Sunday, June 20, 2021

৩২. প্রশ্ন: পর্দানশীন মেয়ের সাথে কি প্রেম করা যাবে? Marriage education series

 No photo description available.

 

 

প্রশ্ন: পর্দানশীন মেয়ের সাথে কি প্রেম করা যাবে?
উত্তর:
হ্যাঁ, অবশ্যই পর্দানশীন মেয়ের সাথে প্রেম করা যাবে। তবে তা বিয়ে করার পর; আগে নয়।
বিয়ের পর প্রেম-ভালোবাসা অত্যন্ত সওয়াবের। এতে আল্লাহ খুশি হন। পক্ষান্তরে বিয়ের পূর্বে কথিত প্রেম-ভালোবাসা গুনাহের। এতে শয়তান খুশি হয়।
-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

৩১. প্রশ্ন: মুশরিককে বিয়ে করে সন্তান হলে সে কি জারজ সন্তান হবে? Marriage education series

 No photo description available.

 

প্রশ্ন: মুশরিক বিয়ে করে সন্তান হলে সে কি জারজ সন্তান হবে?
উত্তর:
ইসলামের দৃষ্টিতে কোন মুসলিমের জন্য (চাই পুরুষ হোক অথবা নারী হোক) মুশরিককে বিয়ে করা হারাম।
মহান আল্লাহ বলেন:
 
وَلَا تَنكِحُوا الْمُشْرِكَاتِ حَتَّىٰ يُؤْمِنَّ ۚ وَلَأَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ ۗ وَلَا تُنكِحُوا الْمُشْرِكِينَ حَتَّىٰ يُؤْمِنُوا ۚ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ ۗ أُولَـٰئِكَ يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ ۖ وَاللَّـهُ يَدْعُو إِلَى الْجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِ ۖ وَيُبَيِّنُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
“আর তোমরা মুশরিক নারীদেরকে বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। একজন মুসলিম ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলিম ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা জাহান্নামের আগুনের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।" (সূরা বাকারা: ২২১)
 
আর ইসলামের একটি মূলনীতি হল, “বিয়ে বৈধ হলে সন্তান বৈধ আর বিয়ে অবৈধ হলে সন্তানও অবৈধ।”
সুতরাং কোন মুসলিম যদি কোনও হিন্দু, বৌদ্ধ, অগ্নিপূজক, গাছ, মাছ, কবর পূজারী ইত্যাদি মুশরিককে বিয়ে করে তাহলে তার বিয়ে বাতিল। এভাবে তথাকথিত বিয়ে করে ঘর সংসার করলে তা শরিয়তের দৃষ্টিতে ব্যভিচার হিসেবে গণ্য হবে। সুতরাং তাদের ঔরসজাত সন্তানও হবে অবৈধ (জারজ) সন্তান।
 
উল্লেখ্য যে, এই সন্তানের কোনও দোষ নেই। সে নিষ্পাপ। তার প্রতি কোনও ধরণের কু ধারণা রাখা যাবে না। মান-মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে তার প্রতি কোনরূপ বৈষম্য করা যাবে না। আলেম হলে তার পেছনে নামাজ পড়তেও কোন সমস্যা নেই।
 
আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।
আল্লাহু আলাম।
--------------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব