লিবারেল আইডিওলজির লোকেরা আপনাদেরকে কি কি মেসেজ দিচ্ছে?
১. ছেলে মেয়ে একসাথে মিশতেই পারে, গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড কালচার থাকতেই পারে-ওপেন/ফ্রি মিক্সিং কোনো খারাপ কিছু না। যারা আপত্তি জানায়, তাদের মানসিকতা ভালো না। মানসিকতা ভালো হলে এসবে কারো সমস্যা হয় না।
খেয়াল করেন, স্বয়ং আল্লাহ কিংবা তাঁর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই ব্যাপারগুলোকে আয়াত বা হাদিসের মাধ্যমে নিষেধ করে গেছেন/দিয়েছেন সেই কাজগুলোকে মেনে নিতে পারা কে এরা বলছে ভালো মানসিকতা, আর মেনে না নিলে বলছে মানসিকতা খারাপ। কেউ কেউ এসবের বিরুদ্ধে যারা বলে তাদেরকে সেক্সুয়ালি ফ্রাস্টেটেড বলে গালিও দেয়।
কিন্তু এখানে অপোজিশনের যায়গাটা দেখেন।
স্বয়ং আল্লাহ নিজে যেটাকে মানা করেছেন, সেটাকে মেনে নেওয়াকে এরা ভালো মানসিকতার বলছে!
এমনকি আজ থেকে ৩০ বছর আগেও জাস্ট বাংলাদেশের সমাজে এগুলোকে মানুষ বাজে চোখে দেখতো- খারাপ ভাবে নিতো, ধর্মীয় যায়গার কথা নাই বা বললাম। তাদের হাজার বছর ধরে যেই সংস্কৃতি মডেস্টির সংজ্ঞা দিয়েছে- সেটাকে কি এরা খারাপ মানসিকতার বলছে?
হাজার বছরের সংস্কৃতির কথা তুলে পহেলা নববর্ষ যারা পালন করছে, তারাই এই যায়গায় বিরোধীতা করছে!
সিলেক্টিভ অপোজিশন এবং ভাষার ব্যবহার টা খেয়াল করি!
আসলে যেই ব্যাপারটাই মানুষের জন্য লজ্জাজনক- সেটাকে এরা ভালো মানসিকতার সাথে মিলাচ্ছে!
২. এরা আপনাদেরকে এই মেসেজ দেয় যে- বিয়ের আগে সম্মতি থাকলে ছেলে মেয়ে এক সাথে থাকতে পারবে, বিছানায় যাবে, এগুলা নিয়ে বিয়ের সময় অন্য কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না, জানলে মেনে নিতে হবে- এগুলাই ভালো মানসিকতার পরিচায়ক! যারা আপত্তি করে- এদের মানসিকতা ভালো না!
ওয়েট, হোয়াট!
সমগ্র বিশ্বে হাজার বছরের ইতিহাসে জিনা ব্যভিচার একটা লজ্জাজনক ন্যাক্কার জনক কাজ হিসেবে বলা যায় সকল সমাজে স্বীকৃত ছিলো! কেউ ব্যভিচার করলে পুরো পরিবার/গোত্রের ইজ্জতহানি হতো- এমনকি এখনকার দিনেও তাই! কিন্ত এই ব্যাপারটাকে মেনে নেওয়াকে ভালো মানসিকতা এবং মেনে না নেওয়াকে গোড়ামি, নষ্ট মানসিকতার বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সম্মান, ডিগনিটি আসলে কিসে? একজন ব্যক্তির চরিত্র - তার ডিগ্নিটির পরিচায়ক। এই মৌলিক যায়গায় তারা আঘাত হেনে পুরো সামাজিক ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলতে চাইছে। কেন?
আমরা লেজ কাটা শেয়ালের গল্প পড়েছিলাম। একবার ভাবুন তো- এরা কি সেই লেজ কাটা শেয়াল না?
নিজেকে দুইটা প্রশ্ন করুন-
বিয়ের ব্যাপারটা রেস্পন্সিবিলিটির। তাই তো? যেই মানুষ যত বেশি রেস্পন্সিবল- তার সম্মান ঠিক ততটাই বেশি নয় কি?
অন্যদিকে যেই ব্যক্তির কোনো রেস্পন্সিবিলিটি নেই- তার অবস্থা টা কেমন?
যেই পুরুষ এক বা একাধিক মেয়ের সাথে বিয়ের পূর্বেই ব্যভিচারে লিপ্ত হচ্ছে- একদিকে সে চরম অপরাধী, অন্যদিকে সে ইররেস্পন্সিবল নয় কি? সে বিয়ে করে দায়িত্ব নিয়ে চায় না, তবে ভোগ করতে চায়।
একই সাথে যেই মেয়ে এতে লিপ্ত হচ্ছে, তার সেল্ফ রেস্পেক্ট আসলে কতটুক থাকে? নিজের আব্রুকে যে ধরে রাখতে পারে না- তার সেল্ফ রেস্পেক্ট কি থাকে?
কিন্তু নিজেদের হায়া লজ্জা আত্নসম্মান নেই বলে অন্যদেরকেও তাদের এই নোংরামো কে মেনে নিতে বাধ্য করা- এটাকি লেজ কাটা শেয়ালের গল্পের মডার্ন ভার্শন হয়ে যায় না?
আল্লাহদ্রোহীতা হয় না? এরা তো আল্লাহর আয়াতের বিরুদ্ধে কথা বলছে!
এর উপর আরেক সোসাইটির জন্ম হয়েছে যেখানে নারীরা এক ডিলিউশনাল স্টেট এ বাস করে। এরা এমন টা চায় যে-
মেয়ে কোনো সংসারের কোনো দায়িত্বই নিবে না, কাজ নিবে না, শুধু বসে বসে আরাম করবে, মনে যা চায় তাই করবে। ব্যাসিক কথা- এটা হলো ইররেস্পন্সিবল এটিচুড। তার এমন কর্মকাণ্ড সবাইকে মেনে নিতে হবে। সে যা চাইবে সবাই তাই সমর্থন করতে বাধ্য থাকবে। কেউ সামান্যতম বিরোধীতা করলেই সেটা টক্সিক!
who is the real toxic person here?
কোনো সংসার আজকাল যেন টেকেই না! এসবের পেছনে এমন এবসার্ড ভিউপয়েন্টও বড় কারণ।
কেবলমাত্র সেল্ফ রেস্পেক্ট নাই- রেস্পন্সিবিলিটি নাই- এমন মানুষেরাই এদের আইডিওলজিকে গ্রহণ করতে পারে।
No comments:
Post a Comment