বিয়ের প্রথম বছর পুরুষেরা এই কাজগুলি করতে ভুলে গেলেই চরম বিপদ! জেনে আগে থাকতেই সাবধান হন।
বিয়ে করার পরই শুরু হয় পুরুষের দ্বিতীয় জীবন। তাঁদের নতুন করে সব হিসেবনিকেশ চালু করতে হয়। সেক্ষেত্রে বিয়ের প্রথম বছর এই ৫টি কাজ না করলে জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। আসুন জানা যাক।
বিয়ের পর পুরুষের মনে একরাশ ঠান্ডা বাতাস খেলে যায়। মনে হয় স্ত্রীকে ছাড়া যেন জীবন কাটানোই অসম্ভব। ভালোবাসার উথালপাতাল ঢেউ বয়ে যায় হৃদয়ের সমুদ্রে। তবে প্রেমের রূপসাগরে দাঁড়িয়েও পুরুষেরা কিছু অতি প্রয়োজনীয় কাজ করতে ভুলে যান। আর এর থেকেই দাম্পত্যে জন্ম নেয় নিম্নচাপ।
অনেকেই ভীষণ ভুলো স্বভাবের হয়ে থাকেন। তাঁরা নানা কাজের মধ্যে ডুবে থাকেন। ফলে স্ত্রীকে ভালোবাসলেও, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার কথা মাথা থেকে উড়িয়ে ফেলেন। আর সেই কারণেই সমস্যা তৈরি হয় দাম্পত্যে। এমনকী এই জটিলতা অনেক ক্ষেত্রে বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
স্বামীদের মনে রাখতে হবে যে মহিলারা খুব চাপা স্বভাবের হন। তাঁদের মুখ থেকে আপনি সমস্যার কথা সহজে বের করে আনতে পারবেন না। কিন্তু ভিতরে একটা চাপা হতাশা তাঁদের গ্রাস করে নেয়। তাই এই বিষয়ে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা দরকার।
মুশকিল হল, বেশিরভাগ পুরুষেরাই জানেন না যে বিয়ের প্রথম বছর কোন কাজগুলি করা আবশ্যক?
এই পোস্টে সেই উত্তরই দেওয়া হল। আপনি এই তালিকা মিলিয়ে চলতে পারলেই আগামীদিন হবে সুখের।
১. সময় কথা বলে...
-------------------------
আপনাকে অবশ্যই স্ত্রীকে সময় দিতে হবে। সময়ের ঘাত-প্রতিঘাতেই একটি সম্পর্ক সম্পূর্ণ রূপ পায়। এমনকী গড়ে ওঠে ভরসা, ভালোবাসার বন্ধন। তাই বিবাহের পরবর্তী একবছর স্ত্রীকে যেন তেন প্রকারেণ সময় দিন। চেষ্টা করুন এই বছরটায় অফিসে কম সময় কাটানোর। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসুন। আপনি স্ত্রীকে সময় দিলেই তিনি খুশি থাকবেন। দাম্পত্য রসায়ন হবে জমে ক্ষীর।
২. ভালোবাসার বার্তা…
-------------------------
অনেকেই স্ত্রীকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসেন। তবে তাঁরা মুখে এই কথাটা আনতে চান না। এমনকী কোনওদিনই মুখ ফুটে ভালোবাসার কথা বলেন না। এই কারণে স্ত্রীর মনে জমে কুয়াশা। তাঁরা বুঝতে পারেন না স্বামীর মনে কী চলছে! এর ফলে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন প্রায়শই স্ত্রীকে ভালোবাসার কথা বলার। রোজ সকালে উঠে একবার 'তোমায় ভালোবাসি' বললে আপনার টাকা খরচ হবে না নিশ্চয়ই।
৩. ঘনিষ্ঠতা থাকা চাই
-------------------------
বিয়ের প্রথম বছরেই দাম্পত্যে সুখী হওয়ার বীজ বপন করতে হয়। সেক্ষেত্রে নিয়মিত ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করুন। শারীরিক ঘনিষ্ঠতা যে কোনও সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। বিজ্ঞান জানাচ্ছে, শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সময় মস্তিষ্কে ফিল গুড হরমোন বের হয়। ফলে সম্পর্ক মজবুত হয়। তাই নিয়মিত ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠুক আপনাদের মধ্যে।
৪. শুধু দুজনে…
-------------------------
প্রথম বছরেই একটু ঘোরাঘুরির দিকে মন দিন। চলে যান দূরে কোথাও। পাহাড়, সমুদ্র যা পছন্দ হয়- একবার বেরিয়ে পড়ুন। বিয়ের প্রথম বছর বহু মহিলাই দূরে বেড়াতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। আর আপনাকে সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। অপরদিকে বিয়ের প্রারম্ভিক বছরে বাড়ির বাইরে পা না রাখলে আগামীদিনে একঘেয়েমি গ্রাস করবে সম্পর্ককে। তখন স্ত্রীকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।
৫. পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া
-------------------------
এই পয়েন্টটা শেষে বললেও, এর গুরুত্ব কিন্তু কম নয়। আসলে এখনও ভারতীয় সমাজে মহিলারা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এসে ওঠেন। এই বাড়িতে সবাই নতুন। এই পরিস্থিতিতে স্বামীর উচিত দায়িত্ব নিয়ে পরিবারের সকলের সঙ্গে স্ত্রীকে মিলিয়ে দেওয়া। তবেই সুখে সংসার করতে পারবেন। আর এই কাজটা গুরুত্ব দিয়ে না করতে পারলে আগামীদিনে দুঃখ রয়েছে কপালে।