Monday, May 22, 2023

একটি গল্প

রুয়েটের গল্প, আমাদের পরিচিত ক'জন ভাইদের সাথে এক উইমেন পড়তো।
 প্রথম বর্ষে সে এসেছিল বাবার সাথে। বাবা সম্ভবতঃ কোনো মসজিদের ইমাম সাহেব। মুখভর্তি দাড়ি, লম্বা লিবাস। মেয়ের অবস্থাও তেমনই, পূর্ণ বোরখা, নিকাব, হাতমোজা পরা দ্বীনি বইনের মত। 
ওদিকে ওই ভাইদের দ্বীনের বুঝ ছিল না তেমন, নামাজ-কালাম পড়তো, এতটুকুই। আস্তে আস্তে উনারা তাবলিগি ও সালাফি কিছু ভাইদের সাথে মিশলেন, আলেমদের নসিহত শুনলেন, দ্বীন মানার আগ্রহ হল, ধীরে ধীরে দাড়ি-টুপি ধরলেন।
কিন্তু ওই মেয়েটার অবস্থা হইলো কি জানেন? দুইবছরের মধ্যেই নিকাব উড়ে গেল, এরপর হিজাবও। পরে ফ্রিমিক্সিং, স্মোকিং সব মিলিয়ে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা হয়ে গেল, আর কিছুদিন পর দেখা যেত রুয়েটের শহীদ মিনারে ছেলেদের সাথে গাঞ্জা খেয়ে টাল হয়ে পড়ে আছে। আর গ্র‍্যাজুয়েশন হতে হতে সে অলমোস্ট নাস্তিক হয়ে গেল।
-
অনেকে বুঝতে চাননা, কেনো আলেমরা ভার্সিটির দুষিত পরিবেশে নারীদের পাঠানোর ব্যাপারে কড়াকড়ি করে। ভালো জিনিস দ্বারা নারীরা সহজেই প্রভাবিত হয়, কিন্তু খারাপ ও প্রবৃত্তিকে উস্কে দেয়া জিনিসে খুব দ্রুত ফেঁসে যায়।
আফসোস লাগে, আবার মনে হয় হুদাই কাদের জন্য চিন্তা করবো, এরাই তো নামে বেনামে গালি দিবে। নারীবিদ্বেষী ট্যাগ দিবে।
--
মুসলিমদের প্যারেন্টিং দিনদিন অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ভার্সিটি কলেজ তো দূরের কথা, আপনার ছেলে বা মেয়েকে যদি দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসাতেও ভর্তি করেন তবুও তার ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।

- Abdullah Almahmud 

Sunday, May 21, 2023

যে সমস্ত যুবক অবিবাহিত থাকে তারা তিন প্রকার রোগে আক্রান্ত হয়ঃ

যে সমস্ত যুবক অবিবাহিত থাকে তারা তিন প্রকার রোগে আক্রান্ত হয়ঃ


১) বীর্যবন্ধক রোগ — 

বীর্য বহুদিন পর্যন্ত আবদ্ধ থাকলে, তার বিষক্রিয়া মস্তিষ্ক পর্যন্ত উঠে।
মুহাম্মদ ইবনে যাকারিয়া (রাযী.) বলেন— আমি এমন এক সম্প্রদায়কে জানি যারা বীর্যবান ছিল। তারা দার্শনিক হয়ে সহবাস বাদ দেওয়ায় তাদের দেহ শুকিয়ে যায় এবং হজমে গোলমাল দেখা দেয়। সহবাস করে না আমি এমন এক ব্যক্তিকে দেখেছি যে তার পানাহারের কোন ইচ্ছা ছিল না। জোর যবরদস্তী খেয়ে বসলেও সামান্য কিছু খেয়ে উঠে যেত এবং যা খেত তাও বমি করে ফেলে দিত অথবা হজম হত না। তাকে স্ত্রী সহবাস করার উপদেশ দেওয়া হল। কয়েক দিনের মধ্যেই তার অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে উঠল।

২) যে বিষয় হতে বিরত থাকা পরিশেষে সেই বিষয়েই
মাত্রাধিক আসক্তি — 

সূফীদের অনেকেই বিবাহ করা হতে বিরত ছিল। পরে বিবাহ করে মাত্রাধিক সহবাস করার ফলে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা দুনিয়া হতে যত পলায়ন করেছিল তার চেয়ে অধিক আসক্ত হয়ে পড়েছিল।

৩) যুবকদের সহচর্যে থাকে —

অর্থাৎ এরা বিবাহ করে না ফলে তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে যে— আত্মসংরক্ষণ করতে না পেরে দাঁড়ি মোঁচবিহীন ছেলেদের সাথে কুকর্ম করিয়া দ্বীন-দুনিয়া উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে।

বইঃ তালবীসে ইবলিস (শয়তানের ধোঁকা), আল্লামা ইবনুল জাওযি (রহ.), পৃষ্ঠা ১৯৬, দারুল আরকাম 

কপি