Saturday, February 15, 2025

নারীর সুগন্ধি ব্যবহার

সুগন্ধি বা খুশবোর ব্যবহার মূলত সুন্নত। আল্লাহর রাসুল (স.) সুগন্ধি পছন্দ করতেন এবং নিজে ব্যবহার করতেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের দুনিয়া থেকে আমার কাছে তিনটি জিনিস অধিক প্রিয়। স্ত্রী, সুগন্ধি আর আমার চক্ষু শীতল হয় নামাজের মাধ্যমে।’ (নাসায়ি: ৩৯৩৯)

নারীদের জন্যও ঘরের ভেতরে সুগন্ধি ব্যবহার জায়েজ। সেন্ট, পারফিউম, বডি স্প্রে ইত্যাদিতে যদি কোনো ধরনের নাপাক বস্তু মিশ্রিত না থাকে, তাহলে মুসলিম নারীরা ঘরের মধ্যে অবশ্যই সুগন্ধি ব্যবহার করবে। (তুহফাতুল আহওয়াজি: ৮/৭১)

তবে, পরপুরুষ গন্ধ পাবে এমন জায়গা দিয়ে নারীদের সুগন্ধি মেখে চলাচল করা নিষেধ। এতে পর্দার লঙ্ঘন হয়। কেননা ইসলামে নারীদের সুগন্ধি ব্যবহারের বিধান পর্দার বিধানের মতোই। অর্থাৎ নারী সুগন্ধি মেখে ঘর থেকে বের হলে শরয়ি পর্দা আদায় হয় না। হাদিসে ওসব নারীর ওপর অভিসম্পাত করা হয়েছে। মহানবী (স.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক চক্ষুই ব্যভিচারী। আর কোনো নারী যদি (কোনো ধরনের) সুগন্ধি ব্যবহার করে কোনো (পুরুষের) মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে, তবে সে ব্যভিচারিণী।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি, ইবনে হিব্বান, ইবনে খুজাইমা, হাকেম, সহিহুল জামে: ৪৫৪০)

‘যে মহিলা সুগন্ধি ব্যবহার করে লোকজনের পাশ দিয়ে যাওয়ার ফলে তারা তার ঘ্রাণ পেল সে মহিলা ব্যভিচারিণী।’ (নাসায়ি: ৫০৩৬) 

এমনকি নারীরা আল্লাহর ইবাদত করার উদ্দেশ্যে মসজিদে যেতেও সুগন্ধি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে হাদিসে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘আল্লাহর বান্দিদেরকে মসজিদে আসতে বারণ করো না, তবে তারা যেন খুশবো ব্যবহার ছাড়া সাধাসিধাভাবে আসে।’ (আহমদ, আবু দাউদ, সহিহ জামে: ৭৪৫৭)

‘যে মহিলা সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে যায়, তার গোসল না করা পর্যন্ত কোন নামাজ কবুল হবে না।’ (ইবনে মাজাহ, সহিহ আল-জা-মিউস সাগির ওয়া জিয়াদাতুহ: ২৭০৩)

