সংক্ষেপে বিয়ের রুকন, শর্ত ও ওলি বা অভিভাবক এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তসমূহ
আলহামদু লিল্লাহ।.
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য।ইসলামে বিয়ের রুকন বা খুঁটি তিনটি:
এক:
বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সমূহ প্রতিবন্ধকতা হতে বর-কনে উভয়ে মুক্ত হওয়া। যেমন- বর-কনে পরস্পর মোহরেম হওয়া; ঔরশগত কারণে হোক অথবা দুগ্ধপানের কারণে হোক। বর কাফের কিন্তু কনে মুসলিম হওয়া, ইত্যাদি।
দুই:
ইজাব বা প্রস্তাবনা: এটি মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে পেশকৃত প্রস্তাবনামূলক বাক্য। যেমন- বরকে লক্ষ্য করে বলা যেতে পারে “আমি অমুককে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম” অথবা এ ধরনের অন্য কোন কথা।
তিন:
কবুল বা গ্রহণ: এটি বর বা বরের প্রতিনিধির পক্ষ থেকে সম্মতিসূচক বাক্য। যেমন- বর বলতে পারেন “আমি গ্রহণ করলাম” অথবা এ ধরনের অন্য কোন কথা।
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্তগুলো নিম্নরূপ:
(১) ইশারা করে দেখিয়ে দেয়া কিংবা নামোল্লেখ করে সনাক্ত করা অথবা গুণাবলী উল্লেখ অথবা অন্য কোন মাধ্যমে বর-কনে উভয়কে সুনির্দিষ্ট করে নেয়া।
(২) বর-কনে প্রত্যেকে একে অপরের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। এর দলীল হচ্ছে-নবী (সাঃ) বাণী “স্বামীহারা নারী (বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা) কে তার সিদ্ধান্ত জানা ছাড়া (অর্থাৎ সিদ্ধান্ত তার কাছ থেকে চাওয়া হবে এবং তাকে পরিষ্কারভাবে বলতে হবে) বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল,ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানব (যেহেতু সে লজ্জা করবে)। তিনি বললেন,চুপ করে থাকাটাই তার সম্মতি।”[সহীহ বুখারী, (৪৭৪১)]
(৩) বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারী করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও।”[সূরা নুর, ২৪:৩২] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল।”[হাদিসটি তিরমিযি (১০২১) ও অন্যান্য গ্রন্থকার কর্তৃক সংকলিত এবং হাদিসটি সহীহ]
(৪) বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। দলীল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
বিয়ের প্রচারণা নিশ্চিত করতে হবে। দলীল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
বিয়ের অভিভাবক হওয়ার জন্য শর্তঃ
১. সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন হওয়া।
২. প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া।
৩. দাসত্বের শৃঙ্খল হতে মুক্ত হওয়া।
৪.অভিভাবককে কনের ধর্মের অনুসারী হওয়া। সুতরাং কোন অমুসলিম ব্যক্তি মুসলিম নর-নারীর অভিভাবক হতে পারবে না। অনুরূপভাবে কোন মুসলিম ব্যক্তি অমুসলিম নর-নারীর অভিভাবক হতে পারবে না। তবে অমুসলিম ব্যক্তি অমুসলিম নারীর অভিভাবক হতে পারবে, যদিও তাদের উভয়ের ধর্ম ভিন্ন হোক না কেন। কিন্তু মুরতাদ ব্যক্তি কারো অভিভাবক হতে পারবে না।
৫. আদেল বা ন্যায়বান হওয়া। অর্থাৎ ফাসেক না হওয়া। কিছু কিছু আলেম এ শর্তটি আরোপ করেছেন। অন্যেরা বাহ্যিক আদালতকে (দ্বীনদারিকে) যথেষ্ট ধরেছেন। আবার কারো কারো মতে, যাকে তিনি বিয়ে দিচ্ছেন তার কল্যাণ বিবেচনা করার মত যোগ্যতা থাকলে চলবে।
৬.পুরুষ হওয়া। দলীল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী- “এক মহিলা আরেক মহিলাকে বিয়ে দিতে পারবে না। অথবা মহিলা নিজে নিজেকে বিয়ে দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিয়ে দেয়।”[ইবনে মাজাহ (১৭৮২) ও সহীহ জামে (৭২৯৮)।
৭. বুদ্ধিমত্তার পরিপক্কতা থাকা। এটি হচ্ছে বিয়ের ক্ষেত্রে সমতা (কুফু) ও অন্যান্য কল্যাণের দিক বিবেচনা করতে পারার যোগ্যতা।
ইসলামী আইনবিদগণ অভিভাবকদের একটি ক্রমধারা নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং নিকটবর্তী অভিভাবক থাকতে দূরবর্তী অভিভাবকের অভিভাবকত্ব গ্রহণযোগ্য নয়। নিকটবর্তী অভিভাবক না থাকলে অথবা তার মধ্যে শর্তের ঘাটতি থাকলে দূরবর্তী অভিভাবক গ্রহণযোগ্য হবে। নারীর অভিভাবক হচ্ছে- তাঁর পিতা। এরপর পিতা যাকে দায়িত্ব দিয়ে যান সে ব্যক্তি। এরপর পিতামহ, যতই উর্দ্ধগামী হোক। এরপর তাঁর সন্তান। এরপর তাঁর সন্তানের সন্তানেরা, যতই অধস্তন হোক। এরপর তাঁর সহোদর ভাই। এরপর তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই। এরপর এ দুইশ্রেণীর ভাইয়ের সন্তানেরা। এরপর তাঁর সহোদর শ্রেণীর চাচা। এরপর বৈমাত্রেয় শ্রেণীর চাচা। এরপর এ দুইশ্রেণীর চাচার সন্তানেরা। এরপর মীরাছের ক্ষেত্রে যারা ‘আসাবা’ হয় সে শ্রেণীর আত্মীয়গণ। এরপর নিকটাত্মীয় থেকে ক্রমান্বয়ে দূরের আত্মীয়। যার কোন অভিভাবক নেই মুসলিম শাসক অথবা শাসকের প্রতিনিধি (যেমন বিচারক) তার অভিভাবক।
Conditions of walee (guardian)
Praise be to Allah.
There are three pillars or conditions for the marriage contract in Islam:
-
Both parties should be free of any obstacles that might prevent the marriage from being valid, such as their being mahrams of one another (i.e., close relatives who are permanently forbidden to marry), whether this relationship is through blood ties or through breastfeeding (radaa’) etc., or where the man is a kaafir (non-Muslim) and the woman is a Muslim, and so on.
-
There should be an offer or proposal (eejaab) from the walee or the person who is acting in his place, who should say to the groom “I marry so-and-so to you” or similar words.
-
There should be an expression of acceptance (qabool) on the part of the groom or whoever is acting in his place, who should say, “I accept,” or similar words.
The conditions of a proper nikaah (marriage contract) are as follows:
-
Both the bride and groom should be clearly identified, whether by stating their names or describing them, etc.
-
Both the bride and groom should be pleased with one another, because the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “No previously-married woman (widow or divorcee) may be married until she has been asked about her wishes (i.e., she should state clearly her wishes), and no virgin should be married until her permission has been asked (i.e., until she has agreed either in words or by remaining silent).” They asked, “O Messenger of Allaah, how is her permission given (because she will feel very shy)?” He said: “By her silence.”
(Reported by al-Bukhaari, 4741)
The one who does the contract on the woman’s behalf should be her walee, as Allaah addressed the walees with regard to marriage (interpretation of the meaning): “And marry those among you who are single…” [al-Noor 24:32] and because the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “Any woman who marries without the permission of her walee, her marriage is invalid, her marriage is invalid, her marriage is invalid.”
(Reported by al-Tirmidhi, 1021 and others; it is a saheeh hadeeth)
The marriage contract must be witnessed, as the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “There is no marriage contract except with a walee and two witnesses.”
(Reported by al-Tabaraani; see also Saheeh al-Jaami’, 7558)
It is also important that the marriage be announced, as the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “Announce marriages.”
(Reported by Imaam Ahmad; classed as hasan in Saheeh al-Jaami’, 1027)
The conditions of the walee are as follows:
-
He should be of sound mind
-
He should be an adult
-
He should be free (not a slave)
-
He should be of the same religion as the bride. A kaafir cannot be the walee of a Muslim, male or female, and a Muslim cannot be the walee of a kaafir, male or female, but a kaafir can be the walee of a kaafir woman for marriage purposes, even if they are of different religions. An apostate (one who has left Islam) cannot be a walee for anybody.
-
He should be of good character (‘adaalah – includes piety, attitude, conduct, etc.), as opposed to being corrupt. This is a condition laid down by some scholars, although some of them regard the outward appearance of good character as being sufficient, and some say that it is enough if he is judged as being able to pay proper attention to the interests of the woman for whom he is acting as walee in the matter of her marriage.
-
He should be male, as the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “No woman may conduct the marriage contract of another woman, and no woman can conduct the marriage contract on behalf of her own self, because the zaaniyah (fornicatress, adulteress) is the one who arranges things on her own behalf.”
(Reported by Ibn Maajah, 1782; see also Saheeh al-Jaami’, 7298)
He should be wise and mature (rushd), which means being able to understand matters of compatibility and the interests of marriage.
The fuqahaa’ put possible walees in a certain order, and a walee who is more closely-related should not be ignored unless there is no such person or the relatives do not meet the specified conditions. A woman’s walee is her father, then whoever her father may have appointed before his death, then her paternal grandfather or great-grandfather, then her son, then her grandfathers sons or grandsons, then her brother through both parents (full brother), then her brother through her father, then the sons of her brother through both parents, then the sons of her brother through her father, then her uncle (her father’s brother through both parents), then her father’s brother through the father, then the sons of her father’s brother though both parents, then the sons of her father’s brother through the father, then whoever is more closely related, and so on – as is the case with inheritance. The Muslim leader (or his deputy, such as a qaadi or judge) is the walee for any woman who does not have a walee of her own.
And Allaah knows best.
الحمد لله.
أركان عقد النكاح في الإسلام ثلاثة :
أولا : وجود الزوجين الخاليين من الموانع التي تمنع صحة النكاح كالمحرمية من نسب أو رضاع ونحوه وككون الرجل كافرا والمرأة مسلمة إلى غير ذلك .
ثانيا : حصول الإيجاب وهو اللفظ الصّادر من الولي أو من يقوم مقامه بأن يقول للزوج زوجتك فلانة ونحو ذلك .
ثالثا : حصول القبول وهو اللفظ الصّادر من الزوج أو من يقوم مقامه بأن يقول : قبلت ونحو ذلك .
وأمّا شروط صحة النكاح فهي :
أولا : تعيين كل من الزوجين بالإشارة أو التسمية أو الوصف ونحو ذلك .
ثانيا : رضى كلّ من الزوجين بالآخر لقوله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لا تُنْكَحُ الأَيِّمُ ( وهي التي فارقت زوجها بموت أو طلاق ) حَتَّى تُسْتَأْمَرَ ( أي يُطلب الأمر منها فلا بدّ من تصريحها ) وَلَا تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ ( أي حتى توافق بكلام أو سكوت ) قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ إِذْنُهَا ( أي لأنها تستحيي ) قَالَ أَنْ تَسْكُتَ رواه البخاري 4741
ثالثا : أن يعقد للمرأة وليّها لأنّ الله خاطب الأولياء بالنكاح فقال : ( وأَنْكِحوا الأيامى منكم ) ولقوله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : " أَيُّمَا امْرَأَةٍ نَكَحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهَا فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ " رواه الترمذي 1021 وغيره وهو حديث صحيح .
رابعا : الشّهادة على عقد النكاح لقوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بوليّ وشاهدين ) رواه الطبراني وهو في صحيح الجامع 7558
ويتأكّد إعلان النّكاح لقوله صلى الله عليه وسلم : " أَعْلِنُوا النِّكَاحَ . " رواه الإمام أحمد وحسنه في صحيح الجامع 1072
فأما الولي فيُشترط فيه ما يلي :
1- العقل
2- البلوغ
3- الحريّة
4- اتحاد الدّين فلا ولاية لكافر على مسلم ولا مسلمة وكذلك لا ولاية لمسلم على كافر أو كافرة ، وتثبت للكافر ولاية التزويج على الكافرة ولو اختلف دينهما ، ولا ولاية لمرتدّ على أحد
5- العدالة : المنافية للفسق وهي شرط عند بعض العلماء واكتفى بعضهم بالعدالة الظّاهرة وقال بعضهم يكفي أن يحصل منه النّظر في مصلحة من تولّى أمر تزويجها .
6- الذّكورة لقوله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لا تُزَوِّجُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ وَلا تُزَوِّجُ الْمَرْأَةُ نَفْسَهَا فَإِنَّ الزَّانِيَةَ هِيَ الَّتِي تُزَوِّجُ نَفْسَهَا . " رواه ابن ماجة 1782 وهو في صحيح الجامع 7298
7- الرّشد : وهو القدرة على معرفة الكفؤ ومصالح النكاح .
وللأولياء ترتيب عند الفقهاء فلا يجوز تعدّي الولي الأقرب إلا عند فقده أو فقد شروطه . ووليّ المرأة أبوها ثمّ وصيّه فيها ثمّ جدّها لأب وإن علا ثمّ ابنها ثم بنوه وإن نزلوا ثمّ أخوها لأبوين ثم أخوها لأب ثمّ بنوهما ثمّ عمّها لأبوين ثمّ عمها لأب ثمّ بنوهما ثمّ الأقرب فالأقرب نسبا من العصبة كالإرث ، والسّلطان المسلم ( ومن ينوب عنه كالقاضي ) وليّ من لا وليّ له .
والله تعالى أعلم.
هل انتفعت بهذه الإجابة؟
Requisitos del guardián legal (wali)
Alabado sea Dios.
Hay tres pilares o condiciones para un contrato matrimonial en el Islam:
Ambas partes deben estar libres de cualquier obstáculo que pudiera impedir la validez del matrimonio, como tener permanentemente prohibido casarse por ser parientes cercanos entre sí, ya sea que la relación sea a través de lazos de sangre o del amamantamiento (radá’), o cuando el hombre es un no musulmán y la mujer es musulmana, por ejemplo.
Además, debería haber una propuesta del guardián legal o la persona que actúe en su lugar, que debería decirle al novio: “¿Quieres casarte con Fulana?”, o “Puedes casarte con Fulana” o palabras similares.
Debería haber una expresión de aceptación de parte del novio o de quien actúe en su lugar, que debería decir: “Acepto”, o palabras similares.
Las condiciones para un contrato de matrimonio islámico son las siguientes:
Ambos, la prometida y el novio, deberían estar claramente identificados, ya sea indicando sus nombres o describiéndolos, etc.
Ambos, la prometida y el novio, deberían estar satisfechos el uno con el otro, porque el Profeta Muhámmad (que la paz y las bendiciones de Allah sean con él) dijo: “Ninguna mujer previamente casada (viuda o divorciada) puede ser casada hasta que ella haya sido consultada acerca de sus deseos (ella debería determinar con precisión sus deseos), y ninguna virgen debería ser casada hasta que se haya obtenido su permiso”. Le preguntaron, “Oh, Mensajero de Dios, ¿cómo concederá su aprobación la virgen (si siente mucha timidez)?”. Él dijo: “Guardando silencio (es decir, al ser consultada)”. Registrado por Al-Bujari, 4741.
El que hace el contrato en nombre de la mujer debe ser su guardián legal. Dios dijo con respecto al matrimonio (traducción del significado):
“Desposad a aquellos hombres o mujeres que no tengan cónyuge...” (Al-Nur, 24:32), y porque el Profeta Muhámmad (que la paz y las bendiciones de Allah sean con él) dijo: "Cualquier mujer que se case sin el permiso de su familia, su matrimonio es inválido". Registrado por At-Tirmidi (1021) y otros.
El contrato matrimonial debe ser atestiguado, tal como el Profeta Muhámmad (que la paz y las bendiciones de Allah sean con él) dijo: “No hay ningún contrato matrimonial excepto con un guardián legal y dos testigos". Registrado por At-Tabarani; ver también Sahih al-Yámi’, 7558.
También es importante que el matrimonio sea hecho público, tal como el Profeta Muhámmad (que la paz y las bendiciones de Allah sean con él) dijo: “Anuncien los matrimonios”. Registrado por el imam Áhmad; clasificado como bueno en Sahih al-Yámi’, 1027.
