Friday, November 17, 2023

কি কি দুআ করবো?

কি কি দুআ করবো? 

চাওয়ার কোনো শেষ নেই! যত বেশী চাইবেন আল্লাহর কাছে আল্লাহ্‌ আপনার প্রতি ততো বেশী খুশী হবেন ইনশাআল্লাহ। যে আল্লাহর কাছে চায় না; আল্লাহ্‌ তার প্রতি নারাজ হন। যা কিছু চাওয়ার শুধু আল্লাহর কাছে চাইবেন, বেশী বেশী দুআ করবেন, শুয়ে বসে, হেঁটে হেঁটে, যেকোনো সময় যেকোনোভাবে আপনি দোয়া করতে পারবেন। 

এমন নয় যে শুধু সালাতেই দোয়া করা যায়। আপনি যেকোনো সময় হাত তুলে কিংবা না তুলে মনে মনে আল্লাহ্কে ডাকতে পারেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ সর্বশ্রোতা।
যে-সব দুআর কথা আমার মনে পড়েছে সেসব উল্লেখ করলাম। আপনারা চাইলে আরোও অনেক বিষয়ে দুআ করতে পারেন। যখন যা কিছু প্রয়োজন শুধু চাইতেই থাকুন। আল্লাহ্‌ কখনো বিরক্ত হয় না বান্দার ডাকে; বরং খুব বেশিই খুশি হন। 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
"তোমরা তোমাদের সকল প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে চাইবে, এমনকি যদি জুতার ফিতাও ছিঁড়ে যায়, তাও একমাত্র তাঁর কাছেই চাইবে, এমনকি লবণও তাঁর কাছে চাইবে।"
(সুনানে তিরমিযী ৩৯৭৩, সহিহ ইবনু হিব্বান ১৪৮) 

দুআর লিস্ট - 

১। অতীতের সকল গুনাহ মাফের জন্য দোয়া।
২। কবিরা, সগিরা গুনাহ মাফের দোয়া।
৩। সকল কল্যাণের দোয়া।
৪। ইমান বৃদ্ধির দোয়া।
৫। নিয়ামাহ স্থায়ী হওয়ার দোয়া।
৬। সকল অকল্যাণ হতে বাঁচার দোয়া।
৭। দ্বীনের ওপর অটল থাকার দোয়া।
৮। কঠিন রোগব্যাধি হতে বাঁচার দোয়া।
৯। আসমান, জমিনের সকল বালা, মুসিবত,পেরেশানি হতে বাঁচার দোয়া।
১০। বদনজর হতে বাঁচার দোয়া।
১১। উপকারী ইলম, গ্রহণযোগ্য আমলের দোয়া।
১২। ঋণ হতে বাঁচার দোয়া
১৩। অহংকার, শিরক, বিদআত হতে বাঁচার দোয়া।
১৪। আল্লাহ্‌ ও তার প্রিয়জনদের ভালোবাসা লাভের দোয়া।
১৫। দুশ্চরিত্র হতে বাঁচার দোয়া।
১৬। উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার দোয়া।
১৭। পরিবারের সকলের সুস্থতা ও হেদায়াতের জন্য দোয়া।
১৮। আমল বৃদ্ধির জন্য দোয়া।
১৯। শত্রুর অনিষ্ট হতে বাঁচার দোয়া।
২০। সময়ে বারাকাহ পাওয়ার জন্য দোয়া।
২১। মুসলিম মজলুম ভাইবোনদের জন্য দোয়া।
২২। মৃত ব্যক্তিদের জন্য দোয়া।
২৩। নিজের ও অন্যদের হেদায়াতের জন্য দোয়া।
২৪। অনিচ্ছাকৃতভাবে গিবত হয়ে গেলে/কারোর হক নষ্ট করে থাকলে/কাউকে গালি দিয়ে থাকলে তাদের জন্য দোয়া।
২৫। প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনদের জন্য দোয়া।
২৬। কবরের আজাব হতে বাঁচার দোয়া।
২৭। দাজ্জালের ফিতনা হতে বাঁচার দোয়া।
২৮। দুনিয়ার সকল ফিতনা হতে বাঁচার দোয়া।
২৯। সম্পদের খারাবি ও অভাব অনটন হতে রক্ষার জন্য দোয়া।
৩০। জান্নাত লাভের জন্য দোয়া।
৩১। জাহান্নাম হতে রক্ষা পাওয়ার দোয়া।
৩২। গুনাহ থেকে দূরে থাকার জন্য দোয়া।
৩৩ ।আল্লাহর অনুগত বান্দা হওয়ার দোয়া।
৩৪। মুনাফিকী হতে বাঁচার দোয়া।
৩৫। হারাম থেকে বাঁচার জন্য দোয়া।
৩৬। সহজ ও হালাল উপার্জনের জন্য দোয়া।
৩৭। সকল মুসলিম উম্মাহের জন্য দোয়া।
৩৮। যারা দোয়া চেয়েছে তাদের জন্য দোয়া।
৩৯। জালিম শাসকের অনিষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া।
৪০। জালিম শাসকের হেদায়াত/ধ্বংসের দোয়া।
৪১। ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দোয়া।
৪২। কাফিরদের অনিষ্ট হতে রক্ষা পাওয়ার দোয়া।
৪৩। সকল বদ অভ্যাস হতে বাঁচার দোয়া।
৪৪। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শাফায়াত লাভের জন্য দোয়া।
৪৫। ব্যবহার সুন্দর হওয়ার জন্য দোয়া।
৪৬। শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া।
৪৭। জ্বীন ও মানুষ শয়তানের অনিষ্ট হতে বাঁচার দোয়া।
৪৮। কঠিন পরিস্থিতি হতে বাঁচার দোয়া।
৪৯। অনাকাঙ্ক্ষিত সকল দুর্যোগ হতে বাঁচার দোয়া।
৫০। ইমানের সহিত মৃত্যুবরণ করার দোয়া।



