Wednesday, May 15, 2024

Advocacy threat

An advocacy threat arises when an auditor's objectivity and independence are compromised due to promoting or supporting a client’s interests or positions. This threat can lead to a biased opinion, which undermines the credibility of the audit.

### Detailed Explanation

In an audit context, the primary role of an auditor is to provide an independent and objective evaluation of a client's financial statements. Independence is fundamental to the auditor’s ability to provide an unbiased opinion. However, when an auditor advocates for a client, their ability to remain impartial is compromised. This advocacy can be direct or indirect and can manifest in various ways, including:

1. **Legal Representation**: If an auditor or their firm provides legal representation for a client in a lawsuit, the auditor may become too aligned with the client's interests. This alignment can bias their audit judgment.

2. **Lobbying Activities**: If an audit firm lobbies on behalf of a client to influence legislation or regulatory outcomes, the auditor’s objectivity may be impaired.

3. **Marketing or Promotional Activities**: Engaging in activities that promote a client’s products or services can create an advocacy threat, as the auditor may become too vested in the client’s success.

### Example

Consider a public accounting firm that audits a technology company, Tech Innovators Inc. Suppose Tech Innovators is developing a groundbreaking new software and wants to attract investors. The accounting firm, in addition to auditing the financial statements, is also engaged in promoting this software to potential investors, highlighting its innovative features and potential market impact.

#### Detailed Scenario

- **Situation**: Tech Innovators Inc. has developed a new software product that it claims will revolutionize the industry. To attract investors, the company needs to present favorable financial projections and showcase the software’s potential.

- **Audit Firm's Role**: In addition to performing the annual audit, the audit firm is hired to help prepare promotional materials for the software and to present these materials at investor meetings.

- **Conflict**: The audit firm, while auditing Tech Innovators’ financial statements, might feel pressured to ensure the financials reflect a very optimistic outlook to align with the promotional materials. This pressure can lead to an advocacy threat.

- **Impact**: The auditors might overlook or downplay certain risks or uncertainties related to the software’s development and market acceptance. They might also be tempted to present overly optimistic revenue projections or understate potential costs, resulting in biased financial statements.

### Mitigation

To mitigate advocacy threats, auditors and audit firms can implement several safeguards, including:

1. **Separation of Services**: Firms should establish clear boundaries between audit services and any advocacy-related services. Ideally, different teams should handle these activities to maintain independence.

2. **Policies and Procedures**: Establishing and enforcing policies that prevent auditors from engaging in activities that could create advocacy threats is crucial.

3. **Independent Reviews**: Having a third party or another team within the firm review the work can provide an additional layer of objectivity.

4. **Transparency and Disclosure**: Clearly disclosing any non-audit services provided to the audit committee or those charged with governance can help maintain transparency and manage potential conflicts.

### Conclusion

An advocacy threat can significantly impair an auditor's independence and objectivity, leading to biased audit outcomes. By understanding the nature of this threat and implementing appropriate safeguards, auditors can uphold their professional integrity and deliver reliable and unbiased audit opinions.

goal is important

এই লেখাটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনের সেরা কিছু শিখবেন যা আপনাকে কখনই শেখাবে না উইথআউট মানি!

