ইদানিং বাঙ্গি নিয়ে অনেক রকমের ট্রল দেখা যাচ্ছে…
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, “রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না।”
[বুখারি, হাদিস নং : ৫১৯৮
ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ৩৩৮২]
সুতরাং, তোমার যদি বাঙ্গি খুবই অপছন্দের হয়, খেও না। তবুও বাঙ্গি নিয়ে হাসি-তামাশা করোনা, এবং যারা সেটা করছে তাদেরকেও প্রোমোট করোনা। কারণ, প্রতিটা ফলই আল্লাহর নিয়ামত। তুমি এটা নিয়ে হাসিঠাট্টা করছো মানে আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে হাসিঠাট্টা করছো। এমন একটা ভাব যেন, আল্লাহ এটাকে সৃষ্টি করে 'অন্যায়' করে ফেলেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ)
যখন তুমি বলো ‘আল্লাহ, হয় এই বাঙ্গি দুনিয়ার থেকে উঠায় নাও, নইলে আমারে উঠায় নাও’ তখন তুমি সরাসরি আল্লাহর সাথেই বেয়াদবি করে ফেললে যা তাওবা ব্যতীত ক্ষমার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং, কথাবার্তা বলার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।
যারা যুক্তি দিতে চাচ্ছো– আরে এটা তো ‘যাস্ট ফান’ করে বলছি, এসবকিছু এত সিরিয়াসভাবে নিলে হয় নাকি?
তাদেরকে বলি—
“বান্দা অনেক সময় (ঠাট্টাচ্ছলে) এমন অনেক কথাই বলে যাতে সে গুরুত্ব দেয় না, অথচ সেই কথা আল্লাহ্কে অসন্তুষ্ট করে। ফলে সেই কথাই তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে।”
[বুখারী; অধ্যায় : ৮, খণ্ড : ৭৬, হাদীস : ৪৮৫]
একই নসীহত এরকম অন্যান্য কথাগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য—
১. আল্লাহ একটা দড়ি ফালাও, উইঠা যাই। (আল্লাহকে হুকুম করা)
২. এটা দেখার আগে আল্লাহ আমার চোখ অন্ধ করে দিলো না ক্যান? (আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপত্তি)
৩. আল্লাহ আমারে উঠায় নাও (মৃত্যুকামনা)
আর, যারা এসব করে তাদের উদ্দেশ্যে—
“তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করে না।”
[সূরা যুমার, আয়াত ৬৭]
সুতরাং, যারা আল্লাহকে সম্মান করে না, আমরা সামান্য একটু 'ফান' করতে গিয়ে তাদের দলভূক্ত না হই।
“তোমরা কেউ কখনও মৃত্যুকামনা করোনা”
[মুসলিম, হাদীস-৬৯৯৫]
“যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসে বিশ্বাস রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে নয়ত চুপ থাকে”
[বুখারী; অধ্যায়: ৮, খণ্ড: ৭৬, হাদীস: ৪৮২]
No comments:
Post a Comment