Sunday, May 5, 2024

কর্পোরেট প্রস্টিটিউশন

কর্পোরেট প্রস্টিটিউশন

এই সম্পর্কে যারা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও এজেন্সিগুলোতে কাজ করতেছেন তারা ছাড়া বাকিরা কেউ ভাবতেও পারবেন না সমাজে কি চলছে। বর্তমান কর্পোরেটে এটা একটা ক্যান্সার হয়ে গেছে। ভোগবাদী আর শো-অফের নেশায় নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে দ্বিধা করছে না মেয়েরা। পুরুষের লালসা আর ফাঁদে পা দিয়ে নিজে বুঝে উঠার আগেই চরিত্র বিকিয়ে দিচ্ছে সদ্য ভার্সিটি পাস করা মেয়ে। ব্যাপারটা শুধু ছোট কিংবা বড় প্রতিষ্ঠান নয় সব জায়গায় একই ভয়াবহ ক্যান্সার। পাবলিকের মেধাবী মেয়ে বা প্রাইভেটে অ্যাভারেজ মেয়ে নয়, সত্যি বলতে কোনো বাছবিচার নাই। পাবলিক, এনএসইউ, অনার্স কলেজ, প্রাইভেট সব জায়গার ভালো পরিবার, স্বচ্ছল পরিবার, অভাবী পরিবার কোনো বাছবিচার নাই বিশ্বাস করেন। নাস্তিক উগ্র মেয়ে কিংবা নামাজী মেয়ে সবাইকে এই ফাঁদে পা দিতে দেখে ফেলেছি অলরেডি। হ্যা, নিজের কথাই বলছি পাশাপাশি আমার বন্ধুদের অনেকেই আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানে আছে তাদের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। আসেন আপনাদের কিছু সিনারিও দেখাই।

আমরা যারা ছেলেরা চাকরি করছি করেছি তাদের অভিজ্ঞতা আছে একটা ইনক্রিমেন্ট, একটা প্রমোশনের জন্য আমরা কি কি করেছি। রাতদিন ডিউটি, নাইট, আনলিমিটেড অফিস আওয়ার, দেশের নানা প্রান্তে সফর, রাতদিন এক করে ফোনকল ফলোয়াপ কি কি করেছি একবার চোখ বন্ধ করে ভাবুন। কুত্তার জীবন আর আপনার জীবনে কোনো তফাত পাবেন না। বিনিময়ে মাস শেষে আপনার এনে দেওয়া ইনকাম থেকে কোম্পানী আপনাকে দয়া করে কিছু অংশ দিয়ে তার ৪ গুন কীভাবে আদায় করে নেওয়া যায় সেই চিন্তায় মত্ত। এইবার কল্পনা করুন, একজন মেয়ে কোম্পানীতে জয়েন করলো। প্রথম মাসে তার হাতের শাওমি কিংবা মিডরেঞ্জ অপ্পোটি সাডেনলি আইফোনে রুপান্তরিত হলো। সে ছুটি পায় আগে। একজন জিএম গাড়ী না পেলেও একজন মেয়ে এক্সিকিউটিভ গাড়ীতে বাসায় যায়। প্রায়ই ছুটিতে থাকে। হঠাৎ তৃতীয় মাসে কেন যেন তাকে বিদেশ সফর করতে হয় এক্সিবিশন আর মিটিং এটেন্ড করার জন্য। তাও যে সে জায়গায় নয়। দুবাই কিংবা থাইল্যান্ড। এদিকে প্রায় রাতেই তাকে ডিনার করতে হয় লে মেরিডিয়ানে বা ওয়েস্টিনে। 