কর্পোরেট সেক্টরে কর্মরত বেশিরভাগ লোকই আন্তরিক, পরিশ্রমী এবং তাদের গড় আইকিউ সমান। প্রত্যেকেই সফল হতে চায়, তাদের পরিবারের জন্য সম্পদ সংগ্রহ করতে চায়, আরও উপরে উঠতে চায়। তবুও সবাই ধনী ও সফল হতে পারে না৷ তাদের ব্যর্থতার প্রাথমিক কারণ বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা বা প্রতিশ্রুতির অভাব না। 
তারা ব্যর্থ হয় কারণ তারা কখনই তাদের জীবনকে অগ্রাধিকার দিতে এবং নিজেদের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য তালিকাভুক্ত করতে সময় ব্যয় করে না। তারা ব্যর্থ হয় কারণ তারা তাদের প্রতিভা এবং সম্ভাবনাকে অব্যবহৃত রাখে। তারা ব্যর্থ হয় কারণ তারা মনে করে সময়ের অভাব তাদের প্রধান সমস্যা। জেসি পেনি একবার দারুন একটি কথা বলেছিলো “ "আমাকে একটি লক্ষ্যসহ একজন স্টক ক্লার্ক দিন, আমি আপনাকে এমন একজন ব্যক্তি দেব যে ইতিহাস তৈরি করবে। আমাকে একটি লক্ষ্যহীন লোক দিন, আমি আপনাকে একটি স্টক ক্লার্ক দেব।"
লক্ষ্য নির্ধারণ এবং সম্পদ সৃষ্টির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি মার্ক ম্যাককরম্যাক তার বেস্টসেলিং বই What they Don't Teach You at Harvard Business School, 1979 এবং ১৯৮৯ এর মধ্যে পরিচালিত হার্ভার্ড গবেষণায় দেখিয়েছে। ১৯৭৯ সালে, হার্ভার্ডের এমবিএ প্রোগ্রামে স্নাতক ছাত্রদের জিজ্ঞেস করলেন “তোমাদের কি নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য স্পষ্ট, লিখিত কোনো লক্ষ্য আছে? সেটা পূরণ করার জন্য পরিকল্পনা আছে?”
দেখা গেল যে স্নাতক হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ তাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা লিখে রেখেছে। আর ১৩ শতাংশের লক্ষ্য ছিল, তবে তারা সেগুলো লিখতে পারেনি। তারা নিজেদের জন্য লক্ষ্য স্থির করেছিল যা তাদের মনের মাঝে সংরক্ষিত ছিলো। বাকি ৮৪ শতাংশের পাশ কর, গ্রীষ্মের ছুটি উপভোগ করা এরপর চাকুরী করা ছাড়া আর কোনো লক্ষ্য ছিলো না৷
দশ বছর পর, ১৯৮৯ সালে, গবেষকরা আবার তাদের সদস্যদের সাক্ষাৎকার নেন। তারা দেখেছে যে ১৩ শতাংশের যাদের কোনো লিখিত লক্ষ্য ছিলো না, তবে মনে মনে নির্ধারণ করা ছিলো তারা ৮৪ শতাংশের দ্বিগুণ উপার্জন করছে। তবে এখানে সব চেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো, তারা দেখেছে যে, সেই ৩ শতাংশ স্নাতক ছাত্রদের উপার্জন ছিলো ৮৪ শতাংশের উপার্জনের প্রায় দশগুণ!
৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা বা কঠোর পরিশ্রমে অন্যদের তুলনায় খুব বেশি পার্থক্য ছিল না। তাদের মধ্যে পার্থক্যটি ছিল স্নাতক হওয়ার সময় তারা নিজেদের জন্য যে লক্ষ্যগুলি সেট করেছিল তার স্পষ্টতা।
আমি এখন এই গবেষণার আর একটি বিষয় শেয়ার করি। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, উল্লেখিত গবেষণাটি হয়েছিলো হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সারা বিশ্বের সেরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। এখানে অধ্যায়নকৃত শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই আসে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে। আবার তাদের অনেকেই পরবর্তীতে অনেক বড় স্কলার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। সুতরাং দেখা যায়, তাদের শিক্ষার্থীদের যদি মাত্র ৩ শতাংশ লক্ষ্যগুলো লিখে রাখে তাহলে সাধারণ জনগনের কত শতাংশ লিখে রাখতে পারে? আমি অনুমান করি যে, এটা ১ শতাংশের কম হবে। এখানে আশ্চর্যের কিছু নেই, স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ অন্য ৯৯ শতাংশের চেয়ে বেশি সম্পদ সঞ্চয় করেছে।  

