Thursday, June 29, 2023

যারা বিভিন্ন পেরেশানি তে হতাশ হয়ে পড়েছেন:

যারা বিভিন্ন পেরেশানি তে হতাশ হয়ে পড়েছেন:

একটি আমলের দ্বারা সকল রকম পেরেশানি থেকে মুক্তির ওয়াদা রয়েছে। তা হল রসুল সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ। জুমার দিন দরুদের ফজিলত আরো বেশি। যার যে সমস্যা আছে সেটা দূর করার নিয়তে অধিক পরিমানে দরুদ পাঠ করি। 

হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা. বলেন, একবার আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিকরুল্লাহর খুব তাকিদ করলেন। আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করে থাকি। আমি আমার দুআর কতভাগ আপনার জন্য নির্ধারণ করব? তিনি বললেন, তোমার যে পরিমাণ ইচ্ছা।
আমি বললাম, চারভাগের এক ভাগ? তিনি বললেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা। তবে বেশি করলে আরো ভালো।
আমি বললাম, তাহলে অর্ধেক? তিনি বললেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা। তবে বেশি করলে আরো ভালো।
আমি বললাম, তাহলে তিন ভাগের দুই ভাগ? তিনি বললেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা হয়। তবে বেশি করলে আরো ভালো।
আমি বললাম, তাহলে কি আমার দুআর পুরোটাই হবে আপনার প্রতি দরূদ? তিনি বললেন, তবে তো তোমার মকসূদ হাসিল হবে, তোমার গুনাহ মাফ করা হবে।
رواه الترمذي وقال : هذا حديث حسن. اه وقال الهيثمي : رواه الطبراني، وإسناده حسن.)
-জামে তিরমিযী ২/৭২; মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/২৪৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৪৫

তিরমিযী হা/২৪৫৭; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৬৭০; মিশকাত হা/৯২৯।

Wednesday, June 28, 2023

আর্তুগ্রুল গাজী সিনেমা দেখা প্রসঙ্গে

আর্তুগ্রুল গাজী সিনেমা দেখা প্রসঙ্গে 
ফতোয়া বিভাগ, দারুল উলূম হাটহাজারী

‘আর্তুগ্রুল গাজী’ এটা তুর্কি ঐতিহাসিক সিনেমা । যার মধ্যে খেলাফতে উসমানির প্রধান উসমানের বাবা আর্তুগ্রুল এবং তার গোত্রের অবস্থা সিনেমা আকারে তুলে ধরা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, এই সিনেমার সিরিজগুলো অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক এবং হৃদয়স্পর্শী! যা পুরুষ- মহিলার অবাধ মেলামেশার স্বপ্ন দেখায়। ইতিহাসবিদগণের তথ্য অনুযায়ী এই সিনেমার ট্রেইলার/ঘটনাগুলো সত্য-মিথ্যা মিশ্রিত। তিক্ত হলেও সত্য যে, কিছু কিছু আলিম জনসাধারণকে এই সিনেমা দেখা থেকে সচেতন না করে, তাঁরা নিজেরাতো দেখেনই এবং অন্যকে দেখার জন্য দাওয়াতও দেয়। যা একজন আলেম হিসেবে নিন্দনীয় এবং পরিতাপের বিষয়। অথচ কুরআন হাদীসের আলোকে এই কথা প্রতীয়মান হয় যে, এই সিনেমা দেখা সম্পূর্ণ হারাম এবং নাজায়েয়।

দারুল উলূম দেওবন্দ এবং বান্নুরী টাউন করাচীসহ বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামগণ এই সিনেমা হারাম হওয়ার বিষয়ে একমত। সত্যান্বেষী ব্যক্তির জন্য উচিত হবে, কুরআন হাদীসের আলোকে সমাধান পাওয়ার পর এমন হারাম কাজ থেকে নিজে বেঁচে থাকা এবং সমাজকে বাঁচিয়ে রাখা! আল্লাহ আমাদের সবাইকে সকল গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন॥

 হারাম হওয়ার কারণ সমূহ—

১.জরুরত না থাকা সত্ত্বেও ভিডিও করা।
২.হারাম মিউজিক ব্যবহার করা ।
৩.সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ।
৪.পুরুষ-মহিলার অবাধ মেলামেশা।
৫.সময়ের অপচয়।
৬.ফরয-ওয়াজিব ছেড়ে দেয়া।
৭.গুনাহকে গুনাহ মনে না করা।
৮.অবৈধ প্রেম-ভালবাসাকে প্রমোট করা।
৯.চোখের গুনাহ ইত্যাদি

 [সূরা লোকমান- ১১, রুহুল মাআনী- ২১-২২/৭৮, সহীহ বুখারী- ৭২৩, সুনানে তিরমিযী- ২৩৩, হাশিয়া ইবনে আবেদীন- ৯/৫৭৮, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া- ৫/৪০৬, ফাতাওয়ায়ে বাযযাযিয়া- ২/২০২]

ডিজাইন হাবিবুল্লাহ মুহাম্মাদ ভাই


নির্মান মালামালের হিসাব আপনি নিজেই বের করুন সহজে।


আপনি বাড়ি করবেন, নির্মান মালামালের হিসাব আপনি নিজেই বের করুন সহজে।

১৫০০ বর্গ ফিট একটি ছাদ ঢালাই এর ইট, বালু, সিমেন্ট এবং রড এর পরিমান বের করার হিসাব

মনেকরি ছাদের দৈর্ঘ্য = ৫০ ফিট
এবং ছাদের প্রস্থ = ৩০ ফিট
ছাদের পুরুত্ব= ৫ ইঞ্চি

তাহলে ছাদের ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য X প্রস্থ = ৫০ X ৩০ = ১৫০০ বর্গ ফিট
এবং ছাদের আয়তন = দৈর্ঘ্য X প্রস্থ X পুরুত্ব = ৫০ X ৩০ X ০.৪১৬৬ (৫/১২ ইঞ্চি কে ফিট হিসেবে)
= ৬২৪.৯ বা ৬২৫ ঘনফিট/সিএফটি

আদ্র অবস্থায় আয়তন মোট আয়তনের চেয়ে দেড়গুন বেড়ে যায় তাই
আদ্র আবস্থায় আয়তন = ৬২৫ X ১.৫ = ৯৩৭.৫ বা ৯৩৮ ঘনফিট/সিএফটি

সিমেন্ট বালু ও খোয়ার অনুপাত = সিমেন্ট: বালু: খোয়া = ১: ২: ৪
অনুপাতের যোগফল = ১+২+৪ = ৭

সিমেন্ট এর পরিমান = (আদ্র অবস্থায় আয়তন X সিমেন্ট অনুপাত) ÷ অনুপাতের যোগফল
= (৯৩৮ X ১) ÷ ৭ = ১৩৪ ঘনফিট/সিএফটি
= ১০৮ ব্যাগ (১.২৫ ঘনফিট/সিএফটি = ১ ব্যাগ)

বালু এর পরিমান = (আদ্র অবস্থায় আয়তন X বালুর অনুপাত) ÷ অনুপাতের যোগফল
= (৯৩৮ X ২) ÷ ৭ = ২৬৮ ঘনফিট/সিএফটি

খোয়া এর পরিমান = (আদ্র অবস্থায় আয়তন X খোয়ার অনুপাত) ÷ অনুপাতের যোগফল
= (৯৩৮ X ৪) ÷ ৭ = ৫৩৬ ঘনফিট/সিএফটি
= ৭৮৮২.৩ বা ৭৮৮৩ টি ইট থেকে তৈরি খোয়া (১ টি ইট = ০.০৬৮ ঘনফিট/সিএফটি)

রড এর পরিমান = শুকনো অবস্থায় আয়তন X ২২২ X ১.৫% (রডের একক ওজন ২২২কেজি/ সিএফটি)
= ৬২৫ X ২২২ X (১.৫ ÷ ১০০)
= ২০৮১.২৫ বা ২০৮২ কেজি
= ২.০৮২ টন

আয়তন, রড বসানোর দুরত্ব ও রডের মিলিমিটার অনুসারে রডের হিসাব
ছাদে সাধারনত ১০ মিলিমিটার, ১২ মিলিমিটার, ১৬ মিলিমিটার রড ব্যবহার করা হয়
এবং ছাদে রড থেকে রডের দুরত্ব ৫ ইঞ্চি থেকে ৭ ইঞ্চি হয়ে থাকে

মনেকরি ছাদের দৈর্ঘ্য = ৫০ ফিট
এবং ছাদের প্রস্থ = ৩০ ফিট

আমরা যদি ৫ ইঞ্চি পর পর রড বসাই তাহলে

৫০ ফিট এ মোট রডের পরিমান
= ৫০ফিট/ ৫ ইঞ্চি +১
= ৬০০ ইঞ্চি / ৫ ইঞ্চি +১
= ১২০+১
= ১২১ পিস (প্রতি পিস ৩০ ফিট দৈর্ঘের)
= ৩৬৩০ ফিট

৩০ ফিট এ মোট রডের পরিমান
= ৩০ফিট/ ৫ ইঞ্চি +১
= ৩৬০ ইঞ্চি / ৫ ইঞ্চি +১
= ৭২+১
= ৭৩ পিস (প্রতি পিস ৫০ ফিট দৈর্ঘের)
= ৩৬৫০ ফিট

মোট রডের পরিমান = ৩৬৩০ ফিট+ ৩৬৫০ ফিট
=৭২৮০ ফিট

রডের ওজন = D²/৫৩২.২ কেজি (D হল রডের ডায়া বা মিলিমিটার)
= ১২²/ ৫৩২.২ কেজি (১২ মিলিমিটার রড এর ক্ষেত্রে)
= ০.২৭ কেজি (প্রতি ফিট এ)

মোট ওজন= ৭২৮০ X ০.২৭ কেজি
= ১৯৬৫.৬ বা ১৯৬৬ কেজি
= ১.৯৬৬ টন (আরও ৫-১০% অপচয় এর জন্য বাড়তি রডের দরকার হবে)
= ২০৬৪.৩ বা ২০৬৫ কেজি(৫% বাড়তি ধরে)
সবাইকে ধন্যবাদ।
এই রকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পেইজে ফলো এবং শেয়ার দিয়ে রাখতে পারেন। আশা করি আপনার উপকারে আসবে

Tuesday, June 27, 2023

parenting

পড়াশোনা করাকালীন আমি উইকেন্ডে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ করতাম, তো সেখানে ইমানুয়েল নামে ১৮ কি ১৯ বছর হবে একটা ছেলেও কাজ করতো। ওর বাবা সুইডিশ আর মা কিউবান, দুইজনেই আলাদা থাকে। তো এক সময় কথা বলতে বলতে আমি ওকে জিজ্ঞেস করি, ওর কাকে বেশী পছন্দ, বাবা নাকি মা। উত্তরে, ইমানুয়েল আমাকে বললো যে, ওর মাকে বেশী পছন্দ। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন? উত্তরে, ছেলেটা আমকে যেটা বললো আমি সেটার জন্য মোটেও রেডি ছিলাম না। ওই বললো যে, ওর মাকে বেশী পছন্দ কারন ওর মা তার এপার্টমেন্টে ওকে ফ্রিতে থাকতে দেয় কোন ভাড়া নেয়না আর মাঝে মাঝে খাবার দাবার ও শেয়ার করে। এইটা শোনার পর আমার বাপ মায়ের উপর আমার যত রাগ ছিলো এযাবতকালের, সব চলে যায়। এক বাপের এক ছেলে হওয়ায় ছোটবেলায় থেকেই আমার মা আমকে কড়া শাসনে রাখতো আর অনেক বেশী প্রোটেক্টিভ ছিল। আমার সাইকেল কেনার অনেক শখ ছিল কিন্তু কখনো কিনে দেয়নাই কারন আমার মায়ের বিশ্বাস আমি চালাইতে পারবোনা, একসিডেন্ট করবো। স্কুল থেকে কোন শিক্ষাসফরে যাইতে দিতোনা কারন আমার আম্মার বিশ্বাস পিকনিকের গাড়ি বেশী দুর্ঘটনায় পরে। এগুলা কারনে এক সময় আমার রাগ লাগতো অথবা বলা যায় মনের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। কিন্তু এই ছেলেটা শুধুমাত্র ওর মা বেয়ার মিনিমাম করে দেখে এত থ্যাংকফুল সেখানে আমি যদি ওকে বলি যে, আমার বাপ মা নিজেদের টাকায় আমাকে পড়াশুনা করাইছে, লাইফ সেভিংস আমার পিছে ঢালসে এবং বিদেশ পর্যন্ত পাঠাইসে যাতে ভাল কিছু করতে পারি কিন্তু আমি রাগ, কেন? আমাকে সাইকেল কিনে দেয়নাই ছোটবেলায়। ওই ছেলে সিউর আমাকে জুতাপেটা করবে। 

ইদানীংকালে ফেসবুকে ডুকলেই বাংলাদেশী প্যারেন্টসদের প্যারেন্টিং নিয়ে কঁাটাছেড়া দেখা যায়। এখন এসব ক্রিটিসিজমের অনেক বড় একটা অংশ নেটফ্লিক্স দেখে ওয়েস্টার্ন বাপ মায়ের সাথে বাংলাদেশী বাপ মায়ের তুলনা করে যদিও তাদের ওয়েস্টার্ন সোসাইটির রিয়েলিটি নিয়ে খুব কমই প্র‍্যাকটিকাল নলেজ আছে, মিডিয়া দেখে যেইটুকু জানা যায় অইটুকুই আরকি। 

এখন বাংলাদেশী প্যারেন্টসদের একটা বড় ক্রিটিসিজম হইলো, তারা সব সময় চায় ছেলে মেয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হোক, ক্রিকেটার, ফুটবলার , মিউজিশিয়ান, কবি এগুলা হইতে চাইলে ওয়েস্টার্ন বাপ মা সাপোর্ট দিলেও বাংলাদেশি বাপ মা সাপোর্ট দেয়না।এখন ওয়েস্টার্ন বাপ মা কেন সাপোর্ট দেয় আর দেশী বাপ মা দেয়না, এইটারও কারন আছে। প্রথমত, ওয়েস্টার্ন সব দেশেই সবাই পড়াশুনা করে নিজের টাকায়। যেসব দেশে টিউশন ফি আছে এগুলাতে সবাই ব্যাংক থেকে ধার করে পড়াশুনা যেগুলা পরে পরিশোধ করতে হয় আর যেসব দেশে টিউশান ফি নাই, যেমন: সুইডেন, এখানেও থাকার খরচ পার্ট টাইম জব করে নিজেরাই বহন করে অথবা সরকার থেকে লোন নিয়ে, সোজা কথায়, আপনার নিজের দায়িত্ব নিজের, তো যেখানে বাপ মা আপনার পেমেন্ট দিতেছেনা সেখানে তারা কোথায় কি পড়বেন ঠিক করে দেয়ার কে, আপনি যদি ফিলোসোফার হইতে যাইয়া নিজের বঁাশ নিজে মারেন তাইলে কার কি বলার আছে, কনসিকুয়েন্সও আপনার নিজের উপরেই আসবে, সব টাকা আপনার ঘাড়ে।
 
দ্বিতীয়ত, ওয়েস্টার্ণ দেশে আপনি যদি মিউজিশিয়ান, কমেডিয়ান হইতে যাইয়া ফেল মারেন তাহলে আপনার নিজের খরচ নিজেই বহন করতে হবে, রেস্টুরেন্টে জব করবেন, কন্ট্রাশকশানে কাজ করবেন, ১৮ বছরের পর থাকা খাওয়ার রেস্পন্সিবলিটি আপনার বাপ মা নিবেনা। আর বাংলাদেশে আপনি যদি মিডেল ক্ল্যাস বা তার উপরে হোন আর আপনার ক্যারিয়ারে যদি ফেইল মারেন মিউজিশিয়ান, ফিলোসোফার আর কবি হইতে যাইয়া, তাহলে রেস্টুরেন্টে থালা বাসন মাজবেন? অথবা রিকশা চালাবেন? চালাবেন না, তখন কিন্তু ঠিকি বাপ মায়ের ঘাড়ে উঠবেন।  

আপনার বাপ মা তাদের লাইফ সেভিংস আপনার উপর বিনিয়োগ করে যাতে আপনি তাদের ঘাড়ে না উঠেন আর যাতে তাদেরকে সাপোর্ট দিতে পারেন যখন তারা রিটায়ার্ড করে। এখন বাংলাদেশী আর্থ সামাজিক অবস্থা চিন্তা করলে, বাংলাদেশী প্যারেন্টসদের কি কম ঝুঁকিপূর্ণ ক্যারিয়ারের দিকে পুশ করা যুক্তিযুক্ত না? 

