Saturday, April 26, 2025

Modern Women

Modern Women Think They’re Better Than Men—And Now They’re Armed for the Kill

Once upon a time, women pretended to submit. Played soft. Cooked stew with silence. Acted like they needed a man.

But that era is dead.

Now? They don’t just compete—they come for your throat.

Let’s stop acting confused.

Women have always resented men.
They just didn’t have the tools to show it.
Now they do—and the mask is off.

Let’s break it down:


1. Men Died at War—So They Never Got to See the Wives They Married

For centuries, men went to war and died young. They never lived long enough to find out their sweet “helpmate” was actually harboring silent contempt.

She wore the apron. But under it? A sword.

He died thinking he married peace.
Meanwhile, she lived long—and rewrote the story.

Now we know better.


2. The Less Power Women Had, The Sweeter They Pretended to Be

They had no votes. No jobs. No political leverage.

So they smiled.
They served.
They seduced.

But now that they’ve been handed equality?

It’s not gratitude you’re getting—it’s revenge.

They don’t want to partner with men—they want to outperform, outshine, and outlive you.


3. Birth Control Changed the Game—And Killed Monogamy

There was a time when sex meant consequences.

Now? She can sleep with the football team, and still post Bible quotes by Sunday morning.

Birth control removed the risk—and revealed the truth:

Women are not naturally loyal. They’re just risk-averse.

Take away the risk? And watch the body count grow.


4. The Dildo Replaced the Dependency

Before now, a woman needed a man for release.

Now? She needs a battery.

And that battery never cheats, never argues, and never forgets birthdays.

You? You’ve been demoted.

Not just from husband—but from human.


5. DNA Tests Crushed the “Sacred Mother” Myth

Let’s talk about it:

1 in 3 DNA tests come back negative.
Wrap your head around that.

That means a third of the time, men are raising kids that don’t belong to them—while being told “trust your queen.”

That’s not motherhood.
That’s fraud with lipstick on.

And in some countries, like France, it’s illegal to test at all.

Because the truth is too inconvenient.


6. Social Media Didn’t Make Women Worse—It Just Gave Them a Microphone

The girl who used to whisper slander to her friends now has a TikTok with 1 million views.

Now she teaches your daughter that marriage is oppression,
femininity is slavery,
and good men are clowns.

And if you respond?

You’re “insecure,” “abusive,” or worse—“not alpha enough.”


7. Divorce Is the Final Blow—and the Cleanest Escape Plan

80% of divorces? Filed by women.

Because the moment she’s “unhappy,” the state steps in with legal weapons.

She gets the kids. The house. Your peace.

You get therapy.

She didn’t marry for legacy. She married for leverage—and cashed out.


Final Word: They Don’t Want Men—They Want Superiors They Can Destroy

Modern women say they want love—but watch how they treat the men who give it.

They don’t want equals. They want thrones.

They don’t want peace. They want power.

They don’t want marriage. They want options.

So the next time a woman says, “Where have all the good men gone?”

Tell her:

They left when they realized this was never about partnership.

It was war.

And the enemy doesn’t wear armor anymore—she wears lashes, heels, and a degree in psychological warfare.

Let the truth-triggered come for blood.

The floor is yours.

#truthhurts



How to get great job & career ?

আপনার চাকুরি দরকার? ব্যবসার মূলধন নেই?
রিযিকের ব্যাপারে পেরেশানিতে ভুগছেন? বিপদ-আপদ,দুঃখ-দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি চাচ্ছেন? বিয়ে হচ্ছেনা? সন্তান দরকার? পার্থিব জীবনে সমৃদ্ধি দরকার? ফসল-ফলাদির ভালো ফলন দরকার?

আপনার সব কিছুর সমাধান একটা আমলের মধ্যে রয়েছে,তা হচ্ছে- ইস্তিগফারের আমল। ইস্তিগফারকে নিজের জীবনে আবশ্যক করে নেন। চলতে,বসতে,ঘুরতে সব সময় ঠোঁটে ইস্তিগফারের আমল জারি রাখুন।

হাদিসে এসেছে যার মূল বক্তব্য মোটামুটি এই রকম," যে ব্যক্তি ইস্তিগফারকে নিজের জন্য আবশ্যক বানিয়ে নিবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য প্রতিটি সংকীর্ণ অবস্থা থেকে বের হওয়ার পথ খুলে দিবেন,তার প্রতিটি উদ্বেগ-অস্থিরতা দূর করে দিবেন। এবং তাকে কল্পনাতীত উৎস থেকে রিযিক প্রদান করবেন।"

হাসান আল বসরি রাহিমাহুল্লার বিখ্যাত সেই ঘটনা আমরা অনেকেই জানিঃ

"একবার হাসান বসরী রাহ. এর কাছে এক ব্যক্তি জানালো “ আমার ফসলে খরা লেগেছে। আমাকে আমল দিন” হাসান বসরী তাকে বললেন এস্তেগফার করো। কিছুক্ষণ পর আরেক ব্যক্তি এসে অভিযোগ পেশ করল “আমি গরীব। আমাকে রিজক এর আমল দিন” হাসান রহ. তাকেও বলেলন এস্তেগফার করো। এমনিভাবে অপর এক ব্যক্তি এসে সন্তান হও্য়ার আমল চাইলে তিনি বললেন, এস্তেগফার করো।” উপস্থিত ছাত্ররা জিজ্ঞেস করল, “সবাইকে এক পরামর্শই দিলেন যে?” বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী রহ. বললেন “আমি নিজের পক্ষ থেকে কিছুই বলি নি। এটা বরং আল্লাহ তায়ালা তার কুরআনে শিখিয়েছেন । তারপর তিনি সুরা নুহ এর আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন। (তাফসীরে কুরতুবী ১৮/৩০৩)
 

فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا. يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا. وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا
নুহ আ. বললেন “তোমরা তোমাদের রবের কাছে এস্তেগফার করো। ( ক্ষমা চাও) নিশ্চয় তিনি অতি ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বারিধারা বর্ষণ করবেন। তিনি তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বৃদ্ধির মাধ্যমে তোমাদের সাহায্য করবেন। তোমাদের জন্যে উদ্যান তৈরি করবেন, তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।” (সুরা নূহ- ১০-১২)"

হাদিসে ইস্তিগফারের বেশ কিছু দু'আ এসেছে আমরা সেখান থেকে ইস্তিগফারের দু'আ উল্লেখ করছিঃ

ইস্তিগফার মানে ক্ষমা চাওয়া, আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া। পাপের জন্য লজ্জিত,অনুতপ্ত হওয়া। 

দোয়া-১:
======
মূল আরবীঃ ﺃَﺳﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠﻪَ
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হ।

অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
প্রতি ওয়াক্তের ফরয সালাতে সালাম ফিরানোর পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই দোয়া ৩ বার পড়তেন। [মিশকাত-৯৬১]

দোয়া-২:
======
মূল আরবীঃ ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﺃَﺗُﻮْﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি।
অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে আসছি।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবা ও ইসতিগফার করতেন। [বুখারী-৬৩০৭]

দোয়া-৩:
======
মূল আরবীঃ ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲْ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻲَّ ﺇِﻧَّﻚَ ‏( ﺃﻧْﺖَ ‏) ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢُ ‏( ﺍﻟﻐَﻔُﻮْﺭُ )
উচ্চারণঃ রাব্বিগ্ ফিরলী, ওয়া তুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রাহীম। দ্বিতীয় বর্ণনয় “রাহীম”-এর বদলে: ‘গাফূর’।
অনুবাদঃ হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়। দ্বিতীয় বর্ণনায়: তাওবা কবুলকারী ও ক্ষমাকারী।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন। [আবূ দাঊদ-১৫১৬, ইবনু মাজাহ-৩৮১৪, তিরমিযী-৩৪৩৪, মিশকাত-২৩৫২]

দোয়া-৪:
======
মূল আরবীঃ ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻰُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮﻡُ ﻭَﺃَﺗُﻮﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ

উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলায়হি।

অনুবাদঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবাহ্ করি।

এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন-যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়নকারী হয়। [আবু দাউদ-১৫১৭, তিরমিযী-৩৫৭৭, মিশকাত-২৩৫৩]

দোয়া-৫:
ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দু'আঃসাইয়্যিদুল ইস্তিগফার:

======

মূল আরবীঃ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻲ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ ﺃَﺑُﻮﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﺃَﺑُﻮﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ’উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা।

অনুবাদঃ হে আল্লাহ তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।

যে ব্যক্তি সকাল, সন্ধ্যায় সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার অর্থ বুঝে দৃঢ় বিশ্বাস সহকারে পড়বে, সে ঐ দিন কিংবা রাতে মারা গেলে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। [বুখারীঃ৬৩০৬]



Friday, April 25, 2025

Why Modern Women Act Like Men—And Want Simps as Husband.

Why Modern Women Act Like Men—And Want Simps as Husband.

Let’s not sugarcoat it:

Today’s woman is more “man” than most men.
 (Don't misunderstand me) 

She leads with toughness. She calls submission slavery. She posts quotes like “I’m the table”—but brings chaos instead of calm.

And somehow, peace has become outdated.

Let’s talk about it:


1. She Competes, Not Complements

Modern femininity sounds like:

“I can do what a man can do.” “I don’t need anyone.” “I’m in my soft era—but don’t correct me.”

You try to lead, she argues. You provide, she tests you. You offer structure, she rebels.

It’s not partnership—it’s power struggle.

And men are exhausted.


2. She’s All Alpha, No Aura

The masculine woman wants to win—but doesn’t know what to do after the victory.

She’s a boss at work, but brings boardroom energy into the bedroom.

Every conversation is a debate. Every correction is an insult. Every standard you hold is “controlling.”

Peace? You’ll have to fight for it.

Irony? She doesn’t even know what it means anymore.


3. Feminine Energy Has Been Rebranded as Weakness

Cooking? Oppression. Submission? Misogyny. Respect? Eww.

The woman who smiles, nurtures, and supports gets mocked as “pick me.”

But the one who tweets threats, argues over plates, and brags about being single at 38?

She’s “empowered.”

Yet behind the scenes, she cries in the shower, scrolls through old photos, and wonders why “no good men are left.”


4. She’s a Product of a Broken System

This isn’t all her fault.

The one-income household is extinct. Rent is high. Food is pricey. Life costs money.

So she must hustle too.

And if she must earn, then a BSc isn’t enough. It’s PhD, MBA, double degrees… all before 30.

By the time she finishes climbing corporate ladders, marriage is now Plan C.

So when she enters relationships, she doesn’t enter soft—she enters like a soldier.


5. It’s Not “Social” on Social Media

It’s not connection—it’s conditioning.

The loud minority tells the rest what to do. They glamorize rebellion, flaunt luxury, and parade independence like it’s peace.

Simps fund the show. Fraud funds the lifestyle. And confused young women follow the script, believing soft life comes from hard rebellion.

They don’t know they’re watching a stage play with no happy ending.


6. Men Don’t Want Slaves—We Want Softness

A good man doesn’t want a maid or a mute.

He wants a woman who brings warmth—not warning labels. Support—not suspicion. Joy—not judgment.

But the modern masculine woman sees vulnerability as weakness.

So she guards her heart, hardens her tone, and wonders why her phone stays dry.


7. When Masculinity Fights Masculinity, Everyone Loses

Two captains. One boat. What happens?

Disaster.

That’s what many modern marriages have become—power games with no peace.

Men trying to lead. Women refusing to follow. No one adjusting. Everyone performing.

Meanwhile, single motherhood is rising. Divorce is common. Bitterness is trending.


