Wednesday, May 8, 2013

ট্রাক ড্রাইভার [Ghost Stories-45]



ঘটনাটি এক ট্রাক ড্রাইভারের। 
সে একবার ঢাকা থেকে গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম আসছিল । চট্টগ্রাম এর কাছাকাছি সীতাকুণ্ড
নামক এলাকায় আসতে আসতে রাত ১১/১২ বেজে যায়তার সাথে তার হেল্পার ছিল । এর মধ্যে সে একটি চা এর দোকান দেখে সেখানে চা খেতে নামে । চা খাওয়ার এক পর্যায়ে সে (ড্রাইভার)  বলে যেতার একটু টয়লেটে যেতে হবে। তখন সে চা দোকানদার কে জিজ্ঞেস করে আশেপাশে কোথাও টয়লেট আছে কি না।দোকানদার তার দোকানের পিছনে দেখিয়ে বলে যে একটু ভেতরে একটি পুরান টয়লেট আছে। তারা ওটাই ব্যাবহার করে। তবে সে ওই ড্রাইভার
কে সাথে কেউ একজনকে নিয়ে যেতে বলল । বলে রাখা ভাল', টয়লেট টা যেখানে ছিল সে জায়গাটা একটু জঙ্গল টাইপের ছিল । চা এর দোকানে কয়েকজন লোক ছিল তাই সে (ড্রাইভার)একটু সাহস দেখিয়ে বলল কাউকে লাগবে না সেএকাই যেতে পারবে । তো লোকটি জঙ্গলের ভিতরে গেলো এবং টয়লেট খুঁজতে লাগলো। কিছুক্ষণ খোঁজার পর
যখন  পেলনা , আর দেখল যেজঙ্গলে কেউ নেই তখন সে একটি গাছেরআড়ালে বসে পড়লো । তার প্রয়োজন শেষ হওয়ার পর সে যখন দোকানের দিকে আসছে , তখন সে হটাৎকরে দেখতে পেল একটা জায়গায় দুটি ছোট মেয়ে বসে বসে কি যেন করছে। সে একটু ভয়পেয়ে যায় এটা দেখে । কিন্তু তারপরও সে মেয়ে দুটির কাছে যায় আর বলে ‘‘এই
তোমরা এত রাতে এখানে কি কর’’ এই কথা বলার কিছুক্ষণ পর মেয়ে দুটি একসাথে তার দিকে তাকায় এবং তার (ড্রাইভার)মতে সে দেখল যে মেয়ে দুটির মুখমণ্ডল একদম ফ্যাঁকাসে আর তাদের চোখ গুলোছিল অস্বাভাবিকভাবে বড়
এবং মুখে ছোপ ছোপ রক্ত লেগে আছেযেন তারা কিছু একটা এতক্ষন খাচ্ছিল!! 

এই দৃশ্য দেখার পর সেআর এক মুহূর্ত দেরি না করে চিৎকার দিয়ে দৌড়াতে আরম্ভ করে । সে প্রানপনেদৌড়ে যাচ্ছে কিন্তু তার কাছে মনে হচ্ছিলো যেন সে একই জায়গায় বৃত্তাকারে দৌড়ে যাচ্ছে । কিছুক্ষন পর সে এবং দিক ঠিক করার জন্য আশেপাশে তাকায় । হটাৎ সে দেখল যে সেই মেয়েদুটি তার দিকে দৌড়ে দৌড়ে আসছে তাদের মুখে এখনো রক্ত মাখা, সে দৌড়াতে আর চিৎকার করতে থাকে কিন্তু সে কিছুক্ষন পরে অনুভব করে কে যেন তার পা আগলে ধরেছে! তাকিয়ে দেখে যেতাকে ওই মেয়ে দুটো তাকে ধরে ফেলেছে! সে আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারল না । অতিরিক্ত ভয়ের কারনে অজ্ঞান হয়ে পরে যায় সে যখন চোখ খুলে তখন সে নিজেকে আবিষ্কার করে চায়ের দোকানটাতে বেঞ্চিতে শোয়া অবস্থায়  এবং তার চারপাশে কিছু মানুষ তাকে দেখছে । সে একটু সুস্থ হয় এবং উঠে বসে । তারপর তার হেল্পার তাকে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে সে সব ঘটনা খুলে বলে । সব শুনে তার হেল্পার এবং দোকানদার বলে যে তুমি যাওয়ার অনেকক্ষণ পরও যখন দেখলাম তুমি আসছ না তখন ভাবলাম যে তোমার চাপ হয়তো বেশী তাই দেরি হচ্ছে । কিন্তু কিছুক্ষন পর  শুনলাম কে যেন জঙ্গলের ভেতর দৌরাচ্ছে । তো কিছুক্ষন পর আমরা কয়েকজন ভেতরে যাই এবং তোমাকে টয়লেট হতে অনেক দূরে পরে থাকা অবস্তায় পাই । কিন্তু তোমার চিৎকারের আওয়াজ আমরা কেউ শুনিনি ।সব শোনার পর দোকানদার বলে যে এই জন্য আমি তোমাকে সাথে করে কাউকে নিয়ে
কিন্তু তুমি শুননি । এখানে অনেকে অনেক কিছু দেখে আমরা দিনের বেলাই ওখানে যেতে ভয় পাই আর তুমি রাতেরবেলা ওখানে গেছো । তারপর একসময় সকাল হয় তারা ওই দোকানেই বসে থাকে সকাল হওয়ার পর তারা জঙ্গলের ভেতর ওই জায়গাটাতে যায় যেখানে সে (ড্রাইভার) দেখেছিল মেয়ে দুটি কে, তারা সেখানে যাওয়ার পর তারা দেখে যে সেখানে একটি আধা খ বিচ্ছিন্ন বিড়ালের মত কিছু একটা পরে আছে । তারপর তারা গাড়ি নিয়ে সে স্থান ত্যাগ করে ।

।। ভয়ঙ্কর রাত ।। [Ghost Stories-44]



।। ভয়ঙ্কর রাত ।।



ঘটনাটা আমি যখন দশম শ্রেণীতে পড়ি তখনকার।। আমি ঢাকায় একটা রেসিডেণ্ট স্কুলে পরতাম তখন।। 

গ্রীষ্মের ছুটিতে দেশের বাড়িতে বেড়াতে গেছি।। জায়গাটা ময়মনসিংহে।। আমি যেইদিন বাসায় পৌঁছলাম তার কয়েকদিন পরের ঘটনা।। আমাদের এলাকায় হাফিয নামের একজন লোক থাকতেন।। লোকটা ছিল খুবই বদমেজাজি আর রাগী।। সবার সাথেই তার ঝগড়া লেগে থাকতো।। এমনকি নিজের ভাইয়ের সাথেও জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে অনেকদিন যাবত তার ঝগড়া লেগে ছিল।। হয়তো এতো শত্রু থাকার কারনেই কে বা কারা তাকে একরাতে বাজার থেকে আসার সময় তাকে নেরে ফেলে।। গ্রাম অঞ্ছলের খুন।। তাই পুলিশ এসে লাশটাকে পোস্ট মরটেম এর জন্য লাশ
কাঁটা ঘরে পাঠাতে চাইলো।। রাস্তা ভয়াবহ খারাপ থাকায় কোনও গাড়ি পাওয়া গেলো না।। 

শেষমেশ এক ভ্যান গাড়ি চালককে তারা রাজি করাতে পা নিয়ে যাবার জন্য।। ভ্যান চালক ছিল জুয়ান তাগড়া মানুষ
তাই ভয়ভিতি তেমন একটা ছিল না।। লাশকাটা ঘরটা মোটামুটি ভালোই দূরে আর যাওয়ার পথে রাস্তায় একটা জঙ্গলের মত জায়গা পরে।। লাশ নিয়ে পরিবারের লোকদের কান্নাকাটিবিলাপের কারনে রউনা হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গেল;  অনেকেই লাশ এতো রাতে নিয়ে যেতে না করলেও ভ্যান চালক পাত্তা দিল না।। নিজের সাহস দেখানোর জন্য তখনই রউনা হল সে।। বলা বাহুল্যএতো রাতে তার সাথে যাওয়ার মত তেমন কেউ উপস্থিত ছিল না।। তাই সে একাই রউনা হয় লাশ নিয়ে।। 