যাইহোক, রিসেন্টলি মোরসালিনের মায়ের একটা ইন্টারভিউ ভাইরাল হইছে যেখানে সবাই তার মাকে তুলাধোনা করতেছে কেন তার মা ছোটবেলায় বুট কিনে দেয়নাই। মোরসালিন আজকে সফল কিন্তু ভুলে যাবেন না, এইরকম হাজারো মুরসালিন রাস্তার ঘুরেবেড়াচ্ছে যাদের কোন ক্যারিয়ার নাই। কিছুদিন আগেই একটা পোস্ট ভাইরাল হইছিলো, বাংলাদেশী বয়সভিত্তিক দলের একটা ফুটবলার এ সি এল ইঞ্জুরি হয়ে পংগু হওয়ার দশা, ফেডারেশন বা সরকার কেওই তাকে সাহায্য করছেনা, তার পরিবারই তাকে নিয়ে এখানে ওখানে নিয়ে বেড়াইতেসে যদি সাহায্য পাওয়া যায় কিছু। এইরকম কিছু যদি মোরসালিনের হইতো তাইলে কিন্তু আপনি তখন আগায়েও যাইতেন না, ফেসবুকে একটু হা হুতাশ করতেন হয়তো, দায়িত্ব কিন্তু তার মাকেই নিতে হইতো। ফেসবুকে চাপাবাজি করা আর প্যারেন্টিং শিখানো অনেক সহজ, কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন।

©কবির হুমায়ুন

Friday, June 23, 2023

ভারতে যাওয়ার পরে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে আপনার করণীয়।

ভারতে যাওয়ার পরে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে আপনার করণীয়। 
আমি নিজে এই সমস্যার শিকার হয়েছি। 
সমাধান খুব সহজ একটু পরিশ্রম করা লাগে।  
প্রথম ধাপ: প্রথমেই আপনি ভারতের যেই হোটেলে অবস্থান করছেন আপনার পুরো বিষয়টি খুলে বলবেন তারা একটি লেটার দিবে যেখানে আপনার পাসপোর্ট এর নাম্বার আপনি যে এই হোটেলে আছেন তার প্রমাণ পত্র সহ আপনাকে একটি লেটার হাতে দিবে। 
দ্বিতীয় ধাপ : আপনি ভারতের আছেন সেই এরিয়ার সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে একটি সাধারণ জিডি করতে হবে। অবশ্যই আপনার পাসপোর্টের এবং আপনার ভিসার একটি করে কপি সেখানে লাগবে। 
তৃতীয় ধাপ : জিডি করার পরে সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তারা আপনাকে জানিয়ে দিবে পরবর্তীতে আপনার লোকেশন হচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস। বাংলাদেশ দূতাবাসে যাওয়ার সময় আপনার একটি পাসপোর্ট কপি একটি ভিসার কপি এবং আপনার দুই কপি ছবি এবং সাথে ইন্ডিয়ান রুপিতে দুই হাজার রুপি বা এর কিছু বেশি রুপি আপনার লাগবে। সেখানে তারা আপনার আবেদনটি গ্রহণ করবে এবং আপনাকে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করার জন্য বলবে। এ সময়কালে আপনার পাসপোর্ট যে হারিয়েছে এই বিষয়টি তারা বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট অফিসে কন্টাক করে জানিয়ে দিবে। অতঃপর আপনার হাতে একটি লেটার ধরিয়ে দিবে। লেটারটিতে আপনার যাবতীয় পরিচয় পত্র কলকাতার এবং ইন্ডিয়ার সমস্ত কিছু উল্লেখ থাকবে এবং এই লেটারটি নিয়ে আপনার একটি কম্পিউটারের দোকানে যেতে হবে। 
তৃতীয় ধাপ : লেটারটি নিয়ে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে আপনাকে এফ আর ও অফিসের উদ্দেশ্যে একটি অনলাইন আবেদন করতে হবে। 
এ আবেদনে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে আপনি কেন পাসপোর্ট রিনিউ না করে আপনি ইমারজেন্সি বাংলাদেশে যেতে যাচ্ছেন এবং কতদিনের ভিতরে যেতে যাচ্ছেন। 
চতুর্থ ধাপ : অনলাইন আবেদন পেপারটি সংগ্রহ করে আপনাকে এফ আর ও অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে এবং সেই অফিসে আপনার একটি সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদ হবে।কিভাবে পাসপোর্ট হারালো আপনি কেন ইন্ডিয়া এসেছিলেন। 
(ভুল করেও বলবেন না আমি কোন দালালের চক্রান্তে পড়েছি বা আমি বিদেশে যাওয়ার জন্য এদেশে আসছিলাম এখন দালাল আমার সাথে দুই নাম্বারি করতেছে। সে ক্ষেত্রে তারা তাদের দেশের মানুষকে বেশি প্রাধান্য দিবে)  
পঞ্চম ধাপ : এরপর অফিস থেকে আপনার জিজ্ঞাসাবাদ এবং আপনার অনলাইন আবেদনটি সংগ্রহ করে তারা একটি সময় নির্ধারণ করে দিবে সেই সময় আপনি আপনার জিমেইলে এক্সিট পারমিট পেয়ে যাবেন। এবং সেখানে উল্লেখ থাকবে যে এই কয়েক দিনের ভেতরে তোমার ইন্ডিয়া ছেড়ে বাংলাদেশে চলে যেতে হবে। আপনি জিমেইলে মেসেজ পাওয়ার পরে দেখবেন সেখানে একটি ছবি আসছে সেটি হচ্ছে আপনার এক্সিট পারমিট।  
ষষ্ঠ ধাপ : এক্সিট পারমিট পাওয়ার পরেও শান্তি নেই আপনি যেভাবেই যান বাসে করে অথবা বিমানে করে। প্রত্যেকটা ধাপে ধাপে আপনাকে প্রশ্ন করা হবে। কেন পাসপোর্ট হারালেন কেন এসেছিলেন ইন্ডিয়া। 
( তবে এফ আরো অফিসের এক্সিট পারমিট পেয়ে গেলে আর পরবর্তীতে কোন সমস্যা হবে না -( শুধু বুদ্ধিমত্তার সাথে তাদের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারলেই হবে)  
সপ্তম ধাপ : ইন্ডিয়া থেকে আপনার জিডি করার কাগজটা সাথে নিয়ে আসবেন অবশ্যই। সেই জিডির কাগজটি নিয়ে আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে আরো একটি জিডি করবেন সেই জিডির কাগজটি নিয়ে পরবর্তীতে আপনার নতুন করে পাসপোর্ট রিইস্যু করে নেবেন।  
( রিজু আহম্মেদ)  


Sunday, June 18, 2023

Parenting tips

Any parent of multiple young children knows the daily reality of children's constant fights, disagreements, and clashes. 

Personally, my five boys almost never stop squabbling! They love each other and play together, but they also fight like cats and dogs. 😅

One of my primary parenting roles, therefore, is the judge who settles disputes. 

One rule I have for myself is a parent who is constantly having to referee fights and arguments between my children is this: 

Hear out both sides first. 

Never give out a verdict before listening to both parties, no matter how open-and-shut the case may initially look. 

Usually, what happens is I'll be washing the dishes or cooking dinner or changing the baby's diaper, when one of my children comes running to me, crying. He will start complaining and whining to me about one of his siblings: "Mama, he hit/ kicked/ hurt me!" 

In the past, if I was tired, stressed, or in a hurry, my instinct, for one second, used to be to just take the initial complaint at face value, and just yell quickly, "[Accused child's name here], stop hitting your brother!"

But I learned years ago that a parent should never do this. 

This is the easier of the two routes you can take as a parent. 

Route 1: One child lodges a complaint against another. You as the parent are tired, sleep-deprived, hungry, annoyed, busy, overwhelmed, late for something, and/ or are in a rush. You take this accusation as the truth, and respond accordingly by yelling at or punishing the accused child. 

Route 2: One child lodges a complaint against another. You as the parent, despite your tiredness, headache, hunger, busy-ness, etc, calmly hear out the first child. Then you call the second child to you, and calmly ask him what happened. As the second child tells you his version of the same event, you calmly hear out his side of things. You then ask any follow-up questions if you need to clarify, call witnesses (other children not directly involved in the fight), ascertain the truth, and then use your judgment to come to a decision if one or both parties are in the wrong and if there needs to be punishment or consequences. 

Route 2 is clearly the harder path. 

But it's the path of justice and fairness. 

My children are still young, but already in this short time of a decade, there have been many times in which the first child was crying so hysterically or whose complaint sounded so sad and convincing that I would be tempted to just issue my judgment right away. 

Especially if there is raw evidence to corroborate the first child's story: a red mark, a darkening bruise, a quickly-swelling bump on the head, or scratch marks. 

It's so sad for us as parents to see that, plus we are so busy and tired, that it's tempting to mete out punishment before launching a full investigation. 

But whenever I'd stop myself from jumping to conclusions and force myself to slow down enough to hear out both sides, I have always been so relieved I did. 

Because usually, there is a much longer backstory. There is a second version of reality that is equally compelling. There is usually another child who has been wronged too. 

Sometimes the accused child is actually the injured party, while the child who came running to complain was actually the instigator or initial aggressor. 

Or sometimes, both sides are equally at fault. And punishing only the accused child would be unjust. 

What is even more dangerous about this is that it may eventually become a pattern within the family, continuing into the children's adulthood. An entrenched dysfunctional dynamic. 

One child learns to tattle to the parent, the parent learns to reflexively take that child's word as the full truth without checking, and the other child gets punished unjustly without getting the benefit of stating their side of things. 

The first child, the tattler, gets used to having their way just by virtue of being the first to run crying to the parent, learning the utility of the adage, "The squeaky wheel gets the grease." And the second child grows disillusioned by the chronic one-sidedness, learning to shut down their own emotions or to give up on getting any justice. 

And this is a very unhealthy dynamic of injustice. 

Everything starts in childhood. 

And it starts with you, the parent. You are the mature adult. You are responsible for justice, regardless of your state or the lateness of the hour or other circumstances. 

Don't just take the path of least resistance and simply believe whoever comes to you first, or whoever is crying louder. 

This reminds me of the old story of a man who came to a judge with one eye gouged out, accusing another man of having taken out his eye. The proof was right there for all to see in all its horrible, bloody glory. 

But the judge was wise enough to call the accused man to the court to hear him out first, before issuing an immediate punishment. 

When the accused man walked in to stand in court, he had *both* eyes gouged out! 
 
Allah says,

إِنَّ ٱللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَن تُؤَدُّوا۟ ٱلْأَمَـٰنَـٰتِ إِلَىٰٓ أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُم بَيْنَ ٱلنَّاسِ أَن تَحْكُمُوا۟ بِٱلْعَدْلِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُم بِهِۦٓ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ سَمِيعًۢا بَصِيرًۭا 

"Indeed, Allah commands you to render trusts to whom they are due, and when you judge between people to judge with justice. Excellent is that which Allah instructs you. Indeed, Allah is ever Hearing and Seeing." (Surat An-Nisa, 58)

Justice involves wisdom, patience, and doing due diligence to find out the whole truth. 

And this is our job as parents of children, between whom fighting is normal. 

Through our measured, calm, mature approach, we not only settle daily childhood disputes, but we also instill within our children an understanding of justice from a young age.


- Umm Khalid 

জেনারেশন গ্যাপ ও দ্রুত বিয়ে

১ দশক আগে একজন ইজিপশিয়ান মাওলানা কথা প্রসঙ্গে আমাকে জানিয়েছিলেন, ইসলামে ছেলে-মেয়েদের যে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিতে রিকমেন্ড করা হয়েছে, তার কিছু সামাজিক উপকারিতাও আছে। 

তার ভেতর একটা হচ্ছে, সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের জেনারেশন গ্যাপ কম থাকে বিধায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য বা ভুল বোঝাবুঝি বহুলাংশে কম থাকে। 

কিছুদিন আগে ফেসবুকজুড়ে ব্যাড প্যারেন্টিং-গুড প্যারেন্টিং নিয়ে রীতিমত ঝড় বয়ে গেলো। আমি উভয় পক্ষের বক্তবই ক্লোজলি পড়েছি।

উভয় পক্ষের যুক্তি/অভিযোগই বেশ জোরালো, অস্বীকার করার কোনই জো নেই।

সমস্যা হলো, বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের অভিযোগই যদি জোরালো হয়, তবে কোন সঠিক সমাধানে উপনীত হওয়াটা অত্যন্ত কঠিন ও সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। 

এখানেও তাই হয়েছে। উভয়ই উভয় পক্ষকে দোষারোপ করছে, কিন্তু কেউ কোন সমাধানে আসতে পারছে না। 

এই কারণে একদম গোড়াঁতে নজর দেয়া উচিত বলে মনে করি।

আমেরিকান একজন বিখ্যাত মনোবিদ ও সোশলজিষ্ট বলেছিলেন, এখনকার যুগে অভিবাবক আর সন্তানদের মাঝে যে ক্রমবাড়ন্ত দুরত্ব সৃস্টি হচ্ছে, তার মূল কারণ হচ্ছে জেনারেশন গ্যাপ। তিনি এ নিয়ে একাধিক গবেষণাও করেছেন।

জেনারেশন গ্যাপের সংজ্ঞা কি? 

বাবা-মার সাথে সন্তানের সাইকোলজিক্যাল এবং ইমোশনাল গ্যাপটাকেই এক কথায় জেনারেশন গ্যাপ বলে।

মাওলানার কথা শুনার পরে আমি ভেবে দেখলাম, এখানকার বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের জেনারেশন গ্যাপ মুটামুটি আকাশচুম্বি। এখনকার গড়পড়তা নারীরা ২৫-২৮ এ বিয়ে করছেন। ছেলেরা করছেন আরো দেরীতে। 

তো আমি গড়ে ৩০ বছরও যদি ধরি, তবে এখনকার সদ্য বাবা-মা হওয়া দম্পতিগুলোর সাথে তাদের সন্তানদের জেনারেশন গ্যাপ হবে কমপক্ষে ৩০ বছরের। (যদি এটা ধরে নিই যে, তারা বিয়ের পরবর্তী বছর থেকেই প্যারেন্টস হয়েছেন। যারা দেরী করে বেবী নেন, তাদের কথা তো বাদই দিলাম, তাদের গ্যাপ তো আরো অনেক বেশী!)

৩০ বছরের গ্যাপটা কিন্তু বেশ আশংকাজনক। প্রতি বারো বছর পর পর যদি জেনারেশন বদলায়, তবে ৩০ বছর মানে প্রায় আড়াই জেনারেশনের গ্যাপ! 

এই লম্বা গ্যাপে সন্তানরা যেমন বাবা-মা কে বুঝতে ব্যর্থ হবে, তেমনি বাবা-মার ক্ষেত্রেও সন্তানকে না বুঝাটা খুবই স্বাভাবিক।

আর এই না বোঝা থেকে, কিংবা ভুল বুঝাবুঝি থেকেই শুরু হয় প্রাথমিক মনোমালিন্য, অভিযোগ দায়ের, পারিবারিক রেষারেষি ইত্যাদি।
 
জেনারেশন গ্যাপ বেশী থাকাটা শুধু বাবা-মা না, যে কোন সম্পর্কের ভেতরই ভ্যালু, রেসপেক্ট, এটিচিউড, প্রায়োরিটি, মাইন্ড সেটাপ ইত্যাদিতে উল্লেখযোগ্য রকম পার্থক্য গড়ে দেয়। একটা সম্পর্কের ভেতর এত ধরনের পার্থক্য থাকলে সেই সম্পর্ক খুব বেশীদিন সুস্থ্য থাকার কথা নয়। 

এমনকি সিবলিংয়ের ভেতরোও ১২ বছরের বেশী গ্যাপ থাকলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

আমাদের upbringings এর সাথে আমাদের বাবা-মায়ের upbringings এর কোনই মিল নেই। আবার আমাদের upbringings এর সাথে আমাদের সন্তানদের খুব বেশী মিল থাকবে না, থাকার কথাও না। 

ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই, আমি কম্পিউটার পেয়েছি ক্লাস টেনে পড়ার সময়, মোবাইল হাতে পেয়েছি ব্যাচেলর করার সময়।

অথচ আমার ৩ বছরের কাজিন ওর বাবার মোবাইল থেকে ভয়েস দিয়ে ইউটিউবে সার্চ করে কার্টুন বের করে দেখে।

শুধু টেনকোনলজির দিকটা ধরলেই আকাশ-পাতাল ব্যবধান চোখে পড়বে, বাকীগুলো তো বাদই দিলাম। 

সাধারনত মায়েদের সাথে সন্তানদের এত ঘনিষ্ঠতা কেন থাকে জানেন? 

কারণ মায়ের সাথে আমাদের সাবকন্টিনেন্টের সন্তানদের জেনারেশন গ্যাপ থাকে কম। 

সাধারনত বাবাদের সাথে সন্তানদের এত দুরত্ব কেন থাকে জানেন?

কারণ বাবাদের সাথে আমাদের সাবকন্টিনেন্টের সন্তানদের জেনারেশন গ্যাপ থাকে বেশী। 

ভারতীয় উপমহাদেশের বেশীরভাগ পরিবারের সন্তানরা তাদের পিতাকে বাঘের মত ভয় পায়। কারণ আমাদের ও আমাদের পিতৃপুরুষদের মোটো ছিল - ”সন্তানকে রাখবো আমরা মাইর পিটে।” মাইরের উপ্রে ওষুধ নাই, এই আপ্তবাক্য তারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতো। 

বাবার কাছে মার খেয়ে মায়ের আচঁলে মুখ লুকিয়ে কাদাঁ সন্তানের পরিসংখ্যান করলে সেটা কোটির ঘর ছাড়িয়ে যাবে!

যদিও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মারধর করে আর যাই হোক সন্তানকে মানুষ করা যায় না। তাই নতুন প্রজন্মের ইয়াং প্যারেন্টসদের বেশীরভাগই এই আপ্তবাক্য থেকে সরে এসেছেন। তাদেরকে সাধুবাদ। (কিন্তু মাঝে মাঝে এমন সব দুষ্টুমতি শিশুদের দেখি, মনে হয় এদেরকে একটু আধটু মাইর না দিলেই বুঝি বখে যাবে! 😛 )  

এই উপমহাদেশের কনজারভেটিভ ফ্যামিলিগুলোর মধ্যে একটাই প্রধান বৈশিষ্ঠ্য, অত্যধিক মানসিক ও শারীরিক শাসন। এগুলো মাথায় নিয়েই সন্তানদের বড় হতে হয়। 

সন্তানদেরও বোঝা দরকার, এই সব পরিবারের বাবা-মায়েরা প্রচন্ড মানসিক ও সামাজিক চাপের ভেতর সন্তান বড় করেন। যে চাপ সামলাতে গিয়ে তারা নিজেরাই সন্তানদের ততোধিক চাপে ফেলে দেন। অথচ বিষয়টাকে চাইলেই আরো চমৎকারভাবে সুরাহা করা যেতো। ভারতে এই প্লটে অনেক সিনেমাও হয়েছে যতদূর জানি।

হয়তো ভাবতেছেন, শিক্ষা সমাধান করতে পারে এই সমস্যার। 

নোপ। 

একজন বাবা-মা যতই শিক্ষিত হোক না কেন, সন্তানের সাথে তার জেনারেশন গ্যাপ থাকবেই, তবে হ্যাঁ, সত্যিকার শিক্ষিত বাবা-মায়েরা হয়তো এই গ্যাপটাকে নিয়ন্ত্রন করে ফেলতে পারবেন অনেক স্ট্রাগল করে, অনেক ধৈর্য্য ধরে। বাকীরা সেটাও পারবেন না।

যা হোক, এত বিতং করে এত কথা বলার কারণ হলো, এই বিষাক্ত জেনারেশন-গ্যাপ দূর করার একমাত্র সমাধান হচ্ছে আমাদের সামাজিক মননে এর নেতিবাচক প্রভাবের দিকগুলো একদম পাকাপাকিভাবে গেঁথে ফেলতে হবে। 

এছাড়া এই সমস্যার আর কোন সমাধান নাই। 

সেটা হতে পারে আইডিয়াল সমাজ, যেদিন আনম্যারেড ছেলে-মেয়েরা দ্রত বিয়ে করতে চাইবে শুধু এই কারণে, তারা বলবে - ”আমার সন্তানের সাথে আমার মানসিক দুরত্ব যাতে বেশী না থাকে, এই জন্যই এখনি বিয়ে করছি।” 

কিন্তু জাতিগত ভাবেই আমাদের দূরদর্শীতা কম। আমরা শর্ট টার্ম সুবিধা দেখে অভ্যস্ত। তা না হলে আমাদের বাবা-মারাই হয়তো এটা উপলদ্ধি করতেন যে, যে ভুলটা আমরা করেছি (দেরীতে বিয়ে করে বা দেরীতে বাচ্চা নিয়ে) সেই একই ভুল যেন আমাদের সন্তানরাও না করে। 

”আমার সাথে আমার সন্তানের যে জেনারেশন গ্যাপ, সেটা যেন আমার নাতির সাথে আমার সন্তানের না থাকে।” (এই ট্যাগ লাইনে দারুন একটা টিভিসির প্লট মাথায় এসেছে!😎 )

কিন্তু অলরেডি যারা বেশী গ্যাপে বাচ্চা ফুটিয়ে ফেলেছেন, তাদের করণীয় কি?

তাদের করণীয়ও ইতিমধ্যে মনোবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীরা লিখে গেছেন। মানতে পারলে উপকার পাবেন, সন্তান ও অভিবাবকদের ভেতর পারস্পারিক বোঝাপড়া বাড়বে বৈ কমবে না। (কমেন্টে লিংক)।


6 Tips to Fill The Generation Gap Between Parent and Child
By Vaishnavi Nagaraj - Updated: October 16, 2019


In this Article
What Is A Generation Gap?
Why do Generation Gap Exists Between Parents And Children?
How to Bridge The Generation Gap Between Parents And Their Children
The ages between parents and their children are often large enough that they experienced their most impressionable years during a different culture than each other. Adolescence is often the time when people are most influenced by society around them and as our world keeps developing and changing, things rarely stay the same, causing generation gaps between parents and their children.

What Is A Generation Gap?
Since time is ever moving forward and change is inevitable, the values, tastes and outlook on life are different with each generation. It is this difference that is called a generation gap. This often causes a lack of communication and understanding between the two generations since their view of the world was coloured by how society functioned during their adolescence.

Why do Generation Gap Exists Between Parents And Children?
Here are a few causes of generation gap between parents and child:

1. Lack Of Understanding
Different generations sometimes seem to speak a different language. Due to the changes in society from when parents were growing up, to how it is in the time of their children, even their way of thinking and what they deem to be normal tends to be different.

2. Mistakes Are Rarely Tolerated
Parents often do not tolerate mistakes and tend to tell their children off. Children need to make mistakes to learn and grow in life, but if they only get punished for it, it widens the gap and creates a lack of proper communication.

3. Children Are Expected To Be Replicas
Parents often have dreams for their kids, and a lot of the time tends to force them in that direction without taking into consideration what their child wants.

4. Too Many Comparisons
Comparing children to each other or even to how you were as a child is another reason the gap becomes wide. This often causes them to lose confidence in themselves and can destroy any enthusiasm they may have previously had.

FirstCry Parenting
Sign in|Join
Pregnancy
Baby & Toddler
Preschooler & Kid
Magazine
Tools
Baby Names
Q&A
Coloring Pages
SHOP
Search
Home Big Kid Behavior & Discipline 6 Tips to Fill The Generation Gap Between Parent and Child
6 Tips to Fill The Generation Gap Between Parent and Child
By Vaishnavi Nagaraj - Updated: October 16, 2019
 3 463520
6 Tips to Fill The Generation Gap Between Parent and Child
In this Article
What Is A Generation Gap?
Why do Generation Gap Exists Between Parents And Children?
How to Bridge The Generation Gap Between Parents And Their Children
The ages between parents and their children are often large enough that they experienced their most impressionable years during a different culture than each other. Adolescence is often the time when people are most influenced by society around them and as our world keeps developing and changing, things rarely stay the same, causing generation gaps between parents and their children.

What Is A Generation Gap?
Since time is ever moving forward and change is inevitable, the values, tastes and outlook on life are different with each generation. It is this difference that is called a generation gap. This often causes a lack of communication and understanding between the two generations since their view of the world was coloured by how society functioned during their adolescence.

Why do Generation Gap Exists Between Parents And Children?
Here are a few causes of generation gap between parents and child:

1. Lack Of Understanding
Different generations sometimes seem to speak a different language. Due to the changes in society from when parents were growing up, to how it is in the time of their children, even their way of thinking and what they deem to be normal tends to be different.

2. Mistakes Are Rarely Tolerated
Parents often do not tolerate mistakes and tend to tell their children off. Children need to make mistakes to learn and grow in life, but if they only get punished for it, it widens the gap and creates a lack of proper communication.

3. Children Are Expected To Be Replicas
Parents often have dreams for their kids, and a lot of the time tends to force them in that direction without taking into consideration what their child wants.

ADVERTISEMENT

4. Too Many Comparisons
Comparing children to each other or even to how you were as a child is another reason the gap becomes wide. This often causes them to lose confidence in themselves and can destroy any enthusiasm they may have previously had.

ADVERTISEMENT

5. Not Enough Interaction
Due to the responsibilities of being an adult and the stress that comes from work life, parents often find themselves too tired to spend enough time with their kids every day. This causes a lack of communication and interaction that widens the generation gap.

How to Bridge The Generation Gap Between Parents And Their Children
Here are a few tips to help bridge the generation gap between parents and their children:

1. Keep An Open Mind
The way that kids think is different from how parents do. Parents often feel like because they have already been the age their child is currently, that they understand how their child thinks. The truth is, the world and way of life was different then than it is now and their mind-set will be very different and can also be shocking for some parents. This is why keeping an open mind and not assuming that they must be just like you were at their age is very important. You must also understand that there are some things that are acceptable in society and therefore acceptable to your child that may not have been acceptable when you were the same age. It is especially in those areas where parents need to try and keep an open mind so they can better understand their children.



2. Communicate
Making the time to communicate with your kids every day is very important. The simple act of talking about each other’s day at the end of the day can help you get to know each other and make it easier to speak freely around the other. Children need to know they can approach their parents with anything, something that can ultimately give parents peace of mind since they do not need to worry about their children hiding things that are important.

3. Listen
Parents need to allow their kids time to talk without interruption and listen to what they have to say. Learning your child’s thoughts and opinions makes them feel like what they want or feel matters to you, which in turn makes them feel much closer to you than before. Having a parent who listens as well instead of only talks and lectures will give your child more encouragement to listen to you in return.

4. Understand
With listening comes understanding and this means that you have to learn to put yourself in your child’s shoes and trying to understand how they feel and what they want from what they tell you. If you are able to understand where your child is coming from, you will be able to close that generation gap to some extent.

