Wednesday, May 5, 2021

দোয়া করার নিয়ম

 

*দোয়া করার নিয়ম:
১. ✅প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করবেন:
সুরা:ফাতিহা পড়ে, আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নাম ধরে প্রশংসা করবেন।
তিরমিজি,হাদিস নং- ৩৪৭৬
২.✅তারপর দরুদ পড়বেন;
দরুদ পড়া মানে নবী কারিম (স:) ও উনার পরিবারের জন্য জন্য দোয়া।
তিরমিজি, হাদিস নং-৩৪৭৭
এখন দোয়া শুরুঃ
৩. ✅ নিজের জন্য, মাতাপিতার জন্য ও সকল মুসলমানের জন্য একটি দোয়া পাঠ করবেন:
যেমন :رَّبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا*
উচ্চারণ: রব্বিগফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান। দাখালা বাইতিয়া, মু-মিনান ওয়ালিল মু-মিনিনা ওয়াল মুমিনাতি ওয়ালা তাজিদিজ্জোয়ালিমিনা ইল্লা তাবারান।
সুরা নুহ: 71:28
অর্থ: হে রব, আপনি আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যারা মুমিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে-তাদেরকে এবং মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন এবং যালেমদের কেবল ধ্বংসই বৃদ্ধি করুন।)
৪.এরপর বাহ্যিক দোয়া পড়া।
ইবনে হিব্বান-৭৬৮
যেমন: ইসমে আযম,সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত,দোয়া ইউনুছ ইত্যাদি দোয়াগুলো পড়বেন।
৫. ✅এবার মোনাজাতে আপনার সমস্যা বা রোগীর বা অন্যের সমস্যা সমাধানের জন্য দোয়া করবেন।
৬.✅ দোয়ার শেষে আবার দরুদ পড়বেন।
প্রত্যেক দুয়া ঝুলে থাকে যতক্ষণ না দরুদ পাঠ করা হয়।
তাবারানি, হাদিস নং: ১/২১
✳ কেউ যেন না বলে, হে আল্লাহ! আপনার ইচ্ছে হলে আমাকে দয়া করুন বা ইচ্ছে হলে আমাকে দিন। বরং দৃঢ় আশা নিয়ে দু‘আ করতে হবে।
(বুখারী, মুসলিম-৬৩৩৮)
✳ তাড়া হুড়া করে দুয়া চাওয়া যাবে না।
তিরমিজী-৪৩২১
✳ দুয়া চাইবেন গোপনে, নীরবে, ভিত বিহবল চিত্তে অনুচ্চস্বরে।
(আরাফ-৫৫, মরিয়ম-৩)
এভাবে দোয়া চাওয়া হচ্ছে সুন্নতি তরীকা।
🛐 দোয়া যে কোন সময় করতে পারেন তবেঃ
🔘আযান ও একামতের মধ্যবর্তী সময়ে,
🔘যাওয়াল,ইশরাক,চাশত ইত্যাদি নামাযের সময়ে,
🔘ফরয নামাজের পরে,
🔘তাহাজ্জুদের সময়
🔘 বৃষ্টির সময় ও
নামাজের সিজদার সময়।
*নোটঃ সম্ভব হলে কিছু সদাকা/দান খয়রাত করে ২ রাকাত নামাজ পড়ে তওবা করে উপরোক্ত নিয়মে দুয়া করবেন।
কলেক্টেড

বৈশাখ নাকি রমাদান?

 