গল্পের বাকি অংশটুকু ভ্যান চালকের মুখ থেকে শোনা।।

 তার জবানবন্দিতে যা শুনতে পারলাম তা নিজের ভাষায় লিখতে চেষ্টা করছি।।

নুরু ভাই(ভ্যান চালক) রউনা হবার ৩০ মিনিটের মধ্যে অন্ধকার হয়ে গেলো।। তখন তিনি একটা হারিকেন জ্বালিয়ে সেটা ভ্যান এর নিচে ঝুলিয়ে দিলেন।। যারা গ্রামে গঞ্জে গেছেন তারা হয়তো বা দেখেছেন।। যারা শহরে থাকেন তারা তো প্রায় কিছুই দেখেন নাহ।। যাক গিয়ে, মূল ঘটনায় ফিরে আসি।। সেদিন পূর্ণিমা রাত ছিল।। তাই রাস্তা একদম ফকফকে দেখা যাচ্ছিল।। তো, সেই জঙ্গলের পাশাপাশি আসা মাত্রই নাকি বাতাসে নাকি অন্য কোনও উপায়ে কে জানেহারিকেন তা নিভে গেলো।। নুরু ভাই ভ্যান  থেকে নেমে আবারো হারিকেন জালানর চেষ্টা করলো।। কিন্তু জোর বাতাস বার বার ম্যাচের কাঠি নিভিয়ে দিচ্ছিল।। যখন নুরু ভাই ম্যাচের কাঠি জালানর চেষ্টা করছিলেনতখন হটাত উনার মনে হল লাশটা যেনও খানিকটা নড়ে উঠলো।। গ্রাম্য আর কুসংস্কার আক্রান্ত হলেও নুরু ভাই ছিলেন বিরাট সাহসী লোক।। তাই তিনি মনকে সান্ত্বনা দিলেন যে, ও কিছু না।। শুধুই মনের ভুল।। কিন্তু তবুও তার মনের মধ্যে একটা খটকা রয়ে গেলো।। হারিকেনটা শেষ পর্যন্ত জালাতে না পেরে হাল ছেড়ে দিলেন তিনি।। ভাবলেন, চাঁদের আলোতেই কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন।। রাস্তাঘাট চাঁদের আলোতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে তাহলে আর বাড়তি আলোর দরকার কি।। ভ্যান চালিয়ে কিছুদুর যাওয়ার পর হটাত উনার খটকা লাগলো।। পিছনে লাশটার নড়াচড়ার আওয়াজ পাওয়া গেলো যেনও।। মনে হলে পাশ ফিরে শুল।। নুরু ভাই পাত্তা না দিয়ে ব্যান চালাতে লাগলো।। বাইরে যতই সাহসীর ভাব দেখানআসলে ভেতরে ভেতরে তখন ঠিকই ভয় ঢুকে গেছে।। আর কিছুদূর যাওয়ার পর তার মনে হল লাশটা যেনও উঠে বসেছে আর কষ্ট করে টেনে টেনে শ্বাস নেয়া শুরু করেছে।। তিনি সাথে সাথে পেছনে তাকিয়ে দে এবার আর ভুল নয়।। আসলেই লাশটা উঠে বসেছে।। লাশের উপর থেকে কাপড়টা সরে গেছে।। চাঁদের আলোয়
পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে মুখখানি।। চোখের জায়গাটায় বড় গর্ত।। আর মুখটা যেনও কেউ এসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে।।
ওটা দেখে নুরু ভাই ভয়ে কাপাকাপি শুরু করে দিল।। ভ্যান থেকে নেমে যেই দৌড় দিতে যাবে অমনি দেখল লাশটা সামনের রাস্তায় পরে আছে।। আড়াআড়ি ভাবে, পথ আটকে।। এটা দেখে পিছনে তাকিয়ে সে দেখল লাশটা ভ্যান নেই।। উনি আর সহ্য করতে পারলেন না।। ভয়ে দিক্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে দৌড় মারলেন।। কোন দিকে যাচ্ছেন তাতে তার কোনও হুশ নেই।। কেবলি মনে হতে লাগলোপেছনে কে যেনও দৌড়ে আসছে।। সে দৌড়ের স্পীড বাড়িয়ে দিল।। এভাবে কিছুক্ষণ ছোটার পর সে দূরে কিছু আলো দেখে সেদিকে রুদ্রশাসে দৌড়াতে আলোটা আসছিলো একটা বাড়ি থেকে।। নুরু ভাই দৌড়ে গিয়ে একটা বাড়ির  দরজায় ধাক্কা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন।। শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন বের হয়ে এলে নুরুকে অচেতন অবস্থায় পায়।। সেবা যত্ন করার পর নুরু ভাইয়ের জ্ঞান ফিরে।। তার মুখে ঘটনার বিস্তারিত শুনে বাড়ির জউয়ানরা মিলে বের হয় লাথি সোটা হাতে।। কিন্তু নুরু ভাইয়ের দেখানো মত জায়গায়
গিয়ে কিছুই দেখতে পেলো না।। শুধু দেখা গেলো, যেই জায়গায় নুরু ভাই লাশটাকে শুয়ে থাকতে দেখেছিল, সে জায়গাটা কেমন যেনও উঁচু হয়ে আছে।। আমি নিজেওপরে জায়গাটা দেখেছিলাম।। অনেকটা স্পীদ ব্রেকারের মত।। গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারত কিন্তু  আরেকটু ঘটনা বাকি রয়ে যায়।। এর পরেরবার যখন আমি বাসায় যাই তখন শুনি যে, রাস্তার মাঝে উঁচু জায়গা থাকায় সমস্যা হচ্ছিল।। তাই রাস্তা কেটে জায়গাটা সমান করে দেয়া হয়।। কিন্তু, এর পরদিনই আবার জায়গাটা উঁচু হয়ে যায়।। আবারো গ্রামবাসী মিলে জায়গাটা কে করে দেয়।। কিন্তু
কিছুদিন পর আবার সেই আগের মতন উঁচু।। এরপর গ্রামের সকলের উপস্থিতিতে একটা বড় গর্ত খোঁড়া হয় সেখানে।।
খুঁড়ে সেখানে ঐ হাফিজ নামক ব্যক্তির পচাগলা লাশ পাওয়া যায়।। পরে তাকে ঠিক মতন দাফন করা হয়েছিলো আর
রাস্তাটাও আর কখনো উঁচু হয়নি।।


