Friday, June 20, 2025

Parenting tips

সন্তান হবার পরে অসুস্থ থাকা। মায়ের শরীর ভেঙে যাওয়া। এসব বাবা মায়ের জন্য বেদনার কারণ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলার পরেও অসুখ কমে না। তখন মনে করতে হবে সমস্যা অন্য কোথাও রয়েছে। আজকে বাদ মাগরিব এক মুসল্লির সন্তানের জন্য সমবেত দুয়া করলাম। দুয়ার পূর্বে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক কথা বললাম। সে কথাগুলো ছোট্ট করে লিখছি— 
• গর্ভধারণ অবস্থায় বাবার কর্তব্য হালাল খাবার খাওয়ানো ও বেশি বেশি আগত নবজাতকের জন্য দুয়া করা। মায়ের কর্তব্য সব সময় জিকির আজকার করা ও কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করা। বিশেষত সকাল সন্ধ্যার মাসনূন দুয়াগুলো গুরুত্ব সহকারে পড়া৷ এবং এ সময় যথেষ্ট পর্দা পুশিদায় থাকা ও টিভিসিডি এড়িয়ে চলা। 

• সন্তান যেদিন আসছে সেদিন যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে আল্লাহকে ডাকা। আসার পরে আজান ও ইকামত দেওয়া ও তাহনীক করা। মায়ের দুধ খাওয়ানো। 

• পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মাকে রাখা। ঘরদোর পরিষ্কার রাখা। আমসাধারণকে ঘরে আসতে না দেওয়া। কারণ বহু লোক কুদৃষ্টি দিতে পারে। এজন্য ‘মাশাআল্লাহ’ বলানো যে দেখতে আসবে। 

• সন্তান এলে খুশির অন্ত থাকে না। এ সময় দেখা যায় বাবা ছেলে বা মেয়ের ছবি তুলে যাকে তাকে পাঠায় ও দুয়া নেয়। এই ছবিগুলোর ওপর কুদৃষ্টি পড়তে পারে। তখন মা ও ছেলে সবাই রোগ বালায় পড়তে পারে। তাই যেকোনো ধরনের ছবিধারণ এরিয়ে চলা জরুরি। 

• এ সময় ঘরকে ডিভাইসমুক্ত রাখা। টিভিসিডি না দেখে নিজে নিজে সকাল সন্ধ্যার মাসনূন দুয়া পড়ে রুকইয়া করা। মায়ের নেফাসের সময় পার হলে অবশ্যই কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত ও নামাযে মনোযোগ দেওয়া। সূরা ফাতিহা, বাকারা, ইয়াসীন, রহমান ও শেফার আয়াতগুলো পড়ে নিজের ও সন্তানের ওপর দম করা। 

• এ সময় কুরআনি খাদ্য খাওয়া। যেমন দুধ, খেজুর, মধু ও কালোজিরা। পাশাপাশি সবুজ খাদ্য খাওয়া। আজকাল আমরা ভালো ভালো খাবার না খেয়ে অখাদ্য খেয়ে থাকি। যার কারণে মায়ের বহু অসুখ হয়। দুধ কম আসে। অথচ কালোজিরা খেলে দুধ বাড়ে। সন্তান পরিচর্যার নিয়মাবলি জানা। 

• সর্বোপরি সরিষার তেল ও পানি পড়িয়ে নিয়ে তা গায়ে মাখানো। এতে সুস্থ থাকবে মা ও শিশু। 

• সন্তান যা দেখে ও শোনে তা ধীরে ধীরে বলতে শেখে। তাই ভালো ভালো দৃশ্য সামনে রাখা। ইসলামি নিদর্শন ঘরে রাখা। 

• গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটি ভুলে গিয়েছি বলতে — ঘর থেকে বেরোলে মেয়েদের চুল খোলা না রাখা। চুল শয়তানের রশি। তাই মানুষের নজরে পড়ে ফিতনা সৃষ্টি হয় ও বদ আসর লাগে। 

• শিশুকে পূর্ণ উলঙ্গ করে বের না করা। হাঁটতে শিখলেও তখন উলঙ্গ হয়ে তাকে বাইরে যেতে না দেওয়া। কারণ একটাই বদ নজর। ও বিভিন্ন ধূলোময়লা লজ্জাস্থানে পড়ে রোগ বালাই হতে পারে। 

একটা ঘটনা বলি, আমার সাফওয়ানকে আমি আজান শুনিয়েছি ও ইকামত শুনিয়েছি। আমি অবাক হয়ে দেখি, এখনও মসজিদে আজান হলে ও তন্ময় হয়ে থাকে। ওর কাছে বিসমিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও বিভিন্ন দুয়া পড়লে ও খুশি হয় ও আরাম পায় সাথে বেশ মনোযোগীও হয়ে ওঠে। সাফওয়ান প্রতিদিন ফজরের আগেই জাগে। আলহামদুলিল্লাহ আজও তেমন কান্নাকাটি ওকে করতে দেখি নি। শুধু ক্ষুধা লাগলে কাঁদে নতুবা নয়। আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করি ওকে সুস্থ পরিবেশে বড় করতে। 

২৪ জিলহজ ৪৬ 
#হুজুরের_ডায়েরি #প্রতিদিন_একটি_মাসয়ালা

মাওলানা রবিউল হাসান (হাফি.)

Tuesday, June 17, 2025

keep secrets


গোপন রাখুন এই বিষয়গুলো:

১. ঘুরে বেড়ান – কাউকে কিছু না বলে।

২. টাকা উপার্জন করুন – কাউকে না বলে।

৩. সঙ্গী খুঁজুন – কাউকে না বলে।

৪. খুশি থাকুন – কাউকে কিছু না বলে।

৫. আপনার স্বপ্ন পূরণ করুন – কাউকে না বলে।

نِعْمَةٌ مَكْتُومَةٌ تَسْتَحِقُّ الشُّكْرَ، خَيْرٌ مِنْ نِعْمَةٍ مَشْهُورَةٍ تُورِثُ الْفَخْرَ

“গোপনে রাখা এক নিয়ামতের জন্য শুকরিয়া আদায় করা,ঐ নিয়ামতের চেয়ে উত্তম, যা প্রকাশ করে অহংকার করা হয়।”
— (বায়হাকী, শু‘আবুল ঈমান)

استعينوا على إنجاح الحوائج بالكتمان، فإن كل ذي نعمة محسود

"প্রয়োজন পূরণে গোপনীয়তা অবলম্বন করো, কারণ প্রতিটি নিয়ামতেরই হিংসুক থাকে।"
— (মুসনাদ আহমাদ, ইবনে মাজাহ)

Thursday, June 12, 2025

Lessons of life

You can take some. 


Young Man, Keep These In Your Closet

1• P*ssy is your enemy, your d*ck is like a ticking bomb ⏳ If you don’t control it, it will detonate your entire future.

2• Lust is the worst enemy once you know how to control it you’ve done half of the work.

3• Do not deceive yourself that you’re a player or a lover boy while chasing a woman instead of building yourself.

4• Remember you become a paycheck a steppingstone for her next move, never build with a women in your 20s, you don’t have your life together yet.

5• 20 Year old woman and 20 Year old man not the same, she’s at the peak of her value she will go for any man who’s ready to serve her. Nobody cares about you if you have nothing to offer, the society don’t value a broke and unshaped man wake up!

6• Your mission as a young man is build a dominant and it’s like a war not a time for romance and love, that’s your weakness.

7• Do not get a woman pregnant that’s life sentence to poverty, stress and regret.

8• Do not fix what you did not break.

9• Women are not built to struggle with you, they’re here to join the winner at the finish line you’re nothing but a temporal distraction if you’re still at the starting line.

10• It’s time to sharpen your mind, build maturity, set yourself up for dominance, when you hit the target the world will respect you that’s where same woman who ignored you will be chasing you down.

Sunday, June 8, 2025

a think

"অমুক মাছ কেটে দিনে দশ হাজার কামাচ্ছে"
"লাউয়ের বাগান করে কোটিপতি"
"চাকরি ছেড়ে গোবর আর কেঁচো নাড়াচাড়া"
এসব গল্প এখন অনেকেই শোনায়। 
তরুণদের জন্য, এই ফাঁদে পড়বেন না। একদম নিজের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা। আমাদের বয়সী একজন, ওয়েল পেইড জব ছেড়ে এইসব কুইক ক্যাশের নেশায় পড়ে গেলো। এখন হাউমাউ করে ম*রছে। 
১। আপনি যা-ই করেন, সেটার এক্সপান্ডিবিলিটি থাকতে হবে। ধরুন, একজন রিকশাওয়ালা, সে ডিসেন্ট আয় করে, এন্ট্রি লেভেল চাকরিজীবীর চেয়ে বেশী। রিকশাওয়ালা ৩০ হাজার কামায় আর জবে নতুন হলে ১৫ হাজার বেতন - সবাই আপনাকে এটুকুই বলবে। 
এবার পরের হিসাবটা, ধরুন ওই রিকশাওয়ালা তার ইনকাম ডাবল করতে চায়, বা ইভেন বাড়াতে চায়। তার জন্য একমাত্র অপশন রিকশা চালানোর সময় বাড়িয়ে দেওয়া। ডাবল করতে চাইলে তাকে ১০ ঘন্টার জায়গায় ২০ ঘণ্টা রিকশা চালাতে হবে। এটা কী ফিজিকালি পসিবল? সাথে বৃষ্টি, রোদ, ছুটির দিনে কাজে না গেলে আয় নেই। 
বা যে মাছ কাটছে তাকে ডাবল মাছ কাটতে হবে।
কিন্তু এন্ট্রি লেভেলের জবে ৪/৫ বছরে বেতন ডাবল হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক, কোনো অতিরিক্ত ঘন্টা না বাড়িয়েই। 
২। আপনি যে কাজটা করতে চান সেটা তো ভালো লাগতে হবে। ফেসবুকের এক লাইকখোরের লেখা পড়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন বাজারে বসে মাছ কাটবেন, চাকরীর ডাবল ইনকাম। ভেবে দেখুন, আগামী ত্রিশ বছর আপনি বটি ঘাড়ে করে মাছবাজারে গিয়ে নোংরা জলের মধ্যে বসে মাছ নাড়াচাড়া করতে রাজি আছেন কিনা। 
৩। লাইফস্টাইলের ব্যপার রয়েছে। আপনার যখন তেমন ইনকাম ছিলো না আপনি বাইক চালাতেন। সামনে টাকা হবে, গাড়ী কিনবেন। কিন্তু এসব কাজে তার কাজ কী? গাড়ী চালিয়ে কি আপনি ঝালমুড়ি বেচতে যাবেন? 
৪। চাকরিজীবি বা ডিসেন্ট লেভেলের উদ্যোক্তা হলে আপনি তার সাথে একটা লাইফস্টাইল আর নেটওয়ার্ক বাই ডিফল্ট পাবেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধরুণ, আপনি একটা স্টেশনারি কোম্পানির মার্কেটিংয়ে জব করেন। আপনি আজ এই ভার্সিটিতে, কাল ওই ঝকঝকে অফিসে বিটুবি ডিল করতে যাবেন। কত হাই স্কিল লোকের সাথে পরিচিতি হবে, কন্টাক্ট বিনিময় হবে। 
কিন্তু আপনি টাকা দেখে রাস্তায় ঝুড়ি নিয়ে দাড়ালেন। আপনার নেটওয়ার্ক হবে পাশের বাদামওয়ালা, গান গাওয়া ভিক্ষুক। ওই বাদামওয়ালার এই মুহুর্তের সবচেয়ে বড় চিন্তা সে কতক্ষণে সব বিক্রি করে ঘরে যাবে। আগামীকালও সে একই কাজ করবে। আপনার মত তার অ্যাম্বিশন নেই, বড় কিছু করার ইচ্ছে নেই, দেশ-মানুষের উপকারে আসার খায়েশ নেই। 
মনে রাখবেন, Your network is your net-worth
৫। আর এইসব পেশায় যে খুব বেশী ইনকাম হয় তাও কিন্তু না। শিরোনামে লেখা 'চাকরি ছেড়ে লাউ চাষে লাখপতি'। ভিতরে লিখেছে এক বছরে তার আয় তিন লাখ টাকা। মানে ওই লোক মাসে ২৫,০০০ টাকা কামায়, সেটা আবার নিউজ! 
তাই এইসব ভুয়া মোটিভেশনের ফাঁদে পড়বেন না। প্রতিবছর নিউজ মিডিয়াগুলো নিজেদের স্বার্থেই এরকম নিউজ করে। গত পাঁচ বছরে তো নিউজ কম দেখেন নি, আইফোন হাতে বাদামওয়ালা, ডিএসএলআর হাতে খিচুড়ি বিক্রেতা। প্রশ্ন হলো তারা এখন কোথায়? তারা এখনো কেন সেই রাস্তায় বসছে না আর ওরকম আয় করছে না? তাহলে এগুলো রিলায়েবল পেশা হয় কিভাবে? 
 কোন কাজই ছোট নয়। কিন্তু সব কাজই যে আপনার ফিল্ড, তা-ও নয়। 
আপনার কাছে খুব ভালো একটা প্লান আছে, কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য আপনি এগোতে পারছেন না। এখন আপনি যদি মাছ কুটে, বাদাম বেঁচে ওই পঞ্চাশ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলতে পারেন, তাহলে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু যেভাবে এসব পেশাকে সরাসরি একটা ওয়েল পেইড জবের বিকল্প হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তা মোটেও রিয়েলিস্টিক নয়।
✅পোস্টটা ক পি করা।কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় আমার কাছে তাই শেয়ার করা ।।।চাকরি কিংবা ব্যবসা এটা কোনো বিষয় নয়। আপনার কোনটা ভাল লাগে কোনটা করলে আপনি সামাল দিতে পারবেন কিংবা সামাজিকতা রক্ষা করতে পারেন তা নিয়ে ভাবুন। কাজ করুন।টাকা আয় করুন।

---  

### **English translation**  
"Someone is earning ten thousand a day by cutting fish."  
"Growing bottle gourds makes you a millionaire."  
"Quitting your job to play with cow dung and earthworms."  
These are the kinds of stories many people are spreading nowadays.  

To the young generation, don’t fall into this trap. This is based on firsthand experience. Someone our age left a well-paying job, got addicted to these quick-cash schemes, and is now struggling miserably.  