8. Softness Is Not Stupidity

Femininity is not a downgrade. It’s a superpower.

But the modern script told her to drop it.

Now she’s loud, lonely, and layered in trauma she calls “growth.”

Truth? A woman who embraces peace, grace, and empathy still wins in silence.

But we buried that model.


Final Word: Masculinity Can’t Attract Masculinity

Men don’t want to marry mirrors.

We want a woman who complements, not competes.

If she walks like a man, talks like a man, fights like a man—don’t be shocked when no man wants to marry her.

The rise of masculine women is real.

But the fall of feminine peace?

That’s the real heartbreak.

Monday, April 21, 2025

মাপুন!

আমি মনে করি প্রতিটা মানুষের বাসায় এখন একটা জিনিস থাকা ফরজ। জিনিসটা হচ্ছে দর্জির দোকানের ইঞ্চি/সেন্টিমিটারের ফিতা।
ওয়েট মেশিনের চেয়েও এটা বেশি জরুরী, বেশি জরুরী আপনার বাসায় টুথপেস্ট বা সাবান আছে কিনা তার চেয়ে।
কেন??
সহজ করে বলি।
মানুষেরর কাধ, বুক, কোমর, পেট এবং পাছার মাপ থেকে আমরা বুঝতে পারি, ঐ মানুষটা ডায়বেটিক হওয়ার দিকে যাচ্ছে কি না, তার ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু, তার লিপিড প্রোফাইলে সমস্যা থাকার সম্ভাবনা কতটুকু এবং সে হার্ট এটাকের ঝুকিতে আছে কি না।
হাজার হাজার টাকার টেস্ট আপনাকে যে তথ্য দিতে পারবে তার প্রায় কাছাকাছি এস্টিমেশানে আপনি চলে যেতে পারবেন যদি আপনি শুধু এই ফিতা, নিজের ডায়েট, শারীরিক সমস্যার উপসর্গগুলি এবং বডি ওয়েটকে ঠিকভাবে রিড করতে জানেন। 
আমি একটা কথা প্রায়ই বলি, আপনার শরীরে আপনার আমলনামা লেখা থাকে। যে পড়তে জানে, সে পড়তে পারে।
যাই হোক, ফিতাটা দিয়ে কিভাবে কি বুঝবেন আমি বলি।
ছেলেদের জন্য, নিজের কোমরের মাপ যদি দেহের উচ্চতার ৪৭% এবং মেয়েদের জন্য যদি কোমরের মাপ ৪১% এর বেশি হয়, তাহলে বুঝবেন আপনার শরীর আপনাকে বিপদসংকেত দিচ্ছে। 
ছেলেদের পেটের মাপ যদি বুকের মাপের ৯০% এর বেশি এবং মেয়েদের পেটের মাপ যদি পাছার মাপের ৯০% এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে বুঝবেন আপনার শরীর আপনাকে বিপদসংকেত দিচ্ছে।
এই বিপদসংকেত কি??
এই বিপদসংকেত হচ্ছেঃ
১)আপনার শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে, সামনে হয়তো প্রিডায়বেটিক হবেন, এরপরেও হুশ না ফিরলে ডায়বেটিস হবে
২)আপনার বাড়তি ভিসেরাল ফ্যাট তৈরি হয়েছে
৩)আপনার সম্ভবত ফ্যাটি লিভার হয়ে গেছে, কিন্তু লক্ষণ প্রকাশ হচ্ছে না
৪)আপনার টিজি লেভেল সম্ভবত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আছে
৫)আপনার লো গ্রেড ইনফ্ল্যামেশান আছে যা মিডিয়াম গ্রেডে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র
৬)আপনার সাব ক্লিনিক্যাল স্কার্ভি থাকার সম্ভাবনা আছে
এই বিপদসংকেত থেকে কি বোঝা যায়??
১)আপনি সঠিক ডায়েটে নাই
২)আপনি যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম করেন না
৩)আপনি হেলদি ফ্যাট খান না
৪)আপনি অতিরিক্ত কার্ব খান
৫)আপনি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স(এস্পেশালি ১,২,৩ ও ৬) ডেফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন
৬)আপনি খুব সম্ভবত ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন
আরেকটা বিষয়, ব্লাড গ্লুকোজ মেপে গ্লুকোজ নরমাল দেখে আনন্দে লাফালাফি করবেন না।
টানা কয়েকবার র‍্যান্ডমলি গ্লুকোজ বেশি আসা মানে ঘটনা যা ঘটার ঘটে গেছে।
কিন্তু গ্লুকোজ লেভেল নরমাল থেকেও শুধু হাইপারইনসুলিনেমিয়া থেকে অনেক রকম ড্যামেজ হওয়া সম্ভব।
পুরুষদের ক্ষেত্রে এক নম্বর ড্যামেজ হচ্ছে ফ্যাটি লিভার ও হাই টিজি লেভেল, চলতি ভাষায় হাই কোলেস্টেরল।
নারীদের ক্ষেত্রে এক নম্বর ড্যামেজ হল, ওভারিয়ান সিস্ট। ফ্যাটি লিভার পরে আসবে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে নাম্বার টু হচ্ছে, হাইপারটেনশান,
নারীদের ক্ষেত্রে প্রিডায়বেটিস-ডায়বেটিস। অনেক সময় এগুলো স্রেফ টের পাওয়া যায় না, প্রায় ৭০% ক্ষেত্রেই টেস্ট করে জানতে জানতে অনেক দেরি হয়ে যায়।
পুরুষদের নাম্বার থ্রি হচ্ছে, হাই টিজি বা হাইপারট্রাইগ্লিসারাইডেমিয়া।
নারীদের ক্ষেত্রে নাম্বার থ্রি ড্যামেজ হল ফ্যাটি লিভার।
ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সি মেয়েদের ক্ষেত্রে আরেকটা ঝামেলা ধরায়, ডিপ্রেশন-এংজাইটি-প্যানিক এটাক এবং মুড সুইং।
মুড সুইং নিয়ে আবেগী ফেইসবুক পোস্ট লেখা বাদ দিয়ে নিজের শরীরের মাপ নেন। এরপর দেখেন আপনি কার্ব দিয়ে ভরা ফুড খাচ্ছেন কি না, আপনার ডায়েটে পালংশাক, কাঠবাদাম, কুমড়ার বিচি, শিম, বীফ এসব আছে কি না??
এরপর কানেক্ট করেন।
তাই, যা বলছিলাম, সবাই বাসায় একটা করে ফিতা রাখবেন।
আপনাকে রাইট ডায়েট এবং লাইফস্টাইলে আসতে হবে, বেশি দেরি হওয়ার আগেই।
হাইপারইনসুলিনেমিয়া থেকে সুস্থ হতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং, কার্ডিও ও হিট এক্সারসাইজ করুন।

আরেকটা বিষয়! আমাদের ওয়েট লস ক্যাম্পেইনের থার্ড ব্যাচের রেজিষ্ট্রেশনের আর কিন্তু ৩ দিন বাকি আছে। একই সাথে অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন, তলপেটে মেদ আছে, ফ্যাটি লিভার, হাইপোথায়রয়েড, হাইপারইনসুলিনেমিয়া, পিসিওএসে ভুগছেন এবং বাসায় বসেই প্রফেশনাল নিউট্রিশনিস্টের আন্ডারে থেকে ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা কিন্তু চাইলেই ডেডলাইনের আগে রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলতে পারেন।

 সজল ভাইয়ের লিখা







Sunday, April 20, 2025

নারীর অভিযোগ কথন

বিজ্ঞ লোকের থেকে জেনেছি যে বাই ডিফল্ট নারীর 90% কথা আর 95% অভিযোগ আবেগতাড়িত (সোজা কথা মিথ্যা)।
।।।


ইতিহাসে মহিলাদের সরাসরি ভায়োলেন্সে জড়িত হবার ঘটনা খুব বেশি পাওয়া যায় না। কিন্তু আড়ালে থেকে ষড়যন্ত্র উস্কে দিয়েছে এমন এভিডেন্স প্রায় প্রত্যেক ইতিহাসে পাবেন। বাংলার ইতিহাসে ঘষেটি বেগম, মুঘল সম্রাজ্য কিংবা অটোম্যান আমল হোক- প্রাসাদ যড়যন্ত্রে শাহজাদী-সম্ভ্রান্ত মহিলাদের ইনভল্ভমেন্ট পাবেনই পাবেন।

প্রত্যেক প্রজাতিকে একটা শক্তি দেয়া হয়েছে আবার দূর্বলতাও দেয়া হয়েছে। যেসব প্রাণি দূর্বল তারা অন্য প্রাণির উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। কিছু প্রাণি আছে, অন্য প্রাণীর উপর ডিম পেড়ে চলে যায়। কিছু পরজীবি আছে অন্য প্রাণীর পুষ্টির উপর বেঁচে থাকে। 

একই ভাবে যে জিঘাংসা পুরণ বা ফাইট লড়ার ক্ষমতা নারীর নাই, সেই লড়াই সে কোন ভাবে পুরুষকে দিয়ে করায়। পুরুষের শক্তি পেশি, নারীর শক্তি হলো তার চোখের পানি।  

এই জ্ঞান বর্তমানের পুরুষদের না থাকলেও অটোম্যান স্টেটসম্যানদের ছিল। শাহজাদারা বালেগ হয়ে গেলে তাঁদের সাথে ভালিদে সুলতানদেরও (শেহজাদার মা) সানজাকে পাঠানো হত। এর অন্যতম কারণ ছিল এই যে রাজধানী থেকে দূরে থাকলে মায়েরা ছেলেদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য প্যালেস কন্সপিরেসী করতে পারবে না। 

পারভেজ নবাব নামের এই ছেলেটা পড়ত প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে। ক্যাম্পাসের সামনে পারভেজ তাঁর দুই বন্ধুকে নিয়ে সিঙ্গারা খাচ্ছিল। কাছাকাছি দুই নারী শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছি্লো। তারা ধরে নেয় পারভেজ আর তার বন্ধুরা তাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। তাই তারা কাউকে খবর দেয়। বহিরাগত তিনটা ছেলে এসে পারভেজদের কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা বিষয়টি মিটমাট করে দেন। কিন্তু ঐ তিন যুবক আরও কয়েকজনকে নিয়ে এসে পারভেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হতেই তাঁকে ছুড়িকাঘাত করে। 

একটা ছুড়ির আঘাত ঠিক হৃদপিণ্ডের উপর পড়ে। এক ইঞ্চির একটা ক্ষত! মারা যায় পারভেজ। 

তার বুকে যারা ছুরি চালিয়েছে তারা তো খুনি নিঃসন্দেহে। কিন্তু মুল দায়টা কার? কে উস্কে দিল? এই ছেলেগুলো হয়তো গ্রেপ্তার হবে। জেলে পচে মরবে। কিন্তু যাদের কারনে খুন হলো তাদের কিছুই হবে না। 

তারা আজ সকালেও নাস্তা করে সেজগুজে হয়তো ক্যাম্পাসে যাবে। অন্যান্য দিনের মতো একগাদা এটেনশন ও ভ্যালিডেশন এবং দায়মুক্তি নিয়ে ফিরবে বাসায়। 

এরকম ঘটনা অনেক দেখসি তাই, ভাইভ্রাদের প্রতি পরামর্শ হলো নারীত্বের এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। নারীরা সরাসরি ভায়োলেন্সে যায় না। উস্কে দেয়, ম্যানিপুলেট করে। 

এন্ড ইয়েস, অলওয়েজ দায়মুক্তি ভ্যালিডেশনের সুখ নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দেয়। আমরা অন্দরমহলের বিখ্যাত ষড়যন্ত্রগুলোর কথা বললাম। একের পর এক উদাহরন দেয়া যাবে চাইলে। 

একটা ঘটনা হচ্ছে ২০২০ জেনিফার ফেইথ তার এক্স-বয়ফ্রেন্ড ড্যারিন লোপেজকে ম্যানিপুলেট করিয়ে বিশ্বাস করায় যে তার স্বামী জেমি তার উপর শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন করেছে, এবং তাকে খুন করা দরকার। বিশ্বাস হয়তো করতে কষ্ট হবে, এরা ১০০,০০০ এর বেশি মেসেজ আদান-প্রদান করে। পরে লোপেজ জেমিকে খুন করে, তাকে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

২০১১ সালে জোএন গ্রিফিথস তার বয়ফ্রেন্ড পিটার অ্যান্ড্রু হুডকে প্ররোচিত করে তার এক্স, জেসন বিসেলকে হত্যা করতে যাতে তার সন্তানকে দেখার অধিকার না পায়। পরে হুড হত্যা করে পুলিশের কাছে ধরা পরে এবং গ্রিফিথসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। 

জেনিফার কিভাবে লোপেজকে ম্যানিপুলেট করেছিল শুনবেন? 

লোপেজ মিলিটারিতে ছিল। জেনিফার একজন অসহায় নারী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরে আর লোপেজের পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে। লাইক “কেমন পুরুষ হইলি যে আমার মত অবলা নারীরে বাঁচাইতে পারোস না? তুই কি আসলেই পুরুষ?” 

লোল অনেক পুরুষ ইগোর চোটে এই ফাঁদে পা দিয়ে দেয় তারপর ফলাফল ভোগ করে। এরপর দেখা যায় মেয়েটা নতুন কোন পুরুষের জন্য চ্যাপা শুটকীর ভর্তা বানাচ্ছে। আর ছেলেটা রিয়েল ম্যান মেডেলটা গলায় পরে জেলের ভেতরে কারো পা টিপে দিচ্ছে।    

মেয়েদের ছেলেদের উপর এবিউসের ঘটনা ঘাটলে এই তিন চারটা উপাদানের কোনটা পাওয়া যাবেই- 

১। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল 
২। মিথ্যা অপবাদ (অমুক তমুক না করলে মামলা কইরা দিমু)
৩। পুরুষত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা
৪। রোল সুইচিং 

এই ফলস একিউজেশনের কারণে যে কত ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে হিসাব নাই। মেয়েরা এর সুযোগ নিতে পারে কারণ তাদের মুখের কথা শুনলেই বিশ্বাস করে ফেলে সিম্পানন্দরা। “উঁহু না না, আমার বাবুটা মিথ্যা বলতে পারে না”

রোল সুইচের ব্যাপারটা নিয়ে উইকি পেইজে একটা চমৎকার উদাহরণ আছে। অনেক সময় মেয়েরা জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকে এবং ভান করে যেন তাকে আক্রমণ করা হয়েছে। সেলফ হার্মের কারণে পাওয়া আঘাতের দোষ স্বামীকে দেয়া হয়। এই ধরনের ‘রোল সুইচ' পুরুষের বিরুদ্ধে মারাত্নক মানসিক নির্যাতন এম্বার হার্ড এই টেকনিক এপ্লাই করেছিল।  

সমাজে যেহেতু এমন ধারণা আছে যে কেবল নারীরা অবলা এবং তারাই এবিউজড হতে পারে, তাই এই 'রোল সুইচ’ টেকনিক পুরুষের পক্ষে ব্যবহার করা কঠিন। পারজেভ নবাবকে নিয়ে যে মূল স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে সেখানে গেলেও দেখবেন নারীরা এসে নারীদের সাফাই গাওয়া শুরু করে দিয়েছে।   

আপনি হয়তো খুব ভাব নিয়ে নারীর জন্য কিছু একটা করে জেলে পচে মরবেন। আর ওই নারী সুখে শান্তিতে সংসার করবে আর বলে বেড়াবে- জানিস, আমার জন্য ২ টা ছেলে মোষের মত মারামারি করেছে”, “জানিস আমার জন্য এক ছাওয়াল আরেকটার মাথা ফাটায় দিসে”- আপনার জন্ম যদি এসব বোকচোদি করার জন্যই তৈরি হয় তাহলে বেস্ট অফ লাক, এসব করে বেড়ান । 

আমার অবস্থান হচ্ছে- সর্বাবস্থায় মাথা thanda kore চিন্তা করতে হবে। যে মেয়ে আপনার পরিবারের সদস্য না সেই মেয়ের জন্য আপনার বিন্দুমাত্র দায় নাই।

হাম্মাদ ওসামা

Friday, April 18, 2025

কিছু সাধারণ(অতীব গুরুত্বপূর্ণ) উপদেশঃ

কিছু সাধারণ(অতীব গুরুত্বপূর্ণ) উপদেশঃ
---------------------------------

শরীরের যত্নঃ 
----------

আমাদের দেশে একটা কমন কালচার হচ্ছে, কেউ যখন জিম করে, সবাই ভাবে সে মনে হয় 'বডি বানাইতে চায়' । এজন্য জিম করে। কিন্তু, আসলে জিম করাটা লাক্সারি না। এটা একটা নেসেসিটি। 

জিম ই যে করতে হবে তা না। নিয়মিত খেলাধুলা করা, দৌঁড়ানো কিংবা অন্যান্য ফিজিক্যাল এক্টিভিটি হতে পারে। কিন্তু এসব আপনাকে করতেই হবে। 

আমরা সাধারণত আমাদের শরীরকে অনেক বেশি ওভার এস্টিমেট করি। কম বয়সে শরীর এটার সাথে তাল মিলিয়ে চললেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীর হাল ছেড়ে দেয়। বিশেষ করে যারা ডেস্ক জব করে, তাদের ব্যাক পেইন শুরু হয়।
 
** 𝐏𝐥𝐞𝐚𝐬𝐞, 𝐩𝐥𝐞𝐚𝐬𝐞 𝐚𝐧𝐝 𝐩𝐥𝐞𝐚𝐬𝐞, 𝐝𝐨𝐧'𝐭 𝐮𝐧𝐝𝐞𝐫𝐞𝐬𝐭𝐢𝐦𝐚𝐭𝐞 𝐭𝐡𝐢𝐬. 𝐘𝐨𝐮 𝐰𝐢𝐥𝐥 𝐚𝐥𝐬𝐨 𝐟𝐚𝐥𝐥 𝐯𝐢𝐜𝐭𝐢𝐦 𝐢𝐧 𝐭𝐨 𝐭𝐡𝐢𝐬 𝐬𝐨𝐨𝐧𝐞𝐫 𝐨𝐫 𝐥𝐚𝐭𝐞𝐫. ** 

এই সমস্যা শুরুতেই প্রতিহত করার কিছু উপায়ঃ- 

ক) সামর্থ্য থাকলে এরগোনমিক চেয়ার ব্যবহার করা। সামর্থ্য না থাকলে যেকোনো চেয়ারের উপরে বসানোর মতন কিছু জিনিস পাওয়া যায় যা হিপ এবং পিঠ কে সাপোর্ট দেয়। 

খ) সামর্থ্য থাকলে স্ট্যান্ডিং টেবল কেনা যেখানে বসে এবং দাঁড়িয়ে কাজ করা যায়। না হলে একটানা অনেক বেশিক্ষণ বসে না থাকা। কিছুক্ষণ কাজ করা। তারপরে হাঁটাহাঁটি করা। 

গ) নিয়মিত ব্যায়াম করা/ খেলা/ দৌঁড়ানো। 

মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নঃ
-----------------

মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন মানে কেবল ব্রিদিং এক্সারসাইজ না, কিংবা ইয়োগা না। কিংবা কিছু হলেই সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যাওয়া না। (দরকার হলে অবশ্যই যাবেন) 

কিন্তু আমি যেই দিকটায় ফোকাস করতে চাচ্ছি তা হলঃ- 

ক) অন্তত একটা ভাল কমিউনিটি মেইন্টেইন করবেন। হতে পারে ইউনিভার্সিটি ক্লাব, হতে পারে পাড়ার কোনো সঙ্ঘ, কিংবা অনলাইন/অফ্লাইনে কোনও দৌঁড়ের গ্রুপ কিংবা এমন যেকোনো কিছু। কিংবা যেকোনো সোশাল ওয়ার্কের কমিউনিটি ইত্যাদি। 

      এইসব কমিউনিটি মেইন্টেইন করলে মানুষ জীবন সম্পর্কে একটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পায়। একটা পারপাজ থাকে। হতাশার সময় এই এক্টিভিটি গুলো খুব কাজে আসে। 

খ) বন্ধু বান্ধবের সার্কেল মেইন্টেইন করবেন। বন্ধুরা সাপ এই কনসেপ্ট মাথায় রাখা ই যাবেনা। মনে রাখবেন, আপনার আশেপাশে যদি সব উল্টাপাল্টা ভুগিচুগি বন্ধু হয়, তাহলে আপনার মধ্যেই সমস্যা আছে। 

      তাই এই সমস্যা সমাধানে আগে নিজেকে বদলান। নিজে বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক হয়ে যান। দেখবেন যারা আন্তরিক তারা আপনার জীবনে রয়ে যাবে, আর যারা স্বার্থপর তারা অটো আস্তে আস্তে আপনার জীবন থেকে সরে যাবে। এটা সায়েন্টিফিকালি প্রুভেন একটা সমাধান। 

গ) মুসলিমরা ইসলামের বেসিক একটা প্রিন্সিপল তাকদির নিয়ে পড়াশুনা করবেন। তাকদিরে আমরা সবাই ই বলি যে আমরা বিশ্বাস করি কিন্তু আসলে করিনা। আসলে আমরা জানি তাকদিরে যা আছে তাই হবে। কিন্তু মানতে পারিনা। এটা নিয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করলে এবং উপলব্ধি করার চেষ্টা করলে মানসিক স্বাস্থ্য অনেক ভাল থাকবে। 

        আর, আল্লাহর প্রতি ভরসা এবং তাওয়াককুল বাড়ালেও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে। 

ঘ) এইটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্লিজ, নিজের পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং আন্তরিক হোন। নিজের পরিবারের প্রতি বন্ধন দৃঢ় করুন। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় থাকলে আর কোনো সমস্যাকেই সমস্যা বলে মনে হয়না। 

      জুনিয়র রা অনেককেই দেখি, বয়সের কারণে কিংবা অন্য বিভিন্ন কারণে পরিবারকে গুরুত্ব দেয়না। ঝামেলা বাঁধায়ে রাখে। ইগো বিসর্জন দিয়ে এই অংশটা আস্তে আস্তে মেরামত করে সুন্দর একটা পর্যায়ে নিয়ে গেলে জীবনের ৫০% এর ও বেশি সমস্যা নিমেষেই সমাধান হয়ে যাবে। 

ঙ) একটা ভাল চাকরি খুঁজুন যেখানে বেতন যতই হোক, ওয়ার্ক এনভাইরনমেন্ট ভাল। যেখানে বস প্রতি কথায় কথায় দুর্ব্যবহার করেনা। একটা মানুষ তার দিনের একটা বড় অংশ নিজের কর্মস্থলের জন্য বরাদ্ধ রাখে। সুতরাং, সেখানে এনভাইরনমেন্ট টক্সিক হলে জীবনের অন্য ক্ষেত্রে যত শান্তি ই থাকুক, লাভ হবেনা। 

ফুসফুসের যত্নঃ 
------------

ঢাকা শহরে যারা থাকেন, I feel pity for you. Actually I feel pity for myself too। 

কারণ, আমি দীর্ঘ ৮/৯ বছর টানা ঢাকায় ছিলাম। তখন বুঝতাম না কারণ সিস্টেমের ভিতরেই ছিলাম। এখন যখন কুড়িগ্রাম/চট্টগ্রাম থেকে অনেকদিন পর পর ঢাকায় যাই, আমার কিছুক্ষণের মধ্যেই দম বন্ধ হয়ে আসে। খুব ই হাঁসফাঁস লাগে। 

এই বিষয়ে সহজ কোনো সমাধান নাই। তবুও যা করা যেতে পারেঃ 

ক) বাইরে সব সময় ই মাস্ক পরে থাকবেন। চাইলে বাইরে থেকে ইম্পোর্ট করা দামী কিছু মাস্ক পরতে পারেন যেগুলো দূষিত বায়ু থেকে পার্টিকেলস আলাদা করে। 

খ) তুলনামূলক কম দূষিত এবং গাছপালা ভরা এলাকায় থাকার চেষ্টা করবেন। 

গ) বেশি বেশি গাছ লাগাবেন। প্লিজ। যতটুকু পারেন। শুধু গাছ লাগালেই হবেনা। পরিচর্যা করতে হবে মিনিমাম একটা সময় পর্যন্ত। পাশাপাশি, বাড়ির ছাদে, বারান্দায় গার্ডেনিং করবেন। 

       এই জিনিস না করলে বাকি দুইটা করেও আসলে কোনো লাভ নাই। 

ঘুমঃ 
----

বলা হয়, একটা মানুষের সারাটাদিন কেমন যায়, সেটা জানতে হলে তার ঘুমের দিকে তাকাও। একটা মানুষের জীবনটা কেমন যাচ্ছে সেটা দেখতে হলে তার ঘুমের দিকে তাকাও। (এটা আসলে কেউ বলেনাই, আমি নিজে থেকে বললাম। বাট এটা সত্যি কথা ) 

একটা মানুষের খুব ভাল সাউন্ড স্লিপ হচ্ছে, কিন্তু এদিকে তার জীবনে অনেক প্যারা, এবং সে এসব নিয়ে পেরেশানিতেও আছে, এই দুইটা জিনিস একসাথে হওয়া সম্ভব না।

ঘুম আসলে অনেক বড় একটা নিয়ামত। এই জিনিস যে হারায় সে বুঝে। নিজের জীবনকে লাইনে আনতে হলে ঘুমকে লাইনে আনতে হবে। প্রপার সাউন্ড স্লিপ এর ব্যবস্থা করতে হবে। 

ঘুম ভাল করার কিছু উপায়ঃ

ক) অনেকেই স্লিপ সাইকেল ঠিক করতে পারেনা। ডাক্তারদের পরামর্শে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চায়, কিন্তু ঘুম আসেনা। ঘুম আসেনা বলে মোবাইল টিপে। আবার মোবাইল টিপে বলে ঘুম আসেনা। 

এটার একটা সহজ সমাধান আছে। যদি রাতে দেরী করে ঘুম আসে তাহলে যেকোনো একদিন সারারাত না ঘুমিয়ে, দিনেও না ঘুমিয়ে একেবারে পরের রাতে ঘুমানো। মানে একটা স্লিপ সাইকেল টোটালি মিস দেয়া যাতে পরের দিন রাতে মরার মতন ঘুম আসে। 

এটা আসলেই কাজে দেয়। একদিন কষ্ট হয় but worth the try। 

খ) ঘুমানোর আগে সবাইকে মাফ করে দেয়া। ( এইটা নিয়ে হাদিস আছে একটা। একজন সাহাবী এই কাজ করতেন। যদিও তিনি ঘুম ভাল হবার নিয়তে করতেন না। তবুও আপনি এই নিয়তে ট্রাই করতে পারেন। হাদিসটা কমেন্টে দ্রষ্টব্য। ) 

গ) সারাদিন প্রচুর পরিশ্রম করা। যাতে রাতে প্রচুর টায়ার্ড লাগে। 

ঘ) স্লিপ সাইকেল ঠিক করার জন্য কিছু ঘুমের ওষুধ আছে যা খুব ই হালকা রিলাক্সেন্ট টাইপের। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেগুলো কয়েকদিন খাওয়া যেতে পারে।

 ঙ) জার্নালিং করা। মানে নিজের থটস গুলোকে ডায়েরিতে লেখার অভ্যাস করা। 

এর বাইরে ভাল ঘুম হবার অনেক পরামর্শই আপনি পাবেন। যেমন, ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে ফোন না ধরা, ব্যায়াম না করা ইত্যাদি। কিন্তু আমি কনভেনশনের বাইরের গুলো বললাম। 

পরিশেষে ভাল ঘুম হবার জন্য আরেকটা নিনজা টেকনিক আছে। সেটা হল, মানুষের হক নষ্ট করা ছেড়ে দেয়া। তাহলে শান্তির ঘুম হবে। 

হক নষ্ট কিন্তু অনেক ভাবে সম্ভব।  
আমি দুর্নীতি করলাম। তাহলে সেই দুর্নীতি না করলে যারা ঠিক সেবা পেতো, তাদের হক নষ্ট করলাম। আমি মিথ্যা কথা বললাম, তাহলে অন্য একজন মানুষের সত্য জানার হক থেকে তাঁকে বঞ্চিত করলাম। এভাবে অনেক ভাবেই হক নষ্ট হতে পারে। 

শুধু টাকা মেরে দেয়া, অত্যাচার, যুলুম করা মানেই হক নষ্ট করা না। তাই, অন্যের হক নষ্ট করা ছেড়ে দিন। দিন শেষে রাতে শান্তির ঘুম আসবে ইন শা আল্লাহ।

আমার আসে। আলহামদুলিল্লাহ ! 

                                          ---------------------- o ----------------------

[ আমি এখানে যেই উপদেশ গুলো দিয়েছি এর একটাও অন্য যেকোনো একটা থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ না। এই জিনিসগুলোর একটা অংশও যদি কোনো মানুষের ঠিক না থাকে, সে জীবনে বহুত বড় পেরেশানিতে থাকবে। প্যারায় থাকবে। তাই মেনে চলার অনুরোধ রইল খুব দেরী হয়ে যাবার আগেই। 

আমি যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাদ দিয়ে ফেলি, জানাবেন। আমি এড করে দিব ইন শা আল্লাহ। ]

রিয়াদ আশরাফ ভাই থেকে নেয়া।

Wednesday, April 16, 2025

Responsibilities of father

PRIMARY RESPONSIBILITIES:

1. Providing financial support
2. Emotional guidance and support
3. Disciplining and setting boundaries
4. Role-modeling values and behavior
5. Protecting and ensuring family safety

EMOTIONAL SUPPORT:

1. Listening and validating feelings
2. Offering comfort and reassurance
3. Encouraging open communication
4. Supporting partner's emotional needs
5. Modeling healthy emotional expression

DISCIPLINE AND GUIDANCE:

1. Setting clear expectations and rules
2. Teaching life skills and values
3. Encouraging responsibility and independence
4. Modeling respectful communication
5. Providing constructive feedback

FINANCIAL PROVISION:

1. Managing household finances
2. Providing for family's basic needs
3. Planning for future financial security
4. Saving for children's education
5. Ensuring family's economic stability

ROLE-MODELING:

1. Demonstrating integrity and honesty
2. Modeling respectful relationships
3. Teaching respect for authority
4. Encouraging physical and mental well-being
5. Embodying values and principles

PARENTING PARTNERSHIP:

1. Co-parenting with mother
2. Sharing childcare responsibilities
3. Collaborating on discipline and guidance
4. Supporting partner's parenting style
5. Maintaining united front in parenting

COMMUNITY INVOLVEMENT:

1. Participating in children's activities
2. Volunteering in community or school
3. Building relationships with neighbors
4. Role-modeling social responsibility
5. Fostering community connections

PERSONAL GROWTH:

1. Pursuing personal interests and hobbies
2. Continuing education and self-improvement
3. Maintaining physical and mental health
4. Setting boundaries and prioritizing self-care
5. Seeking support and resources when needed

INFLUENCING CHILDREN'S DEVELOPMENT:

1. Shaping moral and ethical values
2. Encouraging educational and career goals
3. Modeling healthy relationships
4. Teaching life skills and independence
5. Fostering emotional intelligence

REMEMBER:

1. Fatherhood is a unique and vital role.
2. Emotional support is crucial for family well-being.
3. Partnership with your spouse is essential.
4. Role-modeling values and behavior shapes children's development.
5. Seeking support is a sign of strength.

Ctto

#realtalk #relationship #familia #familyfirst #familylove #familyislove #familytime #famil #everyonehighlights #loveislove #relationshipgoals #relationshipadvice

10 weak points of men need to be fixed before marriage

Most men think their biggest problems are money, women, or society. But let me tell you: your biggest enemy is yourself.

A weak man is not weak because life is hard. He is weak because he refuses to fix his weak points. And until you fix them, you will remain broke, desperate, and easily controlled.

(Brutal Thread)

1. A WEAK MAN IS CONTROLLED BY HIS DESIRES.

He can’t say no to pleasure. Sex, porn, alcohol, distractions—he falls for all of them. He doesn’t rule his emotions; his emotions rule him. And that’s why he loses every time.

2. A WEAK MAN CAN’T CONTROL HIS MOUTH.

He talks too much. He overshares, he gossips, he exposes his plans. Then he wonders why people betray him. Real men move in silence.

3. A WEAK MAN CHASES WOMEN INSTEAD OF CHASING SUCCESS.

Instead of building his life, he’s texting, begging, simping, buying gifts for women who don’t respect him. Meanwhile, successful men are busy winning. Women chase winners, not beggars.

4. A WEAK MAN LIVES FOR VALIDATION.

He wants approval from everyone. He dresses for others. He talks to impress. He’s scared of rejection. But men who win in life don’t seek approval—they command respect.

5. A WEAK MAN IS ADDICTED TO COMFORT.

He wants things to be easy. He avoids struggle. He dodges responsibility. He wants quick money, quick pleasure, quick success. But real men embrace the grind and build their own legacy.

6. A WEAK MAN HAS NO DISCIPLINE.

He can’t wake up early. He can’t stay consistent. He can’t say no to distractions. He’s always complaining, always procrastinating. A disciplined man will always crush him in life.

7. A WEAK MAN FEARS LOSING WOMEN.

He tolerates disrespect, cheating, emotional games, manipulation because he’s scared to be alone. Strong men walk away without hesitation.

8. A WEAK MAN WASTES HIS TIME.

He scrolls social media for hours. He watches Netflix all day. He plays video games nonstop. And then he complains about being broke and unsuccessful. Your time is your life—waste it and you waste yourself.

9. A WEAK MAN CANNOT HANDLE PRESSURE.

Life gets hard, and he runs. He quits, he blames, he complains. Meanwhile, strong men use pressure to become stronger, sharper, smarter.

10. A WEAK MAN WANTS PITY, NOT RESPECT.

He plays the victim. He wants sympathy. He wants people to feel sorry for him. But respect is never given to weak men—only to those who rise, no matter how hard they fall.

Remember: Weak personality brings us weak discissions. This is the best tip for us to fix before getting married and discipline our self. Control our urges, build your value. God bless us all.

Ctto .

#facebookviral #everyonehighlights #highlights #followers #highlightseveryone #isyangputchoy #fypシ゚ #foryouシ




Sunday, April 13, 2025

Route to market

বেশ পরিচিত এক FMCG কোম্পানীর সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার । ইনবক্সে প্রায়ই টুকটাক কথাবার্তা হয় । কিছুদিন আগে ধরে বসল “ভাইয়া, ১৫ মিনিট সময় দিন । একটু দেখা করা খুব দরকার ।” এদিকে দম ফেলার সময় নেই আমার । তারপরও পর পর কয়েক সপ্তাহ ধরে গাবের আঠার মত তাঁর নাছোরবান্দা অনুরোধে একদিন সময় পেয়ে ঝট ডেকে বসলাম । 
.
“ঘটনা কি ?” কফিতে চুমুক দিতে দিতে জিজ্ঞাসা করলাম ।

“নতুন একটা প্রোডাক্ট launch করেছি । প্রচুর Promotion হয়েছে । অনেক টাকাও খরচ হয়ে গেছে । কিন্তু টার্গেট অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না । সমস্যাটা কি বুঝতেও পারছি না । প্রচন্ড চাপে আছি ।“ ওর উত্তর ।

“প্রোডাক্টের আসল পারফর্মেন্স কেমন ?”

“চমৎকার । প্রতিটা কনজ্যুমার টেস্ট এবং Trial feedback ভাল ছিল ।” 

“প্রাইস ল্যাডারিং কেমন এবং কোথায় ?”

“দারুণ কম্পিটিটিভ । ইনফ্যাক্ট, কম্পিটিটরের চাইতেও আমার প্রাইস কম ।“

“ট্রেড প্রফিট ?”

“এ্যাট্রাক্ট্রিভ X%, সাথে Y% ডিলও আছে ।”

“নিউমেরিক কেমন ?”

“এটা ভাল না । Availability কম ।”

“ভিজিবিলিটি টুলস ?”

“অনেক আছে প্ল্যানে কিন্তু নিউমেরিক কম বলে এক্সিকিউট হয়নি । ফিল্ড টিমও আগ্রহী না ভিজিবিলিটি টুলস্ নিয়ে ড্রাইভ দিতে ।”

“সেলস ইনসেভটিভ দিয়ে দেখেছ ?”

“হ্যা ভাইয়া, ইনসেভটিভ দিলে চমৎকার চলে । এমনকি নরমাল সেলের ৪-৫ গুণ পর্যন্ত বিক্রি হয়ে যায় । নিউমেরিকও বাড়ে । কিন্তু ইনসেনটিভ বন্ধ করলেই আবার যা তাই । এখন টানা ইন্সেন্টিভ দিয়ে তো আর চলা সম্ভব নয় ।”

“বিক্রি হয় মানে কি ? শুধু সেকেন্ডারী হয়ে দোকান পর্যন্ত স্টক হয় না কি টারসিয়ারী হয়ে কনজ্যুমারের বাড়ী পর্যন্ত পৌঁছায় ?”

“না না, টারসিয়ারী হয় । দোকানে স্টক থাকে না ।“

বোঝা গেল প্রোডাক্টের গ্রহণযোগ্যতাও ভাল । ট্রায়াল হলে রিপিটও হয় ।

তবে সমস্যার গন্ধ পেলাম ঐ কথাটিতে “ইনসেভটিভ দিলে চমৎকার চলে । এমনকি নরমাল সেলের ৪-৫ গুণ পর্যন্ত বিক্রি হয়ে যায় । নিউমেরিকও বাড়ে । কিন্তু ইনসেনটিভ বন্ধ করলেই আবার যা তাই ।“

জিজ্ঞাসা করলাম “তোমার প্রোডাক্টের RTM ডিটেইলটা কি, বল দেখ, ?”

