Monday, July 5, 2021

লেখক কর্তৃক প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে বই উৎসর্গ করার বিধান

 May be an image of text that says 'প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে বই উৎসর্গ করার বিধান'

 

লেখক কর্তৃক প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে বই উৎসর্গ করার বিধান
প্রশ্ন: লেখক কর্তৃক প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে বই উৎসর্গ [Dedication] করার বিধান কি?
উত্তর:
অনেক লেখক তাদের বইয়ের শুরুতে লিখে যে, "এই বইটি উৎসর্গ করা হল, অমুকের করকমলে বা অমুকের উদ্দেশ্যে..."। কেউ উৎসর্গ করে পিতা-মাতার উদ্দেশ্যে, কেউ কোনো বিখ্যাত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে, কেউ তার স্ত্রী বা প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে আবার কেউ বা তার আদরের সন্তানদের উদ্দেশ্যে। এটাকে আরবিতে বলা হয়, الإهداء (আল ইহদা)। অর্থ: হাদিয়া/উপহার প্রদান।
এ পদ্ধতিটি পূর্বে যুগের মুসলিম লেখকদের মাঝে দেখা না গেলেও আধুনিক যুগের অনেক লেখককেই এমনিট করতে দেখা যায়। চাই সে ইসলামি লেখক হোক অথবা সাধারণ লেখক হোক।
আধুনিক যুগের লেখকগণ একাধিক উদ্দেশ্য এমনটি করে থাকে। কারও উদ্দেশ্য থাকে তার প্রিয়জনকে খুশি করা। কারও উদ্দেশ্য থাকে বিশেষ কোনও ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ বা সুদৃষ্টি লাভ করা। আবার কারও উদ্দেশ্য থাকে, তার মৃত বাবা, মা, শিক্ষক, গুরুজন অথবা অন্য কোনও প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে এর সওয়াব পৌঁছানো (ঈসালে সওয়াব/সওয়াব রেসানি) করা।
এ বিষয়ে নিম্নে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ও এ ইসলামের বিধান আলোচনা করা হল:
যারা তাদের বইকে কারো নামে উৎসর্গ করে তাদের উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে তার বিধান প্রযোজ্য হবে। নিম্নে এর তিনটি রূপ ও সেগুলোর বিধান উল্লেখ করা হল:
◈ ১) যদি দ্বীন বিষয়ক কোন বই কে লেখক তার মৃত মা-বাবা, শিক্ষক অথবা অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে উৎসর্গ করে আর এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য হয় যে, এর সওয়াব যেন সে ব্যক্তি কবরে থেকে লাভ করে তাহলে তার শরিয়ত সম্মত নয়। এটা মূলত বেদাতি ''ইসালে সওয়াব' এর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং তা নাজায়েজ।
আরও পড়ুন:
প্রশ্ন: ইসালে সওয়াব করা কি শরিয়ত সম্মত?
 
