সালামের কয়েকটি ভুল
১. সালামের জবাব দিয়ে আবার সালাম দেওয়া
এ
রীতিটা ভুল । উত্তম হল সালাম পাওয়ার অপেক্ষা না করে আগে সালাম দেওয়া ।
কিন্তু কেউ সালাম দিয়ে দিলে তখন দায়িত্ব হল শুধু সালামের উত্তর দেওয়া ।
২. সালামের জবাব না দিয়ে আবার সালাম দেওয়া
এ
রীতিটা ও ভুল । বড় কেউ যদি আগে সালাম দিয়ে ফেলে, তখন আমাদের অনেকেই জবাব
দিতে লজ্জাবোধ করে । তাই জবাব না দিয়ে নতুন করে সালাম দেয় । এ রীতি
প্ররিহাযোগ্য । কেউ সালাম দিলে তার জবাব দেওয় ওয়াজিব । তাই জবাবই দিতে হবে ।
৩. কাউকে সালাম দেওয়া পর ‘সালাম দিয়েছি’ বলা
সালাম
দেওয়ার পর উত্তর পেলে আমরা সাধারণত বলে থাকি ‘সালাম দিয়েছি ।’ এভাবে বলা
ঠিক নয় । নিয়ম হল আবার সালাম দেওয়া । শ্রোতাকে যতাযতভাবে শুনিয়ে সালাম দিতে
হবে । সালামের উত্তর যেমন সালামদাতাকে শুনিয়ে দিতে হয়, তেমনি সালামও
শ্রোতাকে শুনিয়ে দিতে হয় ।
৪. মনে মনে বা নিম্নস্বরে সালামের জবাব দেওয়া
এ অভ্যাস প্ররিহাযোগ্য । সালামদাতাকে শুনিয়েই সালামের জবাব দেবে ।
৫. অসময়ে সালাম দেওয়া
কুরআন
হাদীসের আলোকে একথা স্পষ্ট যে, সালাম হচ্ছে সাক্ষাতের বিভিন্ন আদবসমূহের
একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব । সালাম, মুসাফাহা, মুআনাকা ইত্যাদি এক মুসলমান আরেক
মুসলমানের সঙ্গে দেখা হলে করার মতো কিছু আমল, যা রাসূলুল্লাহ (সা.)
শিখিয়েছেন । কিন্তু দেখা যায় দুআ বা মুনাজাত শেষ হলে অনেকে সালাম দিয়ে বসেন
। এটা একটা ভিত্তিহীন রেওয়াজ । দুআ বা মুনাজাত শেষ হওয়ার সঙ্গে সালামের
কোন সম্পর্ক নেই । তেমনি মুসাফাহা, মুআনাকার কোন সম্পর্ক নেই ।
৬. সালামের উচ্চারণে ভুল
সালাম
একটি দুআ । ইসলামের শিআর ও প্রতীক পর্যায়ের একটি আমল । এর সহীহ উচ্চারণের
প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি । কমপক্ষে এতটুকু বিশুদ্ধ উচ্চারণ অবশ্যই জরুরি,
যার দ্বারা অর্থ ঠিক থাকে ।
ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ
আরবী
দেখে এর উচ্চারণ শিখে নেওয়া উচিত । অন্যথায় ع ও ح ইত্যাদি হরফের যতাযত
মাখরাজ আদায় হয় না । অনেকে অসাবধানতা বা তাড়াহুড়োর কারণে ভুল উচ্চারণে
সালাম দিয়ে থাকে । এমনটা অনুচিত । সালামের ভুল উচ্চারণের কয়েকটি রূপ:
১.স্লামালাইকুম,
২. সালামালাইকুম, ৩. আস্লামালাইকুম, ৪. আস্লামুআলাইকুম, ৫. সেলামালাইকুম,
৬. ইস্লামালাইকুম, ৭. আচ্ছালামু আলাইকুম ইত্যাদি ।
সুত্র:- প্রচলিত ভুল, পৃষ্টা:- ৩৮