Thursday, June 24, 2021

৭৯. বাংলাদেশে নতুন 'বাল্য বিবাহ আইন' এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন (যা অনেকের অজানা) Marriage education series

 May be an image of text

বাংলাদেশে নতুন 'বাল্য বিবাহ আইন' এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন (যা অনেকের অজানা)
▬▬▬◍❂◍▬▬▬
২০১৭ সালের ২৪শে নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনটিকে বিলুপ্ত করে “বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭” অনুমোদিত হয়।
বাল্য বিবাহ আইন ২০১৭ এবং তার দুটি বৈশিষ্ট্য:
 
১) নতুন আইনটির বৈশিষ্ট্য হল পূর্বে বলবত থাকা ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে ছেলেদের বিবাহের বয়স ছিল ২২ বছর এবং মেয়েদের বয়স ছিল ১৮ বছর। বর্তমান আইনে মেয়েদের বিবাহের বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং ছেলেদের বিবাহের বয়স সর্বনিম্ন ২২ এর স্থলে ২১ বছর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
 
২) বর্তমান বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল আইনটির ১৯ ধারায় বলা হয়েছে যে “এই আইনে অন্যান্য বিধানে যা কিছুই বলা থাকুক না কেন বিধি দ্বারা নির্ধারিত বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং পিতামাতা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ ক্রমে বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীনে অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।
 
bdlaws.minlaw.Gov.bd
 
[বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ /২০১৭ সনের ৬ নং আইন)]
 
২য় বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এডভোকেট আব্দুস সালাম প্রধান বলেন, নতুন “বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭” বাংলাদেশে বলবত হওয়ার ফলে ইসলামি আইনে বাল্যবিবাহ আইনের সাথে বর্তমান আইনের অসংগতি দূরীভূত হয়েছে।" [dailysangram]
 
অর্থাৎ বিশেষ ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ এর আগে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ এর আগে বিয়ে হওয়া অপরাধ নয়।
 
সুতরাং বিশেষ পরিস্থিতিতে কোন অভিভাবক কোন আইন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শক্রমে বাল্যবিবাহ আইনকে লঙ্ঘন না করেও ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ এর আগে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ এর আগে বিয়ে দিতে পারে। এ আইনটি আমাদের অনেকের নিকট অজানা।
▬▬▬◍❂◍▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

 

৭৮. মসজিদে বিয়ের আকদ সম্পন্ন করার বিধান Marriage education series

 

মসজিদে বিয়ের আকদ সম্পন্ন করার বিধান
▬▬▬❖✪❖▬▬▬
প্রশ্ন : মসজিদে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার নিয়ম কি?পাত্রীকে কি মসজিদে উপস্থিত থাকতে হবে?
মসজিদে বিবাহের সুন্নতি পদ্ধতি জানিয়ে উপকৃত করবেন।
উত্তর :
শরীয়ত বিরোধী গর্হিত কার্যক্রম সংঘটিত না হলে প্রয়োজনে মসজিদে বিয়ের আকদ সম্পন্ন হওয়া জায়েজ রয়েছে। কিন্তু মসজিদে বিয়ের আকদ সম্পন্ন হওয়া সুন্নত বা মুস্তাহাব’ এ কথা সঠিক নয়। যদিও অনেক আলেম তা বলেছেন। কিন্তু কোন সহীহ দলীল দ্বারা এটা প্রমাণিত নয়। কেউ যদি সব সময় নিয়ম করে বিয়ের আকদ মসজিদের মধ্যে করে তবে তা বিদআতে পরিণত হবে। আর যদি মসজিদে গান-বাজনা বা বেপর্দা নারী-পুরুষের সমাবেশ ঘটে তাহলে তা হবে শক্ত হারাম কাজ।
উল্লেখ্য যে, মসজিদে বিয়ে সম্পন্ন করার নির্দেশ জানিয়ে নিম্নোক্ত বর্ণিত হাদিসটি যঈফ। أعلنوا هذا النكاح واجعلوه في المساجد واضربوا عليه بالدفوف
তিরমিযী উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করার পর নিজেই বলেছেন যে, এটি যঈফ বা দুর্বল। ইবনে হাজার এবং আলবানী এটিকে যঈফ বলেছেন।
হাদিসে মসজিদে বেচা-কেনা করা নিষেধ কিন্তু বিয়ে বেচাকেনা নয়। তাই মৌলিকভাবে মসজিদে বিবাহ সম্পন্ন করা বৈধ হলেও এটিকে সুন্নত বা মুস্তাহাব বলে নিয়মিতভাবে করা বিদআত। (আল্লামা বিন বায রহ. আল্লামা উসাইমীন রহ. প্রমুখ আলেমদের এর ফতোয়ার সারসংক্ষেপ)
বি:দ্র: মসজিদে আকদ করার ক্ষেত্রে পাত্রীকে মসজিদে অবস্থান করা জরুরি নয়। প্রয়োজনে থাকতে পারে যদি পরপুরুষদের থেকে আলাদাভাবে পর্দার অন্তরালে থাকে। আল্লাহু আলাম।
••••••••••••••••••••
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, ksa