1. **Whatever you do, it must be expandable.**  
   Take a rickshaw puller, for example—he earns decently, more than an entry-level job holder. The rickshaw puller makes 30k, while a new employee earns 15k. That’s what everyone will tell you.  
   But now, consider the next part: If the rickshaw puller wants to double his income, his only option is to work double the hours. To earn twice as much, he must pull the rickshaw for 20 hours instead of 10. Is that physically possible? Add rain, scorching sun, and no income on holidays.  
   Or take the fish cutter—he must cut double the fish.  
   But in an entry-level job, it’s normal for the salary to double in 4-5 years without working extra hours.  

2. **You must enjoy the work you choose.**  
   After reading a Facebook post, you decide to quit your job and sell fish in the market for double the income. But ask yourself—are you ready to carry a basket on your back, sit in dirty water, and handle fish for the next 30 years?  

3. **Lifestyle matters.**  
   When you had little income, you rode a bike. Later, you planned to buy a car. But what’s the point in these jobs? Will you drive a car to sell spicy puffed rice?  

4. **Networking is crucial.**  
   If you’re a corporate employee or a decent-level entrepreneur, you automatically get a certain lifestyle and network. For example, if you work in marketing for a stationery company, you’ll visit universities, meet high-skilled professionals, and exchange contacts.  
   But if you stand on the street selling peanuts, your network will be the peanut seller next to you or the singing beggar. Their biggest concern is selling out and going home. They don’t have ambitions like yours.  
   Remember: **Your network is your net worth.**  

5. **These jobs don’t even pay that much.**  
   The headlines scream, "Quit job, grow bottle gourds, become a lakhpati!" But inside, it says he earns 3 lakh a year—meaning 25k per month. And that’s news?  
   Don’t fall for these fake motivational traps. News media runs these stories for their own benefit. Over the past five years, you’ve seen headlines like "Peanut seller with an iPhone" or "Khichuri vendor with a DSLR." But where are they now? Why aren’t they still doing it if it was so profitable?  

No work is small, but not every work is your field.  
You might have a great plan but lack 50k to start. If cutting fish or selling peanuts helps you gather that 50k, fine. But presenting these jobs as direct alternatives to well-paid jobs is unrealistic.  

✅ **This post is copied, but I find it very important, so I’m sharing it.**  
Whether it’s a job or business—it doesn’t matter. Think about what you enjoy, what you can manage, and what aligns with your social standing. Work hard. Earn money.  

---  

### **Russian translation**  
«Кто-то зарабатывает десять тысяч в день, разделывая рыбу».  
«Выращивание тыквы делает вас миллионером».  
«Бросить работу, чтобы копаться в коровьем навозе и червях».  
Такие истории сейчас распространяют многие.  

Молодёжи: не попадайтесь в эту ловушку. Это основано на личном опыте. Один человек нашего возраста оставил высокооплачиваемую работу, увлёкся этими схемами быстрого заработка и теперь мучается.  

1. **Ваше дело должно быть масштабируемым.**  
   Возьмём рикшу: он зарабатывает прилично, больше, чем начинающий офисный работник. Рикша получает 30 тысяч, а новичок — 15. Все будут говорить вам это.  
   Но теперь подумайте дальше: если рикша хочет удвоить доход, его единственный вариант — работать в два раза больше. Чтобы заработать вдвое больше, он должен крутить педали 20 часов вместо 10. Физически возможно? Добавьте дождь, жару, отсутствие дохода в выходные.  
   Или рыбак — он должен разделывать вдвое больше рыбы.  
   Но на начальной работе зарплата удваивается за 4-5 лет без переработок.  

2. **Вам должно нравиться то, чем вы занимаетесь.**  
   Прочитав пост в Facebook, вы решаете бросить работу и продавать рыбу. Но спросите себя: готовы ли вы 30 лет таскать корзину, сидеть в грязной воде и возиться с рыбой?  

3. **Образ жизни важен.**  
   Когда у вас не было денег, вы ездили на велосипеде. Потом мечтали о машине. Но какой смысл в этих работах? Будете ли вы ездить на машине, чтобы продавать орешки?  

4. **Нетворкинг решает.**  
   Офисный работник или предприниматель автоматически получает круг общения. Например, работая в маркетинге, вы посещаете университеты, общаетесь с профессионалами.  
   Но если вы торгуете на улице, ваш круг — продавец орехов и попрошайка. Их главная забота — поскорее продать и уйти. У них нет амбиций.  
   Помните: **Ваши связи — это ваш капитал.**  

5. **Эти работы не так прибыльны.**  
   Заголовки кричат: «Бросил работу, выращиваю тыкву — теперь миллионер!» Но внутри написано, что он зарабатывает 3 лакха в год (25к в месяц). И это новость?  
   Не верьте этим фейковым мотивациям. Где те продавцы с iPhone и DSLR? Почему они больше не занимаются этим, если это так выгодно?  

Никакая работа не плоха, но не всякая работа — ваше призвание.  
У вас может быть отличный план, но не хватает 50к. Если продажа рыбы поможет их собрать — хорошо. Но выдавать эти занятия за альтернативу нормальной работе — нереалистично.  

✅ **Этот пост скопирован, но я считаю его важным.**  
Работа или бизнес — неважно. Выбирайте то, что вам нравится, что вы сможете поддерживать и что соответствует вашему статусу. Работайте. Зарабатывайте.  

---  

### **Chinese translation**  
“有人靠切鱼一天赚一万。”  
“种葫芦成为百万富翁。”  
“辞职去玩牛粪和蚯蚓。”  
现在很多人都在传播这样的故事。  

年轻人,不要掉进这个陷阱。这是一个亲眼所见的经历。和我们同龄的一个人,辞去了高薪工作,沉迷于这些快速赚钱的套路,现在过得很惨。  

1. **无论做什么,必须有扩展性。**  
   比如一个三轮车夫,他赚得不错,比初级职员还多。三轮车夫赚3万,而新员工工资1.5万——大家都会这么告诉你。  
   但接下来想想:如果三轮车夫想收入翻倍,他唯一的办法就是延长工作时间。要赚双倍,他得拉车20小时而不是10小时。这现实吗?再加上下雨、暴晒、节假日没收入。  
   或者那个切鱼的——他得切双倍的鱼。  
   但在初级职位上,4-5年内工资翻倍很正常,还不用加班。  

2. **你必须喜欢自己选择的工作。**  
   看了Facebook的帖子后,你决定辞职去市场卖鱼,收入翻倍。但问问自己——未来30年,你愿意每天背着篮子,坐在脏水里摆弄鱼吗?  

3. **生活方式很重要。**  
   以前收入低时你骑自行车,后来计划买车。但这些工作能带来什么?难道你开车去卖爆米花?  

4. **人脉至关重要。**  
   如果你是企业员工或体面的创业者,自然会拥有某种生活方式和人脉。比如你在文具公司做营销,你会去大学谈合作,认识高素质人群,交换联系方式。  
   但如果你在街头卖花生,你的人脉就是隔壁小贩和乞讨者。他们只关心今天能不能卖完回家。他们没有你这样的抱负。  
   记住:**你的人脉就是你的净资产。**  

5. **这些工作其实赚得并不多。**  
   新闻标题写着:“辞职种葫芦,年入百万!”但内文说他一年的收入是30万(每月2.5万)。这也算新闻?  
   别被这些虚假励志故事骗了。过去五年,你见过“拿iPhone卖花生”“用单反卖小吃”的新闻。但他们现在在哪儿?如果真那么赚钱,为什么他们不继续做?  

没有工作是低贱的,但不是所有工作都适合你。  
你可能有个好计划,但缺5万启动资金。如果卖鱼能帮你凑齐这5万,那没问题。但把这些工作包装成高薪职业的替代品,完全不现实。  

✅ **这是转载的帖子,但我觉得很重要。**  
无论是工作还是创业——不重要。想想你喜欢什么、能胜任什么、是否符合你的社会形象。努力工作,赚钱生活。  

---  

### **Japanese translation**  
「魚をさばいて1日1万円稼ぐ」  
「ひょうたん栽培で億万長者」  
「仕事を辞めて牛糞とミミズをいじる」  
こんな話を今、多くの人が広めている。  

若い人たち、この罠に引っかかるな。これは実体験に基づく話だ。私たちと同世代の人が、高給職を辞めてこうした「短期稼ぎ」にハマり、今では悲惨な状況だ。  

1. **どんな仕事でも、拡張性が必要。**  
   例えば、リキシャ引きはまともな収入を得る。新卒サラリーマンより多い。リキシャ引きは3万円、新入社員は1.5万円——みんなそう言うだろう。  
   だが、次を考えてみろ。リキシャ引きが収入を倍にしたいなら、働く時間を倍にするしかない。10時間ではなく20時間こぐ必要がある。物理的に可能か?雨、炎天下、休日は収入ゼロ。  
   魚をさばく人も、魚を倍にさばかなければならない。  
   一方、新卒職では4~5年で給料が倍になるのが普通で、残業なしでだ。  

2. **自分が選んだ仕事を好きでなければならない。**  
   Facebookの投稿を読んで、仕事を辞めて市場で魚を売ろうと思ったとする。だが、自分に問え——これから30年、カゴを背負い、汚い水の中で魚をさばく覚悟はあるか?  

3. **ライフスタイルも重要。**  
   収入が少ない時はバイクに乗っていた。将来は車を買うつもりだった。だが、これらの仕事で車は必要か?車でお菓子を売りに行くのか?  

4. **人脈は極めて重要。**  
   会社員やまともな起業家なら、一定のライフスタイルと人脈が自然に手に入る。例えば、文房具会社のマーケティング職なら、大学を訪れ、スキルの高い人々と出会い、連絡先を交換する。  
   だが、道端でピーナツを売れば、隣のピーナツ売りや物乞いが人脈になる。彼らの最大の関心は、早く売り切って帰ることだ。彼らには野心も大きな夢もない。  
   覚えておけ:**人脈は資産だ。**  

5. **これらの仕事は実は大して稼げない。**  
   見出しには「仕事を辞め、ひょうたん栽培で年収300万円!」と書いてあるが、本文を読むと月25万円。これがニュースか?  
   こうした偽モチベーションに騙されるな。過去5年、「iPhoneを持ったピーナツ売り」「DSLRを持つキッチュリ売り」といった記事を見たはずだ。彼らは今どこにいる?儲かるならなぜ続けない?  

仕事に貴賤はないが、すべてが自分の分野とは限らない。  
素晴らしい計画があっても、5万円の資金が足りないかもしれない。魚をさばいてその5万円を稼ぐならいい。だが、これらの仕事を高収入職の代わりとして宣伝するのは現実的ではない。  

✅ **この投稿はコピーだが、非常に重要だと思うのでシェアする。**  
仕事か起業か——関係ない。自分が好きなこと、続けられること、社会的立場に合うことを考えろ。働け。稼げ。  

---  
 

think

"অমুক মাছ কেটে দিনে দশ হাজার কামাচ্ছে"
"লাউয়ের বাগান করে কোটিপতি"
"চাকরি ছেড়ে গোবর আর কেঁচো নাড়াচাড়া"
এসব গল্প এখন অনেকেই শোনায়। 
তরুণদের জন্য, এই ফাঁদে পড়বেন না। একদম নিজের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা। আমাদের বয়সী একজন, ওয়েল পেইড জব ছেড়ে এইসব কুইক ক্যাশের নেশায় পড়ে গেলো। এখন হাউমাউ করে ম*রছে। 
১। আপনি যা-ই করেন, সেটার এক্সপান্ডিবিলিটি থাকতে হবে। ধরুন, একজন রিকশাওয়ালা, সে ডিসেন্ট আয় করে, এন্ট্রি লেভেল চাকরিজীবীর চেয়ে বেশী। রিকশাওয়ালা ৩০ হাজার কামায় আর জবে নতুন হলে ১৫ হাজার বেতন - সবাই আপনাকে এটুকুই বলবে। 
এবার পরের হিসাবটা, ধরুন ওই রিকশাওয়ালা তার ইনকাম ডাবল করতে চায়, বা ইভেন বাড়াতে চায়। তার জন্য একমাত্র অপশন রিকশা চালানোর সময় বাড়িয়ে দেওয়া। ডাবল করতে চাইলে তাকে ১০ ঘন্টার জায়গায় ২০ ঘণ্টা রিকশা চালাতে হবে। এটা কী ফিজিকালি পসিবল? সাথে বৃষ্টি, রোদ, ছুটির দিনে কাজে না গেলে আয় নেই। 
বা যে মাছ কাটছে তাকে ডাবল মাছ কাটতে হবে।
কিন্তু এন্ট্রি লেভেলের জবে ৪/৫ বছরে বেতন ডাবল হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক, কোনো অতিরিক্ত ঘন্টা না বাড়িয়েই। 
২। আপনি যে কাজটা করতে চান সেটা তো ভালো লাগতে হবে। ফেসবুকের এক লাইকখোরের লেখা পড়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন বাজারে বসে মাছ কাটবেন, চাকরীর ডাবল ইনকাম। ভেবে দেখুন, আগামী ত্রিশ বছর আপনি বটি ঘাড়ে করে মাছবাজারে গিয়ে নোংরা জলের মধ্যে বসে মাছ নাড়াচাড়া করতে রাজি আছেন কিনা। 
৩। লাইফস্টাইলের ব্যপার রয়েছে। আপনার যখন তেমন ইনকাম ছিলো না আপনি বাইক চালাতেন। সামনে টাকা হবে, গাড়ী কিনবেন। কিন্তু এসব কাজে তার কাজ কী? গাড়ী চালিয়ে কি আপনি ঝালমুড়ি বেচতে যাবেন? 
৪। চাকরিজীবি বা ডিসেন্ট লেভেলের উদ্যোক্তা হলে আপনি তার সাথে একটা লাইফস্টাইল আর নেটওয়ার্ক বাই ডিফল্ট পাবেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধরুণ, আপনি একটা স্টেশনারি কোম্পানির মার্কেটিংয়ে জব করেন। আপনি আজ এই ভার্সিটিতে, কাল ওই ঝকঝকে অফিসে বিটুবি ডিল করতে যাবেন। কত হাই স্কিল লোকের সাথে পরিচিতি হবে, কন্টাক্ট বিনিময় হবে। 
কিন্তু আপনি টাকা দেখে রাস্তায় ঝুড়ি নিয়ে দাড়ালেন। আপনার নেটওয়ার্ক হবে পাশের বাদামওয়ালা, গান গাওয়া ভিক্ষুক। ওই বাদামওয়ালার এই মুহুর্তের সবচেয়ে বড় চিন্তা সে কতক্ষণে সব বিক্রি করে ঘরে যাবে। আগামীকালও সে একই কাজ করবে। আপনার মত তার অ্যাম্বিশন নেই, বড় কিছু করার ইচ্ছে নেই, দেশ-মানুষের উপকারে আসার খায়েশ নেই। 
মনে রাখবেন, Your network is your net-worth
৫। আর এইসব পেশায় যে খুব বেশী ইনকাম হয় তাও কিন্তু না। শিরোনামে লেখা 'চাকরি ছেড়ে লাউ চাষে লাখপতি'। ভিতরে লিখেছে এক বছরে তার আয় তিন লাখ টাকা। মানে ওই লোক মাসে ২৫,০০০ টাকা কামায়, সেটা আবার নিউজ! 
তাই এইসব ভুয়া মোটিভেশনের ফাঁদে পড়বেন না। প্রতিবছর নিউজ মিডিয়াগুলো নিজেদের স্বার্থেই এরকম নিউজ করে। গত পাঁচ বছরে তো নিউজ কম দেখেন নি, আইফোন হাতে বাদামওয়ালা, ডিএসএলআর হাতে খিচুড়ি বিক্রেতা। প্রশ্ন হলো তারা এখন কোথায়? তারা এখনো কেন সেই রাস্তায় বসছে না আর ওরকম আয় করছে না? তাহলে এগুলো রিলায়েবল পেশা হয় কিভাবে? 
 কোন কাজই ছোট নয়। কিন্তু সব কাজই যে আপনার ফিল্ড, তা-ও নয়। 
আপনার কাছে খুব ভালো একটা প্লান আছে, কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য আপনি এগোতে পারছেন না। এখন আপনি যদি মাছ কুটে, বাদাম বেঁচে ওই পঞ্চাশ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলতে পারেন, তাহলে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু যেভাবে এসব পেশাকে সরাসরি একটা ওয়েল পেইড জবের বিকল্প হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তা মোটেও রিয়েলিস্টিক নয়।
✅পোস্টটা ক পি করা।কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় আমার কাছে তাই শেয়ার করা ।।।চাকরি কিংবা ব্যবসা এটা কোনো বিষয় নয়। আপনার কোনটা ভাল লাগে কোনটা করলে আপনি সামাল দিতে পারবেন কিংবা সামাজিকতা রক্ষা করতে পারেন তা নিয়ে ভাবুন। কাজ করুন।টাকা আয় করুন।