ইসালে সওয়াব বলতে বুঝায়, কোনও নেক আমল করার পর এর সওয়াব মৃত ব্যক্তিকে দান করা বা তার কবরে সওয়াব পৌঁছানো। এটিকে সওয়াব রেসানিও বলা হয়।
ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি হল, ইবাদত হল তওফিফিয়া বা কুরআন-সন্নাহর দলিলের উপর নির্ভরশীল। অত:এব একজন ইমানদারের কর্তব্য, দলিলের অনুসরণ করা; নতুন উদ্ভাবন করা নয়।
সুতরাং হাদিসে মৃত ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের যেসকল করণীয় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে আমরা শুধু সেগুলোই করব। নিজেদের পক্ষ থেকে যা ইচ্ছা তাই করব না।
মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে দুআ করা, দান-সদকা করা, তার পক্ষ থেকে বদলি হজ্জ-উমরা আদায় করা ইত্যাদি দলিল দ্বারা সাব্যস্ত। সুতরাং এগুলো সর্বসম্মতিক্রমে জায়েজ। কিন্তু কুরআন খতম, শবিনাখানি, কুলখানি, ফাতিহাখানি, মিলাদ মাহফিল, সালাত আদায় ইত্যাদি করার পর ইসালে সওয়াব বা মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে সওয়াব দান করার সমর্থনে যেহেতু কোনও দলিল নাই তাই নির্ভরযোগ্য অভিমত অনুযায়ী সেগুলো করাও শরিয়ত সম্মত নয়।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,
لم يكن من عادة السلف إهداء ذلك إلى موتى المسلمين ، بل كانوا يدعون لهم ، فلا ينبغي الخروج عنهم
“মৃত মুসলিমদের প্রতি সওয়াব দান করা আমাদের সালাফ তথা পূর্ববর্তী মনিষীদের নিয়ম ছিল না বরং তাঁরা মৃতদের জন্য দুআ করতেন। অতএব, তাদের এ নিয়মের বাইরে যাওয়া আমাদের সমীচীন নয়…।” (মাওয়াহিবিল জালীল শারহু মুখতাসিল খালীল ৩/৫২০)
‘মুয়াফাকাত’ কিতাবে আল্লামা আবু ইসহাক রহ. [নাম: ইবরাহীম বিন মুসা আবু ইসহাক আশ শাত্বেবী-গ্রানাডা। জন্ম: ৭২০ হিজরি। তার রচিত অন্যতম গ্রন্থ হল, আল মুয়াফাকাত ফী উসূলিশ শারীয়াহ।] অত্যন্ত সুন্দর কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ইসালে সওয়াব তিনটি কারণে জায়েজ নয়। যথা:
◉ এক. ইসলামে সম্পদ দান করা বৈধ প্রমাণিত; সওয়াব দান করা প্রমাণিত নয়। সুতরাং সওয়াব দানের ব্যাপারে যেহেতু কোন প্রমাণ নেই তাই তাকে বৈধ বলাও অন্যায়।
◉ দুই. যে কোন আমলের পুরস্কার বা শাস্তি ইসলামে নির্ধারণ করা রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদান পাওয়া কাজের উপর নির্ভরশীল। মানুষ যেমন কাজ করবে তেমন প্রতিদান লাভ করবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
“তাদের কর্ম অনুপাতে তাদের জন্যে রয়েছে প্রতিদান।” [সূরা সাজদাহঃ ১৭]
সুতরাং এ ক্ষেত্রে কারো এখতিয়ার নেই যে, ইচ্ছা করলেই নিজের আমলের প্রতিদান আরেকজনকে দান করে দিবে।
◉ তিন. সওয়াব মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ। এ ব্যাপারে আমল কারীর হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই। অতএব, নিজের আমলের সওয়াব অন্য কাউকে দান করার অধিকারও তার নেই।
কিছু মানুষ ইসালে সওয়াবের প্রমাণ হিসেবে বদলী হজ্জ, বদলী রোযা এবং দান-সদকা করার হাদিসগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে থাকে অথচ বদলী এবং ইসালে সওয়াব এর মাঝে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। যেমন:
বদলীর ক্ষেত্রে একজনের দায়িত্ব আরেকজন পালন করে থাকে। যেমন: বদলী হজ্জ করার সময় বলা হয় “লাব্বাইকা আন ফুলান” (হে আল্লাহ,আমি অমুকের পক্ষ থেকে হাজির) অথবা মনে মনে নিয়ত করা হয়, আমি অমুক ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ্জ পালন করছি। কিন্তু ইসালে সওয়াব বা সওয়াব দানের ক্ষেত্রে নিজের পক্ষ থেকে হজ্জ সম্পাদন করে সে বলে, হে আল্লাহ,আমার এ হজ্জের সওয়াব অমুক ব্যক্তিকে দিয়ে দাও।
প্রথম পদ্ধতি অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ্জ-উমরা আদায় করা, দান-সদকা করা ইত্যাদি কুরআন-হাদিস দ্বারা দৃঢ়ভাবে প্রমাণিত। কিন্তু দ্বিতীয় পদ্ধতিটি অর্থাৎ নিজ আমলের সওয়াব মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে দান করা প্রকৃত বিদআত যেমনটি বলেছেন ইসমাইল শহীদ রহ.।
মাওলানা ইসমাইল শহীদ রহ. ‘ঈযাহুল হক’ কিতাবে লিখেছেন, “জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে সওয়াব বখশীয়ে দেয়া প্রকৃত বিদআত। পক্ষান্তরে আর্থিক ইবাদত (হজ্জ, উমরা, দান-সদকা ইত্যাদি) ক্ষেত্রে বদলী নিযুক্ত করা বৈধ।” [ উৎস: কুরআন খানী আওর ঈসালে সওয়াব-মুখতার আহমদ নদভী-অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল]
তবে মৃত ব্যক্তিদের প্রতি জীবিতদের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। সেগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হল:
🔹 ১) তার জন্য দুয়া করা।
🔹 ২) তার পক্ষ থেকে দান-সদকা করা।
🔹 ৩) তার পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ বা উমরা আদায় করা।
🔹 ৪) তার মানতের রোযা বাকি থাকা অবস্থায় কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার পক্ষ থেকে তা পালন করা। আর রমাযানের রোযা বাকি থাকলে প্রত্যেক রোযার বিনিময়ে একজন মিসকিনকে খাদ্য প্রদান করা।
🔹 ৫) সে যদি ঋণ রেখে মারা যায় অথবা কোন সম্পত্তি ওয়াকফ বা ওসিয়ত করে যায় তবে তা প্রাপকের কাছে বুঝিয়ে দেয়া।
 