Las condiciones del guardián legal son las siguientes:
Debe ser adulto y maduro, de buen juicio y carácter, y de la misma religión que la novia. Un no musulmán no puede ser el guardián legal de un musulmán, varón o mujer, y un musulmán no puede ser guardián legal de un no musulmán, varón o mujer, pero un no musulmán sí puede ser el guardián legal de una mujer no musulmana con propósitos de matrimonio, aun cuando ellos sean de religiones diferentes.
Debe ser de buen carácter ('adaalah, incluye devoción, actitud, conducta, etc.), como opuesto a ser corrupto, engreído, autoritario, etc. Esta es una condición impuesta por algunos eruditos, aunque algunos de ellos considera la apariencia externa de buen carácter como suficiente, y otros dicen que es suficiente si puede ser considerado por los demás como alguien capaz de prestarle la atención apropiada a los intereses de la mujer, para quien está actuando como guardián legal en lo que respecta a su matrimonio y defensor de sus intereses.
Debe ser hombre, tal como el Profeta Muhámmad (que la paz y las bendiciones de Allah sean con él) dijo: "Ninguna mujer puede dirigir el contrato matrimonial de otra mujer, y ninguna mujer puede dirigir el contrato matrimonial en su propio nombre, porque la fornicadora o adúltera es la que arregla las cosas en su propio nombre". Registrado por Ibn Máyah, 1782; ver también Sahih al-Yámi’, 7298.
Los juristas ponen a los posibles guardianes legales en cierto orden, y no debe ignorarse a un guardián legal que está más estrechamente relacionado con la mujer a menos que no haya ninguna persona así o que entre los parientes no se encuentren las condiciones especificadas. El primer guardián legal de la mujer musulmana es su padre, luego quienquiera que su padre pueda haber determinado antes de su muerte, después su abuelo paterno o bisabuelo, su hermano a través de ambos padres (hermano completo), su hermano a través de su padre, los hijos de su hermano a través de ambos padres, los hijos de su hermano a través de su padre, su tío (el hermano de su padre a través de ambos padres), el hermano de su padre a través del padre, los hijos del hermano de su padre a través de ambos padres, los hijos del hermano de su padre a través del padre, después quienquiera que esté más estrechamente relacionado, y así sucesivamente, como es el caso con la herencia. El líder musulmán (o su delegado, como un qádi o juez) es el guardián legal de cualquier mujer que no tenga un guardián legal propio.
Y Allah sabe más.
Un important résumé portant sur les éléments constitutifs du mariage, ses conditions et celles du tuteur
Louange à Allah.
Les éléments constitutifs du mariage sont au nombre de trois :
Premièrement, l’absence chez les futurs époux de facteurs empêchant la validité du mariage comme l’état de mahram dû à la parenté, à l’allaitement et d’autres facteurs similaires , et l’impiété de l’homme si la femme est musulmane, etc.
Deuxièmement, la prononciation de la formule affirmative par le tuteur ou son représentant. Ce qui consiste à dire au fiancé : Je te marie à une telle ou d’autres expressions pareilles.
Troisièmement, l’expression de l’accord qui émane du futur mari ou son représentant et qui consiste à dire : j’accepte ou d’autres phrases pareilles.
Quant aux conditions de validité du mariage, les voici :
Premièrement, la désignation personnelle des futurs époux par leur identification, leur nomination, leur description, etc.
Deuxièmement, le consentement des futurs époux compte tenu des propos du Prophète (bénédiction et salut soient sur lui) : On n’épouse pas une femme ayant déjà contracté mariage avant d’obtenir son ordre explicite, ni une femme vierge sans sa permission (qui peut se traduire par le silence) . Ils ont dit : ô Messager d’Allah, comment obtenir sa permission (qu’elle pourrait avoir honte d’exprimer) ?
Il dit : C’est son silence (rapporté par Boukhari, 4442).
Troisièmement, la conclusion du mariage par le tuteur parce qu’Allah s’est adressé aux tuteurs matrimoniaux en ces termes : Mariez les célibataires d' entre vous . (Coran, 24 : 31) et parce que le Prophète (bénédiction et salut soient sur lui) a dit : chaque fois qu’une femme se marie sans la permission de son tuteur, son mariage est nul, son mariage est nul, son mariage est nul. Si le mariage est consommé, elle a droit à une dot à cause de l’acte sexuel. Si elle n’a pas de tuteur, l’autorité musulmane en tient lieu (rapporté par at-Tarmidhi, 1021 et d’autres. C’est un hadith authentique).
Quatrièmement, la présence de témoins à la conclusion du mariage compte tenu des propos du Prophète (bénédiction et salut soient sur lui) : Pas de mariage sans un tuteur et deux témoins (rapporté par at-Tabarani et cité dans Sahih al-Djami’, 7558).
Le mariage doit être déclaré compte tenu des propos du Prophète (bénédiction et salut soient sur lui) : Déclarez le mariage (rapporté par l’imam Ahmad et qualifié de ‘beau’ dans Sahih al-Djami, 7558).
La déclaration du mariage a été mis en relief dans les propos du Prophète (bénédiction et salut soient sur lui) Déclarez le mariage (rapporté par l’imam Ahmad et qualifié de ‘beau’ dans Sahih al-Djami, 1072).
Quant au tuteur, il est soumis aux conditions que voici :
1) Il doit être sain d’esprit
2) Il doit être majeur
3) Il doit être libre
4) Il doit être de la même confession que la personne mise sous sa tutelle. Un mécréant ne peut pas exercer une tutelle sur une croyante) même s’ils sont de différentes confessions. L’apostat ne peut pas exercer une tutelle.
5) Il doit être équitable. Cette équité exclut la débauche. Certains ulémas en font une condition, d’autres se contentent d’une équité d’apparence. D’autres disent qu’il suffit qu’il veille aux intérêts de celle sur laquelle il exerce une tutelle matrimoniale.
