ঘরে তালিম চালু করার পদ্ধতি:
ঘরে দ্বীনী পরিবেশ কায়েমের জন্য তালিম চালু করা সবচেয়ে কার্যকরী পন্থা। অসংখ্য কারগুজারি রয়েছে এ ব্যাপারে। তালিম চালু করার জন্য জরুরি হলো, কোনো আলেমের সাথে পরামর্শ করা। তাঁর কাছে ঘরের পরিবেশ ও সবার মনের অবস্থা বিস্তারিত আকারে বলা। এতে তিনি পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে পরামর্শ দিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
কিতাব নির্বাচন:
এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আলেমদের সাথে পরামর্শ করা চাই।
ফাযায়েলে আমল কিতাবের তালিমের কথা আমি জোর দিয়েই বলব। কারণ চোখের সামনে অসংখ্য পরিরবার দেখেছি এই কিতাবের তালিমের দ্বারা দ্বীনের পথে ফিরে এসেছেন। কট্টর দ্বীন-বিরোধী পরিবারও পাক্কা ধার্মিক পরিবার হয়ে উঠেছেন। অসংখ্য ব্যক্তির হেদায়াতের মাধ্যম এই মাকবুল গ্রন্থটি। তাহকীক-তাখরীজকৃত নুসখা পড়তে চাইলে দারুল ফিকর থেকে প্রকাশিত নুসখাটি সংগ্রহ করতে পারেন। চলিত ভাষায় অনুবাদটি সবার বোঝার জন্যও সহজ হবে ইনশাআল্লাহ।
এই কিতাব ছাড়াও আরও কিছু কিতাব তালিম করতে পারেন, রিয়াযুস সালিহীনও হতে পারে এ ক্ষেত্রে উত্তম বাছাই। সাথে পরামর্শ করে অন্য বিষয়ের কোনো বইও রাখতে পারেন।
তালিমের সময়:
প্রথম দিকে অল্প সময় তালিম করতে পারেন। ৫/১০ মিনিটের তালিম প্রথম দিকে যথেষ্ট। তবে এটা চালু রাখতে হবে। কষ্ট হলেও নিয়মিত এই কাজ চালু রাখা চাই। এ জন্য এমন সময় নির্ধারণ করতে হবে, যখন ঘরের সবাইকে মোটামুটি একসাথে পাওয়া যাবে। এশার পর হতে পারে উত্তম সময়। প্রথম দিকে কাউকে জোরাজুরি করার দরকার নেই, আপনি নিজেই মাঝের রুমে বসে কিতাব খুলে একটু জোরে পড়া শুরু করে দিলেন। ঘরের সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। আপনার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের কানে কথাগুলো যাবে। এরপর দুয়েকজন করে বসা শুরু করবেন, বা পাশে দাঁড়িয়ে বলবেন, হাদীসটা আবার পড় তো! ভালো লেগেছে কথাটা। এভাবেই দেখবেন একদিন ভরপুর তালিমের মজমা কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।
আপনি অন্তত ৬ মাস এই কাজ চালু রাখেন, এরপর ফলাফল আপনি নিজেই দেখবেন ইনশাআল্লাহ।
এরপর ঈমান-আমলের আলোচনা কীভাবে করবেন এ ব্যাপারেও লিখব ইনশাআল্লাহ।
From ustaz Tanjil Arefin Adnan (hafiz.)