এইবার বান্দা মাথা চুলকে জবাব দিল “সেটা তো আমি ঠিক জানি না । ওটা তো সেলস্ টিম দেখে ।”
.
বুঝলাম রোগ ধরা পরল !
.
আমার কাছে সবসময়ই মনে হয় ‘RTM’ বা ‘Route-To-Market (রুট-টু-মার্কেট)’ মার্কেটিং এর সবচেয়ে গ্ল্যামারহীন এবং উপেক্ষিত একটা বিষয় ! মহা শোর-গোল, ঢোল-নাকাড়া বাজিয়ে প্রোডাক্ট নামানো হয় । প্রোডাক্ট বানানো থেকে শুরু করে, প্যাকেজিং, কম্যুনিকেশন সব কিছুতেই প্রচুর মনোযোগ দেয়া হয় । প্রোমোশনে প্রচুর টাকা ঢালা হয় । কিন্তু বাজারে প্রোডাক্টখানা কিভাবে ঢুকবে, অর্থাৎ রুট-টু-মার্কেটে এমনকি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নজরই দেয়া হয় না । 
.
কথা হলো এই ‘RTM’ বা ‘রুট-টু-মার্কেট’ ব্যপারখানা আসলে কি ?  
.
বইয়ের তাত্ত্বিক সংজ্ঞায় যাব না । আমার লেখায় আমি কখনও তাত্ত্বিক কথা বলিও না । তত্ত্ব শেখাবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় সন্মানিত শিক্ষকগণ আছে । আমি Practical ফিল্ডের লোক ! সব সময়ই তাই আমি দেখে এবং ঠেকে যা শিখেছি সেটিই বরং বলার চেষ্টা করি । 
.
যা হোক । ধরুন আসছে কোরবানীর ঈদে আপনি বড়সড় একখানা গরু কোরবানী দেবার কথা ভাবছেন । নিয়মানুযায়ী এর তিনভাগের একভাগ এখন আপনার আত্নীয়-স্বজনের বাসায় পাঠাতে হবে । আপনি আপনার ভাগ্নেকে এই মাংশ নিয়ে যাবার দায়িত্ব দেবেন বলে ভেবে রাখলেন ।
.
প্রথম প্রশ্ন হলো ভাগ্নে বেচারা ঈদের দিনে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘোরাঘুরি বাদ দিয়ে আপনার মাংশের প্যাকেট নিয়ে রাজ্যের সব আত্নীয়-স্বজনের বাসায় বাসায় যেতে রাজি হবে কেন ? তাঁর মোটিভেশন কি ? গেলেও কিসে করে যাবে - গাড়িতে, বাইকে না কি রিকসায় ? মাংশ পচনশীল জিনিষ । সুতরাং, কোনটাতে গেলে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি সবার বাসায় পৌঁছাতে পারবে ? তাকে কোন কোন এলাকায় যেতে হবে ? সেক্ষেত্রে কোন এলাকা ধরে শুরু করবে, আর কোথায় শেষ করবে ? আত্নীয়-স্বজনের বাসার সিরিয়াল কি ? কোন পথে যাবে ? সবচেয়ে অপটিম্যাল পথ কোনটা ? প্যাকেট হবে কিভাবে ? যত প্যাকেট দিচ্ছেন সেগুলো কি একসাথে ওর পক্ষে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ? গাড়িতে আঁটবে ? বাইকে ব্যালেন্স থাকবে ? না হলে কত বার যেতে হবে ? সেক্ষেত্রে কখন থেকে শুরু করা দরকার ? যাদের বাসায় পাঠাচ্ছেন তাঁরা কি বাসায় আছে ? যদি না থাকে তখন আপনার ভাগ্নে বেচারা তার মাংশের প্যাকেটখানা কি করবে ? গাড়িতে নেবার সময় যেন মাংশের রক্তে গাড়ি মেখে না যায়, তার জন্য ব্যবস্থা কি ? 
.
জানি মনে মনে হাসছেন আর ভাবছেন কোরবানীর মাংশ বিলির সাথে রুট-টু-মার্কেটের সম্পর্কটা কি ? 
.
এতক্ষণ যে প্রশ্নগুলো তুললাম ঠিক এগুলোর উত্তরই হচ্ছে গিয়ে যাকে মার্কেটিং-এর ভাষায় আমরা বলি ‘রুট-টু-মার্কেট’ বা সোজা বাংলায় বললে 'বাজারে ঢোকার পথ' । FMCG’র দুনিয়ায় যে কোনো প্রোডাক্টের সফলতা বা ব্যর্থতার পেছনে এই 'রুট-টু-মার্কেট' ভীষণ জরুরী একখানা অনুঘটক ।
.
কেন এবং কিভাবে ?
.
একটা একটা করে বলি ।
.
ধরুন আপনি ইতিমধ্যে ৫ টি প্রোডাক্ট বিক্রি করছেন । এবার নতুন প্রোডাক্ট হিসেবে ৬ নম্বর প্রোডাক্টখানা এনেছেন । প্রথম কথা হচ্ছে আপনার সেলস টিম যারা মাঠে প্রোডাক্ট ডিস্ট্রবিউশনের কাজ করে, তাঁরা কেন আপনার ৬ নম্বর প্রোডাক্টখানা বিক্রি করার অতিরিক্ত কষ্টটুকু করতে যাবে ? তাঁদের মোটিভেশন কি ? তাঁরা এই এক্সট্রা কষ্ট করে কি পাবে ? যদি ভেবে থাকেন “ব্যাটারা চাকরী করে, তাহলে বিক্রি করবে না কেন ?” আমি বলব “ভাই, দুনিয়া এত সহজ নয় । আপনি ভুল ভাবছেন ।” আমি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি উনারা কি করবেন । আপনার চাপে পরে হয়ত নতুন প্রোডাক্টটি বিক্রি করবেন কিন্তু সাথে সাথে আগের ৫ টির মধ্য থেকে যে কোনো একটির বিক্রি ফেলে দিবেন ! 
.
নাম বলাটা ঠিক হবে না কিন্তু এদেশের এক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানকে খুব কাছ থেকে জানি, যারা নতুন প্রোডাক্ট নামাতে ভীষণ দক্ষ আর দ্রুতগতির । কিন্তু সমস্যা হলো যতবার উনারা নতুন প্রোডাক্ট আনেন ততবার আগের কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠিত প্রোডাক্টের সেলস্ ঢুশ করে পরে যায় । ব্যপারটা অনেকটা বাঁদরের বাঁশ বাওয়ার মত । যতটুকু আগায়, প্রায় ততটুকুই আবার পেছায় ! 
.
সুতরাং, আপনাকে আগে থেকেই বের করতে হবে কি করলে আপনার সেলস্ টিম ৬ নম্বর প্রোডাক্টটিকে বিক্রি করবেন এবং আগের কোনোটিকে না কমিয়ে ।
.
এখন ধরুন, আপনার সেলসম্যান প্রতিদিন ৫০ টা করে দোকানে সার্ভিস দিয়ে থাকেন । সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো সময়টুকুই এই ৫০ টি দোকানে ঠিকঠাক মত ৫ টি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে লেগে যায় । আপনি যে ৬ নম্বর প্রোডাক্টখানা তাঁদেরকে বিক্রি করতে দিলেন, গুণে কি দেখেছেন এর জন্য অতিরিক্ত সময় লাগবে কতটুকু ? সেই সময়টুকু কি আসলেই উনার হাতে আছে ? না থাকলে এই যে না বুঝেই আরেকটি প্রোডাক্ট চাপিয়ে দিলেন তাতে আদতেও কি লাভ হবে ?
.
ঠিক এই কথাটা আপনার ডিস্ট্রিবিউশনের লোকটা, যাকে আমরা সাধারণ ভাবে ‘ডেলিভারীম্যান’ বলি, তাঁর ক্ষেত্রেও খাটে । আরও একটা প্রোডাক্ট ডিস্ট্রিবিউট করার মত সময় বা ব্যান্ডউইডথ তাঁর আছে কি ? না থাকলে সে নিশ্চিতভাবে অর্ডার বাউন্স করাবে কিংবা ডেলিভারী গ্যাপ তৈরী করাবে । 
.
আবার ৫ টির উপর নতুন ১ টি - মানে অংকের হিসেবে ২০% বৃদ্ধি । যে ভ্যানে বা গাড়িতে আপনার ডেলিভারী চলে সেই ভ্যানে কি এই ২০% গ্রোথের ডেলিভারী দেবার উপায় আছে ? যদি না থাকে, তবে ডেলিভারীটা হবে কিভাবে আপনি যতই ডেলিভারীম্যান বেচারাকে চাপ দিন না কেন ! ভেবে দেখেছে ?
.
এবার আসি ডেলিভারী মডেল নিয়ে । ধরুন, আপনার আগের ৫ টি প্রোডাক্টই চিপসের মত হালকা কিন্তু বেশী জায়গা আটকে রাখে এমন প্রোডাক্ট । কিন্তু আপনি নতুন নামিয়েছেন ‘পানি’ জাতীয় একখানা প্রোডাক্ট যেটি জায়গা তত একটা নেয় না কিন্তু ওজন বেশী । সেক্ষেত্রে আপনার ডেলিভারী ভ্যানের ভারসাম্যতা, স্ট্র্যাকচার, বহনক্ষমতা, গতি ইত্যাদি সব কিন্তু রাতারাতি বদলে যাচ্ছে । সাথে বদলে যাচ্ছে আপনার প্রোডাক্টকে ফ্যাক্টরী থেকে শুরু করে দোকান পর্যন্ত পৌঁছাবার পুরো পদ্ধতিখানাই । প্রোডাক্ট নামাবার আগে আপনার ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমে এই বদলটুকু এনেছেন কি ? না করলে প্রোডাক্ট মুভ করবে কিভাবে ?
.
এরপর ধরুন Timing এবং Frequency of service । আমার ক্যারিয়ারে একবার খুব অল্প সময়ের জন্য পাউরুটির ব্যবসা দেখেছিলাম । ব্যবসা হাতে নিয়ে প্রথম সপ্তাহেই মার্কেট ভিজিটে গিয়ে দেখলাম আমার সেলসম্যান দোকানে যাওয়া শুরু করে সকাল সাড়ে-নয়টা থেকে । অথচ, পাউরুটি ভোর বেলার প্রোডাক্ট । লোকে নাস্তায় খায় । সুতরাং, ভোরবেলা সবার আগে এটির যোগান দেয়াটা ভীষণ ক্রিটিক্যাল বিষয় । নিয়ম করলাম আমার লোক ভোর সাতটায় দোকানে যাবে যখন প্রতিযোগী কোম্পানীর সেলসম্যান গিয়ে পৌঁছেনি । ফলাফল হলো দারুণ ! দুই সপ্তাহের টেস্ট ড্রাইভেই সেলস্ বাড়ল প্রায় ৪০% ! বিনিময় হিসেবে আমার সেলসের ছেলেদের বিকেল ৪ টার ভেতর ছুটি দিয়ে দেয়া হত, যেহেতু ওরা আগে কাজ শুরু করে । 
.
উদাহরণটা দিলাম এ কারণে যে প্রতিটা ব্যবসার একখানা ক্রিটিক্যাল Serving Timing আছে - দিন/মাস/বছরের ঠিক কখন আপনি মার্কেটে সার্ভিস দিবেন ? আছে ক্রিটিক্যাল Serving Frequency - দিনে/সপ্তাহে/মাসে কতবার সার্ভিস দিবেন ? ঠিকঠাক মত না দিতে পারলে প্রোডাক্ট চলবে না কখনই । এই সূক্ষ্ণ অথচ মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও রুট-টু-মার্কেটের অংশ ।
.
এরপর আসি আরেকটি ব্যপারে । আপনার নতুন প্রোডাক্টের জন্য নিশ্চয়ই একটা টার্গেট আছে - পিস, কেজী, লিটার, টন, টাকায়... ... ...যাতেই থাকুক না কেন । এই টার্গেটে পৌঁছাতে হলে আপনাকে কত দোকানে যেতে হবে ? অর্থাৎ, প্লেসমেন্ট নম্বর কত হবে ? সেখান থেকে আপনার ক্যাটাগরীর norm অনুযায়ী ড্রপ-আউট রেট কত ? সেটা গোনায় ধরলে আপনার নিউমেরিক ডিস্ট্রিবিউশন টার্গেট কত হতে হবে ? এবার আসুন ড্রপ-সাইজে । আপনার হিসেব করা নিউমেরিকের সাথে ড্রপ-সাইজ মিলালে আপনার টার্গেট কি পূরণ হয় ? না হলে কারেকশন কি ভাবে হবে ? নিউমেরিক বাড়িয়ে না কি ড্রপ-সাইজ বাড়িয়ে ? আপনার সেলস্ টিম দিয়ে কি এই নিউমেরিক বা ড্রপ সাইজের লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব ? না হলে বিকল্প উপায় কি ? এক্সেলের ঘরে কিংবা ক্যালকুলেটরে বোতামে এই Critical হিসেব নিকেশের খেলাটা এবং সেই অনুযায়ী কাজের পরিকল্পনা সাজানোটাও কিন্তু রুট-টু-মার্কেটের খেলা । এই হিসেব নিকেশ গুলো যতই বোরিং হোক, এগুলো ঠিক না করে মাঠে নামা আর স্যুইসাইড মিশনে যাওয়া একই কথা বলা যায় !  
.
সবশেষে আসি সবচেয়ে Sensitive বিষয়ে, যেটি FMCG ইন্ড্রাস্ট্রিতে যাঁরা Three-tier বা তিন-স্তর মডেলের ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য প্রায়ই যাকে বলে ‘আখিলিসের গোঁড়ালি’র মত নাজুক বিষয় হয়ে দাঁড়ায় । 
.
Three-tier ডিস্ট্রিবিউশন মডেল কি ? এটি হচ্ছে যখন প্রোডাক্টটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে তিন জনের হাত ঘুরে কনজ্যুমারের হাতে এসে পৌঁছায় । বাংলাদেশের মোটামুটি পুরো FMCG ইন্ডাস্ট্রিই এই মডেলের উপর দাঁড়িয়ে আছে । ইদানিং ই-কমার্স এবং নানাধরণের Start Up এসে এই মডেলকে Two-tier নিয়ে আসার চেষ্টা করছে কিন্তু তার পরিমান সমগ্র দেশের ব্যবসার হিসেবে এখনও খুবই নগন্য । Three-tier মডেলে আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট কিনবে আপনার ডিস্ট্রিবিউটর / ডিলারগণ (যাকে আমরা বলি ‘প্রাইমারী সেলস্’), তারপর তাঁরা সেই প্রোডাক্টকে ডিস্ট্রিবিউট করবেন দোকানে দোকানে (যাকে আমরা বলি ‘সেকেন্ডারী সেলস্’), সবশেষে দোকান থেকে আপনার প্রোডাক্ট কিনবেন কাস্টমার / কনজ্যুমারগণ (যাকে আমরা বলি ‘টারসিয়ারী সেলস্’) । 
.
এখন ধরুন আপনার আগের পাঁচটি প্রোডাক্টের বিক্রি ১ কোটি টাকা । আপনি নতুন যে ৬ নম্বর প্রোডাক্টটি এনেছেন সেটির থেকে আপনার টার্গেট আরও ৩০ লাখ টাকা বিক্রি বাড়ানো । এখন আপনার বিক্রি ৩০ লাখ টাকা বাড়াতে হলে সবচেয়ে আগে কিন্তু আপনার ডিস্ট্রিবিউটর সাহেবকে আপনার কাছে থেকে ৩০ লাখ টাকার প্রোডাক্ট বেশী কিনতে হবে । সমস্যা হলো আপনার ডিস্ট্রিবিউটর সাহেবের এই অতিরিক্ত ৩০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করার ক্ষমতা নেই অথবা ক্ষমতা থাকলেও তাঁর আর ব্যবসা বাড়ানোর ইচ্ছে নেই । ইতিমধ্যে যা ব্যবসা করছেন তাতেই তিনি খুশী । তাহলে নতুন প্রোডাক্ট থেকে আপনার ব্যবসাটা বাড়বে কিভাবে ? সেক্ষেত্রে আপনার ডিস্ট্রিবিউটর হয় নতুন প্রোডাক্টখানা কিনবেনই না অথবা আপনার চাপে বা অনুরোধে পরে কিনলেও সাথে সাথে পুরোনো আরেকটা প্রোডাক্ট কেনা কমিয়ে দিবেন । অর্থাৎ, সেই বাঁদর আর সেই বাঁশ ! 
.
এতক্ষনে নিশ্চয়ই বোঝা গিয়েছে যে ‘রুট-টু-মার্কেট‘ এর প্রয়োজনীয়তাটা কতখানি ব্যপক, বিশেষত: FMCG ব্যবসার জন্য । কিন্তু যেটি শুরুতেই বলছিলাম যে এই ক্রিটিক্যাল বিষয়টি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই খুব উপেক্ষিত থাকে ।
.
কারণ কি ?
.
আমার অবজার্ভেশন বলে কারণ মূলত: তিনটি -
.
প্রথমত: খেয়াল করে দেখুন রুট-টু-মার্কেটে যারা যারা জড়িত অর্থাৎ Stakeholders সবাই কম-বেশী প্রতিষ্ঠানের নিজের লোক কিংবা Close group । সুতরাং, মার্কেটিং টিমের মাঝে এনিয়ে কিছুটা গা-ছাড়া ভাব থাকে যে “বলে দিলেই ওটা হয়ে যাবে, যেহেতু সবাই আমাদের নিজেদের লোক।“ প্রথম ভুলটা হয় ঠিক তখনই । নিজেদের বা কাছের লোক হলেও উপরের ব্যাখ্যা করা প্রতিটা বিষয় যে যথেষ্ট জটিল এবং গুরুত্বের দাবী রাখে সেটি নিশ্চয়ই বোঝার আর বাকি নেই । কিন্তু পরিষ্কার করা হয় না বলে শেষ পর্যন্ত পা কাটে এই পঁচা শামুকেই অর্থাৎ নিজেদের লোকের গাফলতি কিংবা কাজের পরিষ্কার প্রিপারেশন, রোড ম্যাপ এবং এক্সপেক্টেশন ক্লীয়ার না করার কারণে । 
.
দ্বিতীয়ত: বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই রুট-টু-মার্কেট স্ট্রাটেজী বানানো এবং তাকে এক্সিকিউট করার দায়িত্ব কার, সেটি নিয়ে মার্কেটিং এবং সেলস্ ফাংশনের ভেতর ভীষণ ধোঁয়াশা থাকে । মার্কেটিং মনে করে এটি যেহেতু মূলত: ফিল্ড রিলেটেড বিষয়, সেহেতু সেলসের দায়িত্ব । আবার উল্টোদিকে সেলস্ মনে করে এটি মার্কেটিং এর 4P-এর একটি ‘P (Placement)’-এর অনুষঙ্গ । সুতরাং, এটি মার্কেটিং-এর দায়িত্ব । এই ঠেলাঠেলিতে ব্যপারখানা ঘটে এমন যে শেষ পর্যন্ত কেউই দায়িত্ব নেয় না । ফলাফল অসম্ভাবী disaster !
.
তৃতীয়ত: রুট-টু-মার্কেট বিষয়খানা প্রোডাক্টের launch প্রোগ্রাম বা এ্যাড বানানো বা ডিজিটাল মার্কেটিং বা এ্যাক্টিভেশনের মত গ্ল্যামারাস বা খুব লাউড কোনো বিষয় নয় । এটি বরং পুরোপুরি ব্যাকগ্রাউন্ডের কাজ । না করলে তার ভয়াবহ প্রভাব টের পাওয়া যায়, কিন্তু করলে সেটি কেউ টেরও পায় না । তাই অনেক মার্কেটিয়ার এবং সেলসের কর্তাগণ এটি করতে আগ্রহী হন না, এমনকি করতে হবে সেটিও বুঝে উঠতে পারেন না । Launch করার পর যতক্ষণের বোঝা শুরু করেন, ততক্ষণে সর্বনাশ যা হবার তা হয়ে যায় !
.
তবে রোগের কারণগুলো যদি জানি, আমার মনে হয় ঔষধ দেয়াও খুব কঠিন নয় ।
.
প্রথমত: রুট-টু-মার্কেটের অংশ হিসেবে প্রতিটা বিষয় আগে থেকেই পুরো সেলস এবং মার্কেটিং টিমের কাছে পরিষ্কার থাকতে হবে । কি কি করতে হবে, কি কি প্রস্ততি লাগবে, কিভাবে করতে হবে, কি বাজেট লাগবে, কাকে কাকে involved হতে হবে, কখন হতে হবে.......ইত্যাদি সমস্ত ব্যপারে পরিষ্কার এ্যাকশন প্ল্যান থাকাটা অবশ্যই দরকার এবং রোগ সারাবার প্রথম স্টেপ ।
.
দ্বিতীয়ত: দায়িত্ব পরিষ্কার করা । আমার মতে রুট-টু-মার্কেটের স্ট্রাটেজিক দায়িত্ব মার্কেটিং-এর; আর এক্সিকিউশনাল দায়িত্ব মূলত: সেলসের । তবে এরজন্য সবচেয়ে প্রথমে যেটি দরকার সেটি হলো সেলস-এন্ড-মার্কেটিং ফাংশনের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া । সেলস-এন্ড-মার্কেটিং এক সাথে এক টিম হিসেবে না বসলে Route-To-Market এর সূক্ষাতি সূক্ষ্ণ এই ফাটলগুলো ধরা এবং দরকার অনুযায়ী সেগুলো ভরাট করা কখনই সম্ভব নয় । কে কি করবে এবং কিভাবে করবে সেটির Responsibility পরিষ্কার ভাবে assign না করলে RTM-এর নাজুক বোমা খানা Sale & Marketing -এর দুই চেয়ারের ফাঁক গলে মাটিতে পরে বিস্ফোরণ ঘটতে বাধ্য !
.
তৃতীয়ত: মার্কেটিয়ারদের একখানা চরম ভুল ধারণা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দেয়া দরকার যে ‘মার্কেটিং মানে এ্যাড বানানো’ । এই কথাটা এর আগেও বহু জায়গায় বলেছি এবং লিখেছি - এ্যাড বানানো মার্কেটিংএর কাজের ১০-১৫% এর বেশী নয় । মার্কেটিং-এর 4 P এর অন্যতম P হচ্ছে - Placement; আর RTM হচ্ছে সেই P সফল করার মূল মন্ত্র । এ্যাড, এ্যাক্টিভিশন বা ইভেন্টের মত গ্ল্যামারাস না হলেও এই P-টিও কিন্তু মার্কেটিয়ারেরই দায়িত্ব । ঠিক ঠিক RTM স্ট্রাটেজী আর মনিটরিং-এর অভাবে প্রোডাক্ট যদি মুখ থুবড়ে পরে তবে Brand owner হিসেবে দায়িত্ব কিন্তু মার্কেটিয়ারের ঘাড়েই পরবে । তাই গ্ল্যামারাস অংশগুলোর সাথে সাথে মার্কেটিং অন্যান্য সাদামাটা কিন্তু ভীষণ জরুরী বিষয়গুলোর প্রতিও দৃষ্টি দেয়াটা ভীষণ জরুরী । 
.
আপনার প্রোডাক্ট, এ্যাডভার্টাইজমেন্ট এগুলো ঠিকঠাক মত কাজ করলেও সেলসের চাকা নাও ঘুরতে পারে । রুট-টু-মার্কেটের ব্যর্থতা সেই চাকা-না-ঘোরার কারণগুলোর অন্যতম ।
.
তাই আপাত: গ্ল‍্যামারহীন মনে হলেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই রুট-টু-মার্কেটের কাজগুলো নজরে রাখি, যদি না হলে শত গ্ল‍্যামারযুক্ত এ্যাডভার্টাইজমেন্ট কিংবা চমৎকার প্রোডাক্টও মুখ থুবড়ে পরবে ।
.
.
#Marketing
#Professional
#RouteToMarket
#RTM


