাই, তেন নাই! আমি তাদের সব সময়ই বলে এসেছি, দেশে এনাফ অপরচুটিনি আছে। আপনারা এইসব অজুহাত দেয়া বাদ দিয়ে কাজে লেগে পড়েন, দেখবেন জীবন বদলে গেছে। কিন্তু তারা কখনোই আমার কথা পাত্তা দেয় নাই। এরপর একটা পর্যায়ে গিয়ে আমি রিয়ালাইজ করলাম, আমি আসলে এদেরকে আজীবন বয়ান দিয়েও লাইনে আনতে পারবো না। কিন্তু আমি যদি নিজে তাদের সামনে প্রমান করে দিতে পারি যে আমার কথাগুলো কতটা সত্যি ছিলো, তাহলে সেটা আমার বয়ানের চেয়ে ভালো কাজ করবে। আমার এই গাড়ির ছবি দিয়ে তাদেরকে মেসেজ দিতে চাই যে, স্কিল শিখে কাজ শিখে খুব অল্প সময়ে অর্থনৈতিক মুক্তি লাভ করা সম্ভব, এবং এগুলা স্রেফ আমি কথার কথা বলি নাই। সত্যি সত্যি মিন করে বলেছি। তারা এখন আশাকরি এই মেসেজটা পায় আমার কাছ থেকে!
এবং আমি আগামী ৫ বছরের ভেতর ১০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ইনকাম করার ফর্মূলা পেয়ে গেছি। আমি ফিগার আউট করে ফেলেছি ইউএস ডলারে ৮ বা ১০ ডিজিটের মাসিক ইনকাম কিভাবে জেনারেট করতে হয়। আমি অলরেডি সেটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি, টিম বড় করছি, কয়েকটা প্রডাক্ট বিল্ড করছি, স্ট্রাটেজি ফরমুলেশন করছি...আমি খোদার কাছে কায়মনোবাক্যে শুকর করি যে তিনি আমাকে এতগুলা মানুষের রিজিকের উসিলা করে দুনিয়াতে পাঠাইছেন!”
কিছুদিন আগে সে আমাকে মাঝ রাতে কল দিয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা কথা বল্ল। তার মতো এত্ত হাইলি পেইড লোকের আসলে আমার মতো সামান্য একটা মানুষকে এতখন টাইম দেবার কথা না। এটা বলাতে সে বল্ল - “প্রলয় ভাই, আমি আমার খুব কাছের কয়েকজন মানুষকে ইন্সপায়ার করার চেষ্টা করি, শুধু ইন্সপায়ার না, তাদেরকে লাইফে ফিনানসিয়ালি ফ্রিডম পেতে হলে যা যা রিসোর্স দরকার, আমার সাধ্যের মধ্যে সব দেবার চেষ্টা করি। এরপর আমি একটা সময় পরে গিয়ে ROI ক্যালকুলেট করে দেখবো যে এর ভেতর কয়জন আমার কাছে শুনে লাভবান হয়েছে, আর কয়জন হতে পারেনি।”
আমাকে বল্ল - “ভাই আমার ক্যারিয়ারের সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো ফোকাস ধরে রাখা, ডিসট্র্যাক্ট না হয়ে যাওয়া। আপনি যদি এই লাইনে আসেন আপনিও একই চ্যালেঞ্জ ফেস করবেন। আপনার সামনে প্রচুর ভালো ভালো জবের অফার আসবে, সেগুলো না বলতে পারা শিখতে হবে। অন্য অনেক লাইনের প্রলোভন আসবে, সেগুলোও না বলতে শিখতে হবে। আমাকে এখন যদি কেউ মাসে ১ কোটি টাকা সেলারিও অফার করে, আমি সেইটা রিজেক্ট করতে ১ সেকেন্ডও সময় নিবো না। কারণ আমি জানি আমার ওয়ার্থ আসলে এর চে অনেকগুনে বেশী! অন্যের কোম্পানিতে ১ কোটি টাকা সেলারি যদি কামাইতে পারি, তার মানে আমি আমার নিজের কোম্পানিতে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার ইনকাম জেনারেট করার যোগ্যতা রাখি!”
