“বশীকরণ” তাবিজ
"হুজুর! বউকে নিয়ে আর পারছি না।
এতো যন্ত্রণা সহ্য হচ্ছে না।❗আমার নাই নাই,
আর ওর চাই চাই। দয়া করে একটা “বশীকরণ” তাবিজ দেন।
- এতো তাড়াতাড়ি অসহ্য হয়ে গেলে! তা “নাই নাই” যখন, বিয়েটা করেছিলে কেন
-আমি তো Early Marriage এর পক্ষেই ছিলাম না। কিন্তু ফ্যামিলি চলছিল না, তাই সবাই বিয়ে করিয়ে দিলেন।
-ভাল কথা। এতে টেনশনের কী আছে! সহনীয় পর্যায়ে না থাকলে বিচ্ছেদের পথ তো দেশে আছে, ধর্মেও আছে।
-হুজুর, এখানেই তো মেইন সমস্যা। মোহরানা পঁচিশ লক্ষ টাকা। তালাক দিতে গেলে এতো টাকা যোগাতে কিডনি বিক্রি করতে হবে। না হলে কবে যে চুকে ফেলতাম। জানেন তো, “নারী নির্যাতনের আইন”র কী অবস্থা।
-হুম; বাচ্চাকাচ্চা কয়জন?
-কী যে বলেন, হুজুর! এই চাকরি করে এখনো বউয়ের আকাঙ্ক্ষা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছি, আর সন্তান! বাচ্চার খাওয়া পরার জন্য থালা নিয়ে পথে বসতে হবে। প্লিজ, এগুলো বাদ দিয়ে পারলে একটা তাবিজ দেন।
-দেখো, বৎস। তুমি দাম্পত্যজীবনের শুরু করেছো শয়তানের হাত ধরে। আর এখনো চলছো তার দেখানো পথে। তাবিজ-দোয়া করে কোনো লাভ নেই।❗
-বুঝলাম না! একটু যদি খুলে বলতেন?
-তুমি প্রথমতঃ বিয়ের করেছ ফ্যামিলি চলার জন্য। অর্থাৎ, একজন ঘরের গৃহিণী আনা হয়েছে, বরের বধূ আনা হয় নি। বিয়েকে নিজের জন্য সুন্নাহ কিংবা ফরয মনে করে করো নি। অথচ তোমার উচিত ছিল, নিজের প্রয়োজনে বিয়ে করা।
দ্বিতীয়তঃ মোহরানা দিতে হয় বিয়ে করলে,
তালাক দিলে নয়- এটা তুমি জানোই না, দেবে কী করে। তাই মোহরানার ভয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছো। অথচ তোমার উচিত ছিল, সামর্থ্য অনুযায়ী মোহরানা ধার্য্য করা।
তৃতীয়তঃ এখনো তোমার রিযক বিষয়ে ঈমানই ঠিক হয় নি। তুমি খাওয়ানোর ভয়ে পরিবার পরিকল্পনা করছো! অথচ তোমার বিশ্বাস করা উচিত যে, তোমাকে যিনি খাওয়াচ্ছেন, তিনিই সন্তানকে খাওয়াবেন।
-ইয়া আল্লাহ! তাহলে এখন উপায় নেই?
-উপায় একটাই। প্রথমে আক্বিদা ঠিক করো, নিয়ত ঠিক কর। অতঃপর আল্লাহর কাছে দোয়া কর, ইনশাআল্লাহ শান্তি আসবে।
বেশি করে পড়বা:
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
(“হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।”)
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
- ©ফাহিম বদরুল হাসান
[আল্লাহ্ তা'আলা! হযরতকে উত্তম বিনিময় দান করুন]