Thursday, April 22, 2021

নেককার নারী হওয়ার জন্য যা শর্ত, আর যা শর্ত নয়

 

▌নেককার নারী হওয়ার জন্য যা শর্ত, আর যা শর্ত নয়
·
মাক্কাস্থ উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্য, আশ-শাইখ, আল-‘আল্লামাহ, আল-ফাক্বীহ, ড. মুহাম্মাদ বিন ‘উমার সালিম বাযমূল (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন—
ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺍﻟﺼﺎﻟﺤﺔ ﺍﻟﺴﻠﻔﻴﺔ : ﻟﻴﺲ ﺷﺮﻃًﺎ ﻓﻴﻬﺎ ﺃﻥ ﺗﻌﺮﻑ ﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺎﺕ ﻭﺍﻷﺣﺰﺍﺏ، ﻭﻻ ﻳﺸﺘﺮﻁ ﻓﻴﻬﺎ ﺃﻥ ﺗﻜﺮﺭ ﻛﻼﻡ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻟﺴﻠﻒ ﻭﻋﺒﺎﺭﺍﺗﻬﻢ، ﻭﻻ ﻳﻠﺰﻡ ﺃﻥ ﺗﻌﺮﻑ ﺟﺮﺡ ﻓﻼﻥ ﻭﻓﻼﻥ. ﻭﻻ ﻳﺸﺘﺮﻁ ﻓﻴﻬﺎ ﺃﻥ ﺗﻌﺮﻑ ﺍﻟﻤﺸﺎﻳﺦ ﺍﻟﺴﻠﻔﻴﻴﻦ، ﻭﻻ ﻳﺸﺘﺮﻁ ﺃﻥ ﺗﻌﻠﻢ ﻣﺎ ﻳﺪﻭﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺴﺎﺣﺔ، ﻭﻻ ﻳﺸﺘﺮﻁ ﺃﻥ ﺗﺼﻮﻡ ﺍﻷﻳﺎﻡ ﺍﻟﺒﻴﺾ ﻭﻛﻞ ﺍﺛﻨﻴﻦ ﻭﺧﻤﻴﺲ،
ﻭﻻ ﺃﻥ ﺗﻘﻮﻡ ﺍﻟﻠﻴﻞ ﻳﻮﻣﻴﺎً. ﻳﻜﻔﻲ ﺃﻥ ﺗﻜﻮﻥ ﻣﺤﺎﻓﻈﺔ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺕ ﺍﻟﺨﻤﺲ، ﻭﺻﻴﺎﻡ ﺭﻣﻀﺎﻥ، ﻭﺃﻥ ﺗﺤﻔﻆ ﻧﻔﺴﻬﺎ ﻭﺯﻭﺟﻬﺎ، ﻭﺗﻌﺘﻨﻲ ﺑﺒﻴﺘﻬﺎ ﻭﺑﻮﻟﺪﻫﺎ.
ﻭﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺑﻴﺘﻬﺎ ﻣﻤﻠﻜﺘﻬﺎ، ﻭﺯﻭﺟﻬﺎ ﺃﻣﻴﺮﻫﺎ، ﻭﺃﻭﻻﺩﻫﺎ ﺭﻋﻴﺘﻬﺎ. ﻟﻢ ﻳﺬﻛﺮ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ—ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ—ﺇﻻ ﺃﻥ ﺗﻜﻮﻥ : ﺣﻨﻮﻧﺔ ﻋﻠﻰ ﻭﻟﺪﻫﺎ، ﺗﺤﻔﻆ ﺯﻭﺟﻬﺎ ﻓﻲ ﺫﺍﺗﻪ ﻭﻣﺎﻟﻪ، ﻣﻊ ﻗﻴﺎﻣﻬﺎ ﺑﺤﻖ ﺭﺑﻬﺎ. ﺍﻟﻤﺒﺎﻟﻐﺔ ﺗﻨﻄﻊ ﻭﺗﺠﺎﻭﺯ ﻟﻠﺤﺪ، ﻣﺎﺫﺍ ﺗﺮﻳﺪﻭﻥ ﻣﻦ ﺑﻨﺎﺕ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﺃﻥ ﻳﻜﻦ؟!
“একজন নেককার সালাফী রমনীর জন্য বিভিন্ন দল ও জামা‘আত সম্পর্কে জানা শর্ত নয়। তাঁর জন্য ‘আলিমের সালাফের বক্তব্য ও কথা বারবার আওড়ানো শর্ত নয়। তাঁর জন্য অমুক ও অমুকের জারাহ সম্পর্কে জানা জরুরি নয়। তাঁর জন্য সালাফী শাইখদের সম্পর্কে জানা শর্ত নয়। তাঁর জন্য বিশ্বের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা শর্ত নয়। তাঁর জন্য প্রত্যেক মাসে আইয়্যামে বীজের তিনদিন এবং প্রত্যেক সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা থাকা শর্ত নয়। তাঁর জন্য প্রত্যহ তাহাজ্জুদ পড়াও জরুরি নয়।
বর তাঁর জন্য কেবল এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হিফাজাত করবে, রমজান মাসের রোজা করবে, নিজেকে ও নিজের স্বামীকে হিফাজত করবে এবং নিজের গৃহ ও সন্তানের পরিচর্যা করবে। তার বাড়িই তার রাজ্য। তার স্বামীই তার অভিভাবক, আর তার সন্তানসন্ততি তার পালিত ঝাঁক। রাসূল ﷺ কেবল এতটুকু বলেছেন যে, রমনী তার সন্তানের প্রতি মমতাময়ী হবে, স্বামীকে এবং স্বামীর সম্পদকে হেফাজত করবে, আর সাথে সাথে তার রবের হক আদায় করবে।
এসবের চেয়ে বেশি করতে যাওয়া হলো সীমালঙ্ঘন ও অতিরঞ্জন। সুতরাং তোমরা মুসলিম কন্যাদের থেকে তাদের কী হওয়ার আশা করছ?!”
অনুবাদক : মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা
 