জীবনের মোড়

জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো শক্তিশালী একটি লেখা।
সর্বকালের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, "Compound Interest হল এই পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য্য"।
.
উনার এই কথার সাথে একমত হয়ে SUCCESS Magazine- এর Publisher Darren Hardy একটি বই লিখেন The Compound Effect নামে, যেটি The New York Times Bestseller.
.
এই বইটিতে কিছু চমৎকার Key Idea আছে যা আমাদের সবাইকে একটা Perfect Life Resolution বানাতে সাহায্য করতে পারে। 
.
আচ্ছা বলুনতো,
কোন মানুষের Successful বা Failure হওয়ার পিছনে Root Factor হিসেবে কাজ করে কোনটা? তার ছোটবেলা, সে কিভাবে বড় হয়েছে, তার পরিবেশ নাকি অন্য কিছু?
.
লেখকের মতে সেই Root Factor হল তার নিজের নেয়া ছোট ছোট চয়েজগুলো।
.
এই পুরো পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটাই জিনিস আছে যেটা যদি আমরা চাই তাহলে পুরোপুরিভাবে কন্ট্রোল করতে পারি, সেটা হচ্ছে আমাদের চয়েজ। আর এই চয়েজগুলোই আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আউটকামের জন্য দায়ী।
.
আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে অফিস থেকে ফেরার পর জিমে যেতে পারেন বা সোফাতে শুয়ে টিভিও দেখতে পারেন। আপনি যদি চান কোন কারনে আপনার বউয়ের সাথে ঝগড়া হওয়ার পর সবকিছু ভুলে পিছনে ফিরে তাকে জড়িয়ে ধরতে পারেন বা আপনার ইগোকে প্রশ্রয় দিয়ে সেখান থেকে বেড়িয়েও আসতে পারেন।
.
এরকম ছোট ছোট চয়েজগুলোই আমাদের সবকিছুর আউটকামগুলোকে নির্ধারন করে: আপনি সারাজীবন সুস্থ্য থাকবেন নাকি রোগের বয়ে বেড়াবেন, আপনি একটা দীর্ঘ এবং মধুর সম্পর্ক পাবেন নাকি আপনার মেয়েকে জবাব দিতে হবে কেন তার মাকে আপনি ডিভোর্স দিয়েছিলেন।
.
কিন্তু আমরা এরকম ছোট ছোট চয়েজগুলোতে বেশি মন দিই না, যদি আমি আপনাকে এখন দুটো অপশন দেই: আপনাকে এখন ১ টাকা দিব যেটা আগামী ১ মাস প্রতিদিন দিগুন হবে অথবা এখনই একবারে ১০ কোটি টাকা দিব; তাহলে আপনি এর মধ্যে কোন অফারট নিতে পছন্দ করবেন।
.
বেশিরভাগ মানুষই, হয়তো প্রায় সবাই ২ নাম্বার অপশন অর্থাৎ ১০ কোটি টাকাই নিবে। আচ্ছা তাহলে আমি ১ নাম্বার অফারটা নিজের কাছে রেখে দিলাম। এবার দেখা যাক ১ মাস পর এর আউটকাম কি আসে।
.
৫ দিন পর আমার কাছে আছে ১৬ টাকা আর আপনার কাছে ১০ কোটি। ১০ দিন পর আমার কাছে আছে ৫১২ টাকা আর আপনার কাছে সেই ১০ কোটি। ২০ দিন পর আমার কাছে ৫,২৪,২৮৮ আর আপনার কাছে সেই ১০ কোটি টাকা। আপনি এত টাকায় অনেক মজাতেই আছেন।
.
এবার ৩১ দিন পর আপনার কাছে আছে এখনো সেই ১০ কোটি কিন্তু আমার কাছ আছে ১০৭,৩৭,৪১,৮২৪ অর্থাৎ ১০৭ কোটি টাকা। যেটা কিনা আপনার থেকে ১০ গুন বেশি।
.
এবার তো বুঝা যাচ্ছে আইনস্টাইন কেন Compound Interest ব্যাপারটাকে 8th Wonder of World বলেছেন। সাকসেস জিনিসটাও ঠিক এই প্যাটার্নটাই ফলো করে।
.
Darren Hardy বলেছেন, "After 31 months or 31 years, the person who uses the positive nature of the compound effect appears to be an overnight success."
.
যেমন রুপক অর্থে রাশেদ, বিজয়, জুয়েল তিন বন্ধুর উদাহরন দেখা যাক। তিনজনই একরকম পরিবেশে বড় হয়েছে, একই জায়গায় থাকে আর ইনকাম মোটামুটি একই রকম। আর হ্যা ধরা যাক তিনজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে এবং সবারই ওয়াইফের সাথে একটু মনোমালিন্য চলছে।
.
নতুন মাস বা বছরের শুরু থেকে রাশেদ সবসময় যা করে সেটাই করতে থাকল, কারন তার মনে হয় এটাতেই সে খুশী আছে। হ্যা শুধু কখনো কখনো সবার ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করা শুরু করল।
.
অন্যদিকে বিজয় একটি Daily Checklist বানিয়ে নিজের মধ্যে কিছু ছোট ছোট Insignificant Positive Change আনা শুরু করল। যেমন-
১- প্রতিদিন ঘুমানোর আগে একটা ভাল বইয়ের ১০ পৃষ্ঠা পড়া।
২- প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার বা ফেরার সময় গাড়িতে বসে বা সুবিধামত সময়ে ৩০ মিনিট কোন Self Help/Motivational ভিডিও দেখা।
৩- নিজের ডেইলি ডায়েট প্ল্যান থেকে ১২৫ ক্যালরি কমালো।
৪- প্রতিদিন এক্সট্রা অন্তত ২ লিটার পানি খাওয়া।
৫- প্রতিদিন ১ মাইল হাটা।
৬- ব্যবসায়ীক স্বার্থ জড়িত প্রতিদিন অন্তত এমন ২/১ জনকে ফোন দিয়ে খোজখবর নেয়া বা সম্পর্কোন্নয়ন।
৭- নিজের বউকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহে শুধুমাত্র ১ দিন বাইরে ডিনারের জন্য যাওয়া।
.
এবার অন্যদিকে জুয়েল কিছু ছোট ছোট Insignificant Negative Change আনা শুরু করল। যেমন:
১- প্রতিদিন লাঞ্চে একটু করে জাংকফুড খাওয়া।
২- কাজের চাপের অজুহাতে সপ্তাহে ৩/৪ দিন জিম মিস দেয়া।
৩- প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় ১ বোতল কোল্ডড্রিঙ্কস খাওয়া।
৪- টিভিতে ফেভারিট শো দেখার জন্য ইভিনিং ওয়াক বন্ধ করে দেয়া।
৫- সময়ের অভাবের অজুহাতে অফিসিয়াল যোগাযোগ কমিয়ে দেয়া।
৬- ব্যস্ততার অজুহাতে বউয়ের সাথে বাইরে যাওয়াও বন্ধ করে দিল।
.
পরব্ররতী ৫ মাসে ৩ বন্ধুর তেমন কোন পার্থক্য দেখা গেল না। ১০ মাস পরেও একই। এবার বিজয় একটু একটু ফ্রাস্ট্রেট হতে লাগল। কেননা এখনো সে কোন পজটিভ রেজাল্ট দেখতে পায়নি তাও সে কোনরকমে জেদ ধরে চালিয়ে গেল, যেখানে জুয়েল কম কাজ করে জীবনকে উপভোগ করতে থাকল। আর রাশেদও খুশিতেই আছে।
.
কিন্তু ২৫ মাস পর হঠাৎই এদের মধ্যে কিছুটা বড় পার্থক্য দেখতে পাওয়া গেল, আর ২৭ মাস পর সেটা আরো ক্লিয়ারলি দেখতে পাওয়া গেল।
.
And after 31 months the differences become poles apart.
.
রাশেদ এখন আরো বেশি কম্পলেইন করে সবার ব্যাপারে। সে বেশিরভাগ সময়ই Bore এবং Purposeless অনুভব করে।
.
জুয়েল রোজ একটু একটু জাংকফুড খেয়ে এবং জিম বাদ দিয়ে ১৫ কেজি ওজন বাড়ালো, সাথে নানান রোগব্যাধি। যোগাযোগ কমিয়ে দেয়ার ফলে বিজনেসের অবস্থাও খারাপ হতে লাগল। ফলস্বরূপ আর্থিক অবস্থাও খারাপ হয়ে গেল সেই সাথে বউয়ের সাথেও সম্পর্ক খারাপ হয়ে ডিভোর্সের পর্যায়ে চলে গেল।
.
Small negative changes compounded for 31 months brought a horrific result.
.
এবার আসা যাক বিজয়ের ব্যাপারে। এই ৩১ মাসে সে প্রায় ৫০ টি বই এবং ৪৬৫ ঘন্টা উপকারী ভিডিও দেখে নিয়েছে যেটাতে তার Knowledge & Wisdom দুটোই আগের থেকে অনেকগুণ বেড়ে গেল।
.
প্রতিদিন শুধু ১২৫ ক্যালরি কমিয়ে আর ১ মাইল হেটে ১৫ কেজি ওজন কমালো যে কারনে সে এখনো আগের মতই স্লিম আর হ্যান্ডসাম। প্রতিদিন মাত্র ২ লিটার পানি খেয়ে মোট প্রায় দুই হাজার লিটার পানি খেয়ে নিল যা কিনা তার নিজের ভিতরে অনেক রোগকে বেড়ে ওঠা কমিয়ে দিল।
.
আর প্রতিদিন মাত্র দুইটা কল করে সে মোট ১৮০০ কল দিল যাতে সম্পর্ক ভালো হল ফলে বিজনেসও বাড়তে থাকল।
সপ্তাহে মাত্র একদিন বউকে ডিনারে নিয়ে গিয়ে মোট ১২৪ টা ডিনার ডেট করে ফেলল, যাতে তার বউ খুশী হল, নিজেদের সম্পর্কটাও মজবুত হল।
.
Strong insignificant changes compounded for 31 months brought an outstanding result for him.
.
.
কিন্তু!!
যদি সাকসেস পাওয়া এতটাই সোজা হয় আর আমরা সবাই প্রসেসটাও জানি, তাহলে কেন আমরা এই সূত্রটা ফলো করতে ব্যর্থ হয়ে যাই?
.
লেখকের মতে চারটি ফাঁদ আছে যার কারনে আমরা ব্যর্থ হই বা Consistency ধরে রাখতে পারি না।
.
1- Starting Results Are Invisible
.
ভাবুন যদি আপনি আজ একটা বার্গার খান আর পরদিন সকালে ১৫ কেজি ওজন বাড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠেন তাহলে কি আপনি কোনদিনও একটা বার্গার খেতেন? অথবা আজ একটি সিগারেট খান আর পরদিন সকালে আপনি গলায় ক্যান্সার নিয়ে ঘুম থেকে ওঠেন, তাহলে কি আপনি কোনদিনও একটা সিগারেট খাওয়ার সাহস করতেন?
.
কিন্তু সমস্যাটা হল শুরুতে কোন পরিবর্তনই চোখে ধরা পরে না। কিছু মাস বা কিছু বছর পর হঠৎ যেন রাতারাতি কিছু ভয়ানক ফলাফল সামনে এসে যায়, যতক্ষণে সেটাকে আটকানোর আর সুযোগ থাকে না।
.
এই ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে সবসময় এটা মনে রাখতে হবে, "Every choice you make ignites a butterfly effect" মানে আপনাকে সতর্ক হয়ে প্রতিটা চয়েজ মন দিয়ে নিতে হবে।
.
2-Deceptiveness
.
লস এঞ্জেলসগামী কোন বিমান যদি ১ ডিগ্রিও Off Route হয়ে যায় তো সেই প্লেন লস এঞ্জেলস থেকে ১৫০ মাইল দূরে অন্য কোন দ্বীপে গিয়ে ল্যান্ড করবে। এবার আপনি ভাবুন যদি আপনিও নিজের জীবনে শুধুমাত্র ১ ডিগ্রীও Off Route হয়ে যান ১০ বা ১৫ বছরের জন্য, তাহলে জীবনের কোথায় গিয়ে ল্যান্ড করবেন!
.
এটা থেকে বাঁচার জন্য একটা গাইডলাইন থাকা খুবই দরকার। যেমন একটা Daily Checklist যেটা একটা ফুটপ্রিন্টের মত আপনাকে On Track থাকার জন্য সাহায্য করবে। যদি আপনি কোন কারনে কিছুদিনের জন্য অফট্র‍্যাক হয়েও যান তখন এই চেকলিস্টটা আপনাকে অন ট্র‍্যাকে ফিরে আসার জন্য অনেকটা সাহায্য করবে।
.
3- Immediate Gratification
.
আপনার কাছে দুটো অপশন আছে, ডিনারের পর আপনি একটা হট চকলেট কেক খেতে পারেন বা শুধু ১ গ্লাস পানি খেতে পারেন। আপনি পানি বেছে নিলেন আর আপনার একটা বন্ধু নিল কেক। বন্ধু খুব আনন্দে ওই কেকটাকে আপনার চোখের সামনে মজা করে খেতে লাগল। আর এদিকে আপনি শুধু পানি খাচ্ছেন যেটার এতটুকুও কোন স্বাদ নেই। তখন কেমন লাগবে আপনার?
.
এটাই ফাঁদ!
যদি আপনি শর্ট টার্মে দেখেন তাহলে কোন ভাল চয়েজ বেছে নিলে তাতে আপনি কিছুই পান না কিন্তু যদি একটা খারাপ চয়েজকে বেছে নেন তাহলে আপনি অনেক খুশী আর মজা লাভ করেন।
.
Which is a great paradox.
.
যেমন Darren Hardy বলেছেন,
"Short term pleasures create long term pains and short term pains create long term pleasures.
.
জীবনে একবার তো আপনাকে কষ্ট করতেই হবে, আপনি এটাকে Skip করতে পারবেন না। এই কষ্ট দুই ধরনের হয়: Pain of Discipline এবং Pain of regret.
কিন্তু ডিসিপ্লিনের কষ্টে ওজন শুধু কয়েক গ্রাম এবং কিছুদিনের যেখানে রিগ্রেটের কষ্টের ওজন কয়েক টন এবং আজীবনের।
এবার চয়েজ আপনার।
.
4- What is easy to do is also not easy to do.
.
চেকলিষ্ট Maintain করা, প্রতিদিন শুধুমাত্র দুই বোতল পানি খাওয়া, ১ মাইল হাটা; এইসব কাজ করা খুবই সহজ।
হ্যা সহজ তো বটেই কিন্তু এটা করা অনেকটা মুশকিলও।
.
লেখক বলেছেন শুধুমাত্র একটা জিনিস এরকম আছে যেটা Successful এবং Unsuccessful দুধনের লোকেদের মধ্যেই Common, তাদের কেউই ভাল চয়েজটা বেছে নিতে ভালবাসে না।
.
হ্যা এটাই সত্যি!
হট চকলেট কেকের পরিবর্তে শুধু স্বাদহীন পানি খেতে কেউই ভালবাসে না, কিন্তু সাকসেসফুল লোকেরা তাও যেকোন ভাবে তাদের Will Power বা নিজের Why Power- কে কাজে লাগিয়ে সেই কাজটা করে নেয়।
.
যেমন মোহাম্মদ আলী বলেছেন,
"I hated every minute of training but I love being a world champion."
.
তো এই ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য আপনার ওই Why টাকে খুজে বের করতে হবে। এই Why যত পাওয়ারফুল হবে আপনিও ততটাই পাওয়ারফুল হবেন।
.
So prepare a Checklist on daily basis, which will guide you throughout the year to stay on the right track.
.
One thing is fixed that you can never escape from the compound effect, either u earn it or you pay for it.

