ইমাম নববি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, তাওবা যথাযথ হওয়ার জন্য তিনটি বিষয়ের উপস্থিতি আবশ্যক।
এক. উক্ত গুনাহ থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসা। অর্থাৎ যদি এমন হয় যে, কোনো ব্যক্তি বেগানা নারীর দিকে তাকানো থেকে তাওবা করছে, অথচ তার মোবাইলে তখনো বেগানা নারীর ছবি বিদ্যমান, তাহলে তার এই তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না, যতক্ষণ না সে ওই ছবি তার ফোন থেকে মুছে দেয়।
দুই. কৃত গুনাহের জন্য আন্তরিকভাবে লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। অতএব কেউ যদি গুনাহের প্রতি ঘৃণাবোধ না করে এবং এর জন্য অনুতপ্ত না হয়; বরং মনে মনে বলে, তাওবা করলাম আর সব মাফ হয়ে গেল, মাঝখানে গুনাহ করার যে আনন্দটা পেলাম সেটাই লাভ, তাহলে তার তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। বরং তাওবার সময় গুনাহের প্রতি অন্তর থেকে ঘৃণা আসতে হবে এবং অনুতপ্ত হতে হবে যে, কেন এই গুনাহে লিপ্ত হলাম, কেন সতর্ক থাকলাম না।
তিন. দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে, ভবিষ্যতে আর কখনো এই গুনাহে লিপ্ত হব না। কেউ যদি মনে করে, এখন তাওবা করে নিই, পরে আবার করব, তারপর আবার তাওবা করব এবং এভাবেই চালিয়ে যাব, তাহলে তার তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। বরং নিয়ত করতে হবে, চিরদিনের জন্য এই গুনাহ থেকে তাওবা করলাম। আর কখনো এমন করব না।
-মুখতাসারু রিয়াজিস সালিহিন, পৃষ্ঠা- ২১,২২