5. Unconditional Love
Love has a way of crossing boundaries and bringing people together if acted upon. So show your children how much you love them. This unconditional love and support that they get from you is very encouraging and makes children more inclined to show that same love and understanding back.

6. Compromise
People can disagree on things, no matter how close to each other they are. Parents and children are no different; however, rather than forcing them into your way of thinking or forcing them to do what you want them to do when they don’t want to, learn to compromise when possible. There are times when you need to put your foot down with your children, but coming to a compromise instead of dictating their every move will make them closer to you and make that generation gap a little smaller.


This article on generation gap between parents and child is just what you need if you have been struggling to have a better relationship with your child. Remember that it is important to understand that they have their own thoughts and opinions and being patient and loving will help to close the generation gap that causes distance between parent and child.





Saturday, June 17, 2023

সুদ

আমি একটি জেনারেল (সুদী) ব্যাংকে প্রায় ৯ বছর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করেছি এবং এ সময়ে প্রাপ্ত বেতন-বোনাস দিয়ে গাড়ি-বাড়ি করেছি। পরবর্তীতে একসময় ‘সুদী ব্যাংকে চাকরি করা বৈধ নয়’ এ মাসআলা জানার পর সুদী কারবারের সাথে জড়িত থাকার কারণে নিজের মাঝে অনুশোচনা জাগে। ফলে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন অন্য একটি চাকরিতে যোগদান করেছি।

এখন মুফতী সাহেবের কাছে জানতে চাচ্ছি, আগের চাকরির বেতন-বোনাস দিয়ে যে গাড়ি-বাড়ি করেছি তা আমার জন্য বৈধ কি না? যদি বৈধ না হয়ে থাকে তাহলে আমার এখন করণীয় কী? দয়া করে বিস্তারিত জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।

উত্তর

সুদী প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যে আয় দিয়ে গাড়ি-বাড়ি বা অন্য যে সম্পদ গড়েছেন, তা ভোগ করা জায়েয হবে না। এখন আপনি যদি এ গাড়ি-বাড়ি ও অন্যান্য সম্পদ থেকে বৈধভাবে উপকৃত হতে চান, তাহলে যে পরিমাণ টাকা দিয়ে এ গাড়ি-বাড়ি ও অন্যান্য সম্পদ ক্রয় করেছেন, সে পরিমাণ টাকা সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত গরিব-মিসকিনদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে। এভাবে যতটুকু সদকা করবেন ততটুকু সম্পদ আপনার জন্য হালাল বলে বিবেচিত হবে।

উল্লেখ্য, গাড়ি-বাড়ি করার পর এগুলো ভাড়ায় দিয়ে থাকলে তা থেকে উপার্জিত টাকাও সদকা করে দিতে হবে এবং পিছনের জীবনে হারাম উপার্জন ও হারাম ভোগ-ব্যবহারের কারণে আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।

সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৮; বাদায়েউস সানায়ে ৬/১৪৫; ফাতহুল কাদীর ৮/২৫৮; আলবাহরুর রায়েক ৮/১১৪

—মাসিক আল কাউসার

বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকগুলো শরীয়া মোতাবেক পরিচালিত হওয়ার দাবি করলেও বাস্তবে তাদের কার্যক্রম এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। বাস্তব পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, তাদের বিনিয়োগ কার্যক্রমগুলোতে অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথভাবে শরীয়া নীতিমালা পালিত হয় না; বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুধু কিছু কাগজপত্রে দস্তখত করানো এবং বিভিন্ন আরবী পরিভাষার ব্যবহার পর্যন্তই তা সীমিত থাকে। তাই পূর্ণ শরীয়া পালনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এসব ব্যাংকে চাকরি করা বা এজেন্ট হওয়া এবং এর বেতনাদি বা কমিশন ভোগ করা থেকে বিরত থাকাই নিরাপদ হবে। কেননা চাকরি করা বা এজেন্ট হওয়ার মানে হলে, সরাসরি তাদের কাজে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করা। যা সংশ্লিষ্ট কারবার হালাল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার আগে করা যায় না।

সহীহ বুখারী, হাদীস ৫২; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৪৬; জামে তিরমিযী, হাদীস ১২৩৪; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৪২৬; মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী, জিদ্দা ১২/১/৬৯৭

মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া, ঢাকা।

Friday, June 16, 2023

10 Principles of Islam related to work ethic & masculinity:

10 Principles of Islam related to work ethic & masculinity: 

1. Know that your Sustenance is from Allah

The Messenger of Allah ﷺ said, “Be moderate in seeking from the world, for everyone will be facilitated towards what has been decreed for him in it.” (Bayhaqi 10501, Grade: Sahih)

Rizq (sustenance) is already destined by Allah. He has already written the amount that each servant will earn per day, month, year, and overall lifespan. There is nothing we can do to change this amount. Our actions simply affect whether our sustenance is blessed or cursed. 

The means of attaining our sustenance is in our control. If we seek it through prohibited means, it will testify against us on the Last Day. If we seek it through permitted means and spend it in a way that is pleasing to Allah, then it will testify for us on the Last Day.

A Muslim man should avoid stressing about wealth and the future. He should accept that his destiny is already written and should focus instead on earning barakah (blessings) in his sustenance. By freeing up the heart from anxiety about the future, we make space for the remembrance of Allah and preparation for the Afterlife.

2. Work hard for your sustenance anyway

The Messenger of Allah ﷺ “Verily, the most wholesome food a man can eat is that which he has earned.” (Nasa’i 4397, Grade: Sahih)

Our sustenance is written but nobody knows the unseen besides Allah. We are still required to work for our sustenance, just as the birds leave their nests seeking it every morning. The Muslim man is obligated to seek out his sustenance in a halal manner so that he can fulfill his role as provider and protector of his family.

Working hard is part of Ihsan (aspiring for excellence) and a noble trait. A Muslim man works hard, even though he knows that his sustenance is destined, because it is part of manliness and good character. A hardworking man is a strong asset to the ummah and earns a good reputation among others. His hard work can be an act of worship when it is done in a way that is pleasing to Allah and within the boundaries set by Allah.

3. Have firm tawakul and trust Allah’s plan

“Whoever fears Allah, He will make a way out for him and provide for him from where he never imagined. And whoever has tawakul in Allah, He is enough for him.” (Quran 65:2-3)

A believer must firmly acknowledge that Allah knows best. Allah’s plan is best for us even when we cannot see the benefit in our current situation. Like Jonah in the belly of the whale, and Joseph at the bottom of the well, we must turn to Allah and trust Allah’s plan for us. The believer maintains full optimism in Allah regarding his future, knowing that whatever happens to him is best for him.

We have published a detailed guide to tawakul in the past, you can read it here. To summarize, tawakul means to believe, acknowledge, trust, and ask of Allah, while working hard and being content at the end of each day. This is part of the character of the Muslim that every believer should strive for.

4. Ask only of Allah and seek only from Allah

The Prophet ﷺ said, “Young man, I will teach you some words. Be mindful of Allah and He will protect you. Be mindful of Allah and you will find Him before you. If you ask, ask from Allah. If you seek help, seek help from Allah.” (Tirmidhī 2516, Grade: Sahih)

Although it is permitted to ask people for assistance in matters that they can help with, it is part of higher Islamic character to ask only Allah and seek assistance only from Allah. Some of the pious predecessors were so staunch on this point that even if they dropped a stick while riding a horse, they would rather get off and pick it up, than ask someone for help.

When we ask people for help often, it lowers our value in their eyes. They start to look at such a person as a burden to society and a beggar. But Allah loves when we ask and never tires of giving. Part of chivalry is to avoid asking people for assistance, and to rely on Allah entirely. A result of this is that Allah will send such people into your life that will assist you anyway, and you will maintain your dignity in the process.

5. Avoid shortcuts and shady transactions

The Prophet ﷺ said, “Make between yourself and the unlawful a buffer of what is lawful. Whoever does so will clear himself in regard to his honor and his religion.” (Ibn Hibban 5569, Grade: Sahih)

The modern trend of seeking get-rich-quick schemes is unislamic. Hastiness is a devilish quality that will seduce a person to seek shortcuts on the path to riches. Such a man will be tempted to engage in clear prohibitions like usury and selling prohibited products, or to take shady shortcuts through false advertising and mistreatment of employees.

A Muslim is firm in his belief that whatever Allah has written for him will reach him. With this firm faith, he works hard, takes his time, and stays within the boundaries of permissibility. He knows that nothing will miss him that was meant for him, so he focuses on the quality of his work, and turns away from all sources of temptation.

6. Be content with your sustenance

The Prophet ﷺ said, “Allah tests His servant by giving to him. Whoever is content with what Allah has apportioned for him, Allah will bless him in it and expand it. Whoever is not content, he will not be blessed in it.” (Musnad Imam Ahmad 20279, Grade: Sahih)

Greed leads to decrease in blessings, while contentment and gratitude lead to increase in blessings. Every day, the Muslim man works hard to provide for his family. At the end of each day, he is content with his sustenance for the day and thanks Allah for it. This contentment allows him to focus on worshiping Allah, contributing to the ummah, and spending time with his family.

Anxiety about wealth and profits distract a man from the worship of Allah. Greed for a second mountain of gold turns into obsession. A greedy man is never satisfied, and his mind is so preoccupied with the pursuit of wealth that he fails to prioritize anything else. 

The believer avoids this trial by working hard during work hours, then devoting the rest of his time to worship, rest, community, and family. Balance and contentment are far more precious than a second mountain of gold.

7. Be happy for others when they do well

The Prophet ﷺ said, “Be servants of Allah as brothers. Do not be hostile to each other and do not hate each other. Follow the right course, seek nearness to Allah in worship, and give glad tidings.” (Musnad Imam Ahmad 9763, Grade: Sahih)

A believer loves for others what we loves for himself. He is happy when someone else succeeds in the workplace. He wants to see his brothers thrive, just as he wants to thrive. He is not hostile or resentful to the success of others. He was internalized the principle of brotherly love and it shows in his interactions with other Muslims.

8. Avoid jealousy for what others have

The Prophet ﷺ said, “The people will remain upon goodness as long as they do not envy each other.” (Al-Mu’jam Al-Kabir 8079, Grade: Hasan)

When brotherly love is absent from the heart, jealousy and envy can consume it. Envy destroys the soul and the ability to do good, like a fire eating away inside a person. It was jealousy that caused Cain to kill Abel. It was jealousy that caused Abu Jahl to reject Islam. It is jealousy that can ruin us if we allow it to enter our hearts.

A Muslim trader strives to avoid jealousy always. He is waging an internal Jihad against devil and his own soul. He prioritizes Muslim brotherhood, and genuinely loves his brothers wanting good for them. In light of this brotherly love, he rejects jealousy and any negative feelings towards his brothers in Islam.

9. Be generous in the marketplace and spend for the sake of Allah

The Prophet ﷺ said, “Allah Almighty will admit a man into Paradise who was easy in his buying and selling, in his paying debts and seeking repayments.” (Nasa’i 4696, Grade: Sahih)

A Muslim trader wants to see everyone succeed. He will buy from another to give him business. He will forgive a debt because he sees that his brother is genuinely struggling. In the spirit of Islamic brotherhood, he might lower his prices for the poor, support a struggling business, overlook the faults of his customers, and rush to pay off his own debts.

His concern for the ummah takes precedence over his own desires. He does not wish to see any member of the ummah struggle, so he forgives, overlooks, goes easy on others, and is lenient in his dealings. His reputation is one of honesty, integrity, and genuine selflessness. Such a trader is a role model of Islamic chivalry.

10. Laziness is an unmanly trait and must be shunned

The Prophet ﷺ said, “O Allah, I seek refuge in You from anxiety, sorrow, disability, laziness, cowardice, miserliness, the burdens of debt, and the repression of men.” (Bukhari 6369)

Islam is a religion of submission and struggle. Men are expected to take up the responsibility of moving the ummah forward. There is no room for laziness in this cause. Muslim men must be men of action. They must work hard, striving to provide for their families and protect their communities. They must contribute to the overall wellbeing of the ummah in some way or another.

Laziness is a quality unbefitting a Muslim man. The prophets, companions, and righteous men of the past were all hardworking individuals, and the Prophet ﷺ even taught us to pray for protection from laziness. When men are lazy and self-centered, it affects the entire society. For a boy to become a man, he must shun laziness and develop a strong work ethic.

দিনলিপি-১৮২৬

 

দিনলিপি-১৮২৬
১৬-০৬-২০২৩
দ্য গ্রেট গেইম—১
--
ক্ষমতা কারো চিরদিনের জন্য নয়। ক্ষমতা বারবার পক্ষ বদল করে। ধর্মবদল করে। জাতি বদল করে। স্থান বদল করে। দল বদল করে। ক্ষমতার পালাবদলে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশ ‘আমেরিকা’। ভবিষ্যতে বিশ্বনেতৃত্বে আসতে হলে, অতীত ও বর্তমান বিশ্বনেতৃত্ব সম্পর্কে জানা জরুরী।
এখন দুনিয়াতে এক মহাখেল (Great Game) চলছে। এই গেইমে মূলত তিনটি পক্ষ। প্রধান পক্ষ নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা এককভাবে পরাশক্তির সুবিধা ভোগ করে আসছে। আমেরিকার সুপার পাওয়ার আজ হুমকির সম্মুখিন। বর্তমানে আমেরিকার সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হল, তার সুপার পাওয়ার রক্ষা করা। আমেরিকার মোকাবেলায় অপরদিকে আছে চিন ও রাশিয়া। চায়না-রাশার অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, তারা আজ উঠতে বসতে আমেরিকার পরাশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছে। দুই দেশের চ্যালেঞ্জ জানানোর ভঙ্গি ও পন্থা আলাদা হলেও, উদ্দেশ্য এক। চায়না ও রাশা মূলত আমেরিকার একটি ‘ডকট্রিন’ বা মতবাদকে চ্যালেঞ্জ করছে। ঘটনার শুরু অনেক আগে।
আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতাদের একজন হলেন জেমস মনরো (১৭৫৪-১৮৩১)। মনরো আমেরিকা প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট (১৮১৭-১৮২৫)। জেমস মনরোই সর্বপ্রথম আমেরিকাকে পরাশক্তি হওয়ার দৌড়ে নামিয়েছিল। মনরো ১৮২৩ সালে এক ডকট্রিন (Doctrine) পেশ করেছিল। সেই মনরোনীতি ছিল পৃথিবীর শক্তিমান রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে এক ধমকি ও হুমকি। সেই মতবাদে আমেরিকা নিজেকে প্রকাশ্যে আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছিল। পরবর্তীতে মনরো নীতিকে আরো সম্প্রসারিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩২-তম প্রেসিডেন্ট থিউডোর রুজভেল্ট (১৮৮২-১৯৪৫)। তিনি ১৯০১ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। তিনি চার মেয়াদে ১২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তারা গৃহীত পররাষ্ট্রনীতির কারণে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের অধিপত্য আরও ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রভাব-প্রতিপত্তি, তার জনক মনে করা হয় রুজভেল্টকেই। তার শাসনামলেই যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক শক্তি থেকে প্রধান বিশ্বশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। সেই অধিপত্য ১০০ বছরের বেশি সময় পরও বহাল আছে।
মনরোনীতির প্রধানতম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারা ছিল,
প্রথম ধারা: এখন থেকে নতুন দুনিয়া (New World)-এর উভয় মহাদেশে, অর্থাৎ উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার কোনো ভূখণ্ড, ইউরোপ থেকে কোনো দেশ এসে দখল করবে না। কলোনি বানাবে না। এই নিষেধাজ্ঞা এজন্য, নয়াদুনিয়া (আমেরিকা মহাদেশ) আবিষ্কৃত হওয়ার পর, এখানকার অমূল্য খনিজ সম্পদ লুঠ করার জন্য দলে দলে ইউরোপিয়ান শক্তিগুলো হানা দিচ্ছিল। যে যার মতো দেশ দখল করে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ কব্জা করে নিজ দেশে পাচার করছিল। আমেরিকার আবিষ্কর্তা ও নির্মাতারাও এখানকার আদিবাসিন্দাদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে ইউরোপিয়ানদের মতোই লুণ্ঠনকর্ম চালিয়েছিল। নিজেরা যা করেছে, সে কাজ করতে আমেরিকা এখন অন্যদেরকে বাধা দিচ্ছে।
ল্যাটিন আমেরিকা বলতে সাধারণত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের যেসব অঞ্চলের জনগণ ল্যাটিন ভাষা থেকে উদ্ভূত স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজ ভাষা ব্যবহার করে। ল্যাটিন আমেরিকার আওতায় দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দশটি, মধ্য আমেরিকার ছটি, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের তিনটি ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশের একটি দেশ আছে।
দ্বিতীয় ধারা: মনরোনীতির দ্বিতীয় ধারা ছিল, এখন থেকে কোনও দেশ যদি ল্যাটিন আমেরিকায় এসে উপনিবেশ স্থাপন করতে চায়, সেটা হবে সরাসরি আমেরিকার উপর সরাসরি হামলার নামান্তর। অর্থাৎ সেই রাষ্ট্রকে আমেরিকার সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে।
তৃতীয় ধারা: ইউরোপিয়ান দেশগুলোর পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কোন্দলে নাক গলাবে না।
চতুর্থ ধারা: ল্যাটিন আমেরিকায় এখন যেসব ইউরোপিয়ান উপনিবেশ আছে, সেগুলোতেও আমেরিকা নাক গলাবে না। হস্তক্ষেপ করবে না। সেগুলোকে আপন অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হবে।
চতুর্থ ধারাটি আমেরিকা শুরু থেকেই নিয়মিত অমান্য করে এসেছে। মনরোনীতি ঘোষণার ঠিক দুইবছর আগেই এমন ঘটনা ঘটেছিল। টেক্সাস রাজ্যটি ছিল স্পেনের কলোনি। আমেরিকা যোগসাজশ করে টেক্সাসকে স্বাধীন করিয়েছিল। মনরোনীতি ঘোষণার সময় ল্যাটিন আমেরিকার অধিকাংশ দেশ স্পেন ও পুর্তগালের নাগপাশ থেকে ইতিমধ্যে স্বাধীন হয়ে গেছে নয়তো স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে আছে। ১৮০০ সালে আমেরিকার অধীনে মাত্র ১৩ টি রাজ্য ছিল। তখন মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় পুরোটাই ছিল স্পেন ও পুর্তগীজ উপনিবেশ। ১৮২২ সালের দিকে ল্যাটিন আমেরিকার চিত্র অনেকটাই বদলে গিয়েছিল। কিছু দেশ নতুন করে ফ্রান্সের কব্জাতে চলে গিয়েছিল। বেশিরভাগ দেশ স্পেন ও পুর্তগাল থেকে স্বাধীন হয়ে গিয়েছিল। এমন টালমাটাল সময়ে আমেরিকা মনরোনীতি ঘোষণা করে, নিজের শিকারসীমা নির্ধারিত করে নিয়েছে। কুকুর বা শিকারী প্রাণীদের নিজস্ব একটা শিকারসীমা থাকে। সেখানে অন্য কাউকে ঘেঁষতে দেয় না। আমেরিকাও গায়ের জোরে তাই করেছে। রাজা হতে হলে নিজের একটা স্বাধীন, সার্বভৌম এলাকা থাকা জরুরী। পরাশক্তি হতে চাইলে, চারপাশের অঞ্চলগুলো পুরোপুরি নিজের প্রভাববলয়ে থাকতে হয়। রাতারাতি কেউ পরাশক্তি হয়ে যায় না। মনরোনীতি ঘোষণার মাধ্যমে আমেরিকা মূলত নিজ বলয়ে অবস্থান সংহত করে নিয়েছিল।
দ্বিতীয় খেলোয়াড়
হুবহু একই ঘটনা ঘটছে চায়না ও রাশার ক্ষেত্রেও ঘটে চলছে। প্রথমে চায়নার কথাই ধরা যাক। ইন্ডিয়া, নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশ, বার্মা, থাইল্যান্ড, লাউস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সাউথ চায়না সি, তাইওয়ান, ইস্ট চায়না সির তীরবর্তী কোরিয়া আর মঙ্গোলিয়া। এসব অঞ্চলকে ভূ-রাজনৈতিকভাবে (Geo Politically) চায়নার প্রভাববলয়ের বলা যেতে পারে। ঠিক যেমন পুরো ল্যাটিন আমেরিকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবলয়াধীন। আমেরিকার মতো চায়নাও চায়, উক্ত অঞ্চলগুলোকে পুরোপুরি নিজের নিজের বাহুডোরে রাখতে। এসব দেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি সম্পূর্ণ নিজের প্রভাবাধীনে রাখতে। এসব অঞ্চলকে ঘিরে চায়নারও একটা ‘ডকট্রিন’ আছে। কিন্তু আমেরিকা যতটা নির্বিঘ্নে পরাশক্তি হয়ে বসেছিল, চায়নার পথ অতটা কুসুমাস্তীর্ণ নয়। চায়নাকে এমন কিছু দেশ চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে, যেগুলো আমেরিকারই প্রভাবাধীন। ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া সবই বেশ আর কম আমেরিকার পকেটে থাকা দেশ। কিছু দেশ তো প্রায় শতভাগ আমেরিকার আশ্রয় ও প্রশ্রয়েই নিজেদের অস্তিত্ব সুরক্ষিত ও টিকিয়ে রেখেছে। এই তালিকায় তাইওয়ান, ভিয়েতনামের নাম আসবে সবার আগে। তাছাড়া মার্কিন রণতরীগুলো সাউথ চায়না সী ও ইস্ট চায়না সীতে নিয়মিত টহল দিয়ে বেড়ায়। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও ফিলিফাইনের প্রত্যক্ষ মদদে। মার্কিন রণতরীর দিকে চায়নিজ নেভাল কর্তৃপক্ষ রক্তচক্ষু নিয়ে তাকালেও, বাধা দিতে পারে না। এই তো কিছুদিন আগে (জানুয়ারি ২০২২), প্যাসিফিক ওশনের যে অংশকে চায়না নিজের অংশ বলে দাবি করে, সেখানে দুটি মার্কিন বিমানবাহি রণতরী টহল দিয়ে বেড়াচ্ছিল। চীনা কর্তৃপক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, এই এলাকায় প্রবেশের আগে চায়নার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু মার্কিন রণতরী চায়নিজ হুঁশিয়ারি থোরাই কেয়ার করেছে। তার ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়িয়েছে। চায়নার মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখতে পাবো, আমেরিকা চারদিক থেকে চীনরে পুরোপুরি ঘিরে ফেলেছে। চায়না এই ঘেরাটোপ ভেঙে বেরিয়ে আসতে চায়। তার গলায় থাকা মার্কিন ফাঁস ছিঁড়ে ফেলতে চায়। শুধু তাই নয়, এসব অঞ্চলে চায়না নিজস্ব বিশ্বব্যবস্থা (World Order), নিজস্ব আঞ্চলিক প্রভাব (Regional Order) বলবৎ করতে চায়। প্রশ্ন হতে পারে, নিজের মতবাদ প্রচারে চায়নাকে কে বাধা দিচ্ছে? আসলে ডকট্রিন ঘোষণা করলেই হয় না, পাশাপাশি ছলেবলেকৌশলে বাস্তবায়নও করতে হয়। এখনো পর্যন্ত চীনের সেই শক্তি অর্জিত হয়নি। প্রেসিডেন্ট মনরোর মতো দ্ব্যর্থহীন ভঙ্গিতে চীন বলতে পারছে না, ইস্ট ও সাউথ চায়না সী একান্তই আমার, এখানে অন্য কেউ প্রভাব বিস্তার করার মানে, আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার নামান্তর। চায়না এমন কথা বলতে চায়, কিন্তু সামর্থের অভাবে বলতে পারছে না। সামর্থ নেই বলে কি চায়না চুপ করে বসে আছে? উঁহু। চীন এক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা (Long Term Strategy) অনুসারে হরদম কাজ করে যাচ্ছে। এটাই গ্রেটগেমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আমেরিকাকে নিজের দোরগোড়া থেকে তাড়াতে চাইলে, আগে সারাবিশ্বে আমেরিকার প্রভাব খর্ব করতে হবে। চীন শুরুতেই সরাসরি আমেরিকার সাথে সামরিক ঠোকাঠুকিতে যাবে না। যাওয়ার কথা ভাবেও না। চীন খেলছে তার নিজস্ব পদ্ধতিতে। বিশ্বপরাশক্তি হওয়ার জন্য, আমেরিকাকে একক বিশ্বপরাশক্তির আসন থেকে আছাড় দিয়ে ফেলার জন্য, চীন মনরো ডকট্রিন থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক কৌশল নিয়ে খেলছে। চীনের অনুসৃত কৌশলের নাম দেয়া যেতে পারে,
‘যুদ্ধহীন জয় (Winning Without Fighting) কৌশল’।
এই কৌশলের প্রধানতম ধারা হল ‘নিরবচ্ছিন্ন প্রতিযোগিতা (Continuing Compitition)। প্রতিটি ময়দানে তীব্র, হাড্ডাহাড্ডি, নির্দয়, নৃশংস লড়াই অব্যাহত রাখা। এই লড়াইয়ে কোনও মূলনীতি, নীতি-নৈতিকতা, নিয়মনীতি, কায়দাকানুন, মূল্যবোধ, আদব-আখলাক, শরমহায়া, তাহযিব-তামিয বলে কিছু নেই। যে কোনও মূল্যে, যে কোনও উপায়ে যুদ্ধজয়ই প্রথম ও শেষ কথা। এটা যে শুধু চীনের অনুসৃত কৌশল তা নয়, আমেরিকাও নিজ লক্ষ্য অর্জনে নির্দয় (Ruthless), নিরাবেগ। আমেরিকাকে শীর্ষস্থান থেকে পেড়ে ফেলতে চীন কী করছে?
প্রথম পদক্ষেপ
আমেরিকার বিভিন্ন খাতে বেশি বেশি বিনিয়োগ করছে। কোভিডের আগ পর্যন্ত চীন প্রতিবছর আমেরিকায় ৩৭ থেকে ৪৭ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করে এসেছে। এই বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমেরিকায় নির্মিত, উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক টেকনোলজি হাতানো। এই খাতে চায়না আমেরিকার চেয়ে এখনো বহু পেছনে পড়ে আছে। এসব বিনিয়োগ চায়না সরকার সরাসরি করে না। আমেরিকা বা কানাডায় অবস্থানরত চায়নিজ নাগরিক বা চায়নিজ বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিককে দিয়ে, আমেরিকা বা কানাডায় বড়ধরণের ব্যয়বহুল টেকনোলজি কোম্পানি চালু করে। এই কাজটা চায়নিজ নাগরিক একা করে না। সাথে এক বা একাধিক মার্কিন বা কানাডিয়ান নাগরিককে সামনে রাখে। অথবা প্রতিষ্ঠিত বড় কোনো মার্কিন কোম্পানিতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করে তাদের ব্যবসার অংশীদার হয়। সামরিক (Defence) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) নিয়ে কাজ করে এমন কোম্পানীগুলোই প্রধানত চায়নার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। এ-ধরণের কোম্পানিগুলোতেই চায়না বিনিয়োগ করে। চায়নিজ প্রতিনিধি এসব কোম্পানির মালিক ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদেরকে এত বিপুল অংকের টাকার টোপ রাখে, এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব। চায়নিজ প্রতিনিধি দেখতে-শুনতে চায়নিজ হলেও তিনি সাধারণত মার্কিন নাগরিকই হয়ে থাকেন। সুতরাং কারো মনে সন্দেহ জাগার অবকাশ থাকে না। এই চিনোমার্কিন লোকগুলো মনেপ্রাণে মার্কিন হয় না। জন্ম আমেরিকায় হলেও, মূল উৎসা চায়নার প্রতি তাদের একধরণের অকথিত, অলিখিত আনুগত্য ও দুর্বলতা থাকে। চায়নিজ ইন্টেলিজেন্স এই সুযোগটাই কাজে লাগায়। প্রথম প্রথম মার্কিন কর্তৃপক্ষ চায়নিজ ব্যক্তির আসল অভিসন্ধি টের না পেলেও, পরে বিভিন্ন উপলক্ষ্য থেকে তাদের মনে সন্দেহ উদ্রেক হয়। মার্কিন কর্তৃপক্ষ দেখে, তারা দীর্ঘদিন ধরে, বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে অতি গোপন যে ‘প্রডাক্ট’ তৈরি করেছে, সেটা অল্পকিছুদিনে ব্যবধানে চায়নাতেও ‘কপি’ হয়ে গেছে। এ কী করে সম্ভব? নিশ্চয় কোথাও ঘাপলা আছে। মার্কিন গোয়েন্দারা ফাঁক খুঁজতে খুঁজতে চায়নিজ বংশোদ্ভুক্ত ব্যক্তির দিকে সন্দেহের আঙুল তাক করে। কিন্তু বাহ্যিক কোনও প্রমাণ ছাড়া তাকে অভিযুক্ত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সন্দেহের ভিত্তিতে চায়নিজ ব্যক্তিকে পাকড়াও করতে গেলে দুটি সমস্যা সামনে আসে,
ক. চায়নিজ ব্যক্তিকে ধরলে, মার্কিন আইন কোম্পানির শরিকদার অমেরিকান নাগরিকদের ব্যাপারেও সমানভাবে তদন্তের নির্দেশ দিবে। গোপন তথ্য পাচারে চায়নিজ ব্যক্তির সাথে তারাও জড়িত নেই তো? কোম্পানির তদন্ত করতে গেলে খবর মিডিয়াতে ফাঁস হয়ে যাবে। কোম্পানির এতদিনকার সমস্ত সম্মান ধূলিস্মাৎ হয়ে যাবে। কোম্পানির প্রতি ক্রেতাদের আস্থা কমে যাবে। কোম্পানির শেয়ারদর পড়ে যাবে। এমন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যাওয়াও বিচিত্র কিছু নয়। দীর্ঘদিন মেহনত করে, হাজারো মানুষের মেহনতে, বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিকে পথে বসিয়ে দেয়ার ঝুঁকি থাকে।
খ. মার্কিন গোয়েন্দাবিভাগের কাছে অকাট্য প্রমাণ থাকে না যে, চায়নিজ বিনিয়োগকারী এমএসএস (গঝঝ)-এর এজেন্ট। এজন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না।
আবার কখনো এমনো হয়, যখন মার্কিন গোয়েন্দবিভাগ চায়নিজ বিনিয়োগকারী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে, ততক্ষণে এমএসএস এজেন্ট বেইজিংয়ে বিমান থেকে নেমে বাড়ির পথ ধরেছে।
দ্বিতীয় পদক্ষেপ
চায়না সরকার মার্কিন ডলার জমা করে যাচ্ছে। চীন ও হংকংয়ের কাছে এই মুহূর্তে প্রায় ৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চিত আছে। এই বিপুল পরিমাণ ডলার নড়াচড়া করে, চীন চাইলে বিশ্ববাজারে ডলারের ‘দর’ পতন ঘটাতে সক্ষম। এই ডলার বাজারে লাগামহীনভাবে ছেড়ে দিয়ে, মার্কিন অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম।
তৃতীয় পদক্ষেপ
চিন সাইবার আক্রমণ করে। মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা, মহাকাশযান, বিশেষ করে ডিফেন্স কোম্পানিগুলোর ওপর হামলা করে। মার্কিন সংস্থাগুলোর নিয়মিত অভিযোগ: চায়নিজ হ্যাকাররা তাদের অতি গোপনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। এই কাজ নিয়মিত হয়েই চলছে। মার্কিন সমরাস্ত্র নির্মাণকারী কোম্পানি লডহেড মার্টিন করপোরেশন (The Lockheed Martin Corporation) এফ-৩৫ ও এফ-২৫ যুদ্ধবিমান, বোয়িং নির্মাণ বিষয়ক প্রায় ৬ লাখেরও বেশি ফাইল গোপনে কপি হয়ে চায়না স্থানান্তর হয়ে গেছে। এটা নিয়ে মিডিয়াতে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। চায়নিজ কর্তৃপক্ষও বিষয়টা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কর্তারা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছে। যে তথ্য তারা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় রেখেছিল, সবই চায়নাতে চলে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ময়দানে টিকে থাকতে হলে নিজেকে ‘হালনাগাদ’ রাখা জরুরী। চায়না চোরের ওপর বাটপারি করেই ময়দানে টিকে থাকে। লড়াইয়ে যে কোনো মূল্যে টিকে থাকাটাই আসল, পদ্ধতি মুখ্য নয়।
তৃতীয় খেলোয়াড়
এই গ্রেট গেমে রাশিয়া কী করছে? রাশিয়া কিছুদিন আগে, মাত্র ৩৩ বছর আগে, আমেরিকার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল। আমেরিকার চোখে চোখ রেখে কথা বলত। আমেরিকা কুস্তিতে রাশিয়াকে এমনভাবে আছাড় দিয়ে ফেলেছিল, দীর্ঘদিন রাশিয়া নড়াচড়াই করতে পারেনি। রাশিয়ার হাতে চায়নার মতো অত টাকাপয়সা নেই, আমেরিকাকে টেক্কা দেয়ার মতো তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতাও নেই। রাশার কাছেও অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী সমর প্রযুক্তি আছে, তবে সেটা আমেরিকার সাথে সমানতালে পাল্লা দেয়ার মতো নয়। রাশার জন্য আরেকটি সমস্যা হল, আগে চারপাশের যেসব অঞ্চল রাশার প্রভাববলয়ে ছিল, সেগুলোর প্রায় পুরোটাই মার্কিন প্রভাবাধীনে চলে গেছে। জার ও সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলে পশ্চিমাঞ্চলের পুরোটাই রাশার কজ¦ায় ছিল। পশ্চিমে ফিনল্যান্ড থেকে শুরু করে, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেন, মালদোভা, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও তুরস্ক পর্যন্ত সবই রাশার পকেটে ছিল। দক্ষিণে দেখলে জর্জিয়া, আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজিস্তান, কাজাখাস্তান সবই রাশার একপ্রকার উপনিবেশই ছিল বলা চলে। পূর্বে জাপান সাগর পর্যন্ত রাশিয়ার আঞ্চলিক প্রভাববলয়ে ছিল। এখন রাশার পশ্চিমে পূর্ব ইউরোপে বেলারুশ ছাড়া প্রায় সবদেশই আমেরিকার বলয়ে চলে এসেছে। এসব দেশ রাশার হাতে তাদের স্বাধীনতা খোয়া যাওয়ার আশংকাতেই মূলত মার্কিন-ইউরোপিয় বলয়ে যোগ দিয়েছে না হয় ন্যাটোর সদস্য হয়েছে বা সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। আফগানিস্তান, ‘স্তান’ দিয়ে শেষ হওয়া দেশগুলোর বেশিরভাগ, এদিক দিয়ে জাপান সাগর পর্যন্ত বিস্তৃর্ণ ভূখ-গুলোতে রাশার পরিপূর্ণ ইজারাদারি নেই। এমতাবস্থায় রাশা তার চারপাশে আগেকার দিনের হারানো প্রভাব ফিরিয়ে আনার জন্য যে কোনো কিছু করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। রাশা এখনি যদি নিজের প্রভাববলয় পুনর্বহাল করতে না পারে, তাহলে আমেরিকা তো বটেই, কদিন তাকে চায়নারও অধীন হয়ে চলতে হবে। ক্ষমতার লড়াইয়ে ‘সাধুচরিত্রের’ কোনো স্থান নেই। চায়না আজ রাশার যতই দোস্ত থাকুক, কাল এক নাম্বার পরাশক্তি হয়ে গেলে, দুশমন হয়ে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? চায়না নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছুই বোঝে না। বর্তমান বিশ্বে পরাশক্তি হতে হলে শুধু নিজের রাস্তাই দেখতে হয়।
নিজের ক্ষমতাবলয় ফিরে পাওয়ার জন্য আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারছে না। রাশার আপাতত সে ক্ষমতা নেই। অদূর ভবিষ্যতে হবে, তেমন কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। তাই আমেরিকার বিরুদ্ধে রাশা নিজের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ভয়ংকর অস্ত্র ‘সাইবার এটাক’ ব্যবহারে মনোযোগী হয়েছে। চায়নার মতো রাশাও বেশ সফলভাবে আমেরিকার বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সাইবার আক্রমণে সোশাল মিডিয়ার ‘প্রপাগা-া’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রপাগা-া যুদ্ধে রাশা অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। আমেরিকার বিরুদ্ধে বৃহত্তর পরিসরে প্রথমবার প্রপাগা-া অস্ত্র ব্যবহার করে ২০১৬ সালে। হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বপক্ষে নির্বাচনী প্রচারনাকালে।
পৃথিবীতে বর্তমানে অস্ত্র, গোলাবারুদবোমা ছাড়া যে যুদ্ধ লড়া হয়, সেটাকে ‘হাইব্রিড ওয়ার’ বলা হয়। এই যুদ্ধে শক্তিশালী দেশগুলো মাঝেমধ্যে অত্যন্ত বেকুব, আহমক লোকদেরকে বেশি বেশি প্রচারের পাদপ্রদীপে নিয়ে আসে। সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ, মিথ্যা প্রশংসা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করে অতি অযোগ্য, অথর্ব লোককেও বিখ্যাত আর গ্রহণযোগ্য করে তোলে। এই অযোগ্য লোকদেরকে বিখ্যাত করে তুলে, তাদের মাধ্যমে সমাজে বিভক্তি, দলাদলি, রায়ট, হিংসা ছড়িয়ে দেয়। শত্রুরাষ্ট্রের জনগণকে বহুধাবিভক্ত করে ফেলে। পরস্পরের মধ্যে ঘৃণা, অবিশ্বাস ছড়ায়। জনগণের মধ্যে তীব্র বিরোধ ছড়িয়ে দিতে পারলে, সে দেশের জনগণ একাট্টা হয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। দেশটা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে। হিংসা-হানাহানির কারণে একদল আরেকদলের বিরুদ্ধে সারাক্ষণ লেগে থাকে। কীভাবে আরেকদলকে ফাঁদে ফেলে ক্ষমতা দখল করা যায়, এই চিন্তায় বিভোর থাকে। এসব করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতি, সমরনীতি, কূটনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রাশা লাখো ফেইক আইডির মাধ্যমে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে নির্বাচনে জেতার জন্য অবিশ^াস্য রকমের মদদ যুগিয়েছিল। প্রতিপক্ষ হিলারির ই-মেইল হ্যাক করে, হিলারির বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে অদ্ভুদ সব বদনাম ছড়িয়েছিল। এসব করে ট্রাম্পশিবিরের হাতে নির্বাচনজয়ী হাতিয়ার তুলে দিয়েছিল। হিলারির বিরুদ্ধে রাশান হ্যাকার দ্বারা প্রচারিত গুজবগুলোকে ট্রাম্পের সমর্থকরা রীতিমতো লুফে নিয়েছিল। এসবের ওপর ভিত্তি করে ট্রাম্পের স্বপক্ষে, হিলারির বিরুদ্ধে মিলিয়ন হ্যাশট্যাগ চালু হয়েছে, লাখো ফেসবুক পেজ তৈরি হয়েছে, লাখো পোস্ট হয়েছে। এসব প্রপাগান্ডার ফলে ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছিল ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা। ট্রাম্পের পক্ষে রাশার সাইবার এটাকের সংবাদ যখন মার্কিন গোয়েন্দাবিভাগ জানতে পেরেছে, ততদিনে রাশান প্রপাগান্ডা মেশিন নিজের কাজ শেষ করে ফেলেছে। নির্বাচন শেষ হয়ে ট্রাম্প জয়ী হয়ে গেছে। এটাই ছিল দেশের বাইরে, রাশান সাইবার আর্মির প্রথম আক্রমণ। পুতিন এরপর এস্তোনিয়া, ক্রিমিয়া, ইউক্রেন ও পোলান্ডে এই প্রপাগান্ডা মেশিন কাজে লাগিয়েছিল।
(আপাতত চলবে, ইন শা আল্লাহ)
.
.
গ্রেট গেইম বুঝতে হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চায়নার ইতিহাসসহ আরো কিছু বিষয় জানা জরুরী। বক্ষ্যমান সিরিজের পাশাপাশি সমান্তরালে আরো বেশকটি সিরিজ চলবে, ইন শা আল্লাহ।
রাব্বে কারিম তাওফিক দান করুন। আমীন।
দোয়ার দরখাস্ত।
পরামর্শ ও সংশোধনী থাকলে, জানানোর বিনীত অনুরোধ থাকল।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
 
- শায়েখ আতিক উল্লাহ (হাফিযাহুল্লাহ)

বিংশ শতাব্দীর জাহিলিয়াত, পৃ: ৩৭৮

"একালের শিক্ষিতা যুবতী মেয়ে সবদিক দিয়েই মুক্ত, স্বাধীন। তাদের গর্ভে যদি কখনও সন্তানের জন্ম হয়, তাহলে তারা নিশ্চয় শিশু সন্তানের মন-মগজে ইসলামী আকীদা-বিশ্বাসের বীজ বপন করবে না। কেননা তারা নিজেরাই তার প্রতি বিশ্বাসী নয়, তাদের বাস্তব জীবনযাত্রার ওপর ইসলামের একবিন্দু প্রভাব নেই; বরং তারা ইসলামী রীতি ও বিশ্বাসের প্রতি বিদ্বেষী, শত্রু-ভাবাপন্ন। তারা ইসলামকে রীতিমত ঘৃণা করে।
.
এক্ষণে ইহুদী-খৃষ্টান জগৎ নিশ্চিন্তে বিশ্রাম গ্রহণ করতে পারে। বিগত দুই শতাব্দী কাল ধরে যে প্রাণপণ চেষ্টা তারা চালিয়েছিল, তা এখনও চালিয়ে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। মুসলিম দ্বীন প্রচারকারী ও সাধারণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমটা তারা এ যাবত করে এসেছে তার দায়িত্ব এখন পালন করে চলছে মুসলিম পরিবার ও সমাজের সেই মেয়েরা, যারা তাদের শিক্ষা ও চরিত্র পেয়ে মনে-প্রাণে-চরিত্রে খৃষ্টান-ইহুদী হয়ে গেছে। তাদের গর্ভে এখন আর মুসলিম সন্তানের জন্ম হয় না।
.
তারা হয় খৃষ্টান-ইহুদীদের চক্রান্তে পড়ে সন্তান প্রসব ছেড়েই দিয়েছে, আর নয় কোনো সন্তান প্রসব করলেও তার মন-মগজে ইসলামী আকীদার বীজ তারা বপন করে না। ফলে খৃষ্টান-ইহুদীদের সেই সর্বাত্মক চেষ্টা-প্রচেষ্টা এখন অপ্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
.
~ উস্তায মুহাম্মাদ কুতুব [রাহ.]
.
.
[বিংশ শতাব্দীর জাহিলিয়াত, পৃ: ৩৭৮]

 

নারী

 

নারী হলো আগুনের মতো, হালালভাবে সম্পর্ক হলে ফায়দা পাবেন। হারামভাবে সম্পর্ক হলে নানা ধরনের ক্ষতির মুখে পতিত হবেন।

Wednesday, June 14, 2023

Ten Tips for Raising Trilingual Children

Ten Tips for Raising Trilingual Children 

Alhamdulillah my children are trilingual, speaking Arabic, Farsi, and English. 

I'm an Arabic-speaking Egyptian and my husband is a Farsi-speaking Iranian. We are both also bilingual with English. 

When we had our first child eleven years ago alhamdulillah, we knew immediately that we wanted to teach him all three languages, not only English.

We want to raise strong Muslim children with an unwavering Islamic identity and a clear, unambiguous attachment to Islam and all its symbols, including its languages. The language of the Quran is Arabic, as well as hadith, tafseer, and other fields of Islamic knowledge. If parents have an opportunity to pass on this language, it is an important vehicle for gaining direct access to the Quran and sunnah and scholarly works. 

Yet there are other languages too, that are the mother tongues of many traditional Muslim lands: Farsi, Urdu, Bangla, Turkish, Swahili, and others. In these languages, Islamic words and concepts are embedded. Words for concepts like Haya' ( حياء: modesty, shyness, bashfulness), `ayb (عيب : social shame, socially or morally unacceptable), tarbiya (تربية : childrearing, nurture and raising of children), for example, are deep concepts from an Islamic paradigm which do not have a one-word equivalent in the English language. 

Thus, to lose our original Muslim languages would be to lose a part of our Islamic knowledge and Islamic identity.

We, as Muslim parents, want to raise our children like lions raising cubs: with pride, honor, and `izzah (عزة : honor, dignity) in Islam. We want our children to hold their heads high, fully content with Islam as their deen and perfectly comfortable in their own skin as practicing Muslims who talk the talk and walk the walk. No hesitation, no self-doubt, no inferiority complex. No self-hating wish to be something other than what they are: Muslims from a Muslim background speaking a Muslim language. 

No sad desire to morph into something foreign or alien, or to contort themselves and bend over backwards to fit themselves into someone else's mold to try to curry favor or gain acceptance or approval. Running after others outside the deen, trying to chase approval or validation externally, is a sign of a colonized mind.

Language is incredibly important. 

The words we speak affect the way we think and the way we understand the world.

So don't let go of your original mother tongue with your children, because of wanting to "fit it" in America or because of laziness or because of the convenience of English. 

My tips for teaching multiple languages to your children:

1. You model it for them. Speak to them in your language. You can't expect your children to speak in your language if you are constantly speaking in English yourself. They will simply follow you. 

2. Require your children to speak to you in your language. If taught from a young age, your children will get used to this inshaAllah quickly. Some parents speak to their children in Arabic or Urdu, but don't require the kids to respond in the same language back. So the kids just reply to their parents in English, and English is the language that sticks, while Arabic or Urdu fade away. 

3. Have clear rules and then be consistent. Children need consistency and are thrown off by inconsistencies or chaos. For example, the rules can be that we ONLY speak English at school or at the park with English-speaking friends, and we ONLY speak Arabic at home. Whatever rule you make, stick to it yourself and also hold your children accountable for following the rule as well. 

4. If, like in my family's case, the mother speaks one original language and the father speaks another, this adds another interesting layer of complexity. Now we move from bilingual (two languages) to trilingual (three languages). Don't be scared or shy away from teaching your children all three languages! It is quite doable and even easy inshaAllah. So don't limit your children with artificial limits: children are like little sponges and absorb knowledge quickly and naturally mashaAllah! 

5. If #4 applies to you, use the method called One Parent, One Language (OPOL). My husband and I did this instinctively without knowing it was a thing. For example, I speak to my children exclusively in Arabic, and they speak to me exclusively in Arabic. My husband speaks to them exclusively in Farsi, and they speak to him exclusively in Farsi. Be consistent. Don't keep switching things around, and the children will not be confused inshaAllah.

We've been so consistent with Mama Arabic, Baba Farsi for so long alhamdulillah, that now when we want to joke as a family, I'll say something in Farsi and my husband will say something in Arabic. The kids laugh like it's a hilarious joke!

My husband and I speak to each other in English mostly (with some Arabic and some Farsi sprinkled in too!). The children speak to each other in a fascinating mix of all three, plus some hilarious made-up words of their own invention, too. 😅 The more the merrier!

6. Never show annoyance or punish your child for forgetting a word in one of the languages. This can happen sometimes. No worries. Help them translate it, and they will remember it next time inshaAllah. Don't put too much pressure on your children. 

7. For a young child, repeat what was said in English in Arabic/ Farsi/ Urdu/ etc. So that they have the words to express the same events or ideas across all the languages. We don't want the non-mainstream languages to fall behind. 

8. Reinforce the non-mainstream languages elsewhere to bolster them in the mind and on the tongue of your child. For example, ask your Arabic-speaking relatives to speak to your children in Arabic and not in English. Gently but consistently remind the aunts, uncles, cousins, and grandparents to stop using English words and speak fully in Arabic to your children, if it's possible. If you allow your children to watch TV, do not allow that to all be in English. Give them shows in Arabic or Urdu to watch too, to reinforce the language. 

9. Expand the vocabulary base. Do not speak the Islamic language only as a limited kind of "baby" language, thus ensuring that your children outgrow the language as they get older. If you only teach your children very basic Arabic/ Urdu/ etc, they will only know how to say basic, simple sentences and will not be able to express themselves fully in a deep or meaningful way as they grow and their ideas become more sophisticated. As they get more advanced in their thinking, supply woth with advanced words and phrases in your language to keep up with their level of thought and speech. Otherwise, they will simply switch to the language they can more fully verbalize their thoughts in, which will end up being just English.

10. Read books in your language, even books that are not written in your language! When my children were little, I would check out children's books from our local public library. When I'd sit down with my kids to read to them, I would read them the English book entirely in Arabic, translating in real time in my head as we looked at each page. My kids couldn't read anyway at that stage, so they didn't know any better!! To them, all the public library books were in Arabic! 😄

(Don't worry, in case you're wondering, as my children got older, I would read the books in both languages, English and Arabic.) 

Dear parents, the important thing is for you to know that it's very much possible for you to teach your children multiple languages and for you to have confidence.

Our children will naturally mimic us and absorb whatever we offer them. 

Let us offer them `izzah (عزة), honor, dignity, and pride in Islam by passing on to them the languages of our rich Islamic traditions and beautiful wholesome cultures. Do not cave to the modern pressure to adopt foreign non-Muslim ways or to abandon your own Muslim ways in favor of some other "superior" language. 

Nothing is superior to Islam.

- Umm Khalid 

বিদেশে দেশে


দীর্ঘ আট বছর,, প্রবাসে কাটিয়ে যখন কাউ কে না জানিয়ে বাড়িতে আসি সবাই কে সারপ্রাইজ দিবো বলে। বাড়িতে এসে আমি নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে যাই। কারণ আজকে আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ে অথচ আমাকে কেউ একবার বলেনি। আমি বাড়িতে আসায় কেউ খুশি হতে পাড়েনি। আমি ভালো ভাবে বুঝতে পারছিলাম। কারণ তাদের চেহারায় খুশির চেয়ে বিরক্ত ভাব টা বেশি ছিলো। সবার সাথে কোশল বিনিময় করে ঘরে যাই।তখন বাবা আমার পিছন পিছন পিছন আসে।

বাবা :কিরে নিলয় হঠাৎ বাড়িতে চলে আসলি যে কোন সমস্যা হইছে। 
— না বাবা সমস্যা হয় নাই তোমাদের দেখতে মন চাইলো তাই চলে আসলাম। 
বাবা : ওওও তা আবার কখন যাবি 

(বাবার কথা শুনে কিছু টা অনেক টা অবাক হলাম এই মাএ বাড়ি আসলে আর এখন জিজ্ঞেস করছে কখন যাবি। একটা মুচকি দিয়ে বললাম) 

– কিছু দিন পর চলে যাবো বাবা,, 
বাবা : ওহ্ এখন না এসে কিছু দিন পর আসতি।এখনো অনেক লেনাদেনা বাকি আছে আমাদের। 

বাবার কথা শুনে কিছু বললাম না,, তখন মা বললো 

মা : কিরে বাবা চলে আসলি কেন কোন সমস্যা হইছে 
— না মা সমস্যা হয় নাই। এমনি আসলাম তোমাদের দেখতে। 
মা : ওও আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে আর,, আজকে আবার রাকিবের বিয়ে তুই যাবি নাহ্ তোর ভাইয়ের সাথে। 
— নাহ্ মা আমি আমি ক্লান্ত,, তাই যাবো নাহ্ 

আমি আমার মা বাবার কথা শুনে অনেক টা অবাক হলাম। বড় ছেলে বিয়ে করে নাই। তাকে জিজ্ঞেস করে ছোট ভাইয়ের বিয়েতে যাবে কি নাহ্।সবাই ছোট ভাইয়ের সাথে চলে গেলো শুধু মা ছাড়া। সারা দিনের জার্নি করে আমি অনেক টা ক্লান্ত।তাই কিছু না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি ঘুম ভাঙ্গে মানুষের হইচই শুনে। বুঝতে পারলাম বউ নিয়ে চলে আসছে এর মধ্যে ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বা দেখা হয় নাই। ওই ভাবে শুয়ে আছি আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করেনি আমি কিছু খেয়েছি কি না। একটু পর ছোট বোন আসলো। 

মোন্তাহা : ভাইয়া কেমন আছো তুমি 
— ভালো তুই কেমন আচ্ছিস 
মোন্তাহা : ভালো ভাইয়া তুমি মনে হয় সকাল থেকে কিছু খাওনি 
— আরে তেমন কিছু না খাওয়া হইছে আমার 
মোন্তাহা : ভাইয়া তুমি মিথ্যা টা ও ভালো ভাবে বলতে পারো নাহ্। তুমি বসো আমি খাবার নিয়ে আসি। 

মানুষ বলে মা নাকি মুখ দেখে সন্তানের দুঃখ বোঝে কিন্তু আমার বেলা উল্টো। আমার আম্মুর মনে নাই আমি বাড়িতে আসছি।এতো খন যার সাথে কথা বললাম। সে হলো আমার ছোট বোন। এক মাএ আমার ছোট বোন আমার চেহারা দেখে বলতে পারে আমি কি চাই। তাই তো বুঝতে পারছে আমি কিছু খাই নাই।কিছু খন পর খাবার নিয়ে আসলো 

মোন্তাহা : ভাইয়া খাবার টা খেয়ে নাও। 
— হুম। 
মোন্তাহা : ভাইয়া একটা কথা বলি। 
— হুম বল কি বলবি। 
মোন্তাহা : আমার হাতে খাইয়ে দিবো তোমাকে। 
— হুম দে অনেক দিন হলো কারো হাতে খাবার খাই না। 

তার পর ছোট বোন।খাবার খাইয়ে চলে গেলো।রাতের বেলা সবাই আমার ঘরে আসলো। সাথে ছোট ভাই ও ছিলো আম্মু বললো। 

মা : নিলয় কি নিয়ে আসলি আসার সময়। আমাদের একটু দেখা 
— এনে ছিলাম অনেক কিছু। কিন্তু কা কে দিবো বুঝতে পারছি না।

 তখন বাবা বললো। 

বাবা : কা কে দিবি মানে আমরা তোর পরিবার আমাদের কে দিবি। 

 একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম। 

 – তোমরা আমার পরিবার 

বাবা : কেনো 
— নাহ্ এমনিম আমি এখন কিছু খুলতে পারবো নাহ্। দুই দিন পড়ে খোলবো।

তারপর সবাই চলে গেলো কি আজব দুনিয়া। আমার থেকে তাদের কাছে জিনিসের দাম টা বেশি। দেখতে দেখতে দুই দিন কেটে গেলো দুই দিন পর 

চলবে 🥰

ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

Saturday, June 10, 2023

শাইখুনা হারুন ইজহার হাফিযাহুল্লাহর আজকের কুরআনের দারসের ব্যক্তিগত কিছু নোটসঃ

শাইখুনা হারুন ইজহার হাফিযাহুল্লাহর আজকের কুরআনের দারসের ব্যক্তিগত কিছু নোটসঃ 
(আল্ কুরআনের দারস - Al Quraner Dars পেইজে খুব শীঘ্রই ভিডিও আসবে, সবাই যুক্ত হই ইনশাআল্লাহুল আযিয)



১) ওয়াজ করা ও শোনা উভয়ই ফ্যান্টাসি যদি আমলের নিয়্যাত না থাকে, যে পরিমাণ কথাবার্তা প্রচার ও শোনা হচ্ছে সে পরিমাণ পরিবর্তন সমাজে দেখা যাচ্ছেনা। 
২) ব্যক্তিগত পর্যায়ে আবেগ অনুভূতির সাথে কুরআনের চর্চাকে বাড়িয়ে দিতে হবে, কুরআন চর্চার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ থাকা চাই। 
৩) আল্লাহ তার রাসূল (ﷺ) কে যেভাবে কুরআন চর্চা করিয়েছেনঃ গভীর রাতের আধারে, সেভাবে আমাদেরকেও রাতের বেলা কুরআনকে ধারণ করতে হবে, এই সময়ে কুরআনকে আত্মস্থ করা অধিক সহজ। 
৪) আমরা মানুষদেরকে অনলাইনের মাপকাঠিতে বিচার করি। কিন্তু উচিত ছিল ব্যক্তির অতীত-বর্তমান, আলেমের যোগসূত্র, দাওয়াতি কার্যক্রম ইত্যাদি সম্পর্কে খবর নেওয়া। 
৫) ফেসবুক কেন্দ্রিক মুজাহাদা, যুহদ, দাওয়াত ইত্যাদিকে মাপকাঠি ধরে শাইখের (হারুন ইজহার) কার্যক্রম বিচার করা যাবেনা। অফলাইনে এসে খোঁজ নিয়ে বিচার করুন। 
৬) স্বল্পসংখ্যক লোকদের দিয়ে আল্লাহ তার দ্বীনের কাজ করান। 
৭) উচ্চবিত্ত নিম্নবিত্তের সংঘাতের মধ্যে দিয়ে দ্বীনের কাজ হয়।
৮) হাদিসের ভাষ্যমতে - কথা বলার সময় বেশি সুন্দর করে কৃত্রিমতা মিশ্রিত কথা বলা নিফাকের আলামত। কিছুটা আটকে কথা বলা ও অন্তর থেকে ভেবে ভেবে কথা বলা খাটি ঈমানের আলামত। (তিরমিজি, বুখারীর হাদীসের ব্যাখ্যা অনুসারে)
৯) নবীদের তাদের নবুওয়্যাতের উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হয়। কিন্তু বেলায়েত/ওলী দের বিষয়গুলো স্থায়ী-চূড়ান্ত কিছুনা।
১০) বেশিরভাগ আল্লাহর প্রিয় বান্দারা/ওলীরা লোকচক্ষুর গোপনে থাকে। তাদের থেকে পরোক্ষভাবে দুআ নিতে হবে। (এই পোস্ট যেই পড়বেন Mashwara Official এর কবুলিয়্যাতের জন্যে দুআর দরখাস্ত- এটুকু শাইখের কথা না)
১১) দাওয়াতী মেজাজের মধ্যে সামাজিক অবস্থা বুঝতে হবে। 
১৩) তাত্ত্বিক বইপুস্তক বেশি পড়লে দাঈ হওয়া যায়না।
১৪) কুরআনুল কারীম সমাজবিজ্ঞাণের যাবতীয় কিতাবাদি থেকে শ্রেষ্ঠ। কুরআন সমাজবিজ্ঞাণ শেখার সর্বোত্তম গ্রন্থ। 
১৫) সুরা ইবরাহীম, আয়াত: ২১, ৩১৷ সূরা আহযাব, আয়াত ৪৭, ৪৮, ৬৭। সূরা বাকারাহ, আয়াত: ১৬৬, ১৬৭। এই আয়াতগুলো ভালো করে বুঝে বুঝে পড়বো, সংশ্লিষ্ট তাফসীর পড়বো।
১৬) কেয়ামতে উচ্চবিত্ত নিম্নবিত্ত এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করবে।

১৭) সুরা বাকারাহর ভাষ্যমতে, কিয়ামতের ময়দানে বড়রা ছোটদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আযাব দেখতে পাবে, মূলত দুনিয়ার সকল পারস্পরিক সম্পর্ক ছিন্ন হবে। 
১৮) দুনিয়ার জীবনে হিদায়াত সবার পিছনে ঘুরছে, হিদায়াত আল্লাহ সবার জন্যে সহজ করে দিয়েছেন, হিদায়াত চাইলেই পাওয়া যায়। কিন্তু, কিয়ামতে অনেকেই হিদায়াত চাইবে কিন্তু পাবেনা। কারণ, দুনিয়াতে তুমি হিদায়াত চাওনাই তাই পাওনাই কিন্তু তা তোমার নিকটবর্তী ছিল। আখিরাতে তুমি হিদায়াত চাইবে কিন্তু পাবেনা, কেননা হিদায়াত এখন আর তোমাকে ধরা দিবেনা। 
১৯) পরিবার ও শিক্ষাক্ষেত্রে প্রচুর মেহনত দরকার, দাওয়াতের অন্যতম মূলক্ষেত্র, জাহেলিয়্যাতের উত্থান-পতনের কেন্দ্রবিন্দু। আমরা প্রত্যেকেই জালেম, কেউ আল্লাহর থেকে হিদায়াত চাইনা।
২০) কিয়ামতের অন্য নাম: ইয়াউমুল হাসরাহ, ইয়াউমুল তাগাবুন, ইয়াউমুল তাগাদ। যথাক্রমে বাংলা: আফসোসের দিন, লোকসানের দিন, ডাকাডাকির দিন। 
২১) সবর ও তাওয়াক্কুল চাইতে হয় মুসিবতের সময় আল্লাহর কাছে। যেকোন মুসিবত ক্ষণাস্থায়ী, ঈমানের পরীক্ষা। আল্লাহ প্রদত্ত সবর-তাওয়াক্কুল গুণের তৌফিকেই এথেকে উত্তরণ সম্ভব। 
২২) হাদীসের ভাষ্যমতে, মুমিনদের উদাহরণ ছোট চারাগাছের মতো। চারাগাছ যেমন সবসময় বায়ূপ্রবাহে এদিক-ওদিক হেলেদুলে থাকে, তেমনি মুমিনের জীবনেও ছোটখাটো কষ্ট ও বিপদ লেগেই থাকে। যাতে সে সবসময় আল্লাহমুখী থাকে এবং অসংখ্য সওয়াবের অধিকারী হতে পারে। মুনাফিকের উদাহরণ বৃহৎ বৃক্ষের মতো- সামান্য বাতাস যার গায়ে লাগে না সত্য, কিন্তু প্রমত্ত ঘূর্ণিঝড় তাকে একেবারে সমূলে উৎখাত করে দেয়। যেদিন পড়বে সেদিন আর দাড়াতে পারবেনা। 
২৩) যদি কোন টগবগে যুবক যৌন চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় ও এর জন্যে আল্লাহর কাছে তৌফিক চায় তবে আল্লাহ তার চরিত্র সংরক্ষণের তৌফিক দিবেন। চাইতে হবে, ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। 
২৪) বয়ানে সকলের উদ্দেশ্যে এলান: হে নিম্নবিত্তরা আজ তুমি উচ্চবিত্তদের অমান্য করতে শুরু করো, যেন আখিরাতে বেচে যাও, ফেসে না যাও। 
২৫) সুরা যুখরুফ ৫১ নং আয়াতে ফেরাউন সম্পর্কে আল্লাহ যা বুঝিয়েছেন তা ভালোভাবে বুঝতে হবে। অহংকারবশত মানুষ অন্যকে নিচু চোখে দেখা শুরু করে, এই স্বভাব আমাদের মধ্যে থেকে থাকলে, পরিহার করতে হবে।
২৬) শাইখের প্রশ্ন: ফেরাউনের কথা বারবার কুরআনের আলোচনায় এসেছে কেন? কারাগারে অবস্থানকালীন দুজনের কথোপকথনে এর উত্তরে মুফতি কাজী ইবরাহীম হাফিযাহুল্লাহ বলেছিলেন, ফেরাউনকে প্রতীক হিসেবে দিয়েছেন আল্লাহ যেন কিয়ামত পর্যন্ত সব অহংকারীদের জন্যে তা উজ্জ্বল শিক্ষা হয়ে থাকে।  
২৭) সুলাইমান - বিলকিসের ঘটনা ফেরাউন-মুসার বিপরীত। কেননা তখন উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তের দিকে দাওয়াত যাচ্ছে।
২৮) বাংলাদেশে আপাতত দাওয়াত ছাড়া আর কোন কর্মপন্থা নেই। আপাতত শব্দটি ভালোভাবে লক্ষণীয়। 
২৯) খেল|ফত কায়েমের টেনশনে অনেকের ফজর, তাহাজ্জুদ আদায় হয়ে উঠেনা। এসব ফেসবুকীয় ফ্যান্টাসি বাদ দিতে হবে। 
৩০) সুরা গাফিরের আয়াত ২৮-৪৫ আয়াত বুঝায় দাওয়াত পরিপূর্ণ ব্যর্থ/বিফলে যায়না। কিছু হলেও কাজ করে। জালিমের উপরে দাওয়াত কাজ না করলেও তার আশেপাশের মানুষদের মাঝে এর প্রভাব পড়বে। 
৩১) দ্বীনের দাওয়াত দিলে কিছু হলেও প্রভাব পড়বে। দাওয়াত দিয়ে কাজ হবেনা যারা বলে তাদের কথার কোন ভিত্তি নেই। তারা বাস্তব জগত থেকে অনেক দূরে। 
৩২) বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা: দাওয়াতের দুর্বলতা।
৩৩) হিদায়াত পুরোটাই আল্লাহর কর্তৃত্বাধীন, আল্লাহর থেকে চেয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া আছে। দাওয়াত দিতে হবে, ব্যক্তির হিদায়াত চাইতে হবে, এরপরেই কেউ হিদায়াতের পথে আসবে, দ্বীনের পথে চলতে পারবে। 


#HarunIzhar (গুরুত্বপূর্ণ হ্যাশট্যাগ- এক ক্লিকে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ার সুযোগ) 

True beautiful woman!

Every woman wants to be beautiful, really beautiful.

But no amount or brand of makeup or cosmetic procedures will make you as beautiful as haya' will make you. 

Haya' makes a woman stunningly beautiful. 

Haya', الحياء: that elusive internal and external quality of modesty, humility, bashfulness, shyness. Refraining from indecency and immortality out of an instinctive self-preservation. 

Haya' is for both men and women, but its absence in especially women is jarring and disturbing. 

An average-looking woman with haya' is absolutely beautiful. 

A physically pretty woman without haya' is ugly. 

The Arab saying goes, 

جمال بلا حياء وردة بلا عطر.

Beauty without haya' is a rose without fragrance. 

Empty. Superficial. Disappointing. 

The essence is gone. 

Just as the essence of a rose is its beautiful fragrance, the essence of a woman is her beautiful haya'. 

Without the essence, there is just an empty shell. 

Haya' is deeply embedded within the female fitra, the natural inclination and instinct of a woman. 

Haya *is* femininity. 

Allah tells us about feminine, haya'-ful women in the Quran:

1. Maryam عليها السلام: 

Maryam was intense in her level of haya'. As soon as she sees the angel in the form of human man, she seeks to preserve her haya' immediately. 

قَالَتْ إِنِّىٓ أَعُوذُ بِٱلرَّحْمَـٰنِ مِنكَ إِن كُنتَ تَقِيًّۭا

"She appealed, “I truly seek refuge in the Most Compassionate from you! ˹So leave me alone˺ if you are God-fearing.”

قَالَ إِنَّمَآ أَنَا۠ رَسُولُ رَبِّكِ لِأَهَبَ لَكِ غُلَـٰمًۭا زَكِيًّۭا

He responded, “I am only a messenger from your Lord, ˹sent˺ to bless you with a pure son.”

قَالَتْ أَنَّى يَكُونُ لِي غُلَامٌ وَلَمْ يَمْسَسْنِي بَشَرٌ وَلَمْ أَكُ بَغِيًّا

She wondered, “How can I have a son when no man has ever touched me, nor am I unchaste?”" (Surat Maryam, 18-20)

2. Daughters of Shu`ayb: 

After Musa عليه السلام watered the flock of two women whom he later found out were the daughters of Shu`ayb, one of them came back toward him to tell him that her father wants to speak with him. But how does she walk as she approaches him? 

فَجَآءَتْهُ إِحْدَىٰهُمَا تَمْشِى عَلَى ٱسْتِحْيَآءٍۢ قَالَتْ إِنَّ أَبِى يَدْعُوكَ لِيَجْزِيَكَ أَجْرَ مَا سَقَيْتَ لَنَا...

"Then one of the two women came to him, walking bashfully. She said, “My father is inviting you so he may reward you for watering ˹our animals˺ for us..."" (Surat Al-Qasas, 25)

The literal translation of the words "تَمْشِى عَلَى ٱسْتِحْيَآءٍۢ " is: "she walks on top of haya'." She has attained such a high level of haya' in her mannerisms and actions and behavior that when she walks, she walks *on top of* haya' itself! This is a linguistic exaggeration, or a metaphor, to show her beautiful demeanor of haya'.

Additionally, when one of these girls wanted to marry Musa, she did not make a direct statement or an obvious request. To do so would lessen her feminine haya'. So what she did was gently suggest to her beloved father that he hire Musa for work, praising Musa as strong and trustworthy. And just from this subtle, indirect comment alone, the father understood his modest daughter's message, and he opened the marriage discussion with Musa. 

قَالَتْ إِحْدَىٰهُمَا يَـٰٓأَبَتِ ٱسْتَـْٔجِرْهُ ۖ إِنَّ خَيْرَ مَنِ ٱسْتَـْٔجَرْتَ ٱلْقَوِىُّ ٱلْأَمِينُ 

"One of the two daughters suggested, “O my dear father! Hire him. The best man for employment is definitely the strong and trustworthy ˹one˺." (Surat Al-Qasas, 26)

3. Wives of the Prophet ﷺ:

The righteous, honored wives of the Prophet ﷺ were all women of immense haya'. 

يَـٰنِسَآءَ ٱلنَّبِىِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍۢ مِّنَ ٱلنِّسَآءِ ۚ إِنِ ٱتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِٱلْقَوْلِ فَيَطْمَعَ ٱلَّذِى فِى قَلْبِهِۦ مَرَضٌۭ وَقُلْنَ قَوْلًۭا مَّعْرُوفًۭا

"O wives of the Prophet! You are not like any other women: if you are mindful ˹of Allah˺, then do not be overly effeminate in speech ˹with men˺ or those with sickness in their hearts may be tempted, but speak in a moderate tone.

وَقَرْنَ فِى بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ ٱلْجَـٰهِلِيَّةِ ٱلْأُولَى...

And settle in your homes, and do not display yourselves as women did in the days of ˹pre-Islamic˺ ignorance..." (Surat Al-Ahzab, 32-33)

Now we have a clearer picture of the woman with haya'. 

Let's make a list of concrete and actionable points, to better understand and pin down this beautiful, elusive quality of feminine haya':

1. A woman of haya' is dignified in her speech. She is classy, not crass or crude in her words. Cursing or swearing is the opposite of haya'.

2. She is subtle and delicate in her words and gestures. She is never brazen or bold.

3. She guards her chastity diligently. She is as far as it is possible to be from sexual scandal, sexual immorality, displays of lust or brazenness.

4. She avoids speaking to strange men. If she *must* speak to a non-mahram man, she does not soften her voice or use sweet words or laugh or giggle at him. Such displays of her lovely femininity are reserved for her husband and kin. 

5. She avoids interactions with strange men. She does not approach them or walk to or around them. But if she *must* do so, then she walks on haya' as the daughter of Shu`ayb did. 

6. She avoids any sort of prolonged eye contact with strange men. Part of haya' is lowering the gaze. She does not look into the eyes of a non-mahram man or openly stare or allow him access to eye contact with her. 

7. She is dignified in her thoughts and noble in her niyya (نية, intentions). She does not have ill will or malice in her heart or immoral or lustful thoughts in her mind. 

8. When she is outside in public, she is demure, quiet, reserved. She is calm and collected. She is never loud, ostentatious, attention-grabbing. The opposite would be a woman who yells or bellows in public, laughs uproariously, or talks loudly even if it's with her female friends. 

9. She guards her beauty, covering her body and her natural feminine adornments with appropriate hijab when she goes out. She is careful not to have skin or hair showing in the presence of men. Her clothes are long, loose, flowy. Some modern examples of a failure of haya' are trends like the turban hijab, skinny jeans, short or tight tops, high heels, etc. 

10. She stays home generally, only leaving the safety and peace of her domestic domain when necessary. She knows her priorities and does not flit from place to place all day every day, party-hopping and only coming home to sleep after being out all day. Her home is her sanctuary, in which she is settled like a queen. 

A woman of dignity and decorum. 

A woman of propriety and piety. 

A woman of iman and taqwa.

Her haya' is transformative: it turns her from a woman into a feminine lady, and it turns her prettiness into true beauty.



- Umm Khalid