Collected

A desperate success story

স্টোরিঃ সুজি_নাকামুরা 

টমাস এডিসনের বৈদ্যুতিক বাল্বের ভার্সনগুলোর একটা বড় সমস্যা আছে। এখানে বিদ্যুৎ থেকে প্রথমে ফিলামেন্টে তাপশক্তি তৈরি হয়, তারপর সেই তাপ থেকে আলো তৈরি হয়। এফিশেন্সী মাত্র ১০-১৫%। অর্থাৎ মোট শক্তির মাত্র দশভাগের একভাগ আলো তৈরি হয়; বাকিটা নষ্ট।    

গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বিজ্ঞানীরা সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে খেলতে খেলতে একধরণের নতুন বাতি তৈরি করে ফেলেন, সংক্ষেপে ডাকা হয় 'LED' (এল ই ডি)। যেখানে মলেকুলার লেভেলে পদার্থকে ম্যানিপুলেট করে সরাসরি ফোটন নির্গত করা হয় হয়। ফলে মোট শক্তির ৭০ পার্সেন্টকে আলোতে রুপান্তরিত করা যায়।  

এলইডি এর আসল মহাত্ম হলো এটাকে ইচ্ছামত ছোট করা যায়। চাইলেও আগের লাইট বাল্বগুলোকে বেশী ছোট বানাতে পারবেন না। কারন ফিলামেন্ট এবং সেমি-ভ্যাকিউম টিউবের আকারের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। সেখানে এলইডি কে একটা ডটের সমানও বানানো যায়। সুতরাং বলা যায় এলইডি না থাকলে কম্পিউটার ও ফোনের স্ক্রিন তৈরি করা সম্ভব হত না।  

যাইহোক, লাল ও সবুজ রঙ্গের এলইডি তৈরি করা হয়ে গেলেও নীল এলইডি বানাতে গিয়ে প্রচুর হিমশিম খাচ্ছিলেন ইঞ্জিনিয়াররা। বিভিন্ন কোম্পানি প্রচুর বিনিয়োগ করে প্রায় ফতুর হয়ে যাবার দশা হয়েছিল। নীল LED তৈরি করা গেলে RGB স্ক্রিন তৈরি করা সম্ভব হত সহজেই। আজকের গল্প সুজি নাকামুরা নামের একজন জাপানিজ টেকনিশিয়ানকে নিয়ে, যিনি প্রায় নিজের একক চেষ্টাতে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন।   

নাকামুরার ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা খুব ভালো হয়নি, ফলে সাধারণ লোকাল একটা ভার্সিটিতে পড়াশুনা করতে হয়। স্বপ্ন ছিল থিওরেটিক্যাল ফিজিসিস্ট অথবা গণিতবিদ হবেন। এক শিক্ষক বলল যে পদার্থবিজ্ঞানে ভাত নাই, সুতরাং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াই ভালো হবে। অতঃপর ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হলেন যেহেতু এটা ছিল ফিজিক্সের সবথেকে কাছাকাছি।  

ভার্সিটির প্রথম দুই বছরে নানা রকম ইরিলিভেন্ট কোর্স দেখে নাকামুরা হতাশ হয়ে ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দিল। এই সময় ফিজিক্সের বিভিন্ন বই পড়ে কাটাতো। থার্ড ইয়ারে থাকতে সেমিকন্ডাক্টরের উপর একটা কোর্স করার পর আবার ক্লাস করার আগ্রহ ফিরে এল। 

মাস্টার্সে নাকামুরা চাইছিল কোন একটা থিওরেটিক্যাল কাজ করতে। কিন্তু তার প্রফেসর টাডা ছিলেন জাঁদরেল এক্সপেরিমেন্টালিস্ট। সুতরাং বাধ্য হয়ে তাকে এক্সপেরিমেন্টাল কাজই করতে হয়। সে নিজেও তখন জানত না যে এই এক্সপেরিমেন্টাল ফিজিক্সই তাঁর জন্য ব্লেসিং হয়ে আসবে। তাকে একসময় নোবেল এনে দিবে।  

প্রফেসর টাডার ল্যাব ছিল ভাঙ্গারির দোকানের মত। ভাঙ্গাচোড়া টেলিভিশন খুলে সেখান থেকে স্পেয়ার পার্টস নেয়া হত। নাকামুরা যখন কাজ করত তখন তাকে স্টিলের দোকানে কাজ করা শ্রমিকের থেকে আলাদা দেখাতো না। প্রতিটা স্কিলই নাকামুরার কাজে লেগেছিল পরবর্তীতে।     

মাস্টার্স শেষে কাজ নেন নিশিয়া নামে ছোট একটা কোম্পানিতে। জাপান তখন ইলেক্ট্রনিক্সে বেশ নাম কামাচ্ছে, ছোট বড় অনেক ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি গড়ে উঠেছে। নিশিয়া কোম্পানি টেলিভিশনের জন্য পার্টস বানাতো। ল্যাবের ফসফরাস লিক থেকে প্রায়ই বুম করে শব্দ হত, কলিগেরা যেয়ে দেখত ধোঁয়ায় ঘর ভরে গেছে আর নাকামুরা এক কোণায় বসে কাশছে। একসময় বিষয়টা এত নরমাল ব্যাপার যায় যে কলিগেরা বিস্ফোরণের শব্দ পেলেও আর পাত্তা দিত না।    

তখনকার বড় বড় কোম্পানী ছিল সনি, প্যানাসনিক, তোশিবা, বেল ল্যাব ইত্যাদি। এই কোম্পানিগুলো ব্লু এলইডি তৈরি করতে ফেইল করেছে। তখন নিশিয়ার মালিক একটা বড় বাজি ধরলেন। নাকামুরাকে দায়িত্ব দেয়া হলো এই উচ্চভিলাষী প্রজেক্টের, বাজেট ৩ মিলিয়ন ডলার দেয়া হল। 

ব্লু এলইডি বানানোর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো হাইকোয়ালিটি ক্রিস্টাল বানানো। সামান্য খুঁত থাকলেই সেটা আর কাজ করবে না। নাকামুরাকে বলা হল ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা থেকে এক বছরের জন্য ঘুরে আসতে। সেখানকার পোলাপান নাকি হাইকোয়ালিটির ক্রিস্টাল বানানোর নতুন ধরণের রিয়্যাক্টর নিয়ে কাজ করে। এই মেশিনে একটা গরম চেম্বারের ভেতর নজেল দিয়ে বাষ্প ইনজেক্ট করে ক্রিস্টাল বানানো হয়। 

নাকামুরা গেলেন এক বছরের জন্য, কিন্তু সময় খুব একটা ভালো কাটলো না। আগেই বলেছি নাকামুরার মাস্টার্স ছিল খুব সাধারণ ভার্সিটি থেকে আর করতেন টেকনিশিয়ানের কাজ। পোশাক আশাকে কখনোই স্কলার মনে হত না, তার ওপর ইংরেজিও কাঁচা, কোন পেপারও পাবলিশ হয়নি। সেই ল্যাবে কাজ করত পিএচডি ছাত্ররা, যারা ছিল তার থেকে বয়সে ছোট। ওরা তাকে নিয়ে বিদ্রুপ করত।  

এই অভিজ্ঞতা নাকামুরার জেদ বাড়িয়ে দিল। তিনি বলেন- “I feel resentful when people look down on me, At that time, I developed more fighting spirit – I would not allow myself to be beaten by such people.”

তাকে ভালো রিয়্যাক্টরে কাজ করতে দেয়া হল না, নষ্ট একটা রিয়্যাক্টর দেয়া হল। নাকামুরা প্রথম ১০-১২ মাস প্রচুর খাটনি করে মেশিনটা কিভাবে কাজ করে বুঝে নিলেন আর ঠিকমত এসেম্বল করলেন। তারপর সময় শেষ হলে তিনি নিশিয়া কোম্পানির জন্য নতুন একটা রিয়্যাক্টর অর্ডার করলেন। সাথে ঠিক করলেন যেভাবেই হোক একটা পিএচডি নিতে হবে। 

তখন কিন্তু তাঁর বয়স ৩৫, এই বয়সে অন এভারেজ মানুষ পিএইচডি শেষ করে ফেলে।  

এখন রিয়্যাক্টরতো আনা হলো, তো প্রশ্ন হচ্ছে এখানে কোন ধরণের ক্রিস্টাল বানানো যেতে পারে? হাতে আছে অপশন দুইটা- জিঙ্ক সেলেনাইড আর গ্যালিয়াম নাইট্রাইড। জিঙ্ক সেলেনাইড ছিল তখনো পর্যন্ত ব্লু এলইডি গবেষনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অপশন। এটা নিয়ে প্রচুর কাজ হয়েছে। অন্যদিকে গ্যালিয়াম নাইট্রাইডের কিছু সমস্যা ছিল কারণ এর হাইকোয়ালিটি ক্রিস্টাল বানানো অনেক কঠিন। বেল ল্যাবের মত কোম্পানি গ্যালিয়াম নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খু কাজ করে রায় দিয়েছে যে এই দিকে যাওয়া কানা গলিতে পরার মতনই।    

তখন জাপানে নিয়ম ছিল কেউ যদি একটা বিষয়ে ৫ টা পেপার পাবলিশ করতে পারে তাকে পিএইচডি দেয়া হবে। নাকামুরা ভাবলো, ‘আমি হয়তো ব্লু এলইডি বানাতে পারবো না। কিন্তু গ্যালিয়াম নাইট্রাইডে অনেক নতুন কাজ করার স্কোপ আছে, তাতে অন্তত একটা পিএচডি পাওয়া যাবে’।  

জাপানের একটা বড় বৈজ্ঞানিক কনফারেন্স হলো। সেখানে জিঙ্ক সেলেনাইড নিয়ে কাজ করেছে এমন লোক ছিল ৫০০, আর গ্যালিয়াম নাইট্রাইড নিয়ে কাজ করছে এমন লোক আছে নাকামুরাসহ মাত্র ৫ জন। এর মধ্যে দুইজন হলেন ইশামু আকাজাকি ও হিরোশি আমানো। এরা দুইজন ক্রিস্টাল তৈরির প্রথম সমস্যা অলরেডি সমাধান করে ফেলেছেন। 

বাকি আছে দুইটা সমস্যা- পি-টাইপ বানানো ও ডিফেক্ট যথাসম্ভব কমানো। আকাজাকি ও আমানোরা মিলে পি-টাইপ বানিয়েছে, কিন্তু কোয়ালিটি খুব একটা ভালো না। নিশিয়ায় ফিরে নাকামুরা প্রথম ৬ মাস বহু চেষ্টা করে সাধারণ ক্রিস্টালও বানাতে পারলেন না। ডেস্পারেট হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন রিয়্যাক্টরটা নিজের মত চেঞ্জ করে নিবেন। ফ্লোরিডায় ১০ মাস ভাঙ্গাচোরা রিয়্যাক্টর জোড়া দিয়ে যে স্কিল অর্জন করেছেন সেটা অমূল্য হয়ে ধরা দিল। 

এই সময়ে নাকামুরার রুটিনের কথা বলা যাক। প্রতিদিন ৭ টায় ল্যাবে আসতেন। ৭ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত কাটিং ও ওয়েল্ডিং চলত। এমন কিছু নাই যেটা পরীক্ষা করে দেখা হয় নাই। কখনো মেশিনের হাইট বাড়ানো, পাইপ বাঁকিয়ে দেয়া, গ্যাস নজেলের শেইপ চেঞ্জ করে নতুন করে ওয়েল্ড করা ইত্যাদি।  

তারপর দুপুর ১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত চলত এক্সপেরিমেন্ট, এটা দেখার জন্য যে মেশিনের নতুন ভার্সন ভালো রেজাল্ট দিচ্ছে কিনা। ৭ টায় বাসায় যেয়ে, খেয়ে দেয়ে ঘুম। আবার সকালের ৭ টায় কাজ শুরু। নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইটে লেখা আছে নাকামুরা এই কাজ করে গেছেন দিনের পর দিন কোন ছুটি না নিয়ে। সপ্তাহের ৭ দিনই কাজ করতেন। বছরে কেবল একবার ছুটি নিতেন, জাপানিজ নববর্ষের দিনে। 

বছর খানেক পর, নাকামুরা নতুন একটা পরিবর্তন আনলেন রিয়্যাক্টরে। বাষ্প ইনজেক্ট করার নজেল ছিল একটা, তিনি ওয়েল্ড করে উপরে আরেকটা নজেল লাগিয়ে দিলেন। এবার দুই দিক থেকে বাষ্প পড়বে সাবস্ট্রেটের উপর- টু ফ্লো সিস্টেম। ১৯৯০ সালের এক শীতের দিনে ল্যাবে বানানো স্যামপল নিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফল পেলেন। গ্যালিয়াম নাইট্রেটের এত পিউর ক্রিস্টাল এর আগে কেউ বানায় নি। তিনি সেদিনটাকে বলছেনে- জীবনের সবথেকে এক্সাইটিং সময়। 

নাকামুরা তার প্রোটোটাইপ ব্লু এলইডি নিয়ে একটি বক্তৃতা দেন আমেরিকায়। শ্রোতারা তাকে স্ট্যান্ডিং ওভেশন দেয়। নাকামুরা কিন্তু তখনো কাজ থামাননি, তখনো এটা ছিল একটা প্রটোটাইপ। এর দুই বছর পর নিশিয়া পৃথিবীর প্রথম ব্লু LED এর কথা প্রকাশ করে।  

দেখেন সুজি নাকামুরা কোন প্রিভিলেজ থেকে শুরু করেন নি, ভালো ডিগ্রি বা ভালো ল্যাবে কাজ করার সৌভাগ্য হয়নি। সত্যি বলতে গেলে তাঁর যায়গায় ৯৯% পার্সেন্ট মানুষ লেগে থাকার কোন কারণ খুঁজে পেত না। এই মানুষদের মধ্যে আমি নিজেও পরি।  

কারণ তাঁর থেকে ভালো বেতনে, অনেক ভালো ল্যাবে ভালো মেশিনপাতি দিয়ে, তার উপর ভালো প্রফেসরের আন্ডারে অনেকে একই গবেষণা করছিল। 'ওদের তুলনায় আমি একা কি বা এমন করতে পারব?'- এমন মনে হওয়া অস্বাভাবিক না। এই কাহিনী আমার একটা পছন্দের সিনেমার ডায়ালগের কথা মনে করিয়ে দেয়-   

: But is there a line? You know, maybe you go too far, and you discourage the next Charlie Parker from ever becoming Charlie Parker?

: No, man, no. Because the next Charlie Parker would never be discouraged.

(সূত্রঃ Veritasium, নোবেল প্রাইজের ওয়েব সাইট)

Monday, February 10, 2025

দুঃখ, দুশ্চিন্তা, অসুস্থতা) দূর করে

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম‌ বলেন,

"যে ব্যক্তি কোনো দুঃখ, দুশ্চিন্তা, অসুস্থতা কিংবা কাঠিন্য অনুভব করবে এবং বলবে,

الله ربي لا شريك له
(আল্লাহু রব্বি‌ লা‌ শারিকা‌ লাহু‌)
"আল্লাহ আমার রব, তাঁর কোনো শরিক নাই"

আল্লাহ তার থেকে উক্ত (দুঃখ, দুশ্চিন্তা, অসুস্থতা) দূর করে দিবেন।" [১]

অন্য বর্ণনায় নিম্নোক্ত বাক্যটি পড়ার কথা বলা হয়েছে,

اَللّٰهُ، اَللّٰهُ رَبِّيْ لَآ اُشْرِكُ بِهٖ شَيْئًا 
(আল্লাহু আল্লাহু, রব্বী, লা উশরিকু বিহী শাই’আ)
"আল্লাহ! আল্লাহ! (তিনি) আমার রব! আমি তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরীক করি না।" [২]

[১] সহিহুল‌ জামে‌: ৬০৪০
[২] মাওয়ারিদুয যামআন: ৭/৪০০-৪০১

Md Moniruzzaman vai

Saturday, February 1, 2025

একটি হাদীস : জীবন পরিবর্তনকারী চারটি কথামাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

একটি হাদীস : জীবন পরিবর্তনকারী চারটি কথা
মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

আজকের এ মজলিসে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদীস সম্পর্কে সংক্ষেপে মুযাকারা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

হাদীসটি ‘মুস্তাদরাকে হাকেম’সহ হাদীসের অনেক কিতাবে বর্ণিত হয়েছে—

সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রা. বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এসে বললেন, আল্লাহর রাসূল! আমাকে নসীহত করুন এবং সংক্ষেপে বলুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন—

(১) মানুষের হাতে যা আছে, তা থেকে নিরাশ হয়ে যাও।

(২) লোভ করবে না। কারণ লোভই হল নগদ দারিদ্র্য।

(৩) তুমি নামায এমনভাবে আদায় করবে, যেন তুমি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে যাচ্ছ!

(৪) এমন কথা ও এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যার জন্য পরে তোমাকে ক্ষমা চাইতে হয়। —মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৯২৮

লক্ষ করুন, সাহাবী বলেছেন— আমাকে নসীহত করুন এবং সংক্ষেপে বলুন। أَوْجزْ শব্দের মধ্যে ‘সংক্ষেপ করুন’-এর অর্থ যেমন আছে, তার চেয়েও বেশি রয়েছে ‘তাসীরপূর্ণ হওয়া’র কথা। অর্থাৎ আমার অন্তরে ও আমলে প্রভাব ফেলে এমন নসীহত করুন!

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চারটি নসীহত করলেন—

এক.

عَلَيْكَ بِالْإِيَاسِ مِمَّا فِي أَيْدِي النَّاسِ.

অর্থাৎ মানুষের হাতে কী আছে, দেখবে না। কার পকেটে কী আছে, কার কাছে কী ধন-সম্পদ আছে, তার দিকে যেন তোমার নযর না যায়! তা থেকে নিরাশ ও বিমুখ হয়ে তোমার দৃষ্টি থাকবে একমাত্র আল্লাহর রহমতের দিকে। আল্লাহ যা দিয়েছেন তার ওপর সন্তুষ্ট থাকবে। অন্যের পকেটের দিকে কখনো তাকাবে না!

হালাত ও জরুরত আসতেই পারে। প্রথমেই তোমার মাথায় আসতে হবে যে, আল্লাহ দান করবেন। সেই উদ্দেশ্যে দুই রাকাত সালাতুল হাজত পড়ে দুআ করবে। আর তার জন্য কোনো বৈধ উপায়-উপকরণ গ্রহণ করার থাকলে সেটিও করবে। কিন্তু অন্য কেউ আমাকে দিয়ে দিক— এমনটা যেন আমার মাথায় না আসে। আসলে সেটা মাথা থেকে সরাতে হবে!

অনেক সময় মানুষের হঠাৎ জরুরত এসে যায়। হঠাৎ কোনো ঠেকা এসে যায়। যেটা বাহ্যত তার সামর্থ্যরে বাইরে। এই ধরনের ক্ষেত্রে অনেকের মাথায় প্রথমেই যা আসে তা হল, কেউ যদি আমার সহযোগিতা করত! অমুক যদি আমার জরুরতটা পূরণ করে দিত! কিন্তু না; এমন করা যাবে না। এমনকি করয বা ঋণ নিতে হলে, সে ক্ষেত্রেও প্রথমে আমার মাথায় সালাতুল হাজত ও দুআর কথা আসতে হবে।

এককথায় মানুষের কাছে কিছু পাওয়ার আশা করবে না। ‘আশা’ তো থাকতেই পারবে না, বরং থাকতে হবে নিরাশা। কে দেবে আমাকে? কেন দেবে? কিছু চাইব তো নয়-ই; চাওয়ার ভানও করব না।

তোমার মেযাজ যদি এমন হয়ে যায়, তোমাকে মানুষ ভালবাসবে। মানুষের ভালবাসা পাওয়ার এটাও একটা উপায়।

দুই.