আশ্চর্যের বিষয়, মেয়েটি এই সুবিধাগুলোকে নিজের যোগ্যতায় পাওয়া সুবিধা মনে করে। কোম্পানী তাকে সেটা ফীল করায়। তাকে মিথ্যা আশ্বাস দেয় এই কয়দিন পরেই তুমি ম্যানেজার হয়ে যাবা, সব তোমারই দেখা লাগবে। মেয়েটিও বিশ্বাস করে। সেজন্য সে বিছানায় যেতেও দ্বিধা করে না। সে ভাবে বয়ফ্রেন্ডের সাথে যেতে যেহেতু দ্বিধা করি না ম্যানেজমেন্টের সাথে যেতে দ্বিধা কই। আর ম্যানেজমেন্টের জন্যই তো আজ হাতে আইফোন, কাঁধে ডিজাইনার ব্যাগ, গায়ে ১৩ হাজার টাকা দামের সেলোয়ার কামিজ। একবারও কি তার মনে উদয় হয় না এই বস্তুগুলোর চেয়ে আমার চরিত্রের দাম লাখ কোটি গুণ বেশী? আমি অবাক হই, কীভাবে এই মেয়েটি রাতে তার স্বামীর পাশে শোয়। কীভাবে তাকে আবার ভালোবাসার কথা বলে? তার মনে কি অপরাধবোধ কাজ করে না একটুও? নিজেকে কি অপবিত্র মনে হয় না? মনে হয় না যে আমি নাপাক হয়ে গেছি? এই নাপাকি কোনোভাবেই দূর করা পসিবল না। আচ্ছা সে কি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে না? ভবিষ্যতে যখন আমার সন্তান হবে সেই সন্তানের মা যে দুশ্চরিত্রা মা হয়ে গেলো এটা তাকে ভাবায় না? 

এইবার আরেকটু আগাই আসেন। কিছুদিন পর যখন কোম্পানির এই মহামূল্যবান সম্পদটি হঠাৎ ব্রাত্য হয়ে যায়, যেতে আসতে ঝাড়ি খায়, গালি খায় তখন তার বোধদয় হয় যে আমার থেকে যা নেয়ার সব নিয়ে আমাকে ছূড়ে ফেলা হয়েছে। বোধদয় হয় কি? না হয় না। কারণ কোম্পানি তাকে ছেড়ে দিলেও সম্পর্ক রেখে দেয়। সকালে অফিস না করলেও রাতে ঠিকই ডিউটি করে। হয়তো ওই এক বান্ডেল টাকার লোভে। ছিহ: বাবা মা সারাজীবন তাকে ফুলের মতো করে লালনপালন করে বড় করছে ওয়েস্টিন আর হোটেল সারিনার নিশিকণ্যা হওয়ার জন্য? 

অনেকে পোস্ট করেন যেই আপুরা কক্সবাজার যায় আর আইফোন চালায় তারা কোন কোম্পানিতে কাজ করে। হ্যারে ভাই তারা সব কোম্পানিতেই কাজ করে। 

তবে যেই মেয়েরা নিজেকে বিলিয়ে দেয়া ছাড়া জব করে তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন জব কত কষ্ট। একটা আইফোনের দাম কত। একটা শখ পুরা করতে তাকে কত ঘন্টা অফিস করতে হয়েছে। আমি এমনও দেখেছি খারাপ প্রোপোজাল পেলে সাথে সাথে এক সেকেন্ড দেরী না করে রিজাইন দিতে। এমনকি এরকম মানুষও আছে আর কখনো কর্পোরেট জগতেই আসে নি। জবও ছেড়ে দিছে। এমন মানুষ দেখেছি রাতদিন কষ্ট করার পরেও কোম্পানী তাকে মূল্য দিচ্ছে না দেখে জব ছেড়ে দিছে কিন্তু খারাপ কাজে পা বাড়ায় নি।

অফিসের অন্যান্য কলিগরা কি এইসব জানে না? হ্যা জানে, ডে ওয়ান থেকেই তারা সব জানে। ম্যানেজমেন্টের ইশারায় তারা চুপ করে থাকে কিন্তু আড়ালে কি বলে সেগুলা শুনলে ওইসব আপুরা মাটির ১৪ হাত নীচে চলে যাইতো। আসলেও কি যাইতো? মনে হয় না। কারণ একজন বিবাহিত, কয়েক বাচ্চার বাপের বিছানা যারা গরম করতে পারে কিছু টাকার জন্য তাদের আবার শরম কীসের? 

এইজন্য সচেতন অভিভাবকদের বলি আপনার মেয়েকে জবে দেয়ার আগে ১৪ বার ভাবুন। হায়েনার ভীড়ে আপনার আদরের সোনামণিকে ছেড়ে দেয়ার আগে চিন্তা করুন তাকে কতটুকু আগলে রাখতে পারবেন। তাকে চোখে চোখে রাখুন। ঈদের দুইদিন আগে জয়েন করেই ফুল ঈদ বোনাস, হঠাৎ দামী দামী জামাকাপড়, হাতে আইফোন, জয়েন করতে না করতেই প্রমোশন ইনক্রিমেন্ট, দুই মাস ঘুরতে না ঘুরতেই বিদেশে কনফারেন্স এটেন্ড এগুলা দেখলেই বুঝবেন আপনের আদরের সোনামণি এখন একটা কর্পোরেট প্রস্টিটিউট হয়ে গেছে। যার সাথে দৌলতদিয়ার মহিলাদের সাথে পার্থক্য শুধু পে-রোলে।

হ্যাপী কামলাসোদা দিবস

Nayeemul Hasan

Wednesday, May 1, 2024

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


 

(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম শ খানেক টেক্সট+ইমেইল পেয়েছি। এত মানুষকে পার্সোনালি কাউন্সেল করা সম্ভব না, আশা করি এই লেখাটা পড়লে প্রাসঙ্গিক ম্যানিপুলেশন আপনারা ধরতে পারবেন ও নিজের এটেনশনের ভ্যালু বুঝতে পারবেন।)

বেশীরভাগ ছেলেই জানে না যে তাদের এটেনশন হলো কারেন্সীর মতন। এটেনশন যখন ফ্রিতে বিলানো হয় তখন ছেলেরা নিজের রিসোর্সের লেভারেজ হারায় ও নিজের দাম কমায়

মর্ডান চাল্লু মেয়েদের নিজের চারপাশে একদল ‘বেটা মেইল’ ঘুর্ণায়মান অবস্থায় রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এই ধরণের বেটাদের ‘অরবিটার’ নামে ডাকা হয় (কমেন্টে একটা ডেফিনিশন দেয়া হলো)। এরা সেই দল যাদের সাথে মেয়েরা রোমান্টিক্যালি সিরিয়াস হবে না, বড়জোর ব্যাকআপ গাই বানাবে। উপগ্রহের মতন এদেরকে আশেপাশেই রাখবে- কারণ এরা সার্ভাইবলে সাহায্য করে

এসাইনমেন্টে হেল্প করার জন্য, ফ্রিতে পড়া বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অথবা ঝামেলায় পড়লে ডাকার জন্য কিংবা রাত বিরাতে ইমোশনাল গারবেজ গপ্প ডাম্প করার জন্যে হলেও দুই-একজন নিঃস্বার্থ বেটা অরবিটার দরকার

ডুয়াল মেটিং স্ট্র্যাটেজির প্রথমটা হলো ভালো জিনের জন্য মেইটিং, পরেরটা হলো রিসোর্সের জন্য মেইটিং। দুই নাম্বার স্ট্র্যাটেজির বেনেফিটটা বেটা অরবিটারদের থেকে নেয়া হয় ঠিকই আর রিটার্নে দেয়া হয় ঘোড়ার ডিম (মানে অরবিটার মেইটিং পায় না কিন্তু রিসোর্স দেয়)। মেয়ের তরফ থেকে অল্প বা প্রায় বিনা ইনভেস্টমেন্টে এদের উপযোগিতা কাজে লাগানো হয়

