Friday, May 14, 2021

বিবাহ পড়ানোর পদ্ধতি

 

বিয়ে একটি সহজ কাজ,আমরাই একে কঠিন করেছি।

 

বিবাহ পড়ানোর পদ্ধতি

 

বিবাহ মজলিস অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই মহর নির্ধারিত হয়ে যাবে। মেয়ের অভিভাবক মেয়ের নিকট থেকে আগেই দুই বিষয়ের অনুমতি নিয়ে রাখবে। প্রথমতঃ প্রস্তাবিত ছেলের সঙ্গে মেয়ে বিবাহে সম্মত আছে কিনা দ্বিতীয়তঃ উক্ত অভিভাবক মেয়ের উকিল হিসেবে বিয়ের মজলিসে ছেলের নিকট মেয়ের পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব দিবেন। অতঃপর বিবাহের মজলিসে যদি সম্ভব হয় তাহলে মেয়ের পিতা বা ভাই বা অভিভাবক নিজেই খুতবা পড়ে মেয়ের উকিল হিসেবে ছেলেকে প্রস্তাব দেবেন। আর মেয়ের পিতা যদি খুতবা পড়তে না পারেন তাহলে ছেলের পিতা বা অন্য কোন আলেম সাহেব বিবাহের খুতবা পড়বেন। খুতবার পরে মেয়ের অভিভাবক নিজে ছেলের কাছে প্রস্তাব দেবেন যে, আমি আমার অমুক মেয়েকে এত টাকা দেন মোহরের বদলে তোমার নিকট বিবাহ দিচ্ছি বা বিবাহ দিলাম। তখন ছেলে বলবে আমি কবুল করলাম। ঈজাব এবং কবুল একবার বলাই যথেষ্ট। অনেক স্থানে তিনবার বলানো হয়। এর কোন প্রয়োজন নেই। আর যদি এমন হয় যে, মেয়ের অভিভাবক নিজে ছেলেকে প্রস্তাব দিতে পারেন না, তাহলে যিনি খুতবা পড়াবেন মেয়ের পক্ষ থেকে তাকেই অনুমতি দিয়ে দেবেন যে, আপনি আমার অমুক মেয়ের বিবাহ এত টাকা মোহরের বিনিময়ে এই ছেলের সাথে করিয়ে দিন। সেক্ষেত্রে আলেম সাহেব আগে খুতবা পড়বেন তারপরে মেয়ের উকিল হিসাবে ছেলের নিকট প্রস্তাব করবেন যে, আমি এত টাকা মহরের বিনিময়ে অমুকের অমুক মেয়ের বিবাহ আপনার সাথে দিচ্ছি - আপনি রাজি আছেন বা কবুল করলেন? ছেলে স্পষ্ট আওয়াজে বলবে যে, আমি কবুল করলাম। তার এই কবুল বলাটা যেন কমপক্ষে দুইজন স্বাক্ষী শুনতে পান সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। ছেলে কবুল বলার পরে উপস্থিত সকলে তাদেরকে হাদীসে বর্ণিত দুআ দিবেন। বারাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বারাকাল্লাহু আলাইকা ওয়া জামা বাইনাকুমা ফী খাইর।

 

অনেক জায়গায় বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পরে ছেলে উঠে দাঁড়িয়ে উপস্থিত সকলকে সালাম করে। এর কোন প্রয়োজন নেই। এভাবে বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পরে হাজেরীনদের মধ্যে খুরমা বণ্টন করে দেয়া হবে। অতঃপর দুআ ও মুনাজাতের মাধ্যমে মজলিশ শেষ করা ভাল।

বিবাহ

 

 

বিবাহ! ---

====================================

অবিবাহিত ছেলে-মেয়েদের জানা প্রয়োজন। বিয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ের সুন্নত সমূহ"

-বিয়ের সুন্নত গুলো

-শাওয়াল মাসে বিয়ে করা যায়, এটি সুন্নাহ এমনটা বলা উচিৎ নয়

-জুম'অার দিন (শুক্রবার) বিয়ে করা সুন্নত।

-মসজিদে বিয়ে করা সুন্নত।

-বিয়ের অাগে বিয়ের কথা ঘোষনা দেওয়া সুন্নত।

-বিয়ের শেষে তাবারুক বিশেষ করে খেজুর সবার মাঝে সিটিয়ে দেওয়া সুন্নত।

-বিয়ের অাগে মেয়ে দেখা সুন্নত। তবে শুধু মুখ দেখা ও হাতের পাতা,(বিস্তারিত কমেন্ট এ) 

 

-মোহর/দেনমোহরের টাকা বিয়ের অাগে নির্ধারন করে নেওয়া সুন্নত।

-মোহরের টাকা যথাসম্ভব কম ধরা (যাতে করে সহজে মোহরের টাকা স্ত্রীকে পরিশোধ করা যায়) সুন্নত।

-বিয়ের প্রথম রাত অর্থ্যাৎ বাসর রাত শাওয়াল মাসে হওয়া সুন্নত।

-বাসর ঘরে প্রথমে স্বামী ঢুকা পরে স্ত্রী ঢুকা এবং স্ত্রীকে সাথে করে কেউ নিয়ে যাওয়া সুন্নত।

-বাসর ঘরে ঢুকে প্রথমে ২ রাকাত নামায পড়া এবং স্ত্রীও স্বামীর পিছনে ২ রাকাত নামায পড়া সুন্নত।

-২ রাকাত নামাযের পর স্ত্রীর কপালের চুল ডান হাত দিয়ে ধরে চেহারার দিকে তাকিয়ে একটি দোয়া পড়া সুন্নত।

 

কেমন মেয়ে হওয়া দরকার- মেয়েকে সবার অাগে নামাযী, পর্দানশীন, দ্বীনদার, পরহেজগার কিনা এটা দেখা তারপর সুন্দর্য, বংশ, সম্পদশালী কিনা ইত্যাদি। তবে নামাযী, পর্দানশীন, দ্বীনদার, পরহেজগার স্ত্রীকেই প্রাধান্য দেওয়া।

 

কেমন ছেলে হওয়া দরকার- ছেলে নামাযী, দ্বীনদার, পরহেজগার, চরিত্রবান, সৎ এবং দানশীল হওয়া।

 

মহান অাল্লাহ পাক অামাদের সবাইকে (অবিবাহিতদের) রসূলে পাক (সাঃ) এর সুন্নতের উপর অামল করে বিবাহ করার তৌফিক দান করুন ।

 

অামিন