____________________________________
---------------------------------------------------------------------


গল্পটা কপি করা; কিন্তু একে মানুষ বানাইতে আমার মানে সাজ্জাদ হোসেনের জানটা বাইর হইয়া গেছে; কারও মনে চাইলে এর র ফরম্যাটটা দিয়া দিলাম !------------------------------------------------



।। ভয়ঙ্কর রাত ।।
ঘটনাটা আমি যখন
দশম
শ্রেণীতে পড়ি তখনকার।।
আমি ঢাকায়
একটা রেসিডেণ্ট স্কুলে পরতাম তখন।।
গ্রীষ্মের
ছুটিতে দেশের
বাড়িতে বেড়াতে গেছি।।
জায়গাটা ময়মনসিংহে।।
আমি যেইদিন বাসায় পৌঁছলাম তার
কয়েকদিন পরের
ঘটনা।। আমাদের
এলাকায় হাফিয নামের
একজন লোক
থাকতেন।। লোকটা ছিল খুবই
বদমেজাজি আর রাগী।।
সবার সাথেই তার
ঝগড়া লেগে থাকতো।।
এমনকি নিজের
ভাইয়ের সাথেও জমি সংক্রান্ত
ব্যাপারে অনেকদিন
যাবত তার
ঝগড়া লেগে ছিল।।
হয়তো এতো শত্রু
থাকার কারনেই কে বা কারা তাকে একরাতে বাজার
থেকে আসার সময়
তাকে নেরে ফেলে।।
গ্রাম অঞ্ছলের খুন।।
তাই পুলিশ
এসে লাশটাকে পোস্ট মরটেম এর জন্য লাশ
কাঁটা ঘরে পাঠাতে চাইলো।।
রাস্তা ভয়াবহ খারাপ
থাকায় কোনও
গাড়ি পাওয়া গেলো না।।
শেষমেশ এক ভ্যান গাড়ি চালককে তারা রাজি করাতে পা
নিয়ে যাবার জন্য।।
ভ্যান চালক ছিল
জুয়ান তাগড়া মানুষ
তাই ভয়ভিতি তেমন
একটা ছিল না।। লাশকাটা ঘরটা মোটামুটি ভালোই
দূরে আর যাওয়ার
পথে রাস্তায়
একটা জঙ্গলের মত
জায়গা পরে।। লাশ
নিয়ে পরিবারের লোকদের কান্নাকাটি,
বিলাপের
কারনে রউনা হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গ
অনেকেই লাশ
এতো রাতে নিয়ে যেতে না করলেও
ভ্যান চালক পাত্তা দিল না।।
নিজের সাহস দেখানোর
জন্য তখনই রউনা হল
সে।। বলা বাহুল্য,
এতো রাতে তার
সাথে যাওয়ার মত তেমন কেউ উপস্থিত
ছিল না।। তাই
সে একাই রউনা হয়
লাশ নিয়ে।।
গল্পের বাকি অংশটুকু
ভ্যান চালকের মুখ থেকে শোনা।। তার
জবানবন্দিতে যা শুনতে পারলাম
তা নিজের ভাষায়
লিখতে চেষ্টা করছি।।
নুরু ভাই(ভ্যান চালক)
রউনা হবার ৩০ মিনিটের
মধ্যে অন্ধকার
হয়ে গেলো।। তখন
তিনি একটা হারিকেন
জ্বালিয়ে সেটা ভ্যান
এর নিচে ঝুলিয়ে দিলেন।।
যারা গ্রামে গঞ্জে গেছেন
তারা হয়তো বা দেখেছেন।।
যারা শহরে থাকেন
তারা তো প্রায় কিছুই
দেখেন নাহ।। যাক গিয়ে, মূল ঘটনায়
ফিরে আসি।। সেদিন
পূর্ণিমা রাত ছিল।।
তাই রাস্তা একদম
ফকফকে দেখা যাচ্ছিল।।
তো, সেই জঙ্গলের পাশাপাশি আসা মাত্রই
নাকি বাতাসে নাকি অন্য
কোনও
উপায়ে কে জানে,
হারিকেন
তা নিভে গেলো।। নুরু ভাই ভ্যান
থেকে নেমে আবারো হারিকেন
জালানর
চেষ্টা করলো।। কিন্তু
জোর বাতাস বার বার
ম্যাচের কাঠি নিভিয়ে দিচ্ছিল।।
যখন নুরু ভাই ম্যাচের
কাঠি জালানর
চেষ্টা করছিলেন,
তখন হটাত উনার
মনে হল লাশটা যেনও খানিকটা নড়ে উঠলো।।
গ্রাম্য আর কুসংস্কার
আক্রান্ত হলেও নুরু
ভাই ছিলেন বিরাট
সাহসী লোক।। তাই
তিনি মনকে সান্ত্বনা দিলেন যে, ও কিছু না।। শুধুই
মনের ভুল।। কিন্তু
তবুও তার মনের
মধ্যে একটা খটকা রয়ে গেলো।।
হারিকেনটা শেষ
পর্যন্ত জালাতে না পেরে হাল
ছেড়ে দিলেন তিনি।।
ভাবলেন, চাঁদের
আলোতেই কাজ
চালিয়ে নিতে পারবেন।।
রাস্তাঘাট চাঁদের আলোতে পরিষ্কার
দেখা যাচ্ছে তাহলে আর
বাড়তি আলোর দরকার
কি।। ভ্যান
চালিয়ে কিছুদুর
যাওয়ার পর হটাত উনার খটকা লাগলো।।
পিছনে লাশটার
নড়াচড়ার আওয়াজ
পাওয়া গেলো যেনও।।
মনে হলে পাশ
ফিরে শুল।। নুরু ভাই পাত্তা না দিয়ে ব্যান
চালাতে লাগলো।।
বাইরে যতই সাহসীর
ভাব দেখান,
আসলে ভেতরে ভেতরে তখন
ঠিকই ভয় ঢুকে গেছে।। আর কিছুদূর যাওয়ার
পর তার মনে হল
লাশটা যেনও
উঠে বসেছে আর কষ্ট
করে টেনে টেনে শ্বাস
নেয়া শুরু করেছে।। তিনি সাথে সাথে পেছনে তাকিয়ে দে
এবার আর ভুল নয়।।
আসলেই
লাশটা উঠে বসেছে।।
লাশের উপর
থেকে কাপড়টা সরে গেছে।। চাঁদের আলোয়
পরিষ্কার
দেখা যাচ্ছে মুখখানি।।
চোখের জায়গাটায় বড়
গর্ত।। আর মুখটা যেনও
কেউ এসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে।।
ওটা দেখে নুরু ভাই
ভয়ে কাপাকাপি শুরু
করে দিল।। ভ্যান
থেকে নেমে যেই দৌড়
দিতে যাবে অমনি দেখল লাশটা সামনের
রাস্তায় পরে আছে।।
আড়াআড়ি ভাবে, পথ
আটকে।।
এটা দেখে পিছনে তাকিয়ে সে দেখল
লাশটা ভ্যান নেই।। উনি আর সহ্য
করতে পারলেন না।।
ভয়ে দিক্বিদিক
জ্ঞান হারিয়ে দৌড়
মারলেন।। কোন
দিকে যাচ্ছেন তাতে তার কোনও হুশ
নেই।।
কেবলি মনে হতে লাগলো,
পেছনে কে যেনও
দৌড়ে আসছে।।
সে দৌড়ের স্পীড বাড়িয়ে দিল।।
এভাবে কিছুক্ষণ
ছোটার পর
সে দূরে কিছু
আলো দেখে সেদিকে রুদ্রশাসে দৌড়াতে
আলোটা আসছিলো একটা বাড়ি থেকে।। নুরু ভাই
দৌড়ে গিয়ে একটা বাড়ির
দরজায়
ধাক্কা খেয়ে অজ্ঞান
হয়ে গেলেন।। শব্দ
শুনে বাড়ির লোকজন বের
হয়ে এলে নুরুকে অচেতন
অবস্থায় পায়।।
সেবা যত্ন করার পর
নুরু ভাইয়ের জ্ঞান
ফিরে।। তার মুখে ঘটনার
বিস্তারিত
শুনে বাড়ির
জউয়ানরা মিলে বের
হয় লাথি সোটা হাতে।।
কিন্তু নুরু ভাইয়ের দেখানো মত জায়গায়
গিয়ে কিছুই
দেখতে পেলো না।। শুধু
দেখা গেলো, যেই
জায়গায় নুরু ভাই
লাশটাকে শুয়ে থাকতে দেখেছিল, সে জায়গাটা কেমন
যেনও উঁচু হয়ে আছে।।
আমি নিজেও
পরে জায়গাটা দেখেছিলাম।।
অনেকটা স্পীদ
ব্রেকারের মত।। গল্পটা এখানেই শেষ
হয়ে যেতে পারত কিন্তু
আরেকটু
ঘটনা বাকি রয়ে যায়।।
এর পরেরবার যখন
আমি বাসায় যাই তখন শুনি যে, রাস্তার
মাঝে উঁচু
জায়গা থাকায়
সমস্যা হচ্ছিল।। তাই
রাস্তা কেটে জায়গাটা সমান
করে দেয়া হয়।। কিন্তু, এর পরদিনই আবার
জায়গাটা উঁচু হয়ে যায়।।
আবারো গ্রামবাসী মিলে জায়গাটা কে
করে দেয়।। কিন্তু
কিছুদিন পর আবার
সেই আগের মতন উঁচু।। এরপর গ্রামের সকলের
উপস্থিতিতে একটা বড়
গর্ত খোঁড়া হয়
সেখানে।।
খুঁড়ে সেখানে ঐ হাফিজ
নামক ব্যক্তির পচাগলা লাশ
পাওয়া যায়।।
পরে তাকে ঠিক মতন
দাফন
করা হয়েছিলো আর
রাস্তাটাও আর কখনো উঁচু হয়নি।।