তো এই আজগুবি একপাক্ষিক ডিলটা কিভাবে হয়? অরবিটারদের ফিশিং করার পদ্ধতিটা ইন্টেরেস্টিং। যতক্ষণ এরা মূল রোমান্টিক ইন্টারেস্ট লুকিয়ে রেখে বেস্টফ্রেন্ড বা ভাইয়া হিসেবে ঘুরবে, ইনভেস্ট করতে থাকবে- মেয়ে সায় দিবে। একটু সিরিয়াস হতে গেলে মেয়ে আবার পিছায় আসবে

পসিবিলিটি’ দেখিয়ে বলদ ও লাস্টফুল ছেলেদের ব্যবহার করার ব্যাপারটা নতুন না, এটা নিয়ে পশ্চিমে বইও লেখা হয়েছে। মেয়েদেরকেও সালমানেরা ব্যবহার করে। তবে সালমানরা সংখ্যায় কম আর সিম্পরা সংখ্যাগরিষ্ঠ- আগের একটা লেখায় ব্যাখ্যা করেছি

ধরেন ছেলে গিফট দিচ্ছে, টাইম দিচ্ছে, গপ্প করে মেয়ের মন ভালো করছে বা অন্যকোন ভাবে ইনভেস্ট করছে- মেয়ে প্রশংসায় ভাসায় দিবে। এমন ভাব ধরবে যেন কিছুই বুঝতেসে না, এগুলো কিসের লক্ষণ সে যেন জানেই না। যেই না ছেলে একটু এস্কেলেট করতে চাইবে, একটু বেশী রোমান্টিক হিন্টস দিবে- তখনই মেয়ে আলোর বেগে প্রসঙ্গ পাল্টাবে

সাধারনত এভাবে কিছুদিন যায়। একসময় রামভোদাই ছেলে কনফিউজড হয়ে সরাসরি প্রপোজ করে। তখন এরকম দৃশ্যের অবতারণা হয়ঃ

১। সে এক বেদনাদায়ক কাহিনীঃ মেয়ের ফ্যামিলির কোন দুঃখের কাহিনী বের হয়, যে কারণে মেয়েটা এখন এসবের জন্য প্রস্তুস্ত নন- এমন ব্যাখ্যা। অথবা দুষ্ট ছেলেদের সাথে আগের এক্সপেরিয়েন্স থেকে উনি কিভাবে স্ট্রাস্ট ইস্যু ডেভেলপ করেছেন সেই ব্যাখ্যা

২। পবিত্র বারবীঃ ছেলেদের সাথে রেগুলার গ্যাঁজানো মেয়েটি ব্যাখ্যা দিবেন রিলেশন কেন হারাম ও বন্ধুত্ব কেন পবিত্র। ‘আইলাবু’ বলার আগে ফেরেশতাঁরা পাপ লেখা শুরু করেন না- এ বিষয়ের শানে নজুল আলোচনা করা হবে

.৩। তুমি সবার থেকে ভালো ও আলাদাঃ পিতিবিটা বড় স্বার্থপর ভায়া, ভাত ছেটালে একটা চড়ুইও হামাকে দাম দেয় নাই

কিন্তু ব্রো থুমি কিছু পাওয়ার আশা না করেই যে মাস্ত সার্ভিস দিতেসো এতে প্রমাণ হয় তুমি একটা ভালো মানুষ। তোমার মত মানুষ পৃথিবীতে আরো দরকার। তুমি দ্যা বেস্ট, তুমিই স্পাইডারম্যান ও ব্রাদার তেরেসা

৪। তুমি অনেক ইম্পর্ট্যান্ট, তুমিই সব থেকে ক্লোজ কারণ আমি তোমার সাথে সব শেয়ার করিঃ নিকোলাদা বলেছিলেন মেয়েরা যার সাথে ফ্রি হয় তারে রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে মাসিকের ডেট সবই বলে দেয়। তাই এটারে খুব আহামরি কিছু ভাবার দরকার নাই। মেয়েটা মূলত আপনার সময় নষ্ট করছে। সারাদিনের গার্বেজ শেয়ার করে নিজেরে হাল্কা করছে, ফলে লাভটা তারই হচ্ছে