গালিব বিন মাহমুদ ভাই থেকে নেয়া

 #rtmklik #RTmorefun #RTMSarawak 




Wednesday, April 9, 2025

মহান_রবের_আশ্রয়ে (১১ নং পর্ব)

নামাজের পরে একটি চমৎকার দু‘আ পড়ার অভ্যাস করতে পারেন। দু‘আটি আমরা শব্দে শব্দে অর্থসহ উপস্থাপন করছি। 
.
প্রথমে দু'আটির প্রেক্ষাপট জেনে নেওয়া যাক; তাহলে আমল করতে আগ্রহ বাড়বে ইনশাআল্লাহ্।
.
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অত্যন্ত প্রিয় একজন সাহাবি ছিলেন মু'আয ইবনু জাবাল (রা.)। তাঁকে তিনি ইয়ামানে ইমাম ও শাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। সেই মু'আয (রা.) বলেন, (একদিন) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার হাত ধরে বলেন, ‘‘মু'আয! আমি তোমাকে ভালোবাসি।... মু'আয! আমি তোমাকে ওসিয়ত করছি—প্রত্যেক সালাতের পর এ দু'আটি বলা কখনো বাদ দিও না।’’ (দু'আটি হলো)—
.
اللّٰهُمَّ أَعِنِّيْ عَلٰى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ.
[মোটামুটি উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আ‘ইন্নি '
‘আলা যিকরিকা, ওয়া শুকরিকা, ওয়া ‘হুসনি ‘ইবাদাতিকা (শুধু বাংলা উচ্চারণ দেখে শিখবেন না। তাহলে নিশ্চিতভাবে ভুল শিখতে হবে)]
.
[অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে সাহায্য করুন—আপনার যিকর করতে, আপনার শুকরিয়া আদায় করতে এবং উত্তমরূপে আপনার ইবাদত করতে।’’ 
[আবু দাউদ: ১৫২২, হাকিম: ৬৭৭, সহিহ আত-তারগিব: ২/২১৯; হাদিসটি সহিহ]
.
শব্দে শব্দে মুখস্থ করে নিতে পারেন—
.
اللّٰهُمَّ আল্লাহুম্মা 
[হে আল্লাহ!]  
.
أَعِنِّيْ আ‘ইন্নি 
[আমাকে সাহায্য করুন]
.
عَلٰى আলা 
[উপরে]
.
ذِكْرِكَ، যিকরিকা 
[আপনার যিকর (করতে)]
.
وَشُكْرِكَ، ওয়া শুকরিকা 
[আপনার শুকরিয়া (আদায় করতে)]
.
وَحُسْنِ ওয়া হুসনি
[এবং উত্তম (ভাবে)]
.
عِبَادَتِكَ. ইবাদাতিকা 
[আপনার ইবাদত (করতে)]
.
প্রথমত, হাদিসটির বর্ণনা খুবই সুন্দর। নবীজি অত্যন্ত স্নেহ করে মু'আয (রা.)-কে এই সুন্দর দু'আটি শিখিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, তিনি এটা ওসিয়ত করেছেন—নামাযের পরে পড়তে। সাধারণ উপদেশ এবং ওসিয়তের মধ্যে পার্থক্য অনেক। মানুষ খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারেই কেবল ওসিয়ত করে থাকে।
তৃতীয়ত, দু'আটির অর্থও খুবই সুন্দর ও ব্যাপক—গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিষয়ের চাওয়া।
চতুর্থত, এটি শুধু প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরই নয়, নামাজের সিজদায়, সালাম ফেরানোর পূর্বে এবং অন্যান্য যেকোনো দু‘আর মধ্যে পড়া যাবে। তবে, সারাজীবন রেগুলার আমল করতে পারেন কেবল ফরজ নামাজের পর। আর অন্যান্য ক্ষেত্রে পড়লে মাঝেমধ্যে ছেড়ে দেবেন আবার পড়বেন। 
.
#আল্লাহর_নিরাপত্তায়
#মহান_রবের_আশ্রয়ে (১১ নং পর্ব)
এই সিরিজ চলবে ইনশাআল্লাহ্। পূর্বের ১০ টি পর্বের লিংক কমেন্টে একত্রে দেওয়া হলো। পড়ে নিতে পারেন।
.
#Tasbeeh

Tuesday, April 8, 2025

মানিসক অসুস্থতায় মায়ের অভিশাপ

মানিসক অসুস্থতায় মায়ের অভিশাপ
আপনার মা যদি মানসিকভাবে অসুস্থ হন ও এমন অবস্থায় আপনাকে বদ দুয়া গালি দেন , তবে আপনার কর্তব্য হলো— যেন তাঁর রাগ, বকাঝকা বা অন্যায্য আচরণকে খারাপভাবে গ্রহণ না করেন এবং সবসময় ধৈর্যের সঙ্গে সহ্য করেন। কখনো তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ানো বা দুর্ব্যবহার করা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকবেন। বরং নিয়মিতভাবে তাঁর জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে সুস্থতা ও আরোগ্য কামনা করবেন।

যদি আপনার মা মানসিক অসুস্থতার কারণে অহেতুক রাগ করেন বা অভিশাপ দেন, তবে ইনশাআল্লাহ আপনার কোনো ক্ষতি হবে না—যতক্ষণ আপনি চুপ থেকে সহ্য করেন এবং কোনো অসভ্যতা না করেন। এমনকি অন্তরেও যেন তাঁর প্রতি কোনো রকম বিরক্তি বা ঘৃণা না আসে। বরং আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁর সেবা করুন ও দোয়া করুন, যেমন তিনি আপনার শৈশবে কষ্ট সহ্য করে আপনাকে লালন-পালন করেছেন।

তবে যদি ভুলবশত কখনো কোনো ধরনের অসভ্যতা বা অবমাননাকর আচরণ হয়ে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে মন জয় করে নিন।

একটি হাদীসে এসেছে—একজন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ–এর কাছে এসে আরয করলেন: “আমার বাবা-মা বার্ধক্যে পৌঁছেছেন, আমি তাঁদের সেই রকম সেবা করছি যেভাবে তাঁরা আমার শৈশবে করতেন। তাহলে কি আমি তাঁদের হক আদায় করে ফেললাম?” রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন: “না, তুমি তাঁদের হক আদায় করো নি; কারণ, তাঁরা তোমার জন্য ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার কামনায় তোমার সেবা করতেন, আর তুমি তাঁদের মৃত্যুর আশঙ্কা মনে রেখে সেবা করছো।”