وَإِيَّاكَ وَالطَّمَعَ فَإِنَّهُ الْفَقْرُ الْحَاضِرُ.

লোভ করবে না। কারণ লোভই হল নগদ দারিদ্র্য।

সুবহানাল্লাহ! আবার খেয়াল করুন। নবীজী বলেছেন—

فَإِنَّهُ الْفَقْرُ الْحَاضِرُ.

লোভই হল নগদ দারিদ্র্য।

কারণ লোভ করা মানে তুমি নিজের অবস্থার ওপর কখনোই সন্তুষ্ট হতে পারবে না। কেবল মনে করবে, আমার নাই! আমার নাই!!

আমাকে আল্লাহ যা দিয়েছেন তার ওপর যদি আমি সন্তুষ্ট থাকি এবং লোভ না করি, তাহলে আমার চেয়ে প্রাচুর্যবান আর কে আছে!

কারণ অন্তরের প্রাচুর্যই প্রকৃত প্রাচুর্য। হাদীস শরীফে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—

لَيْسَ الْغِنى عَنْ كَثْرَةِ الْعَرَضِ، وَلكِنَّ الْغِنى غِنَى النَّفْسِ.

অভাবমুক্তি ও প্রাচুর্য সম্পদের আধিক্যের কারণে হয় না; বরং প্রকৃত প্রাচুর্য তো হল অন্তরের প্রাচুর্য। —সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৪৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৫১

সেজন্য লোভ থেকে সর্বদা বাঁচতে হবে। লোভ যদি করা হয়, তাহলে যত বেশিই থাকুক, তাতে মন কখনো ভরবে না। সে সর্বদা অভাবের মধ্যেই ডুবে থাকবে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—

لَوْ كَانَ لِابْنِ آدَمَ وَادِيَانِ مِنْ مَالٍ لَابْتَغَى وَادِيًا ثَالِثًا، وَلَا يَمْلَأُ جَوْفَ ابْنِ آدَمَ إِلَّا التُّرَابُ، وَيَتُوبُ اللهُ عَلى مَنْ تَابَ.

আদমের বেটার যদি দুই উপত্যকা সম্পদ থাকে, সে তৃতীয় উপত্যকা চাইবে। আদমের বেটার পেট কেবল মাটিই ভরতে পারে। আর যে তওবা করে, আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। —সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৪৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৩৯

খরচ না বাড়িয়ে কমানোর চিন্তা করি

দুনিয়ার জীবনে আমরা শান্তি পাই না। আমাদের জীবনে শান্তি আসে না। শান্তি না আসার বড় কারণ কী? শান্তি না আসার বড় একটা কারণ হল আমাদের প্রয়োজন বাড়িয়ে ফেলা। জরুরি নয় এমন অনেক কিছুকে আমরা জরুরি মনে করি। তাই আমাদের কর্তব্য হল, আমি কী কী ছাড়া চলতে পারি আর কী কী ছাড়া চলতে পারি না, সেটা শনাক্ত করা।

কোনো খরচ বাড়ানোর আগে আমাকে চিন্তা করতে হবে খরচ কমানোর। এটা যিন্দেগীর গুরুত্বপূর্ণ ফালসাফা এবং অনেক হাদীসের নির্যাস এই চিন্তাটা।

ভাষাটা প্রফেসর হামীদুর রহমান ছাহেব রাহ.-সহ আরো অনেক বুযুর্গের। প্রফেসর হযরত রাহ. বলতেন, খরচ বাড়ানোর চিন্তা করবে না; বরং যা এখন খরচ হচ্ছে, সেটা কমানোর চিন্তা কর!

আমরা তো মনে করি, এখন যেভাবে খরচ বাড়ছে, আমাদের আয় বাড়ানো দরকার।

হযরত বলতেন, আয় বাড়ানো তো তোমার হাতে নয়; এটা কি মানুষ চাইলে বা ইচ্ছা করলেই পারে? বরং এটা তো সময়সাপেক্ষ ও তাকদীরের বিষয়। চেষ্টা করলে হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। হলেও সেটা নগদ পারব কিনা নিশ্চিত নয়। কিন্তু নগদ যে কাজটা আমি করতে পারি তা হল, খরচ কমিয়ে দেওয়া। আমি দেখি, যে যে খাতে আমি খরচ করছি, ওই খাতগুলোর মধ্যে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বা ‘কম প্রয়োজনীয়’ কোনো খাত আছে কি না!

আমাদের নিজেদের মাঝে এবং পরিবারের সদস্যদের মাঝে যদি এ কথার ওপর আমল এসে যায়, যিন্দেগী অনেক সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অপ্রয়োজনীয় এবং কম প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পরিহার করি। এটাই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়েছেন।

কিন্তু আমি যদি ভাবতে থাকি, অমুকের ওটা আছে, আমারও সেটা দরকার। তাহলে জীবন কঠিন হয়ে যাবে। আর যদি লোভ করা হয়, তবে তো আরো মুশকিল! খোদ লোভটাই এক বড় মসিবত। বড় এক অশান্তি। আর হাদীসের ভাষায়— فَإِنَّهُ الْفَقْرُ الْحَاضِرُ নগদ দারিদ্র্য।

তিন.

وَصَلِّ صَلَاتَكَ وَأَنْتَ مُوَدِّعٌ.

নামায আদায় করবে এমনভাবে, যেন তুমি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে যাচ্ছ!

এই নামাযই হয়তো আমার জীবনের শেষ নামায— এমন অনুভূতি নিয়ে নামায আদায় কর। নামাযে এমনভাবে মন লাগাও, যেন জীবনের শেষ নামায পড়ছ।

এমনভাবে নামায পড়লে নামাযে এমনিতেই খুশূ-খুযূ আসবে, ইনশাআল্লাহ।

চার.

وَإِيَّاكَ وَمَا تَعْتَذِرُ مِنْهُ.

এমন কথা ও এমন কাজ থেকে বিরত থাক, যার জন্য পরে তোমাকে ক্ষমা চাইতে হয়।

এমন কথা বলবেই না। এমন কথা বা কাজ করবেই কেন যে, পরে আবার ওযরখাহি করতে হয়? ‘সরি’ বা ‘দুঃখিত’ বলতে হয়?

হাঁ, অনিচ্ছাকৃত কখনো হয়ে গেলে তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেবে; এটা ভালো গুণ। কিন্তু তোমাকে তো সতর্ক থাকতে হবে, যেন এমন কাজ না হয়। আর বুঝে-শুনে এমন কাজ করার তো কোনো প্রশ্নই আসে না।

উপরোক্ত হাদীসে এ চারটি নসীহত করা হয়েছে।

আচ্ছা, আমাদের যিন্দেগী ঠিক হওয়ার জন্য অনেক বেশি নসীহতের প্রয়োজন আছে কি? এই চারটা জিনিসের প্রতি লক্ষ রাখলে দ্বীন-দুনিয়া সবই ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে কবুল করুন, তাওফীক দান করুন— আমীন!

Friday, January 31, 2025

পুরুষ বিয়ের পরে তার অর্ধাঙ্গিনীর কিছু তুচ্ছ বিষয়ের প্রেমে পড়ে যায়

পুরুষ বিয়ের পরে তার অর্ধাঙ্গিনীর কিছু তুচ্ছ বিষয়ের প্রেমে পড়ে যায়। যেমন─

০১. দৃষ্টিঃ
পুরুষ বাড়ি ফিরলে, তার দিকে সঙ্গিনীর তাকানোটা, পুরুষের কাছে ভীষণ সুখকর প্রাপ্তি। যতোই ব্যস্ত থাকুন ,এটুকু তাকান মুচকি হেসে.. একটু ঘাড় ফিরিয়ে তাকালে চুলার রান্না পুড়ে যাবে না, একটু চোখ তুলে তাকালে ফোনের মুভিটা চিরতরে মিস হয়ে যাবে না। আপনার এমন অপরূপ চোখ দুটির গাঢ় দৃষ্টির অপার্থিব সুখ তাকে দিন!বাহিরের সকল কষ্ট, গ্লানি, ক্লান্তি নিমিষেই দূর করে আপনিই তার মনটা প্রশান্ত করতে পারবেন। 
 
০২. ধন্যবাদঃ
স্বামী স্ত্রীর প্রতি স্বাভাবিক দায়িত্বগুলোই পালন করে,তবুও,তার কাজটুকুকে ধন্যবাদ দিলে,তিনি অকল্পনীয় সুখ পান। একটি ফুল উপহার পেলে ধন্যবাদটুকু দিন..এই ধন্যবাদ তাকে বুঝিয়ে দেয় তার প্রেমটুকু মূল্যহীন নয়। সবসময় শব্দ দিয়ে ধন্যবাদ দিতে হয় না, মিষ্টি হাসির আভাতেই নিঃশব্দে জানিয়ে দিন─ 'থাঙ্কু।'

০৩. মানসিক আশ্রয়ঃ
পুরুষ স্ত্রীর কাছে আমৃত্যু একটি জিনিসই চায়─ মায়ের মতো আশ্রয়। তাকে অনুপ্রেরণা দিন,,,পজিটিভ আচরণের মাধ্যমে। আপনি তার স্বস্তি হোন। নিজের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে বলতে থাকবেন না, তাকে বলেন ~ "এ মাসে আপনি একটি শার্ট কিনবেন।" এবং আমিই কিনে দিবো। এটি তার কাছে উপহার নয়, তার চেয়েও বেশিকিছু─ প্রেমময় আশ্রয়। আপনার স্বামী কি বৈধতম ভালোবাসার সাথে এটুকু যত্ন ও গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না আপনার কাছ থেকে?