6) Il doit être de sexe masculin compte tenu des propos du Prophète (bénédiction et salut soient sur lui) : Une femme ne peut établir son propre mariage , ni celui d’une autre femme car c’est la prostituée qui établit son propre mariage (rapporté par Ibn Madja, 1782 et cité dans Sahih al-Djami, 7298).
7) Il doit être perspicace c’est-à-dire capable de reconnaître les partenaires les plus appropriés et les intérêts du mariage.
Les tuteurs sont classés suivant un ordre de préséance établi par les jurisconsultes. C’est pourquoi il n’est pas permis de laisser le tuteur le plus proche, à moins qu’il soit inexistant ou ne remplisse pas les conditions requises.
La tutelle sur une femme est exercée par le père, puis son mandant, puis le grand père maternel, quelque soit son degré, puis le fils de l’intéressée puis le fils de son fils, quelque soit son degré, puis son frère germain puis son frère consanguin puis les fils de ces deux derniers puis son oncle paternel germain puis son oncle paternel consanguin puis les fils de ces deux derniers Ensuite on passe du parent le plus éloigné au parent le plus proche parmi les aceb (les mâles) comme en matière successorale. Puis l’autorité musulmane (et celui qui en tient lieu : le cadi), cette autorité étant la tutrice de celui qui n’a pas de tuteur. Allah le Très Haut le sait mieux.
Wichtige Zusammenfassung der Säulen der islamischen Heirat und deren Voraussetzungen sowie der Voraussetzungen für den islamischen Vormund (Wali)
Alles Lob gebührt Allah..
Die Säulen des Ehevertrags im Islam sind drei:
Erstens:
Das Zugegensein der beiden Brautleute, die beide frei sein müssen von Dingen, die eine Gültigkeit der islamischen Ehe verbieten, wie z.B. die nahe Verwandtschaft durch Blutsverwandtschaft oder durch Stillen, oder dass der Mann Nicht-Muslim ist, während die Frau Muslimin ist u.Ä.
Zweitens:
Das wörtliche Einverständnis (al-Ijaab), das vom islamischen Vormund der Frau (Wali) oder seinem Stellvertreter gesprochen wird, indem er zum Bräutigam sagt: „Hiermit verheirate ich dich mit der soundso“, oder diesem Wortlaut ähnliche Worte.
Drittens:
Die Annahme der Vermählung (al-Qabul), die vom Bräutigam oder seinem Stellvertreter gesprochen wird, indem er sagt: „Ich nehme an/ akzeptiere“, oder diesem Wortlaut ähnliche Worte.
Die Voraussetzungen für die Gültigkeit der islamischen Eheschließung sind folgende:
Erstens:
Die (unmissverständliche) Nennung der beiden Brautleute durch das Zeigen auf diese, durch deren Namen, Beschreibung o.Ä.
Zweitens:
Die Zufriedenheit/ das Einverständnis eines jeden der beiden Brautleute mit dem jeweils anderen. Dies aufgrund der Aussage des Propheten, Allahs Segen und Frieden auf ihm:„(…)Und die Frau, die schon einmal verheiratet war, darf nicht eher verheiratet werden, bis sie um ihre Anweisung dazu gebeten wird. (Das heißt, dass ihre Anweisung dazu eingeholt wird, was bedeutet, dass es eine deutliche Aussage ihrerseits geben muss.) Und die Jungfrau darf nicht eher verheiratet werden, bis ihre Erlaubnis dafür erfragt wurde.“ (Das heißt, bis sie ihr Einverständnis durch Worte oder durch Schweigen gegeben hat.) Sie (die Gefährten, Allahs Wohlgefallen auf ihnen) sagten: „Oh Gesandter Allahs, und wie äußert sie ihr Einverständnis?“ (Gemeint ist: Da sie sich doch schämt, über solche Dinge zu sprechen.) Er sagte: „Indem sie schweigt.“ (Überliefert in Sahih al-Bukhari, Nr. 4741)
Drittens:
Dass der islamische Vormund der Frau (Wali) den Ehevertrag für sie abschließt, da Allah den Vormund damit beauftragte, indem Er sagte (in ungefährer Bedeutung auf Deutsch): „Und verheiratet die Noch-Ledigen unter euch.“[Koran 24:32]
Auch sagte der Prophet, Allahs Segen und Frieden auf ihm:
„Jede Frau, die sich ohne die Erlaubnis ihres Vormunds verheiratet, deren Heirat ist ungültig, deren Heirat ist ungültig, deren Heirat ist ungültig.“
(Überliefert bei at-Tirmidhi, 1021; und anderen. Diese Überlieferung wurde als authentisch - sahih - eingestuft.)
Viertens:
Das Zugegensein von Zeugen für den Ehevertrag. Dies aufgrund der Aussage des Propheten, Allahs Segen und Frieden auf ihm: „Kein Ehevertrag außer mit einem Vormund der Frau (Wali) und zwei Zeugen.“ (Überliefert bei at-Tabraani. Diese Überlieferung wird in Sahih al-Jaami‘ erwähnt, Nr. 7558.)
Es soll großen Wert auf das Publikmachen der Heirat gelegt werden. Dies aufgrund der Aussage des Propheten, Allahs Segen und Frieden auf ihm: „Macht die Heirat bekannt!“ (Überliefert bei Ahmad. Diese Überlieferung wurde in Sahih al-Jaami‘ als gut – hasan - eingestuft, Nr. 1072.)
Die Voraussetzungen, die vom islamischen Vormund (Wali) erfüllt werden müssen, sind folgende:
1- Gesunder Menschenverstand.