 

**English translation**  
Many people these days share stories like:  
- "Earning 10k daily by cutting fish"  
- "Becoming a millionaire through gourd farming"  
- "Quitting jobs to play with cow dung and earthworms"  

**Do not fall for these traps**, especially if you're young. Let me share a real-life example: someone I know left a well-paying job for these "quick cash" ventures and is now struggling miserably.  

**Key Insights:**  
1. **Scalability Matters**  
   A rickshaw driver might earn 30k/month, more than an entry-level job (15k/month). But to double his income, he’d need to work 20 hours/day instead of 10—physically impossible. Meanwhile, entry-level professionals can double salaries in 4-5 years without extra hours.  

2. **Passion Over Hype**  
   Don’t quit your job to sell fish just because a Facebook post claims it’s lucrative. Ask yourself: *Can I handle fish guts in dirty water for the next 30 years?*  

3. **Lifestyle Compatibility**  
   Dreaming of buying a car with your future earnings? Will you use it to sell spicy snacks on the street? Align your work with the life you want.  

4. **Network = Net Worth**  
   Corporate jobs or respectable entrepreneurship connect you with skilled professionals. Selling street food? Your network becomes the peanut seller or beggar next to you—people focused on survival, not growth.  

5. **Income Realities**  
   Headlines scream, "Quit job, become a millionaire farming gourds!" But the fine print reveals annual earnings of 3 lakh (25k/month). Media sensationalizes these stories for clicks—ask: *Where are those "iPhone-wielding peanut sellers" now?*  

**Final Advice**  
No job is "small," but not every job suits you. If you need 50k to fund a business plan, selling fish temporarily is fine. But don’t treat these gigs as long-term alternatives to stable careers. Choose work you enjoy, can sustain, and aligns with your social goals.  

---

**Russian translation**  
Сейчас многие рассказывают истории вроде:  
- «Зарабатываю 10 тысяч в день, разделывая рыбу»  
- «Стал миллионером, выращивая тыквы»  
- «Бросил работу ради навоза и червей»  

**Не попадайтесь на эти уловки**, особенно если вы молоды. Пример из жизни: человек, бросивший высокооплачиваемую работу ради «быстрых денег», теперь влачит жалкое существование.  

**Основные идеи:**  
1. **Масштабируемость важна**  
   Рикша зарабатывает 30k/месяц — больше, чем начинающий офисный работник (15k). Но чтобы удвоить доход, ему придется работать 20 часов в сутки вместо 10 — это физически невозможно. В то время как белые воротнички удваивают зарплату за 4-5 лет без переработок.  

2. **Страсть важнее ажиотажа**  
   Не бросайте работу ради торговли рыбой из-за поста в Facebook. Спросите себя: *Смогу ли я 30 лет потрошить рыбу в грязной воде?*  

3. **Совместимость с образом жизни**  
   Мечтаете о машине? Будете ли вы на ней развозить острую закуску? Выбирайте дело, соответствующее вашим целям.  

4. **Сети = капитал**  
   Офисная работа знакомит с профессионалами. Торгуя на улице, вы общаетесь с попрошайками — людьми без амбиций.  

5. **Реальность доходов**  
   Заголовки вроде «Стань миллионером на тыквах!» скрывают правду: 25k/месяц. СМИ раздувают сенсации — спросите: *Где теперь те «продавцы орехов с айфонами»?*  

**Совет**  
Нет «непрестижных» профессий, но не каждое дело вам подходит. Если нужно 50k для бизнеса — временно продавайте рыбу. Но не заменяйте этим карьеру. Выбирайте то, что нравится и устойчиво.  

---

**Chinese translation**  
如今很多人鼓吹这类故事:  
- “靠切鱼日入万元”  
- “种葫芦成百万富翁”  
- “辞职玩粪肥和蚯蚓”  

**年轻人切勿掉入这些陷阱**。举一个真实例子:我认识的人辞去高薪工作追求“快钱”,现在生不如死。  

**关键见解**:  
1. **可扩展性至关重要**  
   人力车夫月入3万(高于白领1.5万),但想翻倍收入需每天工作20小时而非10小时——这不可能。而白领4-5年即可涨薪一倍。  

2. **热爱胜过跟风**  
   别因Facebook帖子就辞职卖鱼。问自己:*未来30年,我愿在脏水里处理鱼内脏吗?*  

3. **生活方式匹配度**  
   梦想买车?你会用它卖小吃吗?选择符合理想生活的工作。  

4. **人脉即财富**  
   企业工作带来优质人际网。街头摆摊?你的邻居将是乞丐——他们只关心生存。  

5. **收入真相**  
   新闻标题吹嘘“种葫芦年入百万”,实际月入2.5万。媒体为流量制造噱头——问问:*那些“用iPhone卖花生”的人如今何在?*  

**最后建议**  
职业无贵贱,但需适合自己。若需5万启动资金,暂时卖鱼无妨。但别将其视为长期职业。选择热爱、可持续且符合社会目标的事业。  

---

**Japanese translation**  
最近よく耳にする話:  
- 「魚をさばいて1日1万円稼ぐ」  
- 「ひょうたん栽培でミリオネア」  
- 「仕事を辞めて堆肥とミミズを弄ぶ」  

**若者はこうした罠に陥るな**。実例:高収入の仕事を辞め「簡単な金儲け」に手を出した知人は、今や悲惨な状況だ。  

**重要なポイント**:  
1. **スケーラビリティの重要性**  
   人力車の運転手は月30,000円(新卒の15,000円より多い)。だが収入を倍にするには、1日20時間労働が必要——不可能。一方、会社員は4-5年で残業なしで給与倍増。  

2. **流行より情熱**  
   Facebookの投稿に釣られて魚売りを始めるな。自問せよ:*30年間、汚水で魚の内臓を処理できるか?*  

3. **ライフスタイルの整合性**  
   車を買う夢? それでスナックを売り歩くのか? 理想の生活に合った仕事を選べ。  

4. **ネットワーク=純資産**  
   企業勤めはスキルある人脈を築く。路上商売? 隣は物乞い——野心のない人々だ。  

5. **収入の現実**  
   「ひょうたん栽培で年300万円」の見出しは、実際は月25,000円。メディアはセンセーショナルな記事で注目を集める——「iPhone持ったピーナッツ売りは今どこ?」と問え。  

**最終アドバイス**  
仕事に貴賎はないが、全てが自分に適しているわけではない。事業資金50万円が必要なら、一時的に魚を売ってもよい。だがこれをキャリアの代替とするな。情熱を持てる、持続可能な仕事を選べ。


Saturday, May 31, 2025

পাপ কাজে দুনিয়ার ক্ষতি

পাপ কাজে দুনিয়ার ক্ষতি
নেক কাজ করার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে-আল্লাহ তা‘আলাকে সন্তুষ্ট করা ও আখিরাতের সুখ লাভ করা এবং পাপকাজ হতে বেঁচে থাকার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আখিরাতের আযাব ও খোদার গযব হতে মুক্তিলাভ করা। কিন্তু আজকাল সাধারণত লোকেরা দুনিয়ার লাভ লোকসানটাকেই বেশি বুঝে। তাই পাপ করলে দুনিয়াতে কি কি ক্ষতি হয় এবং নেক কাজ করলে দুনিয়াতে কি কি লাভ হয়, তার কিছু বর্ণনা এখানে দেয়া হল। আশা করা যায় যে, লোকেরা অন্তত দুনিয়ার লাভের আশায় কিছু নেক কাজ করবে এবং দুনিয়ার লোকসানের ভয়ে পাপ কাজগুলো ত্যাগ করবে।
পাপ করার দরুন যেসব ক্ষতি হয় তা নিম্নরূপঃ
১. দ্বীনী ইলম হতে মাহরূম ও বঞ্চিত থাকতে হয়। 
২. কামাই রোযগারের বরকত উঠে যায়। 
৩. খোদার প্রতি মুহাব্বত থাকে না। 
৪. সৎলোকের কাছে যেতে ইচ্ছা হয় না। 
৫. কাজে-কর্মে অনেক বাধা-বিঘ্ন এসে পড়ে। 
৬. অন্তর কাল হয়ে যায়। 
৭. হৃদয়ের বল থাকে না। 
৮. নেক কাজ হতে মাহরূম থাকতে হয়। 
৯. হায়াত কাটা যায়। 
১০. এক গুনাহের পর অন্য গুনাহ সংঘটিত হতে থাকে, তওবা করবার ইচ্ছা ক্রমশ কমজোর হতে থাকে। 
১১. কিছু দিন পর পাপের প্রতি যে একটা ঘৃণা ছিল, সেটাও চলে যায়। 
১২. মন্দ কাজে নমরূদ, শাদ্দাদ, ফিরআউন, আবু জাহল প্রমুখ আল্লাহর দুশমনদের উত্তরাধিকারী ও সহগামী হতে হয়। 
১৩. আল্লাহর নিকট মান-সম্মান কিছুই থাকে না। 
১৪. অন্যান্য জীবজন্তু পাপের দরুন কষ্ট পেয়ে পাপীর প্রতি লা‘নত করে। 
১৫. জ্ঞান-বুদ্ধি হ্রাস পেতে থাকে। 
১৬. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বদ দু‘আর ভাগী হতে হয়। 
১৭. ফেরেশতাদের নেক দু‘আ হতে মাহরূম থাকতে হয়। 
১৮. দেশের শস্য-ফসলাদিতে বরকত থাকে না। 
১৯. শরম-ভরম চলে যায়। 
২০. আল্লাহ তা‘আলার ভক্তি অন্তর হতে উঠে যায়। 
২১. আল্লাহর নেয়ামত হতে মাহরূম হয়ে যায়। 
২২.বালা-মুসীবত নাযিল হয়। 
২৩. তাঁকে প্রশংসাস্থলে নিন্দা করা হয়। 
২৪. শয়তান তার চিরসাথী হয়ে যায়। 
২৫. তার দিল পেরেশান থাকে। 
২৬. মৃত্যুকালে তার মুখ দিয়ে কালিমা বের হয় না। 
২৭. খোদা তা‘আলার রহমত হতে নিরাশ হয়ে অবশেষে তাওবা ব্যতিরেকেই তার মৃত্যু হয় ইত্যাদি।
সূত্র: কিতাবুল ঈমান 
মুফতি মানসুরুল হক

Monday, May 26, 2025

AI command prompt for writing

 * How To
 * Created by
 * Moritz Kremb
 * Visit:
 * thepromptwarrior.com
 * USE AI TO IMPROVE YOUR WRITING
 * 1. REPHRASE SENTENCES
 * Description:
 * Use AI to rephrase sentences for clarity or variety.
 * Prompt Template:
 * "Rephrase the following sentence in 5 different ways, maintaining its original meaning: [insert your sentence]"
 * 2. PROOFREAD
 * Description:
 * Use AI to proofread your text.
 * Prompt Template:
 * "Proofread my text for spelling & grammar and list all the changes in bullet points below: [insert your text]"
 * 3. CRITIQUE
 * Description:
 * Use AI to provide constructive feedback on your writing.
 * Prompt Template:
 * "Review the following text and provide constructive criticism, focusing on structure, clarity, and effectiveness: [insert your text]"
 * 4. ALTERNATIVE WORDS
 * Description:
 * Use AI to suggest alternative words to enhance vocabulary.
 * Prompt Template:
 * "Provide 5 alternative words or phrases for [insert word/phrase] that would fit in this context: [insert sentence or paragraph]"
 * 5. DISTILL INFORMATION
 * Description:
 * Use AI to summarize and extract key information from text.
 * Prompt Template:
 * "Summarize the main ideas and key points of the following text in no more than 3-5 bullet points: [insert your text]"
 * 6. WRITE IN BULLETS
 * Description:
 * Write in bullet points and let AI turn it into refined text.
 * Prompt Template:
 * "Transform these bullet points into a well-structured, coherent paragraph: [Enter bullet points]"
 * 7. CHANGE TONE AND STYLE
 * Description:
 * Use AI to adapt your writing to a different tone or style.
 * Prompt Template:
 * "Rewrite the following text to make it sound more [formal/casual/persuasive/etc.]: [insert your text]"
 * 8. TEMPLATES
 * Description:
 * Use AI to fill out content templates to streamline content creation.
 * Prompt Template:
 * "Fill out the following content template using the context I provide."
 * Template: [insert your template here]
 * Context: [Provide context to fill out the template]"
 * 9. MIMIC WRITING STYLE
 * Description:
 * Use AI to adapt your writing to your writing to a specific author's or genre's style.
 * Prompt Template:
 * "Upload examples of writing"
 * Then Prompt: "Rewrite the following paragraph in the style of [author name or genre]: [insert your text]"
 * 10. USE FRAMEWORKS
 * Description:
 * Use AI to apply popular writing frameworks to your content. Some examples of frameworks:
 * PAS (Problem-Agitate-Solution)
 * AIDA (Attention-Interest-Desire-Action)
 * BAB (Before-After-Bridge)
 * Prompt Template:
 * "Use the [insert framework name] framework to write a [type of content] about [your topic]"

গ্যাস লাইটিং

গ্যাস লাইটিং
ভয়ানক এক মানসিক চর্টার, আপনি এর শিকার নয়তো?