 
 
◈ ২. আর যদি কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি, নেতা, মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান ইত্যাদি ব্যক্তির নামে উৎসর্গ করা দ্বারা উদ্দেশ্য হয় তার সুদৃষ্টি অর্জন বা কিছু দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিল তাহলেও তা অনুচিত। এইভাবে চাটুকারিতার মাধ্যমে টাকা পয়সা বা দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করা কোনো ব্যক্তিত্ববান লেখকে জন্য উচিত নয়। বিশেষ করে কোন দীনী কাজকে এই উপলক্ষ বানানো খুবই গর্হিত অপছন্দনীয় কাজ।
◈ ৩. কিন্তু যদি লেখকের উদ্দেশ্য হয়, তার কোন প্রিয় বা শ্রদ্ধা ভাজন ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ তাহলেও তা অনুচিত। কারণ এই পদ্ধতিটি মূলত অমুসলিমদের থেকে এসেছে। আমাদের সালাফ বা পূর্বসূরিগণ কখনো এমনটি করে নি। সুতরাং এটি অমুসলিমদের সংস্কৃতি অনুসরণের নামান্তর।
❑ সঠিক পদ্ধতি:
কেউ যদি বইয়ের মাধ্যমে বিশেষ কারো প্রতি ভালোবাসা বা সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করতে চায় তাহলে বইয়ের ভূমিকা বা অন্য কোথাও উদ্দিষ্ট ব্যক্তির প্রতি স্পষ্ট ভাবে তার ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে পারে বা তার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতে পারে। কিন্তু উৎসর্গ করার এই পদ্ধতিটি কোন ইসলামি সংস্কৃতি নয়। বরং তা এসেছে পাশ্চাত্য বা অমুসলিমদের সংস্কৃতি থেকে। মুসলিমদের জন্য এই পদ্ধতি পরিহার করাই অপরিহার্য।
আর যে সকল বইয়ছ এমন উৎসর্গ করার বিষয়টি আছে পাঠকদের জন্য তা পড়া অবৈধ নয় যদি বইয়ের বিষয়বস্তু কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক বা মানুষের জন্য উপকারী হয়। কারণ পাঠক বইয়ে থাকা উপকারী জ্ঞান অর্জন করবে। আর উৎসর্গ করার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ লেখক এর উপর বর্তাবে; পাঠকের উপরে নয়। আল্লাহু আলাম।
▬▬▬◆◯◆▬▬▬
লেখক:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব

 

সন্তান লালন পালনের সঠিক পদ্ধতিঃ how to raise children

 

