Tuesday, December 20, 2011

বাগেরহাট জেলায় দর্শনীয় স্থান [ Watchworthy Place of Bagherhat ]


বাগেরহাট জেলায় দর্শনীয় স্থান

 বাগেরহাট জেলায় এক সঙ্গে দুইটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ রয়েছে যা পৃথিবীর কোথাও নেই। এখানে রয়েছে অসংখ্য পুরাকীর্তি আর ঘন শ্যামল বনানী। পীর খানজাহানের স্মৃতি বিজড়িত সাগর কন্যা সুন্দরবনের আঁচলে ঢাকা বাগেরহাট পযর্টকদের জন্য অন্যতম আর্কষণীয় স্থান।
 দর্শনীয় স্থানের তালিকাঃ
 ১. ষাট গম্বুজ মসজিদ

 ২. খানজাহান আলী (রঃ) এর মাজার

 ৩. সিংগাইর মসজিদ

 ৪. বিবি বেগনী মসজিদ

 ৫. চুনখোলা মসজিদ

 ৬. পীর আলী মোহাম্মদ তাহের এর সমাধী

 ৭. এক গম্বুজ মসজিদ

 ৮. নয় এক গম্বুজ মসজিদ

 ৯. সাবেক ডাঙ্গা পুরাকীর্তি

 ১০. রণবিজয়পুর মসজিদ

 ১১. জিন্দাপীর মসজিদ

 ১২. রেজা খোদা মসজিদ

 ১৩. খানজাহানের বসত ভিটা ঢিবি

 ১৪. কোদলা মঠ

 ১৫. ইংরেজ শাসনের বিরম্নদ্ধে বিদ্রোহী শহীদ কৃষক রহিমুলস্নবহর বাড়ি

 ১৬. মোড়েলের স্মৃতি সৌধ

 ১৭. ১৮৬৩ সালে তৎকালীন এস ডি ও গেরৈ চন্দ্র বসাক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাগেরহাট নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল, যা ১৮৮৯ সালে পুর্নাঙ্গ স্কুলে রুপান্তরিত হয় ।

 ১৮. ১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত খড়ড়িয়া নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল, মুলঘর, ফকিরহাট যা ১৮৮৯ সালে পুর্নাঙ্গ স্কুলে রুপান্তরিত হয় ।

 ১৯. মোংলাপোর্ট

 ২০. চিলা চার্চ

 ২১. কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধী

 ২২. শ্রী প্রফুল্ল ঘোষের বসতবাটি (জমিদার বংশীয়)

 ২৩. নীল সরোবর

 ২৪. জমিদার শ্রী ক্ষীতিষ চন্দ্রের বসতবাটির ধ্বংসাবশেষ

 ২৫. শাহ আউলিয়াবাগ মাজার। হযরত খানজাহান আলী (রহঃ) এর এক সহচর পীর শাহআউলিয়ার মাজার

 ২৬. নাট মন্দির। জমিদার শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষের বসতবাটির আঙ্গিনায় অবস্থিত

 ২৭. জমিদার শ্রী রামজয়দত্তের কাছারি বাড়ি।

 ২৮. বৃটিশ সেনাদের পযবেক্ষণ টাওয়ার।

 ২৯. ডক্টর নীলিমা ইব্রাহীমের পিত্রালয়ের বাটি।

 ৩০. জোড়া শিব মন্দির। জমিদার শ্রী কাশিনাথ দত্তের পরিবার ইহা প্রতিষ্ঠা করেন।

 ৩১. স্বর্নে নির্মিত প্রায় ৩০০ বছরের পুরাতন কৃষ্ণ মূর্তি, গোপাল জিউর মন্দিও, লাউপালা, যাত্রাপুর

 ৩২. দুবলার চর, কটকা, কচিখালি

 ৩৩. বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন



সিলেটের নামকরণ [ Naming of Sylhet ]


প্রাচীন গ্রন্থাদিতে এ অঞ্চলের (সিলেট বিভাগ) বিভিন্ন নামের উল্লেখ আছে। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে শিবের স্ত্রী সতি দেবির কাটা হস্ত (হাত) এই অঞ্চলে পড়েছিল, যার ফলে 'শ্রী হস্ত' হতে শ্রীহট্ট নামের উৎপত্তি বলে হিন্দু সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের ঐতিহাসিক এরিয়ান লিখিত বিবরণীতে এই অঞ্চলের নাম "সিরিওট" বলে উল্লেখ আছে। এছাড়া, খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতকে এলিয়েনের (Ailien) বিবরণে "সিরটে", এবং পেরিপ্লাস অব দ্যা এরিথ্রিয়ান সী নামক গ্রন্থে এ অঞ্চলের নাম "সিরটে" এবং "সিসটে" এই দুইভাবে লিখিত হয়েছে। অতঃপর ৬৪০ খ্রিস্টাব্দে যখন চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এই অঞ্চল ভ্রমণ করেন। তিনি তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে এ অঞ্চলের নাম "শিলিচতল" উল্লেখ করেছেন[১২]। তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দীন বিন বখতিয়ার খলজি দ্বারা বঙ্গবিজয়ের মধ্য দিয়ে এদেশে মুসলিম সমাজব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটলে মুসলিম শাসকগণ তাঁদের দলিলপত্রে "শ্রীহট্ট" নামের পরিবর্তে "সিলাহেট", "সিলহেট" ইত্যাদি নাম লিখেছেন বলে ইতিহাসে প্রমাণ মিলে। আর এভাবেই শ্রীহট্ট থেকে রূপান্তর হতে হতে একসময় সিলেট নামটি প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে বলে ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন ।