হ্যালো এভরিঅন,
এটা আমার ফেইক আইডি।
আমি নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত একজন ছাত্র। বয়স অনেক অল্প আপনাদের তুলনায়। কিন্তু পরিস্থিতি অনেক কিছু শিখিয়েছে। যেমন ভল্টেয়ার বলেছেনঃ " Some lessons have to be experienced before they can be understood." আমার ক্ষেত্রেও আমি তাই মনে করি।
এর আগেও এই গ্রুপে আমি পোস্ট করে যথেষ্ট ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলাম। গ্রুপের প্রত্যেক সদস্যের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এখানে সম্ভবত সবাই-ই আমার বয়োজ্যেষ্ঠ।
এর মধ্যে আমি আমার জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পার করেছি। আমি সাধারণত খুবই কম কথা বলি। আমার ব্রেনের ইমোশনাল পার্টটির চেয়ে রিজনেবল পার্টটি অধিক সক্রিয়।আমার সমস্যা হচ্ছে আমার পরিপার্শ্ব নিয়ে। আশে পাশের লোকেরা তাদের চয়েজ দিয়ে আমায় জাজ করে। তাদের চুজ করা মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হলে যেন আমি সফল, অন্যথায় ব্যর্থ। I trust everyone is unique.
আমি প্রচুর এক্সেপশনাল চিন্তা ভাবনা করি। অর্থাৎ নিজের জন্য প্রচলিত এমন কিছু আমি আবশ্যক করি না যেটা আমার সত্তার বিরুদ্ধে যায়।এজন্য প্রায়ই আমাকে স্রোতের বিপরীতে চলতে হয়। যেহেতু আমি পরিবারের উপর নির্ভরশীল তাই আমি নিজেকে নিজে গড়ে তুলবো এমন সুযোগ আমার খুব একটা নেই। কিন্তু আমি রিএকটিভ হওয়ার চেয়ে প্রোএকটিভ হতে চাই। এ কথা আমি অকপটে স্বীকার করি যে আমার পরিবার কখনোই আমার জন্য সাপোর্টিং ছিল না। নিজের উপর আমার এতোটুকু আত্মবিশ্বাস আসে যে সৃষ্টিকর্তা যদি আমাকে বড় ধরনের কোন ক্ষতির সম্মুখীন না করেন তাহলে আমি জীবনে অনেক এগিয়ে যেতে পারব। কিন্তু এখানেও বাসার লোকই আমার বড় সমস্যা। আমার কোন রিলেশন নেই। ভবিষ্যতেও হবে না। আমি নিজেকে মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ কাজ করতে দেই না। মানে, এমন না যে ফিজিক্যাল কোন সমস্যা আছে। আমি ফিজিক্যালি যথেষ্ট ফিট। পুরুষ হিসাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। মানে মেয়েলি বিষয়গুলো এড়িয়ে চলি।
প্লিজ কেউ আমাকে কোন ব্যক্তি বা পরিবার বা কাছে কারো সাথে যোগাযোগ বা মন খুলে কথা বলার সাজেশন দিবেন না। একাকী অনেক ফীল করি বাট তখন ম্যাথ করি। আমার কথা বলার কেউ নাই। ম্যাথ আর প্রোগ্রামিং কে আপন করে নিয়েছি। এই সুযোগ আমার নেই। তো আমি তিনটা সমস্যার সমাধান চাই এখান থেকে।
যথাঃ
১. আমি নিজেকে মনস্তাত্ত্বিক ভাবে সবার থেকে আড়াল করতে চাই, মানে আমি এক্সিস্ট করবো কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক ভাবে ইনভিজিবল থাকবো। কেউ আমায় লক্ষ্য করবে না। এটা কীভাবে সম্ভব?
২. আমি সবার কথা এভয়েড করতে চাই। মানে আমার জীবন চলার পথে মানুষ থেকে যেসব বাধা বিপত্তি পাবো, সেসব থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চাই। এগুলো যেনো আমায় প্রভাবিত না করে।
৩. আমি লাইফের প্রতিটা মুহূর্ত আনন্দের সাথে বাঁচতে চাই।
জানি এটা অনেক ধরণের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু আপনি আমায় বলুন যে যেকোন কঠিন পরিস্থিতিতে আমি যেন হাস্যোজ্জল ও প্রাণবন্ত থাকতে পারি।
সবাই কিছু উপদেশ দিবেন। জানি, আমার অবস্থা আমি বোঝাতে পারিনি। কিন্তু, নিজে কি চাই সেটা ধরতে পেরেছি । প্লিজ হেল্প মি।
টিপস:
অল্প বয়সে এমন উপলব্ধি প্রশংসাযোগ্য।
তবে দুঃখের বিষয় হলো দুনিয়ার সবচে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও তার ছাত্রদের পাঠশালার সাথে এখনো পরিচয় হয়নি!
হ্যাঁ, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীদের কথা বলছি।
আদাবুল মুফরাদ - এটা পড়ুন, আশেপাশের লোকজন নিয়ে সমস্যার সমাধান এখানে আছে।
তবে এত বুঝমান একজনকে আয় রোজগার করার কোন প্ল্যান দেখলাম না - দুঃখজনক।
এটা সবার আগে থাকার কথা না?
ইউটিউবে একটা ছেলের কথা শুনেছিলাম সে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আছে। মাসে ৭ লাখের মতো আয় করে। তো আপনারও এমন কিছু একটা করা উচিত!
নিজের আয় রোজগার থাকলে নিজেই পরিবার চালিয়ে নিজের আলাদা বাসায় থাকা যায়!
তাই না?
১. মানুষ সামাজিক জীব। জান্নাতে থেকেও আব্বাজান আদম (আ.) একাকি ভাল ছিলেন না। সেখানে আমি আপনি কে? তাই বাকিদের সাথে নিয়ে এক সাথে থাকাটা শিখুন। নিজেকে বেশি আলাদা ভাবটা বোকামি।
২. এভাবে পালিয়ে বেড়ায় যারা তারা হতাশার দিকে এগিয়ে যায়। তাই সবার সাথেই থাকুন।
৩. লাইফে প্রতিটা মুহূর্ত আনন্দে বাঁচতে চাইলে একটাই উপায় - আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন প্রতিটা মুহূর্ত। কারণ আল্লাহ্ শুকরিয়া আদায়কারী বান্দাকে নিয়ামত বাড়িয়ে দেন। এইটা ছাড়া সুখী হওয়া সম্ভব না। দুনিয়ায় সব থাকলেও তখন একাকিত্ব ভর করবে।
নোট: আপনার কথায় সবার প্রতি একটা হতাশা প্রকাশ করে। সবাইকে তাদের মত গ্রহণ করতে শিখুন।