গ্যাস লাইটিং শব্দটা একটা ফিল্মের নাম গ্যাস লাইট থেকে এসেছে । এই সিনেমায় একজন স্বামী কিংবা স্ত্রীর সম্পর্কের ব্যাপারে দেখানো হয়েছে । স্বামী তার নিত্য শোবার ঘরের গ্যাসের লাইট কমিয়ে বাড়িয়ে তার স্ত্রীকে বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করতো যে, ঘরের আলো সব ঠিক আছে । অবশেষে তার স্ত্রী বিনা অসুখে পাগলা গারদে গিয়ে ভর্তি হয় ।

যাই হোক মূল কথায় আসি , গ্যাস লাইটিং সম্পর্কে যে কোন একজন গ্যাস লাইট করে থাকে । সে তার অপর পার্টনারকে ভিকটিম বানিয়ে তাকে বিশ্বাস করানো চেষ্টা করে সে যা চিন্তা করেছে , কিংবা বিশ্বাস করে তার চিন্তা চেতনা পুরোটাই ভুল ।ভিকটিমের প্রতিটা বিহেবিয়ারের সে ভুল ধরে । পরবর্তীতে ভিকটিম ভেবেই নেয় সে ভুল । অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করার নামই গ্যাস লাইটিং । আরেকজনের আত্ন বিশ্বাসকে ভেঙ্গে দিয়ে তাকে তার অস্হিত্ব সম্পর্কে সন্ধিহান করে তোলে। এটা মূলত একজন পার্টনার তার অপর পার্টনারের উপর কতৃর্ত্ব করতেই এই মানসিক গেইম খেলে থাকে।যাতে করে ভিকটিম তার হাতের মুঠোয় থাকে।

গ্যাস লাইটিং এর আরেক অর্থ ভিকটিমের সবচেয়ে বড় দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার স্বার্থ হাসিলের জন্য তাকে ব্যবহার করার আরেক নাম ।ভিকটিমকে বাস্তবতা ও দূর্বলতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে সে সুযোগ নিয়ে নিজের মতবাদকে সে প্রতিষ্ঠিত করে ।ভিকটিমকে অপরাধবোধ ভুগাতে এই খেলাটা শুরু করে। 

গ্যাস লাইটিং সে করতে পারে যে ব্যাক্তি ভিকটিমের খুব আপন কেউ হয় ।উদারহন স্বরূপ বলা যেতে পারে পার্টনার , বন্ধু , অফিসের কোন ঘনিষ্ঠ কলিগ , বস ,বাবা , মা।ভিকটিম যাকে সবচেয়ে আস্হায় জায়গায় রাখে , একমাত্র সে এটা করে থাকে।

মূলত ভিকটিমের সাথে এটা করার জন্য কখনো সে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে মজা করে কথা বলে। আত্নীয় স্বজনের সামনে ছোট করে কিন্তু সরাসরি অপমান করে না। সামান্য বিষয় নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দেয় ।তাকে মানষিক যন্ত্রনা দিয়ে বিশ্বাস করায় ভিকটিম ভুল ছিলো।যারা এই গ্যাস লাইটিং এর স্বীকার হন তারা প্রথমে বুঝতে পারে না । দীর্ঘদিন নিজের আত্মবিশ্বাস খোয়াতে খোয়াতে এক সময় ভিকটিম নিজেও বিশ্বাস করা শুরু করে গ্যাস লাইটিং যে করছে সে সত্য এবং তার নিজের অনেক ভুল আছে ।

অবশেষে এই গ্যাস লাইটিং এ স্বীকার ব্যাক্তি কেবল মানষিক অসুস্হতাই ভোগে না , তারা নিজের প্রতি আস্হা হারায় আর নিজেকে গুটিয়ে নেয় ।কোন কাজ মনযোগ দিয়ে করতে পারে না।শরীরে ও মনে অসুখ দানা বাঁধে । নিজেকে নিজে প্রশ্নবিদ্ধ করতে থাকে ।
সে বিশ্বাস করে নেয় সে যা করছে সবটাই ভুল ।ভিকটিম এক সময় পরনির্ভরশীল হয়ে পরে।মানষিক অত্যাচারের ভয়ে ভিকটিম অনেক পারিবারিক অত্যাচার চেপে যান । সহ্য করে নেন । লোকদের কাছে সত্যটা লুকানোর চেষ্টা করেন । 
এবং নিজেদের মূল্যহীন ভাবা শুরু করেন । 
অবশেষে নিজে পুরোপুরি একা হয়ে যায় ।

প্রতিকারঃ 
চাইলেই অনেক সম্পর্ক থেকে আমরা বের হতে পারিনা।আমরা যা করতে পারি -

১/ নিজেকে একা করা যাবে না।
২/ যে এই গ্যাস লাইটিং করে তাকে ইগ্নোর করা শিখতে হবে ।
৩/বন্ধু বান্ধব আত্নীয় স্বজনদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুন ।
৪/ মনের কথা কাউকে খোলে বলুন ।
৫/ ডাইরীতে ঘটনা গুলো লিখে এক্সামিন করেন ।
৬/ সন্তানদের জন্য অনেকেই সম্পর্ক ধরে রাখতে বাধ্য হন । তারা একজন মানষিক ডাঃ সাহায্য নিতে পারেন ।ঘনিষ্ট কারো সাথে সুপরামর্শ নিয়ে চলেন ।

৭/ আপনার ভালো গুন গুলোকে বারে বারে নিজেকে মনে করিয়ে দেন । আপনি নিজেকে বলেন আপনি কখনোই ভুল না।

৮/ সুক্ষ্ন ভাবে এই গ্যাস লাইটিং করা মানুষ গুলোকে এড়িয়ে চলুন ।তাদের মতবাদকে পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই ।

৯/যদি সম্পর্ক ত্যাগ করা সম্ভব না হয় , আপনার দুনিয়া ও আপনার মানসিক শান্তির জন্য যারা প্রযোজ্য তাদেরকে ধরে রাখুন ।

তবে এই গ্যাস লাইটিং যারা করে তারা এক ধরনের হীন মনের মানুষ । জোর জবরদস্তি করে নয় বরং মানষিক ভাবে আরেকজনকে কন্ট্রোল করার জন্য তারা অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যায় ।এদের কে আমরা ভয়ংকর ক্রিমিনাল বল্লেও ভুল হবে ।

কৃতজ্ঞতা -
(অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রাইসুল ইসলাম পরাগ)



Saturday, May 24, 2025

জিটিপিটি

Why Aren’t More People Using ChatGPT for Side Hustles?

Most people still treat ChatGPT like a homework assistant — not a business partner. But the truth is, if used strategically, ChatGPT can build your income streams faster, cheaper, and smarter than most traditional methods.

Here are 10 Powerful ChatGPT Prompts & Hustles to Monetize AI in 2025 — with actionable steps:


1. Discover Profitable Side Hustles Based on Your Skills

Prompt:
“List 20 profitable side hustle ideas for 2025 that align with someone good at writing, tech, or sales.”

Execution:
Get niche-specific, high-ROI ideas tailored to your strengths. Then research demand, pricing, and competition using ChatGPT + Google Trends.


2. Automated YouTube Content with Faceless Videos

Prompt:
“What are the 10 highest CPM YouTube niches in 2025 that can be done with faceless videos?”

Execution:
Use AI tools like Pictory, InVideo, or Faceless.video to create monetizable videos. ChatGPT handles scripting, titles, and SEO-optimized descriptions.


3. Freelance Content Creation Engine

Prompt:
“Write 5 tweet hooks and 3 Instagram captions about making money online using AI tools.”

Execution:
Package this content creation skill into a Fiverr/Upwork gig. Offer bundles for influencers, startups, or coaches needing daily content.


4. AI-Powered Kindle Publishing (Low/No Content + Storybooks)

Prompt:
“Outline a children’s story about space adventure featuring a robot and a lost astronaut.”

Execution:
Use Midjourney/DALL·E to design covers, then publish via Amazon KDP. Expand to multiple genres: romance, fantasy, self-help, or journals.


5. Launch Your Own Chatbot Service

Prompt:
“Help me build a custom AI chatbot using ChatGPT API that answers HR-related questions for small businesses.”

Execution:
Create niche-specific bots — real estate, fitness coaching, HR, etc. Package them as a product and sell via your own site or Gumroad.


6. Build a SaaS Product Without a Dev Team

Prompt:
“Give me a step-by-step roadmap to build a content scheduler SaaS app for creators. Name it ‘Contently’ and explain the tech stack.”

Execution:
ChatGPT can help write MVP code, UI mockups, user flows, and marketing copy. Use Bubble or Flutterflow for no-code launch. Add Stripe for payments.


7. Create and Sell Digital Courses in 7 Days

Prompt:
“Create a 5-module beginner course outline on ‘How to Build a Personal Brand Online.’ Include lesson titles and key objectives.”

Execution:
Turn that into slide decks, scripts, workbooks, and quizzes. Sell on Teachable, Skool, or your own landing page using Gumroad.


8. Offer DIY SEO Services for Small Businesses

Prompt:
“Audit this website [insert domain] and suggest SEO improvements with keywords for local traffic in Lagos, Nigeria.”

Execution:
Use ChatGPT to do basic SEO audits and create SEO-rich content. Charge local businesses for monthly optimization and ranking strategies.


9. AI-Assisted App Development Services

Prompt:
“I want to build a mobile app that connects local tutors to students. Give me the backend architecture, database design, and UI layout.”

Execution:
Turn ideas into wireframes, MVPs, or full apps with ChatGPT + tools like Flutter, Firebase, or Bubble. Resell these builds as templates or custom projects.


10. Position Yourself as an Expert Consultant (Even If You’re Not Yet One)

Prompt:
“Teach me the basics of digital marketing (or [insert field]) in a 7-day bootcamp format with actionable tasks for each day.”

Execution:
Let ChatGPT train you, then resell your knowledge as a coach or digital consultant. Build a brand around it and offer paid 1-on-1s, group coaching, or digital guides.


My Final Tip:
Most people don’t use ChatGPT for money-making because they don’t treat it like a team member. Once you start using it for execution, not just explanation, you’ll stop being a consumer and start being a creator.

দুয়া

আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে দোয়া বা কিছু চাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ মুহূর্তকে বেছে নেয়া উত্তম। দোয়ার বিশেষ মুহূর্ত আছে অনেকগুলো। আমরা অধিকাংশই এই সময়গুলোর ব্যাপারে জানি না। না জানার কারণে এই সময়গুলোতে দোয়ার ব্যাপারে আমরা গুরুত্বও দিইনা। এটি আমাদের জন্য আসলে এক প্রকার লোকসানের ব্যাপার। 

দোয়া কবুলে বিশেষ মুহূর্তগুলো একসাথে উল্লেখ করছি। হতে পারে এটি আমাদের কারো কারো উপকারে আসতে পারে।

দুআ কবুলের দিনসমূহঃ ১. আরাফার দিন ২. আশুরা তথা মুহাররমের ১০ তারিখ ৩. শাবানের পনেরো তারিখ ৪. রমজানের ১৭ রোজার দিন ৫. উভয় ঈদের দিন ৬. রজবের সাতাশ তারিখ ৭. জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন এবং আইয়ামে তাশরিকের দিনসমূহ ৮. জুমুআর দিন। 

দুআ কবুলের রাতসমূহঃ ১. রমজানের পুরো মাস, বিশেষত শেষের দশের বিজোড় রাত ২. ইফতারির সময় ৩. জুমুআর রাত ৪. রজবের প্রথম রাত ৫. রজবের পনেরোতম রাত ৬. রজবের সাতাইশতম রাত ৭. মুহাররমের প্রথম রাত ৮. মুহাররমের দশম রাত ৯. শাবানের পনেরোতম রাত ১০. জিলহজের নবব রাত ১১. দুই ঈদের রাত ১২. জিলহজের চৌদ্দ ও পনেরোতম রাত। 

বিভিন্ন মকবুল সময়ঃ ১. ওজুর মাঝামাঝি ও ওজুর শেষের সময় ২. আজান শোনার মুহূর্ত, আজানের মধ্যবর্তী ও পরের মুহূর্ত ৩. আজান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময় ৪. হাইয়ালাতাইনের পরবর্তী সময় ৫. ইকামাত শুরু হওয়ার মুহূর্ত ৬. নামাজে সুরা ফাতেহা শেষ হওয়ার পর ৭. ফরজ নামাজসমূহের পর ৮. সিজদার সময় ৯. কুরআন তিলাওয়াতের পর ১০. তিলাওয়তে কুরআন খতম হওয়ার পর 

১১. মুসলিমদের জমায়েতের স্থান ও সময় ১২. জিকিরের মজলিসের সময় ১৩. উলামায়ে রব্বানি ও আহলুল্লাহদের প্রতি দৃষ্টিপাতের সময় ১৪. বৃষ্টি বর্ষণের সময় ১৫. অসুস্থতার সময় ১৬. রোগীর সেবা শশ্রুষাকারীর দুআ ১৭. অপারগতা, অস্বচ্ছলতা এবং অসহায়ত্বের সময় ১৮. সফরের সময় ১৯. সূর্য উদয়, অস্ত ও হেলার সময়, বিশেষত জুমার দিন ২০. শেষ রাতে মোরগা আজান দেওয়ার সময় 

২১. সুবহে সাদিকের সময় ২২. রাতের বেলা, বিশেষত অর্ধরাত্রির পর ২৩. রাতের প্রথম এক তৃতীয়াংশের সময় ২৪. রাতের শেষ এক তৃতীয়াংশের সময় ২৫. রাতের শেষ এক ষষ্ঠাংশের সময় ২৬. মাজলুমের দুআ ২৭. জিহাদের কাতারে অবস্থানের সময় ২৮. কাফেরদের সাথে প্রচণ্ড লড়াইয়ের সময় ইসলামী সেনাবাহিনীর দুআ ২৯. যখন মৃত্যু শয্যায় শায়িত ব্যক্তির শেষ সময় হয় এবং তার রুহ চলে যেতে থাকে আর মানুষ তার চোখ ও মুখ বন্ধ করে দিতে থাকে, তখনকার সময় ৩০. বাইতুল্লাহকে প্রথমবার দেখার সময় ৩১. যমযমের পানি পান করার সময়। 

(বারাকাতে দুআ, ৪২৯-৪৩১ পৃষ্ঠা)

Privacy of spouses

অনেকে মনে করেন, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে কোনো সীমানা, কোনো গোপনীয়তা থাকা অনুচিত। দুজন দুজনার কাছে হবে খোলা বইয়ের মত। যখন যেভাবে ইচ্ছা একজন অপরজনের কাছে আসবে। প্রাইভেসির দেয়াল টেনে এটাকে জটিল করা উচিত না।

শুনতে ভাল লাগলেও সর্বৈবে এটা বাস্তবসম্মত ও কল্যাণকর নয়। প্রতিটি সম্পর্কের একটি সীমারেখা থাকে। সীমান্ত থাকে। সীমান্ত অতিক্রম করলে জটিলতা তৈরী হয়। কখনও কখনও সহাবস্থানকারীদের সেক্রিফাইসের দরুণ জটিলতা তীব্র না হলেও অধিকাংশ সময় তা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির কারণ হয়। সীমানা অতিক্রম যদি করা হয় বারবার, তবে আখেরে তা বড়সড় ক্ষতি বয়ে আনে। উদাহরণ দিচ্ছি।

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলা পরিবারের কাছে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। – বুখারি ও মুসলিম

আরেকটি হাদিস দেখুন :
আবূ ইসহাক (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বারা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, এ আয়াতটি আমাদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছিল। হাজ্জ করে এসে আনসারগণ তাদের বাড়িতে সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ না করে পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেন। এক আনসার ফিরে এসে তার বাড়ির সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে তাকে এ জন্য লজ্জা দেয়া হয়। তখনই নাযিল হয়ঃ ‘‘পশ্চাৎ দিক দিয়ে তোমাদের গৃহ-প্রবেশ করাতে কোন কল্যাণ নেই। বরং কল্যাণ আছে যে তাকওয়া অবলম্বন করে। সুতরাং তোমরা (সামনের) দরজা দিয়ে গৃহে প্রবেশ কর’’- (আল-বাকারাঃ ১৮৯)। (বুখারি : ৪৫১২, মুসলিম : ৩০২৬)

নবীজী কেন রাতে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন হাদিসে স্পষ্ট বিবৃত হয়েছে। এটা হলো সম্পর্কের সীমানা। সীমানা অতিক্রম করায় সাহাবি পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে। তিরমিজির দুর্বল বর্ণনামতে দুজন সাহাবি নবীজীর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাত্রিবেলা গৃহে প্রবেশ করলে দুজনই স্ত্রী থেকে অনভিপ্রেত অভিজ্ঞতার শিকার হন। - হাদীস নং: ২৭১২

এটা হলো সম্পর্কের সীমানা। স্ত্রীর প্রাইভেসি। এই সীমানা মেইনটেইন করা অনিবার্য। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও করেছেন। বুখারির বর্ণনাতে আছে :
ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার উদ্দেশে বের হয়ে ‘মসজিদে শাজারাতে’ সালাত আদায় করতেন। আর যখন ফিরতেন, যুল-হুলাইফার বাতনুল-ওয়াদীতে সালাত আদায় করতেন এবং এখানে সকাল পর্যন্ত রাত যাপন করতেন। 

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে কখনো পরিবারের নিকট প্রবেশ করতেন না। তিনি সকালে কিংবা বিকালে ছাড়া পরিবারের নিকট প্রবেশ করতেন না। (মুসলিম ৩৩/৫৬, হাঃ ১৯২৮, আহমাদ ১৩১১৭) 

নবীজীর চেয়ে উত্তম আদর্শ আমাদের জীবনে আর কী হতে পারে? উপরন্তু অন্যের গোপন বিষয়ে আগ্রহবোধ ভাল গুণ নয়। বিভিন্ন হাদিসে এধরণের প্রবণতা দূর করার উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। অন্যের গোপন বিষয় জানার ভেতর ক্ষতি ছাড়া লাভ তো নেই। বরং এই কুস্বভাবের কারণে নানান জৈবনিক জটিলতায় আক্রান্ত হতে হয়। সুতরাং প্রত্যের কর্তব্য অন্যের প্রাইভেসির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ও সম্পর্কের সীমানা মেনে চলা। নচেৎ গুনাহ তো হবেই; জীবনটাও নরক হয়ে উঠবে।

পুনশ্চ : স্ত্রীর মত স্বামীরও প্রাইভেসি আছে। আছে সম্পর্কের সীমানা। স্ত্রীরও কর্তব্য সেই সীমানা মেনে চলা। ভালবাসা, আবেগ, অধিকারের নামে গুনাহে জড়ানো বা জৈবনিক জটিলতা টেনে আনা নির্বুদ্ধিতাই।

Tuesday, May 20, 2025

অল্প হলেও শুরু করুন

জীবন থেকে একটা ব্যাপার খুব ভালো করে শিখেছি, সেটা হচ্ছে "Less is more". এই ব্যাপারটা আমি নিজেও ভালোমত শিখতে ও রপ্ত করতে চাচ্ছি, তবে যতটা সহজ মনে হয় ততটা সহজ আসলে না। 

উদাহরণ দিয়ে বলি, মনে করুন আপনার সারাদিনে কিছুই করার নেই। আপনাকে কোথাও থেকে জাস্ট 'একটা' পৃষ্ঠা এনে দিলাম কোন একটা খটমটে নন ফিকশন বইয়ের। মাত্র এক পৃষ্ঠা পড়তে হবে ভেবে আপনি নিমিষেই শেষ করে ফেললেন। এভাবে প্রতিদিন আপনাকে দুই পেইজ তিন পেইজ করে দিতে থাকলাম। মাস শেষে দেখা গেল আপনার পুরো বইটি পড়া শেষ, কোন রকম ঘাম ঝরানো ছাড়াই। 

দেখুন একমাসে একটা বই হয়তো আপনাদের অনেকের জন্যই অনেক কম। বই পড়ার প্ল্যান রাখলে হয়তো এক মাসে কয়েকটি নন ফিকশন পড়ার প্ল্যান করা হয়। তবে বাস্তবেই এক বছরে কয়টি বইয়ের মলাটের ভেতরের জিনিস ঘেটে দেখা হয়েছে একটু ভেবে দেখুন তো! কতদিন এমন হয়েছে যে পড়তে বসব বসব করে রাত হতে গিয়েছে; তারপর নিজেকে বুঝিয়েছেন আজ আর না, কালকে থেকে এক্কেবারে হুড়মুড় করে পড়া হবে? মাসের অর্ধেকে চলে এসেছেন, তাই ভাবছেন পড়ের মাস থেকে জিম জয়েন করবেন। তারপরের মাস এসেছে এক বছর পরে, সাথে বোনাস হিসেবে এসেছে ১২ কেজি এক্সট্রা ওয়েট। এরকম হয় কিনা বলেন? 

এটার সলুশন হচ্ছে ব্রেইনকে কখনোই পালানোর সুযোগ দিবেন না। পালানোর সুযোগ দিলেই লাই পেয়ে এটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। যদি মাসের ৫ দিনও বাকি থাকে, তবুও জিম জয়েন করেন। সারা বছর প্রিপারেশন নেন নাই, আর ২ সপ্তাহ বাকি আছে এক্সামের। ভাবছেন পরের বছর দিবেন? না! ওই দুই সপ্তাহই পড়েন ভালোমতন। নেক্সট ইয়ার আবার দিয়েন। আপনি নিজের কাজ শেষ না করে সহজ কোন অল্টারনেটিভ খুঁজতে যাবেন তখন আপনার মানসিক ডিফেন্স সিস্টেম রিলাক্সড হয়ে যাবে, পরের বছরও দেখবেন একই হাল হবে। এজন্য রাতে ঘুমানোর আগে আধা ঘন্টা বাকি থাকলেও ফেসবুক আর ইন্সটা ঢু না মেরে কিছু না কিছু কাজ করে তারপর ঘুমান। 

দৌড়ানোর প্ল্যান করেছেন কোন সমস্যা নাই, তবে দৌড়াতে না পারলে আজকে হাটিহাটি পাপা করে এগিয়ে যান একদিন। লজ্জার কিছু নাই। বাসের জ্যামে বসে না থেকে ক্লাসের এসাইনমেন্টগুলো একনজর দেখে নিন। চিন্তা করেন এগুলো নিয়ে। সকালে জগিং না করতে পারলে যখন উঠেছেন তখনই তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে পড়ুন টাইম থাকলে। আগামীকাল তো আছেই, আগামীকালও কাজ হবে। তাই বলে আজকের ১০ মিনিটও ছাড় দিবেন না। ১০০ টা বই ডাউনলোড না দিয়ে ১০ টা দিন, আর একটা পড়া শুরু করেন এখুনি। এই ১০ টার মধ্যে অন্তত পছন্দ মত তিনটা বই নিজের পড়া শেষ না করে নতুন কোন বই আর ডাউনলোড দিবেন না। এভাবে কাজ করতে থাকলে এক সময় দেখবেন শুধু গুরুত্বপূর্ণ বইগুলোই ডাউনলোড দেয়া হচ্ছে। "কোন এক মায়াময় সন্ধায়, জোনাকির আলোর সাথে লণ্ঠন জ্বালিয়ে ১০০ টি বই পড়া হবে"- এমন দূরাশা দেখা বাদ দিয়ে দিবেন। 

জীবনে সময় খুব কম। যখন যেটা চিন্তা করবেন সেটা তখনই ইমপ্লিমেন্ট করে ফেলেন। যদি কালকে থেকে জগিং এর ইচ্ছা থাকে তাহলে আজকেই ট্র্যাক শু কিনে নেন। আর ১৫ মিনিট দৌড়াতে পারলেও নিজেকে বাহ বাহ দেন। কম হলেও কাজ করেন। শুধু এই কাজ থেকে পালানোর অভ্যাসটা ঝেড়ে ফেলেন আজকে থেকে, তারপর দেখেন কি হয়। মেল রবিন্সের "দ্যা ফাইভ সেকেন্ড রুল" আসলে অনেকটা এভাবেই কাজ করে। Procrastination দূর করতে এর থেকে মোক্ষম উপায় আর পাই নি আমি। আপনাদের সাথেও শেয়ার করছি ঃ

আপনি যদি জানেন যে এখন আপনাকে অমুক কাজটি করতে হবে, তবে আর দ্বিতীয় কোন চিন্তা করবেন না। মনে মনে রকেট লঞ্চিং এর মত কাউন্টডাউন শুরু করেন, ৫...৪....৩....২....১...০ আর ব্যাস এক্ষুনি কাজটি করতে বসে যান। এর বেশী সময় নিলেই মস্তিষ্ক একটা অজুহাত দাড়া করিয়ে দিবে আর আপনি পালানোর একটি রাস্তা পেয়ে যাবেন। 

 [আঞ্চলিক আর চলিতের দূষণের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি, বাংলা আমার খুব একটা ভালো হয় না তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি আরকি]

Omar Bin Mathtab vai

Saturday, May 3, 2025

Companies Act 1994 Section 381 to 404

 

বিদেশী কোম্পানীর নাম, ইত্যাদি উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা

৩৮১৷ প্রত্যেক বিদেশী কোম্পানী-

 
 

(ক) বাংলাদেশে উহার শেয়ার বা ডিবেঞ্চারে চাঁদাদানের আহ্বান সম্বলিত প্রত্যেক প্রসপেক্টাসে কোম্পানী যে দেশে নিগমিত হইয়াছে সেই দেশের উল্লেখ করিতে হইবে; এবং

 
 

(খ) বাংলাদেশের যে স্থানে উহার কার্যালয় আছে বা যে অবস্থানে উহার কার্যাবলী পরিচালনাা করা হয় সেই প্রত্যেকটি কার্যালয়ের বা অবস্থানের সম্মুখস্থ প্রকাশ্য সহজপাঠ্য বাংলা বা ইংরেজী হরফে উক্ত কোম্পানীর নাম এবং যে দেশে উহা নিগমিত হইয়াছে সেই দেশের নাম সহজে দৃশ্যমানভাবে প্রদর্শিত রাখিবে;

 
 

(গ) কোম্পানীর নাম এবং যে দেশে উহা নিগমিত হইয়াছে উহার নাম কোম্পানীর সকল বিলের শিরোনামে, চিঠিপত্রে, সকল নোটিশে ও অন্যান্য দাপ্তরিক প্রকাশনায় সহজ পাঠ্য বাংলা অথবা ইংরেজী হরফে উল্লেখ করিবে; এবং

(ঘ) উক্ত কোম্পানীর সদস্যদের দায়-দায়িত্ব সীমিত হইলে তৎসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ।

 
 

(১) প্রত্যেক প্রসপেক্টাসে, সকল বিলের শিরোনামের, চিঠিপত্রে, নোটিশে বিজ্ঞাপনে এবং কোম্পানীর অন্যান্য সকল প্রকাশনায় সহজ পাঠ্য বাংলা অথবা ইংরেজী হরফে উল্লেখ করিবে ।

 
 

(২) বাংলাদেশে যে যে কার্যালয়ে বা অবস্থানের উহার কার্যাবলী পরিচালিত হয় সেই প্রত্যেকটি কার্যালয় বা অবস্থানের সম্মুখস্থ প্রকাশ্য স্থানে সহজ পাঠ্য বাংলা বা ইংরেজী হরফে সহজে দৃশ্যমানভাবে প্রদর্শিত রাখিবে৷

বিদেশী কোম্পানীর উপর নোটিশ ইত্যাদি জারী

৩৮২৷ কোন বিদেশী কোম্পানীর উপর কোন পরোয়ানা, নোটিশ বা অন্য কোন দলিল জারী করিতে হইলে ৩৭৯(১)(ঘ) ধারায় উল্লেখিত ব্যক্তির ঠিকানায় দিলে অথবা তাহার যে ঠিকানা উক্ত ধারা মোতাবেক রেজিষ্ট্রারকে প্রদান করা হইয়াছে সেই ঠিকানায় রাখিয়া আসিলে কিংবা ডাকযোগে তথায় পাঠাইলে উহা যথাযথভাবে জারী করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :

 
 

তবে শর্ত থাকে, যদি-

 
 

(ক) এইরূপ কোন কোম্পানী উক্ত ধারার বিধান অনুসারে কোন ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে ব্যর্থ হয়, অথবা

 
 

(খ) রেজিষ্ট্রারের নিকট যে সকল ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা দাখিল করা হইয়াছে তাহারা সকলে মৃত্যুবরণ করেন বা উক্ত ঠিকানায় তাহারা বসবাস না করেন কিংবা কোম্পানীর প্রতি জারীকৃত বা প্রেরিত কোন নোটিশ বা অন্যবিধ দলিল কোম্পানীর পক্ষে তাহারা সকলেই গ্রহণ করিতে অস্বীকার করেন অথবা অন্য কোন কারণে ঐগুলি জারী বা প্রেরণ করা না হয়,

 
 

তাহা হইলে উক্ত নোটিশ বা দলিল বাংলাদেশে কোম্পানীর প্রতিষ্ঠিত যে কোন কর্মস্থলে বা ব্যবসাস্থলে রাখিয়া আসিয়া কিংবা ডাকযোগে তথায় প্রেরণ করিয়া কোম্পানীর উপর ঐগুলি জারী করা যাইবে ।

কোন কোম্পানীর ব্যবসাস্থল বন্ধের নোটিশ

৩৮৩৷ যদি বাংলাদেশে কোন বিদেশী কোম্পানীর আর কোন ব্যবসাস্থল বা কর্মস্থল না থাকে, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী তত্সম্পর্কে রেজিষ্ট্রারকে অবিলম্বে নোটিশ প্রদান করিবে এবং যে তারিখে এইরূপ নোটিশ প্রদান করা হয় সেই তারিখ হইতে, রেজিষ্ট্রারের নিকট যে সমস্ত দলিল দাখিল করার জন্য উক্ত কোম্পানীর বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে, উহার সেই বাধ্যবাধকতা আর থাকিবে না ।

দণ্ড

৩৮৪৷ যদি কোন কোম্পানী এই খণ্ডের কোন বিধান পালন করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং উক্ত ব্যর্থতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রথমদিনের পর যতদিন উহা অব্যাহত থাকিবে ততদিনের প্রত্যেক দিনের জন্য অনধিক পাঁচশত টাকা অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে; এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা অথবা প্রতিনিধি, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত ব্যর্থতার জন্য দায়ী তিনিও, একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

এই খণ্ডের বিধান পালনে ব্যর্থতা সত্ত্বেও কোম্পানীর চুক্তিঘটিত দায়-অক্ষুন্ন

৩৮৫৷ কোন বিদেশী কোম্পানী কর্তৃক এই খণ্ডের কোন বিধান পালনে ব্যর্থতার কারণে কোম্পানীর কোন চুক্তি, কারবার অথবা লেনদেনের বৈধতা অথবা তজ্জন্য কোম্পানীর বিরুদ্ধে যে মামলা হইতে পারে উহার দায়-দায়িত্ব ক্ষুন্ন হইবে না; কিন্তু কোম্পানী যতক্ষণ এই খণ্ডের বিধানাবলী পালন না করিবে ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত কোম্পানী কোন মামলা দায়ের, কোন পাল্টা দাবী (counter claim) উত্থাপন, এবং তজ্জনিত প্রতিকার দাবী অথবা, অনুরূপ কোন চুক্তি, কারবার বা লেনদেনের ব্যাপারে কোন আইনানুগ কার্যধারা রুজু করার অধিকারী হইবে না ।

এই খণ্ডের অধীন দলিলপত্র নিবন্ধনের ফিস
৩৮৬৷ এই খণ্ডের বিধান অনুযায়ী দাখিল করা আবশ্যক হয় এইরূপ যে কোন দলিল নিবন্ধন করার জন্য কোম্পানী রেজিষ্ট্রারকে তফসিল-২ তে বিনির্দিষ্ট ফিস প্রদান করিবে৷
ব্যাখ্যা

৩৮৭৷ এই খণ্ডে বিধৃত পূর্ববর্তী বিধানসমূহের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,-

 
 

(ক) “পরিচালক” অর্থ পরিচালকের পদে অধিষ্ঠিত যে কোন ব্যক্তি, তিনি যে নামেই অভিহিত হউন;

 
 

(খ) “প্রসপেক্টাস” শব্দটি এই আইনের অধীনে নিগমিত কোম্পানীর ক্ষেত্রে যে অর্থ বহন করে সেই একই অর্থ বহন করিবে;

 
 

(গ) “ব্যবসাস্থল” বা “কর্মস্থল” বলিতে শেয়ার হস্তান্তর অথবা শেয়ার নিবন্ধন কার্যালয় অন্তর্ভুক্ত হইবে;

 
 

(ঘ) “সচিব” অর্থ সচিবের পদে অধিষ্ঠিত যে কোন ব্যক্তি, তিনি যে নামেই অভিহিত হউন, এবং

 
 

(ঙ) “প্রত্যায়িত” অর্থ একটি প্রকৃত (true) অনুলিপি কিংবা শুদ্ধ অনুবাদ বলিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রত্যায়িত ।

শেয়ার বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাবের উপর বাধা-নিষেধ

৩৮৮৷ (১) কোন ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত কোন কিছু করিলে তাহা অবৈধ হইবে, যথা :-

 
 

(ক) ইতিপূর্বে গঠিত কোন বিদেশী কোম্পানী বাংলাদেশে ব্যবসাস্থল বা কর্মস্থল প্রতিষ্ঠা করিয়া থাকুক বা না থাকুক অথবা কোম্পানী গঠিত হওয়ার পর উক্ত ব্যবসাস্থল বা কর্মস্থল প্রতিষ্ঠিত হউক বা না হউক, উক্ত কোম্পানী বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত হইয়া থাকিলে বা নিগমিত হওয়ার প্রস্তাব থাকিলে, উহার শেয়ার অথবা ডিবেঞ্চার চাঁদাদানের জন্য জনসাধারনের নিকট প্রস্তাব করিয়া বাংলাদেশে কোন প্রসপেক্টাস ইস্যু, প্রচার বা বিতরণ করা, যদি না-

 
 

(অ) বাংলাদেশে প্রসপেক্টাস ইস্যু, প্রচার বা বিতরণের পূর্বে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিষদের সিদ্ধান্ত ও অনুমতিক্রমে উহার চেয়ারম্যান ও অপর দুইজন পরিচালক কর্তৃক উক্ত প্রসপেক্টাসের অনুলিপি প্রত্যায়িত করাইয়া উহা রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করা হয়;

 
 

(আ) প্রসপেক্টাসের প্রথমভাগে এই মর্মে বর্ণনা থাকে যে উপ-দফা (অ) তে বর্ণিত অনুলিপি যথারীতি দাখিল করা হইয়াছে;

 
 

(ই) প্রসপেক্টাসে উহার তারিখ দেওয়া থাকে; এবং

 
 

(ঈ) প্রসপেক্টাসটি সম্পর্কে এই খণ্ডের বিধানাবলী পালিত হইয়াছে; অথবা

 
 

(খ) অনুরূপ কোন কোম্পানীর অথবা প্রস্তাবিত কোম্পানীর শেয়ার বা ডিবেঞ্চারে চাঁদাদানের জন্য বাংলাদেশের কোন ব্যক্তিকে আবেদনপত্রের ফরম ইস্যুকরণ, যদি না ফরমটির সংগে এই খণ্ডের বিধানানুযায়ী প্রণীত একটি প্রসপেক্টাস থাকে :

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, শেয়ার বা ডিবেঞ্চার সম্পর্কে একটি অবলিখন চুক্তি সম্পাদনের সহিত সংশ্লিষ্ট একটি প্রকৃত আমন্ত্রণপত্র হিসাবে আবেদনপত্রের ফরমটি কোন ব্যক্তির নিকট ইস্যু করা হইয়াছিল বলিয়া প্রমাণ করা হইলে এই দফার বিধান প্রযোজ্য হইবে না ।

 
 

(২) কোম্পানীর বিদ্যমান সদস্য বা ডিবেঞ্চার হোল্ডারগণের নিকট উহার শেয়ার বা ডিবেঞ্চার ইস্যুর জন্য কোম্পানীর প্রসপেক্টাস বা আবেদনপত্রের ইস্যুর ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না, এবং উক্ত সদস্য বা ডিবেঞ্চার হোল্ডার কর্তৃক কোম্পানীর শেয়ার বা ডিবেঞ্চারের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য একজন আবেদনকারী হিসাবে তাহার অর্জিত অধিকার অন্যের অনুকূলে প্রত্যাহারের (renounce) ব্যাপারে তাহার ত্মগমতা থাকা বা না থাকার বিষয় উক্ত ইস্যুর ক্ষেত্রে বিবেচনার প্রয়োজন হইবে না এবং এই ব্যতিক্রম সাপেক্ষে, কোম্পানীটি গঠনের সময় উক্ত প্রসপেক্টাস ইস্যু করা হউক বা গঠন সম্পর্কে ইস্যু করা হউক কিংবা গঠনের পরেই ইস্যু করা হউক তাহা নির্বিশেষে, এই ধারার বিধান প্রসপেক্টাস ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে ।

 
 

(৩) যে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত কোন কোম্পানী এমন দলিলের মাধ্যমে উহার শেয়ার বা ডিবেঞ্চার বিক্রয়ের জন্য জনসাধারনের নিকট প্রস্তাব করে যে, উক্ত কোম্পানী যদি এই আইনে সংজ্ঞায়িত অর্থে একটি কোম্পানী হইত, তবে ১৪২ ধারার বিধান অনুসারে উক্ত দলিল প্রসপেক্টাস বলিয়া গণ্য করা যাইত, সেইক্ষেত্রে উক্ত দলিল এই ধারা অনুযায়ী কোম্পানী কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রসপেক্টাস বলিয়া গণ্য হইবে ।

 
 

(৪) যদি কোন ব্যক্তি মুখ্য ব্যক্তি (principal) হিসাবে বা কাহারও প্রতিনিধি হিসাবে যেভাবেই হউক, তাহার সাধারণ ব্যবসা বা উহার অংশ হিসাবে শেয়ার বা ডিবেঞ্চার ক্রয়-বিক্রয় করেন এবং তাহার নিকট যদি কোন শেয়ার বা ডিবেঞ্চারে চাঁদাদান বা বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুাব দেওয়া হয়, তাহা হইলে সেই প্রস্তাব এই ধারা অনুযায়ী জনসাধারণের নিকট প্রস্তাব বলিয়া গণ্য হইবে না ।

 
 

(৫) যদি কোন ব্যক্তি তাহার জ্ঞাতসারে এমন কোন প্রসপেক্টাস ইস্যু, প্রচার বা বিতরণ করেন বা কোন শেয়ার বা ডিবেঞ্চার এর জন্য আবেদনপত্রের ছক ইস্যু করার জন্য দায়ী হন যে, উক্ত ইস্যুকরণ, প্রচার বা বিতরণের দ্বারা এই ধারার বিধান লংঘিত হয়, তাহা হইলে তিনি অনধিক দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷ (৬) “প্রসপেক্টাস”, “শেয়ার” এবং “ডিবেঞ্চার” শব্দগুলি এই আইন অনুযায়ী নিগমিত কোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে যখন যে অর্থে ব্যবহৃত হয়, উহারা এই ধারায় এবং ৩৮৯ ধারাতেও সেই একই অর্থ বহন করিবে ।

প্রসপেক্টাসের ক্ষেত্রে পালনীয় বিষয়

৩৮৯৷ (১) এই খণ্ডের বিধান পালনের জন্য, ৩৮৮(১) ধারার (ক) দফার (আ) ও (ই) উপ-দফার বিধান পালন ছাড়াও প্রসপেক্টাসে অবশ্যই-

 
 

(ক) নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি সম্পর্কিত বিবরণ থাকিতে হইবে; যথা-

 
 

(অ) কোম্পানীর উদ্দেশ্যবলী;

 
 

(আ) কোম্পানী গঠনকারী বা উহার গঠন নির্দিষ্টকারী দলিল;

 
 

(ই) যে আইন বা আইনের মতই কার্যকর যে বিধানাবলীর অধীনে কোম্পানী নিগমিত হইয়াছে সেই আইন বা বিধানাবলী;

 
 

(ঈ) বাংলাদেশে একটি ঠিকানা, যেখানে উপরোক্ত দলিল, আইন অথবা বিধানাবলী, অথবা ঐগুলির সবগুলির অনুবাদ, এবং যদি এগুলি ইংরেজী ব্যতীত অন্য কোন বিদেশী ভাষায় প্রণীত থাকে তবে বাংলা বা ইংরেজী ভাষায় নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রত্যায়িত অনুবাদ পরিদর্শন করা যাইবে;

 
 

(উ) যে তারিখে ও যে দেশে কোম্পানী নিগমিত হইয়াছে সেই তারিখ ও দেশের নাম;

 
 

(ঊ) কোম্পানী বাংলাদেশে কোন ব্যবসাস্থল বা কর্মস্থল প্রতিষ্ঠা করিয়াছে কি-না এবং যদি করিয়া থাকে তবে বাংলাদেশে উহার প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা :

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, কোম্পানীটি যে তারিখে উহার ব্যবসা বা কার্যাবলী আরম্ভের অধিকার লাভ করে সেই তারিখ হইতে দুই বৎসরের বেশী সময় পরে যদি প্রসপেক্টাস ইস্যু করা হয়, তবে এই দফার (অ), (আ) ও (ই) উপ-দফার বিধান প্রযোজ্য হইবে না;

 
 

(খ) এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, ১৩৫ ধারার (১) উপ-ধারায় বিনির্দিষ্ট বিষয়াদির বর্ণনা এবং উক্ত ধারায় বিনির্দিষ্ট প্রতিবেদনসমূহ সন্নিবেশিত করিতে হইবে :

 
 

তবে শর্ত থাকে যে,-

 
 

(অ) কোন প্রসপেক্টাস সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে, যদি সেই বিজ্ঞাপনটিতে কোম্পানী গঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়, তাহা হইলেই প্রসপেক্টাসে কোম্পানীর উদ্দেশ্যোবলীর বাধ্যতামূলক উল্লেখের যে যে বিধান আছে তাহা পর্যাপ্তরূপে পালিত হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে; এবং

 
 

(আ) ধারা ১৩৫ এর বিধান অনুসারে কোন ক্ষেত্রে কোম্পানীর সংঘবিধির উল্লেখ থাকিলে সেক্ষেত্রে কোম্পানীর গঠন নিয়ন্ত্রণকারী বা বর্ণনাকারী দলিল উল্লেখিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে ।

 
 

(২) যদি কোম্পানীর কোন শেয়ার বা ডিবেঞ্চার এর আবেদনকারীর উপর এমন শর্ত আরোপ করা হয় যে, উক্ত শর্ত গ্রহণের ফলে-

 
 

(ক) এই ধারার কোন বিধান পালনের ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হইবে, অথবা

 
 

(খ) প্রসপেক্টাসে নির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত নাই এমন কোন চুক্তি, দলিল বা অন্য বিষয়ের নোটিশ তাহাকে দেওয়া হইয়াছে বলিয়া বিবেচনা করা যাইবে,

 
 

তাহা হইলে উক্ত শর্ত ফলবিহীন হইবে ।

 
 

(৩) এই ধারার কোন বিধান পালন না করার জন্য বা উহা লংঘন করার জন্য, প্রসপেক্টাসের দায়িত্বে নিয়োজিত কোন পরিচালক অথবা অন্য কোন ব্যক্তি দায়ী হইবেন না, যদি-

 
 

(ক) অপ্রকাশিত বিষয়ের ক্ষেত্রে, তিনি প্রমাণ করেন যে, তত্সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন না; অথবা

 
 

(খ) তিনি প্রমাণ করেন যে, কোন ঘটনা সম্পর্কে তাহার সত্বিশ্বাসজনিত (honest) ভুলের কারণে উক্ত অমান্যকরণ বা লংঘন সংঘটিত হইয়াছে; অথবা

 
 

(গ) উক্ত অমান্যকরণ বা লংঘন এমন কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে সংঘটিত হইয়াছে যে, তাহা সম্পর্কে বিচারকারী আদালত এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উহা একটি তুচ্ছ বিষয় অথবা সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করিয়া যুক্তিসংগতভাবে উক্ত পরিচালককে বা অন্য ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়া যায়:

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত পরিচালক বা অন্য ব্যক্তি ১৩৫ ধারার (১) উপ-ধারা অনুসারে তফসিল-৩ এর প্রথম খণ্ডের ১৮ অনুচ্ছেদে বিনির্দিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে প্রসপেক্টাসে কোন বিবৃতি অন্তর্ভুক্ত করিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী হইবেন না, যদি ইহা প্রমাণিত হয় যে, অপ্রকাশিত বিষয়াদির ব্যাপারে তিনি অবহিত ছিলেন না ।

 
 

(৪) এই ধারার অধীন দায়-দায়িত্ব ছাড়াও এই আইনের অধীনে অন্যান্য বিধান বা অন্য কোন আইনের অধীনে কোন ব্যক্তির দায়-দায়িত্ব থাকিলে উহাকে এই ধারার কোন কিছুই সীমিত বা হ্রাস করিবে না ।

শেয়ার বিক্রির প্রস্তাবের উপর বাধা-নিষেধ
 

৩৯০৷ (১) বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত কোন কোম্পানীর শেয়ার-মূলধনে চাঁদাদান বা উহার শেয়ার বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি জনসাধারণের বাড়ী বাড়ী বা কোন ব্যক্তি বিশেষের বাড়ীতে প্রস্তাব লইয়া গেলে তাহা দণ্ডনীয় অপরাধ হইবে ।

 

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ‘বাড়ী' বলিতে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত অফিস অন্তর্ভুক্ত হইবে না ।

 

(৩) কোন ব্যক্তি এই ধারার বিধান লংঘন করিয়া কোন কাজ করিলে তিনি অনধিক পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

চার্জের তেগত্রে প্রযোজ্য বিধান
৩৯১৷ বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত কোন কোম্পানীর কোন ব্যবসাস্থল বা কর্মস্থল বাংলাদেশে থাকিলে এবং বাংলাদেশে উহার কোন সম্পত্তি থাকিলে বা তত্কর্তৃক অর্জিত হইলে, এইরূপ সম্পত্তির উপর সৃষ্ট সকল চার্জের ত্মেগত্রে ১৫৯ হইতে ১৬৮ (উভয় ধারাসহ) এবং ১৭১ হইতে ১৭৬ (উভয় ধারাসহ) ধারাসমূহের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি বাংলাদেশের বাহিরে কোন চার্জের সৃষ্টি হয় অথবা কোন সম্পত্তির অর্জন বাংলাদেশের বাহিরে সম্পন্ন হয়, তবে ১৫৯(১) ধারার শর্তাংশের (অ) দফা এবং ১৬০(১) ধারার শর্তাংশ এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত সম্পত্তি, যেখানেই অবস্থিত থাকুক না কেন তাহা, বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত৷
রিসিভার নিয়োগের নোটিশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধান

৩৯২৷ (১) বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত তবে বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাস্থল বা কার্যস্থল রহিয়াছে৷ এইরূপ সকল কোম্পানীর ক্ষেত্রে ১৬৯ এবং ১৭০ ধারার বিধান, প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ প্রযোজ্য হইবে ।

 
 

(২) উক্ত কোম্পানী বাংলাদেশে পরিচালিত উহার ব্যবসা বা কার্যাবলীর ব্যাপারে, উহার গৃহীত ও ব্যয়িত সকল অর্থ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিসম্পদ ও দায়-দেনা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় হিসাব বহি, ১৮১ ধারার বিধান অনুসারে যতটুকু প্রযোজ্য হয়, বাংলাদেশে অবস্থিত উহার প্রধান ব্যবসাস্থল বা কর্মস্থলে রক্ষণ করিবে ।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক ও বিধি

৩৯২ক।   এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক ও বিধি বলিতে তপশিল ৯ক এবং তপশিল ৯খ এ উল্লিখিত এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক ও বিধিকে বুঝাইবে।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর গঠন, ইত্যাদি

৩৯২খ(১) একজন প্রাকৃতিক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তি, আইনানুগ যে কোন উদ্দেশ্যে, এক ব্যক্তি কোম্পান গঠন করিতে পারিবে, এবং উহা করিতে চাহিলে, তাহার নাম স্মারকে উদ্যোক্তা হিসাবে স্বাক্ষর করিয়া এবং নিবন্ধিকরণ সংক্রান্ত এই আইনের বিধান মোতাবেক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া সীমিতদায় কোম্পানী গঠন করিতে পারিবেন

(২) একজন প্রাকৃতিক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তি কেবল একটি এক ব্যক্তি কোম্পান গঠন করিতে পারিবেন

(৩) এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারকে একজন মনোনীত ব্যক্তির নাম, উক্ত মনোনীত ব্যক্তির লিখিত সম্মতিক্রমে, উল্লেখ থাকিতে হইবে, যিনি একমাত্র শেয়ার হোল্ডার মৃত্যুবরণ করিলে বা কোম্পানী পরিচালনায় অসমর্থ বা অপ্রকৃতিস্থ হইলে উক্ত কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার হইবেন।

(৪) এক ব্যক্তি কোম্পানীর নিবন্ধনকালে উহার স্মারক, বিধি এবং নিবন্ধন বহিতে উক্ত মনোনীত ব্যক্তিলিখিত সম্মতি লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

(৫) উক্তরূপ মনোনীত ব্যক্তি নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার সম্মতি প্রত্যাহার করিতে পারিবেন।

(৬) যদি উক্তরূপ মনোনীত ব্যক্তি শেয়ার হোল্ডারের পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন অথবা অন্য কোন কারণে অসমর্থ বা অপ্রকৃতিস্থ হন, তাহা হইলে উক্তরূপ মনোনীত ব্যক্তিস্থলে অন্য কোন ব্যক্তিকে, তাহার সম্মতিক্রমে, মনোনীত করা যাইবে।

(৭) এক ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার উপযুক্ত মনে করিলে, তৎকর্তৃক উক্তরূপ মনোনীত ব্যক্তিস্থলে অন্য কোন ব্যক্তিকে, তাহার সম্মতিক্রমে, মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবেন।

(৮) এক ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তির পরিবর্তন সম্পর্কে বিধিতে উল্লেখ করিতে হইবে এবং নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিতে হইবে

এক ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার মূলধন, ইত্যাদি

৩৯২গ।  (১) এক ব্যক্তি কোম্পানীর-

(ক) পরিশোধিত শেয়ার মূলধন হইবে অন্যূন পঁচিশ লক্ষ টাকা এবং অনধিক পাঁচ কোটি টাকা; এবং

(খ) অব্যবহিত পূববর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক টার্নওভার অন্যূন এক কোটি টাকা এবং অনধিক পঞ্চাশ কোটি টাকা।

(২) যদি এক ব্যক্তি কোম্পানীর পরিশোধিত শেয়ার মূলধন উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এ উল্লিখিত পরিমাণ হইতে অধিক হয় এবং বার্ষিক টার্নওভার উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত পরিমাণ হইতে অধিক হয়, তাহা হইলে প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ সাপেক্ষে, এক ব্যক্তি কোম্পানীকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী অথবা, ক্ষেত্রমত, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীতে রূপান্তর করা যাইবে।

এক ব্যক্তি কোম্পানী নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অনুসৃত পদ্ধতি

৩৯২ঘ  প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধি-বিধান, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, এক ব্যক্তি কোম্পানী নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর পরিচালক

৩৯২ঙ (১) এক ব্যক্তি কোম্পানীর একমাত্র শেয়ার হোল্ডার উহার পরিচালক হইবেন।

(২) এক ব্যক্তি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থাপক, কোম্পানী সচিব এবং অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ করা যাইবে।

এক ব্যক্তির কোম্পানীর সভা

৩৯২চ।  এক ব্যক্তি কোম্পানীর পরিচালক অর্ধ পঞ্জিকা বৎসরে অন্যূন একটি পরিচালক সভা অনুষ্ঠান করিবে।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক বা বিধি পরিবর্তন

৩৯২ছএক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক বা বিধিতে কোন পরিবর্তন করা হইলে, উক্ত পরিবর্তন সম্পর্কে নির্ধারিত পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিতে হইবে এবং এইক্ষেত্রে ধারা ১২ এর বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে ।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার হস্তান্তর

৩৯২জ এক ব্যক্তি কোম্পানীর সকল শেয়ার কেবল একজন প্রাকৃতিক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা যাইবে এবং শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ধারা ৩৮ এর বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর ব্যালান্স শীট

৩৯২ঝ (১‌) এক ব্যক্তি কোম্পানীর ক্ষেত্রে কোন অর্থ বৎসর সমাপ্তির একশত আশি দিনের মধ্যে উহার আর্থিক বিবরণী দলিলাদিসহ সংযুক্ত করিয়া রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে।

(২) প্রতিটি ব্যালান্স শীট এবং প্রতিবারের লাভ-ক্ষতির হিসাব অথবা আয় ব্যয়ের হিসাব কোম্পানীর একমাত্র শেয়ারহোল্ডার পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর নিরীক্ষা

৩৯২ঞ এক ব্যক্তি কোম্পানীতে নিরীক্ষক নিয়োগ ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে এই আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানসমূহ, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে

এক ব্যক্তি কোম্পানী কর্তৃক ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ

৩৯২ট এক ব্যক্তি কোম্পানী কর্তৃক কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে ঋণ গ্রহণ বা পরিশোধের ক্ষেত্রে ধারা ১৫৯ হইতে ধারা ১৭৫ এর বিধানাবলী, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে ।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তি

৩৯২ঠএক ব্যক্তি কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে এই আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে

আইনগত কার্যধারা, অপরাধ ইত্যাদি

অপরাধ আমলে লওয়া (Cognizance)

৩৯৩৷ (১) প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট অপেক্ষা নিম্নতর কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ আমলে লইতে পারিবেন না ।

 
 

(২) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এ যাহা কিছু থাকুক না কেন-

 
 

(ক) এই আইনের অধীন প্রত্যেকটি অপরাধ উক্ত Code এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অ-আমলযোগ্য (non-cognizable) অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে;

 
 

(খ) যেক্ষেত্রে অভিযোগকারী রেজিষ্ট্রার স্বয়ং, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অপরাধ আমলে লওয়া বা উহার বিচারনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে রেজিষ্ট্রারের ব্যক্তিগত উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে না, যদি না উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হওয়ার জন্য উক্ত আদালত নির্দেশ দেয় ।

অর্থদণ্ডলব্ধ অর্থের প্রয়োগ

৩৯৪৷ এই আইন অনুসারে অর্থদণ্ড আরোপকারী আদালত এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, অর্থদণ্ডলব্ধ অর্থের সম্পূর্ণ বা উহার অংশ মামলার খরচ পরিশোধের জন্য অথবা যে ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে অর্থদণ্ড আদায় হইয়াছে তাহাকে পুরস্কার হিসাবে দেওয়ার জন্য ব্যয় করা হউক৷

সীমিতদায় কোম্পানীকে মামলার খরচের জন্য জামানত দেওয়ার নির্দেশদানের ক্তমতা

৩৯৫৷ যেক্ষেত্রে কোন মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারায় কোন সীমিতদায় কোম্পানী বাদী বা আবেদনকারী হয়, সেক্ষেত্রে যদি উক্ত মামলা বা কার্যধারার বিষয়ে এখ্‌তিয়ার সম্পন্ন আদালতের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, বিবাদী মামলায় জয়লাভ করিলে উক্ত কোম্পানী বিবাদীর মামলার খরচ পরিশোধে অক্ষম বলিয়া বিশ্বাস করার মত যুক্তিসংগত কারণ আছে, তবে আদালত উক্ত খরচ বাবদ পর্যাপ্ত জামানত দেওয়ার জন্য কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং জামানত না দেওয়া পর্যন্ত মামলা বা আইনগত কার্যধারা স্থগিত রাখিতে পারিবে ।

