Friday, January 31, 2025

পুরুষ বিয়ের পরে তার অর্ধাঙ্গিনীর কিছু তুচ্ছ বিষয়ের প্রেমে পড়ে যায়

পুরুষ বিয়ের পরে তার অর্ধাঙ্গিনীর কিছু তুচ্ছ বিষয়ের প্রেমে পড়ে যায়। যেমন─

০১. দৃষ্টিঃ
পুরুষ বাড়ি ফিরলে, তার দিকে সঙ্গিনীর তাকানোটা, পুরুষের কাছে ভীষণ সুখকর প্রাপ্তি। যতোই ব্যস্ত থাকুন ,এটুকু তাকান মুচকি হেসে.. একটু ঘাড় ফিরিয়ে তাকালে চুলার রান্না পুড়ে যাবে না, একটু চোখ তুলে তাকালে ফোনের মুভিটা চিরতরে মিস হয়ে যাবে না। আপনার এমন অপরূপ চোখ দুটির গাঢ় দৃষ্টির অপার্থিব সুখ তাকে দিন!বাহিরের সকল কষ্ট, গ্লানি, ক্লান্তি নিমিষেই দূর করে আপনিই তার মনটা প্রশান্ত করতে পারবেন। 
 
০২. ধন্যবাদঃ
স্বামী স্ত্রীর প্রতি স্বাভাবিক দায়িত্বগুলোই পালন করে,তবুও,তার কাজটুকুকে ধন্যবাদ দিলে,তিনি অকল্পনীয় সুখ পান। একটি ফুল উপহার পেলে ধন্যবাদটুকু দিন..এই ধন্যবাদ তাকে বুঝিয়ে দেয় তার প্রেমটুকু মূল্যহীন নয়। সবসময় শব্দ দিয়ে ধন্যবাদ দিতে হয় না, মিষ্টি হাসির আভাতেই নিঃশব্দে জানিয়ে দিন─ 'থাঙ্কু।'

০৩. মানসিক আশ্রয়ঃ
পুরুষ স্ত্রীর কাছে আমৃত্যু একটি জিনিসই চায়─ মায়ের মতো আশ্রয়। তাকে অনুপ্রেরণা দিন,,,পজিটিভ আচরণের মাধ্যমে। আপনি তার স্বস্তি হোন। নিজের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে বলতে থাকবেন না, তাকে বলেন ~ "এ মাসে আপনি একটি শার্ট কিনবেন।" এবং আমিই কিনে দিবো। এটি তার কাছে উপহার নয়, তার চেয়েও বেশিকিছু─ প্রেমময় আশ্রয়। আপনার স্বামী কি বৈধতম ভালোবাসার সাথে এটুকু যত্ন ও গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না আপনার কাছ থেকে?

০৪. বন্ধুতাঃ 
আপনি নিজেকে স্বামীর পুরস্কার ভাববেন না।এই ভুলটি প্রায়ই করে নারীরা। মারাত্মক ভুল এটি! নারী ভেবে বসে থাকে─ 'আমি রূপবতী, আমি দেহসৌষ্ঠবে অতুলনীয়া, অতএব সে যে আমাকে পেয়েছে, এটাই বিশাল সৌভাগ্য তার।' না, সে আপনাকে পেয়েছে তার এতোটা যোগ্যতা আছে বলেই। আপনি তার তাকদিরে আছেন। নারীর ওই আচরণে পুরুষ মানসিকভাবে তীব্রভাবে আহত হয়। আপনি নিজেকে আপনার পুরুষের 'ট্রফি' ভাববেন না। একটি সুখী দাম্পত্যের পূর্বশর্ত হলো─ বন্ধুতা। বন্ধুতা তুচ্ছাতিতুচ্ছ আচরণেও প্রকাশ পায়: তার চুলে হাত রাখে তাকে মিষ্টি কটাক্ষে বলুন─ "আজকের চা আমি বানাবো না,,আপনি আমার জন্য বানাবেন।"!! 🥰

সম্পর্ককে জটিল করে তুলবেন না, ছোট্টছোট্ট কমপ্লিমেন্টে ভরিয়ে তুলুন। হ্যাঁ, এরকম তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়গুলোই পুরুষকে নারীর তীব্রতম প্রেমিক করে তোলে।
পরিশেষে মনে রাখবেন:- স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের পরিপূরক.. প্রতিদ্বন্দ্বী নয়!
#followerseveryonehighlights #followersreels #অভিমান_ভাঙ্গানো #personalati #follower #followforfollowback #follow #followme

Monday, January 27, 2025

ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলারা শেখানোর উদ্দেশ্যে কুরআন শরীফের এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করতে পারবে কি?