2- Islamische Volljährigkeit.
3- Die persönliche Freiheit (also keine Leibeigenschaft).
4- Die Einheit der Religion. Es gibt also keine Vormundschaft eines Nicht-Muslims für einen Muslim oder eine Muslimin, genauso wenig wie es eine Vormundschaft eines Muslims für einen Nicht-Muslim oder eine Nicht-Muslimin gibt.
Bei Nicht-Muslimen gilt die Vormundschaft bei der Heirat für eine Nicht-Muslimin, auch wenn beider Religionen sich unterscheiden.
Es gibt keinerlei Vormundschaft durch jemanden, der den Islam verlassen hat (Murtad).
5. Die Ehrbarkeit (al-’Adaala). Sie stellt das Gegenteil der Sündhaftigkeit (al-Fisq) dar. Sie ist laut Meinung einiger Gelehrter eine Voraussetzung für den Vormund (Wali). Einige Gelehrte vertreten die Meinung, dass hierbei die offensichtliche (also ungeprüfte) Ehrbarkeit ausreichend ist.
Einige andere Gelehrte sind der Meinung, dass es genügt, wenn er über das Interesse und Wohl derjenigen, mit deren Verheiratung er beauftragt ist, wacht und diese wahrt.
6. Der Vormund muss ein Mann (und kann keine Frau) sein. Dies aufgrund der Aussage des Propheten, Allahs Segen und Frieden auf ihm: „Keine Frau verheiratet eine (andere) Frau, und keine Frau verheiratet sich selbst, denn wahrlich, diejenige, die Unzucht (Zina) begeht, ist die, die sich selbst verheiratet.“
(Überliefert bei ibn Maja. Diese Überlieferung ist in Sahih al-Jaami‘ erwähnt, Nr. 7298.)
7. Besonnenheit und Umsicht (ar-Ruschd). Damit ist die Fähigkeit gemeint, einen guten Ehepartner (für die Schutzbefohlene) zu erkennen, sowie die Kenntnis der Interessen, die eine Ehe erfüllen sollte.
Die islamischen Rechtsgelehrten nennen eine Reihenfolge der Vormunde. So ist es nicht erlaubt, einen verwandtschaftlich näherstehenden Vormund zu übergehen, außer bei dessen Nicht-Vorhandensein oder wenn er die Voraussetzungen eines Vormunds nicht erfüllt.
Der Vormund einer Frau ist zunächst ihr Vater, dann derjenige, den ihr Vater (z.B. für die Zeit nach seinem Tod) als ihren Vormund bestimmt.
Danach sind es ihre Großväter väterlicherseits (entsprechend ihrer Reihenfolge, also zunächst Großvater, dann Urgroßvater usw.).
Danach sind es ihre Söhne (in der Reihenfolge ihres Alters) und dann deren Söhne.
Danach ihr Bruder und nach diesem ihr Halbbruder väterlicherseits und nach diesen jeweils deren Söhne.
Danach ihr Onkel väterlicherseits (Bruder des Vaters von beiden Eltern), danach ihr Halbonkel väterlicherseits (Halbbruder des Vaters väterlicherseits) und nach diesen jeweils deren Söhne.
Danach ist der jeweils verwandtschaftlich nächste der sog. ‘Asabah-Verwandten - wie im islamischen Erbrecht - der Vormund der Frau.
Und der muslimische Herrscher (oder wer ihn vertritt, wie z.B. ein legitimer Richter) ist der Vormund derjenigen, die keinen Vormund haben.
Und Allah weiß es am besten.
RINGKASAN PENTING TENTANG RUKUN, SYARAT NIKAH DAN SYARAT WALI
Alhamdulillah.
AlhamdullahRukun akad nikah dalam Islam ada tiga:
1. Adanya kedua mempelai yang tidak memiliki penghalang keabsahan nikah seperti adanya hubungan mahram dari keturunan, sepersusuan atau semisalnya. Atau pihak laki-laki adalah orang kafir sementara wanitanya muslimah atau semacamnya.
2. Adanya penyerahan (ijab), yang diucapkan wali atau orang yang menggantikan posisinya dengan mengatakan kepada (calon) suami, 'Saya nikahkan anda dengan fulanah' atau ucapan semacamnya.
3. Adanya penerimaan (qabul), yaitu kata yang diucapkan suami atau ada orang yang menggantikan posisinya dengan mengatakan, 'Saya menerimnya.' atau semacamnya.
Adapun syarat-syarat sahnya nikah adalah:
1. Masing-masing kedua mempelai telah ditentukan, baik dengan isyarat, nama atau sifat atau semacamnya.
2. Kerelaan kedua mempelai. Berdasarkan sabda Nabi sallallahu’alaihi wa sallam:
لا تُنْكَحُ الأَيِّمُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ وَلا تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ إِذْنُهَا، قَالَ أَنْ تَسْكُتَ (رواه البخاري، رقم 4741)
“Al-Ayyimu (wanita yang pisah dengan suaminya karena meninggal atau cerai) tidak dinikahkan mendapatkan perintah darinya (harus diungkapkan dengan jelas persetujuannya). Dan gadis tidak dinikahkan sebelum diminta persetujuannya (baik dengan perkataan atau diam). Para shahabat bertanya, ‘Wahai Rasulullah, bagaimana persetujuannya?' Beliau menjawab, 'Dia diam (sudah dianggap setuju)." (HR. Bukhori, no. 4741)
3. Yang melakukan akad bagi pihak wanita adalah walinya. Karena dalam masalah nikah Allah mengarahkan perintahnya kepada para wali.