লক্ষ্যগুলো আপনার প্রচেষ্টা এবং শক্তির দিকনির্দেশনা দেয়

আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তা একটি বিশ্লেষণাত্মক মস্তিষ্ক উপহার দিয়েছেন, যেটা ক্রমাগত কাজ করে যায়৷ যতক্ষণ না আমরা গভীর ঘুমে ডুবে যাই ততক্ষণ আমরা ভাবতে থাকি। এই ভাবনাগুলো প্রায়ই আমাদের ভবিষ্যতের সাথে সম্পর্কিত৷ তবে যখনই আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনার কথা আসে তখনই সাধারণত দুইটি বিকল্পের কথা আসে। হয় প্রত্যাশার সাথে ভবিষ্যতের মুখোমুখি হবো অথবা আশঙ্কার সাথে। 
অনুমান করুন আমাদের মধ্যে কতজন আশঙ্কার সাথে ভবিষ্যতের মুখোমুখি হওয়ার জন্য শঙ্কাগ্রস্থ। 
 আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই চিরকাল উদ্বিগ্ন থাকে। তারা তাদের পদোন্নতি, তাদের বৃদ্ধি এবং তাদের বেতন নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা তাদের বসকে খুশি করতে এবং তাদের সহকর্মীরা তাদের সম্পর্কে কি ভাবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা তাদের অধীনস্থরা সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারায় উদ্বিগ্ন। তারা তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। সকালে তাদের গাড়ির ছোটখাটো ছিদ্র হলে তা নিয়েও তারা চিন্তিত। এবং বেশিরভাগ সময় তারা স্কুলে তাদের বাচ্চাদের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তিত। কেন এই ব্যক্তিরা সবকিছু নিয়ে এত শঙ্কিত?
এর প্রধান কারণ তারা তাদের ভবিষ্যত ডিজাইন এবং পরিকল্পনা করার জন্য সময় ব্যয় করেনি। তাদের মধ্যে অনেকেই চিরতরে কারো সুনজর লাভের চেষ্টা করে জীবন পার করে। আর এই 'কেউ' কে? এই 'কেউ' বেশিরভাগই তাদের সহকর্মী, তাদের বস, প্রতিবেশী এবং দূরের আত্মীয় যাকে তারা খুব একটা পছন্দ করে না। তবে এই মানুষগুলো কখনই সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের সুনজর লাভের দিকে তাকায়না। তারা সব সময় তাদের চারদিকে তাকায় এবং তাদের নিজেদের ছাড়া অন্যদের সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করে। তারা সব সময়ই চিন্তিত থাকে। 
অন্যদিকে যারা প্রত্যাশা নিয়ে ভবিষ্যতের মুখোমুখি হতে চায় তারা সব সময়ই পরিকল্পিত লক্ষ্যের তালিকা নির্ধারণ করে। তাদের লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে। তারা মনের চোখে তাদের ভবিষ্যৎকে দেখে এবং তা অবশ্যই দুর্দান্ত দেখায়। 
ডঃ থমাস স্ট্যানলি তার গ্রাউন্ড ব্রেকিং কাজ। তার বই “দ্য মিলিয়নেয়ার নেক্সট ডোর”-তে একজন পাইকারি খাদ্য ব্যবসায়ীর কথা বলেছেন যিনি একজন মিলিয়নেয়ার ছিলেন। উনিশ বছর বয়সে ব্যবসা শুরু করেছিলেন এই ব্যক্তি। যদিও তিনি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করেননি, তবে তিনি জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে তার উচ্চ বিদ্যালয়ের সমমানের ডিপ্লোমা পেয়েছিলেন। যখন তাকে তার সাফল্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এবং কীভাবে তিনি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ড্রপআউট হওয়া সত্ত্বেও $10 মিলিয়নের বেশি সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছেন, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন:
"আমি সবসময় লক্ষ্য-ভিত্তিক ছিলাম। আমার দৈনিক লক্ষ্য, সাপ্তাহিক লক্ষ্য, মাসিক লক্ষ্য, বার্ষিক লক্ষ্য এবং জীবনকালের লক্ষ্যগুলোর একটি পরিষ্কার তালিকা তৈরি করেছি। এমনকি আমার বাথরুমে যাওয়ারও লক্ষ্য রয়েছে।”
আমি সবসময় আমাদের তরুণ নির্বাহীদের বলি যে তাদের অবশ্যই লক্ষ্য আছে। একবার বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বাই যাচ্ছিলাম। আমি যখন আমার বোর্ডিং পাস নিয়েছিলাম তখন আমি কোনো এলোমেলো গেটে যাইনি। আমি সেই গেটে গিয়েছিলাম যেখান থেকে আমি মুম্বাইয়ের ফ্লাইটে উঠতে পারি। এবং একবার আমি বিমান থেকে নামার পরে, আমি প্রথম ক্যাবটি ধরে বলিনি “ শুরু করো যাত্রা, কিছুক্ষণ ঘুরেফিরে দেখা যাবে কোথায় যাওয়া যায়!” 
বরং আমি হোটেলের নাম এবং যেখানে অবস্থিত তার নাম বলেছি। আমি হোটেলে পৌছে এলোমেলো ভাবে কোনো রুমে না গিয়ে আমার বরাদ্দকৃত রুমের চাবি নিয়ে সোজা আমার রুমের দিকে গিয়েছি। 
  মোদ্দা কথা হলো যে, ভ্রমনের মতো একটি সহজ এবং সরল জিনিসের ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াই না। তবে আমরা মনে করি যে লক্ষ্যহীন ঘোরাঘুরি আমাদের জীবন ও অর্থের জন্য কাজ করবে। মনে রাখবেন, যারা সব সময়ই জয়ী হয় তাদের লিখিত লক্ষ্য থাকে। লক্ষ্যগুলো হলো আপনি যা অর্জন করতে চান তার দিকনির্দেশনা। বিখ্যাত লেখক এবং বক্তা জিগ জিগলার বলেছেন, 'যদি আপনি কিছুই লক্ষ্য না করেন তবে আপনি প্রতিবারই আঘাত পাবেন”
লক্ষ্য ছাড়া কাজ করা একটি মায়ার মত। আপনি অনুভব করেন যে আপনি অনেক কিছু করছেন, কিন্তু আপনি যা চান তা নয়। আপনি শুধু আপনার ছাড়া সবার স্বপ্ন পূরণে ব্যস্ত। আপনার লক্ষ্য স্থির করা আপনাকে পরিশেষে কী চান তা স্পষ্ট করে দেয়। এটা আপনাকে আপনার মনের মধ্যে ভাসমান আকাঙ্ক্ষাগুলোকে স্পষ্ট করে তোলে। এটা নিশ্চিত করে যে আপনি আপনার সময়, শক্তি এবং প্রচেষ্টাকে এমন জিনিসগুলোতে ব্যবহার করছেন যা আপনার কাছে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। সংক্ষেপে, এটগা আপনাকে আরও সচেতনভাবে বাঁচতে সাহায্য করে। তবে আমি বলব, এটা সচেতনভাবে বেঁচে থাকার একটি ভাল উপায়।
আমি অনেক বুদ্ধিমান ও সম্ভাবনাময় মানুষকে দেখেছি তারা তাদের অর্থপূর্ণ জীবনকে বর্ণাঢ্য হতে দেন নাই, কারণ তারা তাদের পিতামাতা, বস, সমাজ বা অন্যরা যা নির্ধারণ করে দিয়েছিলো তার কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য। 
 আপনি যদি মনে করেন, যে আপনি আরও ভাল কিছু পাওয়ার যোগ্য তবে আপনাকে এই একঘেয়েমি ভেঙে নিজের জীবন তৈরি করতে হবে। জিগ জিগলার একবার বলেছিলেন, “আপনার কাছে যে শক্তি আছে আপনি যদি তাকে কাজে না লাগান, নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে ফোকাস না করেন তবে আপনি কখনই কোনো কিছু অর্জন করতে পারবেন না। বন্য সিংহের শিকার একা বের না হলে, পালের সাথে বের হয়। তখন সিংহ সেই পালেই আক্রমণ করে এবং তার নির্দিষ্ট লক্ষ্য হিসেবে একটি পশুকে বেছে নেয়। তাকে শিকার করে ঘরে টেনে নিয়ে আসে।”