কতিপয় ক্ষেত্রে অব্যাহতি প্রদানে আদালতের ক্ষমতা

৩৯৬৷ (১) উপ-ধারা (৩) এ উল্লেখিত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি কর্তব্যে অবহেলা অথবা উহা পালনে ব্যর্থতা, বরখেলাপ, ত্রুটিবিচ্যুতি বা দায়িত্ব-লংঘন অথবা বিশ্বাসভংগের অভিযোগে কোন আইনগত ব্যবস্থা গৃহীত হয় এবং যদি মামলার বিচারকারী আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ঐ ব্যক্তি ঐগুলির যে কোনটির জন্য দায়ী বা দায়ী হইতে পারেন কিন্তু ঐ ব্যাপারে তিনি সৎ ও ন্যায়ানুগ আচরণ করিয়াছেন এবং তাহার নিযুক্তির সহিত সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিসহ মামলার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করিলে তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ হইতে তাহাকে ন্যায়সংগতভাবে মার্জনা করা যাইতে পারে, তাহা হইলে উক্ত আদালত উহার বিবেচনা মত তাহাকে সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে এবং উহার বিবেচনায় উপযুক্ত শর্তাধীনে উক্ত অভিযোগ জনিত দায়-দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি দিতে পারে ।

(২) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (৩) এ উল্লেখিত কোন ব্যক্তির এইরূপ আংশকা করার কারণ থাকে যে, তাহার কর্তব্যে অবহেলা, বা উহা পালনে ব্যর্থতা, বরখেলাপ, ত্রুটি-বিচ্যুতি, দায়িত্ব-লংঘন বা বিশ্বাসভংগের ব্যাপারে তাহার বিরুদ্ধে কোন দাবী উত্থাপিত হইবে বা হইতে পারে, সেক্ষেত্রে তিনি অব্যাহতির জন্য আদালতে আবেদন করিতে পারেন; এবং আদালত উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে অব্যাহতি দানের ব্যাপারে সেই একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে যে ক্ষমতা উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রয়োগ করিতে পারিত ।

(৩) যে সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য তাহারা হইতেছেন-

(ক) কোম্পানীর পরিচালক;

(খ) কোম্পানীর ম্যানেজার ও ম্যানেজিং এজেন্ট;

(গ) কোম্পানীর অন্য সকল কর্মকর্তা;

(ঘ) কোম্পানীর কর্মকর্তা হউক বা না হউক, কোম্পানী কর্তৃক নিযুক্ত নিরীক্ষক ।

মিথ্যা বিবৃতি দানের দণ্ড

৩৯৭৷ যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের আওতায় আবশ্যকীয় বা এই আইনের কোন বিধানের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে প্রণীত কোন রিটার্ণ, প্রতিবেদন, সার্টিফিকেট, ব্যালান্স শীট, বিবরণী অথবা অন্য কোন দলিলে কোন গুরত্বপূর্ণ বিষয়ে ইচ্ছাকৃত কোন তথ্য, বিবরণ বা বিবৃতি দেন, যাহা সম্পর্কে তিনি জানিতেন যে উহা মিথ্যা, তাহা হইলে তিনি অনধিক পাঁচ বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ডে এবং তদসহ অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন, এবং উক্ত কারাদণ্ড যে কোন প্রকারের হইতে পারে৷

অন্যায়ভাবে সম্পত্তি আটক রাখার দণ্ড

৩৯৮৷ কোম্পানীর কোন পরিচালক, ম্যানেজিং এজেন্ট, ম্যানেজার অথবা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি অবৈধভাবে কোম্পানীর কোন সম্পত্তির দখল লাভ করেন, অথবা কোন সম্পত্তির দখল বৈধভাবে পাইয়া উহা অবৈধভাবে আটকাইয়া রাখেন, অথবা যদি সংঘবিধিতে নির্দেশিত এবং এই আইন অনুসারে অনুমোদনযোগ্য উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করেন, তবে তিনি কোম্পানী অথবা যে কোন পাওনাদার বা প্রদায়কের অভিযোগক্রমে অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং অপরাধের বিচারকারী আদালত উক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, তিনি অবৈধভাবে অর্জিত বা আটককৃত বা ইচ্ছাকৃতভাবে অপব্যবহারকৃত উক্ত সম্পত্তি আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্পণ করিবেন অথবা ফেরত দিবেন অন্যথায় তিনি অনধিক দুই বত্সর কারাদণ্ড ভোগ করিবেন৷

নিয়োগকর্তা কর্তৃক জামানত অপপ্রয়োগের দণ্ড

৩৯৯৷ (১) কোম্পানীর সহিত সম্পাদিত চাকুরীর চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানীর নিকট কর্মচারীদের (employees) জমা দেওয়া সকল অর্থ বা জামানত Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) তে সংজ্ঞায়িত যে কোন Scheduled ব্যাংকে কোম্পানী কর্তৃক খোলা একটি নির্দিষ্ট হিসাবে জমা করিতে হইবে এবং চাকুরীর চুক্তিতে স্বীকৃত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোম্পানী এই অর্থের কোন অংশ ব্যবহার করিতে পারিবে না৷

 
 

(২) কোন কোম্পানী ইহার কর্মচারীদের জন্য বা তাহাদের কোন শ্রেণীর জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠন করিলে, উক্ত তহবিলে কোম্পানী কর্তৃক অথবা কর্মচারীগণ কর্তৃক প্রদত্ত সকল অর্থ কিংবা ঐ সকল অর্থের উপর সুদ হিসাবে বা অন্য প্রকারে উপচিত (accrued) সকল অর্থ কোন পোষ্ট অফিস সেভিংস ব্যাংক হিসাবে জমা রাখিতে হইবে অথবা Trusts Act, 1882 (II of 1882) এর ২০ ধারার (ক) হইতে (ঙ) পর্যন্ত (উভয় দফাসহ) দফাসমূহে উল্লিখিত সিকিউরিটির বিপরীতে বিনিয়োগ করিতে হইবে; এবং উক্ত তহবিলের কোন অর্থ উক্ত রূপে জমা রাখা বা বিনিয়োগ করা হইলে, উক্ত অর্থ ঐসব সিকিউরিটির বিপরীতে বা উক্ত ব্যাংকে এমনভাবে জমা রাখিতে বা বিনিয়োগ করিতে হইবে যাহাতে কিস্তির সংখ্যা দশের বেশী না হয় এবং কোন একটি বৎসরে ঐসব কিস্তির মোট অর্থের পরিমাণ তহবিলের মোট অর্থের এক-দশমাংশের কম না হয় :

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে উক্ত তহবিলের মোট পরিমাণের এক-দশমাংশ অর্থের পরিমাণ আপাততঃ বলবত্ জমা নিয়ন্ত্রণকারী বিধানানুযায়ী যে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ পোষ্ট অফিস সেভিংস ব্যাংকে জমা রাখা যায় তাহা অপেক্ষা বেশী হয়, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ পূর্বোক্ত Scheduled Bank এ এতদুদ্দেশ্যে খোলা কোন নির্দিষ্ট হিসাবে জমা দেওয়া যাইতে পারে৷

 
 

(৩) উপ-ধারা (২) প্রযোজ্য হয় এইরূপ তহবিল সংক্রান্ত কোন বিধিতে অথবা, কোম্পানী ও উহার কর্মচারীদের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তিতে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত তহবিলে উপ-ধারা (২) এর বিধানানুসারে কোন কর্মচারীর হিসাবে জমাকৃত অর্থের যতটুকুর বিনিয়োগ করা হইয়াছে ততটুকুর উপর উপচিত সুদ অপেক্ষা অধিক হারে বা পরিমাণে সুদ পাওয়ার অধিকার তাহার থাকিবে না৷

 
 

(৪) কোন কর্মচারী কোম্পানীর নিকট এতদুদ্দেশ্যে অনুরোধ করিলে উপ-ধারা (১) ও (২) এ উল্লিখিত যে কোন অর্থ বা সিকিউরিটি সম্পর্কিত ব্যাংক রশিদ দেখার অধিকারী হইবেন৷

 
 

(৫) যদি কোম্পানীর কোন পরিচালক, ম্যানেজিং এজেন্ট, ম্যানেজার কিংবা অন্য কোন কর্মকর্তা জ্ঞাতসারে এই ধারার বিধান লংঘন করেন বা লংঘনের অনুমতি দেন কিংবা লংঘন চলিতে দেন (permits), তবে তিনি অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

 
 

(৬) কোন ভবিষ্য-তহবিল সংক্রান্ত্ম বিধানাবলীর আওতায় উক্ত তহবিল হইতে অগ্রিম অর্থ গ্রহণ কিংবা তহবিলে জমা অর্থ উত্তোলনের ব্যাপারে কোন কর্মচারীর কোন অধিকার থাকিলে, (২) উপ-ধারার কোন বিধান তাহার সেই অধিকারকে ক্ষুন্ন করিবে না, যদি উক্ত ভবিষ্য-তহবিল Income Tax Ordinance, 1984 (XXXVI of 1984) এর section 2(52) তে প্রদত্ত সংজ্ঞানুসারে একটি ভবিষ্য-তহবিল হিসাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয় কিংবা প্রথমোক্ত বিধানাবলীতে Income Tax (Provident Fund) Rules, 1984 এর ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ বিধির বা অনুরূপ বিধিমালার অনুরূপ বিধানের সদৃশ বিধান থাকে৷

"লিমিটেড" বা "সীমিতদায়" শব্দ অপপ্রয়োগের দণ্ড

৪০০৷ যে প্রতিষ্ঠানের নাম বা শিরোনামের শেষ শব্দটি 31[পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানী বা PLC., বা সীমিতদায় বা LTD., বা এক ব্যক্তি কোম্পানী বা One Person Company বা OPC] সেই প্রতিষ্ঠানের নামে কিংবা শিরোনামে যদি কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ ব্যবসা বা অন্য কার্যাবলী পরিচালনা করেন 32[উক্তরূপ নাম বা শিরোনাম] উহা যথারীতি নিগমিত না হয়, তাহা হইলে যতদিন পর্যন্ত ঐভাবে সেই নাম বা শিরোনাম ব্যবহৃত হয় ততদিনের প্রতিদিনের জন্য সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ অনধিক পাঁচশত টাকা করিয়া অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

Act XXI of 1860 তে উল্লিখিত“রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীজ” অভিব্যক্তির ব্যাখ্যা
 

৪০১৷ Societies Registration Act, 1860 (XXI of 1860) এর ১ এবং ১৮ ধারায় "Registrar of Joint Stock Companies” অভিব্যক্তির যে উল্লেখ রহিয়াছে তদ্বারা এই আইনে সংজ্ঞায়িত রেজিষ্ট্রারকে বুঝাইবে৷

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর প্রয়োগ

33[৪০১ক। (১) এই আইনের অধীন সম্পাদিতব্য কোন কাজ নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে করা যাইবে এবং এইক্ষেত্রে, যতদূর সম্ভব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন) এবং উহার অধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান অনুসরণ করিতে হইবে।

(২) ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সেবা প্রদানের জন্য সরকার ফি ধার্য করিতে পারিবে।]

রহিতকরণ ও হেফাজত

৪০২৷ (১) Companies Act, 1913 (VII of 1913), অতঃপর উক্ত এ্যাক্ট বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্বারা রহিত করা হইল৷

 
 

(২) উক্ত এ্যাক্ট রহিত হওয়া সত্ত্বেও-

 
 

(ক) উক্ত এ্যাক্টের অধীনে বা উহার বিধান অনুসারে প্রদত্ত কোন আদেশ, নির্দেশ বা নিয়োগ, বা প্রণীত কোন বিধি, প্রবিধান বা অন্য বিধান বা কৃত বন্ধক বা অন্যবিধ হস্তান্তর, সম্পাদিত কোন চুক্তি বা অন্যবিধ দলিল, ইস্যুকৃত কোন কিছু গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা ব্যবস্থা বা প্রদত্ত ফিস, অর্জিত অধিকার বা দায়-দায়িত্ব বা কৃত অন্য কোন কিছু যদি এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে উক্ত এ্যাক্টের বিধান অনুসারে বা অধীনে বলবত্ থাকিয়া থাকে, তবে তাহা, এই আইনের বিধানের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, কার্যকর এবং অব্যাহত থাকিবে এবং ঐগুলি এই আইনের অধীনে ক্ষেত্রমতে প্রদত্ত, প্রণীত, সম্পাদিত, ইস্যুকৃত, গৃহীত, অর্জিত বা কৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

 
 

(খ) উক্ত এ্যাক্টের অধীনে বা তদ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিযুক্ত ব্যক্তি এই আইনের অধীনে বা এই আইন দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিযুক্ত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে;

 
 

(গ) এই আইন প্রবর্তনের সময় নিবন্ধন কার্যাদি সম্পন্ন করার সময় যে সকল কার্যালয় বিদ্যমান ছিল সেগুলি এইরূপে অব্যাহত থাকিবে যেন উহারা এই আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল;

 
 

(ঘ) উক্ত এ্যাক্টের কোন বিধানের অধীনে রক্ষিত বা প্রণীত কোন বহি বা অন্যবিধ দলিল উক্ত বিধানের সহিত সদৃশ্য এই আইনের বিধানের অধীন রক্ষণীয় বা প্রণীতব্য বহি বা অন্যবিধ দলিলের অংশ বলিয়া গণ্য হইবে;

 
 

(ঙ) উক্ত এ্যাক্টের অধীন গঠিত তহবিল এবং রক্ষিত হিসাব অব্যাহত থাকিবে এবং উহারা এই আইনের সদৃশ বিধানের অধীনে গঠিত বা রক্ষিত বলিয়া গণ্য হইবে৷

 
 

(৩) এই আইনের কোন কিছুই উক্ত এ্যাক্টের অধীনে কোন কোম্পানীর নিগমিতকরণ বা নিবন্ধনকে অথবা Insurance Act, 1938 (IV of 1938) এর বিধানাবলীর কার্যকরতাকে ক্ষুন্ন করিবে না৷

General clauses Act, 1897 এর section 6 এই আইনের ৪০২ ধারাসহ অন্যান্য ধারার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য

৪০৩৷ ৪০২ ধারায় বা অন্যান্য ধারায় কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের ল্লেখের কারণে উহাদের ক্ষেত্রে General Clauses Act, 1897 (X of 1897) এর section 6 এর প্রয়োগ  ক্ষুন্ন বা সীমিত হইবে না ।

ইংরেজীতে অনুদিত পাঠ প্রকাশ

৪০৪৷ এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনুদিত একটি পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের অনুমোদিত ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) নামে অভিহিত হইবে:

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন ও উক্ত ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ত্মেগত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে৷