সে আরো বললো, আমরা চাকরী নামক একটা লসকে নাম দিয়েছি শিওর শট, আর ব্যবসার মতো হাইলি পটেনশিয়াল আর প্রফিটেবল একটা ইনকাম সোর্সকে নাম দিয়েছে আনসারটেইন। এরপর সে যা বল্ল এই কথার ব্যখায়, আই ইউশ এটা আমি তাকে লাইভ পডকাস্টে ডেকে এনে বলাতে পারতাম!
৮.
কিছুখন আগে একটা প্রাইভেট গ্রুপে দেখলাম একটা ছেলে গত ৩ বছর ধরে সে একটা প্রডাক্ট বিল্ড করেছে, কিছুদিন আগে সেই প্রডাক্ট সে ৭০ হাজার ইউএস ডলারে সেল করে দিয়েছে! আর এই ৩ বছরে সে সেখান থেকে ইনকাম তো পেয়েছেই!!
একটা ছেলেকে চিনতাম, যে ছিলো আমার দেখা HTML/CSS এর বস! সেই ছেলে ক্যারিয়ারে অনেক স্ট্রাগল করেছে, রিকশা ভাড়া বাঁচাতে হেঁটেছে মাইলের পর মাইল! কিছুদিন আগে সেই ছেলে আমার বাসায় তার কন্যা সন্তানের আকীকার গোশত দিয়ে রান্না করা কাচ্চি পাঠায়, সাথে গরমেট খেজুর! আমিও তার বাসায় গিয়ে আমার কন্যা সন্তানের আকীকার জন্য তথ্য পরামর্শ চাইতে গেলাম। সে নিজে আমাকে তার বাইকের পেছনে বসিয়ে খাসির দোকানে নিয়ে গেলো। সেই ছেলের বাসায় ঢুকে আমার মুটামুটি চক্ষু চড়ক গাছ! বিশাল ফ্ল্যাট, চারিদকে দামী সব ফার্নিচার, তিন বেডরুমের বাসা, প্রতিটাতে দামী এসি! দুিইটা মেয়ে তার, তাদেরকে ঠিকমতো টাইম দেবার জন্য গত ৩ বছর ধরে তার ফেসবুকে আইডি অফ!! এই ছেলের মোটো হলো মিনিমালিস্টিক লাইফ লিড করা, যার ফলে আমেরিকার একটা কোম্পানির হয়ে কাজ করে মাসে ৩/৪ হাজার ডলার ইনকাম করেই সে ক্ষান্ত দেয়। যদিও আমি জানি এই ছেলেটা চাইলেই এর চেয়ে কয়েকগুন বেশী ইনকাম করতে পারে অচিরেই!
৯.
নীল নাফিসের কথা আমরা এখন অনেকেই জানি নাফিস সালিম ভাইয়ের বিখ্যাত ২ সেন্টস পডকাস্টের কল্যানে!! বাচ্চা একটা ছেলে, ফ্রিল্যান্স ভিডিও এডিটিং করে তার এখন মাসিক ইনকাম ৭-৮ হাজার ডলার!! নিজস্ব ইন হাউজ টিম আছে। এই ছেলের ইউটিউব চ্যানেলে মাত্র ৭ টা ভিডিও, এই ৭টা ভিডিও তাকে এনে দিয়েছে ১ লাখের উপর অর্গানিক সাবসক্রাইবার!! আমি এর আগে কখনো কাউকে এত অল্প ভিডিও দিয়ে এত বেশী ফলোয়ার এত অল্প সময়ে অর্জন করতে দেখি নাই! এই ছেলের ভিডিও খুবই প্রডাকটিভ, টু দ্য পয়েন্ট, এবং একুরেট। বিশেষ করে লিড জেনারেশন নিয়ে এত অল্প বয়সে এত পরিস্কার বাস্তবিক ধারনা এই দেশে আর কারো আছে কিনা আমার জানা নেই!