কোন রিজার্ভেশন ছাড়াই, আমি বলি যে আপনি যেই হোন না কেন, আপনি যেখানেই থাকেন না কেন এবং যাই করেন না কেন আপনার লক্ষ্য থাকা উচিত। ব্রায়ান ট্রেসি সুন্দর একটা কথা বলেছেন, "স্পষ্ট লক্ষ্যের সাথে গড় বুদ্ধিমত্তার একজন ব্যক্তি এমন একজন প্রতিভার অধিকারী মানুষের সাথে থাকবে যিনি আসলে নিশ্চিত নয় যে তিনি আসলে কী চায়।" শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য থাকতে হবে। বিক্রয় কর্মীদের লক্ষ্য থাকা উচিত। গৃহিণী, মা, ডাক্তার, ব্যাংকার, প্রকৌশলী এবং ক্রীড়াবিদদের লক্ষ্য থাকতে হবে। আপনার অবশ্যই একটি লক্ষ্য থাকতে হবে। 

মিঃ আনন্দ লক্ষ্য নির্ধারণ এবং সেগুলো লেখার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করার পরে, আমাকে আরেকটি উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “অধিকাংশ লোকের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কম থাকে কারণ তাদের লক্ষ্য পূরণের পর্যাপ্ত কারণ নেই। তারপর তিনি আরও বলেন, "মানুষ ব্যর্থ হয়, তার কারণ এটা নয় যে তারা যথেষ্ট বুদ্ধিমান নয়, বরং এর কারণ তাদের সফল হওয়ার যথেষ্ট কারণ নেই।”
সেদিন আমার দ্বিতীয় শিক্ষা ছিলো, লক্ষ্য পূরণের যথেষ্ট কারণ আছে। 

 আপনার লক্ষ্য অর্জন করার জন্য আপনার কি যথেষ্ট কারণ আছে? যদি তা না হয়, তাহলে আমি পরামর্শ দেব যে আপনি আরও ভালভাবে চিন্তা করুন এবং এর কারণগুলো কল্পনা করুন৷ আপনি যে লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে চান। কেন আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে চান? কার জন্য আপনি এটা সম্পন্ন করতে চান? এটা কি উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হবে? আপনার কৃতিত্ব দ্বারা কে উপকৃত হবে?

এটা কি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য সুখ নিয়ে আসবে? আপনি দেখতে পাচ্ছেন, সবারই ভাল করার এবং তাদের লক্ষ্যগুলো অর্জন করার প্রায় অনেক কারণ থাকতে পারে। এখানে চাবিকাঠি হলো যথেষ্ট কারণ আছে এবং সেগুলো প্রণয়ন করতে হবে। 

আমি বারবার জানতে পেরেছি যে লক্ষ্য আপনার গন্তব্যের মতো, কিন্তু "কারণ" হলো আপনার চালিকা শক্তি, এটা সেই জ্বালানী যা আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে চালিত করবে। “কারণ” ছাড়া একটি লক্ষ্য একটি আত্মা ছাড়া একটি শরীরের মতো। যদি আপনার লক্ষ্য হয় আপনার প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) হওয়া কিন্তু আপনার কাছে তা পূরণ করার পর্যাপ্ত কারণ না থাকে, তাহলে এখানে সম্ভাবনা হলো আপনি সেই স্তরে পৌঁছাতে পারবেন না। তবুও যদি আপনি ভিপি হোন, তাহলে আপনি আপনার এ জন্য যথেষ্ট সময় ব্যয় হবে। যাইহোক, আপনি যদি আপনার পরিবারের সদস্যদের সুখী এবং হাসিখুশি মুখ, একটি বড় ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, আপনার সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের কাছে থেকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা পাবেন যদি আপনি ভিপি হতে পারেন, তা কল্পনা করতে পারেন। তাহলে দেখবেন, অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যে আপনার ভিপি হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে।
মনে রাখবেন, যদি আপনার যথেষ্ট কারণ থাকে, তাহলে সব সম্ভাবনাতেই আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

কেন মানুষ লক্ষ্য নির্ধারণ করে না?