May be an image of 1 person and text that says 'নেককার নারী হওয়ার জন্য যা শর্ত, আর যা শর্ত নয়'

গতি জড়তা

 গতি জড়তা

ক্লাস নাইনের ফিজিক্স বইয়ে নতুন একটা টার্ম শিখেছিলাম 'গতি জড়তা' নামে।
জড়তা ব্যপারটা খুব ফ্যাসেনেটিং লাগতো। এই যে ধরেন আপনি চলন্ত বাসে বসে আছেন, হুট করে বাস টা ব্রেক কষে থেমে গেলো আর আপনি যদি কোনোকিছুতে ধরে না রাখেন হাতল হিসেবে,তাহলে বাসটা থেমে যাওয়া সত্ত্বেও আপনি কিছুটা সামনের দিকে চলে যাবেন, একটা ধাক্কার মত খেয়ে। এই ব্যাপারটিই হলো গতি জড়তা। মানে আপনার প্রারম্ভিক বা ইনিশিয়াল যেই স্টেইট সেটার সাথে জুড়ে থাকার আপনার যেই প্রবণতা সেটাই হলো জড়তা।
এতটুক পড়ে হয়তো ভাবছেন কী সায়েন্স আবার কপচানো শুরু করলাম!
একটু ধৈর্য্য ধরুন, জড়তার আলোচনা কেন আনলাম ব্যাপারটা খোলাসা করে বলি।
আমরা সবাই জানি আল্লাহ সুবহানাওয়াতা'আলা আমাদেরকে জানিয়েছেন যে রমজান মাসে তিনি শয়তান কে শিকলবন্দী করে রাখেন। তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে তাহলে রমজান মাসে যদি শয়তান কে আটকিয়ে রাখাই হবে তাহলে রমজান মাসেও দুনিয়াতে এত অশান্তি,এত বিশৃঙ্খলা কীজন্যে। কারণ আমরা জানি যে শয়তানের প্ররোচণাতেই দুনিয়ার মানুষ সকল অপকর্মে লিপ্ত হয় আর যদি শয়তানকে বেধে রাখা হয় তাহলে তো অপকর্মগুলির ও অস্তিত্বহীন হয়ে যাওয়ার কথা। আর আমাদের অনেক মুসলমান ভাই বোনদেরকেও এই ব্যাপারটা অনেক বেশি সন্দেহের মধ্যে ফেলে দেয়।
ঠিক এই জায়গাতেই 'জড়তা' ব্যাপারটা আপনার সকল সন্দেহ দূর করার জন্য টনিকের মত কাজ দিবে। যেই মানুষটা বছরের এগারোটা মাস ধরে শয়তানের প্ররোচণায় নিজেকে সকল ধরণের পাপাচারে যুক্ত রাখলো, বছরের প্রায় পুরোটা সময় আল্লাহবিমুখ হয়ে থাকলো আর নিজের দ্বীনের নিয়মকানুন মানার ব্যাপারে উদাসীন হয়ে থাকলো সেই ব্যক্তি রমজান মাসের চাঁদ উঠার সাথে সাথে অলৌকিকভাবে সকল পাপ ছেড়ে দিবে এইটা ভাবা নিরন্তর বোকামি।
সারাবছর পাপ করার ফলে আপনার মধ্যে পাপ করার প্রতি যেই ভালোবাসা সৃষ্টি হয় সেটাকে বলা যায় একধরণের 'পাপ জড়তা', রমজান মাসে সেই "পাপ জড়তাই" আপনাকে অন্যান্য মাসের মতই বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রাখবে। তাই আপনি যদি ভেবে থাকেন রমজান মাসে শয়তান বেধে রাখা হয়েছে বলে পাপ কাজ উধাও হয়ে যাওয়ার কথা তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আগে 'পাপ জড়তা' নামক ব্যপারটি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার জন্য রমজান মাস সহ বছরের অন্যান্য মাসেও আমল করা শুরু করুন দেখবেন ইনশাআল্লাহ রমজান মাসে আরো দ্বিগুন তিনগুন আমল করতে পারবেন পাপ থেকে নিজেকে দূরে রেখে।
আল্লাহ সুবহানাওয়াতা'আলা আমাদের সকলকে "পাপ জড়তা" থেকে রক্ষা করুন, রমজান মাস সহ বছরের অন্যান্য মাসে বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুন।
আমিন।