প্রশ্ন : ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলারা শেখানোর উদ্দেশ্যে কুরআন শরীফের এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করতে পারবে কি? আমি একজন থেকে শুনেছি, শেখানোর উদ্দেশ্যে এক আয়াত এক আয়াত করে তিলাওয়াত করা জায়েয হবে। কিন্তু একজন আলেম বললেন, শেখানোর উদ্দেশ্যেও এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা জায়েয হবে না।

হযরতের কাছে সঠিক মাসআলাটি জানতে চাচ্ছি। দলীলসহ বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।

উত্তর :
ঋতুস্রাব অবস্থায় মহিলাদের জন্য অন্যকে শেখানোর উদ্দেশ্যেও কুরআন মাজীদ পড়া জায়েয হবে না। এমনকি এক আয়াত এক আয়াত করেও পড়া যাবে না।

এক বর্ণনায় এসেছে, হযরত হাসান বসরী রহিমাহুল্লাহ ও হযরত কাতাদা রহিমাহুল্লাহ বলেন, ঋতুমতি নারী ও যার উপর গোসল ফরয হয়েছে সে কুরআনের কোনো অংশই পড়বে না। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ১৩০২

এছাড়াও হযরত ওমর, হযরত জাবের ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম, ইবরাহীম নাখায়ী রহিমাহুল্লাহ প্রমুখ সাহাবা ও তাবেয়ীন থেকেও এ ব্যাপারে বহু হাদীস ও আসার বর্ণিত হয়েছে। এসব দলীলের আলোকে ফকীহগণ বলেন, ঋতুমতি নারীদের জন্য এক আয়াত পরিমাণও পড়া জায়েয নয়। এমনকি শেখানোর উদ্দেশ্যেও জায়েয নয়।

সুতরাং কুরআন মাজীদ শেখা-শেখানোর সাথে সম্পৃক্ত মহিলাগণও ওজরের দিনগুলোতে কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত থাকবেন। অবশ্য একান্ত প্রয়োজন হলে পূর্ণ আয়াত তিলাওয়াত না করে এক-দুই শব্দ করে বলে দিতে পারবেন।

-বাদায়েউস সানায়ে ১/১৫০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৪৮০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৩০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৯

[সূত্র : মাসিক আল কাউসার
শাবান ১৪৪৫ || ফেব্রুয়ারি ২০২৪]

আরো সংযোজন - @Rahat Hossain হাফি. এর একটা প্রশ্নোত্তর হতে।
.

পিরিয়ড চলাকালিন সময়ে কোরআনের ছোট কোনো সুরাও পড়া যাবে না,যদিও না দেখে পড়ুক।

হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১

পিরিয়ডের সময় মহিলা কুরআন তেলাওয়াত ব্যতীত সকল প্রকার দু'আ-দুরুদ এবং তাসবিহ ইত্যাদি পড়তে পারবে। দু'আর নিয়্যাতে কোরআনের ঐ সমস্ত আয়াত ও তেলাওয়াত করতে পাবেন,যে আয়াত সমূহে দু'আর অর্থ নিহিত রয়েছে। (আহসানুল ফাতাওয়া ২/৬৮)

#আয়াতুল কুরসী ও কোরআনের অন্যান্য অংশ দোয়া ওযিফা হিসেবে পাঠ করা যাবে।"


আরো সংযোজন উস্তাদ Mawlana Rabiul Hasan এর একটি প্রশ্নোত্তর হতে -

কোনোক্রমেই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করা যাবে না। এটি সম্পূর্ণ হারাম৷ 
فقط والله أعلم بالصواب.