‘মারা গেলে জিজ্ঞেস করা হবে না যে আপনি বাঙালি কিনা? তখন সব পরিচয় ছাপিয়ে নিজেকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে, তা-ই না?’
লোকটা চুপ হয়ে গেল। তিনি একজন বিশেষ দলের নেতা, প্রায়ই আমাকে পিন করার চেষ্টা করে। শেষবার দেখা হবার পর এই প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিলাম, চুপ হয়ে গেল।
মারা যাওয়ার পর প্রত্যেককে তিনটা প্রশ্ন করা হবে। প্রশ্ন তিনটি হলো, তোমার রব কে? তোমার নবি কে? তোমার ধর্ম কী?’
তখন যদি বলেন, আমি বাঙালি, আমার ধর্ম হাজার বছর ধরে আসা বাঙ্গালিপনা, তাহলে কি আযাবের ফেরেস্তারা আপনাকে ছাড়বে?
একজন মুসলিমের ফার্স্ট আইডেন্টিটি হলো, তার ধর্মীয় পরিচয়। কারণ মুসলিম শব্দের অর্থ হলো আত্মসমর্পণকারী, একজন মুসলিম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার নিয়মের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে।
আমরা জন্মসূত্রে বাংলাদেশী, ভাষা সূত্রে নিজেকে বাঙালি বলি, তাতে তো কোনো সমস্যা নাই। এই পরিচয় দুনিয়ায় আমরা দিতেই পারি। কিন্তু বাংগালিয়ানা প্রকাশ করতে গিয়ে যেন আমরা আমাদের মুসলিম আইডেন্টিটিকে ত্যাগ না করি।
আজ পহেলা বৈশাখ। একে অপরকে শুভেচ্ছা জানানো, মঙ্গল কামনা করে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা, এসবই ইসলাম ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক।
কোন শোভা যাত্রার মাধ্যমে কখনো কোন মঙ্গল আসে না । মঙ্গল অমঙ্গল সবকিছুই আল্লাহর হাতে।
আল্লাহ তায়লা বলেন,"মনে রেখো ,আল্লাহর কাছেই তাদের অশুভ আলামতসমূহের চাবিকাঠি। কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোকই তা বঝেনা।" (সুরা- আরাফ-১৩১)
যেহেতু মঙ্গল অমঙ্গল আল্লাহর হাতে তাই একমাত্র আল্লাহই আমাদেরকে অমঙ্গল থেকে রক্ষা করতে পারেন। অন্য কেউ নেই যে আমাদেরকে অমঙ্গলের হাত থেকে বাঁচাবে।
মঙ্গল যাত্রা অংশ গ্রহনের মাধ্যমে আপনি এটি স্বীকার করছেন যে, এই মঙ্গল শোভা যাত্রা আপনার ও দেশের মঙ্গল বয়ে আনবে। আর এটি হবে প্রকাশ্য শিরক।
আচ্ছা, ঠিক আছে, মঙ্গল শোভাযাত্রা করবো না, কিন্তু ঘরে উদযাপন করতে তো সমস্যা নাই? এই উসিলায় আত্মীয়স্বজনদের খোঁজও নেওয়া হলো আবার নববর্ষের উইশও করা হলো!
হ্যাঁ, আপত্তি আছে। দুই ঈদ ছাড়া আমাদের আর কোনো দিবস উদযাপনের নিয়ম নাই। তাই আমরা এটাকে সাধারণ ছুটির দিনের মতোই কাটাবো।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতের পর মদীনা শরীফ গিয়ে ঐ এলাকাবাসীর দুটি উৎসব বন্ধ করে দিয়েছিলেন। একটি হচ্ছে, বছরের প্রথম দিন উদযাপন বা নওরোজ; অন্যটির নাম ছিলো ‘মিহিরজান’। এ উৎসবের দুটির বিপরীতে চালু হয় মুসলমানদের দুই ঈদ।
মূলত: নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন পালন করার রীতি ইসলামে নেই, এটা পার্সী মজুসীদের (অগ্নিউপাসক) অনুকরণ।
এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে: “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদের দলভুক্ত।”
তাই যে কোন নওরোজ সেটা থার্টি ফাস্ট নাইট হোক, পহেলা নববর্ষ হোক কিংবা পহেলা মুহররম হোক, বিজাতীয় রীতি হিসেবে প্রত্যেকটি ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আমাদের জীবন যাপনে, পোশাকে, ব্যবহারে, কথায় কি আমাদের ধর্মীয় পরিচয় প্রকাশ পায়? যদি না পায় তবে নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করতে হবে। এই রমাদান হোক খোলস ছেড়ে পরিপূর্ণ মুসলিম হবার মাস!
বৈশাখ নাকি রমাদান?
-Dr Umme Bushra Mam.