Thursday, September 21, 2023

নারীদের গণহারে চাকরিতে আসা : লাভের গুড়, লসের বিষ

|| নারীদের গণহারে চাকরিতে আসা : লাভের গুড়, লসের বিষ || 

নারীকে গণহারে (বিনাপ্রয়োজনে) চাকুরিতে আসতে উদ্বুদ্ধ করার যে ট্রেন্ডটা, সেটা পুরুষ তৈরি করেছে পুঁজিপতি পুরুষেরই সুবিধার্থে।  

নারীকে পুঁজিবাদের ওয়ার্কফোর্সে টেনে আনার একটা ফাঁদ এই স্বাবলম্বিতা, এই ক্ষমতায়ন, এই চাকরির টোটকা। একটু চিন্তা করুন, চাকরির বাজারে শুধু পুরুষ। এবার চাকরির বাজারে সমান সংখ্যক নারী চলে এল। শ্রমের যোগান বেড়ে গেল। চাহিদার চেয়ে যোগান বেড়ে গেলে মূল্য কমে যায়। শ্রম হয়ে গেল সস্তা। কার লাভ? ভেবে বল। যাদের লাভ, ‘নারী, চাকরি করো’— এটাও তাদেরই বুলি। 

তাদের—
* নারীশিক্ষা মানে শিক্ষিত হয়ে চাকুরিতে আসো। 
* নারী অধিকার মানে ঘরের বাইরে চাকুরি করার অধিকার,
* নারীর ক্ষমতায়ন মানে চাকুরি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা।
* নারী স্বাধীনতা মানে পরিবারের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে চাকরি করার স্বাধীনতা।
* নারী, তোমার স্বামী তোমার উপর জুলুম করে, ডিভোর্স দিয়ে চাকরি কর, সমাধান।
* তোমার উপর ম্যারিটাল রেপ হয়, চাকরি কর। 
* পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তোমার ভাল চায় না, চাকরি কর। 

সব কিছুর সমাধান হলো, চাকরি কর, অর্থনীতিতে আসো, টাকা কামাও। আমার কাজে লেগে যাও। ব্যস। এটাই সমাধান। এটাই আলাদিনের জাদুর চেরাগ। 

কেননা নারীদের শ্রমবাজারে রাখাটা পুঁজিপতিদের পক্ষে ব্যাপক লাভজনক। এতে চাকুরির প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়। মেয়েদের জন্য চাকরি অপশনাল, আর পুরুষের তো ‘না হলেই নয়’। ফলে, পুরুষরা আগের চেয়ে কম বেতনেও শ্রম দিতে তৈরি থাকে। [গ] ১৯৬০-এর দশকের শেষার্ধে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের বেতন কমে যায়, বেকারত্ব বেড়ে যায়। (Hernandez 1993, Zill & Nord 1994) । বাংলাদেশে আজও সরকারি হিসেবেই ২৬ লক্ষ পুরুষ বেকার, যাদের চাকরি প্রয়োজন। আজকে আপনার বেকারত্বের পিছনে, কম বেতনে বেশি খাটার পিছনে এইসব নারীবাদী পলিসি দায়ী। মার্কেটে একটা কৃত্রিম প্রতিযোগিতা তারা তৈরি করে রেখেছে। 

পুঁজিপতিরা তো চায়, বেতন কম দিলে পুঁজিপতির পকেটে মুনাফা থাকবে বেশি। তাহলে নারীদের এখন শ্রমবাজারে ধরে রাখতে হবে যেকোনো মূল্যে। আর নারীদের শ্রম ধরে রাখতে হলে করতে হবে তিনটি কাজ—
* পরিবার গঠন-কে পেছাতে হবে স্বাবলম্বী হবার নামে। নারীদেরকে পরিবারমুখী থেকে ক্যারিয়ারমুখী করতে হবে। [ঘ] চাকরি, ক্যারিয়ার—এসবকে মর্যাদার কাজ হিসেবে বুঝাতে হবে। 
* ‘আগে আগে বিয়ে’-কে ভিলেন বানাতে হবে। [ঙ]
* বিয়ে, গর্ভধারণ, বাচ্চাপালন-কে ছোট ও ঘৃণ্য কাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেন এগুলো করতে নারী অনীহা বোধ করে। [চ] 

নারীকে তার জেন্ডার রোল থেকে বাইরে বের করে পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতায় লাগিয়ে দিতে হবে। 

শারীরিক গঠনের পার্থক্য এমনভাবে এসেছে, যাতে নারী-পুরুষের কেন্দ্রীয় উদ্দেশ্য আলাদা হয়ে গেছে। পুরুষ বাইরে প্রতিকূলতা চষে বেড়াবে, জীবিকা আনবে, প্রতিপত্তি দিয়ে নারী-শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে। আর নারী ঘরে অনুকূল পরিবেশে সন্তান সামলাবে, সন্তানকে স্বাবলম্বী মানব হিসেবে জীবনযুদ্ধের জন্য রেডি করবে। এটা হচ্ছে আমাদের বায়োলজিক্যাল ভূমিকা। জেন্ডার রোল পুরোটাই সমাজ শেখায় না। আমাদের দেহমনের নকশার ভেতরে আছে জেন্ডার রোল। 

৯টা-৫টা চাকুরির নামে বায়োলজিকে অস্বীকার করে নারীরা নিজেদের অসুস্থ করে ফেলছে, পরবর্তী প্রজন্মকে অসুস্থ করে ফেলছে। কীভাবে সেটা দেখবো সামনের পোস্টে। নারীদের গণহারে চাকরিতে আসার দ্বারা লাভবান হয় কিছু লোভী পুরুষ, লোভী স্বামী। আর লুজার হয় নারী নিজে। সেই লসের মাশুল সে দিবে নিজ শরীরের অসুস্থতা দিইয়ে, মানসিক অস্থিরতা দিয়ে, সন্তানের সাথে দূরত্ব দিয়ে এবং সন্তানের অবিকাশ দিয়ে। বিনা প্রয়োজনে নারীর চাকুরির মানসিকতায় ভুক্তভোগী নারীই, অন্য কেউ না। 

আমার বউ চাকরি করলে তো আমারই লাভ। যদি আল্লাহকে ভয় না করতাম, তবে স্ত্রীকে অবশ্যই চাকরি করতে বাধ্য করতাম। আল্লাহর দেয়া কর্মবণ্টনকে যদি স্বীকার না করতাম, ২০-৩০ হাজার টাকার লোড অবশ্যই নিজের উপর থেকে কমিয়ে ফেলতাম ।

Dr. Shamsul Arefin 

Wednesday, September 20, 2023

home schooling

I consider home education an integral part of parenting. 

Having children requires *raising* children, and a big part of raising children is educating them in all kinds of things. 

We as parents naturally love our children, and we nourish them physically with wholesome nutrition, emotionally with wholesome bonds, and intellectually and mentally with wholesome concepts, ideas, and principles. 

We teach our children first how to sit, how to stand, how to walk, how to talk, how to eat, how to throw a ball. Then as they get a bit older, we teach them how to wash their hands, how to brush their teeth, how to dress themselves, how to put away their toys after playing. 

Then they get older still, and ask many questions about the world and their environment, and we answer all their questions. 

We teach them Islam: we talk to them about Allah, our love for Him and our gratitude for His blessings on us, and how He has created the sun and the moon and the stars and mountains and birds and flowers. About the Prophet ﷺ and his beautiful life story. About the dunya and the Akhirah, about the creation of Adam and the plot of Shaytan. The Prophets and their amazing stories. The Sahaba and their heroic strengths. 

We teach them basic fiqh: how to make wudu, how to pray, how to cover the awrah, how to eat the sunnah way, haram and halal. Simple du`as for when we wake up in the morning, when we enter the restroom, when we get in the car, when we get in bed at night. 

Then we instill in their hearts values and begin to shape their character: how to be honest, how to be responsible, how to obey parents, how to respect elders, how to have mercy on the young, how to give in charity, how to set our intentions (نية , niyya), how to express our feelings to others, how to rely on Allah with full tawakkul (توكل, trust). 

After all this, the important underlying foundation has been built. The stage is now set for more learning, more tarbiya, تربية. 

Why stop now?

Why should we, as parents, suddenly stop teaching our children abruptly when we've been teaching them things since the day they were born?

We teach them Quran, first and foremost. We repeat it with them so they memorize it. Then we teach the meanings (تفسير, tafsir), narrate the stories, provide the context of the surahs. We teach hadith, first short simple ones, then longer. We teach the seerah more formally, first of Prophet Muhammad ﷺ then of his Sahaba and the Khulafa' Ar-Rashidun, then progress into the rest of Islamic history. 

We also teach our children more "academic" subjects as well. We teach them math, reading, writing, art, science, geography, and world history. We educate them in multiple languages if we are able: English, Arabic, or whatever our mother tongue is. We pass down this wealth of knowledge to our children, in the richness of traditional Muslim languages and not merely limited to only English. 

This is تربية: tarbiya. Child-rearing. 

Raising a whole human being. 

Addressing the physical, emotional, psychological, mental, spiritual, and intellectual needs of the child. 

Why should we arbitrarily set random limits on what we teach our own children, and what we will hand over our children to strangers to teach? 

We know our own children best, not some stranger!

We parents have been present from the beginning. 

My eldest child is 11 years old alhamdulillah, so in my mind, I have been raising and educating my children for eleven years. 

This is the start of our twelfth year homeschooling, in the larger sense referring to tarbiya and general education. 

But in the more narrow definition of homeschooling using the ideas of the public-school model, where children start "formal schooling" in kindergarten at 5 years old, it's been six years. 

But I don't tend to follow that mass-schooling model anyway. Formal schooling for us starts around seven years of age, or based on the interest and enthusiasm of each child. 

I keep a simple spiral notebook each year as my Homeschool Tracker, kept for my own records over the years. In it, I write down what we accomplish that year. It is a daily log of the subjects for each child, the material we go through, the surahs memorized and the books read and even the field trips or experiments we embark on. It is also partially a journal, documenting my own thoughts, frustrations, struggles, and joys as I work with my children. It helps keep me on track, as well as keep me motivated and consistent. 

Yesterday, as I made my Homeschool Tracker for the new 2023-2024 school year, I looked yesterday through my old notebooks and was hit with a wave of emotion. 

I started the notebook tradition in 2019, when my first child was loosely in first grade. It's amazing to me to go back and read my old notes, the daily logs from so many years ago. To see the general progress and all the changes. What I struggled with that is no longer a problem, and the challenges that remain challenging for me even now. It's always fascinating to pause where you're standing and look back, reviewing the journey you have taken. 

Homeschooling isn't always easy, but it is 100% worthwhile, meaningful, and beautiful. It is the best journey to take with your children, especially for us as Muslims. Alhamdulillah.

Umm Khalid