যদি লক্ষ্য নির্ধারণ এতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে কেন মানুষ নিজেদের জন্য স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে না? এর একাধিক কারণ থাকতে পারে। যাইহোক, তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে যে তাদের ইতিমধ্যে লক্ষ্য রয়েছে এবং তারা সেই লক্ষ্যগুলো অর্জন না করা পর্যন্ত নতুন কোনো লক্ষই নিজেদের জন্য নির্ধারণ করবে না। তবে এখানে একটি কথা আছে, বেশিরভাগ লোকেরা যেটাকে তাদের লক্ষ্য বলে মনে করে তা আসলে লক্ষ্য নয় বরং নিছক কল্পনা। অনেকের সঙ্গে আলোচনা করে খোঁজখবর নেওয়ার পর তাদের লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে জানতে পারি। তাদের দৃষ্টিতে তাদের লক্ষ্যগুলো হলো..
'আমি ধনী হতে চাই'। (অথচ লক্ষ্য হলো : আগামী পাঁচ বছর পরে আমি ক কোটি টাকার মালিক হতে চাই।)
'আমি সুখী এবং সন্তুষ্ট হতে চাই। 
'আমি ওজন কমাতে চাই."
'আমি সফল হতে চাই'।
'আমি আমার প্রতিষ্ঠানে একটি বড় পদ পেতে চাই।"
"আমি একজন ভাল বাবা/মা হতে চাই এবং আমার বাচ্চাদের আরও ভালভাবে যত্ন নিতে চাই।
তবে এগুলোর মধ্যে সব চেয়ে বিখ্যাত লক্ষ্য হলো “ আমি আমার জীবনে বড় কোনো কিছু করতে চাই।”
এটা পড়ে আপনি হয়তো হাসছেন, কিন্তু এটা দিবালোকে স্বপ্ন দেখা ছাড়া আর কি?
এগুলো মোটেও লক্ষ্য নয়। এগুলো নিছক কল্পনা, যা সবার কাছে সাধারণ একটি লক্ষ্য। 
লক্ষ্য হলো সাধারণ ইচ্ছে থেকে স্বতন্ত্রভাবেই ভিন্ন। লক্ষ্য হতে হয় স্পষ্ট, লিখিত এবং নির্দিষ্ট। এটা অন্য ব্যক্তির কাছে সহজেই উপস্থাপন করা যায়। এটা পরিমাপ করা যায় এবং আপনি এটা সম্পর্কে জানেন যে তা আপনি অর্জন করছেন নাকি করছেন না।
পিটার ড্রাকার তার ম্যানেজমেন্ট বাই অবজেক্টিভস আর্টিকেলে বলেছেন “লক্ষ্যগুলো স্মার্ট হতে হবে।” তিনি আসলে বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, একটি লক্ষ্য নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য, বাস্তবসম্মত এবং সময়সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত। নিচের সারণীতে, আমরা দেখব কিভাবে আমরা তা নির্ধারণ করতে পারি।

একটি লক্ষ্যের মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি হলো এটা সময়সীমাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। যদি লক্ষ্যের জন্য কোন সময় সীমা নির্ধারণ করা না থাকে তাহলে আপনি দেরি করতে থাকবেন এবং সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনি এটা অর্জন করতে পারবেন না। যাইহোক, একটি সময়সীমা নির্ধারণ করার মাধ্যমে আপনি নিজেই নিজেকে ধাক্কা দিতে থাকেন। আপনি পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেন এবং তারপরে আপনি নিজেকে সেই পথে রাখেন যা আপনাকে শেষ পর্যন্ত আপনার লক্ষ্যে নিয়ে যাবে। ডায়ানা স্কার্ফ দুর্দান্ত একটা কথা বলেছেন, “লক্ষ্য হলো সময়সীমার সাথে একটি স্বপ্ন। আমি এখানে আরও একটি উপাদান যোগ করব। সেটা হলো কর্মপরিকল্পনা”।

 মানুষ লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে না, তার দ্বিতীয় কারণ হলো তারা কখনই লক্ষ্য নির্ধারণ করেনি। 
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের অভিভাবক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো আমাদের লক্ষ্য কি হবে সেটা, আমরাও সেই পথে চলেছি। আমাদের সব সময় বলা হয়েছে স্কুল বা কলেজে পরীক্ষায় কত নম্বর পেতে হবে, কি রেজাল্ট করতে হবে। এমনই আমাদের কোন কলেজে পড়ার, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার লক্ষ্য হওয়া উচিৎ সেটাও তারা আমাদেরকে নির্ধারণ করে দিয়েছে। এখানেই শেষ না, আমাদের জীবনসঙ্গী থেকে শুরু করে কত বছর বয়সে বাচ্চা নিতে হবে, কতগুলো বাচ্চা আমাদের থাকা উচিৎ সেটাও তারা নির্ধারণ করে দেয়। আমরা সেগুলোকে নিজেদের লক্ষ্য বানিয়ে সে পথেই চলতে থাকি। 