ভাইয়েরা হাম্বা বলদ হোয়েন না, যুগে যুগে মেয়েরা যে পুরুষকে সত্যিকারের ইম্পর্ট্যান্ট ভেবেছে তার কোমরে উঠানামা করেছে, খোশগল্প করে নি। মেয়েরা ঘন্টার পর ঘন্টার গপ্প করে তার সইদের (মেয়ে বন্ধু) সাথে, আপনি মূলত তার বান্ধবী ললিতা ছিলেন

৫। তুমি রেসে এগিয়েঃ মেয়েটা প্রথমে ক্লিয়ার করে নিবে সে আপনার প্রস্তাবে আগ্রহী না

এরপরে কিছু গাজর ও মুলা ঝুলাবে। যেমন ওর মা আপনার কথা রেগুলার জিজ্ঞেস করেন, ছোটভাই, বান্ধবিরা আপনাকে খুব্বি পছন্দ করেন, ওর কাছে আপনার একটা গ্রহনযোগ্যতা আছে ইত্যাদি এবং লেগে থাকলে ভবিষ্যতে সফলতা আসলেও আসতে পারে- এমন হিন্টস দেয়া হবে

৬। তাড়াহুড়ো করছোঃ যদিও আপনি জানেন যে এই মেয়ের পিছে বহুদিন যাবত ঘুরে নিজের পাছা ফাটিয়ে চৌচির করে ফেলেছেন। কিন্তু মেয়ের মতে আপনি আসলে বড্ড তাড়াতাড়ি প্রেম নিবেদন করেছেন, হাদিসে আছে তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ

৭। গিল্ট ট্রিপিংঃ মেয়েটা এডভান্টেজে আছে। ফ্রিতে বিনোদন ও সুবিধা নিচ্ছে থাকে আর ফাটছে ছেলেটার

কিন্তু ছেলে প্রপোজ করলে মেয়েটাই আগ বাড়ায় বলবে, “বড্ড কষ্ট দিলে হে সুজন, তুমিও আমায় ওভাবে দ্যাখো? ছি! (ইশ এভাবে যদি ভার্সিটির পশ গিটারিস্ট ভাইয়াটা দেখতো!) বিশ্বাস ভেঙ্গে দিলে গো, কষ্টে মরে যাচ্চি ওরে।”। ভাবখানা এমন যেন এতদিন হেতীই ইনভেস্ট করেছে আর লসটা যেন তারই হয়েছে

এই টেকনিকের প্রশংসা করতে হয়। কারণ এতে বেচারা ছেলে ওর নিজের কষ্টের কথা বলার আগেই গিল্টের চোটে অফ মেরে যায়। ভবিষ্যতেও প্রণয় ঘটিত সিরিয়াস কথা তুলতে লজ্জা পাবে। আরেক ধরনের গিল্ট ট্রিপ হলো- ধরেন মেয়ে পশ ভাইয়াকে পেয়ে রিলেশনে গেল। এতে লিস্টে থাকা প্রধান অরবিটার হতাশ হয়ে অরবিট করা বন্ধ করে দিলে,

তখন বলা হবে- ‘তুমিও বাকিদের মত স্বার্থপর ছিলে সুজন, নিজের স্বার্থের জন্য এসেছিলে। সত্যিকারের ভালোবাসলে এমন করতে না হু।’

৮। কম্পারিজনঃ আরো ম্যানিপুলেশন আছে যেগুলো বাড়াতে থাকলে একটা বই হয়তো হয়ে যাবে। তবে মেনশন করার মত আরেকটা হলো- অন্যান্য ছেলেদের সাথে কম্পারিজন। লাইক “অমুকে আমার জন্য এই-সেই করেছে, এমুকই আমার আসল কেয়ার করে। অমুকের গুরুত্ব আমার জীবনে অপরিসীম”

