[Disclaimer: পোস্টে বেশকিছু এক্সপ্লিসিট শব্দ আছে।আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।]
.
আজ থেকে ১০০ বছর আগে ওয়েস্টে গে-লেসবো হওয়া মানসিক সমস্যা ছিল, এর জন্য প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া হতো। এখন এটা হয়ে গেছে পার্ট অফ হিউম্যান রাইটস।লল! মডার্ন মানুষের মতো এত ফ্লুয়িড চিন্তাধারার মানুষ পৃথিবীতে এর আগে কখনো আসে নি।
যাইহোক, আজ এটা আমাদের আলোচ্য বিষয় না। ক্লথ রিমোভার AI এ ফিরা যাক।
-
সোলাইমান সুখন কে দেখলে প্রথমেই আপনার ব্রেইনে কোন বিষয়টা উকি দেয়?
সোলাইমান সুখনের সাথে ক্লথ রিমাভারের কি সম্পর্ক?
আছে। সম্পর্ক আছে।
যারা ১৫/১৬ সালের দিকে (অথবা আরও পরে, ঠিক মনে নেই কত সালে) ফেইসবুকে ছিলেন তারা সবাই হয়তো দেখছেন, সুখনের একটা ন্যুড ভাইরাল হয়েছিল। ফেইসবুক ঘাটলে এখনও তার ন্যুড পাবেন।
এখন তারে দেখলে প্রথমেই তার ন্যুড বিষয়টা আপনার ব্রেইনে উকি দেয়?
অবশ্যই না। হয়তো বাটপার, দালাল, থার্ড ক্লাস মোটিভেশনাল স্পিকার এইগুলা আসে আপনার মাথায় কিন্তু কখনো বিচ শব্দটা আসবে না আপনার মনে।
-
এখন অন্য সিনারিও চিন্তা করা যাক-
ধরুন, টেন মিনিটস স্কুলের এক ফিমেইল ইন্সট্রাকটরের ন্যুড ভাইরাল হয়েছে। এরপর থেকে তাকে দেখলেই প্রথম কোন শব্দটা আসবে?
বিচ, রাইট?
রাইট।
পুরুষ আর নারীর জন্য দুই রকমের দৃষ্টিভঙ্গি কেন?
এই পার্থক্যের কারন আমরা সবাই জানি, হয়তো কনশাসলি অথবা সাব-কনশাসলি। কিন্তু আমাদের সমস্যা হল স্পেশালি মেয়েদের, নিজেদের খায়েশাতকে(ডিজায়ার) প্রাধান্য দিতে গিয়ে অপ্রিয় সত্যকে এড়িয়ে যেতে পছন্দ করি। আপনি বলতেই পারেন এটা মিসোজিনিস্ট সোসাইটির সমস্যা,তাতে তো আর বাস্তবতা বদলে যায় না।বাস্তবতাকে যতো ইজিলি এক্সেপ্ট করতে পারবেন, লাইফ ততো সহজ। বাস্তবতা ও কনসুকুয়েন্সকে সামনে না রেখে নিজের ডিজায়ারেরর উপর বেইস করে সিদ্ধান্ত নিলে যখন নিজের কৃতকর্মের কনসুকুয়েন্সে নিজেই ফেইস করবেন, তখন সমাজের সাবাইকে মিসোজিনিস্ট মনে হওয়া অস্বাভাবিক না ইনফ্যাক্ট অভবিয়াস।
-
পুরুষের ভিজুয়ালাইজেশন ফ্যান্টাসি সম্পর্কে ধারনা আছে?
Modern Wisdom এর The Difference between male brain and female brain পডকাস্টে ক্রিস একবার বলেছিল কোনো মরুভুমিতে যদি একটা পাথর দেখতে বু*সের মতো লাগে, ওইটাকেও পুরুষ বু*স হিশেবে কল্পনা করতে পিছপা হবে না। জাস্ট ''দেখেই(visible কিছুর দিকে তাকিয়ে)'' কি পরিমান যৌনাভুতি নিতে পারে পুরুষ মানুষ, মেয়েরা এটা ভাবতেও পারবে না। আপনার কাছে এইটা আনইউজাল লাগতে পারে। কয়েকটা ফ্যাক্টস জানতে চাই আপনার কাছে, হয়তো ধরতে পারবেন-
-পুরুষের চোখের পর্দা ফরজ কেন?
-বেশিরভাগ পর্ন এডিক্ট মেইল হয় কেন?
-প্রাইভেট টাইমে মেইল পার্টনার লাইট জালিয়ে রাখতে চায় কেন?
-ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় বেশি পিক চায় কেন?
-মেয়ে সামনে পড়লেই ছেলেরা দেখতে চায় কেন? প্রাইভেট পার্টের(বুক, কোমর) দিকে দৃষ্টি দিতে চায় কেন?
এইগুলোর কারন হলো মেইল-ব্রেইনে Sight Craving জিনিসটা সেট করে দেওয়া আছে। সে জাস্ট দেখে স্টিমুলেইট হতে পারে, যেটা নারীর জন্য নিয়ারলি ইম্পসিবল।
এখন মিলিয়ে দেখুন, নারীর ক্লথ রিমোভ এবং পুরুষের ক্লথ রিমোভ সমান কিনা?
-
আপনি পিক দিতেন আগে, কোনো পার্ভার্টের চোখে পড়লে হয়তো আগে জাস্ট ইমাজিন করে স্টিমুলেইট হতো। এখন AI প্রযুক্তির সাহায্যে সে শুধু ইমাজিন করতে পারছে না, সাথে তার ইমাজিনেশন কে ভিজুয়ালাইজ করতে পারছে। সে খুব সহজেই ইন্টিমেইট ফিল নিতে পারতেছে জাস্ট একটা পিক থেকে।
একটু চিন্তা করে দেখুন, বিষয়টা কতো ভয়ানক। আমি বলছি না পিক দিলেই এমন ঘটবে, কিন্তু এমন ভয়ানক কিছু ঘটার সামান্য সম্ভবনা থাকা সত্বেও কেউ পিক দিতে পারে আমার বিশ্বাস হয় না!
-
মেইন প্রশ্নে ফিরা যাক-
১।পুরুষের পিক ভাইরাল করলেই সমাধান হয়ে যাচ্ছে, তাই না?
দেখেন মেইন সমস্যা ভাইরাল নিয়ে না। মেইন সমস্যা আপনার পিক থেকে ছেলেরা গনহারে একজন বিচের মতো ইন্টিমেইট ফিল নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। কোনো ছেলের নেকেড পিক দেখে মেয়েরা এমন ফিল নিতে পারবে? অসম্ভব! ঘৃনা করবে উলটো।
২।ভাইরাল হলে কার লসটা বেশি?
দুনিয়ার দৃষ্টিতেই যদি দেখি, তুলনামুলকভাবে কার chastity’র দাম বেশি? এই প্রশ্নকে আপনি বায়াসড বলতেই পারেন, কিন্ত বাস্তবে যা ঘটে তা তো অস্বীকার করতে পারবেন না।
দ্বিতীয় পয়েন্ট হলো, ছেলেরা আপনাকে জানিয়ে ক্লথ রিমোভ করবে, এমন তো কোনো কথা নাই। ছেলেরা বোকা, তবে সব ছেলেরাই এত বোকা না যে সবসময় আপনাকে জানাবে।
৩।একটা টুল বের হয়েছে, অনলাইন থেকে সব ফেইক ন্যুড সরায় দিবে, তো এতো চিন্তা কি?
তর্কের খাতিরে ধরে নিচ্ছি এটা কাজ করবে। কিন্তু মোস্টলি আপনি জানবেনই না আপনার পিক দিয়ে এমন নোংরা কাজ হয়ে গেছে।
সেকেন্ডলি, টুলটা না হয় অনলাইন থেকে সারাবে, তার গ্যালারিতে থাকা পিকের কি হবে?
-
শেষকথা হচ্ছে নারীদের কাছে আল্লাহ প্রদত্ত সবচেয়ে বড় আমানত হচ্ছে নিজের Chastity. এই জিনিষটা নষ্ট হওয়ার ক্ষুদ্র সম্ভাবনা আছে, এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত না। আল্লাহ সহায় হোন।
শুন্য.
এগ্রি হওয়ার প্রয়োজন নেই।জাস্ট ভিন্নমত হিশেবে নিতে পারেন, তাহলে হয়তো অফেন্ডেড হবেন না। গুটিকয়েক এক্সপ্লিসিট শব্দ আছে, আগেই এপোলোজি করছি।
-
এক.
"Resistant to taking accountability" নামে কিছু শুনেছেন? লিডারশিপ, নারী-পুরুষের মনস্তত্ত্ব নিয়ে হালকা আউট অফ বক্স পড়াশোনা থাকলে শুনার কথা।কঠিন কিছু না। উদাহরন দিলে বুঝা সহজ হবে।যারা ট্র্যাডিশনাল মিডল ক্লাস ফ্যামিলিতে বিলং করেন তারা ধরতে পারবেন কি বুঝাতে চাচ্ছি অথবা অনলাইনে পদচারণা থাকলেও ধরতে পারবেন।
অনলাইনে স্বামী-স্ত্রীর একটা দিক নিয়ে খুব ট্রল হয় - যাই ঘটুক স্বামীর দোষ। স্বামীরা স্ত্রীর সাথে এটা নিয়ে কোনোদিন তর্কে পারে না। না পারারই কথা, দোষ তো কোনোদিন মেয়ে মানুষের হয় না।নারীরা কোনোদিনই ব্লেইম নিতে চাইবে না। তাদের মনস্তত্বে এটা ফিট করে দেওয়া আছে। এটা তাদের দোষ না; র্যাদার একটা ইন্ট্রেস্টিং ফিমেইল-ট্রেইট।
উপরের কথাগুলো আপনার কাছে খাপছাড়া লাগতে পারে। আর কন্টেক্সট জানা না থাকলে বিষয়টা অপ্রয়োজনীয় তত্ত্বের কচকচানী মনে হতে পারে।
-
দুই.
কয়েকদিন ধরে Cloth Remover AI নিয়ে খুব জোরেশোরে কথাবার্তা চলছে। এক মেয়ের ইন্সটাতে আপলোডকৃত পিকচার আরেক ছেলে নিয়ে ক্লথ রিমোভ করে ফেলে AI দিয়ে। দেখেন বিষয়টা কতটা প্যাথেটিক। আপনি কোনো হিশেব-নিকেশ না করে এমনি একটা পিকচার আপলোড দিয়েছেন, আরেকজন আপনার সুন্দর পিকচারটাকে সোজা বাংলায় ‘ল্যাংটা’ করে দিয়েছে AI এর সাহায্যে। সে শুধু আপনাকে আর তার ফ্যান্টাসিতে ইমাজিন করতে পারতেছে না শুধু, বরং আপনাকে ওইভাবে ভিজুয়ালাইজও করতে পারছে।
আচ্ছা, এখানে দোষটা কার?
ছেলের?
রাইট।
মেয়ের কোনো দোষ আছে?
অবশ্যই আছে।ছেলের চাইতেও বেশি।
পরের প্রশ্নগুলো অন্যভাবে করা যাক-
সামনে থেকে কার বেশি সতর্ক থাকা লাগবে, ছেলেদের না মেয়েদের?
এই সংঘটিত অপরাধে কার বেশি লস হচ্ছে?
এই দুইটা প্রশ্নের উত্তর আমি দিচ্ছি না, খুব সম্ভবত উত্তর আপনি জানেনই।
-
তিন.
মেয়েদের ব্লেইম নেওয়ার অক্ষমতার জন্য তারা অনেক ধরনের আয়রনি করে না বুঝেই, নিজেদেরকে একাউন্টিবিলিটি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। বিষয়টাতে তাদের নিজেদেরই লস, এই বিষয়টা হয়তো তারা বুঝেই না অথবা বুঝেও জাস্ট নিজেদের ডিজায়ারকে প্রাধান্য দেয়। এই ঘটনার পর মেয়েদের স্ট্রিক্টলি পিকচার দিতে নিষেধ করা হচ্ছে। এখন এইটাতে তারা খুব হার্ট হচ্ছে, ছেলেদের কন্ট্রোল করতে না বলে মেয়েদের কেন পিকচার দিতে নিষেধ করা হচ্ছে!!
বিষয়টা এভাবে ভেবে দেখুন-
বাংলাদেশের একটা অঞ্চলে খুব বেশি ছিনতাই-চুরি-ডাকাতি বেড়েছে। আমার প্রতিবেশির সাথেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকে যার সাথেই দেখা হচ্ছে আমি বলছি, সাবধানে থাকবেন। জিনিসপত্র সাবধানে রাখবেন। রাতে সাবধানে চলাফেরা করবেন।
এখন সবাই যদি আমাকে বলে ‘‘চোর-ডাকাতকে সংশোধন হতে না বলে আমাকে সাবধান হতে বলতেছেন কেন?’’
এই প্রশ্নটা মেইক সেন্স করে?
এই প্রশ্নের উত্তরটাও জানেন খুব সম্ভবত।
-
চার.
দুনিয়াতে সবাইকে ভালো করতে পারবেন না। সবাই ভালো হয়ে গেলে আর ভালোর দাম থাকবে না। কিন্তু আপনি যেটা করতে পারবেন, নিজেকে অন্তত খারাপের ক্ষতি থেকে বাচানোর চেষ্টা করতে পারবেন। আপনার নেকেড পিকচার ভাইরাল হয়ে গেলে আপনি সব ছেলেদের খারাপ বলতেই পারেন, ছেলেদের ওয়াজ করতেই পারেন। তাদের অনেক ওয়াজ প্রয়োজন নিজদের সংশোধনের জন্য । কিন্তু দিনশেষে লসটা আপনারই হবে।যারা পিকচার দিতে নিষেধ করতেছে, তারা জানে ছেলেরা কি চায়, কি করতে পারে।ছেলেদের সংশোধন হয়ে যেতে বললে আপনার Chastity বেচে যাবে না বরং আপনি পিকচার না দিলে বাচার সম্ভাবনা বেশি।
আরেকটা বিষয় মনে রাখবেন-
এটা এমন এক বিষয়, যেটা কখনো 'আনডান' করা যায় না। সিদ্বান্ত নিতে 'ডিজায়ারকে' সামনে না রেখে 'কনসকুয়েন্সকে' সামনে রাখবেন। আপনার পার্টিকুলার কোনো সিদ্বান্তের ফলে কনসুকেয়েন্সটা কেমন, এইটার জন্য লস কার বেশি, কার বেশি সাফার করতে হবে- এই বিষয়গুলা সামনে রাইখা সিদ্বান্ত নিয়েন। কনসুকুয়েন্সের ব্যাপারে এওয়ার হওয়ার পরেও যদি পিকচার দিতে চান, দেন। আপনারা পিকচার না দিলে পার্ভাটরা বাচবে কিভাবে!
No comments:
Post a Comment