Saturday, November 11, 2023

সংসার

একটা প্যাটার্ন লক্ষ্য করি

লিবারেল আইডিওলজির লোকেরা আপনাদেরকে কি কি মেসেজ দিচ্ছে?

১. ছেলে মেয়ে একসাথে মিশতেই পারে, গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড কালচার থাকতেই পারে-ওপেন/ফ্রি মিক্সিং কোনো খারাপ কিছু না। যারা আপত্তি জানায়, তাদের মানসিকতা ভালো না। মানসিকতা ভালো হলে এসবে কারো সমস্যা হয় না।

খেয়াল করেন, স্বয়ং আল্লাহ কিংবা তাঁর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই ব্যাপারগুলোকে আয়াত বা হাদিসের মাধ্যমে নিষেধ করে গেছেন/দিয়েছেন সেই কাজগুলোকে মেনে নিতে পারা কে এরা বলছে ভালো মানসিকতা, আর মেনে না নিলে বলছে মানসিকতা খারাপ। কেউ কেউ এসবের বিরুদ্ধে যারা বলে তাদেরকে সেক্সুয়ালি ফ্রাস্টেটেড বলে গালিও দেয়।
কিন্তু এখানে অপোজিশনের যায়গাটা দেখেন।

স্বয়ং আল্লাহ নিজে যেটাকে মানা করেছেন, সেটাকে মেনে নেওয়াকে এরা ভালো মানসিকতার বলছে!

এমনকি আজ থেকে ৩০ বছর আগেও জাস্ট বাংলাদেশের সমাজে এগুলোকে মানুষ বাজে চোখে দেখতো- খারাপ ভাবে নিতো, ধর্মীয় যায়গার কথা নাই বা বললাম। তাদের হাজার বছর ধরে যেই সংস্কৃতি মডেস্টির সংজ্ঞা দিয়েছে- সেটাকে কি এরা খারাপ মানসিকতার বলছে? 

হাজার বছরের সংস্কৃতির কথা তুলে পহেলা নববর্ষ যারা পালন করছে, তারাই এই যায়গায় বিরোধীতা করছে!

সিলেক্টিভ অপোজিশন এবং ভাষার ব্যবহার টা খেয়াল করি! 

আসলে যেই ব্যাপারটাই মানুষের জন্য লজ্জাজনক- সেটাকে এরা ভালো মানসিকতার সাথে মিলাচ্ছে!

২. এরা আপনাদেরকে এই মেসেজ দেয় যে- বিয়ের আগে সম্মতি থাকলে ছেলে মেয়ে এক সাথে থাকতে পারবে, বিছানায় যাবে, এগুলা নিয়ে বিয়ের সময় অন্য কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না, জানলে মেনে নিতে হবে- এগুলাই ভালো মানসিকতার পরিচায়ক! যারা আপত্তি করে- এদের মানসিকতা ভালো না!

ওয়েট, হোয়াট!

সমগ্র বিশ্বে হাজার বছরের ইতিহাসে জিনা ব্যভিচার একটা লজ্জাজনক ন্যাক্কার জনক কাজ হিসেবে বলা যায় সকল সমাজে স্বীকৃত ছিলো! কেউ ব্যভিচার করলে পুরো পরিবার/গোত্রের ইজ্জতহানি হতো- এমনকি এখনকার দিনেও তাই! কিন্ত এই ব্যাপারটাকে মেনে নেওয়াকে ভালো মানসিকতা এবং মেনে না নেওয়াকে গোড়ামি, নষ্ট মানসিকতার বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সম্মান, ডিগনিটি আসলে কিসে? একজন ব্যক্তির চরিত্র - তার ডিগ্নিটির পরিচায়ক। এই মৌলিক যায়গায় তারা আঘাত হেনে পুরো সামাজিক ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলতে চাইছে। কেন? 

আমরা লেজ কাটা শেয়ালের গল্প পড়েছিলাম। একবার ভাবুন তো- এরা কি সেই লেজ কাটা শেয়াল না?

নিজেকে দুইটা প্রশ্ন করুন-

বিয়ের ব্যাপারটা রেস্পন্সিবিলিটির। তাই তো? যেই মানুষ যত বেশি রেস্পন্সিবল- তার সম্মান ঠিক ততটাই বেশি নয় কি?

অন্যদিকে যেই ব্যক্তির কোনো রেস্পন্সিবিলিটি নেই- তার অবস্থা টা কেমন?

যেই পুরুষ এক বা একাধিক মেয়ের সাথে বিয়ের পূর্বেই ব্যভিচারে লিপ্ত হচ্ছে- একদিকে সে চরম অপরাধী, অন্যদিকে সে ইররেস্পন্সিবল নয় কি? সে বিয়ে করে দায়িত্ব নিয়ে চায় না, তবে ভোগ করতে চায়।

একই সাথে যেই মেয়ে এতে লিপ্ত হচ্ছে, তার সেল্ফ রেস্পেক্ট আসলে কতটুক থাকে? নিজের আব্রুকে যে ধরে রাখতে পারে না- তার সেল্ফ রেস্পেক্ট কি থাকে?

কিন্তু নিজেদের হায়া লজ্জা আত্নসম্মান নেই বলে অন্যদেরকেও তাদের এই নোংরামো কে মেনে নিতে বাধ্য করা- এটাকি লেজ কাটা শেয়ালের গল্পের মডার্ন ভার্শন হয়ে যায় না?

আল্লাহদ্রোহীতা হয় না? এরা তো আল্লাহর আয়াতের বিরুদ্ধে কথা বলছে!

এর উপর আরেক সোসাইটির জন্ম হয়েছে যেখানে নারীরা এক ডিলিউশনাল স্টেট এ বাস করে। এরা এমন টা চায় যে-

মেয়ে কোনো সংসারের কোনো দায়িত্বই নিবে না, কাজ নিবে না, শুধু বসে বসে আরাম করবে, মনে যা চায় তাই করবে। ব্যাসিক কথা- এটা হলো ইররেস্পন্সিবল এটিচুড। তার এমন কর্মকাণ্ড সবাইকে মেনে নিতে হবে। সে যা চাইবে সবাই তাই সমর্থন করতে বাধ্য থাকবে। কেউ সামান্যতম বিরোধীতা করলেই সেটা টক্সিক! 

who is the real toxic person here?

কোনো সংসার আজকাল যেন টেকেই না! এসবের পেছনে এমন এবসার্ড ভিউপয়েন্টও বড় কারণ।

কেবলমাত্র সেল্ফ রেস্পেক্ট নাই- রেস্পন্সিবিলিটি নাই- এমন মানুষেরাই এদের আইডিওলজিকে গ্রহণ করতে পারে।