সন্তান লালন পালনের সঠিক পদ্ধতিঃ
 
★স্ত্রী হিসেবে পুণ্যবতী স্ত্রী চয়ন করা।
★আল্লাহর নিকট নেক সন্তানের জন্য দোয়া করা।
★সন্তান লালন-পালনে আল্লাহর নিকট সাহায্য চাওয়া।
★ সন্তানের জন্য দোয়া করা এবং বদ দোয়া করা থেকে বিরত থাকা।
★সুন্দর নাম এবং উপনাম ব্যবহার করা।
★ তাদের অন্তরে ঈমান, সঠিক আক্বীদা এবং উত্তম চরিত্র গেঁথে দেয়া।
★ তাদেরকে মন্দ চরিত্র থেকে দূরে রাখা।
★তাদেরকে শরয়ী আযকার এর মাধ্যমে ( বিশেষ করে ছোটদেরকে) সুরক্ষিত করা।
★ আল্লাহর কুরআন মুখস্থের ব্যপারে তাদেরকে উৎসাহিত করা।
★ তাদের প্রতিভা বিকাশে যেটা তাদের জন্য প্রযোজ্য, সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দেয়া।
★ ঘর থেকে চরিত্র বিধ্বংসী সামগ্রী দূর করে তার পরিবর্তে উপকারী কিছু রাখা।
★অতিরিক্ত সাজসজ্জা এবং চলমান চরিত্র বিধ্বংসী বস্তু থেকে বিরত রাখা, সাহসিকতা এবং সাদাসিধে জীবনে অভ্যস্ত করা।
★ অযথা কথা বলা, অতিরিক্ত ঘুমান এবং অনর্থক মানুষের সাথে মেলামেশা থেকে বিরত রাখা।
★ ছোট থেকেই মসজিদে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা। বড় হলে তাদেরকে মসজিদে নিয়ে যাওয়া।
★ তারবিয়তের ব্যাপারে আদর্শ অনুসরণ করা, কথার বরখেলাফ হওয়া থেকে বিরত থাকা।
★ তাদেরকে কথা বলার শালীনতা শেখাতে হবে। নির্লজ্জতা ও অসামঞ্জস্য কথা বলা থেকে দূরে রাখা।
★ তাদের সাথে পরামর্শ করা, বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে তাদেরকে অভ্যস্ত করা। সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া।
★ তাদের মেজাজ বুঝে তাদের সাথে আচরণ করা।
★ তাদের বয়স অনুপাতে তাদের সাথে ব্যবহার করা।
★ তাদের সাথে বসা, তাদের মধ্যে ইনসাফ করা এবং তাদের সহানুভূতি বা আকর্ষণকে মূল্যায়ন করা।
★ উত্তমভাবে তাদের প্রতি খরচ করা।
★ মনযোগ সহকারে তাদের কথা শোনা।
★ নিয়মিত তাদের খোঁজখবর নেয়া।
★ সন্তানের সৎসংগীদের মর্যাদা দেয়া। সন্তানকে খারাপ সংগ থেকে দূরে রাখা।
★ সন্তানের ভুলগুলো বড় করে না দেখা।
★ ভুল করলে তাদেরকে সংশোধনের সূযোগ দেয়া।
★ প্রয়োজন অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা।
★তাদের জন্য উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা। তাদের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা।
★ তাদের মান অনুযায়ী ঘরে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা এবং তাদের উপযুক্ত করে মজলিসের ব্যবস্থা করা।
★ মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া। মাহরাম ব্যতীত একাকী ঘরের বাইরে যাইতে না দেয়া।
★ মেয়েরা ছেলেদের মতো, ছেলেরা মেয়েদের মতো করে চলবে না। সবাইকে কাফিরদের সাদৃশ্য হয়ে চলতে নিষেধ করবে।
★দ্বীনদার, চরিত্রবান বিয়ের প্রস্তাব এলে, মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করা। আর ছেলেরা প্রাপ্তবয়স্ক হলে যোগ্যতা, সামর্থ্য বিবেচনা করে বিয়ের ব্যবস্থা করা।
★ সন্তানের সংশোধনের ব্যাপারে হতাশ না হওয়া। দ্রুত ফলাফল পাওয়া থেকে বিরত থাকা।
★ ভালো কাজে সন্তানকে সহযোগিতা করা। উৎসাহিত করা ও তাদেরকে পুরস্কৃত করা।
★তারবিয়ত সম্পর্কে যাদের অভিজ্ঞতা আছে তাদের সাথে পরামর্শ করা। এ বিষয়ে লিখিত ভালো বই অধ্যয়ন করা।
★ তারবিয়তের ফজিলত জানা এবং তারবিয়ত না থাকলে এর পরিণাম সম্পর্কে ধারণা রাখা।
★মোটকথা একজন পিতা তার সন্তানের দ্বীন এবং দুনিয়ার উপকারে যা করণীয় তাই করবে। আর যা তাদের জন্য ক্ষতিকর তা প্রতিহত করবে।
আল্লাহ তা'য়ালা সবাইকে নেক সন্তান দান করুন। সন্তানদেরকেও নেক সন্তান হিসেবে কবুল করুন। আমীন।
মুহাম্মদ ইউসুফ।