Friday, May 14, 2021

বিয়ের পূর্বে পাত্রকে যেসব ব্যাপারে প্রশ্ন করা যায়ঃ

বিয়ের পূর্বে পাত্রকে যেসব ব্যাপারে প্রশ্ন করা যায়

 

 

 

০১.টাখনুর উপরে প্যান্ট বা দাঁড়ি।

০২.ফরজ স্বলাতের ব্যাপারে।

০৩.পর্দার ব্যাপারে।

০৪.অন্যান্য ফরজিয়্যতের ব্যাপারে।

০৫. প্রচলিত গণতান্ত্রিক দলসমূহের নেতা বা কর্মী কিনা? খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এটি।

সেক্যুলারিজমে বিশ্বাসী কেউই মুসলিম নয়। আমভাবে কাফের। 

রাজনৈতিক প্রশ্ন মনে হলেও আমাদের ভাবা উচিত এটা আমাদের আক্বীদার সাথে রিলেটেড।

 

০৬.আক্বীদার ব্যাপারেঃ

যেসব প্রশ্ন করা যায়ঃ

০১.তাওহীদের ব্যাপারে আপনার ধারণা কী?

০২.মাজারপূজার সাথে লিপ্ত কিনা?

০৩.কুফরি গণতন্ত্র পছন্দ করে কিনা?

০৪.আল ওয়ালা ওয়াল বারার ব্যাপারে কি জানেন

 


 

 

০৫.শির্ক সম্বন্ধে জানেন কিনা? জানলেও কোন কোন ব্যাপার শির্কের আওতাভুক্ত।

০৬.বিদাত সম্বন্ধে আপনার মতামত জানতে চাই।

০৭. জিহাদের মানহাজ সম্বন্ধে আপনার মত কি?বর্তমান যুগে কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ বা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ এর গুরুত্ব কতটুকু?

এছাড়া আরো করা যায় ।সেজন্য আপনাকে আগে জ্ঞান অর্জন করতে হবে অন্তত মৌলিক বিষয়ে।

০৭. খেয়াল রাখুন কোন হারাম চাকুরিতে আছে কিনাঃ

যেমন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চাকুরি।সুদী ব্যাংকের চাকুরি(উত্তম হয় ব্যাংকে চাকুরিজীবিদের  এঁড়িয়ে গেলেই রিস্ক না নিয়ে।)।হারাম যেকোন ব্যবসায়ে লিপ্ত কিনা।মুদীর দোকানী হলে তাতে সিগারেট বা হারাম কিছু বিক্রি করলে সেটিও হারামের আওতাভুক্ত ইত্যাদি।

এছাড়া আরো কিছু ব্যাপারে আপনি প্রশ্ন করতে পারেন।

একজন মেয়ের পূর্ণাঙ্গ হক্ব রয়েছে একজন পাত্রকে দ্বীনের ব্যাপারে প্রশ্ন করা এতে যদি পাত্র বিরক্ত হয় তবে তাকে নিয়ে ভেবে দেখা প্রয়োজন ।অন্তত মৌলিক বিষয়ে বা আক্বীদার ব্যাপারে ছাড় দেয়া যাবে না।

কঠিন ব্যাপার মনে হলেও,কখনো ছাড় দিবেন না এসব ব্যাপারে।তাই পাত্র দেখার পুর্বে আপনিও এ ব্যাপারে জ্ঞানার্জন করুন। মনে রাখবেন ,আপনার দৃষ্টিতে বিয়ে  দেরিতে হওয়া উত্তম ভ্রান্ত কারো কথিত দ্বীনদারের স্ত্রী হওয়ার চেয়েও।আপনারাই হবেন উম্মতের দিশারীদের জননী ইনশা আল্লাহ।

আর ভাইদের উচিত আক্বীদার ব্যাপারে বিশুদ্ধ ও সালফে স্বলেহীনদের মানহাজ অনুসরণ করা......

 

বিঃদ্রঃ

০১.এটা পাত্র কেন্দ্রিক পোষ্ট হওয়ায় এতে পাত্রীর বিষয়াদী তুলে ধরা হয় নি ।

০২.পাত্রী রিলেটেড প্রশ্নাবলী ভিন্ন পোষ্টে বলা হয়েছে।

 

আক্বীদা বিষয়ক যেসব বই পড়া যেতে পারেঃ

০১.তাওহীদের মূলনীতি-আহমাদ মুসা জিব্রীল;              

০২.সভ্যতা বিনির্মাণে আক্বীদা-ড.আব্দুল্লাহ আযযাম                

০৩.শরহু আক্বীদা আল ওয়াসেতীয়া                                           

এছাড়া আরো অনেক আছে আমার মনে হয় ১,২ নং টা মোটামোটিভাবে সহজে বুঝতে পারবেন ইনশা আল্লাহ

 

 

চার ধরণের রুকইয়াহ

 

চার ধরণের রুকইয়াহ

-----------------
[ক]
শাইখ খালিদ হিবশি হাফিযাহুল্লাহু বলেছেন, রুকইয়াহ ৪ প্রকার-
১. রুকইয়াহ শারইয়াহ
২. রুকইয়াতুল মুবাহাহ
৩. রুকইয়াতুল মাকরূহা
৪. রুকইয়াতুল মুহাররামা
- মিনাসসাতুয যাদি, রুকইয়াহ শারইয়াহ; আহকাম ওয়া তাওজিহাত কোর্স, অধ্যায় ১, পর্ব ৭
 
--------------------
[খ]
সংক্ষিপ্ত পরিচয়-
১. রুকইয়াতুশ শারইয়াহ
- রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা জিবরীল আলাইহিস সালাম থেকে বর্ণিত দোয়া ইত্যাদি দ্বারা রুকইয়াহ করা। (রুকইয়াহ বইয়ে আমরা যেটাকে মাসনুন বলেছি)
 
২. রুকইয়াতুল মুবাহাহ (জায়েজ রুকইয়াহ)
- উলামায়ে কিরামের বর্ণিত সেই ৪ শর্ত অনুযায়ী বৈধ রুকইয়াহ। সিহরের আয়াত, নজরের আয়াত, শিফার আয়াত- এমন বিভিন্ন ক্যাটাগরির আয়াত তিলাওয়াত করে রুকইয়াহ করাও এর মাঝে অন্তর্ভুক্ত।
 
৩. রুকইয়াতুল মাকরূহাহ (অপছন্দিয় বা মাকরুহ রুকইয়াহ)
- জাদুকর তান্ত্রিকদের সাথে, কিংবা কাফির এক্সোরসিস্টদের ঝাড়ফুঁকের সাথে যেসব ঝাড়ফুঁকের কার্যাবলি সাদৃশ্য রাখে, অথবা যেসব রুকইয়ার মাঝে উদ্ভট কার্যাবলী সম্পৃক্ত থাকে। 
 
৪. রুকইয়াতুল মুহাররামাহ (নিষিদ্ধ বা হারাম রুকইয়াহ)
- অন্যান্য হারাম-কুফর-শিরক মিশ্রিত নিষিদ্ধ রুকইয়াহ।
 
[গ]
আমাদের করণীয়: আমরা চেষ্টা করব রুকইয়াহ শারইয়াহ অর্থাৎ মাসনুন রুকইয়ার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকতে। অপারগ হলে বা বিশেষ প্রয়োজনে জায়েজ রুকইয়াও অনুসরণ করব। কিন্তু এরচেয়ে নিচে কখনওই নামবো না। যারা অপছন্দনিয় বা নিষিদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করবে, প্রোমোট করবে, বৈধ এবং অবৈধ রুকইয়ার মিশ্রণ ঘটাবে। তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখবো। এমন কোন কাজ করব না, যাতে তাদের প্রচার-প্রসার ঘটে।
.
উল্লেখ্য, ইসলাম কিউএর মত মিনাসসাতুয যাদি-ও একটি অসাধারণ ওয়েবসাইট। যেখানে শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহু তা’আলা ওয়া ফাক্কাল্লাহু আসরাহু) প্রধান দিক নির্দেশক ছিলেন। এখানে আরবি ভাষায় দ্বীনি ইলমের বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন শাইখের উন্মুক্ত-অবমুক্ত কোর্স রয়েছে।