যুক্তিহীন সত্য ঘটনা
আমার জীবনের ভৌতিক
যতগুলো সত্য ঘটনা শোনা তার প্রায় সবই খালাতো ভাই রনির কাছ থেকে।আজকে যে ঘটনাটা
বলবো তাও রনি ভাইয়ার নিজের জীবনের ঘটনা।
রনি ভাইয়ার দাদাবাড়ি
পিরোজপুরে।তো সেবার ক্লাস ৫'র ফাইনাল পরিক্ষা দিয়ে রনি ভাইয়া দাদাবাড়িতে গেছে।রনি
ভাইয়ার দাদার ১টা গরু ও ১টা বাছুর ছিল আর দেখাশুনার জন্য রাখাল ছিল।মাঝে মাঝেই
রনি ভাইয়া রাখালের সাথে গরু চড়ানো দেখতে মাঠে যেত এবং সন্ধার আগে আগে ফিরে
আসতো।এমন একদিন বিকালে গরু মাঠ থেকে নিয়ে বাড়ির দিকে আসছিল রনি ভাইয়া আর
রাখাল।হঠাৎ বাছুরটা উল্টা দিকে দৌড় দিলো।তখন রাখাল রনি ভাইয়াকে সামনে আগাতে বলে
সে গরু নি্যে বাছুর ধরতে চলে গেল।একা একা রনি ভাইয়া বাড়ির রাস্তা ধরে এগোতে
লাগলো।
এদিকে বিকালের শেষ
আলো্টুকু প্রায় নিভু নিভু।অর্থাৎ কখন যে বিকাল পেরিয়ে সন্ধা নেমেছে তা এতক্ষণ
রনি ভাইয়া খেয়াল করে নাই।সে শুধু হাটছে তো হাটছেই।।
হঠাৎ সামনে তাকাতে আবছা
আলো আধারিতে দেখতে পেলো তার সামনে বেশ দূরে কালো লম্বা কিছু একটা (অনেক টা ছায়ার
মত কিন্তু বেশ পরিস্কার)রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশে ঘুরতে ঘুরতে রনি ভাইয়ার দিকেই
আসছে।।এক মূহুর্তে রনি ভাইয়ার মনে হলো বোধহয় কোন মানুষ আসছে।কিন্তু এতদ্রুত
রাস্তার একপাশ হতে অন্যপাশে যাওয়া কোন মানুষের পক্ষে সম্ভবপর না।।
এসব ভাবার মধ্যে সেই
কালো লম্বাকৃতি ছায়া ঠিক রনি ভাইয়ার ১ হাত সামনে এসে হাত রনি ভাইয়ার দিকে এক
হাত বাড়িয়ে দিয়ে ভরাট গলায় বলল "দেখো তো এটা কি? "
ছায়ার বাড়িয়ে ধরা
হাতের দিকে তাকিয়ে রনি ভাইয়ার পিলে চমকে উঠল।।হাত কোথায়,এ তো
একটা থাবা।।প্রায় ১ ইনচি সমান নখ রয়েছে থাবায় আর মাংস পঁচা বোটকা গন্ধ।।
আর সেখানে না দাড়িয়ে
রনি ভাইয়া উল্টা দিকে ফিরে দৌড়ানো শুরু করলো।পিছন থেকে সেই ভরাট গলায় নিজের
নামটা শুনেও থামলো না ।।
হঠাৎ ওদের রাখালের ডাক
শুনে থামলো দেখলো সে বাড়ির সামনেই চলে এসেছে।তাড়াতাড়ি বাড়িতে ঢুকেই ২-৩ গ্লাস
পানি খেল আর শুনল অইদিকে রাখাল বলছে যে সে বাছুর খুজে বাড়িতে যেয়ে দেখে রনি
ভাইয়া এখনো ফেরে নাই।অইদিকে সন্ধা হয়ে গেছে।তাই গরু গোয়ালে রেখে আবার বের হয়ে
মাঠ থেকে বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটায় ৩ ঘন্টা ধরে খুজে রনি ভাইয়াকে কোথাও না পেয়ে
বাড়ি ফিরে আসে।তারপর হঠাৎ বাইরে রনি ভাইয়ার চিৎকার শুনে বাড়ির বাইরে এসে পায়
রনি ভাইয়াকে।
এসব শুনে তো রনি ভাইয়ার
চক্ষু চরখগাছ।তাহলে ৩ ঘন্টা ধরে সে কোথায় ছিলো?আর কোন রাস্তাতে ছিলো???
No comments:
Post a Comment