আমি আমার চারপাশে এই লোকজনগুলোকেই ঘুরে ফিরে দেখতে পাই! আরো কত জনের কথা লিখতে পারলাম না, সবার কথা তো আমার মনেও নাই! যা হোক, ব্যাপারটা এমন না যে আমি খুব প্ল্যান করে এই বলয়টা আমার চারপাশে সেটাপ করেছি। কিন্তু কিভাবে কিভাবে যেন আপনাতেই হয়ে গেছে। এরা আমাকে আমার মনের অজান্তেই ইন্সপায়ার করে, আমাকে স্বপ্ন দেখায় এগিয়ে যেতে। আমি মনে করি পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের আসলে এই ধরনের একটা বলয় থাকা দরকার। যে বলয়টা তাকে প্রডাকটিভ ও ইনোভেটিভ ওয়েতে, বৈধ ও হালাল ভাবে ক্যারিয়ার ও পার্সোনাল গ্রোথে হেল্প করবে। যে বলয় তাকে সো কল্ড শোবিজ তারকাদের মদ্যপ ভিডিও ভাইরাল হওয়া নিয়ে গসিব করে সময় নষ্ট করা থেকে বিরত রাখবে। আর সেটা যদি একান্তই করতে হয়, সেটাও যেন হয় প্রডাকটিভ ওয়েতে, মানুষকে কোন একটা পজিটিভ লেসন দিতে!
১০.
কিছুখন আগে দেখলাম, পাবনার এক হিন্দু পরিবার “ইন্দুবালা ভাতের হোটেল” নামে একটা ভাতের হোটেল খুলে বসেছে, সেখানকার ওয়েট্রেস হিসেবে দেখা যাবে বাঙ্গালী নারীরদের যারা শাড়ী পড়ে কলাপাতার উপর বিছানো খাটিঁ বাঙ্গালী রান্না খদ্দেরদের পাতে তুলে দিচ্ছেন। “ইন্দুবালা ভাতের হোটেল” একটা বিখ্যাত উপন্যাসের নাম, যার উপর ভিত্তি করে সম্প্রতী হৈচৈতে একটা ওয়েব সিরিজ চালু হয়েছে। কিন্তু এ থেকে ইন্সপিরিশন নিয়ে কেউ যে আমাদের দেশেই সত্যি সত্যি একটা ভাতের হোটেল খুলে বসবে এবং সেটা দুর্দান্ত জনপ্রিয়তা পাবে, তা কি কেউ ভাবতে পেরেছিলো?!
আমার খুব টায়ারিং লাগে এটা ভাবতে যে একটা দেশের ইয়াং জেনারেশন বিসিএসের মরিচিকার পেছনে ছুটছে, লাখ লাখ শিক্ষার্থী সোমালিয়ার মুদ্রার নাম মুখস্থ করছে একটা সরকারী চাকরী পাবার আশায়!! অথচ চাইলেই তারা কত বড় উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হতে পারতো!! তা না হয়ে গুষ্ঠিশুদ্ধ মরিচিকার পেছনে দৌঁড়াচ্ছে!
এর চাইতে বড় অপচয় আর কি হতে পারে?!!
আজকে একটা ছেলে লাইভে এসে নাকি সার্টিফিটেক পুড়িয়েছে! কদিন পর সবাই যদি গনহারে এই কাজ করে, কয়জনকে চাকুরী দিবেন? আর সার্টিফিকেট পুড়ানেওয়ালাদের বলতেছি, এইসব সস্তাদরের কাজ না করে স্কিল ডেভেলপ করে কাজ করা শুরু করেন। ইনশাআল্লাহ আপনি একদিন অন্যদেরকে জব দিবেন আপনার কোম্পানিতে। সার্টিফিকেট পুড়ানো নিছক একটা প্রহসন বৈ আর কিছু নয়!
- প্রলয় হাসান ভাইয়ের ওয়াল থেকে নেয়া