প্রাচীন গ্রন্থাদিতে এ
অঞ্চলের (সিলেট বিভাগ) বিভিন্ন নামের উল্লেখ আছে। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে শিবের
স্ত্রী সতি দেবির কাটা হস্ত (হাত) এই অঞ্চলে পড়েছিল, যার ফলে 'শ্রী হস্ত' হতে শ্রীহট্ট নামের উৎপত্তি বলে হিন্দু সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন।
খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের ঐতিহাসিক এরিয়ান লিখিত বিবরণীতে এই অঞ্চলের নাম
"সিরিওট" বলে উল্লেখ আছে। এছাড়া, খ্রিস্টীয়
দ্বিতীয় শতকে এলিয়েনের (Ailien) বিবরণে
"সিরটে", এবং পেরিপ্লাস অব দ্যা এরিথ্রিয়ান সী
নামক গ্রন্থে এ অঞ্চলের নাম "সিরটে" এবং "সিসটে" এই দুইভাবে
লিখিত হয়েছে। অতঃপর ৬৪০ খ্রিস্টাব্দে যখন চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এই অঞ্চল
ভ্রমণ করেন। তিনি তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে এ অঞ্চলের নাম "শিলিচতল" উল্লেখ
করেছেন[১২]। তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দীন বিন বখতিয়ার খলজি দ্বারা বঙ্গবিজয়ের
মধ্য দিয়ে এদেশে মুসলিম সমাজব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটলে মুসলিম শাসকগণ তাঁদের
দলিলপত্রে "শ্রীহট্ট" নামের পরিবর্তে "সিলাহেট",
"সিলহেট" ইত্যাদি নাম লিখেছেন বলে ইতিহাসে প্রমাণ
মিলে। আর এভাবেই শ্রীহট্ট থেকে রূপান্তর হতে হতে একসময় সিলেট নামটি প্রসিদ্ধ হয়ে
উঠেছে বলে ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন ।
This is not a blog only-you will get almost everything helpful, educational materials and so on here with the passage of time.
Tuesday, December 20, 2011
মেয়েরা দিনে ৫ ঘণ্টা গালগল্প করে কাটায় [ Females waste 5 Hours in gossiping ]
যে কোন পুরুষের পক্ষেই এ কথা
বলা কঠিন যে তার স্ত্রী বা প্রেমিকা কতক্ষণ কথা বলেন। এ প্রশ্নেরই সুরাহা করেছেন
ব্রিটেনের একদল গবেষক। তাদের মতে, মেয়েরা
প্রতিদিন গড়ে ৫ ঘন্টা গল্পগুজব করে বা বকবক করে কাটায়।গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েরা বাসায় বা অফিসে যেখানেই থাকুক দিনে তারা প্রায় ২৯৮ মিনিট
খোশগল্প করে- যা তাদের কর্মঘন্টার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।গবেষণার ফল নিয়ে ‘দ্য ডেইলি মেইল’ এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, খোশগল্পে মেয়েরা সাধারণত পরচর্চা, পরনিন্দাই বেশি করে।
একজনের সঙ্গে আরেকজনের ডেটিং এবং অন্যের
ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তারা কথা বলে। এছাড়াও মেয়েরা গল্প করে যৌনতা, কেনাকাটা ও টিভি সিরিয়ালগুলো নিয়ে।ওজন, খাদ্যাভ্যাস
ও পোশাক সংক্রান্ত আলোচনায় মেয়েরা দিনে সময় ব্যয় করে ২৪ মিনিট।
জরিপে এক-তৃতীয়াংশ নারী বলেছেন, দিনের একটা সময় দুপুরে তারা কী খাবেন এ নিয়ে কথা বলে
সময় কাটান।অন্যান্য আরো বিষয়ের মধ্যে আছে কসমেটিক সার্জারি, শ্বশুরবাড়ি এবং তারকা জগৎ।গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের সুরা
কোম্পানি ফার্স্টকেপ ক্যাফে কালেকশন। ব্রিটেনের ‘কুইন অব
চ্যাট’ বা ‘কথার রানি’কে খুঁজে বের করতেই তাদের এ প্রয়াস।
কোম্পানির মুখপাত্র স্টিভ বার্টন বলেছেন, “বকবক করায় মেয়েদের জুড়ি নেই। আর কয়েকজন মেয়ে এক জায়গায়
হলে তারা কী নিয়ে কথা বলে তা জানতে ছেলেদেরও আগ্রহের অন্ত নেই।”এ কৌতুহলের অনেকটাই নিবৃত্তি ঘটিয়েছে এ গবেষণা।এতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মেয়েই অন্য যে কারো চেয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বলতে বেশি
স্বাচ্ছন্দবোধ করে। জীবনসঙ্গী, মা ছাড়াও সবচেয়ে
ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্ন ব্যাপার নিয়ে তারা কথা বলে।গবেষণায় আরো দেখা গেছে,
মেয়েরা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বেশির ভাগ সময় কাজের কথাই বলে ।
অন্যদিকে, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে গালগল্প করে সবচেয়ে
বেশি।এছাড়া ৩৬ শতাংশ নারী গোপন কথা চাপা রাখে না। বিশ্বাস করে যারা তাদেরকে গোপন
কথা কলে তা তারা প্রায়ই তাদের জীবনসঙ্গীকে বলে দেয়।
[ source- internet ]
Subscribe to:
Comments (Atom)