চাল্লু মেয়েরা এই কাজটা করে। অন্য অরবিটার বা ছেলের সাথে কম্পেয়ার করে বলদ, স্পাইনলেস পোলাদের মধ্যে কম্পিটিশন ও ডেস্পারেশন বাড়ানো হয়

অনেক মেয়ে কমিটমেন্টের পরেও এই বাঁদরামোটা করে থাকে, কারণ ছেলেটা এই ধরণের বুলশিট প্রথম থেকেই সহ্য করে গিয়েছিল। ফলে স্ট্রং বাউন্ডারি সেট করতে পারে নাই। সরাসরি বলে দেই- ভবিষ্যতে এরকম মেয়েকে বিয়ের ডিসিশনটা অবশ্যই রিকনসিডার করবেন, আর পারলে অবশ্যই ডিচ করবেন

৯। যা সত্যি তাই, নো ম্যানিপুলেশনঃ মেয়ে নিঃসংকোচে সরাসরিই বলবে আপনার জন্য উনি আসলে কিছু ফিল করেন না এবং শুধু বন্ধুই থাকতে চান। মেয়ে সিচুয়েশন ভেদে আপনার জন্য ‘সরি’ও ফিল করতে পারেন অথবা আপনার ফিলিং নিয়ে হাল্কা ট্রোলও করতে পারেন। এরকমটা তখন হয় যখন মেয়েটা আত্নবিশ্বাসী থাকে যে-

ক) সত্যি শোনার পরেও অরবিটিং কন্টিনিউ করার মত তীব্র সিম্প আপনি। উনি জানেন আপনি একজন ডোরম্যাট এবং সত্যিটা জানলেও পিছে ঘুরতে থাকবেন। (জীবন্ত পাপোষদের সাথে মেয়েরা ভয়ানক নির্দয় হতে পারে)

খ) অথবা আপনার ভ্যালু মেয়েটার চোখে এতই লো যে আপনার সাথে আপাতত কোন ফিউচার সে দেখতে পাচ্ছে না। আরো ভালো ছেলে ওর হাতে আছে , সুতরাং আপনারে হারানোর বিশেষ ভয় উনার নাই

দেখেন আমি পুরোপুরি নিশ্চিত, এতক্ষণ যারা পড়েছেন তারা কোননা কোন সময় উপরের অন্তত দুই-একটা ঘটনা দেখেছেন অথবা অন্যের উপর ব্যবহার করেছেন

প্যাটার্ন জানা না থাকার জন্য অনেক কমবয়সী ছেলেই ম্যানিপুলেশন ও মিক্সড-সিগনাল ধরতে পারে না। মেয়ে তারে একদিন হাসায়, আরেকদিন কাঁদায়- এভাবে অনেক দিন চলার পর সাধারণত কনফিউশনে মাথা হ্যাং হয়ে যায়, তখন আমাকে ইমেইল করে

দেখেন, আরো সহজ করে ভেঙ্গে দেই, ম্যানিপুলেশনটা মূলত দুই ভাবে হচ্ছে-

১) আশা দেখিয়েঃ এভাবে কামলা খেটে গেলে একদিন ভালো কিছু হবে এমন বুঝিয়ে

২) এথিক্স মারিয়েঃ আপনি ভালো ছেলে। প্রত্যাশা না করে অরবিটিং চালিয়ে যাওয়া আপনার একটা পবিত্র এথিকাল দায়িত্ব। ওইযে কিছু ছেলে আছে না? যারা……

গতবছর ভার্সিটি পড়ুয়া এক ছেলে খুবই বাজে অবস্থায় আমাকে টেক্সট করেছিল। সব শোনার পর আমি অনেক বুঝিয়ে তারপর মেয়েটার সাথে সমস্ত যোগাযোগ কেটে দিতে বললাম। তখন সে বলেছিল “কিন্তু ভাইয়া আমাকে ছাড়া যে ও বড্ড একা হয়ে যাবে, আমিই ওর সবচেয়ে কাছের মানুষ। আমি চলে গেলে ও কিভাবে থাকবে?”