০৪. বন্ধুতাঃ 
আপনি নিজেকে স্বামীর পুরস্কার ভাববেন না।এই ভুলটি প্রায়ই করে নারীরা। মারাত্মক ভুল এটি! নারী ভেবে বসে থাকে─ 'আমি রূপবতী, আমি দেহসৌষ্ঠবে অতুলনীয়া, অতএব সে যে আমাকে পেয়েছে, এটাই বিশাল সৌভাগ্য তার।' না, সে আপনাকে পেয়েছে তার এতোটা যোগ্যতা আছে বলেই। আপনি তার তাকদিরে আছেন। নারীর ওই আচরণে পুরুষ মানসিকভাবে তীব্রভাবে আহত হয়। আপনি নিজেকে আপনার পুরুষের 'ট্রফি' ভাববেন না। একটি সুখী দাম্পত্যের পূর্বশর্ত হলো─ বন্ধুতা। বন্ধুতা তুচ্ছাতিতুচ্ছ আচরণেও প্রকাশ পায়: তার চুলে হাত রাখে তাকে মিষ্টি কটাক্ষে বলুন─ "আজকের চা আমি বানাবো না,,আপনি আমার জন্য বানাবেন।"!! 🥰

সম্পর্ককে জটিল করে তুলবেন না, ছোট্টছোট্ট কমপ্লিমেন্টে ভরিয়ে তুলুন। হ্যাঁ, এরকম তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়গুলোই পুরুষকে নারীর তীব্রতম প্রেমিক করে তোলে।
পরিশেষে মনে রাখবেন:- স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের পরিপূরক.. প্রতিদ্বন্দ্বী নয়!
#followerseveryonehighlights #followersreels #অভিমান_ভাঙ্গানো #personalati #follower #followforfollowback #follow #followme

Monday, January 27, 2025

ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলারা শেখানোর উদ্দেশ্যে কুরআন শরীফের এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করতে পারবে কি?

প্রশ্ন : ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলারা শেখানোর উদ্দেশ্যে কুরআন শরীফের এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করতে পারবে কি? আমি একজন থেকে শুনেছি, শেখানোর উদ্দেশ্যে এক আয়াত এক আয়াত করে তিলাওয়াত করা জায়েয হবে। কিন্তু একজন আলেম বললেন, শেখানোর উদ্দেশ্যেও এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা জায়েয হবে না।

হযরতের কাছে সঠিক মাসআলাটি জানতে চাচ্ছি। দলীলসহ বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।

উত্তর :
ঋতুস্রাব অবস্থায় মহিলাদের জন্য অন্যকে শেখানোর উদ্দেশ্যেও কুরআন মাজীদ পড়া জায়েয হবে না। এমনকি এক আয়াত এক আয়াত করেও পড়া যাবে না।

এক বর্ণনায় এসেছে, হযরত হাসান বসরী রহিমাহুল্লাহ ও হযরত কাতাদা রহিমাহুল্লাহ বলেন, ঋতুমতি নারী ও যার উপর গোসল ফরয হয়েছে সে কুরআনের কোনো অংশই পড়বে না। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ১৩০২

এছাড়াও হযরত ওমর, হযরত জাবের ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম, ইবরাহীম নাখায়ী রহিমাহুল্লাহ প্রমুখ সাহাবা ও তাবেয়ীন থেকেও এ ব্যাপারে বহু হাদীস ও আসার বর্ণিত হয়েছে। এসব দলীলের আলোকে ফকীহগণ বলেন, ঋতুমতি নারীদের জন্য এক আয়াত পরিমাণও পড়া জায়েয নয়। এমনকি শেখানোর উদ্দেশ্যেও জায়েয নয়।

সুতরাং কুরআন মাজীদ শেখা-শেখানোর সাথে সম্পৃক্ত মহিলাগণও ওজরের দিনগুলোতে কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত থাকবেন। অবশ্য একান্ত প্রয়োজন হলে পূর্ণ আয়াত তিলাওয়াত না করে এক-দুই শব্দ করে বলে দিতে পারবেন।

-বাদায়েউস সানায়ে ১/১৫০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৪৮০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৩০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৯

[সূত্র : মাসিক আল কাউসার
শাবান ১৪৪৫ || ফেব্রুয়ারি ২০২৪]

আরো সংযোজন - @Rahat Hossain হাফি. এর একটা প্রশ্নোত্তর হতে।
.

পিরিয়ড চলাকালিন সময়ে কোরআনের ছোট কোনো সুরাও পড়া যাবে না,যদিও না দেখে পড়ুক।

হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১

পিরিয়ডের সময় মহিলা কুরআন তেলাওয়াত ব্যতীত সকল প্রকার দু'আ-দুরুদ এবং তাসবিহ ইত্যাদি পড়তে পারবে। দু'আর নিয়্যাতে কোরআনের ঐ সমস্ত আয়াত ও তেলাওয়াত করতে পাবেন,যে আয়াত সমূহে দু'আর অর্থ নিহিত রয়েছে। (আহসানুল ফাতাওয়া ২/৬৮)

#আয়াতুল কুরসী ও কোরআনের অন্যান্য অংশ দোয়া ওযিফা হিসেবে পাঠ করা যাবে।"


আরো সংযোজন উস্তাদ Mawlana Rabiul Hasan এর একটি প্রশ্নোত্তর হতে -

কোনোক্রমেই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করা যাবে না। এটি সম্পূর্ণ হারাম৷ 
فقط والله أعلم بالصواب.

Tuesday, January 21, 2025

Mandatory use of Document Verification System (DVS) from Tuesday, December 01, 2020 and onwards

 Mandatory use of Document Verification System (DVS) from Tuesday,
December 01, 2020 and onwards

Ref: 1/1/ICAB-2020/DVS/001 Date: Nov 24, 2020
C I R C U L A R
Mandatory use of Document Verification System (DVS) from Tuesday,
December 01, 2020 and onwards.
ALL PRACTICING MEMBERS OF THE INSTITUTE
You are already aware that the Institute of Chartered Accountants of Bangladesh (ICAB) has
developed the Document Verification System (DVS) jointly with the National Board of Revenue
(NBR) with a view to develop the overall economy of the country through bringing discipline &
ensuring transparency, accountability and good governance in the Govt. Revenue and Financial
Reporting System. The system was launched by the Honorable Finance Minister Mr. AHM Mostafa
Kamal FCA, MP on 12th November 2020. The President-ICAB announced in Launching Ceremony that
December 01, 2020 will be the effective date of using Document Verification System (DVS).
The Institute of Chartered Accountants of Bangladesh (ICAB) is going to enforce the use of DVS
mandatorily from December 01, 2020 and onwards. In this regard, all audit reports signed on
Dec 01, 2020 and onwards must have the Document Verification Code (DVC) along with the
auditor’s signature.
Therefore, all Practicing Members of the Institute are sincerely requested to generate Document
Verification Code (DVC) using Document Verification System (DVS) and put the DVC along
with their signature while they sign any audit report other than management audit and Internal
Audit from December 01, 2020 and onwards. Without mentioning Document Verification Code
(DVC), audited financial statement signed by any practicing member shall be considered as invalid
document.
Your co-operation in this regard will be appreciated highly.
Mahbub Ahmed Siddique FCA
Secretary & CEO – ICAB (In Charge)
Copy: All Members-ICAB
President – ICAB
All Vice Presidents – ICAB
All Members Council – ICAB
Practice Review- Quality Assurance Dept.- ICAB
Information Technology Dept.- ICAB

 

 

SPECIAL ORDER OF NBR ON DOCUMENT VERIFICATION SYSTEM (DVS)

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার 

জাতীয় রাজস্ব বাের্ড

[কর নীতি উইং]

সেগুনবাগিচা, ঢাকা

www.nbr.gov.bd

পত্র নম্বর-০৮.০১.০০০০.০৩০.০৬.০০৯,২০.১৭৮ 

তারিখঃ -

১১ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ

    ২৬ নভেম্বর , ২০২০ খ্রিস্টাব্দ 

বিষয়: কোম্পানি করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত হিসাব বিবরণী চার্টার্ড একাউন্টেন্ট কর্তৃক প্রত্যায়িত কি না তা যাচাইয়ের বিষয়ে নির্দেশনা। 

১। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ৩৫ অনুযায়ী, The Companies Act, 1913 বা কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ মােতাবেক সংজ্ঞায়িত কোম্পানীর আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় চার্টার্ড একাউন্টেন্ট কর্তৃক প্রত্যায়িত নিরীক্ষিত হিসাব। বিবরণী দাখিল করার এবং নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীতে চার্টাড একাউন্টেন্ট ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর উপযুক্ত সংখ্যক পরিচালকের স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।

২। কোম্পানি শ্রেণির করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী জাল কিনা তা উপ কর কমিশনার কর্তৃক যাচাই করার বিষয়ে অর্থ আইন, ২০১৮ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে বিধান সংযােজন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে চাটার্ড একাউন্টেন্সি পেশার নিয়ন্ত্রণকারী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ICAB এর ওয়েবসাইটে গিয়ে এরূপ যাচাই করার বিষয়ে আয়কর পরিপত্র-১, ২০১৮-১৯ এর মাধ্যমে স্পষ্টীকরণ করা হয়। উল্লেখ্য, আয়কর পরিপত্রটি আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ১৮৪এ ধারায় জারীকৃত।

