Wednesday, April 28, 2021

সালামের কয়েকটি ভুল

 May be an image of text that says 'প্রচলিত ভুল Gg Call পর্ব:- shutterstsck Criee সালামের কয়েকটি ভুল Iftekar Husain'

 

সালামের কয়েকটি ভুল

১. সালামের জবাব দিয়ে আবার সালাম দেওয়া

এ রীতিটা ভুল । উত্তম হল সালাম পাওয়ার অপেক্ষা না করে আগে সালাম দেওয়া । কিন্তু কেউ সালাম দিয়ে দিলে তখন দায়িত্ব হল শুধু সালামের উত্তর দেওয়া ।

২. সালামের জবাব না দিয়ে আবার সালাম দেওয়া

এ রীতিটা ও ভুল । বড় কেউ যদি আগে সালাম দিয়ে ফেলে, তখন আমাদের অনেকেই জবাব দিতে লজ্জাবোধ করে । তাই জবাব না দিয়ে নতুন করে সালাম দেয় । এ রীতি প্ররিহাযোগ্য । কেউ সালাম দিলে তার জবাব দেওয় ওয়াজিব । তাই জবাবই দিতে হবে ।

৩. কাউকে সালাম দেওয়া পর ‘সালাম দিয়েছি’ বলা

সালাম দেওয়ার পর উত্তর পেলে আমরা সাধারণত বলে থাকি ‘সালাম দিয়েছি ।’ এভাবে বলা ঠিক নয় । নিয়ম হল আবার সালাম দেওয়া । শ্রোতাকে যতাযতভাবে শুনিয়ে সালাম দিতে হবে । সালামের উত্তর যেমন সালামদাতাকে শুনিয়ে দিতে হয়, তেমনি সালামও শ্রোতাকে শুনিয়ে দিতে হয় ।

৪. মনে মনে বা নিম্নস্বরে সালামের জবাব দেওয়া

এ অভ্যাস প্ররিহাযোগ্য । সালামদাতাকে শুনিয়েই সালামের জবাব দেবে ।

৫. অসময়ে সালাম দেওয়া

কুরআন হাদীসের আলোকে একথা স্পষ্ট যে, সালাম হচ্ছে সাক্ষাতের বিভিন্ন আদবসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব । সালাম, মুসাফাহা, মুআনাকা ইত্যাদি এক মুসলমান আরেক মুসলমানের সঙ্গে দেখা হলে করার মতো কিছু আমল, যা রাসূলুল্লাহ (সা.) শিখিয়েছেন । কিন্তু দেখা যায় দুআ বা মুনাজাত শেষ হলে অনেকে সালাম দিয়ে বসেন । এটা একটা ভিত্তিহীন রেওয়াজ । দুআ বা মুনাজাত শেষ হওয়ার সঙ্গে সালামের কোন সম্পর্ক নেই । তেমনি মুসাফাহা, মুআনাকার কোন সম্পর্ক নেই ।

৬. সালামের উচ্চারণে ভুল

সালাম একটি দুআ । ইসলামের শিআর ও প্রতীক পর্যায়ের একটি আমল । এর সহীহ উচ্চারণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি । কমপক্ষে এতটুকু বিশুদ্ধ উচ্চারণ অবশ্যই জরুরি, যার দ্বারা অর্থ ঠিক থাকে ।

‎‎ ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ‎‎

আরবী দেখে এর উচ্চারণ শিখে নেওয়া উচিত । অন্যথায় ع ও ح ইত্যাদি হরফের যতাযত মাখরাজ আদায় হয় না । অনেকে অসাবধানতা বা তাড়াহুড়োর কারণে ভুল উচ্চারণে সালাম দিয়ে থাকে । এমনটা অনুচিত । সালামের ভুল উচ্চারণের কয়েকটি রূপ:
১.স্লামালাইকুম, ২. সালামালাইকুম, ৩. আস্লামালাইকুম, ৪. আস্লামুআলাইকুম, ৫. সেলামালাইকুম, ৬. ইস্লামালাইকুম, ৭. আচ্ছালামু আলাইকুম ইত্যাদি ।
সুত্র:- প্রচলিত ভুল, পৃষ্টা:- ৩৮

 

বাঙ্গি নিয়ে অনেক রকমের ট্রল

 No photo description available.

 

ইদানিং বাঙ্গি নিয়ে অনেক রকমের ট্রল দেখা যাচ্ছে…
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, “রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না।”
[বুখারি, হাদিস নং : ৫১৯৮
ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ৩৩৮২]
সুতরাং, তোমার যদি বাঙ্গি খুবই অপছন্দের হয়, খেও না। তবুও বাঙ্গি নিয়ে হাসি-তামাশা করোনা, এবং যারা সেটা করছে তাদেরকেও প্রোমোট করোনা। কারণ, প্রতিটা ফলই আল্লাহর নিয়ামত। তুমি এটা নিয়ে হাসিঠাট্টা করছো মানে আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে হাসিঠাট্টা করছো। এমন একটা ভাব যেন, আল্লাহ এটাকে সৃষ্টি করে 'অন্যায়' করে ফেলেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ)
যখন তুমি বলো ‘আল্লাহ, হয় এই বাঙ্গি দুনিয়ার থেকে উঠায় নাও, নইলে আমারে উঠায় নাও’ তখন তুমি সরাসরি আল্লাহর সাথেই বেয়াদবি করে ফেললে যা তাওবা ব্যতীত ক্ষমার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং, কথাবার্তা বলার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।
যারা যুক্তি দিতে চাচ্ছো– আরে এটা তো ‘যাস্ট ফান’ করে বলছি, এসবকিছু এত সিরিয়াসভাবে নিলে হয় নাকি?
তাদেরকে বলি—
“বান্দা অনেক সময় (ঠাট্টাচ্ছলে) এমন অনেক কথাই বলে যাতে সে গুরুত্ব দেয় না, অথচ সেই কথা আল্লাহ্‌কে অসন্তুষ্ট করে। ফলে সেই কথাই তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে।”
[বুখারী; অধ্যায় : ৮, খণ্ড : ৭৬, হাদীস : ৪৮৫]
একই নসীহত এরকম অন্যান্য কথাগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য—
১. আল্লাহ একটা দড়ি ফালাও, উইঠা যাই। (আল্লাহকে হুকুম করা)
২. এটা দেখার আগে আল্লাহ আমার চোখ অন্ধ করে দিলো না ক্যান? (আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপত্তি)
৩. আল্লাহ আমারে উঠায় নাও (মৃত্যুকামনা)
আর, যারা এসব করে তাদের উদ্দেশ্যে—
“তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করে না।”
[সূরা যুমার, আয়াত ৬৭]
সুতরাং, যারা আল্লাহকে সম্মান করে না, আমরা সামান্য একটু 'ফান' করতে গিয়ে তাদের দলভূক্ত না হই।
“তোমরা কেউ কখনও মৃত্যুকামনা করোনা”
[মুসলিম, হাদীস-৬৯৯৫]
“যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসে বিশ্বাস রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে নয়ত চুপ থাকে”
[বুখারী; অধ্যায়: ৮, খণ্ড: ৭৬, হাদীস: ৪৮২]