সুতরাং, এখানে যাদের বয়স ২৫ এবং কর্পোরেট জগতে প্রবেশ করছে তারা কখনো নিজেদের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেনি। এটা আমার কাছে বিস্ময়কর নয় যে, তিনি
কর্মজীবনে যোগদান করেছেনন এবং উপার্জন শুরু করেছে। এখানে সে যাই করবে তা তার বসের নির্ধারণ করা লক্ষ্য, নিজের না। 

একবার আমি একটি আপমার্কেট রিসর্টে আমার কোম্পানির একটি “রিভিউ-মিটিংয়ে” অংশগ্রহণ করছিলাম। কোম্পানির শীর্ষ ম্যানেজমেন্ট সেই বছরই আমাদের কী অর্জন ছিল এবং আমাদের কী লক্ষ্য অর্জন করা উচিত সে সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা দেন।

আমি সভায় উপস্থিত লোকজনের চারপাশে তাকালাম। এরা সবাই ছিলেন পাকা ব্যাংকার, আন্তরিক ও পরিশ্রমী কর্মচারী। তারা সবাই শীর্ষস্থানীয় কর্তারা যা করতে বলছিলো তার সাথে একমত হয়ে মাথা নেড়েছিল, আমি জানতাম তারা তাদের শীর্ষ ব্যবস্থাপনাকে হতাশ করবে না। 
তারা অনেক কঠোর পরিশ্রম করবে কোম্পানির লক্ষ্যগুলো পূরণ করার জন্য। এখানে আমি দেখেছি, কিভাবে কোম্পানি তার কর্মীদের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং শেয়ারহোল্ডারদের মান বাড়াতে পারে। সকল কোম্পানিই জানে এবং বুঝে যে তারা নিজেদের কর্মীদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিলে এবং অর্জনের পরিকল্পনা করার মাধ্যমে নিজেদের বৃদ্ধি করতে পারে। 

 কিন্তু এই যে কোম্পানির কর্মচারী, কর্মকর্তা আছে তাদের লক্ষ্যের কি হবে? কে যত্ন করে এসবের? কর্মচারীরা কোম্পানির নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে, লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং সময় অনুযায়ী পূরণ হয়। ফলে শেয়ার হোল্ডাদের দাম বাড়ে, মানও বাড়ে। এতে সবাই খুশি। সত্যিই কি সবাই খুশি? আমার কিন্তু সন্দেহ আছে।

আমি বলছি না আপনার কোম্পানির লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করা উচিৎ না। আমি মূলত বলতে চাই, কোম্পানির লক্ষ্য অর্জনের আগে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, পরিকল্পনা করুন।শেয়ারহোল্ডারদের জীবন উন্নত করার জন্য কাজ করার আগে আপনার নিজের জীবনকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
এখানে সহজ একটা উপায় হলো, আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য এবং কোম্পানির নির্ধারণ করা লক্ষ্যকে একত্রিত করুন। 
ফলে আপনার এবং কোম্পানির উভয়েরই বৃদ্ধি হবে। ধরুন, কোম্পানি আপনার সেল টার্গেট দিলো ৫০ লক্ষ পিস, আপনার নিজস্ব লক্ষ্য হলো তিন লাখ সেলস কমিশন৷ তাহলে দেখা যাবে আপনি সেলস কমিসন এর সাথে বেস্ট সেলার এর তকমাটিও পেয়ে যাবেন। আবার কোম্পানিও অধিক সেল পাবে৷ 

কোনো কাজ করাই কোনো অর্জন নয়
আমরা অনেকেই মনে করি, আমরা যখন কোনো কিছু করতে ব্যস্ত থাকি তখনই আমরা কিছু অর্জন করি। তবে এটা সব সময় এমন না-ও থাকতে পারে। প্রখ্যাত ফরাসি প্রকৃতিবিদ ও উদ্ভিদবিদ জিন-হেমরি ফ্যাব্রে একবার পাইন-দলের শুঁয়োপোকার উপর একটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিলো। তাদের একটা বৈশিষ্ট্য হলো, এরা পূর্ববর্তীদের প্রচুর অনুসরণ করে। একদিন ফ্যাব্রে একটা ফুলের পাত্র নিয়ে বেশ কয়েকটি পাইন রাখলো। পাত্রের রিমের চারপাশে শুঁয়োপোকার দল ঘুরতে থাকলো। প্রতিটি শুঁয়োপোকার মাথা তার সামনের শুঁয়োপোকার লেজের সাথে স্পর্শ করে। বৃত্তের মতো পাত্রের রিমের চারপাশে তারা ঘুরতে থাকলো। বৃত্তের মাঝামাঝি জায়গায় শুঁয়োপোকার প্রিয় খাবার রাখা ছিলো। কিন্তু প্রতিটি শুঁয়োপোকা খাবারের দিকে যাচ্ছে ভেবে সামনের শুঁয়োপোকাকে অনুসরণ করতে থাকলো। নির্বোধভাবে তারা সাতদিন এভাবে চলার পরে মারা গেলো। এখানে তাদের খাবার ছিলো মাত্র ৬ ইঞ্চি দূরে, কিন্তু তারা সেটা না করে তাদের সামনের পোকাকে অনুসরণ করে বৃথা চেষ্টা করতে থাকল। 

আমরা মানুষ সবাই আলাদা। সৃষ্টিকর্তা আমাদের লক্ষ্য বেছে নেওয়ার এবং আমাদের দিক পরিবর্তন করার ক্ষমতা দিয়েছেন যাতে আমরা তা পূরণ করতে পারি। কিন্তু আমরা কি করি? অন্ধের মতো অনুসরণ করতে থাকি। ফলে আমরা খুব অল্প কিছুই পাই, অথচ আমাদের অল্প একটু দিক পরিবর্তন করলেই অনেক বড় সমৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ ছিলো। 
অনেক মানুষই এই পোকার মতো ভুল করে, ফলে তারা ফসলের খুব অল্প অংশই পায়, অথচ তাদের জন্য ছিলো অপার এক সম্ভাবনা। আমরা প্রায়ই, কোনো কারণ ছাড়াই একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে থাকি এই বলে যে “এটা সব সময় এমনভাবেই করা হয়েছে।” 

একবার এক ছেলেকে তার স্ত্রী হ্যাম কিনতে দোকানে পাঠিয়েছিলো। হ্যাম হলো এক ধরণের প্রক্রিয়াজাত মাংস। যা হোক হ্যাম কিনে আনার পরে ছেলেটি দেখলো, তার স্ত্রী হ্যামের এক প্রান্ত কেটে ফেলে দিলো। তখন সে তার স্ত্রীকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তার স্ত্রী জবাবে বলল “আমি এমনটা জানিনা, তবে আমার মা সব সময় হ্যামের এক প্রান্ত কেটে ফেলত।”
জবাব শুনে সে তার স্ত্রী সহ মায়ের কাছে গেলো কারণ জানতে। তার স্ত্রীর মা বলল, আমি এমনটা জানিনা। আমি নিজেও দেখেছি আমার মাকে এমন করতে।
ছেলেটি এই তিন প্রজন্মের এমন রহস্য জানার জন্য শাশুড়ি,স্ত্রী সহ দাদি শাশুড়ীর কাছে গেলো। দাদি শাশুড়ির জবাব ছিলো “আমি এমনটি করতাম কারণ আমার টোস্টারটি আকারে ছোট ছিলো, এ কারণে রান্না করার জন্য কাটতে হতো।”

অতঃএব কাজটি লক্ষ্যের অনুকূলে থাকা পরিকল্পনা অনুযায়ী করুন। অন্যরা যা করছে তা করতে যাবেন না।

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

লক্ষ্য নির্ধারণের গুরুত্ব, লক্ষ্য নির্ধারণ করার পরে তা কিভাবে আমাদের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা করে সেগুলোতো আমরা জানতে পারলাম। এবার জানা যাক, কিভাবে আমরা নিজেরা নিজেদের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করব। বিখ্যাত আমেরিকান উদ্যোক্তা, লেখক এবং বক্তা জিম রোহন লক্ষ্য নির্ধারণের একটি দুর্দান্ত উপায় বলেছেন। লক্ষ্যগুলো একটি বড় পদ্ধতিতে নির্ণয় করতে হয়। এ জন্য আপনাকে একটি খাতা কলম নিয়ে বসতে হবে। এরপর খাতায় নিচের মতো করে লিখুন।

লক্ষ্য: এটা হলো আপনার গন্তব্য। এটা হতে পারে আপনি যা হতে চান, যে কোনো বস্তুগত অধিকার আপনি অর্জন করতে চান, যে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে চান বা কোনো নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা যা আপনি উপলব্ধি করতে চান। যেমন: ছুটিতে/ভ্রমনে যাওয়া।

যেমনটি আমরা আগে আলোচনা করেছি, আপনার লক্ষ্যগুলো নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য এবং চ্যালেঞ্জিং হওয়া দরকার। এগুলো আপনাকে অবশ্যই কিছুটা বড় করতে হবে এবং অতীতে আপনি যা অর্জন করেছেন তার বাইরে হতে হবে। এছাড়াও, আপনার লক্ষ্যগুলোতে সাফল্যের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকা উচিত। এটা লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটিকে কিছুটা চাপযুক্ত করে তুলবে, তবে এটা আপনাকে বৃদ্ধি পেতে, প্রসারিত করতে বাধ্য করবে। আপনার এমন অনেক সেরা গুণাবলী বের করে আনবে যেগুলো সম্পর্কে আপনি জানেন না।