বুঝেন এখন বারবীদের ম্যানিপুলেশন কাহারে কয় 😑ছেলের রেজাল্ট খারাপ হচ্ছিল, ডিপ্রেশনে গান্ড ফেটে হাতে চলে আসছিল, তারপরেও সেই মেয়ের কথা ভাবছিল যে তাকে বহু মাস ঘুরাইতে ঘুরাইতে ফ্রেন্ডজোন করে রাখসে

বেচারা মেয়েটার স্বার্থবাদী ইভল নেইচার ধরতেতো পারেই নাই, উল্টো তারে ছোট্ট ডেলিকেট এনজেল মনে করে যাচ্ছিল

সোসাইটি ছেলেদের বুঝাইসে- ‘যেই মেয়ে আপনার ফ্যামিলির না, আপনাকে গুণেনা তাকেও সেইভ করাটা আপনার বড় দায়িত্ব। ইহাই পুরুষত্ব আর ইহাকেই chivalry বলে’। কেউ তো আগ বাড়িয়ে এটাও প্রচার করছে যে কাকোল্ড্রির মাধ্যমেও নাকি পুরুষত্ব জাহির করা যায়

সিউডো পুরুষত্বের বেশ ধরে এরকম white knight তৈরি করাই মূলত গাইনোসেন্ট্রিক কালচারের কাজ। গাইনোসেন্ট্রিক কালচার অরবিটার ধারা চালু রাখতে কিছু ম্যাক্সিম বানিয়েছে যেগুলো আন্ডার এইজড ছেলেদের আরো বেশী ম্যানিপুলেশন-Prone বানায়

একটা কমন ম্যাক্সিম যা নাটক সিনেমার মাধ্যমে পুশ করা হয়, সেটা হলো ‘লংগেইম’। অরবিটারা মনে করে মন জয় করতে হলে দীর্ঘ সময় নিয়ে পিছে ঘুরঘুর করতে হয়। যারা আমার আগের লেখা পড়েছেন তারা জানেন লংগেইম কেন বাকোয়াস

আগের পোস্টের এনবিএ প্লেয়ার ও ডিক্যাপ্রিওদের উদাহরনে বোঝা গেছে ডমিনেন্স হায়ারারকির উপরের পুরুষদের দীর্ঘসময় লাগে না। লংগেইমে সাক্সেস রেট অনেক কম আর ভাগ্যক্রমে সাক্সেসফুল হয়ে গেলেও বাউন্ডারি সেট করতে নানা সমস্যায় পড়বেন কারণ আপনি নিজের স্পাইন বিকিয়ে দিয়েছেন।   

অন্যদিকে চালাক পোলারা কি করবে বলি, এরা নিজের বেনেফিট ১০০% ইনশিউর করবে। এরা জানে ছেলেদের ভ্যালু নির্ভর করে সেলফ ডেভেলপমেন্টের উপর। তাই নিজের রুটিনের সাথে কখনোই কম্প্রোমাইজ করবে না এবং লাইফ নিয়ে ফোকাসড হবে, হাইপারগামীকে নিজের এডভান্টেজে কাজে লাগাবে। ফ্রি এটেনশনতো দিবেই না বরং এটেনশনকে মুদ্রার মত ইউজ করবে

কোন মেয়ে মিক্সড সিগনাল দিলে আনএপোলজেটিক্যালি তাকে বাদ দিয়ে নেক্সট প্রার্থীর সাথে কথা বলবে। এরা ম্যানিপুলেশন ও গিল্ট ট্রিপিং চট করে ধরে ফেলতে পারে। নিজের এডভান্টেজটা জানে, এরা জানে যে যথেষ্ট যোগ্য হইলে মধ্য বয়সেও বহু সুন্দরী মেয়ে পাওয়া যাবে

