Wednesday, April 28, 2021

বাঙ্গি নিয়ে অনেক রকমের ট্রল

 No photo description available.

 

ইদানিং বাঙ্গি নিয়ে অনেক রকমের ট্রল দেখা যাচ্ছে…
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, “রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না।”
[বুখারি, হাদিস নং : ৫১৯৮
ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ৩৩৮২]
সুতরাং, তোমার যদি বাঙ্গি খুবই অপছন্দের হয়, খেও না। তবুও বাঙ্গি নিয়ে হাসি-তামাশা করোনা, এবং যারা সেটা করছে তাদেরকেও প্রোমোট করোনা। কারণ, প্রতিটা ফলই আল্লাহর নিয়ামত। তুমি এটা নিয়ে হাসিঠাট্টা করছো মানে আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে হাসিঠাট্টা করছো। এমন একটা ভাব যেন, আল্লাহ এটাকে সৃষ্টি করে 'অন্যায়' করে ফেলেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ)
যখন তুমি বলো ‘আল্লাহ, হয় এই বাঙ্গি দুনিয়ার থেকে উঠায় নাও, নইলে আমারে উঠায় নাও’ তখন তুমি সরাসরি আল্লাহর সাথেই বেয়াদবি করে ফেললে যা তাওবা ব্যতীত ক্ষমার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং, কথাবার্তা বলার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।
যারা যুক্তি দিতে চাচ্ছো– আরে এটা তো ‘যাস্ট ফান’ করে বলছি, এসবকিছু এত সিরিয়াসভাবে নিলে হয় নাকি?
তাদেরকে বলি—
“বান্দা অনেক সময় (ঠাট্টাচ্ছলে) এমন অনেক কথাই বলে যাতে সে গুরুত্ব দেয় না, অথচ সেই কথা আল্লাহ্‌কে অসন্তুষ্ট করে। ফলে সেই কথাই তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে।”
[বুখারী; অধ্যায় : ৮, খণ্ড : ৭৬, হাদীস : ৪৮৫]
একই নসীহত এরকম অন্যান্য কথাগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য—
১. আল্লাহ একটা দড়ি ফালাও, উইঠা যাই। (আল্লাহকে হুকুম করা)
২. এটা দেখার আগে আল্লাহ আমার চোখ অন্ধ করে দিলো না ক্যান? (আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপত্তি)
৩. আল্লাহ আমারে উঠায় নাও (মৃত্যুকামনা)
আর, যারা এসব করে তাদের উদ্দেশ্যে—
“তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করে না।”
[সূরা যুমার, আয়াত ৬৭]
সুতরাং, যারা আল্লাহকে সম্মান করে না, আমরা সামান্য একটু 'ফান' করতে গিয়ে তাদের দলভূক্ত না হই।
“তোমরা কেউ কখনও মৃত্যুকামনা করোনা”
[মুসলিম, হাদীস-৬৯৯৫]
“যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসে বিশ্বাস রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে নয়ত চুপ থাকে”
[বুখারী; অধ্যায়: ৮, খণ্ড: ৭৬, হাদীস: ৪৮২]

 

 

রুকু ধরার জন্য দৌড়ে আসা

 May be an image of text that says '"রাকাত বা রুকু ধরার জন্য দৌড়ানো যা একটি মারাত্মক ভুল"'

 

দুইটা বিষয় আমরা প্রায় অনেকেই করে থাকি,
১.নামাজের জন্য দৌড়ে আসা।
২.রুকু ধরার জন্য দৌড়ে আসা।
হ্যাঁ, এই দুইটা বিষয় নিতান্তই আমরা দেখে থাকি।হয় নামাজের জন্য দৌড়াই আর না হয় রুকু বা রাকাত ধরার জন্য দৌড়াই।এর পর দৌড়ানোর কারনে নামাজে দাঁড়িয়ে হাপাতে থাকি।
কিন্তু, আমরা কি জানি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা পছন্দ করেন না??আমরা কি জানি উনি এমন করতে নিষেধ করেছেন??
হজরত আবু কাতাদা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার আমরা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে নামাজ পড়ছিলাম, নামাজরত অবস্থায় তিনি লোকের ছুটাছুটির শব্দ অনুভব করলেন। নামাজা শেষে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা কী করছিলে’? তারা আরজ করল, ‘আমরা নামাজের জন্য তাড়াতাড়ি আসছিলাম’। আল্লাহর রাসুল (স.) বললেন, ‘এরূপ কখনো করো না। শান্তিশৃঙ্খলা ও ধীরস্থিরভাবে নামাজের জন্য আসবে, তাতে যে কয় রাকাত ইমামের সঙ্গে পাবে পড়ে নেবে, আর যা ছুটে যায় তা ইমামের নামাজের পর পূর্ণ করে নেবে’। [বোখারি শরীফ : ১/ ৩৮৭]
তাছাড়া, আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যখন সালাত শুরু হয়, তখন দৌড়িয়ে গিয়ে সালাতে যোগদান করবে না, বরং হেঁটে গিয়ে সালাতে যোগদান করবে। সালাতে ধীর-স্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কাজেই জামা‘আতের সাথে সালাত যতটুকু পাও আদায় কর, আর যা ছুটে গেছে, পরে তা পূর্ণ করে নাও।(বুখারিঃ-৯০৮)
তাই,এক্ষেত্রে আপনি হয় সময় নিয়ে নামাজ পড়তে যাবেন অথবা ধিরস্থির ও শান্তভাবে হেঁটে গিয়ে যতোটুকু জামাতে শরিক হতে পারেন হবেন এবং বাকি নামাজ পরে নিজে শেষ করবেন।
আল্লাহ সবাইকে বুঝার তাউফিক দান করুক।