FirmanNya, ‘Dan kawinkanlah orang-orang yang sendirian di antara kamu" (QS. An-Nur: 32)
Juga berdasarkan sabda Nabi sallallahu’alaihi wa sallam,
أَيُّمَا امْرَأَةٍ نَكَحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهَا فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ (رواه الترمذي، رقم 1021 وغيره وهو حديث صحيح)
“Wanita mana saja yang menikah tanpa izin dari walinya, maka nikahnya batal, maka nikahnya batal, maka nikahnya batal." (HR. Tirmizi, no. 1021)
Dan hadits lainnya yang shahih.
4. Ada saksi dalam akad nikah.
Berdasarkan sabda Nabi sallahu’alaihi wa sallam,
لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ وَشَاهِدَيْنِ (رواه الطبراني، وهو في صحيح الجامع 7558)
“Tidak (sah) nikah kecuali dengan kehadiran wali dan dua orang saksi.” (HR. Thabrani. Hadits ini juga terdapat dalam kitab Shahih Al-Jami’, no. 7558)
Sangat dianjurkan mengumumkan pernikahan. Berdasarkan sabda Rasulullah sallallahu’alaihi wa sallam, "Umumkanlah pernikahan kalian’ (HR. Imam Ahmad. Dihasankan dalam kitab Shahih Al-Jami’, no. 1072).
Adapun syarat untuk wali, sebagai berikut:
1.Berakal.
2.Baligh.
3.Merdeka (bukan budak).
4.Kesamaan agama. Maka tidak sah wali kafir untuk orang Islam laki-laki dan perempuan. Begitu pula tidak sah perwalian orang Islam untuk orang kafir laki-laki atau perempuan. Adapun orang kafir menjadi wali bagi wanita kafir adalah, meskipun berbeda agamanya. Dan orang yang keluar dari agama (murtad) tidak bisa menjadi wali bagi siapapun.
5.Adil, bukan fasik. Sebagian ulama menjadikan hal ini sebagai syarat, tapi sebagian lain mencukupkan dengan syarat sebelumnya. Sebagian lagi mencukupkan syarat dengan kemaslahatan bagi yang diwalikan untuk menikahkannya.
6.Laki-laki.
Berdasarkan sabda Nabi sallallahu’alaihi wa sallam,
لا تُزَوِّجُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ وَلا تُزَوِّجُ الْمَرْأَةُ نَفْسَهَا فَإِنَّ الزَّانِيَةَ هِيَ الَّتِي تُزَوِّجُ نَفْسَهَا (رواه ابن ماجة، رقم 1782 وهو في صحيح الجامع 7298)
“Wanita tidak (dibolehkan) menikahkan wanita lainnya. Dan wanita tidak boleh menikahkan dirinya sendiri. Karena wanita pezina adalah yang menikahkan dirinya sendiri." (HR. Ibnu Majah, no. 1782. Hadits ini terdapat dalam Shahih Al-Jami, no. 7298)
7.Bijak, yaitu orang yang mampu mengetahui kesetaraan (antara kedua pasangan) dan kemaslahatan pernikahan.
Para wali harus berurutan menurut ahli fiqih. Maka tidak dibolehkan melewati wali terdekat, kecuali jika wali terdekat tidak ada atau tidak memenuhi syarat. Wali seorang wanita adalah bapaknya, kemudian orang yang diwasiatkannya untuk menjadi walinya, lalu kakek dari bapak sampai ke atas, lalu anak laki-lakinya, lalu cucu sampai ke bawah. Kemudian saudara laki-laki sekandung, berikutnya saudara laki-laki seayah, kemudian anak dari keduanya. Kemudian paman sekandung, lalu paman sebapak, kemudian anak dari keduanya. Kemudian yang terdekat dari sisi keturunan dari asobah seperti dalam waris. Kemudian penguasa muslim (dan orang yang menggantikannya seperti Hakim) sebagai wali bagi yang tidak mempunyai perwalian.
Wallahu’alam .
निकाह के स्तंभों, उसकी शर्तों और वली (अभिभावक) की शर्तों के बारे में एह महत्वपूर्ण सार
हर प्रकार की प्रशंसा और गुणगान केवल अल्लाह तआला के लिए योग्य है।.
हर प्रकार की प्रशंसा और गुणगान केवल अल्लाह के लिए योग्य है।इस्लाम में निकाह के अनुबंध के स्तंभ तीन हैं :
सर्व प्रथम : निकाह की शुद्धता को रोकने वाली बाधाओं जैसे - नसब या रज़ाअत आदि की वजह से महरम होने, तथा आदमी के काफिर और औरत के मुसलमान होने और इसके अलावा अन्य बाधाओं से खाली पति और पत्नी का होना।
दूसरा : ईजाब का होना और वह वली (अभि भावक) या उसके प्रतिनिधि की तरफ से जारी होनेवाला शब्द है, इस प्रकार कि वह पति से कहे कि मैं ने फलाँ औरत से तुम्हारी शादी कर दी।
तीसरा : स्वीकृति का होना और वह पति या उसके प्रतिनिधि की ओर से जारी होनेवाला शब्द है, इस तरह कि वह कहे : मैं ने क़बूल किया।
जहाँ तक निकाह के शुद्ध होने की शर्तों का संबंध है तो वे यह हैं :
प्रथम : संकेत से, या नाम लेकर, या गुणविशेषण आदि के द्वारा पति और पत्नी में से प्रत्येक को निर्धारित करना।
दूसरी : पति और पत्नी में से प्र्रत्येक का दूसरे से सहमत होना क्योंकि आप सल्लल्लाहु अलैहि व सल्लम का फरमान है : ‘‘बिना पति वाली औरत (मृत्यु या तलाक़ की वजह से जिसका पति न रह गया हो) की शादी न की जाय यहाँ तक कि उससे परामर्श कर लिया जाय (अर्थात उसका आदेश ले लिया जाय, चुनाँचे उसका स्पष्टीकारण करना ज़रूरी है) तथा कुंवारी औरत की शादी न की जाय यहाँ तक कि उसकी अनुमति ले ली जाय (अर्थात यहाँ तक कि वह शब्दों के द्वारा या मौन धारण करके सहमति व्यक्त कर दे), लोगों ने कहा : ऐ अल्लाह के पैगंबर! उसकी अनुमति कैसे होगी (क्योंकि वह शरमाती है) आप ने फरमाया : वह खामोश रहे।” इसे बुखारी (हदीस संख्या : 4741) ने रिवायत किया है।
तीसरी : महिला का निकाह उसका वली (सरपरस्त, अभि भावक) कराए क्योंकि अल्लाह तआला ने वलियों को निकाह कराने के लिए संबोधित किया है, चुनाँचे फरमाया :
وَأَنْكِحُوا الْأَيَامَى مِنْكُمْ [ سورة النور : 32]
“और तुम अपने में से अविवाहितो का विवाह कर दो।” (सूरतुन्नूरः 32).