লক্ষ্য পূরণের সময়সীমা/সম্পন্ন করার সময়: এটা আপনার লক্ষ্য তালিকার প্রতিটি লক্ষ্যকে অর্জন করতে আপনাকে যে মাস বা বছরের সময় আছে তার সংখ্যা বা পরিমাপ বলে দেয়। একবার আপনি এটা সম্পন্ন করার পরে, আপনার লক্ষ্যগুলো ভারসাম্যপূর্ণ কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি দেখেন যে আপনার দশ বছরের লক্ষ্য অনেক বেশি কিন্তু এক বছরের লক্ষ্য খুব কম, তাহলে এর অর্থ হতে পারে যে আপনি লক্ষ্যের তারিখ স্থগিত করে বর্তমান সময়ে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে, আপনার যদি খুব কম দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য থাকে, তাহলে সম্ভবত আপনি সিদ্ধান্ত নেননি যে আপনি দীর্ঘমেয়াদে কী ধরনের জীবন গড়তে চান। এখানে চাবিকাঠি হলো স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের মধ্যে ভারসাম্য বিকাশ করা।

বিশদভাবে বর্ণনা/ লক্ষ্যের বিস্তারিত বর্ণনা: আপনার লক্ষ্যকে বিশদভাবে বর্ণনা করুন। উদাহরণস্বরুপ, আপনি যদি একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ সঞ্চয় করতে চান তবে শব্দ ও সংখ্যায় লিখুন। আপনি যদি কোনো বস্তগত বিষয় হয়, তাহলে কতক্ষণ, কত উচ্চতার, রঙ কেমন, মডেল কোনটা এসব সহ বর্ণনা করে লিখুন। 
যদি ব্যবসার লক্ষ্য হয়, তাহলে বেতন, শুরু তারিখ, বাজেট, শিরোনাম, বাজেটের অধিনে থাকা কাজ, আপনার নিয়ন্ত্রণ, কর্মীর সংখ্যা ইত্যাদি লিখুন।

কারণ: এটা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা হলো আপনার লক্ষ্যের আত্মা। আপনি কেন বর্ণিত লক্ষ্যগুলো অর্জন অর্জন করতে চান তা এখানে উল্লেখ করতে হবে৷ এখানে, আপনি খুঁজে পাবেন যে আপনি সত্যিই এটি চান কিনা। আপনি কেন এটা চান তার যদি আপনি একটি স্পষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্য কারণ নিয়ে আসতে না পারেন তবে আপনার এই লক্ষ্যটিকে একটি বাতিক হিসাবে ভাবা উচিৎ। সত্য হিসাবে নয়। কারণের মাধ্যমে আপনি আসলে গুরুত্বটা বুঝতে পারবেন, প্রয়োজনটা বুঝতে পারবেন৷ 

এর মাধ্যমে আপনি পরিমার্জিত এবং সংশোধিত করতে পারবেন আপনার লক্ষ্যগুলোকে৷ তাই এভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন সহজেই। 

আপনার লক্ষ্য অর্জন

আপনি যখন আপনার লক্ষ্যগুলোকে নির্ধারণ করবেন এবং সেগুলোকে কাগজে লিখে ফেলবেন তখন প্রক্রিয়াটি দ্বারা সহজেই অভিভূত হবেন। আপনার প্রতি আমার প্রথম পরামর্শ হলো, আপনি একটু আরাম করুন। 
আপনার যদি মনে হয়, আপনি যা চান তা পারবেন না তাহলে জিম রোহানের কথাটি মনে রাখবেন আপনার ক্ষমতা আপনার স্বপ্নের সাথে বাড়তে থাকবেন”।

এটাই লক্ষ্য নির্ধারণের যাদু। আপনি যখন আপনার লক্ষ্যে কাজ করা শুরু করবেন তখন আপনি আপনার অব্যবহৃত সম্ভাবনা এবং প্রতিভাগুলোকে খুজে পাবেন৷ এমনকি সময়ের সাথে সাথে আপনি আপনার সৃজনশীল মনের গভীরে নতুন সম্ভাবনা দেখবেন। আপনি এটা জানার আগে, আপনি এমন জিনিসগুলো সম্পাদন করতে সক্ষম হবেন যা অর্জন করা অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল।
এছাড়াও আপনি আপনার লক্ষ্যগুলোর জন্য যত বেশি কাজ করবেন, তত বেশি নতুন সুযোগগুলো আপনার সামনে উপস্থিত হবে। আপনি চিন্তাভাবনা এবং বাহ্যিক কারণগুলোকে ফিল্টার করা শুরু করবেন যা আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং এটা আপনাকে আরও বেশি সুযোগ পেতে সহায়তা করবে। আর প্রতিটি নতুন সুযোগের