৩। আয়কর অধ্যাদেশ এর বিধান পরিপালনকল্পে, আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলকৃত নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী জাল কি না তা নিশ্চিতকরণে জাতীয় রাজস্ব বাের্ডের সাথে আলােচনাক্রমে ICAB একটি Document Verification System (Dvs) তৈরী করেছে। উক্ত সিস্টেম প্রতিটি প্রত্যায়িত হিসাব বিবরণীর জন্য একটি Document 'Verification Code (DVC) জেনারেট করবে, যা প্রতিটি নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীতে উল্লেখ থাকবে।

৪। DVS এর কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বাের্ড এবং ICAB গত ১২ নভেম্বর ২০১০ তারিখে একটি সমঝােতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

৫। এমতাবস্থায়, রাজস্ব স্বার্থ সংরক্ষণ, আয়কর অধ্যাদেশ এর বিধান পরিপালন এবং জাল অডিট রিপাের্ট ব্যবহার রােধকল্পে জাতীয় রাজস্ব বাের্ড নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা প্রদান করছে:

  • কোম্পানি শ্রেণির করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত সকল নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীর ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার dvs.icab.org.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে DVC যাচাই করবেন;
  • ICAB এর ওয়েবসাইট যাচাই করে যদি দেখা যায় করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত কোনাে নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী চার্টার্ড একাউন্টেন্ট কর্তৃক প্রত্যায়িত নয় অর্থাৎ জাল (Fake), অথবা এতে কোম্পানীর উপযুক্ত সংখ্যক
    পরিচালকের স্বাক্ষর নেই তাহলে নিরীক্ষিত বলে দাবীকৃত উক্ত হিসাব বিবরণীটি উপ কর কমিশনার অগ্রাহ্য করে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ৩৫ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন;
  • কোম্পানি শ্রেণির করদাতার কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার কর নির্ধারণী আদেশের শুরুতে নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করবেন:
  • নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী প্রত্যয়নকারী অডিটরের নাম (বা নামসমূহ)  
    প্রত্যয়নের তারিখ।  
    নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীতে উল্লিখিত আইসিএবি ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন কোড |  
    নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীতে স্বাক্ষরকারী পরিচালকের নাম  
  • ১ ডিসম্বর ২০১০ তারিখের পূর্বে প্রত্যয়নকৃত কোনাে নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীর ক্ষেত্রে Document verification Code যাচাই সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রযােজ্য হবে না। 

বিতরণঃ (জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে নয়)

  1. সদস্য (সকল) জাতীয় রাজস্ব বাের্ড।
  2. কমিশনার, কর অঞ্চল-১/২/৩/৪/৫/৬/৭/৮/৯/১০/১১/১২/১৩/১৪/১৫, ঢাকা/বৃহৎ করদাতা ইউনিট/কেন্দ্রীয় কর জরীপ অঞ্চল, ঢাকা।
  3. মহাপরিচালক, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল/কর পরিদর্শন পরিদপ্তর/বিসিএস কর একাডেমী, ঢাকা।
  4. কর কমিশনার, কর অঞ্চল-১/২/৩/৪, চট্টগ্রাম।
  5. কর কমিশনার, কর অঞ্চল- খুলনা/রাজশাহী/সিলেট/রংপুর বরিশাল ময়মনসিংহ গাজীপুর নারায়নগঞ্জ / কুমিল্লা/বগুড়া।
  6. সিস্টেমস্ ম্যানেজার, জাতীয় রাজস্ব বাের্ড,ঢাকা (জাতীয় রাজস্ব বাের্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলােডের জন্য)।
  7. প্রথম সচিব (সকল আয়কর), জাতীয় রাজস্ব বাের্ড।
  8. চেয়ারম্যান মহােদয়ের একান্ত সচিব, জাতীয় রাজস্ব বাের্ড (চেয়ারম্যান মহােদয়ের সদয় অবগতির জন্য)।
  9. দ্বিতীয় সচিব (সকল আয়কর), জাতীয় রাজস্ব বাের্ড। SOI COPACUT, The Institute of Chartered Accountants of Bangladdesh (ICAB)

 

CIRCULAR

NBR notification to Mandatory use of Document Verification System (DVS) from Tuesday, December 01, 2020 and onwards

 

We would like to inform you that ICAB has already issued a Circular referring 1/1/ICAB-2020/DVS/001 dated 24 November 2020 to all practicing members requesting them to generate Document Verification Code (DVC) using  Document Verification  System (DVS) and put the DVC along with their signature while they will sign any audit report other than management audit and Internal Audit with effect from 01 December 2020 and onwards.

 

We are also pleased to inform you that the National Board of Revenue (NBR), Government of the

People's; Republic of Bangladesh has circulated an special order referring

০৮ন.০১০০০০.০৩০.০৬.০৯৯.২০.১৭৮ তারিখঃ ২৬ নভেম্বর ২০২০ ইং to all tax officials to mandatorily check the

authenticity of audited financial statements through the Document Verification System (DVS).

On the above consequence, all members of ICAB are hereby requested to follow ICAB's instruction and comply the mandatory requirements of NBR as stated above. For the ready reference, the Circular of NBR is hereby attached for necessary action please.

 

 

 

 

 

Sunday, January 19, 2025

জীবন থেকে নেয়া

#৪৮০২

একটা কথা আমাদেরকে বুঝতে হবে। 

প্রোটেক্টিভ, সাপোর্টিভ আর কেয়ারিং হাজব্যান্ডদের মেয়েরা ফেইসবুকেই ভালোবাসে। ফেইসবুকের বাইরে তাদের ভালোবাসা হইলো কর্কশ, নির্দয়, ট্রমাটিক পুরুষদের জন্য। 

আমি আইজতক যত সুপার টলারেন্ট, সুপার সাপোর্টিভ, সর্বংসহা ব্যাডামানুষ দেখসি, তাদের সবাই অইত্যইন্ত্য *লছাল রান্না সহ্য কইরা বাইচা আছে, নাইলে পারলে নিজেই রান্না কইরা খায়। এইটাই ভদ্র পুরুষের জীবনের পরিনতি। আর যারা খাওয়া নিয়া কম্প্রোমাইজ করে না, প্রায় সবার বউ ভাল রান্না করে। বিয়ের আগে না পারলেও বিয়ের পর শিখা নেয়। এই ব্যাপারে আমার শেখা লাইফ লেসন হইলো, কম্প্রোমাইজ করসেন তো মরসেন।

আরে ভাই আজকে আপনারে ধুনফুন রাইন্ধা খাওয়াবে, এরপর আপনার পোলাপানরেও দেখবেন ঐসবই খাওয়াইতেসে। আপনার বাচ্চা কোনদিন বন্ধুরে বাসায় দাওয়াত দেয়ার আগে দুশ্চিন্তায় থাকবে, আম্মু রান্না করলে বন্ধু বমি করবে কিনা। 
ফলে শুধু নিজের হক না, নিজের নেক্সট জেনারেশনের হকেরও হোন মারার জন্য দায়ী হবেন আপনি। এইসব কারবারে কোন বিবেকবান পুরুষ যাইতে পারে না। আপনাকে অবশ্যই এনশিওর করতে হবে, আপনাকে যেন সবচেয়ে সুন্দরভাবে রান্না কইরা খাবারটা দেয়া হয়।

নারীরা ডিমান্ডিং, কমান্ডিং পুরুষ পছন্দ করেন। 

একসময় যখন লিব্রেল ছিলাম, তখন বহু আজাইরা ছোটগল্প পইড়া নিজেরে বুঝ দিতাম, যে না মাইয়াদের অনেক কষ্ট হয়, এইটা আমাদের মাইনা নেয়া উচিত। কিন্তু ভালো একটা রসা শামী কাবাবে কামড় দেয়ার আনন্দ আপনাকে এক হাজার ছোটগল্পও দিতে পারবে না। ফাটাফাটি একটা বাইলা মাছের ঝোল দিয়া মাখা শীতের দুপুরের গরম ভাত যে শান্তি দেবে, তার জন্য আমি হাজার টক্সিসিটি করতে রাজি।

শেষ কথা হইলো, বিয়ের আগে অবশ্যই খবর নেবেন, মেয়ের মা খালাদের রান্নার কি অবস্থা। এইটা একটা মাস্ট নো সিচুয়েশন রিপোর্ট। যার খানদানে ভালো রান্নাবান্না নাই, ঐ পাবলিক দিয়া বেশিদুর আগানো যায় না। এইখানে হেরিটেজ, জিনেটিক্স ম্যাটার করে। মাল্টিমিলিওনেয়ারের মেয়েও খুব ভাল রাধুনী হইতে পারে, আবার, বস্তির মেয়েও রান্না না জানতেই পারে, এবং ভাইস ভার্সা।

সংসার জীবনের শুরুতে নিজের কোয়ালিটি অফ লাইফে যত ছাড় দেবেন, সেইটা সামনে আরো গানিতিক হারে বাড়বে। যে পুরুষ নিজের ইন্ট্রেস্ট ডিফেন্ড করে না, তারটা অন্য কেউ ডিফেন্ড কইরা দেয় না।
জীবনটা কি খাইয়া পার করবেন, এইটা একান্তই আপনার চয়েস। আমার পক্ষে রাবিশ নেয়া সম্ভব না 😇

এটাই সৌন্দর্য, এটাই ভারসাম্য।


সজল ভাই

Saturday, January 18, 2025

চমৎকার দুয়া

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি চমৎকার সব দুআই না শিখিয়েছেন! এই দেখুন একটি দুআ...