तथा नबी सल्लल्लाहु अलैहि व सल्लम ने फरमाया :
“जिस औरत ने भी अपने वली की अनुमति के बिना निकाह किया तो उसका निकाह बातिल है, तो उसका निकाह बातिल है, तो उसका निकाह बातिल है।” इसे तिर्मिज़ी (हदीस संख्या : 1021) वगैरह ने रिवायत किया है और यह एक सहीह हदीस है।
चौथी : निकाह के अनुबंध पर गवाही रखना, क्योंकि आप सल्लल्लाहु अलैहि व सल्लम का फरमान है : “एक वली और दो गवाहों के बिना निकाह नहीं है।” इसे तबरानी ने रिवायत किया है और वह सहीहुल जामे (हदीस संख्या : 7558) में है।
तथा निकाह की घोषणा और प्रचार करना निश्चित है, क्योंकि नबी सल्लल्लाहु अलैहि व सल्लम का फरामन है : “निकाह का एलान करो।” इसे इमाम अहमद ने रिवायत किया है और उसे सहीहुल जामे (हदीस संख्या : 1072) में हसन करार दिया है।
जहाँ तक वली की बात है तो उसके अंदर निम्नलिखित चीज़ों की शर्त लगाई जाती है :
1- बुद्धि का होना।
2- व्यस्क (बालिग) होना।
3- आज़ादी।
4- धर्म की एकता (अर्थात दोनों का धर्म एक हो), चुनाँचे एक नास्तिक को किसी मुसलमान पुरूष या मुसलमान महिला के ऊपर सरपरस्ती का अधिकार नहीं है, इसी तरह किसी मुसलमान को किसी नास्तिक पुरूष या नास्तिक महिला पर सरपरस्ती हासिल नहीं है, जबकि नास्तिक को एक नास्तिक महिला के ऊपर शादी कराने की सरपरस्ती प्राप्त है भले ही दोनों का धर्म अलग-अलग हो, तथ मुर्तद्द (धर्म से फिर जानेवाले) आदमी को किसी पर सरपरस्ती का अधिकार नहीं है।
5- सत्यवाद व न्यायप्रियताः जो दुराचार के विपरीत हो, यह कुछ विद्धानों के निकट शर्त है, जबकि कुछ लोगों ने केवल ज़ाहिरी सत्यवाद व न्याय प्रियता पर बस किया है, तथा कुछ लोगों ने कहा है कि इतनी बात काफी है कि वह जिसकी शादी के मामले की सरपरस्ती कर रहा है उसके हित के बारे में चिंतन करने वाला हो।
6- पुरूषत्व : अर्थात पुरूष होना क्योंकि आप सल्लल्लाहु अलैहि व सल्लम का फरमान है : “कोई महिला किसी महिला की शदी न करे, और न ही कोई महिला अपनी शादी स्वयं करे। क्योंकि व्यभिचारणी महिला ही अपनी शादी स्वयं करती है।” इसे इब्ने माजा (हदीस संख्या : 782) ने रिवायत यिका है और यह हदीस सहीहुल जामे (7298) में है।
7- विवेक व समझ बूझ : अर्थात कुशल व योग्य व्यक्ति और निकाह के हितों की पहचान करने पर सक्षमता का होना।
फुक़हा के यहाँ वलियों का एक क्रम (तर्तीब) है चुनाँचे निकटतम वली को छोड़कर दूसरे का चयन उसी समय किया जायेगा जब वह मौजूद न हो या वह वली की शर्तों पर न उतरता हो। महिला का वली (सरपरस्त) उसका पिता, फिर उसका वसीयत किया हुआ आदमी, फिर बाप की तरफ से उसका दादा अगरचे ऊपर तक चला जाए, फिर उस महिला का बेटा, फिर उसके बेटे अगरचे नीचे तक चले जाएँ, फिर उसका सगा भाई, फिर बाप की तरफ से भाई फिर उन दोनों के बेटे, फिर उस महिला का सगा चाचा फिर उसका अल्लाती चाचा फिर उन दोनों के बेटे, फिर असबह में से नसब के एतिबार से निकटतम रिश्तेदार, तथा मुसलमान बादशाह (और उसका प्रतिनिधित्व करने वाला जैसे क़ाज़ी) उस का वली (सरपरस्त) है जिसका कोई सरपरस्त नहीं है। और अल्लाह तआला ही सबसे अधिक ज्ञान रखता है।
No comments:
Post a Comment