Thursday, April 22, 2021

মুসলিম হবার গল্প

 May be an image of ‎text that says '‎কুরআন শুনে মুসলিম طيبح TAIBAH AIBAHACAD ACADEMY‎'‎

 

 

আমার বাড়িটি মসজিদের পাশে হওয়াই সেখান থেকে কুরআনের সুর শোনা যায়। রামাদান মাসে মুসলিমরা অনেক রাত জেগে তারাবীহ পড়ে। সাধারণত বাড়ির পাশে লাউড স্পিকারে কোনো শব্দ হলে তা আমাদের নিকট বিরক্তির কারণ হয়। কিন্তু কুরআনের ব্যাপারটা আমার কাছে ভিন্ন লাগত। কুরআনের তিলওয়াত আমাকে কখনই বিরক্ত করত না। ধর্মে আমি ক্যাথলিক খ্রীষ্টান হলেও কুরআনের সুমধুর সুর আমার অন্তরকে নাড়া দিয়েছিল।
আমি সেবার পুরো রামাদান জুড়ে মনযোগ দিয়ে নিয়মিত কুরআন শুনেছিলাম। এভাবে কুরআন শোনাটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। রামাদান মাস শেষেও যাতে আমি কুরআন শুনতে পারি সেজন্য কুরআনের একটি সিডি কিনে আনলাম বাজার থেকে।
আমি কুরআনের কিছুই বুঝতাম না, শুধুই শুনতাম। কুরআন আমার পরিশ্রান্ত অন্তরকে পরিতৃপ্ত করে দিত। আমি ধীরে ধীরে অনুভব করতে লাগলাম এই কুরআনই পারে আমার অস্থির হৃদয়কে প্রশান্তির পরশ দিয়ে শীতল করে দিতে। এভাবে কুরআনের প্রতি আমার ভালবাসা বেড়ে গেল। কুরআনকে সঙ্গী করে চলতে লাগলাম অনেক দিন।
একদিন নীরব রাতে কুরআনের সাথে আমার সম্পর্কটা স্থায়ী করার প্রবল তাড়না মনের মধ্যে জেগে উঠল। আমিও তাদের মত হতে চাই যারা কুরআন পড়ে, শোনে এবং বোঝে। আমি সেই আল্লাহর সাথে আমার সম্পর্কটা জুড়তে চাই যার কথা আমি এতদিন বার বার শুনেছি, যার কথার সুর আমার নির্জীব অন্তরকে সতেজতার পরশ দিয়েছে। আমি আমার জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত কুরআনের দ্বারা পূর্ণ করতে চাই।
আল্লাহ আমার অন্তর খুলে দিলেন। আমি মেঝেতে বসে পড়লাম। একা। সাথে শুধু আল্লাহ। আমি শাহাদাত পাঠ করলাম। আল্লাহ এবং কুরআনের সাথে আমার সম্পর্কের পথচলা শুরু হল এখান থেকেই…!
ইসলাম গ্রহণের পর সংগত কারণেই অনেকদিন গোপনে ইসলাম চর্চা করতে হয়েছে। গোপনে ২ বছর কাটালাম। যখন বুঝতে পারলাম আল্লাহর সাথে আমার সম্পর্কটা দৃঢ় এবং কেউ তা নড়বড়ে করে দিতে পারবে না তখন প্রকাশ্যে ইসলাম চর্চা শুরু করলাম। একটি ইসলামিক সেন্টারে ভর্তি হয়ে কুরআন পড়া শিখলাম। কুরআনের কিছু সূরাও মুখস্থ করে ফেললাম। কুরআনের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি আয়াত আমাকে আল্লাহর নিকট থেকে নিকটতর করে দেয়।
এভাবে সালাত, সিয়াম, পর্দা হয়ে উঠল আমার নিত্যদিনের সঙ্গি। আমি এখন মুসলিম। কুরআন আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে ফিরিয়ে এনে জান্নাতের পথ দেখিয়েছে।
গল্পটি ইংল্যান্ডের একজন নারীর। অনূদিত এবং সম্পাদিত।

মেয়েদের জন্য কিছু উপদেশ

 

মেয়েদের_জন্য_কিছু_উপদেশঃ
১। মেয়েরা শরীরের কাপড় চেঞ্জ করার সময় অবশ্যই "বিসমিল্লাহ" বলে নিবেন। নইলে আশেপাশে থাকা ফেরেশতারা লজ্জা পেয়ে চলে যাবে এবং জ্বীনরা আপনার সব দেখে ফেলবে।
২। আপনি যখন ওয়াশরুমে যাবেন, যাওয়ার আগে অবশ্যই দোয়া পড়ে নিবেন। তাহলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আপনার ও জ্বীনদের মধ্যে একটি পর্দা তৈরী করে দেবে। এতে করে খবিশ জ্বীন গুলো আপনাকে ইভটিজিং করতে পারবেনা।
৩। কোথাও কিছু ফেলার আগে বিসমিল্লাহ বলে ফেলবেন। এতে অন্যান্য সৃষ্টির কোনো অসুবিধা হবেনা।
৪। বাহিরে যাওয়ার সময় ঘরে থাকা ফেরেশতাদের সালাম দিয়ে বের হবেন ও দোয়া পরে বের হবেন।যেসব ফেরেশতারা আপনার অনুপস্থিতি তে আপনার ঘরটি পাহারা দিলেন ঘরে এসে তাদের আবারো সালাম দিন। এটা ভদ্রতা।
৫। বেশি বেশি সালাম দেওয়ার অভ্যাস করুন। ছোটদের আগে সালাম দিন। তারা উৎসাহিত হবে।
৬। আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে বাচ্চাদেরকে ছোট থেকে মসজিদে পাঠানোর অভ্যাস করুন। দাঁড়িয়ে পানি খেতে দিবেন না বাচ্চাদের, তারা ছোট থেকেই শিখবে। আপনি নিজেও দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া বন্ধ করুন। বসে খাবেন। এটা সুন্নাহ।
৭। ডান কাত হয়ে ঘুমাবেন। এটা সুন্নাহ ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ঘুমের আগে অবশ্যই ৩ কুল পড়ে ঘুমাবেন। এটা আপনাকে সারারাত বদ মানুষ ও জ্বীন থেকে হেফাজত করবে, ইন শা' আল্লাহ্।
৮। প্রতিরাতে অবশ্যই সুরা মুলক পড়ে ঘুমাবেন। এটা আপনার কবরের জীবনের সাথী, আপনাকে কবরের আযাব থেকে বাঁচাবে ইন শা' আল্লাহ্।
৯। ঘুমের আগে প্রতিদিন বিছানা ঝাড়েন অথচ এটা সুন্নত মনে করে ঝাড়লেই পেয়ে যাচ্ছেন সওয়াব!
অনুরূপ ভাবে কাপড় পড়ার আগে অবশ্যই একটু ঝেড়ে নিবেন এটা সুন্নাহ এবং কাপড়ে কোনো পোকামাকড় থাকলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবেনা।
১০। পরিশেষে খিলখিল করে হাসা বন্ধ করুন। মুচকি হাসবেন। এটাই সুন্নাহ!