ربِّ اغفِرْ لي خَطِيئتي وجَهْلي وإسرافي في أمري وما أنتَ أعلَمُ به منِّي اللَّهمَّ اغفِرْ لي خطاياي وعَمْدي وجَهْلي وجِدِّي وهَزْلي وكلُّ ذلكَ عندي اللَّهمَّ اغفِرْ لي ما قدَّمْتُ وما أخَّرْتُ وما أسرَرْتُ وما أعلَنْتُ إنَّك أنتَ المُقدِّمُ وأنتَ المُؤخِّرُ وأنتَ على كلِّ شيءٍ قديرٌ

[রাব্বিগফির লি খত্বিয়াতি ওয়া জাহলি ওয়া ইসরাফি ফি আমরি ওয়ামা আনতা আ'লামু মিন্নি। আল্লাহুম্মাগফিরলি খাত্বায়ায়া ওয়া আমদি ওয়া জাহলি ওয়া জিদ্দি ওয়া হাযলি ওয়া কুল্লু যালিকা ইনদি। আল্লাহুম্মাগফিরলি মা ক্বদ্দামতু ওয়া মা আখখারতু ওয়ামা আসরারতু ওয়ামা আলানতু ইন্নাকা আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখখিরু ওয়া আনতা আলা কুল্লি শাইইন ক্বদির]

অর্থ: মাওলা! আমার গুনাহ মাফ করে দাও। না জেনে যা করেছি মাফ করে দাও। আমার যত বাড়াবাড়ি ছেড়ে দাও। আমার যে কাজ আমি গুনাহ মনে করিনি কিন্তু তুমি জানো সেগুলো গুনাহ সেসবও মাফ করে দাও। ওগো আমার রব! ইচ্ছায় অনিচ্ছায় জেনে না জেনে যা ভুল আমি করেছি সবটা মাফ করে দাও। বুঝে শুনে ও হাসি তামাশায় যা কিছু আমার দ্বারা হয়ে গেছে সব ক্ষমা করো। মালিক! আগে যা গুনাহ করেছি পরে যা করব সেগুলোও মাফ করে দাও। গোপনে কিবা প্রকাশ্যে যত গুনাহ করে ফেলেছি তাও দাও মাফ করে। আপনিই তো আগে বাড়িয়ে দেয়ার মালিক। পিছিয়ে দেয়ারও মালিক আপনিই। সবকিছুতে আপনিই ক্ষমতাবান।

[সহীহ ইবনে হিব্বান ৯৫৭ | আবু মূসা আল আশআরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনা]

আল্লাহর কোনো গোলাম আল্লাহর কাছে তার হাবীবের শিখিয়ে দেয়া এই দুয়া করবে আর আল্লাহ মাফ করবেন না তা কি কখনো সম্ভব!

Ammarul Hoque হাফিযাহুল্লাহ

Tuesday, January 7, 2025

Chapter 02: Process of Assurance – Obtaining an Engagement 40 True/False Questions

 

40 True/False Questions


1–10: True/False Questions on Engagement Letters

  1. The engagement letter must be issued before the audit begins.
    Answer: True
    Explanation: The engagement letter formalizes the agreement and sets the scope before starting the audit.
  2. An engagement letter should include the auditor’s liability limitations.
    Answer: False
    Explanation: Liability limitations are only included when legally permitted and agreed upon with the client.
  3. Engagement letters must specify the form of the audit report.
    Answer: True
    Explanation: The engagement letter outlines the format and content of the audit report.
  4. An engagement letter is only required for first-time engagements.
    Answer: False
    Explanation: Engagement letters are required for all clients and must be reissued if terms change.
  5. The auditor can begin the audit without a signed engagement letter.
    Answer: False
    Explanation: A signed engagement letter is required to formalize the terms of the engagement.
  6. The client’s acknowledgment of its responsibilities is included in the engagement letter.
    Answer: True
    Explanation: Management’s responsibilities, such as preparing financial statements, must be outlined.
  7. Engagement letters are optional for recurring audits with the same client.
    Answer: False
    Explanation: Engagement letters should be issued for recurring audits to address any changes in terms.
  8. Engagement letters help reduce disputes by clarifying terms.
    Answer: True
    Explanation: Clear terms in the engagement letter minimize misunderstandings and disputes.
  9. The engagement letter is sent after substantive audit procedures begin.
    Answer: False
    Explanation: The engagement letter must be sent and agreed upon before the audit begins.
  10. A reference to applicable financial reporting frameworks must be included in the engagement letter.
    Answer: True
    Explanation: This ensures the audit aligns with the relevant standards.

11–20: True/False Questions on Client Acceptance

  1. The auditor must perform client due diligence before accepting a new client.
    Answer: True
    Explanation: Due diligence ensures the auditor understands potential risks and complies with legal requirements.
  2. Refusal to contact the previous auditor is a valid reason to decline an engagement.
    Answer: True
    Explanation: Lack of communication with the previous auditor may indicate underlying issues.
  3. Client acceptance involves assessing the integrity of management.
    Answer: True
    Explanation: Management’s integrity is a critical factor in determining the risk of the engagement.
  4. The client’s financial profitability is the most important factor in engagement acceptance.
    Answer: False
    Explanation: Ethical and legal compliance, not profitability, is the primary focus.
  5. The auditor must accept all engagements if legally permitted.
    Answer: False
    Explanation: The auditor must assess risks, ethical concerns, and resource availability before acceptance.
  6. The auditor should evaluate the adequacy of resources before accepting an engagement.
    Answer: True
    Explanation: Adequate resources, such as staff and expertise, are essential for effective audit execution.
  7. Refusing client identification verification is grounds to decline the engagement.
    Answer: True
    Explanation: Verification is required for compliance with anti-money laundering regulations.
  8. Communication with the previous auditor is mandatory for all engagements.
    Answer: False
    Explanation: It is required only if the client has previous auditors, and client permission must be obtained.
  9. The auditor is required to ensure the client has strong internal controls before acceptance.
    Answer: False
    Explanation: The auditor evaluates risks but is not responsible for ensuring internal control strength.
  10. High-risk engagements should always be declined.
    Answer: False
    Explanation: High-risk engagements can be accepted if risks are mitigated through expertise and additional procedures.

21–30: True/False Questions on Ethical Considerations

  1. Independence is a fundamental requirement for auditors when accepting engagements.
    Answer: True
    Explanation: Independence ensures the objectivity and credibility of the auditor’s work.
  2. Familiarity with the client over a long period enhances independence.
    Answer: False
    Explanation: Long-term familiarity can impair independence and lead to biases.
  3. Conflicts of interest must be disclosed to the client and addressed before engagement.
    Answer: True
    Explanation: Transparency in handling conflicts ensures compliance with ethical standards.
  4. The auditor may accept engagements even if the client has unresolved disputes with regulators.
    Answer: False
    Explanation: Such disputes may pose ethical and legal risks and should be carefully evaluated.
  5. Ethical concerns are secondary to financial profitability when accepting engagements.
    Answer: False
    Explanation: Ethical considerations take precedence over financial aspects.
  6. Auditors can guarantee the accuracy of financial statements.
    Answer: False
    Explanation: Auditors provide reasonable assurance, not guarantees.
  7. Auditors must assess their competence before accepting specialized engagements.
    Answer: True
    Explanation: Competence ensures the auditor can handle the engagement effectively.
  8. Auditors can prepare financial statements for the client and conduct the audit.
    Answer: False
    Explanation: Preparing financial statements impairs independence and is a conflict of interest.
  9. The auditor must ensure compliance with professional ethics during engagement acceptance.
    Answer: True
    Explanation: Ethical compliance is a critical aspect of the engagement acceptance process.
  10. The auditor should refuse engagements where ethical threats cannot be mitigated.
    Answer: True
    Explanation: Ethical threats that cannot be addressed require the auditor to decline the engagement.

31–40: True/False Questions on Risk Assessment and Engagement Processes

  1. Risk assessment is optional during engagement acceptance.
    Answer: False
    Explanation: Risk assessment is critical to identifying potential challenges and deciding on acceptance.
  2. Clients with dominant management personalities may pose higher risks.
    Answer: True
    Explanation: Dominant personalities increase the risk of bias and control overrides.
  3. The engagement letter reduces the auditor’s liability entirely.
    Answer: False
    Explanation: While it helps manage liability, it does not eliminate it.
  4. The auditor should assess both the client’s industry risks and internal risks.
    Answer: True
    Explanation: A thorough risk assessment includes external and internal factors.
  5. Weak internal controls always result in a modified audit opinion.
    Answer: False
    Explanation: Weak controls require enhanced audit procedures, not necessarily a modified opinion.
  6. The engagement letter must be updated annually for recurring clients.
    Answer: False
    Explanation: It is updated only when significant changes occur.
  7. Refusal to allow access to records is grounds for declining the engagement.
    Answer: True
    Explanation: Access to records is essential for obtaining sufficient appropriate evidence.
  8. High-risk engagements should involve additional planning and expertise.
    Answer: True
    Explanation: High-risk clients require enhanced procedures and experienced personnel.
  9. The engagement letter should include the auditor’s responsibilities for fraud detection.
    Answer: False
    Explanation: The engagement letter clarifies that the auditor’s responsibility is to provide reasonable assurance, not to detect all fraud.
  10. Money laundering risks must be addressed before accepting the engagement.
    Answer: True
    Explanation: Anti-money laundering compliance is a key requirement during client acceptance.