ভারত
মহাদেশের ভুত সম্পর্কে কিছু কথা
----
ভুত= ( জীন +আত্মা )
(ভুত শব্দটা বাঙ্গালিদের মাঝে বেশি প্রচলন। কারন এটা বাংলা শব্দ।)
ভারত
বর্ষে যখন ইসলাম প্রচার করা হয় নাই। তখন জীন জাতির সম্পর্কে কোন ধারনা তাদের ছিল
না,
যেমন বর্তমানে অনেক
দেশ আছে । যে খানে ইসলাম ধর্ম শান্তির বার্তা প্রচার করা হয় নাই। সেই সব দেশে জীন
সম্পর্কে , ধারনা তাদের মটেও নাই।
তাহলে তারা কোন কিছু সমস্যা সৃষ্টি হলে , কোন অতৃপ্ত ঘটনা ঘঠলে তারা কি বলে , তারা বলে খারাপ শয়তান বা খারাপ মানুষের আত্তা ভর করেছে
তাদের ,
সেখানে ভুত বা জীন কোনটা ঊচ্চারন করা হয় না। তাহলে একেক
দেশে একের নামে এদের বিভিন্ন শব্দের , ভাষায় তাদের ডাকা হয়।
যেহেতু
আমারা ভারত মহাদেশে মধ্যে বসবাস করি । এবং এর সংস্ক্রতি আচার আচরনের মাঝে ও এই
ভারত মহাদেশের পুরনো ইতিহাস মাঝে আমরা জরিত । একে অপরের সাথে , অনেক কিছু মিল আছে আমাদের। । সেই মিল থেকে ভুত আমাদের মাঝে
বিশেষ করে বাঙ্গালিদের মাঝে তা এখনো বহন করে চলছি। ও ভারতের অন্য ভাষার মানুষরা কোন
অদিশ্য খারাপ বস্তুর পাল্লায় পরাকে ভুত বলে বিশ্বাস করে। কারন তারা আমাদের
সংক্রিতির সাথে জরিত।
যখন
ভরত বর্ষের ইসলাম প্রচার করা হয় নাই তখন এই মানুষ গুলো (আত্মা বা জীন) ভুত দের কে
কিভাবে দেখতো একটু যানি।
কোন
মানুষের মারা গেলে তার নিয়ম অনুযায় সঠিক ভাবে দাফন কাজ, সঠিক ভাবে মৃত্যু না হল তা দুষ্টের আত্তা রুপান্তিত হয়।
এবং বিভিন্ন সময় মানুষে কে ক্ষতি করার জন্য সামনে আসে, ও তাদের সামনে দেখা দেয়। আবার কিছু দুষ্টো জীন তাদের সামনে
আসে ও দেখা দেয়। এভাবে মানুষের মাঝে কোন প্রকার আসর বা মানুষের উপরে ভর করা হলে
তাকে বলা হতো ভুতে ধরেছে। তাই আমরা দেখতে পাই যে, ভুত আসলে হলো কোন অদিশ্য বস্তু
যা
আমাদের ভারত মহাদেশে বাঙালি দের সামন্য যাহা দেখতে পাওয়া যায় বা মানুষের সমস্য
সৃষ্টি করে, ভর করে। তাদের কে বাঙালিরা
ভুত বলে থাকে ।
যখন
থেকে ইসলামের শান্তি প্রচার শুরু হয় তখন মোসলমানরা অনেক জ্ঞেনে অধীকার হয় কোরান
পরে। তারা জানতে পারে জীন ও আত্মা সম্পর্কে। আর ভুত সব্দটা সবার মুখে মুখে আর
গল্পের মাঝে প্রচার হতে থাকলো উপনাসে পাতায়।
ভারত
মহাদেশ বিভক্ত হয়ে যায় সৃষ্টি হয় ভারত , বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইত্যাদি।
আর
মোসলমানদের ভিতরে কোন মানুষ আসর বা কোন কিছু ভর করা হলে বলে জীনে ধরা হয়েছে।
আর
অন্য ধর্মে কোন মানুষকে অদিশ্য কোন কিছু ভর করা হলে তাকে তারা ভুতে ধরা বলে থাকে।
ইন্ডিয়ার
এখনো সবাই তাই বিশ্বাস করে , খারাপ শয়তান
বা আত্মা মানুষ কে ধরলে তাকে ভুত। ধরা বলে ।
প্রমান
দেখতে চাইলে You Tube ... প্রগ্রাম
দেখলে । তাদের কথা শুনলে বুঝতে পারবেন জীন ধরা মানুষদের কে তার ভুতে ধরা। বলে
থাকে। । তার কোখনো বিশ্বাস করে না জীনে ধরেছে কারন তারা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসি।
আর
মোসলমানরা জীনে ধরা রগীকে কোখন বিশ্বাস করে না ভুতে ধরেছে। কারন তারা মোসলমান ।
আসলে
মুল কোথা হলো ভুত ধরা ভাষা আমাদের পুরানো মাতৃ ভাষা বাঙ্গালিদের ভাষা।। সব কথার
শেষ কথা হলো
মানুষ
মরে গেলে তার আত্মা মরে জায় না। সব আত্মা ভুত না। কিছু দুষ্ট প্রক্রিতি আত্মা কে
ভুত বলা হয়। ঠীক
সব জীন
ভুত না। কিছু দুষ্ট প্রকৃতি খারাপ জীন দের ভুত বলা হয়। । তাই আমারা জীন বা আত্মা
দুটো কোন একটা কেই দেখলেই ভুত বলে থাকি । কারন আমারা দুটার মধ্যে পার্থ্যক বুঝতে
পারবো না কখনো। যারা , ওঝা, হুজুর, ফকির, বা বিভিন্ন এই সব বিষয় নিয়ে গবেষনা করেন তারাই বুঝতে
পারবে । আসলে এটা জীন না আত্মা। তাই বাঙ্গালিরা দুষ্ট খারাপ শয়তান কে যা মানুষ কে
ক্ষতি করে তাদের কে ভুত হলে থাকি । এটা আমারদের ভাষ। । এটাকে এরিয়ে যাওয়া কোন
কারন নাই। ।