Thursday, April 3, 2025

দুয়া

গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সহজ দু'আর বাক্য শব্দে শব্দে অর্থসহ শিখুন—নামাজের সিজদায় পাঠ করার জন্য এগুলো দারুণ হবে ইনশাআল্লাহ্ (৪ নং পর্ব)
.
দু'আ তিনটির মাধ্যমে দুনিয়াতে অবিচ্ছিন্ন নিয়ামত, মানসিক প্রশান্তি এবং আখিরাতে স্বাচ্ছন্দময় জীবন—সবই অন্তর্ভুক্ত আছে, আলহামদুলিল্লাহ!
.
নবীজির প্রিয় সাহাবি আম্মার ইবনু ইয়াসার (রা.) নামাজে এসব বাক্য দিয়ে দু'আ করেছিলেন আর বলেছিলেন, এগুলো তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শিখেছেন। [নাসাঈ, হাদিস: ১৩০৪, সহিহ]
.
দু'আটি ছিলো অনেক অনেক লম্বা। সেখান থেকে আমরা সহজ তিনটি বাক্য তুলে ধরছি, যাতে সবাই শিখতে পারেন।
.
اللّٰهُمَّ أَسْأَلُكَ نَعِيْماً لَا يَنْفَدُ وَأَسْأَلُكَ الرِّضٰى بَعْدَ الْقَضَاءِ وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ
.
[মোটামুটি উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আসআলুকা না‘ঈমান লা ইয়ানফাদ, ওয়া আসআলুকার রিদ্বা বা‘অদাল ক্বাদ্বা, ওয়া আসআলুকা বারদাল ‘আইশি বা‘অদাল মাওত]
(আরবি ع ‘আইন’সহ বিভিন্ন হরফের উচ্চারণ বাংলায় লেখা যায় না। সুতরাং আমরা অনুরোধ করব—আপনারা আরবির সাথে মিলিয়ে পড়ুন। না হয়, নিশ্চিত ভুল শিখবেন)
.
[অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার কাছে এমন নিয়ামত (অনুগ্রহ) চাই, যা কখনো শেষ হবে না; তোমার কাছে চাই, যেন তোমার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকতে পারি এবং তোমার কাছে মৃত্যুর পর আরামদায়ক জীবন চাই]
.
এবার শব্দে শব্দে অর্থ মুখস্থ করুন—
.
اللّٰهُمَّ আল্লাহুম্মা [হে আল্লাহ] 
أَسْأَلُكَ আসআলুকা [আমি তোমার কাছে চাই]
نَعِيْماً না‘ঈমান [নিয়ামত বা অনুগ্রহ]
لَا يَنْفَدُ লা ইয়ানফাদ [শেষ হবে না]
وَأَسْأَلُكَ ওয়া আসআলুকা [তোমার কাছে চাই]
الرِّضٰى আর-রিদ্বা [সন্তুষ্টি/খুশি]
بَعْدَ বা‘অদা [পরে]
الْقَضَاءِ আল-ক্বাদ্বা [সিদ্ধান্ত]
وَأَسْأَلُكَ ওয়া আসআলুকা [তোমার কাছে চাই] 
بَرْدَ বারদা [শীতল (আরাম]
الْعَيْشِ আল-‘আইশ [জীবন]
بَعْدَ বা‘অদা [পরে]
الْمَوْتِ আল-মাওত [মৃত্যু]
.
এবার মুখস্থ করুন এভাবে—
.
اللّٰهُمَّ আল্লাহুম্মা [হে আল্লাহ]
.
أَسْأَلُكَ نَعِيْماً لَا يَنْفَدُ আসআলুকা না‘ঈমান লা ইয়ানফাদ
[তোমার কাছে এমন নিয়ামত (অনুগ্রহ) চাই, যা কখনো শেষ হবে না]
.
وَأَسْأَلُكَ الرِّضٰى بَعْدَ الْقَضَاءِ ওয়া আসআলুকার রিদ্বা বা‘অদাল ক্বাদ্বা
[তোমার কাছে চাই, যেন তোমার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকতে পারি]
.
وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ ওয়া আসআলুকা বারদাল ‘আইশি বা‘অদাল মাওত
[তোমার কাছে মৃত্যুর পর আরামদায়ক জীবন চাই]
.
কয়েকটি কথা:
--------------------
[এক.] প্রথম বাক্যটি দিয়ে দুনিয়ার সকল নিয়ামতই সম্পৃক্ত করা যায়। অন্তত দু'আর সময় মাথায় এমনটিই রাখবেন। 
.
[দুই.] আমরা বিভিন্ন খারাপ পরিস্থিতিতে পড়লে হতাশ হয়ে যাই; আল্লাহর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে পারি না। এমনটি করা খুবই খারাপ অভ্যাস। তাই এ থেকে মুক্তি পেতে আমরা দু'আ করব ‘তোমার কাছে চাই, যেন তোমার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকতে পারি'। আর, যে সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকতে পারে, তার চেয়ে সুখী মানুষ পৃথিবীতে নেই।
.
[তিন.] তৃতীয় বাক্যে মৃত্যুর পর আরামদায়ক জীবন চাওয়া হচ্ছে। এটা তো জরুরি। কারণ কেউ সর্বাধিক আনন্দে জীবন কাটাক অথবা সর্বাধিক দুঃখী জীবন কাটাক, তাদের প্রত্যেকের মৃত্যু আছে। আসলে মৃত্যুর পরের জীবনটাই মূল জীবন। তাই, সেই জীবনটা সুন্দর হওয়ার জন্যও এখানে দু'আ করা হচ্ছে। 
.
[চার.] ফেইসবুক লাইটে যের, যবর, পেশ বোঝা যায় না, অথচ আমরা এগুলো দিয়েছি।
.
[পাঁচ.] তাশদিদের উপরের হরকত যবর হয় এবং তাশদিদের নিচের হরকত যের হয় (যদিও তা হরফের উপরে হোক না কেন)
.
#আল্লাহর_নিরাপত্তায়
#মহান_রবের_আশ্রয়ে (৪ নং পর্ব)
আমাদের এই সিরিজ কমপক্ষে ২০ পর্ব হবে, ইনশাআল্লাহ্। পূর্বের তিন পর্বের লিংক কমেন্টে দেওয়া হলো।
.
#Tasbeeh

Wednesday, April 2, 2025

প্রশ্ন

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। 

আপনি নিম্নোক্ত তিনটি কাজের কোন একটি করুন।

১ - মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসুন।
২ - স্ত্রী সহ নিজেই মায়ের কাছে চলে যান এবং যে কোন মূল্যে স্ত্রীর জন্য খাস পর্দার পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
৩ - মায়ের জন্য বাড়ীতে ফুলটাইম বা পার্টটাইম খাদেমা/গৃহকর্মী রাখার ব্যাবস্থা করুন।

বাড়ীতে পর্দার পরিবেশ নিশ্চিত না করে স্ত্রীকে সেখানে রেখে আসা জায়েজ হবেনা। এক্ষেত্রে মায়ের অসন্তুষ্টির চেয়ে আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনুরূপভাবে আপনি স্ত্রীকে দূরে রাখলে নিজে যদি গুনাহে জড়িয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে তাহলেও স্ত্রীকে দূরে রাখা জায়েজ হবেনা। তাই ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নিন। মাকে ভালো রাখার ব্যাবস্থা করার পশাপাশি নিজের সংসার, সুখ, নিরাপত্তা ও দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়েও সতর্ক থাকুন। 

মনে রাখবেন, সাংসারিক বিষয়াবলীতে মা কিংবা স্ত্রী কারো অনুরোধই কখনো অন্ধভাবে মানা যাবেনা। বরং ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে যেটা শরীয়ত, সামাজিকতা, সাধারণ যুক্তিবোধ ও ভবিষ্যত ফলাফলের বিবেচনায় সকলের জন্য অধিক উপযুক্ত ও উপকারী মনে হবে সেটাই করবেন এবং বাকিদের সামনে আপনার পদক্ষেপের যৌক্তিকতা তুলে ধরবেন। তবে ক্ষতি ও অসহনীয় কষ্ট না হলে তখন নিজের চিন্তা ও উপলব্ধির উপরে মায়ের আবদারকে প্রাধান্য দিতে চেষ্টা করবেন। কখনো কখনো স্ত্রীর ক্ষেত্রেও এমনটা করবেন। আল্লাহ আপনাদেরকে সুখী করুন।



।।।
গ্রুপে সার্চ করে পাই নি। এপ্রুভ প্লিজ
স্পর্শকাতর প্রশ্ন:

চাকুরির সুবাধে বাড়ি থেকে দূরে থাকি। বাড়িতে মা অসুস্থ, চলা ফেরায় কষ্ট হয়। স্ত্রীকে নিয়ে আমি চাকুরি স্থলের কাছাকাছি থাকি। কিন্তু, মা সেটা পছন্দ করছেন না; সে চায় স্ত্রীকে তার কাছে রেখে যাই। স্ত্রী আমার সাথে থাকতে চায়, তাছাড়া বাড়িতে পর্দা রক্ষা করাটাও বেশ কঠিন আমার স্ত্রীর জন্য। স্ত্রী আমার সাথে থাকলে আমার জন্যও সুবিধা। 

কিন্তু, স্ত্রীকে মায়ের কাছে রাখছি না বলে তিনি আমার প্রতি ক্রোধান্বিত। আমি তাকে কষ্ট দিচ্ছি বলেও নানানভাবে বদ দোয়া দিতে থাকেন। আমি প্রতি মাসে প্রায় সময়ই বাড়িতে যাই। 

কিন্তু, তার কথা হল স্ত্রীকে যেন তার কাছে রেখে যাই, রান্না বান্না যেন করতে পারে। 

এমন পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিত?



উত্তর দিয়েছেন 
মুফতি আফফান বিন শরফুদ্দিন (হাফি.)

Tuesday, April 1, 2025

১৭ শ্রেনীর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না

যে ১৭ শ্রেনীর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না -

১। হারাম খাদ্য ভক্ষণকারী জান্নাতে যাবে না। (সুনানে বাইহাকী, হাদীস নং ৫৫২০)

২। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছি'ন্নকারী জান্নাতে যাবে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৫২৫)

৩। প্রতিবেশীকে ক'ষ্ট দানকারী জান্নাতে যাবে না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৬)

৪। মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, দাইউস ও পুরুষের বেশ ধারণকারীণী জান্নাতে যাবে না। (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদীস নং ২২৬)

৫। অশ্লীলভাষী ও উগ্রমেজাজী জান্নাতে যাবে না। (আবু দাউদ, হাদীস নং ৪১৬৮)

৬। অধীনস্থদেরকে ধোঁ'কাদানকারী শাসক জান্নাতে যাবে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৬১৮)

৭। অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকারী জান্নাতে যাবে না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯৬)

৮। খোটাদানকারী, অবাধ্য সন্তান ও মদ্যপ জান্নাতে যাবে না। (সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৫৫৭৭)

৯। চোগলখোর জান্নাতে যাবে না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫১)

১০। অন্য পিতাকে যে নিজের পিতা বলে পরিচয় দেয় সে জান্নাতে যাবে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬২৬৯)

১১। গর্বকারী-অহংকারকারী জান্নাতে যাবে না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩১)

১২। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নাফরমান জান্নাতে যাবে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৭৩৭)

১৩। দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে ইলম অর্জনকারী জান্নাতে যাবে না। (আবু দাউদ, হাদীস নং ৩১৭৯)

১৪। অকারণে তালাক কামনাকারীণী জান্নাতে যাবে না। (জামি‘ তিরমিযী, হাদীস নং ১১০৮)

১৫। মাথার চুলে কালো কলপ ব্যবহারকারী জান্নাতে যাবে না। (সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৪৯৮৮)

১৬। রিয়াকারী জান্নাতে যাবে না (যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য কিছু করে)। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৫২৭)

১৭। ওয়ারিসকে বঞ্চিতকারী জান্নাত থেকে বঞ্চিত হবে। (সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং ২৬৯৪)
Courtesy - Zikrillah