তরুণদের মেইনস্ট্রিমে যেসব পাবলিক ফিগার, ব্লগার ও সেলিব্রেটিরা বসবাস করছে তারা যে সমাজকে ক্রিয়েটিভ ও সৃজনশীল কিছু দিচ্ছে ব্যাপারটা এমন নয়। বরং প্রজন্মকে তারা ট্যুর নিয়ে উন্মাদনা, ফুড নিয়ে মাতলামি, নাচ, গান, মুভি নিয়ে মগ্নতা, পার্টি, ট্রিট ইত্যাদি সহ একটা ফ্যান্টাসির জালে আবদ্ধ করে রাখছে। ফলে একটা প্রতিবন্ধি প্রজন্ম আমাদের চোখের সামনে গড়ে উঠছে। যাদের দ্বীন ও দুনিয়া নিয়ে সিরিয়াস কোন চিন্তা নেই। নীল লাল জগতে ভেসে বেড়ানোই যাদের স্বপ্ন।
এই বিষয়টি পার্থিব দিক থেকেও জাতিগত একটি ভয়াবহ সংকট। যার বাস্তব প্রতিচ্ছবি বিদ্যমান সমাজে আমরা দেখতে পাচ্ছি।আমাদের উপর জুলুম, বেকারত্ব, ডিপ্রেশন, সংকীর্ণতা এমনি এমনিই চেপে বসেনি। এখানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অংশ নিজেদের হাতের কামাই। আমাদের তারুণ্য ও যৌবন যেখানে যেভাবে ব্যয় হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হচ্ছে না। সেটা নষ্ট হচ্ছে কেবলই বিনোদন, অশ্লিলতা ও লালনীল ফ্যান্টাসির জগতে।
আর দ্বীনি দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা দুটি আয়াতের দিকে নজর দিলেই এর ভয়াবহতা বুঝতে পারব। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা মু’মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে মর্মন্তদ শাস্তি এবং আল্লাহ জানেন, তোমরা জাননা। (সুরা নুর, আয়াত ১৯)
তিনি আরো বলেন, আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা কথা খরিদ করে, আর তারা ঐগুলোকে হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে; তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আযাব।( সুরা লুকমান, আয়াত ৬)
যাদের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখেরাতে শাস্তির ঘোষণা দিচ্ছেন, যাদেরকে তিনি তিরস্কার করছেন তারাই হয়ে গেছে বর্তমান মুসলিম প্রজন্মের আইডল ও আদর্শ। তারাই হয়ে গেছে তরুণ তরুণীর একমাত্র ব্যস্ততা। মুসলিম উম্মাহর জন্য এর চেয়ে ভয়াবহ বিষয় আর কী হতে পারে!
ইফতেখার সিফাত (হাফি.)
No comments:
Post a Comment