ফলে এরা ক্ষুধার্ত কাক হয় না এবং একজনের উপর সময় নষ্ট করে না। মোটকথা এরা মার্কেটে নিজের ভ্যালু বাড়ানো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ও মেন্টালি এবান্ডেন্সে থাকে

আমি মনে করি যেসব ছেলেরা নিজের বেস্ট বেনেফিটে অপারেট না করে অন্য লিঙ্গের খেলাধুলার স্বীকার হয়েছে- তার দায় সম্পূর্ণ তাদের নিজের। সবাই নিজের প্রফিটই দেখবে, আপনি দয়ালচন্দ্র রোমিও হয়ে ইউজড হয়েছেন আপনার নিজের কারনে। তাই অন্যকাউকে দোষ দেয়ার আগে নিজেকে দোষারোপ করুন ও এর থেকে বেরিয়ে আসুন

অরবিটাররা ডেস্পারেট থাকে, কারণ তারা মনে করে এমন কাউকে আর পাওয়া যাবে না। এরকম মনে হবার কারণ- তাদের বয়স কম, নিজের লাইফে এখনো যথেষ্ট ভ্যালু এড করে নি, নিজেকে সেই লেভেলে আপগ্রেড করে নি- তাই যথেষ্ট সংখ্যক সুন্দরী মেয়েদের রাডারে আসে নি। অথবা ভালোভাবে ম্যাট্রিমনিয়াল মার্কেটপ্লেস এক্সপ্লোরই করে নি, তাই এখনো scarcity মাইন্ডসেটে পড়ে আছে

সুতরাং নিজের এটেনশন বিলিয়ে না দিয়ে বরং সেই সময়টায় নিজের উপর ওয়ার্ক করেন, ক্যারিয়ার-পার্সোনালিটি ঠিক করেন, লেভেল আপ করেন- বিশ্বাস করেন পেছনে ঘোরা লাগবে না, আরো ভালো মেয়ে এমনিতেই পাবেন। নিজের লাইফস্টাইল বেটার করলে নারী বাই ডিফল্ট একটা আউটকাম হবে, সুতরাং কম বয়সে ‘জাস্ট একজনের প্রতি’ (বা কালেকটিভলিও) ইর‍্যাশনাল অবসেশনটা বাদ দেন। পুরুষদের লেভারেজটা ঘোরাঘুরি, কামলা দেয়ার মধ্যে আসলে নাই সেটা আগে বুঝুন

পশ্চিমের মেয়েরা ম্যানোস্ফিয়ারের উপর ক্ষ্যাপা কারণ একপাক্ষিক সুবিধা নেয়ার স্কিমটা ফাঁস হয়ে গেছে। আমার উপরে ভোদলিব উমেনেরা সব থেকে বেশী ক্ষেপেছিল ‘ছেলে বেস্টফ্রেন্ড’ ও ‘সিম্প’ নিয়ে লেখার পর, যদিও আমি আসলে বকাবকি করেছিলাম মূলত ছেলেদেরই। এখন ‘বেটা অরবিটার’ আগের দুইটার সাথে যোগ হলো

উপরের আলাপ বুঝতে পারলে এটাও বুঝবেন যে, আপনাকে রেঁধে খাওয়ানো, লইয়াল গিন্নি কেন দামী। কারণ তিনি আপনার লাইফে একচুয়ালি ইনভেস্ট করছেন। তাঁকে রেখে ফেইসবুক ও রাস্তার মেয়েকে আপনার দামী এটেনশন কখনোই বিলাবেন না

(শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে সকল বেটা সিম্প-কামলাদের শুভেচ্ছা)

 

মূল লিখাটা ওমন বিন মাহতাব ভাইয়ের। আমার মন্তব্য নিচে দেয়া হলঃ
আপনি আপনার মাহরাম নারীবাদে মানে মা, বোন, মেয়ে, স্ত্রী ইত্যাদি বাদে বাকী কাউকে ভাউ দেয়া মানেই সময় নষ্ট, সময় নষ্ট মানেই জীবন নষ্ট ও বিপদ।